গণতন্ত্র সুসংহত করায় সবার অংশগ্রহণ জরুরি : স্থানীয় সরকার মন্ত্রী 
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, পৃথিবীতে নানা ধরনের শাসন ব্যবস্থা চালু রয়েছে। রাজতন্ত্র, সমাজতন্ত্রসহ নানা পদ্ধতির মধ্যে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাই আজকের পৃথিবীর সবচেয়ে উত্তম শাসন পদ্ধতি বলে বিবেচিত। এই গণতন্ত্রকে সুসংহত করতে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় সবার অংশগ্রহণ করা জরুরি। অংশগ্রহণমূলক গণতন্ত্রই প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হয়ে ওঠে।  তিনি রোববার (৫ মে) এফডিসিতে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি আয়োজিত পাবলিক পার্লামেন্ট বিতর্ক প্রতিযোগিতা শীর্ষক নির্দলীয় স্থানীয় সরকার নির্বাচন নিয়ে ছায়া সংসদে এক বিতর্ক প্রতিযোগিতায় প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দিয়ে তিনি এ কথা বলেন।  বিতর্কের বিষয় ছিল নির্দলীয় স্থানীয় সরকার নির্বাচন তৃণমূল পর্যায়ে গণতন্ত্রকে সুসংহত করবে। সরকারি দল হিসেবে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ পক্ষে এবং মানারাত ইন্টারন্যাশনাল বিশ্ববিদ্যালয় বিরোধী দল হয়ে বিপক্ষে অংশগ্রহণ করে। দুদলের বিতর্ক শেষে সরকারি দল হিসাবে ঢাকা মেডিকেল কলেজ কে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। স্থানীয় সরকার মন্ত্রী তাঁর বক্তব্যে গণতন্ত্রের অনুষঙ্গ হিসাবে জবাবদিহিতার কথা উল্লেখ করে বলেন, বাকস্বাধীনতা গণতন্ত্রের গুরুত্বপূর্ণ উপাদান কিন্তু সেই বাকস্বাধীনতারও একটি সীমা রয়েছে। এমনকি আমেরিকাতেও বাক স্বাধীনতা অবাধ নয়।  তাজুল ইসলাম এ সময় নির্দলীয় স্থানীয় সরকার নির্বাচনের ভালো এবং মন্দ উভয় দিক রয়েছে উল্লেখ করে বলেন, এতে একই দলের বিভিন্ন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সুযোগ পাবে কিন্তু সেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা যাতে সংঘাতে রূপ না নেয় সে বিষয়ে আমাদেরকে সতর্ক থাকতে হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশে গণতন্ত্র সুসংগত হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, দেশ আজ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ, শতভাগ বিদ্যুতায়ন এবং অর্থনৈতিক বিভিন্ন সূচকে অগ্রগতি সম্ভব হয়েছে কারণ দেশে গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা রয়েছে।  মন্ত্রী এ সময় গণতন্ত্রকে এগিয়ে নিতে সকল দলের দায়িত্ব রয়েছে উল্লেখ করে বলেন, নির্বাচন প্রক্রিয়ার বাইরে থেকে গণতন্ত্রকে কখনো শক্তিশালী করা যায় না। মন্ত্রী এ সময় ১৯৭০ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নির্বাচনে অংশগ্রহণের কথা উল্লেখ করে বলেন, সে সময় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে অনেকেই নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করার পরামর্শ দিলেও তিনি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে জয়লাভ করেন। জাতির পিতা নির্বাচনী প্রক্রিয়ার মধ্যে ছিলেন বলেই স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয় হয়। 
০৫ মে, ২০২৪

শেখ হাসিনা বাংলাদেশে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা করেছেন : ড. সেলিম মাহমুদ 
