দেশকে এগিয়ে নিতে প্রয়োজন শুধু দেশ প্রেম : গণপূর্তমন্ত্রী
দেশ এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য খুব বেশি কিছুর প্রয়োজন নেই। প্রয়োজন শুধু দেশ প্রেম বলে মন্তব্য করেছেন গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী। তিনি বরেন, বঙ্গবন্ধু শূন্য থেকে দেশের যাত্রা শুরু করেছিলেন আর তার কন্যা শেথ হাসিনা দেশকে উন্নয়নশীল দেশের দিকে নিয়ে যাচ্ছেন। বাংলাদেশ ঝুড়িবিহীন দেশ নয়, বাংলাদেশ একটি উন্নয়নশীল দেশ। এটা সম্ভব হচ্ছে নেতৃত্বের কারণে।  বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) দুপুরে মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার মেঘ-শিমুল এলাকায় ম্যাক্সক্রিটের অটোক্লেভড ব্লক কারখানা উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। উবায়দুল মোকতাদির বরেন, বঙ্গবন্ধু দেশ দিয়েছেন আর তার কন্যা শেখ হাসিনা উন্নয়ন দিচ্ছেন। নাগরিক হিসেবে আমাদের উচিত শেখ হাসিনার সাফল্যের পাশে থাকা। তবেই আমাদের দেশ স্মার্ট বাংলাদেশ হবে। দেশ এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য খুব বেশি কিছুর প্রয়োজন নেই। প্রয়োজন শুধু দেশ প্রেম। তিনি বলেন, কনস্ট্রাকশন নির্মাণের জন্য পরিবেশ বান্ধব ব্লক তৈরি প্রতিষ্ঠান নির্মাণ একটি ভালো উদ্যোগ, কার্বন নিঃসরণ যত কম হয় আমাদের তত মঙ্গল। কার্বনের কারণে জলবায়ুর মারাত্মক প্রভাব পড়ছে। উন্নত দেশের শিল্প প্রতিষ্ঠানের কার্বনের কারণে আমাদের দেশের ক্ষতি হচ্ছে। পরিবেশ দূষণে পৃথিবীর মানুষ খারাপ পরিস্থিতির মধ্যে আছে। তার মধ্যে সবচেয়ে বেশি বিপদজনক যে দেশগুলো আছে, এরমধ্যে বাংলাদেশও রয়েছে।    এসময় মন্ত্রী বলেন, পৃথিবীর সবচেয়ে দূষিত শহরের মধ্যে ঢাকা শহর। পরিবেশ ও শহর দূষিত হওয়ার মূল কারণ হচ্ছে আমাদের কনস্ট্রাকশন ও ম্যাটারিয়াল পরিবেশ বান্ধব নয়। কার্বন নিঃসরণের জন্য ভালো কোনো ম্যাটারিয়ালস না। এই অবস্থা থেকে মুক্তি পেতে পৃথিবীব্যাপী মানুষ বিভিন্ন ধরনের চেষ্টা চালাচ্ছেন। তারই একটা হচ্ছে ইটের পরিবর্তে ব্লক ব্যবহার। এটা পরিবেশ বান্ধব একটি শিল্প প্রতিষ্ঠান। মন্ত্রী বলেন, দেশের ইটের ভাটার কালো ধোঁয়ায় পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। আবার এসব কালো ধোঁয়া বাতাসের সাথে আকাশে উড়ে যাচ্ছে। ইটের ব্যবহার কমাতে এবং পরিবেশবান্ধব নির্মাণসামগ্রী ব্যবহার করতে আজকে ব্লক নির্মাণ প্রতিষ্ঠানে কার্যক্রম উদ্বোধন করা হয়েছে। যাদের টাকা-পয়সা আছে বা শিল্পকারখানা আছে। আপনারা পরিবেশ বান্ধব নির্মাণ সামগ্রীর কারখানা তৈরি করতে এগিয়ে আসেন। কারণ একমাত্র পরিবেশবান্ধব নির্মাণসামগ্রী পারবে, ইটের ব্যবহার কমাতে এবং পরিবেশ রক্ষা করতে। ম্যাক্সক্রিটের গ্রুপের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী গোলাম মোহাম্মদ আলমগীরের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব নবিরুল ইসলাম, রাজউকের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল সিদ্দিকুর রহমান সরকার, গৃহায়ন ও গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী মোহাম্মদ শামীম আকতার, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের প্রধান স্থপিত মীর মঞ্জুর রহমান, জেলা প্রশাসক রেহেনা আকতার। প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী গোলাম মোহাম্মদ আলমগীর জানান, ১৯৮৫ সালে মানিকগঞ্জে ম্যাক্স নামে প্রতিষ্ঠানটি গড়ে ওঠে। বর্তমান পরিবেশবান্ধব শিল্প কারখানা গড়ে তেলার জন্য ১৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে এএসি ব্লক ফ্যাক্টরির নির্মাণ করা হয়েছে। এই প্রতিষ্ঠান থেকে বছরে তিন লক্ষ পঁয়ষট্টি হাজার কিউবিক মিটার ব্লক তৈরি করা যাবে। ব্লক দিয়ে নির্মাণ করা প্রতিষ্ঠানের ব্যয় ২০ ভাগ কম হয়। যদি প্রতিষ্ঠানটি সফলতা পায় তবে আগামীতে আরও একটি ব্লক কারখানা নির্মাণ করা হবে।
