ভোটারবিহীন ক্ষমতা সৌভাগ্য নয়, দুর্ভাগ্য: স্বপন 
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি) সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন বলেছেন, জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে তা হতো সম্মানজনক। ভোটারবিহীন ক্ষমতায় থাকা জনগণের জন্য সৌভাগ্য নয়, দুর্ভাগ্য। জনগণের অভিপ্রায়কে উপেক্ষা করে সুশাসনকে ভূলুণ্ঠিত করে দীর্ঘদিন ক্ষমতা ধরে রাখা কোনোক্রমেই গৌরবজনক নয়। শনিবার (২০ এপ্রিল) রাজশাহীতে জেএসডির জেলা ও মহানগর প্রতিনিধি সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন বলেন, অপশাসন ও দুঃশাসনে রাষ্ট্রকে ধ্বংসের শেষ প্রান্তে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত রাষ্ট্র হাতছাড়া হয়ে যাওয়ার পথে। এখন রাষ্ট্রকে পুনরুদ্ধার, স্বৈরাচারী সরকারকে বিদায় এবং নিপীড়নমূলক শাসন বদলের প্রয়োজনে দ্বিতীয় মুক্তিযুদ্ধ অনিবার্য হয়ে পড়েছে। বিদ্যমান শাসন ব্যবস্থা দিয়ে জাতীয়তাবাদ বিকাশের আর কোনো সুযোগ নেই। অংশীদারিত্বের গণতন্ত্র দিয়েই জাতীয়তাবাদ বিকাশের সুযোগ সৃষ্টি হবে। জেএসডি একমাত্র দল যারা জাতীয়তাবাদ বিকাশের দর্শন উপযোগী রাজনৈতিক ও শাসনতান্ত্রিক প্রস্তাবনা উত্থাপন করেছে । প্রতিনিধি সভায় সভাপতিত্ব করেন জেএসডি রাজশাহী মহানগরের সাধারণ সম্পাদক সফিকুর রহমান বাবর। রাজশাহী সাংবাদিক ইউনিয়ন মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন। এতে আরও বক্তব্য রাখেন জেলা সভাপতি মজিবুর রহমান, মহানগর সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম বাবু, গোলাম মর্তুজা মোস্তফা, আবদুল্লাহ পারভেজ, শরিফুল ইসলাম শরীফ প্রমুখ।  সভায় গোলাম মর্তুজা মোস্তফাকে আহ্বায়ক এবং মাসুদ পারভেজ ও মায়া খাতুনকে যুগ্ম আহ্বায়ক নির্বাচিত করে ২১ সদস্যবিশিষ্ট জেএসডির রাজশাহী মহানগর কমিটি গঠন করা হয়।
২০ এপ্রিল, ২০২৪

ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে জুলুম বাড়িয়েছে সরকার : মির্জা ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, গত ৭ জানুয়ারি ডামি নির্বাচনের মাধ্যমে গায়ের জোরে রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করে আওয়ামী শাসকগোষ্ঠী। এখন কতৃর্ত্ববাদী শাসনের দ্বারা রাষ্ট্রক্ষমতা টিকিয়ে রাখার জন্য বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনসহ বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের ওপর নানা কায়দায় জোরালোভাবে জুলুম ও দমন-পীড়ন শুরু করেছে। মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির তথ্যবিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল এবং বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আকরামুল হাসানের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন। বিএনপি মহাসচিব বলেন, আদালতকে দিয়ে মিথ্যা মামলায় জামিন নামঞ্জুর করে বিরোধী নেতাকর্মীদের কারাগারে পাঠানো এখন প্রতিদিনের ঘটনা। মিথ্যা মামলায় আজিজুল বারী হেলাল এবং আকরামুল হাসানের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর ঘটনা সেটিরই আরও একটি বহিঃপ্রকাশ। মির্জা ফখরুল বলেন, জনগণ যেহেতু ৭ জানুয়ারির একতরফা নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করেছে, সেহেতু