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক এবং সংসদ সদস্য ড. সেলিম মাহমুদ বলেছেন, বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা বাংলাদেশে দীর্ঘ গণতন্ত্রিক সংগ্রামে নেতৃত্ব দিয়ে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা করেছেন। দেশের ধ্বংস হওয়া নির্বাচন ব্যবস্থার আমূল সংস্কার করে তিনি মানুষের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছেন। আজ বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষ ভোট দিতে পারছে। গণতন্ত্রিক ব্যবস্থার প্রতিটি সুফল তিনি মানুষের কাছে পৌঁছে দিয়েছেন।  ভারতের ক্ষমতাসীন দল বিজেপির আমন্ত্রণে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি হিসেবে ভারতের ছত্রিশগড় প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী ভিষ্ণু দেও সাই, উপ মুখ্যমন্ত্রী অরুণ‌ সাও, এমপি, এমএলএ এবং বিজেপির সিনিয়র নেতৃবৃন্দের সঙ্গে মতবিনিময়কালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক ড. সেলিম মাহমুদ এসব কথা বলেন।  ড. সেলিম মাহমুদ আরও বলেন, বাংলাদেশ ও ভারতের সম্পর্ক অকৃত্রিম বন্ধুত্ব, বিশ্বাস, ভালোবাসা ও আবেগের বন্ধনে আবদ্ধ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশে বিস্ময়কর উন্নয়ন ও সমৃদ্ধি এনে বিশ্বকে অবাক করেছেন। অন্যদিকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদির নেতৃত্বে গত ১০ বছরে ভারতে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। দুই দেশের মানুষের ভাগ্যের ব্যাপক পরিবর্তন হয়েছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশ ও ভারত ভবিষ্যত বিশ্বে নানা ক্ষেত্রে নেতৃত্ব দেবে এই বিশ্বাস আমাদের নেতৃত্ব ও জনগণের রয়েছে।
০৫ মে, ২০২৪

‘জিয়াউর রহমান গণতন্ত্র হত্যাকারী হিসেবে ইতিহাসের পাতায় থেকে যাবেন’
জিয়াউর রহমান অবৈধভাবে রাষ্ট্রক্ষমতা দখলকারী এবং গণতন্ত্র হত্যাকারী একজন স্বৈরশাসক হিসেবে ইতিহাসের পাতায় থেকে যাবেন বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। শনিবার (৪ মে) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এ মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান বাঙালি জাতির কাছে একজন সামরিক স্বৈরশাসক হিসেবেই অভিহিত হবেন। আওয়ামী লীগ কখনো ইতিহাস বিকৃতিতে বিশ্বাস করে না। বরং জিয়াউর রহমান জোরপূর্বক রাষ্ট্রক্ষমতা দখলের পর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাম মুছে ফেলার অপচেষ্টা করেছে। বিএনপির শাসনামলে রাষ্ট্রীয়ভাবে বিকৃত ও মিথ্যা ইতিহাস প্রচার করা হয়েছে। এমনকি ৭ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ পর্যন্ত বাজাতে দেওয়া হয়নি। ওবায়দুল কাদের বলেন, গণতান্ত্রিক যে কোনো বিষয়কে বিএনপি ফাঁদ মনে করে। প্রকৃতপক্ষে বিএনপি গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না বলেই গণতান্ত্রিক রীতিনীতি, প্রথা, বিধিবিধান ও নির্বাচন তাদের কাছে ফাঁদ বলে মনে হয়। আওয়ামী লীগের এ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি গণতান্ত্রিক যে কোনো বিষয়কে ফাঁদ মনে করে, আর সে কারণেই তারা চলমান উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে হালকা হিসেবে জনগণের সামনে তুলে ধরার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। তিনি বলেন, বিএনপির লক্ষ্যই হলো ষড়যন্ত্র ও চক্রান্তের মাধ্যমে যে কোনো উপায়ে রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করা, গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতাকে নস্যাৎ করা। সেজন্য তারা লাগাতারভাবে মিথ্যাচার-অপপ্রচার ও গুজব সৃষ্টি করে বিভ্রান্তি সৃষ্টির অপরাজনীতি করে। ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপিকে এ দেশের মানুষ ভালো করেই চেনে। বিএনপির তথাকথিত আন্দোলন এবং তাদের নেতাদের হাঁক-ডাকে জনগণের কোনো আগ্রহ নেই। ইতিহাস থেকে জিয়াউর রহমানের নাম মুছে ফেলার চেষ্টা হচ্ছে বিএনপি নেতাদের এমন বক্তব্যের জবাবে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি নেতৃবৃন্দ ইতিহাস থেকে জিয়াউর রহমানের নাম মুছে ফেলার কথা বলেছেন! বন্দুকের নলের মুখে জোরপূর্বক রাষ্ট্র ক্ষমতা দখলকারী একজন গণধিকৃত ব্যক্তিকে বিএনপি গণনায়কে রূপান্তরিত করার অপচেষ্টা করছে। বিএনপির এই অপচেষ্টা জনগণ কখনো গ্রহণ করেনি। জিয়াউর রহমানের নাম ইতিহাস থেকে মুছে ফেলার প্রশ্নই আসে না। তিনি বলেন, প্রকৃত ইতিহাস তার আপন মহিমায় উদ্ভাসিত হবে। জিয়াউর রহমান অবৈধভাবে রাষ্ট্রক্ষমতা দখলকারী এবং গণতন্ত্র হত্যাকারী একজন স্বৈরশাসক হিসেবে ইতিহাসের পাতায় থেকে যাবে।
০৪ মে, ২০২৪

সরকারি কর্মকর্তাদের তথ্য না দেওয়া গণতন্ত্র নষ্ট হওয়ার প্রভাব : তথ্য প্রতিমন্ত্রী
তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত বলেছেন, তথ্য চাইলেই সরকারি অনেক কর্মকর্তা খুব ডিফেন্সিভ হয়ে যায়। তথ্য কেন চাইবে- এমন একটা বিষয় দাঁড়ায়। আসলে এটা তাদের দোষ নয়। আমাদের ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসন এবং বিভিন্ন সময়ে গণতন্ত্র নষ্ট হওয়ার প্রভাব এটা। শনিবার (৪ মে) জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হল ‘জলবায়ু রাজনীতির প্রেক্ষিত ও গণমাধ্যমের ভূমিকা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি। প্রতিমন্ত্রী বলেন, তথ্য প্রাপ্তিতে আমরা মন্ত্রী থেকে শুরু করে সকল কর্মকর্তাকে প্রশিক্ষণ দিয়ে এ বিষয়টি আরও সহজতর করব। এছাড়া তথ্য অধিকার আইন অনুযায়ী সাংবাদিকরাও যাতে সঠিক উপায়ে তথ্য পেতে পারে সেদিকেও লক্ষ্য রেখে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। একইসঙ্গে ফ্যাক্ট চেক নিয়ে আরও জোরালো ভূমিকা নিতে হবে। তিনি বলেন, তথ্য কমিশনে আইন আছে। আমি তাদের সঙ্গে বসেছি কয়েকদিন আগে। আমার উপলব্ধি হয়েছে দুইদিকে কিছু চ্যালেঞ্জ আছে। তিনি বলেন, বিশ্বব্যাপী গণমাধ্যমে রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডারের (আরএসএফ) র‍্যাংকিংয়ের উদ্যোগ খুব ভালো। তবে তাদের নিকট অনুরোধ, পদ্ধতিগত বিষয় বিবেচনায় নিয়ে তারা সবসময় সঠিক তথ্য সরবরাহ করবে। এরপর আমাদের অবস্থান বা র‍্যাংকিং যা হয় হবে। তবে তারা বারবার ভুল তথ্য দিয়ে বিভ্রান্তি করলে তাদের গ্রহণযোগ্যতা কমে আসবে। মোহাম্মদ আলী আরাফাত বলেছেন, পরিবেশ নিয়ে সাংবাদিকতার চর্চা করতে গিয়ে যদি কোনো রিপোর্টার স্থানীয় কোনো প্রভাবশালীর দ্বারা হয়রানির শিকার হন তাহলে সেই রিপোর্টারের পাশে দাঁড়াবে তথ্য মন্ত্রণালয়। একইসাথে তাদের পূর্ণ সমর্থন এবং সুরক্ষা নিশ্চিত করব। কারণ তাদের এসব রিপোর্টিং সরকারের সহায়ক ভূমিকা পালন করে। প্রতিমন্ত্রী বলেন, কার্বন নিঃসরণ বাংলাদেশে জিরো করলেও লাভ নেই। কারণ আমরা কার্বন নিঃসরণ কম করি। কিন্তু ক্ষতিগ্রস্ত হই বেশি। আমরা উন্নয়নের পাশাপাশি সেটাকে টেকসই করতে চাই। আমরা শুধু উন্নয়নে নয় বরং টেকসই উন্নয়নে বিশ্বাস করি। একইসঙ্গে তথ্যপ্রকাশে সাহসী প্রতিবেদনের জন্য সাহসী সাংবাদিকদের আইনি সুরক্ষা আরও জোরদার করা হবে।
০৪ মে, ২০২৪

নির্বাচন ও গণতন্ত্র ফেরানো সবচেয়ে জরুরি : দুদু
