বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন, আগামী দিনের প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। এটা একজন অন্ধ যেমন জানে, তেমনি বিবেকহীন মানুষও জানে। আগামী দিনে যে সরকার ক্ষমতায় আসবে সেই সরকারের প্রধানমন্ত্রী হবেন খালেদা জিয়া।
আজ সোমবার (২ অক্টোবর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে সুচিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর দাবিতে জিয়াউর রহমান সমাজকল্যাণ পরিষদের উদ্যোগে এক মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন।
শামসুজ্জামান দুদু বলেন, বেগম খালেদা জিয়া জীবনমৃত্যুর সন্ধিক্ষণে, এটা প্রধানমন্ত্রী জানেন। খালেদা জিয়া বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের সহধর্মিণী, তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী, যিনি তার জীবনের কোনো নির্বাচনে হারেননি। পরিবার থেকে তার সুচিকিৎসার জন্য আবেদন করা হয়েছে। এটাই প্রথম আবেদন না, এর আগেও করা হয়েছিল। আমরা মনে করেছিলাম, সুচিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর কোনো ব্যবস্থা করবে সরকার। কিন্তু আইনমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কথা বলার আগে যুক্তরাষ্ট্রে ভয়েস অব আমেরিকার সাক্ষাৎকারে প্রধানমন্ত্রী সরাসরি নাকোচ করেছেন।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী তার দপ্তরের বিভিন্ন পর্যায়ে আলোচনা করতে পারতেন। তিনি যেভাবে না করেছেন- তাতে মনে হচ্ছে, তিনি কোথায় যেন আতঙ্কিত! তিনি যেন হতাশ। তিনি বুঝতে পেরেছেন আর বেশিদিন ক্ষমতায় থাকতে পারবেন না। সেই বিবেচনায় তিনি একটি আপসমুখী পদক্ষেপ নিতে পারতেন। কারণ, আগামী দিনের প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। এটা একজন অন্ধ যেমন জানে, তেমনি বিবেকহীন মানুষও জানে। আগামী দিনে যে সরকার ক্ষমতায় আসবে সেই সরকারের প্রধানমন্ত্রী হবেন খালেদা জিয়া।
বিএনপির এই নেতা বলেন, এই সময়ের ব্যর্থ সরকার হচ্ছে আওয়ামী লীগ। তারা বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না, বেকারদের চাকরি দিতে পারছে না। কোনো জায়গায় আশার আলো নেই, চতুর্দিকেই অন্ধকার। সুতরাং এই সরকারকে বিদায় করা ছাড়া বাংলাদেশকে রক্ষা করা যাবে না, গণতন্ত্র মুক্ত হবে না, বাংলাদেশে ভোটের অধিকার ফিরে আসবে না। এই সরকার দানব সরকার। তারা পুলিশ প্রশাসনের কাঁধে ভর করে ক্ষমতায় টিকে আছে।
দুদু বলেন, এটা অক্টোবর মাস। আমি আগেও বলেছি, এখনও বলছি- অক্টোবরের মধ্যেই এই সরকারের বিদায় হবে। দেশে গণতন্ত্র, ভোটের অধিকার ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠিত হবে।
এতে আরও বক্তব্য দেন- শ্রমিক দলের সভাপতি আনোয়ার হোসেন, মুক্তিযোদ্ধা দলের সাংগঠনিক সম্পাদক মিয়া মোহাম্মদ আনোয়ার, দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলনের সভাপতি কে এম রফিকুল ইসলাম রিপন প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।
মন্তব্য করুন