গণবিরোধী সরকারের ভয়াবহ দুঃশাসন প্রতিরোধে জনগণ আরও সোচ্চার হয়ে উঠেছে। দেশের বৃহত্তম রাজনৈতিক দল বিএনপিসহ বিরোধী দল, মত ও পথের মানুষদের ওপর জুলুম-নির্যাতন চালিয়ে আওয়ামী দখলদার সরকার কোনোভাবেই নিজেদের অবৈধ ক্ষমতা ধরে রাখতে পারবে না। বিএনপি মহাসচিব বিবৃতিতে আজিজুল বারী হেলাল এবং আকরামুল হাসানের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারসহ অবিলম্বে তাদের নিঃশর্ত মুক্তির জোর আহ্বান জানান।
১৯ মার্চ, ২০২৪

ক্ষমতা ধরে রাখতে গুম খুন অব্যাহত রেখেছে সরকার
লালমনিরহাটের মহেন্দ্রনগর উপজেলার খুনিয়াগাছ ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি মো. ফেরদৌস আলীকে গত রোববার দুষ্কৃতকারীরা নির্মমভাবে হত্যার ঘটনায় নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। গতকাল সোমবার এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, রাষ্ট্রের পরতে পরতে অমানবিকতা, নিষ্ঠুরতা ও পৈশাচিকতার বহিঃপ্রকাশ। রাষ্ট্রক্ষমতার জন্য শাসকগোষ্ঠী গোটা দেশকে সন্ত্রাসী দুঃশাসনের ছায়ায় আচ্ছন্ন করে রেখেছে। ঠান্ডা মাথায় খুন এখন ক্ষমতাশালীদের সংস্কৃতিতে পরিণত করা হয়েছে। বিএনপি মহাসচিব বিবৃতিতে মো. ফেরদৌস আলীকে হত্যাকারী দুষ্কৃতকারীদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান। তিনি ফেরদৌস আলীর বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোকাহত পরিবারবর্গের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান। ওই হত্যাকাণ্ডের নিন্দা ও প্রতিবাদ এবং ঘাতকদের গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক বিচার দাবি করেছেন স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এসএম জিলানী ও সাধারণ সম্পাদক রাজীব আহসান।
১২ মার্চ, ২০২৪

কেউই ক্ষমতা ছাড়তে চায় না : সাইফুল হক 
বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেছেন, কর্তৃত্ববাদী শাসনে ক্ষমতাকেন্দ্রিক রাজনীতি পুরোপুরি পচে গেছে। আদর্শহীন নীতিহীন ক্ষমতার রাজনীতি এ দেশে দ্রুত সীমাহীন অর্থবিত্ত গড়ে তোলার বাহনে পরিণত হয়েছে। দেশে এখন রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক  ক্ষমতার অশুভ মেলবন্ধন দানবীয় শক্তিতে পরিণত হয়েছে। এ কারণে কেউই আর ক্ষমতা ছাড়তে চায় না। রোববার (৩ মার্চ) রাজধানীর সেগুনবাগিচায় সংহতি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত দিনব্যাপী বিপ্লবী যুব সংহতির কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি সভায় এসব কথা বলেন তিনি। সাইফুল হক বলেন, দেশের বিশাল যুবশক্তিকে এক আশাহীন-স্বপ্নহীন জনগোষ্ঠীতে পরিণত করা হয়েছে। দেশের বিশাল সম্ভাবনাময় যুবসমাজকে নৈতিক দিক থেকেও দুর্বল করে তাদের নানাভাবে নেশাগ্রস্ত করে তোলা হচ্ছে। যুবকদের একটা অংশকে সরকার ও সরকারি দল তাদের অপরাজনৈতিক তৎপরতার সহযোগী লাঠিয়াল আর মাস্তান-সন্ত্রাসীতে পরিণত করেছে। জুলুম আর অন্যায়ের বিরুদ্ধে যুবকদের প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। তিনি বলেন, ভোটের অধিকারসহ গণতান্ত্রিক অধিকার হরণকারী বিদ্যমান দুঃশাসন বিদায় দেওয়া আজ দেশপ্রেমের বড় কর্তব্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। যুবআন্দোলনের