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু ব‌লে‌ছেন, বর্তমান সরকার জবাবদিহিমূলক সরকার নয়। দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে হলে জবাবদিহিমূলক সরকার গঠন করতে হবে। কারণ, ফ্যাসিবাদ জবাবদিহিতা নিশ্চিত করে না। নির্বাচনকে তারা ভয় পায়। নির্বাচন ও গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনা এখন সবচেয়ে জরুরি কাজ।  সোমবার (২৯ এপ্রিল) দুপুরে রাজধানীর তোপখানা রোডস্থ বাংলাদেশ শিশুকল্যাণ পরিষদ মিলনায়তনে ‘দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলন’র উদ্যোগে এক প্রতিবাদ সভায় তি‌নি এ কথা ব‌লেন। ফরিদপুরের মধুখালীতে শ্রমিক হত্যার প্রতিবাদে এই সভা হয়। কোনো দল, সংস্থা যদি মনে করে, সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা বা‌ঁধিয়ে দেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলন নস্যাৎ করবে তাহলে তারা ভুল ভাবছে। এটা সম্ভব না। এ দেশে মুসলিম হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান সবাই মিলেমিশে থাকে। শামসুজ্জামান দুদু ব‌লেন, বাংলাদেশ এক ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে। এই দেশ যে কারণে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল তার থেকে যোজন-যোজন দূরে চলে গেছে। বাংলাদেশ প্রধানত গণতন্ত্র ও মানুষের অধিকারের জন্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এক সাগর রক্তের বিনিময়ে আমরা এই দেশ অর্জন করেছিলাম। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে, এ দেশের মানুষের কোনো অধিকার নেই। দেশের জনগণ তার পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিবে, তার প্রতিনিধি নির্বাচন করবে, সে অধিকার তাদের নেই। ফ্যাসিবাদ এমন একটা জিনিস যারা সংখ্যাগরিষ্ঠের মতামত উপেক্ষা করে। ভোটের তো দরকার নেই, তাই সংখ্যাগরিষ্ঠদেরও দরকার নেই। সংখ্যাগরিষ্ঠতা ধর্মীয় ক্ষেত্রে, রাজনৈতিক ক্ষেত্রে, ভোটের ক্ষেত্রে সব জায়গায় উপেক্ষিত। এত ভয়ংকর একটা পরিস্থিতির মধ্যে দেশকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে, তার থেকে বেরিয়ে আসা কঠিন। এই কঠিন অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। বিএনপির সহযোগী হয়ে দেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে হবে। তিনি বলেন, জেলে যারা গেছেন তারা জানে বর্তমানে জেল কত কষ্টের। সাধারণ জেল ও ডিভিশন জেলের মধ্যে একটু পার্থক্য থাকতে পারে। গত ছয়টি বছর ধরে বেগম খালেদা জিয়া জেলে আছেন। অনেকেই বলে তিনি বাসায় আছেন। কিন্তু না, এটা বাসা নয়। কৃষক দলের সাবেক এই আহ্বায়ক বলেন, ফরিদপুরে একটি পরিবারের দুটি সন্তানকে হত্যা করা হয়েছে। ওই পরিবারকেই ধ্বংস করা হয়েছে। এ দেশে মুসলিম হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান সবাই মিলেমিশে থাকে। এ দেশে যদি কোনো দল মুসলিম হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টানদের সম্মান করে সেটা হলো বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি। কেউ যদি মনে করে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার মাধ্যমে দেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলন নস্যাৎ করবে, তাহলে তারা ভুল ভাবছে। এটি সম্ভব না। গণতন্ত্রের জন্য ’৭১ সালে এ দেশে যুদ্ধ হয়েছে এবং আমরাই জয়ী হয়েছি।  