চাচিকে গলা কেটে হত্যাচেষ্টায় যুবক গ্রেপ্তার 
চট্টগ্রামের সন্দ্বীপে পলিন বেগম নামে এক গৃহবধূকে গলা কেটে হত্যাচেষ্টা চালানো হয়েছে। এ ঘটনায় গৃহবধূর ভাসুরের ছেলে ফরহাদকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।  রবিবার (১৯ মে) বেলা ১১টায় উপজেলার গাছুয়া ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের নুর মিয়া পাটোয়ারির বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। আহত গৃহবধূ পলিন বেগম নুর মিয়া পাটোয়ারির বাড়ির রিপনের স্ত্রী। গ্রেপ্তার ফরহাদ পলিন বেগমের ভাসুর বেলালের ছেলে।  এ ঘটনায় দায়ের করা মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ৬ বছর আগে সন্তোষপুর ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের রিপনের সঙ্গে গাছুয়া ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের পলি বেগমের পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। পলি বেগমকে তার ভাসুর বেলালের ছেলে ফরহাদ গত দুই বছর ধরে কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিল। রোববার সকালে বৃষ্টির সময় একা থাকার সুযোগ পেয়ে পুনরায় কুপ্রস্তাব দেয়। তার প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় ফরহাদ তার চাচি পলিকে ধারালো ছুরি দিয়ে গলা কেটে পালিয়ে যায়। পলি বেগমের চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন এসে তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। পরে অবস্থার অবনতি হলে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন চিকিৎসকরা। সন্তোষপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মহিউদ্দিন জাফর বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যাই। হত্যাচেষ্টার কারণ এখনো জানা যায়নি। ঘটনার পর আসামি যাতে পালাতে না পারে সন্দ্বীপের সকল নৌঘাটে লোকজনকে পাঠিয়ে দেই। তিনি বলেন, এ ঘটনায় পলি বেগমের মা নিলুফা বেগম বাদী হয়ে সন্দ্বীপ থানায় একটি মামলা করেছেন। সন্দ্বীপ থানার পুলিশ স্থানীয় জনতার সহায়তায় রবিবার বিকেলে গাছুয়া ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ড থেকে অভিযুক্ত ফরহাদকে গ্রেপ্তার করে। সন্দ্বীপ থানার ওসি কবির হোসেন কালবেলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, এটি একটি মর্মান্তিক ঘটনা। ভুক্তভোগীর মা থানায় মামলা করেছে। আমরা অভিযান চালিয়ে অভিযুক্তকে আটক করেছি।
২০ মে, ২০২৪

প্রধান শিক্ষকের গলা টিপে হত্যার হুমকি
রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলার চন্দ্রঘোনার ডংনালা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে গলা টিপে হত্যার হুমকি দিয়েছেন ইউপি সদস্য উচহলা মারমা। বৃহস্পতিবার (৯ মে) রাত ৯টার দিকে অভিযুক্ত ইউপি সদস্য উচহলা মারমাকে (৪০) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। চন্দ্রঘোনা থানা সূত্রে জানা যায়, গত বুধবার দুপুরে ডংনালা উচ্চ বিদ্যালয়ে একটি মধ্যাহ্নভোজের আয়োজন করে বিদ্যালয়টির সদ্য এমপিওভুক্ত হওয়া এক নারী পরিচ্ছন্নতাকর্মী। সেই খাবার আয়োজনে দাওয়াত দেওয়া হয়নি অভিযুক্ত ইউপি সদস্য ও ডংনালা উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতি উচহলা মারমাকে। এ কারণে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় বিদ্যালয়ে