রাফায় মসজিদে ইসরায়েলের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা
অবরুদ্ধ গাজার রাফায় একটি মসজিদে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি সেনারা। রাফা শহরের কেন্দ্রে অবস্থিত ওই মসজিদে একটি ড্রোন থেকে ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়। মঙ্গলবার (৭ মে) মসজিদটিতে ইসরায়েল ক্ষেপণাস্ত্র হামলা করেছে বলে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা। প্রতিবেদনে বলা হয়, মসজিদটি একটি বাজারের পাশে অবস্থিত। ইসরায়েলের সম্ভাব্য হামলার ভয়ে স্থানীয়রা তাদের নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কেনার জন্য সেখানে ছিলেন। ফলে সে সময় বাজারটিতে অনেক মানুষের ভিড় ছিল।  তবে মসজিদে চালানো হামলাটি ‘সতর্কতামূলক হামলা’ ছিল বলে সূত্রের বরাত দিয়ে জানিয়েছে আলজাজিরা। মূলত বড় ধরনের হামলার পূর্ব-সতর্কতা হিসেবে এ ধরনের হামলা চালানো হয়। প্রতিবেদনে বলা হয়, ইসরায়েলের এ হামলার পর সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।  এর আগে, মঙ্গলবার (৭ মে) সকালে রাফার মিশর সীমান্তবর্তী অঞ্চলে অবস্থান নেয় ইসরায়েলি সেনারা। সেখানে তারা ট্যাংকসহ অন্যান্য ভারী অস্ত্র নিয়ে প্রবেশ করে। এদিকে, রাফাহ ক্রসিংয়ে এক রাতেই ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের ২০ যোদ্ধাকে হত্যার দাবি করেছে ইসরায়েল সেনাবাহিনী।  বিবিসি এক প্রতিবেদনে জানায়, সোমবার (৬ মে) রাতে ইসরায়েলি ডিফেন্স ফোর্স (আইডিএফ) পূর্ব রাফায় হামলা চালায়। তাদের দাবি, রাফায় হামাসের ঘাঁটি আছে বলে গোয়েন্দা বার্তা পাওয়ার পরই সেখানে অভিযান চালায় আইডিএফ।  
০৭ মে, ২০২৪

কেন ইরানের ইস্ফাহান শহরকে টার্গেট করল ইসরায়েল?
নানা জল্পনা শেষে অবশেষে ইরানের ভূখণ্ডে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। দেশটির গুরুত্বপূর্ণ পরমাণু ও সামরিক ঘাঁটির শহরে এসব হামলা চালানো হয় বলে জানা গেছে। দেশটির ইস্ফাহানে শহরে এ হামলা চালানো হয়েছে। ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনও দেশটির ইস্ফাহানে বিস্ফোরণের খবর দিয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে তেহরান, ইস্ফাহাস, সিরাজসহ বেশ কয়েকটি এলাকায় বিমান চলাচল স্থগিত করা হয়েছে। এখন প্রশ্ন হলো ইস্ফাহান শহরেই কেন হামলা করা হলো? ইরানের ইস্ফাহান কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ শহর। শহরটিতে সামরিক গবেষণা ও উন্নয়নের সাইট এবং ঘাঁটিসহ বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা রয়েছে। এ ছাড়া নিকটবর্তী নাতাঞ্জ শহরে ইরানের পরমাণু সমৃদ্ধকরণ সাইটগুলোর অবস্থান রয়েছে। এ জন্যই হয়তো এই শহরটিতে হামলা করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এদিকে ইরানের মহাকাশ সংস্থার একজন মুখপাত্রের বরাতে কাতারি সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা জানায়, ইরানের আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থার মাধ্যমে বেশ কয়েকটি ছোট ড্রোন ভূপাতিত করা হয়েছে। তবে এ ব্যাপারে বিস্তারিত কোনো তথ্য দেওয়া হয়নি।  গত শনিবার রাতে ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে ইরানের ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পরই পাল্টা হামলার হুমকি দেয় নেহতানিয়াহু প্রশাসন। যদিও বৃহত্তর সংঘাত এড়াতে এমন আচরণ না করতে অনুরোধ করে পশ্চিমা দেশগুলো। শেষ পর্যন্ত সেই অনুরোধ রাখেনি তেলআবিব। নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক জ্যেষ্ঠ মার্কিন সিনেটরের বরাত দিয়ে মার্কিন সংবাদমাধ্যম এবিসি নিউজের এক প্রতিবেদনে ইরানের ভূখণ্ডে ইসরায়েলি ক্ষেপণাস্ত্র হামলার খবর দেওয়া হয়। এখন পর্যন্ত চলমান এ হামলায় ক্ষয়ক্ষতির কোনো খবর পাওয়া যায়নি। এমনকি পাল্টা এ হামলার দায়ও স্বীকার করেনি ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী। এদিকে শনিবার রাতে ঘনিষ্ঠ মিত্র ইসরায়েলে ইরানের