অংকে ফেল করায় গলায় ফাঁস নিল কিশোরী
এসএসসি পরীক্ষায় অংকে ফেল করায় গলায় ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করেছে নোয়াখালীর এক কিশোরী। রোববার (১২ মে) দুপুর সোয়া ১টার দিকে নোয়াখালী পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সল্যা ঘটাইয়া গ্রামের কালিতারা বাজার সংলগ্ন আলী আজম বেপারির বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। একই দিন রাত সোয়া ৯টার দিকে তাকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে।   মৃত তানজিনা আক্তার ঝুমি (১৬) নোয়াখালী পৌরসভার সল্যা ঘটাইয়া গ্রামের মো. আব্দুল করিমের মেয়ে। সে স্থানীয় কালিতারা মুসলিম গার্লস একাডেমি থেকে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল। নোয়াখালী পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর ফখরুদ্দিন মাহমুদ বলেন, রোববার বেলা ১১টার দিকে তানজিনার এসএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশ হয়। সে গণিত বিষয়ে অকৃতকার্য হওয়ায় দুপুর সোয়া ১টার দিকে পরিবারের সদস্যদের অজান্তে বসতঘরের আঁড়ার সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে। ওই সময় তার মা রান্নাঘরে কাজে ব্যস্ত ছিল। পরে তিনি ঘরে এসে মেয়ের ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পেয়ে চিৎকার শুরু করেন।  সুধারাম থানার ওসি মীর জাহেদুল হক রনি বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। কোনো অভিযোগ না থাকায় গণস্বাক্ষর নিয়ে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
১২ মে, ২০২৪

স্ত্রীকে ভিডিও কলে রেখে গলায় ফাঁস নিলেন আনসার সদস্য
চুয়াডাঙ্গায় স্ত্রীকে ভিডিও কলে রেখে এক আনসার সদস্য ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। রোববার (৫ মে) রাত ১১টার দিকে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার ডিঙ্গেদহ আনসার ব্যাটালিয়নের পার্শ্ববর্তী উসমান গনির ভাড়া বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। নিহত আরিফুল ইসলাম (৩৫) দিনাজপুর সদর উপজেলার জয়দেবপুর গ্রামের নুরুজ্জামানের ছেলে। তিনি চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার ডিঙ্গেদহে অবস্থিত আনসার ব্যাটালিয়নে সিপাহী হিসেবে কর্মরত ছিলেন। চুয়াডাঙ্গা আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর জেলা কমান্ড্যান্ট সঞ্জয় চৌধুরী এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, আরিফুল ইসলাম সপরিবারে ব্যাটালিয়নের পাশেই ভাড়া বাড়িতে থাকতেন। বৃহস্পতিবার ছুটিতে স্বপরিবারে দিনাজপুরে বাড়িতে যান। ছুটি শেষে রোববার একাই ভাড়া বাসায় ফেরেন তিনি। এরপর রাত ৯টা পর্যন্ত ব্যাটালিয়নে ছিলেন। রাতে বাসায় ফেরেন। এরপর বাড়িওয়ালাকে তার স্ত্রী রাতে ফোন দিয়ে জানান, ঘরের মধ্যে তার স্বামী আত্মহত্যা করেছেন। বাড়িওয়ালা ঘরের দরজা ভেঙে ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পান। বিষয়টি থানা পুলিশ ও আমাদেরকে জানান। আমরা প্রাথমিকভাবে জেনেছি, পারিবারিকভাবে মনোমালিন্যের জেরে স্ত্রীকে ভিডিও কলে রেখেই তিনি গলাই ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। তিনি আরো জানান, মরদেহ সুরতহাল ও ময়না তদন্ত শেষ হয়েছে। সোমবার (৬ মে) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে আনসার ব্যাটালিয়নে জানাজা শেষে মরদেহ তার পরিবারের কাছে দাফনের জন্য হস্তান্তর করা হয়েছে।  চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ওসি শেখ সেকেন্দার আলী বলেন, পারিবারিক কলহের জেরে এক আনসার সদস্য আত্মহত্যা করেছেন। মরদেহ উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের মর্গে নিয়ে ময়নাতদন্ত করা হয়েছে। কারো কোনো অভিযোগ না থাকায় মরদেহ আনসার ব্যাটেলিয়নে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।
০৬ মে, ২০২৪