ক্লাস চলাকালীন প্রধান শিক্ষক মিথুন কান্তি সাহার (৫৭) অফিসে যান। এ সময় শিক্ষককে আটক করে জোরপূর্বক স্বীকারোক্তি আদায় করে ও হত্যার উদ্দেশ্যে গলা টিপে ধরেন। সেই সঙ্গে প্রধান শিক্ষকের মুখে চড়-থাপ্পড় দিয়ে আলমামির চাবি  নেন। প্রধান শিক্ষকের অফিস কক্ষে আরও ৬ শিক্ষক এবং বিদ্যালয় কমিটির আরও ৩ সদস্য উপস্থিত ছিলেন। এদিকে অভিযুক্ত ইউপি সদস্য ও পরিচালনা কমিটির সভাপতির এমন আচরণে সবাই হতভম্ব হয়। পরে অভিযুক্ত ইউপি সদস্য বিদ্যালয়ের রান্নাবিষয়ক ক্লাসের হাঁড়িপাতিল নিয়ে যান। এ সময় তিনি তার কথামতো বিদ্যালয় পরিচালনা করতে হবে বলে প্রধান শিক্ষককে সতর্ক করেন। না হলে বিদ্যালয় ও এলাকাছাড়া করাসহ জানে মেরে ফেলার ও হুমকি দেন। পরে প্রধান শিক্ষক মিথুন সাহা চন্দ্রঘোনা থানায় মামলা দায়ের করার পর অভিযুক্ত ইউপি সদস্য এবং বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি উচহলা মারমাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। মিথুন কান্তি সাহার কালবেলাকে জানান, আমার সঙ্গে ইউপি সদস্য যেই আচরণ করেছে এতে আমি খুব ভেঙে পড়েছি। ঘটনার পর আমি ইউএনও এবং মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারকে জানিয়েছি। তাদের সঙ্গে আলোচনা করে অভিযুক্ত ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছি। বর্তমানে আমি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। আমি এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই। চন্দ্রঘোনা থানার ওসি আনচারুল করিম জানান, এ ঘটনায় অভিযুক্ত ইউপি সদস্য ও ডংনালা উচ্চ বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির সভাপতি উচহলা মারমাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাকে আজ শুক্রবার বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হবে।
১০ মে, ২০২৪

সিগারেটের বাক্সের লোভে ভাতিজার গলা কাটল চাচা
পরনে লাল গেঞ্জি। গলা থেকে ঝরছে রক্ত। করুণ অবস্থায় ১১ বছরের শিশু শফিকুল কাতরাচ্ছিল চট্টগ্রাম নগরের ফয়’স লেক এলাকার একটি পরিত্যক্ত ভবনে। রক্তাক্ত শরীরে তার চেহারায় ভাসছিল বাঁচার আকুতি। খবর পেয়ে ছুটে যান স্থানীয়রা। উদ্ধার করে নেওয়া হয় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে। শিশুর বর্ণনায় জানা গেছে, যারা হত্যাচেষ্টা করেছেন তারা সম্পর্কে তার চাচা হন। পরে শফিকুলকে হত্যাচেষ্টাকারীদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ।  বুধবার (৮ মে) দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়।  গ্রেপ্তার আসামিরা হলেন- মো. সুমন ও রেজাউল করিম। সর্ম্পকে তারা দুজনই শফিকুলের চাচা।  এর আগে মঙ্গলবার (৭ মে) ফয়’স লেক বধ্যভূমি এলাকার একটি পরিত্যক্ত ভবন থেকে গলা কাটা অবস্থায় শফিকুলকে উদ্ধার করা হয়। খুলশী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) নুরুল আবছার কালবেলাকে বলেন, গলায় একটি বাক্স ঝুলিয়ে ফয়’স লেক এলাকায় পান-সিগারেট বিক্রি করত শফিকুল। এ সিগারেটের বাক্সেই নজর পড়ে সুমন ও রেজাউলের। শফিকুলকে ফুসলিয়ে ফয়’স লেক এলাকার পরিত্যক্ত একটি ভবনে নিয়ে যায় তারা। সেখানে তার কাছ থেকে পান সিগারেটের বাক্সটি কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। দিতে না চাইলে পরে গলায় ধারালো ছুরি দিয়ে