হামলার প্রতিশোধ নিতে নানান ছক কষছে পশ্চিমাদের ভরকেন্দ্র আমেরিকা। এরই মধ্যে ইরানের বিরুদ্ধে নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপের কথা ভাবছে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন বলেছে- ইসরায়েলের ওপর ইরানের হামলার পর তারা এখন ইরানের বিরুদ্ধে আরও নিষেধাজ্ঞা আরোপের দিকে নজর দিচ্ছে। ইসরায়েল অবশ্য ইতোমধ্যেই তার মিত্রদের প্রতি তেহরানের ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচির বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপের আহ্বান জানিয়েছে। মূলত ইরানের এই ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচির ওপর জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ গত বছরের অক্টোবরে শেষ হয়েছে। এই নিষেধাজ্ঞাগুলো ছিল ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি সীমিত করার জন্য। তবে যুক্তরাষ্ট্র, ইইউ এবং যুক্তরাজ্যসহ বেশ কয়েকটি দেশ তাদের নিষেধাজ্ঞা বজায় রেখেছে এবং বিভিন্ন সময়ে নতুন নিষেধাজ্ঞাও যুক্ত করে।
১৯ এপ্রিল, ২০২৪

কিয়েভের সবচেয়ে বড় বিদ্যুৎকেন্দ্রে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে রাশিয়া
আবারও ইউক্রেনজুড়ে ব্যাপক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। রাজধানী কিয়েভসহ বিভিন্ন শহরে গুরুত্বপূর্ণ সব অবকাঠামো লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়েছে। ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ধ্বংস হয়ে গেছে ইউক্রেনের কিয়েভ অঞ্চলের সবচেয়ে বড় বিদ্যুৎকেন্দ্রটি। খারকিভ, জাপোরিঝিয়া, ওডেসা এবং লভিভের জালানি সুবিধাগুলোকেও লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে।  বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকালে ইউক্রেনজুড়ে এই ব্যাপক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় রাশিয়া। গত কয়েকদিন ধরেই ইউক্রেনের অবকাঠামো লক্ষ্য করে হামলা চালিয়ে যাচ্ছে রুশ বাহিনী।  বৃহস্পতিবার ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্রে কিয়েভের সবচেয়ে বড় বিদ্যুৎকেন্দ্র ট্রায়পিলসকা থার্মাল পাওয়ার প্ল্যান্টটি (টিপিপি) ধ্বংস হয়ে যায়। ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে কেন্দ্রটির টারবাইন ওয়ার্কশপে আগুন লাগে। ক্ষতিগ্রস্ত সাইটগুলো পুনরুদ্ধারের জন্য কাজ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ইউক্রেনের জ্বালানিমন্ত্রী হারমান হালুশচেঙ্কো।  বিদ্যুৎ সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান সেন্ট্রেনার্গোর অধীনে ছিল এ বিদ্যুৎকেন্দ্রটি। তারা এক বিবৃতিতে কেন্দ্রটি ধ্বংস হয়ে যাওয়ার তথ্য জানিয়েছে।  দুই বছরের বেশি সময় ধরে চলা এ যুদ্ধে একাধিকবার ইউক্রেনের বিদ্যুৎ অবকাঠামো লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। এর মাধ্যমে দেশটির বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থা ধ্বংস করে দেওয়ার পরিকল্পনা করছে রুশ বাহিনী। সঙ্গে বিদ্যুৎ সেবা বন্ধ করে দিয়ে ইউক্রেনের সাধারণ মানুষের মনোবলও ভেঙে দেওয়ার চেষ্টা করছে তারা। যদি বিদ্যুৎ বন্ধ হয়ে যায় তাহলে পানি, গ্যাসসহ অন্যান্য সেবা থেকেও বঞ্চিত হবেন সাধারণ ইউক্রেনীয়রা। যখন ইউক্রেনে তীব্র শীত চলছিল তখনো হামলা বন্ধ করে রুশ বাহিনী।  ২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে পূর্ণ মাত্রার সামরিক হামলা চালায় রাশিয়া। ওই সময় ইউরোপের সবচেয়ে বড় জাপোরিঝিয়া পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র দখল করে নেয় রুশ বাহিনী। এই কেন্দ্রটি থেকে ইউক্রেনের মোট চাহিদার ২০ শতাংশ মেটানো হতো।  
১১ এপ্রিল, ২০২৪

কিয়েভজুড়ে ব্যাপক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা
ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে আকাশপথে ব্যাপক হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন ব্যবহার করে হামলা হয়েছে পশ্চিম ইউক্রেনীয় অঞ্চল লভিভেও। ৫৭টি ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে রোববার এ হামলা চালায় রাশিয়া। অন্যদিকে হামলার সময় রাশিয়ার একটি ক্ষেপণাস্ত্র পোলিশ আকাশসীমা লঙ্ঘন করে। মস্কোয় কনসার্টে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার ঘটনার পর ইউক্রেনে বড় ধরনের এ হামলা চালাল রাশিয়া। এদিকে ক্রিমিয়ায় রুশ জাহাজে হামলার দাবি করেছে ইউক্রেন, যদিও এ খবরের সত্যতা এখনো যাচাই করা যায়নি। খবর বিবিসি ও সিএনএনের। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাশিয়া রোববার কিয়েভ এবং পশ্চিম ইউক্রেনীয় অঞ্চল লভিভসহ ইউক্রেনজুড়ে ৫৭টি ক্ষেপণাস্ত্র এবং ড্রোন ছুড়েছে বলে কর্মকর্তারা জানান। আর পোল্যান্ডের সশস্ত্র বাহিনী বলেছে, রাশিয়ার একটি ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য পোলিশ আকাশসীমা লঙ্ঘন করে। ইউক্রেনের বিমান বাহিনী টেলিগ্রাম মেসেজিং অ্যাপে জানিয়েছে, রাশিয়ার ২৯টি ক্ষেপণাস্ত্রের মধ্যে ১৮টি এবং ২৮টি আক্রমণকারী ড্রোনের মধ্যে ২৫টি ধ্বংস করেছে ইউক্রেনীয় বিমানবাহিনী। রয়টার্স বলছে, রোববার ভোরের দিকে বেশ কয়েকটি বিস্ফোরণে কিয়েভ কেঁপে ওঠে। কিয়েভের সামরিক প্রশাসনের প্রধান সের্হি পপকো টেলিগ্রামে বলেন, ইউক্রেনের আকাশ প্রতিরক্ষা বাহিনী রাজধানী এবং এর আশপাশে রাশিয়ার উৎক্ষেপণ করা প্রায় এক ডজন ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংস করে। তিনি আরও জানান, হামলায় সামান্য ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। মার্কিন রাষ্ট্রদূত ব্রিজেট ব্রিঙ্ক রোববার ভোরে সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্সে বলেন, ‘চলতি সপ্তাহে তৃতীয়বার ভোরের আগে সমস্ত ইউক্রেন বিমান হামলার সতর্কতার অধীনে রয়েছে এবং তাদের নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।’
২৫ মার্চ, ২০২৪

কিয়েভে রাতভর ক্ষেপণাস্ত্র হামলা রাশিয়ার
ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। বুধবার রাতের আঁধারে চালানো এই হামলায় আটজন আহত হয়েছেন। সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে কিয়েভে রাশিয়ার বড় পরিসরের হামলা এটিই প্রথম। এ ছাড়া ইউক্রেনের খারকিভ ও ডিনিপ্রোপেট্রোভস্ক অঞ্চলে রাশিয়ার পৃথক হামলায় অন্তত ৫ জন নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার পৃথক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স ও আনাদোলু। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাশিয়া বুধবার গভীর রাতে ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে। রাতভর চালানো এ হামলায় বড় ধরনের প্রাণহানির খবর পাওয়া না গেলেও আটজন আহত হয়েছেন এবং বেশ কিছু আবাসিক ভবন ও শিল্প স্থাপনা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে শহরের মেয়র ভিটালি ক্লিটসকো জানান। সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে কিয়েভে এটিই প্রথম বড় পরিসরের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা। টেলিগ্রাম মেসেজিং অ্যাপে ক্লিটসকো বলেন, ইউক্রেনের আকাশ প্রতিরক্ষা ইউনিটগুলো রুশ এই আক্রমণ প্রতিহত করছে। তিনি বলেন, শহরের বিভিন্ন স্থানে ক্ষেপণাস্ত্রের ধ্বংসাবশেষ পড়েছে। তিনি আরও বলেন, ‘শত্রুর আক্রমণের ফলে ইতোমধ্যেই আটজন আহত হয়েছেন।’ এ ছাড়া রাশিয়ার একটি ভূপাতিত ক্ষেপণাস্ত্রের ধ্বংসাবশেষ বেশ কয়েকটি আবাসিক ভবন, শিল্প স্থাপনা এবং একটি কিন্ডারগার্টেনে আঘাত করেছে বলেও জানান মেয়র ভিটালি ক্লিটসকো। জরুরি কর্মীরা রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে ছুটে গিয়ে বেশ কয়েকটি স্থানে আগুন নেভান বলে জানিয়েছেন তিনি। এদিকে ইউক্রেনে রাশিয়ার পৃথক হামলায় অন্তত ৫ জন নিহত হয়েছেন বলে পৃথক প্রতিবেদনে জানিয়েছে আনাদোলু। ডিনিপ্রোপেট্রোভস্ক ও খারকিভ অঞ্চলে রাশিয়ার হামলায় আরও ১৩ জন আহত হয়েছেন বলেও বুধবার জানিয়েছেন স্থানীয় কর্মকর্তারা। খারকিভের মেয়র ইহোর তেরেহভ টেলিগ্রামে বলেন, ‘উদ্ধারকারীরা ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে নিহত পঞ্চম ব্যক্তির মৃতদেহ বের করেছে। অনুসন্ধান ও উদ্ধার অভিযান চলছে।’ খারকিভের গভর্নর ওলেহ সিনিয়েহুবভ এক পৃথক বিবৃতিতে বলেন, আহতদের সংখ্যা বেড়ে সাতজনে দাঁড়িয়েছে, যাদের মধ্যে ছয়জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এর আগে আঞ্চলিক পুলিশের তদন্ত বিভাগের প্রধান সের্হি বলভিনভ বলেছিলেন, খারকিভ শহরের একটি আটতলা ভবন এবং একটি কারখানায় ক্ষেপণাস্ত্র হামলার কারণে হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। বোলভিনভ বলেন, রুশ ক্ষেপণাস্ত্র শহরের খোলদনোহিরস্কি এলাকার একটি কারখানায় আঘাত হানে। ইউক্রেনের স্টেট ইমার্জেন্সি সার্ভিস জানিয়েছে, হামলার জেরে সৃষ্ট আগুন ২ হাজার বর্গমিটারের বেশি এলাকা গ্রাস করেছে। পৃথকভাবে ডিনিপ্রোপেট্রোভস্কের গভর্নর সের্হি লাইসাক বলেন, ওই অঞ্চলের সিনেলনিকোভ এলাকায় রাতভর হামলায় ছয়জন আহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে পাঁচজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
২২ মার্চ, ২০২৪

ইরাকে মার্কিন ঘাঁটিতে ভয়াবহ ক্ষেপণাস্ত্র হামলা
ইরাকে অবস্থিত একটি মার্কিন বিমানঘাঁটিতে ভয়াবহ ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হয়েছে। হামলায় যুক্তরাষ্ট্রের বেশ কয়েকজন সেনা সদস্য আহত হয়েছেন। রোববার (২১ জানুয়ারি) মার্কিন সেনাবাহিনীর সেন্ট্রাল কমান্ডের (সেন্ডকম) বরাতে এসব তথ্য জানিয়েছে বিবিসি। সেন্ডকম বলছে, শনিবার সন্ধ্যায় পশ্চিম ইরাকের আল আসাদ বিমানঘাঁটি নিশানা করে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ও রকেট হামলা চালায় ইরানপন্থি মিলিশিয়া গোষ্ঠীদের একটি জোট। এই ঘাঁটিতে মার্কিন সেনারা থাকেন। হামলায় বেশ কয়েকজন মার্কিন সেনা আহত হয়েছেন। তবে ঠিক কতজন আহত হয়েছেন তা জানানো হয়নি। ইসলামিক প্রতিরেোধ নামে একটি জোট মার্কিন ঘাঁটিতে হামলার দায় স্বীকার করেছে। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক ওয়াশিংটন ইনস্টিটিউট ফর নিয়ার ইস্ট পলিসির তথ্য অনুযায়ী, এই জোটটি ২০২৩ সালের শেষের দিকে ইরাকে পরিচালিত ইরান সংশ্লিষ্ট বেশ কয়েকটি সশস্ত্র গোষ্ঠীর সমন্বয়ে গঠিত হয়। সম্প্রতি মার্কিন ঘাঁটিতে হওয়া বেশ কয়েকটি হামলার দায় স্বীকার করেছে জোটটি। এ ছাড়া গত কয়েক বছরে আল আসাদ ঘাঁটি বারবার হামলা শিকার হয়েছে। শনিবার ছোড়া অধিকাংশ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিহত করার দাবি করেছে মার্কিন সামরিক বাহিনী। তবে অধিকাংশ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিহত করা হলেও কয়েকটি আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থার চোখ ফাঁকি দিয়ে বিমানঘাঁটিতে আঘাত হানে। হামলায় কী পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, তা তদন্ত করা হচ্ছে। গত অক্টোবরে গাজা যুদ্ধ শুরু হলে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের প্রতি সমর্থন জানিয়ে ইরাক ও সিরিয়ায় মার্কিন সেনা ঘাঁটিতে একের পর এক হামলা করে চলেছে ইসলামিক প্রতিরোধ জোটের যোদ্ধারা। গাজায় ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরায়েলের নির্বিচারে হামলার জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে আংশিক দোষারূপ করে থাকে ইরানপন্থি এসব গোষ্ঠী।
২১ জানুয়ারি, ২০২৪

পাকিস্তানে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা উত্তেজনা
