বাসায় পৌঁছেছেন খালেদা জিয়া
হাসপাতালে জরুরি কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে মেডিকেল বোর্ডের সিদ্ধান্তে বাসায় ফিরেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। বৃহস্পতিবার (২ মে) রাত ৯টার দিকে গুলশানের বাসভবন ফিরোজায় পৌঁছান তিনি।  এর আগে, লিভার জটিলতায় মেডিকেল বোর্ডের সিদ্ধান্তে জরুরি কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য বুধবার (১ মে) দিবাগত রাতে খালেদা জিয়াকে বসুন্ধরার ওই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।  ডা. জাহিদ দুপুরে জানান, বুধবার রাতে ম্যাডামের বেশ কিছু জরুরি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়। তার রিপোর্টের ভিত্তিতে মেডিকেল বোর্ড তার চিকিৎসাসেবা দেন। জানা গেছে, শারীরিক অবস্থার উন্নতি হওয়ায় বৃহস্পতিবার দুপুরে খালেদা জিয়াকে সিসিইউ থেকে কেবিনে নেওয়া হয়। ৭৯ বছর বয়সী খালেদা জিয়া আর্থ্রাইটিস, হৃদ্‌রোগ, ফুসফুস, লিভার, কিডনি, ডায়াবেটিসসহ বিভিন্ন জটিল রোগে ভুগছেন। সর্বশেষ গত ৩১ মার্চ খালেদা জিয়াকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। সেখানে সিসিইউতে রেখে তাকে চিকিৎসা দেওয়া হয়। ওই দফায় তিনদিন হাসপাতালে থাকার পর গুলশানের বাসায় ফেরেন তিনি। গত বছরের অক্টোবরে মেডিকেল বোর্ড সংবাদ সম্মেলন করে জানায়, লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত খালেদা জিয়ার লিভারের চিকিৎসা দেশে সম্ভব নয়। দ্রুত বিদেশে উন্নত চিকিৎসা কেন্দ্রে নিয়ে তার লিভার প্রতিস্থাপন জরুরি হয়ে পড়েছে। এরপর সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীকে আবারও বিদেশ নিয়ে যাওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয় তার পরিবারের সদস্যদের পক্ষ থেকে। তবে আইনে সে সুযোগ না থাকায় এ অনুমোদন দেয়নি সরকার। এ চেষ্টার মধ্যে মেডিকেল বোর্ডের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসার পাশাপাশি বিদেশ থেকে চিকিৎসক এনেও তার চিকিৎসা করানো হয়। দুর্নীতির দুই মামলায় সাজাপ্রাপ্ত বিএনপির চেয়ারপারসন ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি কারাবন্দি হন। দুই বছরের বেশি সময় কারাবন্দি ছিলেন তিনি। ওই সময়ে তিনি নানা রোগে আক্রান্ত হয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে ভর্তি হন। জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় সাজাপ্রাপ্ত খালেদা জিয়ার সাজা ২০২০ সালের ২৫ মার্চ সরকার নির্বাহী আদেশে স্থগিত করে শর্ত সাপেক্ষে তাকে সাময়িক মুক্তি দিয়েছিল। তখন থেকে ছয় মাস পরপর তার সাজা স্থগিত করে মুক্তির মেয়াদ বাড়াচ্ছে সরকার।
০২ মে, ২০২৪

হাসপাতালে ভর্তি হলেন খালেদা জিয়া
মেডিকেল বোর্ডের পরামর্শে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে বসুন্ধরার এভারকেয়ার  হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।  বুধবার (১ মে) রাত সাড়ে ১০টা থেকে রাত  সাড়ে ১১টা পর্যন্ত সেখানে অনুষ্ঠিত মেডিকেল বোর্ডের বৈঠকে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করানোর এই সিদ্ধান্ত হয়। খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. জাহিদ হোসেনের বরাত দিয়ে বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান এ তথ্য জানিয়েছেন। জানা গেছে, খালেদা জিয়াকে ২-১ দিন হাসপাতালে থাকতে হবে। এর আগে মেডিকেল বোর্ডের সিদ্ধান্তক্রমে শারীরিক জরুরি কিছু পরীক্ষার জন্য সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায় গুলশানের বাসভবন ফিরোজা থেকে রওনা হয়ে সন্ধ্যা সাতটার অল্প সময় পর হাসপাতালে পৌঁছান বেগম জিয়া। সর্বশেষ গত ৩১ মার্চ বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিলো। দুইদিন সিসিইউতে চিকিৎসাধীন থাকার পর গুলশানের বাসা ‘ফিরোজা‘য় ফেরেন। অধ্যাপক ডা. শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের নিয়ে গঠিত একটি মেডিকেল বোর্ড খালেদা জিয়ার চিকিৎসা দিচ্ছেন গত কয়েক বছর ধরে। এজন্য তাকে বিভিন্ন