পরনে লাল গেঞ্জি। গলা থেকে ঝরছে রক্ত। করুণ অবস্থায় ১১ বছরের শিশু শফিকুল কাতরাচ্ছিল চট্টগ্রাম নগরের ফয়’স লেক এলাকার একটি পরিত্যক্ত ভবনে। রক্তাক্ত শরীরে তার চেহারায় ভাসছিল বাঁচার আকুতি।
খবর পেয়ে ছুটে যান স্থানীয়রা। উদ্ধার করে নেওয়া হয় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে। শিশুর বর্ণনায় জানা গেছে, যারা হত্যাচেষ্টা করেছেন তারা সম্পর্কে তার চাচা হন। পরে শফিকুলকে হত্যাচেষ্টাকারীদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
বুধবার (৮ মে) দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার আসামিরা হলেন- মো. সুমন ও রেজাউল করিম। সর্ম্পকে তারা দুজনই শফিকুলের চাচা।
এর আগে মঙ্গলবার (৭ মে) ফয়’স লেক বধ্যভূমি এলাকার একটি পরিত্যক্ত ভবন থেকে গলা কাটা অবস্থায় শফিকুলকে উদ্ধার করা হয়।
খুলশী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) নুরুল আবছার কালবেলাকে বলেন, গলায় একটি বাক্স ঝুলিয়ে ফয়’স লেক এলাকায় পান-সিগারেট বিক্রি করত শফিকুল। এ সিগারেটের বাক্সেই নজর পড়ে সুমন ও রেজাউলের। শফিকুলকে ফুসলিয়ে ফয়’স লেক এলাকার পরিত্যক্ত একটি ভবনে নিয়ে যায় তারা। সেখানে তার কাছ থেকে পান সিগারেটের বাক্সটি কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। দিতে না চাইলে পরে গলায় ধারালো ছুরি দিয়ে আঘাত করে শফিকুলকে সেখানে ফেলে দেওয়া হয়।
তিনি বলেন, পরে স্থানীয়রা উদ্ধার করে শফিকুলকে চমেক হাসপাতালে পাঠায়। উদ্ধারের সময় কারা হত্যাচেষ্টা চালিয়েছে তা জানায় শিশুটি। এ সময় স্থানীয়দের কয়েকজন ভিডিও ধারণ করে। সেই ভিডিওর সূত্র ধরে জড়িতদের গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয় পুলিশ।
এসআই নুরুল আবছার আরও বলেন, স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পেয়ে শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। উদ্ধারের সময় শিশুটি সুমন-রেজাউলের নাম বলেছে। তারা সম্পর্কে চাচা-ভাতিজা। তিনজনই শিশু-কিশোর। গ্রেপ্তারের পর তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
মন্তব্য করুন