সংগঠকদের দেশ ও জনগণকে রক্ষার পবিত্র ব্রতে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির এই নেতা। বিপ্লবী যুবসংহতির সদস্য সচিব মীর রেজাউল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় আরও বক্তব্য রাখেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য বহ্নিশিখা জামালী, অর্থনীতিবিদ দীপক কুমার কুন্ডু, সংগঠনের কেন্দ্রীয় নেতা স্বাধীন মিয়া, ফাহিম আহমেফ মিনহাজ, রতন গোস্বামী, শৈশব আহমেদ হ্রদয়, আবুল কালাম, জামাল সিকদার, নান্টু দাস, হাফিজুল ইসলাম রুবেল, দীপু দাস, মোহাম্মদ নাঈমউদ্দিন, রবিউল ইসলাম প্রমুখ।
০৩ মার্চ, ২০২৪

আ.লীগ ক্যু করে ক্ষমতা দখল করেছে : আমীর খসরু
আওয়ামী লীগ ক্যু করে ক্ষমতা দখল করেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। তিনি আরও বলেন, জনগণ বিএনপির পক্ষে রায় দিয়েছে। জনগণ এখনো ভোটাধিকার প্রয়োগ করার অপেক্ষায় আছে। জনগণ তার অধিকার ফিরে পাওয়ার অপেক্ষায় আছে। শুধু কিছু লোক অবৈধ ও অনৈতিকভাবে একটি চক্র সৃষ্টি করে ক্ষমতায় বসে আছে। শনিবার (০২ মার্চ) বিকেলে নগরের কাজীর দেউড়ির নাসিমন ভবনের দলীয় কার্যালয়ের মাঠে চট্টগ্রাম নগর, উত্তর ও দক্ষিণ জেলা বিএনপি আয়োজিত মতবিনিময় সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।   ‘আন্দোলনের সূচনা হয়েছে, শেষ হয়নি’ উল্লেখ করে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, বিএনপির আন্দোলন ১৫ বছরের অপশাসনের বিরুদ্ধে। বাংলাদেশের জনগণ, দেশের জাতীয়তাবাদের পক্ষের শক্তি দেশপ্রেমী নাগরিকগণ, সবার অংশগ্রহণে বাংলাদেশে এক বিশাল আন্দোলনের সূচনা হয়েছে। স্বৈরাচার ও ফ্যাসিস্টদের বিরুদ্ধে এ আন্দোলন অব্যাহত আছে। বাংলাদেশের মানুষের অবস্থানের কোনো পরিবর্তন হয়নি। আন্দোলন আন্দোলনের জায়গা আছে, চলমান আছে। বাংলাদেশের ৯৫ শতাংশ মানুষ এ আন্দোলন করছে। এটা বাস্তবায়িত হবেই।   বিএনপির স্থায়ী কমিটির এ সদস্য বলেন, বিএনপির আন্দোলন গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার ফিরে পাওয়ার আন্দোলন। এটা কোনো দলের বা ব্যক্তির একক আন্দোলন নয়। এ আন্দোলনের মাধ্যমে আমরা আমাদের সাংবিধানিক অধিকার ফিরে পাব। কিন্তু সেই অপশক্তি বোমা, সাউন্ড গ্রেনেন্ড ব্যবহার ও গুম, খুনের মাধ্যমে জনগণের সে অধিকার আবার কেড়ে নিয়েছে।   ‘বাংলাদেশের সুশীল সমাজ একপক্ষে অবস্থান নিয়েছে’ বলে দাবি করেন আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। তিনি বলেন, আন্দোলনের দাবি ছিল এ ফ্যাসিস্ট সরকারের অধীনে বাংলাদেশের জনগণ নির্বাচনে যাবে না। সে আহবানে বিএনপিসহ বাংলাদেশের সমস্ত রাজনীতিবিদ সাড়া দিয়েছে শুধু গুটিকয়েক ভিক্ষুক রাজনীতিবিদ ছাড়া। প্রায়ই সমস্ত রাজনৈতিক শক্তি একপক্ষে অবস্থান নিয়েছে। বাংলাদেশের পেশাজীবী ও সাংবাদিক ভাইরাও একটি পক্ষে অবস্থান নিয়েছে।   চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহবায়ক ডা. শাহাদাত হোসেনের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্করের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা গোলাম আকবর খোন্দকার, এসএম ফজলুল হক, কেন্দ্রীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম, শ্রম সম্পাদক এ এম নাজিম উদ্দীন, উপজাতিবিষয়ক সম্পাদক ম্যা মা চিং, সহসাংগঠনিক সম্পাদক জালাল উদ্দীন মজুমদার, দক্ষিণ জেলা বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি এনামুল হক এনাম।  সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় বিএনপির সদস্য সাথী উদয় কুসুম বড়ুয়া, বান্দরবান জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জাবেদ রেজা, উত্তর জেলা বিএনপি'র সি. যুগ্মআহ্বায়ক এমএ হালিম, মহানগর বিএনপির সি. যুগ্মআহবায়ক আলহাজ্ব এমএ আজিজ, যুগ্মআহবায়ক মোহাম্মদ মিয়া ভোলা, অ্যাড. আবদুস সাত্তার, সৈয়দ আজম উদ্দিন, এসএম সাইফুল আলম, এসকে খোদা তোতন, নাজিমুর রহমান, শফিকুর রহমান স্বপন, ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, মো. শাহ আলম, ইসকান্দর মির্জা, আবদুল মান্নান, উত্তর জেলা বিএনপির যুগ্মআহবায়ক অধ্যাপক ইউনুস চৌধুরী, নুরুল আমিন, নূর মোহাম্মদ, নুরুল আমিন চেয়ারম্যান, ইঞ্জিনিয়ার বেলায়েত হোসেন, সরওয়ার আলমগীর, কাজী সালাউদ্দিন, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এইচএম রাশেদ খান, সাধারণ সম্পাদক বেলায়েত হোসেন বুলু, বিভাগীয় শ্রমিকদলের সাধারণ সম্পাদক শেখ নুরুল্লাহ বাহার, কেন্দ্রীয় মহিলাদলের যুগ্মসম্পাদক ফাতেমা বাদশা, উত্তর জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মুরাদ চৌধুরী, স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক সরোয়ার উদ্দিন সেলিম, মহিলাদলের সভাপতি নার্গিস আকতার, দক্ষিণ জেলা মহিলাদলের সভাপতি জান্নাতুন নাঈম রিকু, মহানগর ছাত্রদলের আহবায়ক সাইফুল আলম, সদস্য সচিব শরিফুল ইসলাম তুহিন, দক্ষিণ জেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক রবিউল হোসেন রবি, সদস্য সচিব কামরুদ্দিন সবুজ প্রমুখ।  প্রসঙ্গত, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী প্রায় পাচ মাস পর চট্টগ্রামের দলীয় কর্মসূচিতে যোগ দিয়েছেন। সর্বশেষ তিনি গত বছরের ৫ অক্টোবর বিএনপির রোড মার্চ কর্মসূচি শেষে চট্টগ্রামের নুর আহম্মদ সড়কের সমাবেশে বক্তব্য রাখেন।
০২ মার্চ, ২০২৪

পাকিস্তানে ক্ষমতা ভাগাভাগি নিয়ে হঠাৎ বৈঠক স্থগিত দুদলের
পাকিস্তানে জোট সরকার গঠন নিয়ে দেশটির বড় দুই দল পাকিস্তান মুসলিম লিগ (পিএমএল-এন) এবং পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) মধ্যে প্রায় সমঝোতা হয়ে গেছে। এখন বাকি শুধু ক্ষমতা ভাগ-বাটোয়ারার। এ বিষয় নিয়েই আজ শুক্রবার দুই দলের নেতাদের বৈঠকে বসার কথা ছিল। তবে হঠাৎ করে দুই দলের সমন্বয় কমিটির এই বৈঠক স্থগিত করা হয়েছে। জিও নিউজের প্রতিবেদন অনুযায়ী, দেশের কেন্দ্রীয় সরকার গঠন চূড়ান্ত করতে শুক্রবার পিএমএল-এন ও পিপিপির সমন্বয় কমিটির মধ্যে বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। তবে এ বিষয়ে পিএমএল-এন এখনো দলের জৈষ্ঠ্য নেতাদের সঙ্গে সলা-পরামর্শ করতে পারেনি। এ জন্য আজকের বৈঠকটি স্থগিত করা হয়েছে। আগামীকাল শনিবার দুই দলের বৈঠক হবে। গত ৮ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানে জাতীয় ও প্রাদেশিক পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এবারের নির্বাচনে কোনো দলই একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করতে পারেনি। ফলে