সময়ে এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে হয়েছে। ৭৮ বছর বয়সী খালেদা জিয়া লিভার সিরোসিস, আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, ফুসফুস, হার্টসহ নানা রোগে ভুগছেন। দুর্নীতির দুই মামলায় সাজাপ্রাপ্ত বিএনপির চেয়ারপারসন ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি কারাবন্দি হন। দুই বছরের বেশি সময় কারাবন্দি ছিলেন তিনি। ওই সময়ে তিনি নানা রোগে আক্রান্ত হয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে ভর্তি হন। জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় সাজাপ্রাপ্ত খালেদা জিয়ার সাজা ২০২০ সালের ২৫ মার্চ সরকার নির্বাহী আদেশে স্থগিত করে শর্ত সাপেক্ষে তাকে সাময়িক  মুক্তি দিয়েছিল। তখন থেকে ছয় মাস পরপর তাঁর সাজা স্থগিত করে মুক্তির মেয়াদ বাড়াচ্ছে সরকার।
০২ মে, ২০২৪

হাসপাতালে খালেদা জিয়া
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। রোববার (৩১ মার্চ) মধ্যরাতে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়।  বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।  এর আগে, শনিবার রাতে গুলশানে খালেদা জিয়ার বাসায় যান মেডিকেল বোর্ডের চিকিৎসকরা। সে সময় বিএনপি চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইংয়ের সদস্য শামসুদ্দিন দিদার জানান, খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের জরুরি কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও চিকিৎসার জন্য কিছুক্ষণের মধ্যে তাকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হবে। উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়া কারাগারে যাওয়ার পর থেকে তার অসুস্থতা বাড়া-কমার মধ্যে আছে। করোনা মহামারির সময় ২০২০ সালের ২৫ মার্চ সরকারের নির্বাহী আদেশে শর্তসাপেক্ষে মুক্তি পেয়ে বাসায় ফেরেন তিনি। এরপর বেশ কয়েকবার হাসপাতালে যান। সবশেষ গত বছরের মাঝামাঝি সময়ে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটে। এরপর থেকেই বেশ কয়েকবার হাসপাতালে থেকে চিকিৎসা নিয়েছেন তিনি।  সবশেষ, গত ১৩ মার্চ স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে নেওয়া হয়েছিল খালেদা জিয়াকে। পর দিন ১৪ মার্চ রাতে তাকে হাসপাতাল থেকে বাসায় নিয়ে আসা হয়। 
৩১ মার্চ, ২০২৪

হাসপাতালের পথে খালেদা জিয়া
মেডিকেল বোর্ডের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী শারীরিক জরুরি পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে হাসপাতালে নেওয়া হচ্ছে। বুধবার (১৩ মার্চ) সন্ধ্যায় গুলশান-২ নম্বরের ৭৯ নম্বর সড়কের এক নম্বর বাসা ফিরোজা থেকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালের উদ্দেশে ছেড়ে যায় খালেদা জিয়াকে বহনকারী গাড়িটি। খালেদা জিয়ার প্রেস উইংয়ের কর্মকর্তা শামসুদ্দিন দিদার বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ডের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী শারীরিক কিছু জরুরি পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য হাসপাতালে যাচ্ছেন তিনি। সন্ধ্যা ৭টা ২৫ মিনিটে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালের উদ্দেশে রওনা হয়েছেন খালেদা জিয়া।  বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন এবং বিএনপি চেয়ারপারসনের একান্ত সচিব এ বি এম আব্দুস সাত্তার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। ৮ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার বিকেলে এভারকেয়ার হাসপাতালে যান খালেদা জিয়া। স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে ওই দিন রাত ১১টা ৩৮ মিনিট হাসপাতাল থেকে বাসার উদ্দেশে রওনা করেন তিনি।  এর আগে ২০২৩ সালের ৯ আগস্ট গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় খালেদা জিয়াকে এভারকেয়ারে ভর্তি করা হয়েছিল। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে একটি মেডিকেল বোর্ডের অধীনে তিনি চিকিৎসাধীন ছিলেন। দীর্ঘ ৫ মাস চিকিৎসা নেওয়ার পর গত ১১ জানুয়ারি গুলশানের ভাড়া বাসা ‘ফিরোজা’য় ফেরেন খালেদা জিয়া।  প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি দুর্নীতির মামলায় আদালত সাজা দিলে ওই দিনই খালেদা জিয়া কারাবন্দি হন। করোনা মহামারি শুরুর পর পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এবং স্বাস্থ্যঝুঁকি বিবেচনায় ২০২০ সালের ২৫ মার্চ তাকে নির্বাহী আদেশে শর্তসাপেক্ষে ছয় মাসের সাময়িক মুক্তি দেয় সরকার। এরপর থেকে তার পরিবারের আবেদনে দণ্ডাদেশ স্থগিতের মেয়াদ ছয় মাস করে বাড়ানো হচ্ছে। চিকিৎসার জন্য পরিবারের সদস্যরা তাকে দেশের বাইরে নিতে চাইলেও সে অনুমতি মেলেনি। খালেদা জিয়া বন্দি হওয়ার পর তার মুক্তির দাবিতে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে আসছে বিএনপিসহ বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন। 
১৩ মার্চ, ২০২৪

কেমন আছেন খালেদা জিয়া
রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার লিভারে ‘টিপস’ সফলভাবে সম্পন্ন হওয়ার পর তিনি সিসিইউতে ‘মোটামুটি’ আছেন বলে জানিয়েছেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।  আজ শুক্রবার সকালে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বিএনপি মহাসচিব এ কথা জানান। তিনি বলেন, ম্যাডামের অবস্থা….. আপনারা সবাই জানেন যে, বিদেশ থেকে তিন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক এসেছেন। তারা গতকাল সন্ধ্যায় অত্যন্ত সফলভাবে তারা যে কাজের জন্য এসছিলেন একটা প্রসিডিউর সেই প্রসিডিউর তারা করতে পেরেছেন। ম্যাডাম এখনো সিসিইউতে আছেন এবং ডাক্তাররা তার সঙ্গে কথা বলছেন। যে পোস্ট অপারেশন… এখন পর্যন্ত মোটামুটি আছেন। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার যকৃতে ‘ট্র্যান্সজাগুলার ইন্ট্রাহেপেটিক পোরটোসিসটেমিক শান্ট (টিপস)’ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে দুই রক্তনালির মধ্যে একটি নতুন সংযোগ তৈরি করে দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্র থেকে আসা বিশেষ চিকিৎসকরা। বুধবার রাতে যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্বখ্যাত জনস হপকিনস ইউনিভার্সিটির স্কুল অব মেডিসিনের লিভার ও কিডনি ট্রান্সপ্লান্ট বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক হামিদ রব, ইন্টারভেনশনাল অনকোলজি বিভাগের অধ্যাপক ক্রিসটোস স্যাভাস জর্জিয়াডেস এবং হেপাটোলজি বিভাগের অধ্যাপক জেমস পিটার হ্যামিলটন ঢাকায় আসেন। বিএনপি চেয়ারপারসন বসুন্ধরার ওই হাসপাতালে ভর্তি আছেন গত ৯ আগস্ট থেকে। গত আড়াই মাসে তাকে কয়েক দফা তাকে সিসিইউতে নিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে ১৯ সদস্যের একটি মেডিকেল বোর্ডের তত্ত্বাবধানে তার চিকিৎসা চলছে। ৭৮ বয়সী সাবেক প্রধানমন্ত্রী আথ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, লিভার, কিডনি, ফুসফুস ও হদরোগে ভুগছেন দীর্ঘদিন ধরে। তবে এখন লিভার সিরোসিসের অনেক জটিলতা আছে জানিয়ে চিকিৎসকরা বলেছেন, পেটে রক্তক্ষরণ হচ্ছে। বারবার বুকে পানি চলে আসছে। তার অপসারণ করতে বারবার আইসিইউতে নিতে হয়েছিল। এই ‘টিপস’ এর পরে রক্তক্ষরণ ও পানি জমার উপশম হবে। সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়,আবদুল মঈন খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সেলিমা রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান মীর মোহাম্মদ নাছির, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুস সালাম, সিনিয়র মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
২৭ অক্টোবর, ২০২৩

আগামী দিনের প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া : দুদু