আঘাত করে শফিকুলকে সেখানে ফেলে দেওয়া হয়। তিনি বলেন, পরে স্থানীয়রা উদ্ধার করে শফিকুলকে চমেক হাসপাতালে পাঠায়। উদ্ধারের সময় কারা হত্যাচেষ্টা চালিয়েছে তা জানায় শিশুটি। এ সময় স্থানীয়দের কয়েকজন ভিডিও ধারণ করে। সেই ভিডিওর সূত্র ধরে জড়িতদের গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয় পুলিশ। এসআই নুরুল আবছার আরও বলেন, স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পেয়ে শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। উদ্ধারের সময় শিশুটি সুমন-রেজাউলের নাম বলেছে। তারা সম্পর্কে চাচা-ভাতিজা। তিনজনই শিশু-কিশোর। গ্রেপ্তারের পর তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
১০ মে, ২০২৪

উখিয়ায় রোহিঙ্গা যুবককে গলা কেটে হত্যা
কক্সবাজারের উখিয়ায় রোহিঙ্গা শিবিরের এক যুবককে গলা কেটে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। রোববার (৫ মে) ভোরে রোহিঙ্গা ক্যাম্প-১৮ এর ব্লক-এম ১৭ রেড ক্রিসেন্ট অফিস সংলগ্ন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত রোহিঙ্গা যুবকের নাম নূর কালাম (২৯)। তিনি উখিয়ার ক্যাম্প ১৯ ডি/১৪ ব্লকের নূর সালামের ছেলে। বিষয়টি নিশ্চিত করে উখিয়া থানার ওসি মো. শামীম হোসাইন জানান, রোববার সকালে উখিয়া আশ্রয় শিবিরের ক্যাম্প-১৮ এর ব্লক-এম ১৭ রেড ক্রিসেন্ট অফিস সংলগ্ন এলাকা থেকে ক্যাম্প-১৯ ডি/১৪ ব্লকের নূর কালাম নামের এক রোহিঙ্গা যুবকের গলাকাটা লাশ উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, ভোরে একদল রোহিঙ্গা দুষ্কৃতকারী তাকে গলা কেটে হত্যা করে লাশ রেখে চলে গেছে। ওসি আরও বলেন, এ ঘটনার খবর পেয়ে উখিয়া থানা পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেছেন। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। স্থানীয় ইউপি সদস্য ইঞ্জিনিয়ার হেলাল উদ্দিন চৌধুরী জানান, রোহিঙ্গা শিবিরে অপরাধ প্রবণতা আগের চেয়ে বেড়েছে। এমন কোনো অপরাধ নেই, তারা সংঘটিত করছে না। অপরাধী ধরলে কোনো না কোনোভাবে তারা ছাড়া পায়। যার কারণে অপরাধ কমছে না। এপিবিএন পুলিশের অধিনায়ক অতিরিক্ত ডিআইজি মো. আমির জাফর জানিয়েছেন, কারা এবং কেন এই হত্যাকাণ্ড সংঘটিত করেছে তা তদন্ত করা হচ্ছে। জড়িতদের গ্রেপ্তারে অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে পুলিশ। পুলিশের ধারণা, রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী গ্রুপের সদস্যরা নূর কামালকে ধরে নিয়ে গিয়ে হত্যা করেছে।
০৫ মে, ২০২৪

কলহের জেরে নাতিকে গলা কেটে হত্যা করে নানা
বগুড়ায় পারিবারিক কলহের জেরে পাঁচ বছরের নাতি বন্ধন সরকারকে গলা কেটে হত্যা করে নানা সুকুমার দাস। গতকাল শুক্রবার দুপুরে জেলা পুলিশের মিডিয়া মুখপাত্র ও সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শরাফত ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার সুকুমার দাস জানায়, বন্ধনের মায়ের সঙ্গে পারিবারিক বিরোধ চলে আসছিল। গত ১৬ এপ্রিল হরিবাসর উপলক্ষে বন্ধনের মা কাকলী রানী বন্ধন তার মেয়েকে নিয়ে সুকুমারদের বাড়িতে বেড়াতে আসে। তখন থেকেই সুকুমার তার ভাগ্নি কাকলীকে শায়েস্তা করার পরিকল্পনা করে। পরিকল্পনা অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে বন্ধনকে তার শয়ন কক্ষে ডেকে নেয় সুকুমার। পরে