১৮ এপ্রিল, ২০২৪

সংসদ অধিবেশন / রাজধানীতে পরিত্যক্ত ৬৩৭২টি বাড়ি রয়েছে: গণপূর্তমন্ত্রী
ঢাকা শহরে ৬ হাজার ৩৭২টি পরিত্যক্ত বাড়ি রয়েছে বলে জানিয়েছেন গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী র. আ. ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী। গতকাল বুধবার জাতীয় সংসদে ঢাকা-১৯ আসনের এমপি মুহম্মদ সাইফুল ইসলামের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ তথ্য জানান। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রশ্নোত্তর টেবিলে উপস্থাপিত হয়। মন্ত্রীর তথ্যমতে, পরিত্যক্ত বাড়ি সবচেয়ে বেশি মিরপুর এলাকায়। সেখানে ৩ হাজার ৫৮২ পরিত্যক্ত বাড়ি রয়েছে। সংখ্যার দিক থেকে দ্বিতীয় অবস্থানে মোহাম্মদপুর। এখানে রয়েছে ১ হাজার ৫৪২টি পরিত্যক্ত বাড়ি। এ ছাড়া অন্য পরিত্যক্ত বাড়িগুলোর মধ্যে গুলশানে ১২৮টি, বনানীতে ৯টি, মগবাজারে ৬২টি, তেজগাঁওয়ে ৩৬, নাখালপাড়ায় ১৯টি, ক্যান্টনমেন্টে ২৬টি, বাসাবোতে ৩৮টি, শাহজাহানপুরে ১০টি, খিলগাঁওয়ে ১২টি, জুরাইনে ২টি, মতিঝিলে ৭২টি, রমনায় ১৫৮টি, সূত্রাপুরে ৩২০টি, লালবাগে ১৭৪টি, কোতোয়ালিতে ৪৬টি, ধানমন্ডিতে ৮৮টি, লালমাটিয়ায় ২৫টি, যাত্রাবাড়ীতে ৪টি ও মানিকনগরে রয়েছে ১টি। এদিকে পরিত্যক্ত বাড়ির মধ্যে নির্মাণ প্রতিষ্ঠান হিসেবে ৪টি ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হিসেবে ২০টি ব্যবহৃত হচ্ছে বলে মন্ত্রী জানান। মন্ত্রী জানান, সংরক্ষিত পরিত্যক্ত বাড়িতে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আবাসিক ফ্ল্যাট নির্মাণকাজে ব্যবহার এবং কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ভাড়াভিত্তিকে বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে। বিক্রয়যোগ্য পরিত্যক্ত বাড়িগুলো প্রধানমন্ত্রীর অনুমতিতে বিভিন্ন ব্যক্তি/প্রতিষ্ঠান, শহীদ পরিবার, যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা ও বরাদ্দপ্রাপ্তদের কাছে বিক্রি করা হচ্ছে। গত তিন অর্থবছরে ঢাকা শহরের পরিত্যক্ত বাড়ি থেকে ১২ কোটি ৬৮ লাখ ১৬ হাজার ৪২৯টা ভাড়া আদায় হয়। এ সময়ে বিক্রি থেকে মূল্য আদায় হয়েছে ২ কোটি ৩১ লাখ ২ হাজার ৭৩৭ টাকা।
১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

ঢাকা শহরে ৬৩৭২টি পরিত্যক্ত বাড়ি রয়েছে, সংসদে গণপূর্তমন্ত্রী
ঢাকা শহরে ৬ হাজার ৩৭২টি পরিত্যক্ত বাড়ি রয়েছে বলে জানিয়েছেন গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী র, আ, ম, ওবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী। বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় সংসদের প্রশ্নোত্তরে ঢাকা-১৯ আসনের মুহম্মদ সাইফুল ইসলামের প্রশ্নের জবাবে গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী এ তথ্য জানান। মন্ত্রীর তথ্যমতে, পরিত্যক্ত বাড়ি সব থেকে বেশি মিরপুর এলাকায়। মিরপুরে ‍তিন হাজার ৫৮২টি পরিত্যক্ত বাড়ি রয়েছে। সংখ্যার দিক থেকে দ্বিতীয় অবস্থানে মোহাম্মপুর। এখানে রয়েছে এক হাজার ৫৪২টি পরিত্যক্ত বাড়ি। এ ছাড়া অন্য পরিত্যক্ত বাড়িগুলোর মধ্যে গুলশানে ১২৮টি, বনানীতে ৯টি, মগবাজারে ৬২টি, তেজগাঁওয়ে ৩৬, নাখালপাড়ায় ১৯টি, ক্যান্টনমেন্টে ২৬টি, বাসাবোতে ৩৮টি, শাহজানপুরে ১০টি, খিলগাঁওয়ে ১২টি, জুরাইনে ২টি, মতিঝিলে ৭২টি, রমনায় ১৫৮টি, সূত্রাপুরে ৩২০টি, লালবাগে ১৭৪টি, কোতোয়ালিতে ৪৬টি, ধানমন্ডিতে ৮৮টি, লালমাটিয়ায় ২৫টি, যাত্রাবাড়ীতে ৪টি ও মানিকনগরে রয়েছে ১টি। পরিত্যক্ত বাড়ির মধ্যে নির্মাণ প্রতিষ্ঠান হিসেবে ৪টি ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হিসেবে ২০টি ব্যবহৃত হচ্ছে বলে মন্ত্রী জানান। গৃহায়নমন্ত্রী জানান, সংরক্ষিত পরিত্যক্ত বাড়িতে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আবাসিক ফ্ল্যাট নির্মাণ কাজে ব্যবহার হচ্ছে এবং কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ভাড়াভিত্তিকে বরাদ্দ করা হচ্ছে। বিক্রয়যোগ্য পরিত্যক্ত বাড়িগুলো প্রধানমন্ত্রীর অনুমতিতে বিভিন্ন ব্যক্তি/প্রতিষ্ঠান, শহীদ পরিবার, যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা ও বরাদ্দপ্রাপ্তদের কাছে বিক্রি করা হচ্ছে। গত তিন অর্থবছরে ঢাকা শহরের পরিত্যক্ত বাড়ি হতে ১২ কোটি ৬৮ লাখ ১৬ হাজার ৪২৯টা ভাদা আদায় হয়েছে। এ সময়ে বিক্রি থেকে মূল্য আদায় হয়েছে দুই কোটি ৩১ লাখ ২ হাজার ৭৩৭ টাকা।
১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

গড় আয়ু বাড়াতে নিরাপদ খাদ্য খেতে হবে : গণপূর্তমন্ত্রী
গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী বলেছেন, পৃথিবীর অন্যান্য দেশের মতো আমাদের দেশের গড় আয়ু বাড়াতে হবে। সেটা করতে হলে নিরাপদ খাদ্য খেতে হবে। তৈলাক্ত খাবার পরিহার করার চেষ্টা করতে হবে।   শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রের সেইফ ফুড কার্নিভালের সমাপনী অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, আমার শ্বশুরবাড়ি পুরান ঢাকায়। তারা যে কত রকমের খাবার খায়। আমি নিশ্চিত একটা খাবারও নিরাপদ নয়, সব অনিরাপদ। সেখান থেকে তোমরা যারা যুবক তাদের বেরিয়ে আসা উচিত। শেখ হাসিনার বদৌলতে আমরা এখন দেশে গড় আয়ু ৭২-৭৩ বছরে পৌঁছেছি। এটা ধরে রাখতে হবে এবং এগিয়ে নিতে হবে।  মন্ত্রী উবায়দুল মোকতাদির বলেন, আমরা এখন স্বাধীন ও সার্বভৌম দেশের অধিকারী। এই দেশটা আমাদের ছিল না। ডাকাতেরা, লুটেরা জন্মলগ্ন থেকে দেশটাকে দখল করে রেখেছিল। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৪৮ সাল থেকে নয়, ১৯৪৬ সাল থেকেই ভাষা সংগ্রামের সঙ্গে একাত্ম হয়ে কাজ করছিলেন। তিনি বুঝতে পারেন পাকিস্তান না, বাঙালিদের নিজস্ব রাষ্ট্র দরকার। সেই নিজস্ব রাষ্ট্র গঠন করার জন্যে তিনি সমগ্র জীবনকে বাজিয়ে রেখেছিলেন। তিনি সবাইকে এক পাল্লায় উঠিয়ে স্বাধীন বাংলাদেশের ডাক দিয়েছিলেন। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মো. আব্দুল কাইউম সরকারের সভাপতিত্বে সংসদ সদস্য চিত্রনায়ক ফেরদৌস আহমেদ বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
১০ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

বিএনপি-জামায়াতের বিরুদ্ধে সোচ্চার থাকতে হবে : গণপূর্তমন্ত্রী 
