কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ০৫ মে ২০২৪, ১০:২০ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

গণতন্ত্র সুসংহত করায় সবার অংশগ্রহণ জরুরি : স্থানীয় সরকার মন্ত্রী 

বিতর্ক প্রতিযোগিতায় স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম। ছবি : সংগৃহীত
বিতর্ক প্রতিযোগিতায় স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম। ছবি : সংগৃহীত

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, পৃথিবীতে নানা ধরনের শাসন ব্যবস্থা চালু রয়েছে। রাজতন্ত্র, সমাজতন্ত্রসহ নানা পদ্ধতির মধ্যে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাই আজকের পৃথিবীর সবচেয়ে উত্তম শাসন পদ্ধতি বলে বিবেচিত। এই গণতন্ত্রকে সুসংহত করতে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় সবার অংশগ্রহণ করা জরুরি। অংশগ্রহণমূলক গণতন্ত্রই প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হয়ে ওঠে।

তিনি রোববার (৫ মে) এফডিসিতে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি আয়োজিত পাবলিক পার্লামেন্ট বিতর্ক প্রতিযোগিতা শীর্ষক নির্দলীয় স্থানীয় সরকার নির্বাচন নিয়ে ছায়া সংসদে এক বিতর্ক প্রতিযোগিতায় প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দিয়ে তিনি এ কথা বলেন।

বিতর্কের বিষয় ছিল নির্দলীয় স্থানীয় সরকার নির্বাচন তৃণমূল পর্যায়ে গণতন্ত্রকে সুসংহত করবে। সরকারি দল হিসেবে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ পক্ষে এবং মানারাত ইন্টারন্যাশনাল বিশ্ববিদ্যালয় বিরোধী দল হয়ে বিপক্ষে অংশগ্রহণ করে। দুদলের বিতর্ক শেষে সরকারি দল হিসাবে ঢাকা মেডিকেল কলেজ কে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়।

স্থানীয় সরকার মন্ত্রী তাঁর বক্তব্যে গণতন্ত্রের অনুষঙ্গ হিসাবে জবাবদিহিতার কথা উল্লেখ করে বলেন, বাকস্বাধীনতা গণতন্ত্রের গুরুত্বপূর্ণ উপাদান কিন্তু সেই বাকস্বাধীনতারও একটি সীমা রয়েছে। এমনকি আমেরিকাতেও বাক স্বাধীনতা অবাধ নয়।

তাজুল ইসলাম এ সময় নির্দলীয় স্থানীয় সরকার নির্বাচনের ভালো এবং মন্দ উভয় দিক রয়েছে উল্লেখ করে বলেন, এতে একই দলের বিভিন্ন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সুযোগ পাবে কিন্তু সেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা যাতে সংঘাতে রূপ না নেয় সে বিষয়ে আমাদেরকে সতর্ক থাকতে হবে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশে গণতন্ত্র সুসংগত হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, দেশ আজ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ, শতভাগ বিদ্যুতায়ন এবং অর্থনৈতিক বিভিন্ন সূচকে অগ্রগতি সম্ভব হয়েছে কারণ দেশে গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা রয়েছে।

মন্ত্রী এ সময় গণতন্ত্রকে এগিয়ে নিতে সকল দলের দায়িত্ব রয়েছে উল্লেখ করে বলেন, নির্বাচন প্রক্রিয়ার বাইরে থেকে গণতন্ত্রকে কখনো শক্তিশালী করা যায় না। মন্ত্রী এ সময় ১৯৭০ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নির্বাচনে অংশগ্রহণের কথা উল্লেখ করে বলেন, সে সময় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে অনেকেই নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করার পরামর্শ দিলেও তিনি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে জয়লাভ করেন। জাতির পিতা নির্বাচনী প্রক্রিয়ার মধ্যে ছিলেন বলেই স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয় হয়।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

যাত্রীবাহী বাসের ধাক্কায় মোটরসাইকেল চালক নিহত

ট্রাক্টর চাপায় প্রাণ গেল শিশুর

ঢাকায় স্বেচ্ছাসেবক লীগের মিছিল শেষে শিক্ষার্থী খুন

ছাত্রলীগ কর্মীকে বেধড়ক কোপাল প্রতিপক্ষরা

মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষকে আল্টিমেটাম

অবশেষে লালমনিরহাটে কাঙ্ক্ষিত বৃষ্টি

মিষ্টি বিতরণের ধুম / চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্রলীগের কমিটি বিলুপ্ত

উত্তরা ইউনিভার্সিটিতে রিসার্চ অ্যান্ড পাবলিকেশন অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠিত

টানা কয়েকদিন বৃষ্টির আভাস

পৃথিবীর যে স্থানে কেউ যেতে পারে না

১০

সাংবাদিককে মারধরের ঘটনায় মামলা

১১

সংগঠনের অবস্থা জানতে জেলা সফর শুরু করছে যুবদল

১২

সৌদিতে প্রথমবার সাঁতারের পোশাকে নারী ফ্যাশন শো

১৩

তিস্তা নদীতে গোসল করতে গিয়ে কিশোরের মৃত্যু

১৪

সমুদ্রপাড়ে সিডিএ প্রকৌশলীদের ‘বারবিকিউ পার্টি’

১৫

জমি নিয়ে দ্বন্দ্বে চাচার হাতে ভাতিজি খুন

১৬

পশুর হাটে অতিরিক্ত টোল আদায়ের অভিযোগ

১৭

অর্থনীতিকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে এনে দাঁড় করিয়েছে সরকার : মান্না

১৮

অমরত্ব পেল লেভারকুসেন

১৯

শেখ হাসিনাই বাংলাদেশের জন্য অপরিহার্য : পরশ

২০
X