মানুষ শখ করে অনেক প্রাণীই পোষে। সাধারণত মানুষের পোষা প্রাণীর এই তালিকায় কুকুর, বিড়াল কিংবা পাখির নামই থাকে। তবে এই ব্যক্তির প্রাণিপ্রীতি সবার থেকে আলাদা। তিনি বাড়িতে কুমির পুষেছেন। তা-ও যেই-সেই কুমির নয়। তার পোষা কুমিরের ওজন ৩৪০ কেজি। ১১ ফুট লম্বা কুমিরটির বয়স প্রায় ৩০ বছর। শুধু তাই নয় সে কুমিরের সঙ্গে পাড়ার শিশুদের সাঁতার পর্যন্ত কাটতে দিতেন তিনি।
এনিডিভির প্রতিবেদন অনুযায়ী, কুমিরটির নাম আলবার্ট। এর মালিকের নাম টনি ক্যাভালারো। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডার বাসিন্দা। গত ১৩ মার্চ অবৈধভাবে কুমিরটি বাড়িতে রাখার জন্য সেটিকে জব্দ করেছে মার্কিন পরিবেশ সংরক্ষণ পুলিশ।
সামাজিক মাধ্যমে দেওয়া এক পোস্টে মার্কিন কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, আলবার্টকে রাখতে বাড়িতে আলাদা একটি জায়গা করেন টনি। সেখানে প্রায় ৩০ বছর বয়সী কুমিরটির জন্য একটি সুইমিং পুল নির্মাণ করেন তিনি।
পুলিশ কুমিরটি নিয়ে যাওয়ার পর টনি বলেন, ‘আমি অ্যালবার্টের বাবা। সে সবার কাছে পরিবারের একজন সদস্যের মতো ছিল।’
তিনি আরও জানান, অ্যালবার্টের মালিকানার লাইসেন্সের মেয়াদ ২০২১ সালে শেষ হয়ে যায়। তিনি এটি নবায়ন করতে পরিবেশ সংরক্ষণ বিভাগে আবেদন করলেও লাইসেন্স পাননি।
তবে কর্তৃপক্ষ বলছে, বাড়িতে কুমির রাখা বেআইনি। এমনকি মালিক যথাযথভাবে লাইসেন্স নিলেও কুমিরের সঙ্গে জনসাধারণের সম্পৃক্ততা নিষিদ্ধ।
নিউইয়র্ক পোস্টের প্রতিবেদন অনুযায়ী, কুমিরটির সঙ্গে সাঁতার কাটতে পাড়ার শিশুদের দাওয়াত দিতেন টনি। এ ছাড়া তিনি অন্য মানুষদেরও এর সঙ্গে সাঁতার কাটতে দিতেন।
কর্মকর্তারা বলছেন, আলবার্টের বেশ কয়েকটি স্বাস্থ্যসংক্রান্ত জটিলতা ছিল। যেমন কুমিরটি দুচোখে দেখতে পেত না। এর মেরুদণ্ডে জটিলতা ছিল।
তবে কুমিরটি ফিরে পেতে আইনি লড়াই চালিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার করেছেন টনি। এ বিষয়ে ইতোমধ্যে একটি অনলাইন পিটিশন করেছেন তিনি। এ ছাড়া প্রতিবেশী ও বন্ধু-বান্ধবদের কাছ থেকেও তিনি ব্যাপক সমর্থন পাচ্ছেন। সামাজিক মাধ্যমেও তার পক্ষে জনমত জোরাল হচ্ছে।
মন্তব্য করুন