সেখানে আগে থেকেই রাখা ধান কাটার কাঁচি দিয়ে বন্ধনকে গলা কেটে হত্যা করে সুকুমার। বন্ধনের চিৎকারে আশপাশের লোকজন এসে সুকুমারকে আটকে রাখে। পুলিশ খবর পেয়ে সুকুমারকে গ্রেপ্তার করে। এর আগে বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সদর উপজেলার নুনগোলার শশীবদনী হিন্দুপাড়া এলাকায় শিশু বন্ধনকে হত্যা করা হয়। নিহত বন্ধন সদরের পীরগাছা বথুয়াবাড়ি এলাকার রবি দাসের ছেলে। গ্রেপ্তার সুকুমার দাস নুনগোলার শশীবদনী হিন্দুপাড়া এলাকার ঝুমুর দাসের ছেলে এবং নিহত বন্ধনের মায়ের মামা। তিনি আরও বলেন, এ ঘটনায় নিহতের বাবা সুকুমারকে আসামি করে হত্যা মামলা করেছেন। শুক্রবার দুপুরে সুকুমারকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। সুকুমারকে অধিকতর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতে রিমান্ড আবেদন করা হবে।
২০ এপ্রিল, ২০২৪

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে গলা কেটে হত্যা
নোয়াখালীর ভাসানচর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে মো. সুলতান নামে এক রোহিঙ্গাকে গলা কেটে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। তবে পুলিশ তাৎক্ষণিক এ হত্যাকাণ্ডের কোনো কারণ জানাতে পারেনি।     নিহত সুলতান (৫৫) ভাসানচর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ৭৮ নং ক্লাস্টারের মৃত মো.আব্দুল আলীর ছেলে। বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) দুপুর ২টার দিকে ভাসানচর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ১১৬ নং ক্লাস্টার থেকে পুলিশ তার মরদেহ উদ্ধার করে। এর আগে, সকাল ৭টা থেকে দুপুর ১২টার মধ্যে একই ক্লাস্টারে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।  বিষয়টি নিশ্চিত করেন ভাসানচর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) নুর হোসেন।  পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সুলতান ভাসানচর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ৭৮নং ক্লাস্টারে বসবাস করতেন। ১১৬নং ক্লাস্টারের খালি জায়গায় তিনি সবজি চাষ করতেন। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৬টায় তার ছেলে তাকে সকালের নাস্তা দিয়ে যান। এরপর দুপুর সোয়া ১টার দিকে একই স্থানে তার ছেলে বাবার জন্য দুপুরের ভাত নিয়ে যান। ভাত নিয়ে গিয়ে বাবাকে দেখতে না পেয়ে তখন ছেলে তার বাবাকে ১১৬নং ক্লাস্টারের বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুজি শুরু করেন। একপর্যায়ে সে তার বাবার গলা কাটা লাশ পড়ে থাকতে দেখে চিৎকার দিলে অন্য ক্লাস্টারের লোকজন এগিয়ে যায়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে।   এসআই নুর হোসেন আরও বলেন, পেছনের দিক থেকে গলা কেটে তাকে হত্যা করা হয়। শুক্রবার সকালে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হবে। পুলিশ হত্যার রহস্য উদঘাটনে চেষ্টা চালাচ্ছে।      
১৮ এপ্রিল, ২০২৪

নাতির গলা কেটে হত্যা করল নানা