জোট গঠন করে সরকার আসার চেষ্টা করছে বড় দলগুলো। ইতোমধ্যে তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের দল পিএমএল-এন নির্বাচনে তৃতীয় স্থান অর্জনকারী বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারির পিপিপিসহ ৫টি দলের সঙ্গে জোট গড়ে সরকারের আসার কথা জানিয়েছে। গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, জাতীয় সংসদে পিএমএল-এনের প্রধানমন্ত্রী প্রার্থীকে সমর্থন দেবে পিপিপি। এর বিনিময়ে জাতীয় পরিষদের স্পিকার, সিনেট চেয়ারম্যান ও প্রেসিডেন্টের মতো সাংবিধানিক পদের নিজেদের লোক বসানোর দাবি করেছে বিলাওয়ালের দল। পিপিপির এমন দাবিতে সমর্থন দেওয়ার কথাও জানিয়েছে নওয়াজ শরিফের দল। অন্যদিকে পিএমএল-এন ও পিপিপির মধ্যে প্রায় সমঝোতা হয়ে গেলেও এখনো হাল ছাড়েনি সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দল পিটিআই। কারাবন্দি ইমরান খানের সঙ্গে বেশ কয়েকবার বৈঠক শেষে সরকারে আসতে সম্প্রতি দলের পক্ষ থেকে একজনকে প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে।
১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

ইসরায়েলে ভয়াবহ হামলার ক্ষমতা দেখাল ইরান
মধ্যপ্রাচ্যে নিজের প্রভাব বাড়াতে একের পর এক সামরিক ক্ষমতার প্রদর্শনী করে যাচ্ছে ইরান। বিশেষ করে হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধ শুরুর পর ইরানের সমর উন্মাদনা যেন আগের চেয়ে বহুগুণ বেড়েছে। বিভিন্ন সশস্ত্র ছায়াগোষ্ঠী দিয়ে ঘিরে রেখেছে ইসরায়েল ও মার্কিন ঘাঁটিগুলো। এর মধ্যেই এবার ইসরায়েলি বিমান ঘাঁটিতে হামলার শক্তিশালী সক্ষমতা দেখাল দেশটির এলিট ফোর্স ইসলামি বিপ্লবী রক্ষীবাহিনী তথা আইআরজিসি। আলজাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, স্থানীয় সময় সোমবার আইআরজিসির নৌ-ইউনিট তাদের নিজস্ব যুদ্ধজাহাজ ও সাবমেরিন থেকে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপের মাধ্যমে একটি মহড়া পরিচালনা করে। এতে কৃত্তিমভাবে তৈরি করা ইসরায়েলের পালমাচিম বিমানঘাঁটিতে আক্রমণ করার অনুশীলন করা হয়। দুটি ভিন্ন ভিন্ন স্থান থেকে নির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তুতে হামলার অনুশীলন করে আইআরজিসির নৌ-সেনারা। এ মহড়ায় আইআরজিসির বিমান ইউনিটও অংশ নেয় বলে জানায় ইরানের গণমাধ্যমগুলো। গত মাসে এই বিমানঘাঁটিতে দেওয়া এক বক্তব্যে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু জানান, ইসরায়েলের জন্য নিরাপত্তা হুমকি সৃষ্টি করলে ইরান আক্রমণ করতে কোনো দ্বিধা করবে না তেল আবিব। আইআরজিসি পরিচালিত মহড়ায় ইসরায়েলি বিমানঘাঁটিতে থাকা এফ-৩৫ যুদ্ধবিমানের হ্যাঙ্গারগুলোকে এমাদ এবং কদর ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের উন্নত সংস্করণ দ্বারা আক্রমণ করা হয়। মহড়ায় নির্ধারিত পালমাচিম বিমানঘাঁটিটি তেল আবিবের ১২ কিলোমিটার দক্ষিণে ভূমধ্যসাগরীয় উপকূলে অবস্থিত। এটি মূলত এফ-৩৫ যুদ্ধবিমানের ঘাঁটি হিসেবে ব্যবহার করে থাকে ইসরায়েলি বিমানবাহিনী। আইআরজিসি কমান্ডার-ইন-চিফ হোসেন সালামি জানান, তার বাহিনী প্রথমবারের মতো যুদ্ধজাহাজ থেকে দূরপাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণে সফল হয়েছে। এ সক্ষমতা ইরানের নৌ-প্রভাব ও শক্তির পরিধিকে বাড়িয়ে তোলে। ইরানের জন্য নিরাপত্তা হুমকি সৃষ্টি করতে চায় এমন শক্তিগুলোর জন্য এখন থেকে সমুদ্রে কোনো নিরাপদ স্থান থাকবে না। ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে প্রচারিত ফুটেজে দেখা যায়, শহিদ মাহদাভি থেকে দুটি দূরপাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করা হচ্ছে। এটি মূলত একটি বহুমুখী যুদ্ধজাহাজ, যা বিভিন্ন ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র, ড্রোন ও রাডার সিস্টেম বহন করতে সক্ষম। অন্তত ১ হাজার ৭০০ কিলোমিটার পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্রগুলো ওমান সাগরের কোনো স্থানে থেকে উৎক্ষেপণ করা হয়েছিল এবং মধ্য ইরানের একটি মরুভূমিতে তৈরি করা লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করে। মহড়ায় আইআরজিসি স্পিড বোট, ক্যাটামারান এবং স্বল্প-পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র দ্বারা সজ্জিত সাবমেরিন প্রদর্শন করা হয়। এতে ব্যবহৃত কায়েম ক্ষেপণাস্ত্রের আধুনিক ধরনটি যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি হেলফায়ার ক্ষেপণাস্ত্রের ইরানি সমতুল্য বলে মনে করা হয়। এ সময় আইআরজিসি সম্প্রতি উন্মোচিত দুটি ক্যাটামারান থেকে ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করেছে, যা অ্যান্টিশিপ ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করতে সক্ষম বলে জানা যায়।
১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

দ্য হিল থেকে অনুদিত / আরও বেশি ক্ষমতা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী হতে চান ইমরান খান
বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত নির্বাচন পাকিস্তানের সমস্যাগুলো সমাধান না করে বরং দেশটিকে আরও গভীর সংকটের মধ্যে নিমজ্জিত করেছে৷ দেশের ক্ষমতাধর সামরিক এলিটরা যেমনটা চেয়েছিল তা হয়নি। তারা নওয়াজ শরিফের পাকিস্তান মুসলিম লীগ (পিএমএল)-এর জয়ের জন্য চেষ্টার কোনো কমতি রাখেনি। তবে পাকিস্তানি ভোটাররা ইমরান খানকেই বেছে নিতে চেয়েছেন। পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফকে (পিটিআই) ভোট দিয়ে বংশবাদী রাজনীতির প্রতি মানুষ তাদের চূড়ান্ত অসন্তোষই যেন দেখালেন।  ইমরান খান ২০১৮ সালের নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন। সেনাবাহিনী সে সময় ইমরান খানকে সমর্থন দিয়েছিল বলে অভিযোগ রয়েছে। ২০২২ সালের এপ্রিলে এক সংসদীয় অনাস্থা ভোটের মাধ্যমে ক্ষমতাচ্যুত হন ইমরান খান। আগে থেকেই নানামুখী সংকট চলতে থাকা দেশটিতে এই সময়ে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সংকট আরও তীব্র আকার ধারণ করে।  ইমরান খানকে ক্ষমতাচ্যুত করার পেছনে সেনাবাহিনীর হাত ছিল বলে সন্দেহ করা হয়। ষড়যন্ত্রের জন্য আমেরিকার সঙ্গে সামরিক এলিটদের দায়ী করেছিলেন ইমরান খান। তাই পাকিস্তানের সামরিক এলিটরা কোনোভাবেই চায়নি ইমরান খান আবারও দেশের প্রধানমন্ত্রী হোন। এ কারণে নওয়াজ শরিফ গং-কে সবধরনের পৃষ্ঠপোষকতা দিয়েছে তারা। সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ও তার দল পিটিআইকে নির্বাচন থেকে দূরে রাখার সব ধরনের চেষ্টাই করা হয়েছে। এমনকি ইমরান খানকে কারাগারে রেখেই নির্বাচন আয়োজন করা হয় এবং পিটিআইকে নির্বাচন থেকে নিষিদ্ধ করা হয়।  