মোটরসাইকেল কিনে না দেওয়ায় স্কুলছাত্রের গলায় ফাঁস
কুড়িগ্রামের রৌমারীতে মোটরসাইকেল কিনে না দেওয়ায় বাবার সঙ্গে অভিমান করে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে বন্ধন পাল (১৫) নামের এক স্কুলছাত্র। মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) সকালে নিজ বাড়ি থেকে ওই স্কুলছাত্রের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। মৃত বন্ধন পাল রৌমারী উপজেলার কলেজপাড়া এলাকার শ্রী শুনীল চন্দ্রের ছেলে ও স্থানীয় একটি স্কুলের দশম শ্রেণির ছাত্র। পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, বন্ধন পালের পরিবারের লোকজন স্নান করার জন্য সকালে বাড়ি থেকে বের হয়ে যায়। সে বেশকিছু দিন ধরে বাবার কাছে মোটরসাইকেল কিনে নেওয়ার জন্য বায়না ধরে। বাবা মোটরসাইকেল কিনে দিতে দেরি হওয়ায় সেই অভিমানে এবং বাড়ি ফাঁকা পেয়ে নিজ ঘরে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে দড়ি আটকিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মাহত্যা করে বন্ধন। পরে খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।  নিহত স্কুলছাত্রের বাবা শুনীল চন্দ্র বলেন, আমার চার ছেলে। তার মধ্যে বন্ধন পাল সবার ছোট। সে কয়েক দিন আগ থেকে মোটরসাইকেল কেনার জন্য বায়না ধরে। আমি বলছি বাবা হাতে টাকা নাই, টাকা হলে কিনে দিব। গাড়ি কিনে দিতে দেরি হওয়ায় সে আজ গলায় ফাঁস দিয়ে নিজেকে শেষ করল। দেশবাসীর কাছে অনুরোধ জানাই এভাবে যেন আর কোনো বাবা তার সন্তান না হারায়। রৌমারী থানার ওসি আব্দুল্লাহ হিল জামান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যু (ইউডি) মামলা হয়েছে। মরদেহ ময়নাতদন্ত ছাড়াই পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
১৬ এপ্রিল, ২০২৪

স্মার্টফোন কিনে না দেওয়ায় গলায় ফাঁস কিশোরের
শরীয়তপুরের নড়িয়ায় স্মার্ট মোবাইল ফোন কিনে না দেওয়ায় অভিমানে আনাস মুসুল্লি নামের এক কিশোর গলায় ফাঁস নিয়েছে। সোমবার (১৫ এপ্রিল) মধ্যরাতে উপজেলার রাজনগর ইউনিয়নের পুনাইখার কান্দি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আনাস মুসুল্লি (১৫) ওই এলাকার আব্দুল আলিম মুসুল্লির ছেলে। স্বজন ও পুলিশ জানায়, আনাস মুসুল্লি স্থানীয় একটি মাদ্রাসায় পড়াশোনা করত। কয়েক মাস আগে পড়াশোনা বন্ধ করে দেয় সে। এরপর থেকে সে বাসায় থাকত। সোমবার রাতে মায়ের কাছে একটি স্মার্ট মোবাইল কিনে দেওয়ার বায়না ধরে আনাস। তবে তার মা তাকে মোবাইল কিনে দিতে অস্বীকৃতি জানালে রুমের দরজা বন্ধ করে ঘুমিয়ে পড়ে সে।  পরে ভোরে নামাজের জন্য ডাকতে গেলে দরজা বন্ধ থাকায় জানালা দিয়ে আনাসের মরদেহ ঝুলতে দেখে পরিবারের লোকজন। খবর পেয়ে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালে পাঠায় পুলিশ।  আনাসের চাচা ছাত্তার মুসল্লি বলেন, রাতে মায়ের কাছে স্মার্ট ফোন চেয়েছিল। পরিবারের লোকজন কিনে দেয়নি বলে অভিমানে গলায় ফাঁস নিয়েছে। নড়িয়া থানার ওসি মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আমরা মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছি। এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।
১৬ এপ্রিল, ২০২৪

