আশার বাণীতে শেষ হলো বিটিআরসির গণশুনানি
গ্রাহক এবং টেলিকম খাত সংশ্লিষ্টদের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে সমাধানের আশ্বাস ও আশার বাণীতে শেষ হলো বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) গণশুনানি। গতকাল বুধবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিটিআরসি কার্যালয়ে এই গণশুনানি অনুষ্ঠিত হয়। বিটিআরসি চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মহিউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি উপস্থিত ছিলেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। খিলগাঁওয়ের ব্যবসায়ী মুন্সি আমানুর রহমান স্থানীয় প্রভাবশালীদের কারণে পছন্দের ব্রডব্যান্ড সংযোগ নিতে পারছেন না বলে অভিযোগ করেন। এর জবাবে কমিশনের ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড অপারেশন্স বিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল কাজী মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, বিটিআরসি এ-সংক্রান্ত অভিযোগ পেলে অবৈধ ইন্টারনেট সেবা প্রদানকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করে থাকে। আমিনুল ইসলাম নামে ঢাকার এক শিক্ষার্থী বলেন, তরঙ্গ বরাদ্দের পরও অপারেটরগুলো যথাসময়ে রোলআউট না করায় গ্রাহকরা মানসম্মত সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এ বিষয়ে স্পেকক্ট্রাম বিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান জুয়েল বলেন, অপারেটরদের যথাসময়ে তরঙ্গ রোলআউটের নির্দিষ্ট কিছু লক্ষ্যমাত্রা দেওয়া হয়েছে, যা বাস্তবায়ন হলে মোবাইল নেটওয়ার্কের মান বাড়বে। ঝিনাইদহ থেকে জুম প্ল্যাটফর্মে অংশ নিয়ে ইমরান হোসেন প্রত্যন্ত এলাকার সিমের মালিকানা পরিবর্তন, এমএনপিসহ সব টেলিযোগযোগ সেবা এজেন্ট পয়েন্টের মাধ্যমে গ্রহণের সুবিধা চালুর বিষয়ে মতামত ব্যক্ত করেন। এ বিষয়ে সিস্টেমস অ্যান্ড সার্ভিসেস বিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ খলিল উর রহমান বলেন, সিমের মালিকানা পরিবর্তন ও এমএনপির জন্য গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য যাচাইয়ের প্রয়োজন হয়, যা এজেন্ট পয়েন্টের মাধ্যমে সম্ভব হয় না। ভবিষ্যতে মোবাইল অপারেটর সংক্রান্ত সব সেবা অনলাইনে আনতে ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেন তিনি। প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ডিজিটাল কানেক্টিভিটি, সারা দেশে সুলভ মূল্যে ইন্টারনেট সেবা পৌঁছানো, রাজস্ব আদায়, কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও প্রযুক্তি শিল্প বিকাশে বিটিআরসির অসামান্য ভূমিকা রয়েছে। বর্তমান চাহিদা এবং ভবিষ্যতের প্রয়োজনীয়তা বিবেচনা করে আধুনিক ও ভবিষ্যৎমুখী টেলিযোগাযোগ আইন প্রণয়ন করা হচ্ছে। টেলিযোগযোগ আইন-২০১০-এর সর্বশেষ সংশোধনী অনুসারেই বিটিআরসির কর্মপরিধি এবং দায়িত্ব নির্ধারিত থাকবে। ফাইভ-জি নেটওয়ার্কের জন্য যেসব তরঙ্গ বরাদ্দ হয়েছে সেটা যাতে ফোর-জি সেবার মানোন্নয়নে ব্যবহার হয় সে বিষয়ে বিটিআরসিকে উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানান তিনি। সভাপতির বক্তব্যে বিটিআরসির চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন আহমেদ পরবর্তী গণশুনানি রাজশাহী বিভাগে অনুষ্ঠিত হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। গণশুনানিতে অংশে নিতে নিবন্ধন করেছেন ৩ হাজার ২৫ জন, যা ২০২২ সালের তুলনায় প্রায় চারগুণ বেশি।