মধ্যপ্রাচ্যে চলমান উত্তেজনার মধ্যে হঠাৎ করে পাকিস্তানে এক জঙ্গিগোষ্ঠীর ঘাঁটিতে ক্ষেপণান্ত্র ও ড্রোন হামলা চালিয়েছে প্রতিবেশী দেশ ইরান। মঙ্গলবার পাকিস্তানের বেলুচিস্তানের পঞ্জগুর শহরে চালানো এ হামলায় দুই শিশু নিহত ও আরও তিনজন আহত হয়। নজিরবিহীন এ ঘটনা কেন্দ্র করে দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কে নতুন এক উত্তেজনা শুরু হয়েছে। এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে পাকিস্তান বলেছে, ইরানের এ ধরনের পদক্ষেপ গুরুতর পরিণতি ডেকে আনতে পারে। এরই মধ্যে এ ঘটনা কেন্দ্র করে ইসলামাবাদে নিযুক্ত তেহরানের রাষ্ট্রদূতকে বহিষ্কার করেছে পাকিস্তান। একই সঙ্গে তেহরান থেকে নিজ রাষ্ট্রদূতকেও প্রত্যাহার করে নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে দেশটি। এ ছাড়া দুই দেশের মধ্যে চলমান অথবা পরিকল্পিত উচ্চ পর্যায়ের সব ধরনের সফরও স্থগিত করেছে পাকিস্তান। খবর জিও নিউজের। ইরান জানিয়েছে, তারা পাকিস্তানে জঙ্গিগোষ্ঠী জইশ আল-আদলের দুটি ঘাঁটিকে লক্ষ্যস্থল করে হামলা চালিয়েছে। ইরাক ও সিরিয়ার পর পাকিস্তান তৃতীয় দেশ, গত কয়েকদিনের মধ্যে যেখানে হামলা চালালো ইরান। পাকিস্তানে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা প্রায় নজিরবিহীন ঘটনা। ইরানের আধা-স্বায়ত্তশাসিত বার্তা সংস্থা তাসনিম বলেছে, ‘পাকিস্তানে জইশ আল-দুলম (জইশ আল-আদল) সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর দুটি প্রধান ঘাঁটিকে বিশেষভাবে লক্ষ্যস্থল করা হয়েছে। ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোনের সম্মিলিত হামলার মাধ্যমে ঘাঁটি দুটি সফলভাবে ধ্বংস করা হয়েছে।’ উল্লেখ্য, বেলুচিস্তান প্রদেশে পাকিস্তান ও ইরানের মধ্যে ৯০০ কিলোমিটার দীর্ঘ সীমান্ত আছে। গত মাসে এই সীমান্তের কাছে এক জঙ্গি হামলায় ইরানের এক ডজনেরও বেশি পুলিশ কর্মকর্তা নিহত হয়। এ হামলার জন্য জইশ আল-আদলকে দায়ী করেছিল ইরান। ওই সময় ইরানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আহমদ ভাহিদি জানিয়েছিলেন, জঙ্গিরা পাকিস্তান থেকে এসে হামলাটি চালিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা তথ্য অনুযায়ী, ইরানের সিস্তান-বেলুচিস্তান প্রদেশে তৎপরতা চালানো ‘সবচেয়ে সক্রিয় ও প্রভাবশালী’ সুন্নি জঙ্গিগোষ্ঠী জইশ আল-আদল। গাজায় ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে চলমান যুদ্ধ নিয়ে মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে তীব্র উত্তেজনা বিরাজ করছে। মধ্যপ্রাচ্যের লেবানন, সিরিয়া, ইরাক ও ইয়েমেনে ইরানের সমর্থিত সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো ফিলিস্তিনিদের সমর্থনে এরই মধ্যে এই যুদ্ধে কমবেশি জড়িয়ে পড়েছে। ইরান সমর্থিত হিজবুল্লাহ লেবানন থেকে ইসরায়েলে হামলা চালাচ্ছে, সিরিয়া ও ইরাকে ইরান সমর্থিত গোষ্ঠীগুলো ইসরায়েলকে সমর্থন দেওয়া যুক্তরাষ্ট্রের সেনাদের ওপর হামলা চালাচ্ছে আর ইয়েমেনের হুতিরা লোহিত সাগরে ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্কিত বাণিজ্যিক জাহাজ থেকে শুরু করে পশ্চিমা যুদ্ধ জাহাজগুলোতে হামলা চালাচ্ছে। এসব হামলার জবাবে ইসরায়েল লেবানন ও সিরিয়ায় হামলা চালাচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটেন ইয়েমেনে হামলা চালাচ্ছে। এ পরিস্থিতিতে গাজার যুদ্ধ অঞ্চলজুড়ে ছড়িয়ে পড়ার মুখে প্রতিবেশী তিনটি দেশে হামলা চালালো খোদ ইরান। ইরানের রাষ্ট্রদূতকে বহিষ্কার: পাকিস্তানের বেলুচিস্তানে ইরানের বিমান হামলা নিয়ে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার মাঝে ইসলামাবাদে নিযুক্ত তেহরানের রাষ্ট্রদূতকে বহিষ্কার করেছে পাকিস্তান। একই সঙ্গে তেহরান থেকে নিজ রাষ্ট্রদূতকেও প্রত্যাহার করে নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে দেশটি। বুধবার ইসলামাবাদে এক সংবাদ সম্মেলনে পাকিস্তানের পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র মুমতাজ জাহরা বালোচ এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, ‘ইরান থেকে রাষ্ট্রদূতকে প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে পাকিস্তান। এ ছাড়া পাকিস্তানে নিযুক্ত ইরানের রাষ্ট্রদূত, যিনি বর্তমানে তেহরান সফর করছেন তিনি আপাতত আর ফিরে নাও আসতে পারেন।’ তেহরান আকাশসীমা লঙ্ঘন করায় দুই দেশের মাঝে চলমান অথবা পরিকল্পিত উচ্চ পর্যায়ের সব ধরনের সফরও স্থগিত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মুমতাজ জাহরা বালোচ।