‘এপ্রিল ফুল’ করতে গিয়ে গলায় ফাঁস লেগে তরুণের মৃত্যু
এপ্রিল ফুল মানে মানুষকে বোকা বানানোর দিন। প্রতিবছরের এপ্রিল মাসের প্রথম দিনটি এপ্রিল ফুল হিসেবে পালিত হয়। এজন্য ঘনিষ্ঠ বন্ধুবান্ধব বা স্বজনদের এ দিবসে অনেকে বোকা বানানোর চেষ্টাও করেন। ঠিক তেমনি বন্ধুকে বোকা বানাতে গিয়ে প্রাণ গেছে এক তরুণের। বুধবার (০৩ এপ্রিল) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজারের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।  প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ওই তরুণ এপ্রিল ‍ফুলে বন্ধুকে বোকা বানানোর চেষ্টা করছিলেন। এজন্য তিনি ভিডিও কলে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যার নাটক করেন। তবে দুর্ঘটনাবশত ফাঁস আটকে তার মৃত্যু হয়েছে।  বিচিত্র এ ঘটনাটি ভারতের মধ্যপ্রদেশের ইনদওরে। আর মারা যাওয়া ওই তরুণের নাম অভিষেক রঘুবংশী।  পিটিআই জানিয়েছে, সোমবার অভিষেক নিজ বাড়িতে ছিলেন। তিনি বন্ধুকে বোকা বানাতে চেয়ারের ওপর দাঁড়িয়ে তার এক বন্ধুকে ভিডিও কল দেন। এ সময় গলায় ফাঁস দেওয়ার অভিনয় করেন তিনি।  পুলিশ জানিয়েছে, বন্ধুকে ভয় দেখাতে এমন নাটক সাজান তিনি। এমনকি গলায় ফাঁসের দড়িও পরেন তিনি। তবে এ অভিনয় করতে গিয়ে বিপদে পড়েন অভিষেক। তার পায়ের তলা থেকে চেয়ার সরে যায়। সামলাতে না পারলে গলায় ফাঁস আটকে যায় তার। এতে তার মৃত্যু হয়েছে।  পুলিশ আরও জানিয়েছে, মারা যাওয়া অভিষেকের বাবা পেশায় গাড়িচালক। খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন। তার মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে বলেও জানানো হয়েছে। 
০৩ এপ্রিল, ২০২৪

পেটে ব্যথা সইতে না পেরে গলায় ফাঁস
পেটে ব্যথা সইতে না পেরে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন রূপভান নামের এক বৃদ্ধা। বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) রাতে চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার উথলী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।  নিহত রূপভান (৭৬) একই গ্রামের বাঙ্গাল পাড়ার লতিফ হোসেনের স্ত্রী। নিহতের ছেলে অনুল হোসেন জানান, মা দীর্ঘদিন ধরে গ্যাস্ট্রিক ও আলসার রোগে ভুগছিলেন। বিভিন্ন চিকিৎসকদের পরমর্শে ওষুধ খেয়ে কোনো কাজ হয়নি। প্রায় রাতে পেটে আলসারের যন্ত্রণায় ছটফট করে চিৎকার করতে থাকে। আলসারের সমস্যার কারণে গত কয়েক দিন ধরে কিছুই খেতে পারেননি তিনি। তিনি আরও বলেন, রাতে আমরা সবাই খাবার খেয়ে নিজ নিজ ঘরে শুয়ে পড়ি। আমার স্ত্রী রাত আনুমানিক ৩টায় ঘুম থেকে উঠে বাইরে বের হলে আমার মাকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পায়। স্ত্রীর চিৎকারে বাইরে বের হয়ে মাকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করি।  জীবননগর থানার ওসি এস এম জাবীদ হাসান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। পরবর্তী কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
২৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

গলায় ফাঁস নিয়ে ববি ছাত্রীর আত্মহত্যা
গলায় ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করেছে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের ছাত্রী বৃষ্টি সরকার। বিশ্ববিদ্যালয়ের মেইন গেটের সামনে এমএম টাওয়ারের (উকিল বাড়ি) ভবনে নিজ কক্ষে আত্মহত্যা করেছে সে। বুধবার (১৭ জানুয়ারি) রাতে তার লাশ উদ্ধার করে নগরীর শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আনা হয়। প্রাথমিকভাবে জানা যায় প্রেমঘটিত ব্যাপারে আত্মহননের পথ বেছে নেন এ শিক্ষার্থী।  এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. মো. আবদুল কাইউম বলেন, খবর পেয়ে ভিসি স্যারসহ আমরা হাসপাতালে আসি। আমাদের ছাত্রীকে এখানে আনার পর চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেছেন। লাশ পরিবারকে বুঝিয়ে দেওয়ার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।  মৃত বৃষ্টির একাধিক বন্ধু নাম প্রকাশ না করার শর্তে কালবেলাকে জানান, কয়েকদিন যাবৎ প্রেমিকের সঙ্গে মনোমালিন্য ছিল তার। আজ সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে অবস্থিত নিজ মেসে সিলিঙের সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস দেয় সে। মেসের অন্যান্য সদস্যরা রুম ভিতর থেকে আটকানো দেখে কয়েকবার ডাকাডাকি করে। ভেতর থেকে কোনো সাড়া না পাওয়ায় দরজা ভেঙে তাকে ঝুলন্ত দেখতে পায়। পরে দ্রুত হাসপাতালে নিলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করে। তারা জানান, আসলে কী কারণে আত্মহত্যা করতে পারে সে বিষয়ে অজানা। তবে প্রেমঘটিত বিষয়ে ডিপ্রেশনে থেকে এমন হতে পারে। এ ব্যাপারে বন্দর থানার ওসি এম আর মুকুল জানান, আত্মহত্যার ঘটনা শুনেছি। তাকে কেউ প্ররোচিত করেছে কি না কিংবা এ ঘটনা ঘটাতে বাধ্য করেছে কি না সে ব্যাপারে তদন্ত চলছে। পুলিশ সদস্যরা ইতোমধ্যে ঘটনাস্থল এবং হাসপাতালে গিয়েছে। পরিবার মামলা দিতে চাইলে মামলা গ্রহণ করা হবে এবং তৎপরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
১৮ জানুয়ারি, ২০২৪