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন, আগামী দিনের প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। এটা একজন অন্ধ যেমন জানে, তেমনি বিবেকহীন মানুষও জানে। আগামী দিনে যে সরকার ক্ষমতায় আসবে সেই সরকারের প্রধানমন্ত্রী হবেন খালেদা জিয়া। আজ সোমবার (২ অক্টোবর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে সুচিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর দাবিতে জিয়াউর রহমান সমাজকল্যাণ পরিষদের উদ্যোগে এক মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন। শামসুজ্জামান দুদু বলেন, বেগম খালেদা জিয়া জীবনমৃত্যুর সন্ধিক্ষণে, এটা প্রধানমন্ত্রী জানেন। খালেদা জিয়া বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের সহধর্মিণী, তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী, যিনি তার জীবনের কোনো নির্বাচনে হারেননি। পরিবার থেকে তার সুচিকিৎসার জন্য আবেদন করা হয়েছে। এটাই প্রথম আবেদন না, এর আগেও করা হয়েছিল। আমরা মনে করেছিলাম, সুচিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর কোনো ব্যবস্থা করবে সরকার। কিন্তু আইনমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কথা বলার আগে যুক্তরাষ্ট্রে ভয়েস অব আমেরিকার সাক্ষাৎকারে প্রধানমন্ত্রী সরাসরি নাকোচ করেছেন। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী তার দপ্তরের বিভিন্ন পর্যায়ে আলোচনা করতে পারতেন। তিনি যেভাবে না করেছেন- তাতে মনে হচ্ছে, তিনি কোথায় যেন আতঙ্কিত! তিনি যেন হতাশ। তিনি বুঝতে পেরেছেন আর বেশিদিন ক্ষমতায় থাকতে পারবেন না। সেই বিবেচনায় তিনি একটি আপসমুখী পদক্ষেপ নিতে পারতেন। কারণ, আগামী দিনের প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। এটা একজন অন্ধ যেমন জানে, তেমনি বিবেকহীন মানুষও জানে। আগামী দিনে যে সরকার ক্ষমতায় আসবে সেই সরকারের প্রধানমন্ত্রী হবেন খালেদা জিয়া। বিএনপির এই নেতা বলেন, এই সময়ের ব্যর্থ সরকার হচ্ছে আওয়ামী লীগ। তারা বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না, বেকারদের চাকরি দিতে পারছে না। কোনো জায়গায় আশার আলো নেই, চতুর্দিকেই অন্ধকার। সুতরাং এই সরকারকে বিদায় করা ছাড়া বাংলাদেশকে রক্ষা করা যাবে না, গণতন্ত্র মুক্ত হবে না, বাংলাদেশে ভোটের অধিকার ফিরে আসবে না। এই সরকার দানব সরকার। তারা পুলিশ প্রশাসনের কাঁধে ভর করে ক্ষমতায় টিকে আছে। দুদু বলেন, এটা অক্টোবর মাস। আমি আগেও বলেছি, এখনও বলছি- অক্টোবরের মধ্যেই এই সরকারের বিদায় হবে। দেশে গণতন্ত্র, ভোটের অধিকার ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠিত হবে। এতে আরও বক্তব্য দেন- শ্রমিক দলের সভাপতি আনোয়ার হোসেন, মুক্তিযোদ্ধা দলের সাংগঠনিক সম্পাদক মিয়া মোহাম্মদ আনোয়ার, দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলনের সভাপতি কে এম রফিকুল ইসলাম রিপন প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।
০২ অক্টোবর, ২০২৩

খালেদা জিয়া এখন কোনো নির্দেশনা দেন না : ফখরুল
এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া এখন দল পরিচালনায় কোনো নির্দেশনা দেন না বলে জানিয়েছেন মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। শুক্রবার (১৫ সেপ্টেম্বর) সকালে রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান। গত ১৩ সেপ্টেম্বর যুগপৎ আন্দোলনের শরিক গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা এভারকেয়ার হাসপাতালে খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করেন। এরপর গণতন্ত্র মঞ্চের নেতা নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না সাংবাদিকদের বলেন, সরকারের নির্বাচনী ফাঁদে পা না দিয়ে বেগম খালেদা জিয়া একদফার আন্দোলন চালিয়ে নিতে বলেছেন। এ বিষযে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে বিএনপি মহাসচিব বলেন, 'কে কী বলেছেন জানি না। আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আছেন, স্ট্যান্ডিং কমিটি আছে- সেভাবেই দলের সিদ্ধান্ত হয়। চেয়ারপারসন অসুস্থ। তিনি কোনো দলীয় নির্দেশনা দেন না। তাকে নিয়ে এসব কাজ কইরেন না।’ এ সময় মির্জা ফখরুল বলেন, সরকার পতনের একদফা দাবিতে আগামী সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর) ধারাবাহিক কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।  সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুস সালাম, চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শামছুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ, সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, কেন্দ্রীয় নেতা আবুল কালাম আজাদ সিদ্দিকী, সাবেক স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা কাজী ইফতেখায়রুজ্জামান শিমুল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৩