দুদু ব‌লেন, আজ প্রকৃতি আমাদের সাথে বৈরী আচরণ করছে। আমার মনে হয়, জবাবদিহিমূলক সরকার থাকলে প্রকৃতিও সদয় হবে। এই সরকার বন উজাড় করে ফেলেছে, ধ্বংস করে ফেলেছে। এর কোনো জবাবদিহিতা নেই। গণতান্ত্রিক ও জবাবদিহিমূলক সরকার প্রতিষ্ঠিত হলে এই বন-জঙ্গল ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা পাবে। এই প্রকৃতিও আমাদের সঙ্গে আর বৈরী আচরণ করবে না। সংগঠনের সভাপ‌তি কে এম র‌কিবুল ইসলাম রিপ‌নের সভাপ‌তি‌ত্বে এবং ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক রাজু আহমেদের সঞ্চালনায় প্রতিবাদ সভায় আরও বক্তব্য রাখেন- বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সালাম, হাবিবুর রহমান হাবিব, এবি পার্টির সদস্য সচিব মজিবুর রহমান মঞ্জু, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি- জাগপা’র সহ-সভাপতি রাশেদ প্রধান, গণঅধিকার পরিষদের একাংশের ভারপ্রাপ্ত সদস্য সচিব ফারুক হাসান প্রমুখ। 
২৯ এপ্রিল, ২০২৪

গণতন্ত্র ও আইনের শাসন ধ্বংসের জন্য সরকার দায়ী : এবি পার্টি
দেশের গণতন্ত্র, মানবাধিকার, আইনের শাসনসহ রাষ্ট্রের সকল প্রতিশ্রুতি ধ্বংসের জন্য বর্তমান সরকারকে দায়ী করেছে আমার বাংলাদেশ পার্টি-এবি পার্টি। বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি ও মত প্রকাশের স্বাধীনতা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিবেদন প্রকাশের বিষয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দলটির নেতারা এই অভিযোগ করে। রোববার (২৮ এপ্রিল) বিকেলে রাজধানীর বিজয়নগরস্থ দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এতে বক্তব্য রাখেন পার্টির যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম, যুগ্ম সদস্যসচিব ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ ও অধ্যাপক ডা. মেজর (অবঃ) আব্দুল ওহাব মিনার। যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিবেদনের বিভিন্ন দিক উল্লেখ করে তাজুল ইসলাম বলেন, সম্প্রতি প্রকাশিত প্রতিবেদনে বিচারবহির্ভূত হত্যা, গুম, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা, মত প্রকাশ ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতা, ইন্টারনেট ব্যবহারে বাধা, রাজনৈতিক সভা সমাবেশে বাধা, বিরোধী রাজনৈতিক কর্মীদের উপর নির্যাতনসহ বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরা হয়েছে। প্রতিবেদনে অপরাধ কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের দায় মুক্তির বিষয় উঠে এসেছে। তিনি বলেন, ভিসা নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার পরও এই সময়ের মধ্যে ৯৪ জন মানুষ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হেফাজতে মারা গেছেন, গুম ও অপহরণ করা হয়েছে ৩২ জনকে। তিনি আরও বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ওই প্রতিবেদনে বর্তমান বাংলাদেশের চেহারা সকলের সামনে সুস্পষ্ট হয়েছে। বাংলাদেশ যে আশা আকাঙ্ক্ষা নিয়ে স্বাধীন হয়েছিলো, বাহান্ন বছর পরও আজ তা সুদূর পরাহত। আজ বড় বড় যে সমস্ত প্রকল্প গ্রহণ করছে তা শুধু সরকারের তল্পিবাহক লোকদের দুর্নীতি আর লুটপাটের জন্য। তার বড় প্রমাণ সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ। একটি রাষ্ট্রের উন্নয়ন শুধু কোনো সেতু আর ফ্লাইওভারের পিলারের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। ব্যারিস্টার ফুয়াদ বলেন, বাংলাদেশ গত পনের বছরের মতো এতো খারাপ অবস্থায় কখনো যায়নি। আওয়ামী লীগ স্বাধীনতার আশা আকাঙ্ক্ষার সঙ্গে প্রতারণা করে এই রাষ্ট্রটিকে ব্যর্থ রাষ্ট্রের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রিপোর্টে সুস্পষ্টভাবে বলা হয়েছে এদেশের অধিকাংশ মানুষ স্বাধীন নয়। গত নির্বাচনকে তারা ডমিন্যান্ট পার্টি ইলেকশন হিসেবে অভিহিত করেছে। তিনি