রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলার চন্দ্রঘোনার ডংনালা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে গলা টিপে হত্যার হুমকি দিয়েছেন ইউপি সদস্য উচহলা মারমা। বৃহস্পতিবার (৯ মে) রাত ৯টার দিকে অভিযুক্ত ইউপি সদস্য উচহলা মারমাকে (৪০) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
চন্দ্রঘোনা থানা সূত্রে জানা যায়, গত বুধবার দুপুরে ডংনালা উচ্চ বিদ্যালয়ে একটি মধ্যাহ্নভোজের আয়োজন করে বিদ্যালয়টির সদ্য এমপিওভুক্ত হওয়া এক নারী পরিচ্ছন্নতাকর্মী। সেই খাবার আয়োজনে দাওয়াত দেওয়া হয়নি অভিযুক্ত ইউপি সদস্য ও ডংনালা উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতি উচহলা মারমাকে। এ কারণে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় বিদ্যালয়ে ক্লাস চলাকালীন প্রধান শিক্ষক মিথুন কান্তি সাহার (৫৭) অফিসে যান। এ সময় শিক্ষককে আটক করে জোরপূর্বক স্বীকারোক্তি আদায় করে ও হত্যার উদ্দেশ্যে গলা টিপে ধরেন। সেই সঙ্গে প্রধান শিক্ষকের মুখে চড়-থাপ্পড় দিয়ে আলমামির চাবি নেন। প্রধান শিক্ষকের অফিস কক্ষে আরও ৬ শিক্ষক এবং বিদ্যালয় কমিটির আরও ৩ সদস্য উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে অভিযুক্ত ইউপি সদস্য ও পরিচালনা কমিটির সভাপতির এমন আচরণে সবাই হতভম্ব হয়। পরে অভিযুক্ত ইউপি সদস্য বিদ্যালয়ের রান্নাবিষয়ক ক্লাসের হাঁড়িপাতিল নিয়ে যান। এ সময় তিনি তার কথামতো বিদ্যালয় পরিচালনা করতে হবে বলে প্রধান শিক্ষককে সতর্ক করেন। না হলে বিদ্যালয় ও এলাকাছাড়া করাসহ জানে মেরে ফেলার ও হুমকি দেন।
পরে প্রধান শিক্ষক মিথুন সাহা চন্দ্রঘোনা থানায় মামলা দায়ের করার পর অভিযুক্ত ইউপি সদস্য এবং বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি উচহলা মারমাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
মিথুন কান্তি সাহার কালবেলাকে জানান, আমার সঙ্গে ইউপি সদস্য যেই আচরণ করেছে এতে আমি খুব ভেঙে পড়েছি। ঘটনার পর আমি ইউএনও এবং মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারকে জানিয়েছি। তাদের সঙ্গে আলোচনা করে অভিযুক্ত ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছি। বর্তমানে আমি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। আমি এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই।
চন্দ্রঘোনা থানার ওসি আনচারুল করিম জানান, এ ঘটনায় অভিযুক্ত ইউপি সদস্য ও ডংনালা উচ্চ বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির সভাপতি উচহলা মারমাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাকে আজ শুক্রবার বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হবে।
মন্তব্য করুন