পাকিস্তানি তরুণদের মধ্যে ব্যাপক জনপ্রিয়তা রয়েছে ইমরান খানের। তারা পিটিআইকে সমর্থন করেছে এবং বাধা ও প্রতিকূলতা কাটিয়ে দলের জন্য কাজ করে গেছে। তারা ব্যাপক দমন-পীড়নের স্বীকার হয়েও হার মানেনি। তারা এআই প্রযুক্তি ব্যবহার করে ইমরান খানের বক্তব্য দেশবাসীর কাছে পৌঁছে দিয়েছে। যদিও নির্বাচনে পিটিআইয়ের জনপ্রিয় প্রতীক নিষিদ্ধ করা হয়েছে এবং পিটিআই সমর্থিত প্রার্থীদের কোনো একক প্রতীকে নির্বাচন করতে দেওয়া হয়নি। তারা স্বতন্ত্রভাবে ভিন্ন ভিন্ন প্রতীকে নির্বাচন করেছেন। মানুষ ভোটের মাধ্যমে ইমরান খানের প্রতি তাদের সমর্থন দেখিয়েছে।  সবধরনের বাধা সত্ত্বেও নির্বাচনে সবচেয়ে বেশি আসনে জয় পেয়েছে পিটিআই সমর্থিত প্রার্থীরা। কারাগারে থেকেও ইমরান খান যে ভোট বিপ্লব দেখিয়েছেন তা অবাক করেছে সমগ্র পাকিস্তানকে। নির্বাচনে সবচেয়ে বেশি আসন পেয়েও সরকার গঠন করতে পারছেন না ইমরান খান। সামরিক পৃষ্ঠপোষকতায় নওয়াজ শরিফ ও বিলাওয়াল ভুট্টো-গং ক্ষমতাসীন হলেও তাতে পাকিস্তানি নাগরিকদের মতের প্রতিফলন ঘটে না। ফলে নির্বাচনের পর পাকিস্তানের রাজনৈতিক সংকটের সমাধান না হয়ে বরং সংকটকে আরও বাড়িয়ে দিতে পারে।  পিটিআই দাবি করেছে, তারা নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা সত্ত্বেও প্রতারিত হয়েছে। পিটিআইকে সরকার গঠন করতে দেওয়ার স্বীকৃতির দাবিতে রাস্তায় নামতে ইচ্ছুক দলটির নেতা-কর্মীরা। লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড থেকে পিটিআইকে বঞ্চিত করা হয়েছিল এতে কোনো সন্দেহ নেই। তবে পাকিস্তানের পূর্ববর্তী নির্বাচনগুলোতেও সামরিক সংস্থার অপছন্দের যে কোনো দলের ক্ষেত্রে এমনটাই হয়েছে। দলগুলো তখন সামরিক বাহিনীর সঙ্গে দর কষাকষি করে এগিয়ে যাওয়ার পথ খুঁজেছে।  পাকিস্তানের প্রতিটি প্রধান রাজনৈতিক দলের প্রধানরা ক্ষমতায় থাকার জন্য কোনো না কোনো সময়ে সামরিক জেনারেলদের সঙ্গে যোগসাজশ করেছেন। স্থায়ী রাষ্ট্রকাঠামো বিনির্মাণে ব্যর্থ হয়েছেন এবং উচ্ছৃঙ্খলতার শিকারও হয়েছেন একেকজন। পাকিস্তানের জন্য জরুরি হলো- সামরিক বাহিনীকে রাজনীতি থেকে দূরে রাখা এবং রাজনীতিবিদরা সামরিক বাহিনীকে রাজনৈতিক বিরোধের চূড়ান্ত সালিশ হতে না দিয়ে একে অপরের সঙ্গে আপস মীমাংসায় কাজ করা।  তবে ৮ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনের পর এটি আরও বেশি কঠিন হয়ে পড়েছে বলে মনে হচ্ছে। ইমরান খানের রাজনীতির জন্য বড় সুবিধা হলো তার রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বীরা হয় দুর্বৃত্ত না-হয় বিশ্বাসঘাতক। ইমরান খান সর্বদা রাজনীতিতে সামরিক বাহিনীর হস্তক্ষেপ মোকাবিলা করতে পছন্দ করেছেন। তিনি আরও বেশি ক্ষমতা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার অভিপ্রায়ে জনপ্রিয়তা লাভ করতে চান। অন্যদিকে তার রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বীরা সামরিক বাহিনীর আশীর্বাদে ক্ষমতায় থাকতে চায়। তারা জোট সরকার গঠন করতে আগ্রহী বলে মনে হচ্ছে। ভোটাররা সামরিক এলিটদের উচিত জবাব দিতে চেয়েছিলেন। তবে ইমরান খানসহ রাজনৈতিক নেতাদের পদক্ষেপ সেনাবাহিনীর রাজনৈতিক ভূমিকা অব্যাহত রাখার মঞ্চ তৈরি করতে পারে। যদি রাজপথে সহিংসতা হয়, তাহলে দেশে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার জন্য আবারও সেনাবাহিনী সামনে চলে আসতে পারে। এদিকে ব্যক্তিস্বার্থের খেয়ালে পাকিস্তানের রাজনীতিবিদরা দেশের অর্থনীতিকে সম্পূর্ণরূপে উপেক্ষা করেছেন এবং বৈদেশিক সম্পর্ককে বিপর্যস্ত করে তুলেছেন।  