০৯ মে, ২০২৪

আশার বাণীতে শেষ হলো বিটিআরসির গণশুনানি
গ্রাহক এবং টেলিকম খাত সংশ্লিষ্টদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে সমাধানের আশ্বাস ও আশার বাণীতে শেষ হলো বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) আয়োজিত গণশুনানি।  বুধবার (৮ মে) রাজধানীর আগারগাঁওস্থ বিটিআরসি কার্যালয়ে স্বশরীরে এবং অনলাইনে এই গণশুনানি অনুষ্ঠিত হয়। বিটিআরসি চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মহিউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।  খিলগাঁওয়ের ব্যবসায়ী মুন্সি আমানুর রহমান স্থানীয় প্রভাবশালীদের কারণে পছন্দের ব্রডব্যান্ড সংযোগ নিতে পারছেন না বলে অভিযোগ করেন। এর জবাবে কমিশনের ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড অপারেশন্স বিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল কাজী মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, বিটিআরসি এ সংক্রান্ত অভিযোগ পেলে অবৈধ ইন্টারনেট সেবা প্রদানকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করে থাকে।  আমিনুল ইসলাম নামে ঢাকার এক শিক্ষার্থী বলেন, তরঙ্গ বরাদ্দের পরও অপারেটরগুলো যথাসময়ে রোলআউট না করায় গ্রাহকরা মানসম্মত সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। এ বিষয়ে স্পেকক্ট্রাম বিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান জুয়েল বলেন, অপারেটরদেরকে যথাসময়ে তরঙ্গ রোলআউটের নির্দিষ্ট কিছু লক্ষ্যমাত্রা দেওয়া হয়েছে যা বাস্তবায়ন হলে মোবাইল নেটওয়ার্কের মান বাড়বে। ঝিনাইদহ থেকে জুম প্লাটফর্মে অংশ নিয়ে ইমরান হোসেন প্রত্যন্ত এলাকার সিমের মালিকানা পরিবর্তন, এমএনপিসহ সকল টেলিযোগযোগ সেবা এজেন্ট পয়েন্টের মাধ্যমে গ্রহণের সুবিধা চালুর বিষয়ে মতামত ব্যক্ত করেন। এ বিষয়ে সিস্টেমস এন্ড সার্ভিসেস বিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ খলিল-উর-রহমান বলেন, সিমের মালিকানা পরিবর্তন ও এমএনপির জন্য গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য যাচাইয়ের প্রয়োজন হয় বিধায় তা এজেন্ট পয়েন্টের মাধ্যমে সম্ভব হয় না। ভবিষ্যতে মোবাইল অপারেটর সংক্রান্ত সকল সেবা যাতে অনলাইনে নিয়ে আসা যায় সে বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেন তিনি। প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ডিজিটাল কানেক্টিভিটি,  সারাদেশে সুলভ মূল্যে ইন্টারনেট সেবা পৌঁছানো, রাজস্ব আদায়, কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং প্রযুক্তি শিল্প বিকাশে বিটিআরসির অসামান্য ভূমিকা রয়েছে। বর্তমান চাহিদা এবং ভবিষ্যতের প্রয়োজনীয়তা বিবেচনা করে আধুনিক ও ভবিষ্যতমূখী টেলিযোগাযোগ আইন প্রণয়ন করা হচ্ছে। টেলিযোগযোগ আইন-২০১০ এর সর্বশেষ সংশোধনীর অনুসারেই বিটিআরসির কর্মপরিধি এবং দায়িত্ব নির্ধারিত থাকবে। ফাইভ-জি নেটওয়ার্কের জন্য যেসব তরঙ্গ বরাদ্দ হয়েছে সেটা যাতে ফোর-জি সেবার মানোন্নয়নে ব্যবহার হয় সে বিষয়ে বিটিআরসিকে উদ্যোগ নেওয়ার আহবান জানা তিনি।  