মিরসরাইয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে কলেজছাত্রের আত্মহত্যা
চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে মিজবাহ উদ্দিন নামে এক কলেজছাত্র আত্মহত্যা করেছে। শুক্রবার (১২ জানুয়ারি) বিকেলে তার মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে জোরারগঞ্জ থানা পুলিশ। জোরারগঞ্জ থানার ওসি আবদুল্লাহ আল হারুন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। মিজবাহ (২০) উপজেলার ওচমানপুর ইউনিয়নের রোকন্দিপুর গ্রামের নতুন মুন্সি বাড়ির প্রবাসী নুর ইসলামের ছেলে। সে মিরসরাই কলেজের এইইএসসি প্রথম বর্ষের ছাত্র।  এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার রাতে ঘুমানোর পর শুক্রবার সকালে মিজবাহর কোনো সাড়াশব্দ পাওয়া যাচ্ছিল না। পরে তার মা ডাকতে গিয়ে ভেতর থেকে কোনো সাড়া না পেয়ে দরজা খুলে দেখে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে মিজবার মরদেহ ঝুলছে। খবর পেয়ে পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।  নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মিজবার এক স্বজন জানান, শুনেছি একটা মেয়ের সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক ছিল। কোনো কারণে ওই মেয়ের সঙ্গে অভিমান করে এমন কাজ করতে পারে।  জোরারগঞ্জ থানার ওসি আবদুল্লাহ আল হারুন জানান, খবর পেয়ে ওচমানপুর ইউনিয়ন থেকে এক কলেজ ছাত্রের মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। সুরতহাল করে প্রাথমিকভাবে ধারনা করা হচ্ছে সে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে। ময়নাতদন্তের পর বিষয়টি শতভাগ নিশ্চিত হওয়া যাবে। শনিবার (১৩ জানুয়ারি) সকালে মরদেহ মর্গে পাঠানো হবে।
১৩ জানুয়ারি, ২০২৪