আগামী দিনে বিজয়নগর তথা ব্রাহ্মণবাড়িয়ার উন্নয়নে আওয়ামী লীগ সরকারের নেওয়া নানা উদ্যোগের কথা তুলে ধরে বাংলাদেশ সরকারের গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী বলেছেন, বিএনপি-জামায়াতের ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে সোচ্চার থাকতে হবে। তিনি বলেন, খুনি-গ্রেনেড হামলাকারীদের হাত থেকে দেশকে রক্ষা করতে হবে, দেশের মানুষকে রক্ষা করতে হবে। জামায়াত-বিএনপি যেন আর দেশের মানুষের রক্ত শুষে খেতে না পারে সে ব্যাপারে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। শুক্রবার (২ ফেব্রুয়ারি) বিকেল সাড়ে ৩টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলা পরিষদ মাঠে উপজেলা আওয়ামী লীগের আয়োজনে গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। গণপূর্তমন্ত্রী বলেন, আমি বিজয়নগর উপজেলাকে একটি মডেল উপজেলা হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। বিজয়নগরের কোনো উন্নয়ন অপূর্ণ থাকবে না। শিক্ষা সংস্কৃতির জন্য যা যা করার দরকার তাই করব। আপনারা আমার নেত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার জন্য দোয়া করবেন। আপনারা আজ যে জনসমুদ্র দেখিয়ে গণসংবর্ধনা দিয়েছেন এজন্য আমি বিজয়নগরবাসীর কাছে চিরকৃতজ্ঞ। বিজয়নগরের মানুষ দুবেলা পেট ভরে ভাত খাবে, তাদের বাসস্থান, চিকিৎসা, শিক্ষার মান উন্নত হবে।  শিগগিরই বিজয়নগরে একটি উপশহর হবে, একটি কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র হবে, আরও উন্নত রাস্তাঘাট হবে। বাংলার মাটিতে আবার যেন বিএনপি-জামায়াত মানুষের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলতে না পারে এজন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।  সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিজয়নগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জহিরুল ইসলাম ভূঞা। বিজয়নগর উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ জহিরুল ইসলাম চৌধুরী সোহেলের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর মৃধা।   অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক ফাহিমা খাতুন, জেলা আ.লীগের সিনিয়র সহসভাপতি সাবেক মেয়র হেলাল উদ্দিন, সহসভাপতি হাজী হেলাল উদ্দিন, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবুল বারী মন্টু, জেলা আ.লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাড. মাহবুবুল আলম খোকন,  উপজেলা চেয়ারম্যান নাছিমা মুকাই আলী, কাজী মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম,  ইউপি চেয়ারম্যান জিয়াউল হক বকুল, স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক সুর্নিমল সাহা, উপজেলা যুব মহিলা লীগের সভাপতি হালিমা চৌধুরী, উপজেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক হৃদয় আহমদ।  অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, জেলা যুবলীগের সভাপতি অ্যাড. শাহানুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম ফেরদৌস, সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাড. লোকমান হোসেন, বিজয়নগর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মাহামদুর রহমান মান্না, জেলা মহিলা লীগের সভাপতি অ্যাড. তাসলিমা খানম নিশাত, বিশিষ্ট শিল্পপতি লূৎফর রহমান মুকাই আলী, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রবিউল ইসলাম রুবেল, সাধারণ সম্পাদক শাহাদৎ হোসেন শুভনসহ জেলা-উপজেলা আ.লীগ ও তার অঙ্গসংগঠন ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী ও নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ। 
০২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

