কালবেলা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৯ মার্চ ২০২৪, ০১:২৮ পিএম
আপডেট : ২৯ মার্চ ২০২৪, ০২:৫৯ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

এখনো যুদ্ধ করার ক্ষমতা রাখে ফিলিস্তিনিরা

ইসরায়েলি হামলায় বিধ্বস্ত বসতি। ছবি : সংগৃহীত
ইসরায়েলি হামলায় বিধ্বস্ত বসতি। ছবি : সংগৃহীত

ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামীদের সংগঠন হামাসকে নির্মূলের জন্য কয়েক মাস ধরে ফিলিস্তিনে টানা হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। তবে দেশটির এমন আক্রমণের পরও হামাসের যুদ্ধ করার সক্ষমতা এখনো অটুট রয়েছে বলে জানিয়েছে মার্কিন যুদ্ধ পর্যবেক্ষক সংস্থা ইনস্টিটিউট ফর দ্য স্টাডি অব দ্য ওয়ার (আইএসডব্লিউ)। বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

সংস্থাটি জানিয়েছে, গত ১৮ মার্চ থেকে ফিলিস্তিনি যোদ্ধারা আল শিফা হাসপাতালের কাছাকাছি এলাকায় ইসরায়েলি সেনাদের লক্ষ্য করে প্রায় ৭০টি হামলা চালিয়েছে। গত বছরে গাজার এ হাসপাতালটিতে তাণ্ডবের পর আবারও চলতি বছরের মার্চে সেখানে ফিরে আসে ইসরায়েলি সেনারা।

ইনস্টিটিউট ফর দ্য স্টাডি অব দ্য ওয়ার (আইএসডব্লিউ) এবং ক্রিটিকাল থ্রেট প্রজেক্ট (সিটিপি) তাদের সর্বশেষ গাজার যুদ্ধাবস্থার মূল্যায়নে জানিয়েছে, হামলার তীব্রতা এটাই ইঙ্গিত দিচ্ছে যে ফিলিস্তিনি যোদ্ধাদের যুদ্ধের সক্ষমতা এখনো অটুট রয়েছে। যদিও গাজায় ইসরায়েলের হামাসকে নির্মূলের প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক থিংক ট্যাংক জানিয়েছে, আল শিফা হাসপাতাল এলাকায় ইসরায়েলি সেনাদের বিরুদ্ধে ফিলিস্তিনের অন্তত ছয়টি যোদ্ধা দল সক্রিয় রয়েছে।

সবশেষ তথ্যে পর্যবেক্ষক সংস্থাটি জানিয়েছে, গত ৩ মার্চ গাজার জেইতুন এলাকা থেকে হামাসকে পুরোপুরিভাবে নির্মূলের দাবি করে। তবে বুধবার এ এলাকায় আবারও ফিরে এসেছে ইসরায়েলি সেনারা। তাদের ফিরে আসা এটাই প্রমাণ করে যে গাজার অন্যান্য এলাকার মতো সেখানেও নিজেদের কার্যক্রম পরিচালনা করছে হামাসের যোদ্ধারা।

উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় হামলা শুরু করে ইসরায়েল। দেশেটির এ হামলায় গাজায় নিহতের সংখ্যা ৩২ হাজার ছাড়িয়েছে। তাদের হামলার কারণে উপত্যকা এখন তাঁবুর বসতির জনপদে পরিণত হয়েছে।

ইসরায়েলের দাবি, গাজা থেকে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামীদের সংগঠন হামাসকে নির্মূল না করা পর্যন্ত তারা এ অভিযান চালিয়ে যাবে। অন্যদিকে অব্যাহত হামলার কারণে উপত্যকার ব্যপক আকারে খাদ্য ও মানবিক সংকট দেখা দিয়েছে।

বিদেশি সহায়তার ওপর নির্ভরশীল গাজাবাসীর ত্রাণই এখন একমাত্র ভরসা। গত অক্টোবরে যুদ্ধ শুরু হলে গাজায় পূর্ণ অবরোধ আরোপ করে ইসরায়েল। তাদের অবরোধের কারণে সেখানে পর্যাপ্ত ত্রাণসহায়তা ঢুকতে পারছিল না। ফলে গাজায় উপত্যকায় দুর্ভিক্ষের মতো পরিস্থিতি বিরাজ করছে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

পাবনায় বৃষ্টির জন্য বিশেষ নামাজ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বৃষ্টির জন্য নামাজ আদায়

হারিয়ে যাচ্ছে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীদের নিজস্ব সাদ্রি ভাষা

থাইল্যান্ডের ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর আহ্বান

পটুয়াখালীতে ইসতিসকার নামাজ আদায়

টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট / সিলেটে প্রস্তুত বাঘিনীরা

গুচ্ছ পরীক্ষা কেন্দ্র করে সদরঘাট এলাকায় তীব্র যানজট

আইপিএল / রানবন্যায় বিরক্ত সৌরভ, বোলারদের বাঁচানোর আকুতি অশ্বিনের

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নিয়ে নতুন নির্দেশনা

ময়মনসিংহে বাস-অটোরিকশা সংঘর্ষে নিহত ২

১০

বাংলাদেশকে গ্যাস চেম্বার বানিয়েছে সরকার : রিজভী

১১

ব্লিঙ্কেন বেইজিং ছাড়তেই তাইওয়ান ঘিরে চীনের মহড়া

১২

গাজা নীতির বিরোধিতা করে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্রের পদত্যাগ

১৩

জবিতে ভর্তিচ্ছুদের সেবায় জেলাভিত্তিক ছাত্র সংগঠনগুলো

১৪

আব্দুস সামাদ আজাদের মৃত্যুবার্ষিকীতে আ.লীগের শ্রদ্ধা

১৫

আগামী দুদিন কেমন থাকবে দেশের আবহাওয়া?

১৬

রাজধানীতে সাবু শপের ঠান্ডা পানি বিতরণ

১৭

তীব্র গরমের মধ্যেই সুখবর দিল আবহাওয়া অফিস

১৮

ঘণ্টায় হাজার গাছের সঙ্গে কোলাকুলি করে বিশ্ব রেকর্ড

১৯

বগুড়ায় বৃষ্টির জন্য ইসতিসকার নামাজ আদায়

২০
*/ ?>
X