সালিশ চলা অবস্থায় গলায় ফাঁস দিয়ে কলেজছাত্রীর আত্মহত্যা
কুমিল্লার চান্দিনায় প্রেমিকের কাছে প্রতারিত হয়ে উপস্থিত মাতবরদের অশালীন কথা শুনে সহ্য করতে না পেরে সালিস চলাকালীন সময়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন আমেনা আক্তার নামে এক কলেজছাত্রী। বৃহস্পতিবার (৫ অক্টোবর) সন্ধ্যায় কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলার মাইজখার ইউনিয়নের আলিকামোড়া গ্রামে ঘটনাটি ঘটেছে।  এ ঘটনায় নিহতের পিতা রফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে প্রেমিক গাজী বিল্লাল, গ্রাম্য মাতবরসহ ৭ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা আর ৫ জনকে আসামি করে শুক্রবার (৬ অক্টোবর) থানায় আত্মহত্যার প্ররোচনায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। নিহত আমেনা আক্তার কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলার আলিকামোড়া গ্রামের রফিকুল ইসলামের মেয়ে। সে চান্দিনা মহিলা কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রী ছিল। জানা যায়, চান্দিনা উপজেলার আলিকামোড়া গ্রামের দরিদ্র কৃষক রফিকুল ইসলামের ৪ সন্তানের মধ্যে একমাত্র মেয়ে আমেনা আক্তারের সাথে একই গ্রামের হাসেম প্রধানের ছেলে গাজী বিল্লাল হোসেনের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। প্রায় দুই বছরের প্রেমের সম্পর্ক এক পর্যায়ে ঘনীভূত হয় এবং বিয়ের প্রলোভন দেখায় প্রেমিক বিল্লাল। সম্প্রতি আমেনা আক্তারের পরিবার তার জন্য বিয়ে ঠিক করায় ওই বিয়েতে অসম্মতি জানিয়ে নিজের প্রেমের কথা পরিবারকে জানায়। আর তাতে বিয়ে ভেঙে যায়। পরবর্তীতে আমেনা আক্তার তার প্রেমিক বিল্লালকে বিয়ে করার জন্য চাপ সৃষ্টি করলে তার সাথে প্রতারণা শুরু করে প্রেমিক বিল্লাল। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় নানা রকম গুঞ্জন সৃষ্টি হওয়ার পর বৃহস্পতিবার (৫ অক্টোবর) বিকেলে দুই পরিবারের মাঝামাঝি আনোয়ার খন্দকারের বাড়িতে একটি সালিশ দরবারের আয়োজন করা হয়। ওই সালিশে ছেলের পরিবারের লোকজন এবং বেশ কয়েকজন মাতবর ছেলের পক্ষ নিয়ে কুৎসা রটিয়ে মেয়েকে আপত্তিকর কথা শোনায়। এসব সহ্য করতে না পেরে সালিশ চলাকালীন ওই কলেজছাত্রী বাড়িতে গিয়ে গলায় ওড়না প্যাঁচিয়ে ফ্যানের সাথে ঝুলে আত্মহত্যা করে। নিহতের বড় ভাই ফারুক হোসেন জানান, আমরা গরীব, আর তারা (ছেলের পরিবার) বড় লোক। এই কারণে আমার বোনের প্রেম মেনে না নিয়ে উল্টো আমার বোনকে অকথ্য ভাষায় কথা বলে অপমান করে তারা। আর মাতবররাও পক্ষপাতিত্ব করে যা-তা কথা বলে টাকার বিনিময়ে আমার বোনের প্রেমের সম্পর্ক ছিন্ন করার চেষ্টা করছিল। এসব কিছু সহ্য করতে না পেরে আত্মহত্যা করে আমার বোন। আমরা এর সুষ্ঠু বিচার চাই। বিষয়টি জানতে অভিযুক্ত প্রেমিক গাজী বিল্লালের বাড়িতে গিয়ে যোগাযোগ করতে চাইলে তারা আত্মগোপনে থাকায় যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। এ ব্যাপারে মাইজখার ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শাহ সেলিম প্রধান জানান, দুই জনের মধ্যে প্রেম ও বেশ কয়েকজন মাতবরের কুৎসা রটানোর ঘটনা সত্য বলে আমি জেনেছি। এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাই। এ ব্যাপারে চান্দিনা থানা অফিসার ইন-চার্জ (ওসি) মো. সাহাবুদ্দীন খাঁন জানান, অভিযোগ পেয়ে প্রাথমিক তদন্ত শেষে মামলা নিয়েছি। সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত দোষী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
০৭ অক্টোবর, ২০২৩

গলায় ফাঁস দেওয়া মেয়ের মরদেহ দেখে বাবার মৃত্যু
পটুয়াখালীতে মেয়ের মরদেহ দেখে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে বাবার মৃত্যু হয়েছে। রোববার (১০ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১টার দিকে পটুয়াখালী শহরের পৌর এলাকার ৩ নম্বর ওয়ার্ডে পুরান বাজার গণিক পট্টি এলাকায় নিজ বাসায় এ ঘটনা ঘটে। স্থানীয়রা জানান, মেয়ে স্বর্ণা দেবনাথের (২৬) গলায় ফাঁস দেওয়ার খবরে নিজ কাপড়ের দোকান থেকে বাসায় যান শ্যামল দেবনাথ (৬৮)। এ সময় মেয়ের মরদেহ দেখে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন।  পরে স্থানীয়রা বাবা-মেয়েকে উদ্ধার করে পটুয়াখালী সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন। স্বর্ণা দেবনাথ তার ছোট মেয়ে। স্বর্ণা অবিবাহিত। তিনি স্নাতকোত্তর পাস করেছেন। পটুয়াখালী সদর থানার ওসি জসিম উদ্দীন বলেন, ‘এ ঘটনায় অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে। মেয়েটি গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। ময়নাতদন্তের পর বিস্তারিত বলা যাবে। তবে মেয়ের বাবার স্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে।’
১১ সেপ্টেম্বর, ২০২৩
X