বলেন, যে সমস্ত রাষ্ট্রে মানুষের স্বাধীনতা কম তাদের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি কম। গণতন্ত্রহীন যেসব রাষ্ট্র রয়েছে সেখানে মানুষের সমৃদ্ধি কম আবার যেখানে মানুষ স্বাধীনভাবে চলতে পারে সেখানে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি অনেক বেশী। সরকার এই প্রতিবেদন প্রত্যাখান করলেও বাস্তবে এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ দেশের ব্যবসা বাণিজ্য, বিদেশি বিনিয়োগ এবং রপ্তানি বাণিজ্যে এর গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব রয়েছে। এই রিপোর্ট প্রকাশের পর আমদানিরকারক রাষ্ট্রগুলো আমাদের কাছ থেকে মুখ ফিরিয়ে নেবে, বৈদেশিক বিনিয়োগ বিঘ্নিত হবে। যা বাংলাদেশকে একটি অকার্যকর রাষ্ট্রের দিকে নিয়ে যাবে। ডা. আব্দুল ওয়াহাব মিনার বলেন, বাংলাদেশে আজ প্রতিটা পেশার মানুষ পরাধীন। তারা স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারছে না। আজ সাংবাদিকরাও নির্যাতনের শিকার। তারা স্বাধীনভাবে মতপ্রকাশ করতে পারে না, সঠিক সংবাদ পরিবেশন করতে পারে না। সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন এবি পার্টির প্রচার সম্পাদক আনোয়ার সাদাত টুটুল, সিনিয়র সহকারী সদস্যসচিব আব্দুল বাসেত মারজান, সহকারী সদস্যসচিব শাহ আব্দুর রহমান, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের যুগ্ম আহ্বায়ক আনোয়ার ফারুক, উত্তরের সদস্যসচিব সেলিম খান, দক্ষিণের যুগ্ম সদস্যসচিব সফিউল বাসার, কেফায়েত হোসেন তানভীর, আহমাদ বারকাজ নাসির, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল হালিম নান্নু, যুবপার্টি ঢাকা মহানগর উত্তরের সদস্য সচিব শাহিনুর আক্তার শীলা, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মশিউর রহমান মিলু, রিপন মাহমুদ, শরণ চৌধুরী, পল্টন থানার আহ্বায়ক আব্দুল কাদের মুন্সি ও সদস্যসচিব আব্দুল ওয়াদুদ রনিসহ কেন্দ্রীয় ও মহানগরীর বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।
২৮ এপ্রিল, ২০২৪

উপজেলা নির্বাচনে ব্যর্থ হলে গণতন্ত্র ক্ষুণ্ন হবে : সিইসি
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, সুষ্ঠুভাবে উপজেলা নির্বাচন আয়োজনের মাধ্যমে আমরা যেন প্রতিষ্ঠা করতে পারি বাংলাদেশে গণতন্ত্র আছে, এ দেশে নির্বাচন নির্বাচনের মতো হয়। বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) ষষ্ঠ উপজেলা নির্বাচন উপলক্ষে আগারগাঁও নির্বাচন কমিশন ভবনে মাঠ প্রশাসনের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলাবিষয়ক সভায় তিনি এসব কথা বলেন। সিইসি বলেন, এবারের উপজেলা নির্বাচন ব্যর্থ হলে ৭ জানুয়ারি নির্বাচনের মাধ্যমে দেশে যে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, তা ক্ষুণ্ন হবে। এ সময় সিইসি মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তাদের উপজেলা নির্বাচনে যেন সহিংসতা না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে নির্দেশনা দেন। সিইসি বলেন, যেকোনো মূল্যে নির্বাচনটা সুষ্ঠু করতে হবে। আমরা বাংলাদেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত করতে পারি এই নির্বাচনের মধ্য দিয়ে। প্রথম ধাপের তপশিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র দাখিল ও বাছাইয়ের সময় শেষ। এই ধাপে বৈধ প্রার্থী এক হাজার ৭৮৬ জন, রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল, নিষ্পত্তি, প্রার্থিতা প্রত্যাহার, প্রতীক বরাদ্দ সব প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে। প্রথম ধাপে ১৫২ উপজেলায় ভোটগ্রহণ হবে ৮ মে। প্রথম ধাপের নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদের নিয়োগ করা হয়েছে। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে দায়ের করা আপিল আবেদন নিষ্পত্তি করবেন আপিল কর্তৃপক্ষ হিসেবে জেলা প্রশাসক। দ্বিতীয় ধাপের তপশিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র দাখিল ২১ এপ্রিল শেষ হয়েছে, মনোনয়নপত্র বাছাই হয়েছে ২৩ এপ্রিল, আপিল গ্রহণ চলছে ২৪-২৬ এপ্রিল, আপিল নিষ্পত্তি হবে ২৭-২৯ এপ্রিল। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ৩০ এপ্রিল, প্রতীক বরাদ্দ প্রতীক বরাদ্দ ২ মে। আর ১৬১ উপজেলায় ভোটগ্রহণ হবে ২১ মে। এই ধাপের নির্বাচনে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকদের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। ভোটারের সংখ্যা ৫ লাখের বেশি যেখানে সেখানে একাধিক সহকারী রিটার্নিং অফিসার নিয়োজিত থাকবেন। তৃতীয় ধাপের তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়ন ফরম জমার শেষ তারিখ ২ মে, মনোনয়ন যাচাই-বাছাই ৫ মে। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল ৬- ৮ মে। আপিল নিষ্পত্তি ৯ থেকে ১১ মে। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ১২ মে। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ ১৩ মে এবং ভোট ২৯ মে। এই ধাপে ১১২ উপজেলায় ভোট হবে। এই ধাপে রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে অতিরিক্ত জেলা ও অতিরিক্ত আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা এবং অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। আগামী ৫ জুন চতুর্থ ধাপের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে। চতুর্থ ধাপের তপশিল অনুযায়ী, আগামী ৫ জুন দেশের ৫৪ উপজেলায় চতুর্থ ধাপের ভোটগ্রহণ হবে। এর সঙ্গে নওগাঁ জেলার মহাদেবপুর উপজেলার প্রার্থীর মৃত্যুতে স্থগিত হওয়া ভোটও এ ধাপে অনুষ্ঠিত হবে, ফলে মোট ৫৫ উপজেলায় ভোট হবে। চতুর্থ ধাপে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ৯ মে, মনোনয়ন যাচাই-বাছাই ১২ মে। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল ১৩-১৫ মে। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ১৯ মে। প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হবে ২০ মে।
২৫ এপ্রিল, ২০২৪

জামানত বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত গণতন্ত্র বিরোধী
উপজেলা নির্বাচনে ১০-১৫ গুণ জামানত বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নির্বাচনকে অর্থহীন করে তুলবে বলে মন্তব্য করেছেন গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা। তারা বলেন, সরকারের এই হঠকারী সিদ্ধান্ত গণতন্ত্রবিরোধী। এর ফলে সৎ, জনবান্ধব এবং সত্যিকারের নেতাকর্মীদের পক্ষে স্থানীয় সরকারের নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুযোগ থাকবে না। কালো টাকার মালিক ও দুর্বৃত্ত মাফিয়াদের সুবিধা দিতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর তোপখানা রোডে নাগরিক ঐক্যের কার্যালয়ে গণতন্ত্র মঞ্চের এক সভায় এসব কথা বলেন নেতারা। মঞ্চের বর্তমান সমন্বয়ক ও গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকির সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য দেন নাগরিক ঐক্যের মাহমুদুর রহমান মান্না, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাইফুল হক, ভাসানী অনুসারী পরিষদের শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের হাসনাত কাইয়ূম, জেএসডির শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন প্রমুখ।