১৮ জানুয়ারি, ২০২৪

পাকিস্তানে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা উত্তেজনা
মধ্যপ্রাচ্যে চলমান উত্তেজনার মধ্যে হঠাৎ করে পাকিস্তানে এক জঙ্গিগোষ্ঠীর ঘাঁটিতে ক্ষেপণান্ত্র ও ড্রোন হামলা চালিয়েছে প্রতিবেশী দেশ ইরান। মঙ্গলবার পাকিস্তানের বেলুচিস্তানের পঞ্জগুর শহরে চালানো এ হামলায় দুই শিশু নিহত ও আরও তিনজন আহত হয়। নজিরবিহীন এ ঘটনা কেন্দ্র করে দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কে নতুন এক উত্তেজনা শুরু হয়েছে। এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে পাকিস্তান বলেছে, ইরানের এ ধরনের পদক্ষেপ গুরুতর পরিণতি ডেকে আনতে পারে। এরই মধ্যে এ ঘটনা কেন্দ্র করে ইসলামাবাদে নিযুক্ত তেহরানের রাষ্ট্রদূতকে বহিষ্কার করেছে পাকিস্তান। একই সঙ্গে তেহরান থেকে নিজ রাষ্ট্রদূতকেও প্রত্যাহার করে নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে দেশটি। এ ছাড়া দুই দেশের মধ্যে চলমান অথবা পরিকল্পিত উচ্চ পর্যায়ের সব ধরনের সফরও স্থগিত করেছে পাকিস্তান। খবর জিও নিউজের। ইরান জানিয়েছে, তারা পাকিস্তানে জঙ্গিগোষ্ঠী জইশ আল-আদলের দুটি ঘাঁটিকে লক্ষ্যস্থল করে হামলা চালিয়েছে। ইরাক ও সিরিয়ার পর পাকিস্তান তৃতীয় দেশ, গত কয়েকদিনের মধ্যে যেখানে হামলা চালালো ইরান। পাকিস্তানে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা প্রায় নজিরবিহীন ঘটনা। ইরানের আধা-স্বায়ত্তশাসিত বার্তা সংস্থা তাসনিম বলেছে, ‘পাকিস্তানে জইশ আল-দুলম (জইশ আল-আদল) সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর দুটি প্রধান ঘাঁটিকে বিশেষভাবে লক্ষ্যস্থল করা হয়েছে। ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোনের সম্মিলিত হামলার মাধ্যমে ঘাঁটি দুটি সফলভাবে ধ্বংস করা হয়েছে।’ উল্লেখ্য, বেলুচিস্তান প্রদেশে পাকিস্তান ও ইরানের মধ্যে ৯০০ কিলোমিটার দীর্ঘ সীমান্ত আছে। গত মাসে এই সীমান্তের কাছে এক জঙ্গি হামলায় ইরানের এক ডজনেরও বেশি পুলিশ কর্মকর্তা নিহত হয়। এ হামলার জন্য জইশ আল-আদলকে দায়ী করেছিল ইরান। ওই সময় ইরানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আহমদ ভাহিদি জানিয়েছিলেন, জঙ্গিরা পাকিস্তান থেকে এসে হামলাটি চালিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা তথ্য অনুযায়ী, ইরানের সিস্তান-বেলুচিস্তান প্রদেশে তৎপরতা চালানো ‘সবচেয়ে সক্রিয় ও প্রভাবশালী’ সুন্নি জঙ্গিগোষ্ঠী জইশ আল-আদল। গাজায় ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে চলমান যুদ্ধ নিয়ে মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে তীব্র উত্তেজনা বিরাজ করছে। মধ্যপ্রাচ্যের লেবানন, সিরিয়া, ইরাক ও ইয়েমেনে ইরানের সমর্থিত সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো ফিলিস্তিনিদের সমর্থনে এরই মধ্যে এই যুদ্ধে কমবেশি জড়িয়ে পড়েছে। ইরান সমর্থিত হিজবুল্লাহ লেবানন থেকে ইসরায়েলে হামলা চালাচ্ছে, সিরিয়া ও ইরাকে ইরান সমর্থিত গোষ্ঠীগুলো ইসরায়েলকে সমর্থন দেওয়া যুক্তরাষ্ট্রের সেনাদের ওপর হামলা চালাচ্ছে আর ইয়েমেনের হুতিরা লোহিত সাগরে ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্কিত বাণিজ্যিক জাহাজ থেকে শুরু করে পশ্চিমা যুদ্ধ জাহাজগুলোতে হামলা চালাচ্ছে। এসব হামলার জবাবে ইসরায়েল লেবানন ও সিরিয়ায় হামলা চালাচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটেন ইয়েমেনে হামলা চালাচ্ছে। এ পরিস্থিতিতে গাজার যুদ্ধ অঞ্চলজুড়ে ছড়িয়ে পড়ার মুখে প্রতিবেশী তিনটি দেশে হামলা চালালো খোদ ইরান। ইরানের রাষ্ট্রদূতকে বহিষ্কার: পাকিস্তানের বেলুচিস্তানে ইরানের বিমান হামলা নিয়ে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার মাঝে ইসলামাবাদে নিযুক্ত তেহরানের রাষ্ট্রদূতকে বহিষ্কার করেছে পাকিস্তান। একই সঙ্গে তেহরান থেকে নিজ রাষ্ট্রদূতকেও প্রত্যাহার করে নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে দেশটি। বুধবার ইসলামাবাদে এক সংবাদ সম্মেলনে পাকিস্তানের পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র মুমতাজ জাহরা বালোচ এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, ‘ইরান থেকে রাষ্ট্রদূতকে প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে পাকিস্তান। এ ছাড়া পাকিস্তানে নিযুক্ত ইরানের রাষ্ট্রদূত, যিনি বর্তমানে তেহরান সফর করছেন তিনি আপাতত আর ফিরে নাও আসতে পারেন।’ তেহরান আকাশসীমা লঙ্ঘন করায় দুই দেশের মাঝে চলমান অথবা পরিকল্পিত উচ্চ পর্যায়ের সব ধরনের সফরও স্থগিত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মুমতাজ জাহরা বালোচ।
১৮ জানুয়ারি, ২০২৪

পাকিস্তানে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা উত্তেজনা
মধ্যপ্রাচ্যে চলমান উত্তেজনার মধ্যে হঠাৎ করে পাকিস্তানে এক জঙ্গিগোষ্ঠীর ঘাঁটিতে ক্ষেপণান্ত্র ও ড্রোন হামলা চালিয়েছে প্রতিবেশী দেশ ইরান। মঙ্গলবার পাকিস্তানের বেলুচিস্তানের পঞ্জগুর শহরে চালানো এ হামলায় দুই শিশু নিহত ও আরও তিনজন আহত হয়। নজিরবিহীন এ ঘটনা কেন্দ্র করে দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কে নতুন এক উত্তেজনা শুরু হয়েছে। এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে পাকিস্তান বলেছে, ইরানের এ ধরনের পদক্ষেপ গুরুতর পরিণতি ডেকে আনতে পারে। এরই মধ্যে এ ঘটনা কেন্দ্র করে ইসলামাবাদে নিযুক্ত তেহরানের রাষ্ট্রদূতকে বহিষ্কার করেছে পাকিস্তান। একই সঙ্গে তেহরান থেকে নিজ রাষ্ট্রদূতকেও প্রত্যাহার করে নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে দেশটি। এ ছাড়া দুই দেশের মধ্যে চলমান অথবা পরিকল্পিত উচ্চ পর্যায়ের সব ধরনের সফরও স্থগিত করেছে পাকিস্তান। খবর জিও নিউজের। ইরান জানিয়েছে, তারা পাকিস্তানে জঙ্গিগোষ্ঠী জইশ আল-আদলের দুটি ঘাঁটিকে লক্ষ্যস্থল করে হামলা চালিয়েছে। ইরাক ও সিরিয়ার পর পাকিস্তান তৃতীয় দেশ, গত কয়েকদিনের মধ্যে যেখানে হামলা চালালো ইরান। পাকিস্তানে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা প্রায় নজিরবিহীন ঘটনা। ইরানের আধা-স্বায়ত্তশাসিত বার্তা সংস্থা তাসনিম বলেছে, ‘পাকিস্তানে জইশ আল-দুলম (জইশ আল-আদল) সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর দুটি প্রধান ঘাঁটিকে বিশেষভাবে লক্ষ্যস্থল করা হয়েছে। ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোনের সম্মিলিত হামলার মাধ্যমে ঘাঁটি দুটি সফলভাবে ধ্বংস করা হয়েছে।’ উল্লেখ্য, বেলুচিস্তান প্রদেশে পাকিস্তান ও ইরানের মধ্যে ৯০০ কিলোমিটার দীর্ঘ সীমান্ত আছে। গত মাসে এই সীমান্তের কাছে এক জঙ্গি হামলায় ইরানের এক ডজনেরও বেশি পুলিশ কর্মকর্তা নিহত হয়। এ হামলার জন্য জইশ আল-আদলকে দায়ী করেছিল ইরান। ওই সময় ইরানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আহমদ ভাহিদি জানিয়েছিলেন, জঙ্গিরা পাকিস্তান থেকে এসে হামলাটি চালিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা তথ্য অনুযায়ী, ইরানের সিস্তান-বেলুচিস্তান প্রদেশে তৎপরতা চালানো ‘সবচেয়ে সক্রিয় ও প্রভাবশালী’ সুন্নি জঙ্গিগোষ্ঠী জইশ আল-আদল। গাজায় ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে চলমান যুদ্ধ নিয়ে মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে তীব্র উত্তেজনা বিরাজ করছে। মধ্যপ্রাচ্যের লেবানন, সিরিয়া, ইরাক ও ইয়েমেনে ইরানের সমর্থিত সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো ফিলিস্তিনিদের সমর্থনে এরই মধ্যে এই যুদ্ধে কমবেশি জড়িয়ে পড়েছে। ইরান সমর্থিত হিজবুল্লাহ লেবানন থেকে ইসরায়েলে হামলা চালাচ্ছে, সিরিয়া ও ইরাকে ইরান সমর্থিত গোষ্ঠীগুলো ইসরায়েলকে সমর্থন দেওয়া যুক্তরাষ্ট্রের সেনাদের ওপর হামলা চালাচ্ছে আর ইয়েমেনের হুতিরা লোহিত সাগরে ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্কিত বাণিজ্যিক জাহাজ থেকে শুরু করে পশ্চিমা যুদ্ধ জাহাজগুলোতে হামলা চালাচ্ছে। এসব হামলার জবাবে