সভাপতির বক্তব্যে গণশুনানিতে অংশগ্রহণকারী সকলকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানিয়ে বিটিআরসি’র চেয়ারম্যান প্রকৌ: মো. মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, বিটিআরসির সকল কার্যক্রম পরিচালিত হয় জণগণের মানসম্মত সেবা নিশ্চিতের জন্য। সেবার মান উন্নয়নের ক্ষেত্রে গণশুনানি মাধ্যমে প্রাপ্ত গঠনমূলক পরামর্শ ভবিষ্যতে সিদ্ধান্ত ও কার্যক্রম গ্রহণে গুরুত্বপূর্ণ্য ভূমিকা পালন করে। কমিশনের পরবর্তী গণশুনানি রাজশাহী বিভাগে অনুষ্ঠিত হবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।    উল্লেখ্য, গণশুনানিতে অংশে নিতে নিবন্ধন করেছেন তিন হাজার ২৫ জন যা ২০২২ সালের তুলনায় প্রায় চারগুণ বেশি। গণশুনানিতে নিবন্ধিত অংশগ্রহণকারী ছাড়াও উপস্থিত গ্রাহকরা টেলিযোগাযোগ সেবা সর্ম্পকে তাদের প্রশ্ন উপস্থাপন করেন।
০৮ মে, ২০২৪

চট্টগ্রাম বিভাগীয় কন্ট্রোলার অব অ্যাকাউন্টসের গণশুনানি
এখন মাসের শুরুতেই প্রথম কর্মদিবসের মধ্যে বেতন পাচ্ছেন সরকারি কর্মচারী এবং পেনশনাররা। এমন তথ্য জানিয়েছেন অতিরিক্ত হিসাব মহানিয়ন্ত্রক (প্রশাসন) এএইচএম শামসুর রহমান। রোববার (৫ মে) সকাল সাড়ে ১০টায় চট্টগ্রাম বিভাগের ডিভিশনাল কন্ট্রোলার অব অ্যাকাউন্টস কার্যালয়ে গণশুনানিকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ মন্তব্য করেন তিনি।  জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল কর্ম-পরিকল্পনা (২০২৩-২৪) এর আওতায় শুদ্ধাচার প্রতিষ্ঠা ও দুর্নীতি প্রতিরোধে সহায়ক কার্যক্রমের অংশ হিসেবে এ আয়োজন করা হয়। গণশুনানিতে তিনি সেবাগ্রহীতাদের বিভিন্ন মতামত মনোযোগ সহকারে শুনেন এবং সেবাগ্রহীতাদের গঠনমূলক পরামর্শ বাস্তবায়নের আশ্বাস দেন। শামসুর রহমান বলেন, গণশুনানির মাধ্যমে সেবা প্রদানকারী ও সেবাগ্রহীতাদের মধ্যে সম্পর্ক সুদৃঢ় হয়। স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে হিসাব মহানিয়ন্ত্রক কার্যালয় অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে। মাসের প্রথম কর্মদিবসে সরকারি কর্মচারীরা এখন ইএফটির মাধ্যমে বেতন পাচ্ছেন। পেনশনারদের কষ্ট লাঘবে ওয়ান স্টপ সার্ভিস প্রদান করা হচ্ছে। এতে সেবাগ্রহীতাদের সুযোগ অনেক বেড়েছে। বর্তমানে ৮ লাখ পেনশনাররা ইএফটির মাধ্যমে মাসের প্রথম কর্মদিবসে পেনশন পেয়ে থাকেন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন অর্থ মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মোহাম্মদ ইকতিদার আলম। চট্টগ্রাম বিভাগের ডিভিশনাল কন্ট্রোলার অব অ্যাকাউন্টস এসএম মনজুর আহমেদ অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন। অফিসের সার্বিক কর্মকাণ্ডের ওপর প্রেজেন্টেশন করেন ডেপুটি ডিভিশনাল কন্ট্রোলার অব অ্যাকাউন্টস জিনিয়া আকতার সুপতা। গণশুনানিতে চট্টগ্রাম ৯ এপিবিএনের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. ইকবাল হোসেন, ফৌজদারহাটের বিআইডিআইডির পরিচালক ডা. মো. সাখাওয়াত উল্লাহ, বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ের সিনিয়র সহকারী কমিশনার নীলুফা ইয়াসমিন চৌধুরী, রেলওয়ে পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার উর্মি দেব, বাংলাদেশ কোস্টগার্ডের সরবরাহ কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট এম নিজাম উদ্দিন, পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক নাজনীন সুলতানা নীপা, পরিবহন অডিট অধিদপ্তরের উপপরিচালক মোহাম্মদ মোহসেনুল আলম, সমাজসেবা অফিসার অভিজিৎ সাহা, পেনশনারদের মধ্যে অধ্যক্ষ প্রফেসর মুহাম্মদ এনামুর রশীদ চৌধুরী, সাইফুদ্দিন খালেদ চৌধুরী, এসএম খালেদ, এবিএম ওয়াজি উল্লাহ চৌধুরী, সুনীল কান্তি ঘোষ এবং সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