পাকিস্তান যে অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে তার সমাধান ছিল একটি সুষ্ঠু  নির্বাচন এবং জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে ক্ষমতায় আসা একটি শক্তিশালী সরকার। ৮ ফেব্রুয়ারির নির্বাচন সেই পথে শক্ত বাধা হয়ে দাঁড়ালো। নির্বাচন পাকিস্তানকে আরও গভীর সংকটের মধ্যে নিমজ্জিত করেছে৷  হোসেন হাক্কানি: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পাকিস্তানের সাবেক রাষ্ট্রদূত। ভাষান্তর: মুজাহিদুল ইসলাম 
১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

গ্রাম আদালতে জরিমানার ক্ষমতা বাড়ছে ৪ গুণ
গ্রাম আদালতে বিদ্যমান জরিমানার পরিমাণ ৭৫ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে চারগুণ (প্রায় তিন লাখ টাকা) নির্ধারণ করতে যাচ্ছে সরকার। রোববার (১১ ফেব্রুয়ারি) শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে মন্ত্রিসভা বৈঠকে গ্রাম আদালত সংশোধন আইনের খসড়ার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। বৈঠক শেষে সচিবালয়ে ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, গত বছর এই আইনের খসড়ার নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়। কিন্তু এটি সংসদে উপস্থাপন না হওয়ায় এবং নতুন মন্ত্রিসভা গঠিত হওয়ায় নতুন মন্ত্রিসভা থেকে অনুমোদন নেওয়ার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। মন্ত্রিসভা এটিকে চূড়ান্ত অনুমোদন করে দিয়েছে। তিনি বলেন, গ্রাম আদালতের আর্থিক ক্ষমতা (জরিমানা করার ক্ষমতা) ৭৫ হাজার থেকে বাড়িয়ে তিন লাখ টাকা করা হচ্ছে। ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানসহ পাঁচজনের সমন্বয়ে গ্রাম আদালত হয় জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, কোনো সময় একজন অনুপস্থিত থাকলে আদালতের সদস্য সংখ্যা চারজন হয়ে যায়। এমন পরিস্থিতি হলে অনুপস্থিত যিনি ছিলেন তাকে উপস্থিত হতে সাত দিন সময় দেওয়া হবে। এর মধ্যে তিনি উপস্থিত না হলে তখন ভোটাভুটিতে চেয়ারম্যানের ক্ষমতা রাখা হয়েছে। মামলার এক পক্ষ মারা গেলে মামলার ভবিষ্যৎ নিয়ে জটিলতা দেখা দেয়। এখন বলা হয়েছে, রায়ের আগে কোনো পক্ষের মৃত্যু হলে তার উত্তরাধিকারকে পক্ষ করা যাবে।  প্রসঙ্গত, ২০১৩ সালে গ্রাম আদালত আইন সংশোধন করে জরিমানা করার ক্ষমতা ২৫ হাজার থেকে বাড়িয়ে ৭৫ হাজার টাকা করেছিল সরকার। চেয়ারম্যানদের দাবির প্রেক্ষিতে ফের জরিমানার পরিমাণ বাড়াতে যাচ্ছে সরকার। বাংলাদেশে বিচারব্যবস্থার সর্বনিম্ন স্তর হচ্ছে গ্রাম আদালত। গ্রামাঞ্চলের কিছু কিছু মামলার নিষ্পত্তি এবং তৎসর্ম্পকীয় বিষয়াবলীর বিচার সহজলভ্য করার উদ্দেশে গ্রাম আদালত অধ্যাদেশ, ১৯৭৬-এর আওয়তায় গঠিত একটি স্থানীয় মীমাংসামূলক তথা সালিশি আদালতই হলো গ্রাম আদালত। 
১১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪
X