বগুড়ায় মায়ের সঙ্গে হরিবাসর অনুষ্ঠানে আসা ৫ বছরের শিশু বন্ধন কুমার দাসকে গলা কেটে হত্যা করেছে তার নানা সুকুমার দাস।  নিহত বন্ধন কুমার দাস গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার খানসামা গ্রামের রবি কুমার দাসের ছেলে। রবি কুমার তার শ্বশুরবাড়ি বগুড়া সদর উপজেলার লাহিড়ীপাড়া ইউনিয়নের পীরগাছা গ্রামে থাকেন।  বন্ধনকে হত্যার পর তার নানা (শিশুটির মা কাকলী রানী দাসের মামা) নিজ ঘরে ঢুকে ভেতর থেকে দরজা বন্ধ করে বসে ছিলেন। পরে পুলিশ গিয়ে তাকে আটক করে।  আটক সুকুমার দাস (২৫) সদর উপজেলার নুনগোলা ইউনিয়নের শশীবদনী গ্রামের ঝুমুর দাসের ছেলে। স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্দুল মজিদ জানান, কাকলী রানী গত মঙ্গলবার তার দিদার (নানি) বাড়ি শশীবদনী গ্রামে ছেলে বন্ধনকে সঙ্গে নিয়ে হরিবাসর অনুষ্ঠানে যান। বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে কাকলীর মামা সুকুমার বন্ধনসহ দুই শিশুকে তার ঘরে ডেকে নিয়ে যায়। এ সময় সে ধান কাটার কাঁচি দিয়ে শিশু বন্ধনের গলায় আঘাত করলে অন্য শিশুটি ভয়ে সেখান থেকে পালিয়ে যায়। পরে গ্রামের লোকজন ওই শিশুর কাছ থেকে বিষয়টি জানার পর গিয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় বন্ধনকে উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসক ওই শিশুকে মৃত ঘোষণা করেন। বগুড়া সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক শাহিনুজ্জামান শাহীন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আটক সুকুমার হত্যার কারণ সম্পর্কে কোনো কিছু জানায়নি। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। নিহত শিশুর লাশ শজিমেক হাসপাতাল মর্গে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। তদন্ত করে এ ব্যাপারে বিস্তারিত জানা যাবে।
১৮ এপ্রিল, ২০২৪

প্রকাশ্যে ইউপি সদস্যকে গুলি ও গলা কেটে হত্যা
নরসিংদীতে প্রকাশ্য দিবালোকে এক ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্যকে প্রথমে গুলি করে ও পরে গলা কেটে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। সোমবার (১৫ এপ্রিল) দুপুর পৌনে ২টার দিকে নরসিংদীর পাঁচদোনা ইউনিয়নের পাকুড়িয়া বাজারে এ ঘটনা ঘটে।  নিহত রুবেল আহাম্মদ ওরফে বডি রুবেল আমদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের ৮নং ওয়ার্ডের সদস্য। তিনি ভৌয়ম গ্রামের শাহজাহান মিয়ার ছেলে।  পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, আমদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের ৮নং ওয়ার্ডের সদস্য রুবেল দুপুরে পাকুড়িয়া বাজারে যান। কাজ শেষে পৌনে ২টার দিকে মোটরসাইকেলে বাড়িতে ফিরছিলেন। ওই সময় প্রাইভেটকারে থাকা একদল দুর্বৃত্ত তাকে লক্ষ্য করে ৬ রাউন্ড গুলি করে। গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর রুবেল মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। পরে দুর্বৃত্তরা তার শরীরের উপরে বসে গলা কেটে মৃত্যু নিশ্চিত করে পালিয়ে যায়। প্রকাশ্য দিবালোকে হত্যার এ খবর ছড়িয়ে পড়লে ঘটনাস্থলে শত শত মানুষ ভিড় জমায়। হত্যাকাণ্ডের পর এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করছে। গোয়েন্দা পুলিশের একটি সূত্র থেকে জানা গেছে, গেল আমদিয়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে রুবেলের সঙ্গে একই ওয়ার্ড থেকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন ইমরুল। ওই সময় দুই প্রার্থীর মধ্যে একধিকবার হামলা-মামলা ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। ওই নির্বাচনে কেন্দ্রে প্রভাব দেখিয়ে রুবেল বিজয়ী হন। এর জেরে এ হত্যাকাণ্ড ঘটতে পারে বলে। মাদবধী থানার এসআই ফজলে রাব্বি ঘটনার সতত্যা নিশ্চিত করে বলেন, হত্যাকাণ্ডের খবর পেয়ে  ইউপি সদস্যের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। এ হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটনে তদন্ত করছে পুলিশ।