০৬ মে, ২০২৪

গাজীপুরে বিআরটি প্রকল্প নিয়ে গণশুনানি
নগরে ছন্দময় পথচলার অঙ্গীকার নিয়ে যাত্রা শুরু করতে যাচ্ছে দেশের প্রথম বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) প্রকল্প। গতকাল বুধবার জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে প্রকল্পটির অগ্রগতি ও সম্ভাবনা এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের চাহিদা বাস্তবায়ন নিয়ে গণশুনানি অনুষ্ঠিত হয়। যানজট নিরসনে গাজীপুরের শিববাড়ি থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত ২০ দশমিক ৫ কিলোমিটার বিআরটি প্রকল্প বাস্তবায়ন হচ্ছে। গণশুনানি অনুষ্ঠানে যোগ দেন সড়ক ও সেতু বিভাগের অতিরিক্ত সচিব একেএম শামীম আক্তার। এতে গাজীপুর জেলা প্রশাসক আবুল ফাতে মোহাম্মদ সফিকুল ইসলাম, গাজীপুর সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলমসহ বিআরটি প্রকল্পের শীর্ষ কর্মকর্তা, নগর পরিকল্পনাবিদ, শিক্ষাবিদ ও স্থানীয় সাংবাদিকরা অংশগ্রহণ করেন। গণশুনানিতে আয়োজকরা জানান, সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী ডিসেম্বরে চালু হচ্ছে বিআরটি প্রকল্প। এতে ২৫টি স্টেশনের মাধ্যমে যাত্রীরা ৩০-৪০ মিনিটে বিমানবন্দরে যেতে পারবেন। বিআরটি লেনে কোনো সিগন্যাল বা ক্রসিং থাকবে না। তবে শুনানিতে অংশ নেওয়া বক্তারা সবচেয়ে দীর্ঘ মেয়াদের এ প্রকল্প নিয়ে নানা অসংগতি তুলে ধরেন। এতে গণপরিবহন ব্যবস্থায় তেমন উন্নতি ঘটবে না বলে মত দেন তারা। এ ছাড়া সরু লেন, ফুটপাত না থাকা এবং প্রকল্পের ডিজাইনের বিভিন্ন ত্রুটির কথা উল্লেখ করা হয়। এ সময় গাজীপুর সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, এ প্রকল্পের মাধ্যমে গাজীপুরবাসীকে পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। আগে কাকলি, বনানী যেতে ৪০ মিনিট সময় লাগত, এখন এই প্রকল্পে বিমানবন্দরে যেতে লাগবে ৪০ মিনিট। এ সময় তিনি সার্ভিস সড়ক, ড্রেনেজ ব্যবস্থা, ইউটার্ন নিয়ে অসংগতি ও নকশার বিভিন্ন ত্রুটি নিয়ে এলাকাবাসীর পক্ষে তার বক্তব্য তুলে ধরেন। সমস্যা সমাধানে গণপরিবহন চলাচলের জন্য বিকল্প সড়কের প্রস্তাব দেন তিনি। এ প্রকল্পের কিছু ত্রুটির কথা স্বীকার করে অতিরিক্ত সচিব বলেন, যেসব সমস্যার কথা এখানে আলোচনা হয়েছে সমাধানের জন্য সেগুলোর সারসংক্ষেপ সরকারের কাছে উপস্থাপন করা হবে। গণশুনানিতে বিআরটি প্রকল্প বাস্তবায়নে জেলা প্রশাসন, মহানগর পুলিশ, গাজীপুর সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষকে সঙ্গে নিয়ে সমন্বিতভাবে কাজ করার তাগিদ দেওয়া হয়।
২৮ মার্চ, ২০২৪

বিদ্যুৎ গ্রাহকদের নিয়ে নেসকোর গণশুনানি
দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে বিদ্যুৎ গ্রহকদের নিয়ে গণশুনানি হয়েছে। নর্দান ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানি লিমিটেড (নেসকো) পিএলসির উদ্যোগে বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) গ্রাহক সেবার মান উন্নয়নের লক্ষ্যে এ গণশুনানি হয়। সকাল ১০টায় নেসকো ফুলবাড়ী কার্যালয়ের আবাসিক প্রকৌশলীর কার্যালয়ে নেসকোর বিভিন্ন পর্যায়ের বিদ্যুৎ গ্রাহক, জনপ্রতিনিধি, সরকারি কর্মকর্তা, গণমাধ্যমকর্মীরা এতে অংশ নেন।  অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে গ্রাহকদের কাছ থেকে সেবার মান উন্নয়ন কল্পে পরামর্শ এবং বিভিন্ন পর্যায়ের অভিযোগ শোনেন নর্দান ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানি লিমিটেড (নেসকো) পিএলসির দিনাজপুর সার্কেলের পরিচালন ও সংরক্ষণ বিভাগের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. ফরিদুল হাসান। এ সময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মীর মো. আল কামাহ্ তমাল, দিনাজপুর বিদ্যুৎ বিতরণ বিভাগ-২ নেসকোর ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী প্রকৌশলী স্পন্দন বসাক, নেসকোর ফুলবাড়ী উপজেলা আবাসিক প্রকৌশলী মো. রুবেল ইসলাম হাওলাদার, পৌর কাউন্সিল শাহানুর রহমান, ফুলবাড়ী প্রেস ক্লাবের সাংগঠনিক সম্পাদক প্লাবন শুভ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। উন্মুক্ত আলোচনায় ফুলবাড়ী প্রেস ক্লাবের সাংগঠনিক সম্পাদক প্লাবন শুভ ভুতুরে বিলের বিষয়ে প্রশ্নের জবাবে নর্দান ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানি লিমিটেড (নেসকো) পিএলসির দিনাজপুর সার্কেলের পরিচালন ও সংরক্ষণ বিভাগের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. ফরিদুল হাসান বলেন, এটি একটি চক্রান্ত। আমাদের থেকে কোনো সুবিধা না পেয়ে কে বা কারা এ ধরনের মিথ্যা অপপ্রচার চালিয়ে গ্রাহককে বিভ্রান্ত করছে। আমরা ওই কুচক্রিমহলের বিরুদ্ধে আইনিব্যবস্থা গ্রহণ করছি। ইতোমধ্যে থানায় সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে। তবে বিদ্যুৎ বিল একটিও যাচাই না করে করা হয় না। এ বিষয়ে সবাইকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দেন তিনি।
১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

গণশুনানি তুলে দেওয়া হয়েছে লুটপাটের জন্য
লুটপাটের সুবিধার জন্যই বিদ্যুৎ-জ্বালানি খাতে দাম বৃদ্ধির গণশুনানি তুলে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিশেষজ্ঞরা। গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর একটি হোটেলে সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগের (সিপিডি) বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সম্পর্কিত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা : ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জাতীয় বাজেটে প্রস্তাবিত পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনায় ওই খাতের নানা অনিয়ম-অব্যবস্থাপনা উঠে আসে। আলোচনায় জ্বালানি বিশেষজ্ঞ এম সামসুল আলম বলেন, আইন পরিবর্তন করে গণশুনানি তুলে দেওয়া হয়েছে। যাতে আমরা বলতে না পারি কত হাজার কোটি টাকা কোথায় চুরি হয়েছে। কোথায় লুটপাট হয়েছে, কীভাবে হয়েছে তা জানতে যেন না পারি। আর দাম বাড়াতে কোম্পানিগুলোকে এখন আর বিইআরসিতে আসা লাগে না। তারা নিজেরাই নিজেদের পণ্যের দাম নির্ধারণ করে। সরকার জ্বালানি খাতে আইন করার মাধ্যমে একনায়কতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, যা দাম নির্ধারণ করা হয়েছে, সে দামে আমাদের কিনতে হবে। এত বড় অবিচার ভূ-ভারতে কোথাও আছে বলে জানা নেই। ২০২২ সালে বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর সময় দেখা গেল, জ্বালানি উন্নয়ন ফান্ডের ৬৫ শতাংশ ব্যয় হয়নি। ৩৫ শতাংশ জ্বালানি কোথায় কীভাবে ব্যয় করেছে সেটা কেউ বলতে পারছে না। জ্বালানি নিরাপত্তা তহবিল, বিদ্যুৎ উন্নয়ন তহবিলে টাকা দিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এগুলো না দিলে গ্যাস-বিদ্যুতের দাম কমত। আমাদের টাকার ওপর সুদ নেওয়া হচ্ছে। এভাবে আমরা ঠকছি। আলোচনায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সিপিডির গবেষণা পরিচালক ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম। তিনি বলেন, গত এক বছরে লোডশেডিংয়ের পরিমাণ বেড়েছে। সর্বোচ্চ ২ হাজার ৫০০ মেগাওয়াট ও সম্প্রতি প্রায় ২ হাজার মেগাওয়াট লোডশেডিং হচ্ছে। কোথাও ১০ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে বিদ্যুৎ থাকছে না। আপনারা হয়তো আজ, কাল দেখবেন না। আবহাওয়া পরিস্থিতির উন্নতি হলে দেখবেন না। কিন্তু আমাদের অনুমান হচ্ছে, এই লোডশেডিং সহজে যাবে না। আরও বেশ কিছু সময় থাকবে বলে আমাদের আশঙ্কা। বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো প্রায় বন্ধ থাকছে। আইপিপিগুলোর কাছে ২০ হাজার কোটি টাকার মতো পাওনা রয়ে গেছে। এ মুহূর্তে আমাদের জেনারেশন ক্যাপাসিটি রয়েছে ২৭ হাজার ৩৬১ মেগাওয়াট। এর মধ্যে অনগ্রিডে ২৪ হাজার আর অফগ্রিডে প্রায় ৩ হাজার মেগাওয়াট। এই বড় ক্যাপাসিটিটাই এখন মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। যার পুরোটাই প্রায় আমদানিনির্ভর জ্বালানি। সরকারের নীতির বাইরে কয়লাভিত্তিক জ্বালানির আমদানি বাড়ছে। সিপিডির নিবন্ধে বলা হয়, চলমান সংকট থেকে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাত কোনো শিক্ষা নেয়নি। এটি এখনো ভুল পথে এগোচ্ছে। দেশীয় গ্যাস অনুসন্ধানে জোর না দিয়ে এলএনজি আমদানিনির্ভরতা বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ আরও দুর্বল করে দিতে পারে। শুধু আইএমএফের পরামর্শ মেনে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের সংকট সমাধান হবে না। এতে শুধু ভর্তুকি সমন্বয়ের নামে ভোক্তার ওপর বাড়তি দাম চাপতে পারে। আইএমএফের পরামর্শের পাশাপাশি আরও অনেক সংস্কার করতে হবে। ভূতত্ত্ববিদ বদরুল ইমাম বলেন, দেশে জ্বালানির মূল জোগান আসে গ্যাস থেকে। গ্যাস অনুসন্ধান চালিয়ে গেলে বর্তমান সংকট তৈরি হওয়ার কথা নয়। গ্যাস অনুসন্ধানে অবহেলা করা হয়েছে। আসলে ইচ্ছাকৃতভাবে এমন গ্যাস সংকট তৈরি করা হয়েছে। এতে এলএনজি আমদানি বাড়তেই থাকবে। বুয়েটের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক ইজাজ হোসেন বলেন, সমস্যা হচ্ছে জ্বালানি খাতে, বাজেটে বরাদ্দ বাড়ছে বিদ্যুৎ খাতে। গত বছর সংকটে পড়ে গ্যাস অনুসন্ধান বাড়ানোর কথা বলা হয়েছিল সরকারের পক্ষ থেকে। এখন বিশ্ববাজারে কয়লা, এলএনজি ও জ্বালানি তেলের দাম কম। তাই সরকার আবার আমদানির দিকেই ঝুঁকছে। জ্বালানির নিশ্চয়তা না নিয়ে একের পর এক বিদ্যুৎকেন্দ্র করা হয়েছে। এগুলো তো যে কোনো আইনে অবৈধ হওয়ার কথা। এফবিসিসিআইর সিনিয়র সহসভাপতি মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবু বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে দ্রুত বিদ্যুৎ দিতে পারায় শিল্পায়ন বেড়েছে। এখন ব্যবসায়ীদের কাছে পরিস্থিতি অন্ধকার, বিদ্যুৎ নেই।
২৩ জুন, ২০২৩
X