সরকারি প্রকল্পে ব্লক ইট ব্যবহার নিশ্চিত করা হবে : গণপূর্তমন্ত্রী
গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী বলেছেন, প্রতিবছর এ দেশের এক শতাংশ হরে কৃষিজমি নষ্ট হচ্ছে। ইট তৈরিতে জ্বালানি কাঠ ব্যবহারের ফলে পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। পরিবেশ সুরক্ষা ও কৃষিজমি রক্ষার স্বার্থে ব্লক ইটের ব্যবহার উৎসাহিত করা হবে। প্রাপ্তিসাপেক্ষে সরকারি প্রকল্পে ব্লক ইট ব্যবহার নিশ্চিত করা হবে। বুধবার (৩০ জানুয়ারি) সচিবালয়ে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে গণমাধ্যম কর্মীদের সাথে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।  নিজের দক্ষতা ও যোগ্যতা দিয়ে স্বচ্ছতার সাথে কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করে গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী আমাকে যে দায়িত্ব দিয়েছেন দক্ষতা ও যোগ্যতার সবটুকু দিয়ে স্বচ্ছতার সাথে সে দায়িত্ব পালনে আমি সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালাব। নিজের বিচার বুদ্ধির পাশাপাশি গণমাধ্যমে প্রকাশিত বিভিন্ন প্রতিবেদনের আলোকে আমি সঠিক পদক্ষেপ গ্রহণের চেষ্টা করব। সিদ্ধান্ত গ্রহণে প্রচলিত আইন ও জনস্বার্থকে সর্বোচ্চ প্রাধান্য দিয়ে কাজ করব। তিনি বলেন, এক্ষেত্রে সবার সহযোগিতা চাই। গণমাধ্যমের গঠনমূলক সমালোচনা অবশ্যই গ্রহণযোগ্য। তবে অপতথ্য ও মিথ্যা তথ্যের ব্যাপারে সতর্ক থাকার জন্য গণমাধ্যম কর্মীদের প্রতি তিনি আহ্বান জানান। মন্ত্রী বলেন, একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে বর্তমান সরকার দায়িত্ব গ্রহণ করেছে। জনগণের প্রত্যাশা পূরণে সরকার সর্বোচ্চ চেষ্টা করবে। সুস্পষ্ট অভিযোগ পেলে যে কারও বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে কার্পণ্য করা হবে না।  
৩০ জানুয়ারি, ২০২৪

দুর্নীতিতে নিমজ্জিত হবো না : গণপূর্তমন্ত্রী
দুর্নীতিতে নিমজ্জিত না হওয়ার প্রত্যয় জানিয়েছেন গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী। তিনি  বলেন, অন্যদেরও অবগাহন করতে দেব না। মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) সচিবালয়ে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে মন্ত্রী এ কথা বলেন। মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাকে আস্থা রেখে একটা দায়িত্ব দিয়েছেন, এই দায়িত্ব পালনে আমি আপনাদের সহযোগিতা চাই। আমি যদি কোনো অপরাধমূলক কাজ করি, সেটা অবশ্যই আপনারা হিসাবে নেবেন। কিন্তু আমি বারবার অপতথ্যের শিকার হই, সেটা যাতে না হয় সেই বিষয়ে বিনীত অনুরোধ রাখব। আমি নাসিরনগর ও হেফাজতে ইসলাম নিয়ে অপতথ্যের শিকার হয়েছি। মন্ত্রী বলেন, আমি যদি অপরাধমূলক কাজ করি, নিশ্চয়ই আমাকে ছেড়ে দেওয়ার কথা না। আমার পেরিফেরিতে যদি অন্য কেউ অপরাধমূলক কাজ করে, আপনারা যদি তুলে ধরেন, আমার জন্য সুবিধা হবে। আমি সেটা সংশোধনের চেষ্টা করব। আপনার মন্ত্রণালয় নিয়ে আপনার পরিকল্পনা কী- এ বিষয়ে উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী বলেন, আমার পরিকল্পনা খুব সিম্পল। আমি দক্ষতা, যোগ্যতা এবং স্বচ্ছতার সঙ্গে কাজ করতে চাই। এটা যদি আমি করতে পারি, এটাই আমার চ্যালেঞ্জ, এটাই আমার পরিকল্পনা। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, জিরো টলারেন্স। আমরাও বলছি, দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স। কোনো টলারেন্স নাই, দেখেন আপনি। কিছুদিন দেখেন, আমার নজরে আসুক দুর্নীতি। সচিব আমার পাশে আছেন, আমরা কেউই দুর্নীতিতে নিমজ্জিত হবো না, অন্যদেরও অবগাহন করতে দেব না, নিশ্চিত থাকেন। সরকারি কোয়ার্টার নিয়ে সমস্যা অনেক, আপনি আপনার মন্ত্রণালয়ের কোন কোন জায়গায় আলো ফেলতে চান- এ বিষয়ে তিনি বলেন, যেখানে হাত দেওয়া দরকার, সব জায়গায় আমি হাত দেওয়ার চেষ্টা করব আমার সাধ্য অনুযায়ী। বিভিন্ন সময়ে সম্ভাব্যতা যাচাই না করে স্থাপনা করা হয়েছে, সেগুলোর বিষয়ে আপনার অবস্থান কী হবে- এমন প্রশ্নের জবাবে গণপূর্তমন্ত্রী বলেন, কাজে লাগে না, এমন কাজ যদি করে থাকে সেটা দুর্ভাগ্যজনক। সেগুলো যাতে কাজে লাগানো যায় সেই চেষ্টা করব। একটি নিউজ এসেছে ‘প্লট-ফ্ল্যাট ভাগাভাগিতে সচিব ও চেয়ারম্যান’। এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে মন্ত্রী বলেন, মাত্র তো খবর হয়েছে। খবরটা আমি পড়ে অনুসন্ধান করে দেখি, এর সত্যতা আছে কি না। সত্যতা থাকলে এর যাতে প্রতিকার হয়, সেটার চেষ্টা করব। একটি মসজিদ করতেও রাজউক কর্মকর্তাকে ঘুষ দিতে হয় এ সমস্যা সমাধানে পদক্ষেপ নেবেন কি না? এমন প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী বলেন, ঘুষ দিয়ে যে মসজিদ নির্মাণ হয় সে মসজিদে তো নামাজ পড়া নাজায়েজ হয়ে যাবে। এ মসজিদ ভেঙে ফেলা উচিত। রাজউকে ঘুষ নিয়ে কাজ করার অভিজ্ঞতা আমার নেই। আমার নিজের একটা ফ্ল্যাট আমার কাজিনের সঙ্গে হস্তান্তরের সময়ও আমাকে কোনো টাকা-পয়সা খরচ করতে হয়নি। ‘রাজউকে ঘুষ ছাড়া ফাইল নড়ে না’- এ বিষয়ে জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, সুনির্দিষ্ট কোনো অভিযোগ থাকলে সেই বিষয়ে আমরা নজর দেব। সেই বিষয়ে আপনি নিশ্চিত থাকেন। ইটের পরিবর্তে পরিবেশবান্ধব ব্লক ব্যবহারের ক্ষেত্রে কী পদক্ষেপ নেবেন- জানতে চাইলে উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী বলেন, এ বিষয়ে আমরা পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে একত্রে কাজ করব। পরিবেশের দূষণ হয়, এমন কোনো কাজের সঙ্গে আমার মন্ত্রণালয়কে যুক্ত করতে চাই না। গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী নিয়োগে অনিয়মসহ সেখানকার নানা অসঙ্গতি খতিয়ে দেখবেন জানিয়ে তিনি বলেন, মন্ত্রণালয়ের অফিসারদের সঙ্গে বসে আলাপ-আলোচনা করে, প্রয়োজনবোধে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে যদি অনিয়মগুলো দূর করা সম্ভব হয়, সেটা আমরা করব। আমাকে সময় দেন, আমি করব ইনশাআল্লাহ। গ্রাম ধ্বংস করে নগরায়ন করা হলে, সেটি কতটা চ্যালেঞ্জ হবে আপনার জন্য- এ বিষয়ে তিনি বলেন, আমি চেষ্টা করব এবং অচিরেই স্থানীয় সরকার, পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়, ভূমি মন্ত্রণালয়, কৃষি মন্ত্রণালয়কে নিয়ে আমরা বসব। আগামী বা পরের সপ্তাহে আমরা একটা সভা করব। গ্রামে এখন অপরিকল্পিতভাবে ঘরবাড়ি করার নিয়ম নেই। এই আইনের যাতে প্রয়োজনীয় বিধান করা হয়, সেটা আমরা দেখব। প্রতি বছর আমরা এক শতাংশ হেক্টর কৃষি জমি হারাই। এটা আমাদের জন্য হেলদি কোনো সিচুয়েশন না। এটা বন্ধ করতে হবে। অপরিকল্পিত নগরায়ন অথবা অপরিকল্পিত গ্রামায়ন বা গ্রামীণ আবাসন- দুটোই বন্ধ করতে হবে বলেও জানান গণপূর্তমন্ত্রী। সাংবাদিকরা গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন অনিয়ম তুলে ধরলে মন্ত্রী সেগুলো দূর করতে সাধ্যমতো চেষ্টা করবেন বলে জানান। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সরকারি কাজ আইন মেনে চলবে এটাই স্বাভাবিক, আমি আইনের ভেতর থেকে যা যা করা দরকার সব করব। এ সময় গৃহায়ন ও গণপূর্ত সচিব কাজী ওয়াছি উদ্দিন উপস্থিত ছিলেন।