ইসরায়েল লেবানন ও সিরিয়ায় হামলা চালাচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটেন ইয়েমেনে হামলা চালাচ্ছে। এ পরিস্থিতিতে গাজার যুদ্ধ অঞ্চলজুড়ে ছড়িয়ে পড়ার মুখে প্রতিবেশী তিনটি দেশে হামলা চালালো খোদ ইরান। ইরানের রাষ্ট্রদূতকে বহিষ্কার: পাকিস্তানের বেলুচিস্তানে ইরানের বিমান হামলা নিয়ে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার মাঝে ইসলামাবাদে নিযুক্ত তেহরানের রাষ্ট্রদূতকে বহিষ্কার করেছে পাকিস্তান। একই সঙ্গে তেহরান থেকে নিজ রাষ্ট্রদূতকেও প্রত্যাহার করে নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে দেশটি। বুধবার ইসলামাবাদে এক সংবাদ সম্মেলনে পাকিস্তানের পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র মুমতাজ জাহরা বালোচ এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, ‘ইরান থেকে রাষ্ট্রদূতকে প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে পাকিস্তান। এ ছাড়া পাকিস্তানে নিযুক্ত ইরানের রাষ্ট্রদূত, যিনি বর্তমানে তেহরান সফর করছেন তিনি আপাতত আর ফিরে নাও আসতে পারেন।’ তেহরান আকাশসীমা লঙ্ঘন করায় দুই দেশের মাঝে চলমান অথবা পরিকল্পিত উচ্চ পর্যায়ের সব ধরনের সফরও স্থগিত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মুমতাজ জাহরা বালোচ।
১৮ জানুয়ারি, ২০২৪

এবার পাকিস্তানে ইরানের ভয়াবহ ক্ষেপণাস্ত্র হামলা
ইরাক ও সিরিয়ার পর এবার পাকিস্তানে ভয়াবহ ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের অন্যতম প্রভাবশালী দেশ ইরান। এই হামলায় পাকিস্তানের দুই শিশু নিহত এবং আরও তিনজন আহত হয়েছেন। বুধবার (১৭ জানুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানিয়েছে বিবিসি। গতকাল মঙ্গলবার দুই দেশের সীমান্তবর্তী বেলুচিস্তান প্রদেশের একটি গ্রামে এ ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হয়। ইরানের সামরিক বাহিনী সংশ্লিষ্ট একটি বার্তা সংস্থা জানিয়েছে, জঙ্গিগোষ্ঠী জইশ আল আদলের দুটি ঘাঁটি নিশানা করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা করেছে ইরান। এর আগে পাকিস্তানে ইরানের এ ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা দেখা যায়নি। তবে ইরানের এমন দাবি প্রত্যাখ্যান করে পাকিস্তান বলেছে, এটা অবৈধ। এ ধরনের হামলার জন্য ইরানকে ভয়াবহ পরিণতি ভোগ করতে হতে পারে। এ ঘটনার পর পর বেশ কড়া ভাষায় একটি বিবৃতি দিয়ে ইরান কর্তৃক আকাশসীমা লঙ্ঘনের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া তেহরানে ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বরাবর প্রতিবাদ জানিয়েছে ইসলামাবাদ। এর আগে গাজা যুদ্ধ ঘিরে উত্তেজনার মধ্যে ইরাক ও সিরিয়ায় ভয়াবহ হামলা চালায় ইরান। মূলত ইরাকের কুর্দি অঞ্চলে অবস্থিত ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদ এবং উত্তর সিরিয়ায় ইসলামিক স্টেটের (আইএস) স্থাপনা নিশানা করে হামলার দাবি করেছে ইরানি ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কর্পস বা আইআরজিসি। সোমবার (১৬ জানুয়ারি) গভীর রাতে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে এই হামলা চালায় আইআরজিসি। হামলার শিকার স্থাপনার মধ্যে ইরাকে অবস্থিত ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের সদর দপ্তর রয়েছে বলেও দাবি করেছে তেহরান। জানুয়ারির প্রথম দিকে ইরানের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় শহর কেরমানে বড় একটি সমাবেশে জোড়া বোমা হামলা হয়। ওই হামলায় নিহত হন অন্তত ৯৩ জন। দিনটি ছিল ইরানের সাবেক শীর্ষ সামরিক কমান্ডার জেনারেল কাসেম সোলেইমানির মৃত্যুর চতুর্থ বার্ষিকীর দিন। এই জোড়া হামলার প্রতিশোধ নিতে উত্তর সিরিয়ায় বেশ কয়েকটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ার কথা জানায় আইআরজিসি। এসব হামলায় ইসলামিক স্টেটসহ (আইএস) ইরানে সন্ত্রাসী কার্যক্রমের সঙ্গে জড়িত অপরাধীদের স্থাপনা ধসে গেছে।
১৭ জানুয়ারি, ২০২৪
X