১৯ এপ্রিল, ২০২৪

জামানত বৃদ্ধি উপজেলা নির্বাচনকে অর্থহীন করে তুলবে : গণতন্ত্র মঞ্চ
উপজেলা নির্বাচনে ১০-১৫ গুণ জামানত বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নির্বাচনকে অর্থহীন করে তুলবে বলে মন্তব্য করেছেন গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা।  বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) দুপুরে রাজধানীর তোপখানা রোডে নাগরিক ঐক্যের কার্যালয়ে গণতন্ত্র মঞ্চের কেন্দ্রীয় পরিচালনা পর্ষদের এক সভায় এ মন্তব্য করেন তারা। সভায় গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা আসন্ন স্থানীয় সরকারের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান পদে জামানত ১০ থেকে ১৫ গুণ বৃদ্ধি করে যথাক্রমে এক লাখ ও পঁচাত্তর হাজার টাকা করার সিদ্ধান্তকে চরম খামখেয়ালি ও স্বেচ্ছাচারিতা হিসেবে আখ্যায়িত করেন এবং বলেন, কালো টাকার মালিক ও দুর্বৃত্ত মাফিয়াদের সুবিধা দেয়ার জন্যই এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের এই সিদ্ধান্তের ফলে সৎ, জনবান্ধব এবং জনগণের সত্যিকারের নেতাকর্মীদের পক্ষে স্থানীয় সরকারের নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুযোগ থাকবে না।  তারা আরও বলেন, একদিকে যখন প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ গোটা নির্বাচন ব্যবস্থা ধসে পড়েছে, তখন উপজেলা নির্বাচনে ১০-১৫ গুণ জামানত বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নির্বাচনকে অর্থহীন করে তুলবে।  অগণতান্ত্রিক সরকারের অধীনে ২০১৪, ‘১৮ এবং ‘২৪ এর ডামি নির্বাচনে দেশের জনগণ অংশগ্রহণ করেনি। জনগণকে যেভাবে নির্বাচনে ভোট প্রদানে নিরুৎসাহিত করা হয়েছে, উপজেলা নির্বাচনেও প্রার্থীদের সেভাবে নিরুৎসাহিত করতেই সরকারের এই কূটকৌশল। কারণ, সরকার ভালোভাবেই জানে- দেশের মানুষ তাদের ভোট দিবে না। সরকারের এই হটকারী সিদ্ধান্ত গণতন্ত্রবিরোধী।  মঞ্চের বর্তমান সমন্বয়ক ও গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকির সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহবায়ক শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক অ্যাডভোকেট হাসনাত কাইয়ূম, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডির সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন, নাগরিক ঐক্যের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল্লাহ কায়সার, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য বহ্নিশিখা জামালী, ভাসানী অনুসারী পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক বাবুল বিশ্বাস, গণসংহতি আন্দোলনের সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য বাচ্চু ভুঁইয়া, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের সাংগঠনিক সমন্বয়ক ইমরান ইমন, নাগরিক ঐক্যের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মঞ্জুর কাদির, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য আকবর খান, নাগরিক ঐক্যের সাংগঠনিক সম্পাদক সাকিব আনোয়ার, ভাসানী অনুসারী পরিষদের যুগ্ম সদস্য সচিব  হাবিবুর রহমান হাবিব, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের রাজনৈতিক সমন্বয়ক ফরিদুল হক প্রমুখ নেতারা।
১৮ এপ্রিল, ২০২৪
X