৩০ জানুয়ারি, ২০২৪

যারা অপতথ্য বাজারে ছড়িয়েছে তারাই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে : গণপূর্তমন্ত্রী
গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী বলেছেন, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) বিষয়ে মানুষ নানা কথা বলেন, অনেকেই অপতথ্য ছড়ান। তবে আমি কিছু কাজ করেছি, কখনও অতিরিক্ত টাকা লাগেনি। কিন্তু নানা খবর চাওড় আছে। যারা অপতথ্য বাজারে ছড়ায় তারা নিজেরাই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) রাজউক অডিটোরিয়ামে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।  মন্ত্রী বলেন, ফাইল রেখে দেওয়া ঠিক নয়। অনেকে দূরভীসন্ধীমূলক ফাইল রেখে দেয়। অনেক সঠিক ফাইল রেখে দেয়। এটা কখনো কাম্য নয়। আপনাদের ঠিকভাবে কাজ করতে হবে। দেশের প্রতি ভালোবাসা থাকতে হবে। ভালোবাসা মানে মানুষের কাজকে সম্মান দেখানো। যদি ঠিকভাবে কাজ করেন তাহলে কেউ ঠেকাতে পারবে না।  বর্তমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে উবায়দুল মোকতাদির বলেন, ১৯৭১ সালে স্বাধীনতার পর যখন বঙ্গবন্ধু দেশের হাল ধরেন, তখন বাংলাদেশের রিজার্ভ ছিল শূন্য। স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে বাংলাদেশ শূন্য রিজার্ভ থেকে ঘুরে দাঁড়িয়েছিল। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বর্তমান পরিস্থিতি থেকেও বাংলাদেশ ঘুরে দাঁড়াবে। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব কাজী ওয়াছি উদ্দিন বলেন, রাজউককে সঠিক কর্মপরিকল্পনার মাধ্যমে রাজধানীর উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করতে হবে। সভাপতির বক্তব্যে রাজউকের চেয়ারম্যান আনিছুর রহমান মিঞা বলেন, উন্নয়নশীল দেশের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে বিশদ অঞ্চল পরিকল্পনা (ড্যাপ) বাস্তবায়ন হচ্ছে। ২০৪১ সালে উন্নত বাংলাদেশ পৌঁছাতে রাজউকের কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। আর উন্নত বাংলাদেশের রাজধানীকে সাজাতে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।  এ সময় রাজউকের সদস্য (উন্নয়ন) মেজর সামসুদ্দীন আহমদ চৌধুরী (অব.), প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদ মো. আশরাফুল ইসলামসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
২৫ জানুয়ারি, ২০২৪

স্বতন্ত্র প্রার্থীর বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করলেন গণপূর্তমন্ত্রী
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রচারে আপত্তিকর বক্তব্যের অভিযোগে আদালতে স্বতন্ত্র প্রার্থী ফিরোজুর রহমান ওলিওর বিরুদ্ধে শতকোটি টাকার মানহানি মামলা করেছেন গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী। গত বৃহস্পতিবার বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া যুগ্ম জেলা জজ নজরুল ইসলামের আদালতে এ মামলা হয়েছে। আগামী রোববার এ মামলায় শুনানি করবেন আদালত। ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ (সদর-বিজয়নগর) আসনের এমপি নবনিযুক্ত গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী বাদী হয়ে এ মামলা করেছেন। বাদীর আইনজীবী আবদুল জব্বার মামুন জানান, গত ২৬ ডিসেম্বর সদর উপজেলার সুহিলপুরে ফিরোজুর রহমান নির্বাচনী এক সভায় উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে মিথ্যা বক্তব্য দিয়েছেন। তার ওই আপত্তিকর বক্তব্যে র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীর সম্মানহানি হয়েছে। তাই ফিরোজুর রহমানকে তার আপত্তিকর বক্তব্য প্রত্যাহার করে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতে গত ২৮ ডিসেম্বর থেকে পরপর তিনটি নোটিশ পাঠানো হয়। কিন্তু তিনি সেই নোটিশ আমলে নেননি। তাই উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীর সম্মানহানি করায় আদালতে শতকোটি টাকার ক্ষতির মামলা করা হয়েছে। এ বিষয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী ফিরোজুর রহমান জানান, বিষয়টি আইনিভাবে মোকাবিলা করা হবে।
১৩ জানুয়ারি, ২০২৪

মন্ত্রী হয়েই প্রতিদ্বন্দ্বীর নামে করলেন শতকোটি টাকার মানহানি মামলা
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রচারকালে স্বতন্ত্র প্রার্থী ফিরোজুর রহমান আপত্তিকর বক্তব্য দিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এ অভিযোগে আদালতে তার বিরুদ্ধে শতকোটি টাকার মানহানি মামলা দায়ের করা হয়েছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ (সদর-বিজয়নগর) আসনের সংসদ সদস্য এবং গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী বাদী হয়ে এই মামলা দায়ের করেন।  বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া যুগ্ম জেলা জজ নজরুল ইসলামের আদালতে এই মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। আগামী রোববার (১৪ জানুয়ারি) আদালত এই মামলায় শুনানি করবেন৷ বাদীর আইনজীবী আব্দুল জব্বার মামুন জানান, গত ২৬ ডিসেম্বর সদর উপজেলার সুহিলপুরে ফিরোজুর রহমান নির্বাচনী এক সভায় উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে মিথ্যা বক্তব্য দিয়েছেন। তার ওই আপত্তিকর বক্তব্যে র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীর সম্মানহানি হয়েছে। তাই ফিরোজুর রহমানকে তার আপত্তিকর বক্তব্য প্রত্যাহার করে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতে গত ২৮ ডিসেম্বর থেকে তাকে পর পর তিনটি নোটিশ পাঠানো হয়। কিন্তু তিনি সেই নোটিশ আমলে নেননি। তাই র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীর সম্মানহানি করায় আদালতে শত কোটি টাকার ক্ষতির মামলা দায়ের করা হয়েছে। আগামী রোববার আদালত এই মামলায় শুনানি করবেন৷ এ বিষয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী ফিরোজুর রহমান বলেন, বিষয়টি আইনিভাবে মোকাবিলা করা হবে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ (সদর ও বিজয়নগর) আসনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী হিসেবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী। মোকতাদির চৌধুরী ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি। তিনি এই আসন থেকে চতুর্থবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এর আগে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ আসন থেকে কেউই পূর্ণ মন্ত্রী হননি। এই আসন থেকে প্রথমবারের মতো পূর্ণ মন্ত্রী হন মোকতাদির। ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ আসনে এবারের নির্বাচনে ১ লাখ ৫৮ হাজার ৮৭২ ভোট পেয়ে জয়ী হন তিনি। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী আওয়ামী লীগ নেতা সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ফিরোজুর রহমান ৬৪ হাজার ৩৭ ভোট পান।
১২ জানুয়ারি, ২০২৪
X