১৫ এপ্রিল, ২০২৪

কলেজ শিক্ষককে গলা কেটে ফেলে গেছে দুর্বৃত্তরা
সিরাজগঞ্জের কামারখন্দে শফিকুল ইসলাম ওরফে বাদল নামে এক কলেজ শিক্ষককে গলা কেটে মুমূর্ষু অবস্থায় ফেলে রেখে গেছে দুর্বৃত্তরা। পরে তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। গতকাল শুক্রবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার জামতৈল কলেজপাড়া এলাকায় তার শ্বশুরবাড়ির কাছের একটি পুকুরপাড়ে এ ঘটনা ঘটে। শফিকুল ইসলাম উপজেলার চর কামারখন্দ গ্রামের মৃত মমতাজ উদ্দিন ছেলে এবং চৌবাড়ী ড. সালাম জাহানারা ডিগ্রি কলেজের ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক ছিলেন। তিনি জামতৈল কলেজপাড়ায় তার শ্বশুরবাড়িতে থাকতেন। স্থানীয়রা জানায়, ভোর রাতে বাসার দেয়ালের বাইরে পুকুরপাড়ে কলেজ শিক্ষককে গলা কেটে ফেলে রেখে যায়। তিনি এখনো জীবিত আছেন। ঘটনাস্থলে একটি রক্তাক্ত চাপাতি পাওয়া গেছে। শফিকুল ইসলামের সহকর্মী মনোবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক শীলা প্রামাণিক বলেন, স্যারের অবস্থা আশঙ্কাজনক। রক্ত দেওয়া হচ্ছে। এ ব্যাপারে কামারখন্দ থানার ওসি মো. রেজাউল ইসলাম বলেন, সেহরি খাওয়ার পর পরিবারের অন্য সদস্যরা ঘুমিয়ে পড়লে সকালে শফিকুল ইসলাম বাড়ির পাশে পুকুরে ময়লা ফেলতে গিয়ে আর ফেরেননি। সকালে খোঁজাখুঁজি করতে গেলে ঘটনাস্থলে তাকে গলাকাটা অবস্থায় পাওয়া যায়। এ সময় পরিবারের সদস্য স্থানীয়দের সহযোগিতায় তাকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যান। তিনি এখন ঢাকায় চিকিৎসাধীন। ওসি আরও বলেন, আহত শিক্ষকের গলার সামনের অংশে কাটায় শ্বাসনালির আংশিক কেটে গেছে। কী কারণে এই হত্যাচেষ্টার ঘটনা ঘটেছে, বিষয়টি খতিয়ে দেখে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
০৬ এপ্রিল, ২০২৪

দম্পতিকে গলা কেটে হত্যায় তিনজনের মৃত্যুদণ্ড
চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা শহরের পুরাতন বাজার এলাকার নজির মিয়া (৭০) ও তার স্ত্রী ফরিদা খাতুনকে (৬০) শ্বাসরোধ ও গলা কেটে হত্যার দায়ে তিনজনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাদের প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়। এ মামলায় একজনকে দুই বছরের সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়েছে। চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতের বিচারক মো. মাসুদ আলী জোড়া খুনের ঘটনার ১৮ মাসের মাথায় গতকাল মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় আসামিদের উপস্থিতিতে এ মামলার রায় ঘোষণা করেন। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন আলমডাঙ্গা উপজেলার আসাননগর গ্রামের বজলুর রহমানের ছেলে সাহাবুল হক (২৬), একই গ্রামের পিন্টু রহমানের ছেলে রাজীব হোসেন (২৭) ও মাসুদ আলীর ছেলে বিদ্যুৎ আলী (২৫)। এ ছাড়া দুই বছরের সাজা পেয়েছেন আসাননগর গ্রামের তাহাজ উদ্দিনের ছেলে শাকিল হোসেন (২৫)।
০৩ এপ্রিল, ২০২৪
X