খালেদা জিয়া আবার প্রধানমন্ত্রী হবেন, প্রত্যাশা সমমনা জোটের
জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটের সমন্বয়ক ও এনপিপির চেয়ারম্যান ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ বলেছেন, নির্দলীয়-নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন হলে বিএনপি ও যুগপতের শরিকরা জনগণের ভোটে বিজয়ী হয়ে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় যাবে। তখন বেগম খালেদা জিয়া আবার দেশের প্রধানমন্ত্রী হবেন। আর ওই নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সর্বোচ্চ ২০ থেকে ২৫টি সিট পেতে পারে। শুক্রবার (১৮ আগস্ট) বিকেলে রাজধানীর পুরানা পল্টন মোড় সংলগ্ন আলরাজি কমপ্লেক্সের সামনে একদফার যুগপৎ আন্দোলনের অংশ হিসেবে জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটের উদ্যোগে গণমিছিলপূর্ব সংক্ষিপ্ত সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে এমন প্রত্যাশার কথা জানান ড. ফরহাদ। জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটের এই সমন্বয়ক বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার আবারও ২০১৪ ও ২০১৮ সালের মতো প্রহসনের নির্বাচনের পাঁয়তারা করছে। কিন্তু জনগণ জেগে উঠেছে, তারা আর এ ধরনের কোনো নির্বাচন হতে দেবে না। নির্বাচন হতে হবে নির্দলীয়-নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে। প্রয়োজনে জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে নির্বাচন হতে হবে। ফরিদুজ্জামান ফরহাদ বলেন, যতক্ষণ পর্যন্ত না সরকারের পদত্যাগ ও  নির্বাচনকালীন নির্দলীয় সরকারের দাবি আদায় না হবে, ততক্ষণ পর্যন্ত আন্দোলন চলবে। একদফার আন্দোলন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, জনগণ ইতোমধ্যে এই আন্দোলনে সম্পৃক্ত হয়েছে। ফলে নয়-ছয় করে বেশিদিন ক্ষমতায় থাকা যাবে না। সরকারের পতন অতি সন্নিকটে। এনপিপির চেয়ারম্যান বলেন, দফা এক দাবি এক শেখ হাসিনা সরকারের পদত্যাগ। অবিলম্বে এই সরকারকে পদত্যাগ এবং নির্বাচন কমিশন ও সংসদ বিলুপ্ত করে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা বিশ্ব বাংলাদেশে সুষ্ঠু নির্বাচন দেখতে চায়। এনপিপির মহাসচিব মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তফার সঞ্চালনায় গণমিছিলপূর্ব সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন জাগপার সভাপতি খন্দকার লুৎফর রহমান, গণদলের চেয়ারম্যান এটিএম গোলাম মওলা চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান শাহ আলম, বাংলাদেশ মাইনরিটি জনতা পার্টির চেয়ারম্যান সুকৃতি কুমার মন্ডল, এনপিপির প্রেসিডিয়াম সদস্য নবী চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান মো. ফখরুজ্জামান প্রমুখ। জাগপার সভাপতি খন্দকার লুৎফর রহমান বলেন, আজকে গণতন্ত্র ধ্বংস করে বিএনপিসহ বিরোধী দলের লাখ লাখ নেতাকর্মীকে মিথ্যা মামলায় জেলে পাঠানো হয়েছে। কিন্তু হামলা-মামলা, অত্যাচার-নির্যাতন করে লাভ হবে না। এই সরকারকে যেতেই হবে। কারণ, এদের পতনের জন্য সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে মাঠে নেমেছে।  সমাবেশ শেষে ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদের নেতৃত্বে গণমিছিল শুরু হয়। মিছিলটি পল্টন মোড়, জাতীয় প্রেস ক্লাব হয়ে পুনরায় আলরাজি কমপ্লেক্সের সামনে এসে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মধ্য দিয়ে শেষ হয়।
১৮ আগস্ট, ২০২৩
X