নাইম মুর্তজার নতুন গান ‘খোকা’
তিন বছর পর প্রকাশিত হলো বেংগল বয়েজ ব্যান্ড-এর নতুন গান। সব বাবাকে উৎসর্গ করে নাইম মুর্তজার কণ্ঠে গানটির শিরোনাম ‘খোকা’। প্রকাশের তিন সপ্তাহের মধ্যে গানটির মিউজিক ভিডিও বেংগল বয়েজের ফেসবুক পেজে দেখা হয়েছে ২.৭ মিলিয়ন বার। গানটির আবেগময় কথা ও সুর শ্রোতাদের মন ছুঁয়ে গেছে।  এ প্রসঙ্গে নাইম মুর্তজা বলেন, ‘বাবা নিয়ে অনেক দিন থেকেই গান করার ইচ্ছা ছিল। শ্রোতাদের ভালোবাসায় আমি মুগ্ধ।’ গানটি লিখেছেন আরিফ মোতাহার, সুর করেছেন সেলিম হোসেন। কম্পোজিশন করেছেন সোচী সামস। গানটির মাধ্যমে আবার বেংগল বয়েজ ব্যান্ডের সদস্যরা মিডিয়াতে ফিরলেন। জাতীয় পর্যায়ে স্বর্ণপদক প্রাপ্ত শিল্পী নাইম মুর্তজা ২০২০ সালে দেশের অভিজ্ঞ মিউজিশিয়ানদের নিয়ে বেংগল বয়েজ ব্যান্ডটি গঠন করেন। ওই বছরেই তাদের প্রকাশিত ২টি গান- ‘ওরে বাটপার’ এবং ‘স্বপ্ন’ ব্যাপক সাড়া ফেলে। এর পর তিন বছর বিরতি নিয়ে শ্রোতাদের কাছে ফিরলেন তারা। খোকা গানটির ভিডিও বেংগল বয়েজের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ, ইউটিউব চ্যানেল ও ডিস্ট্রোভিড এ দেখা যাচ্ছে। এর সঙ্গে- স্পোটিফাই, এমাজন মিউজিক, ইউটিউব মিউজিকসহ প্রায় ২৫টি আন্তর্জাতিক মাধ্যমে অডিও রিলিজ হয়েছে।
১৩ মে, ২০২৪

বগুড়ায় লালনের গান গেয়ে প্রতিবাদ
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ফকির লালন সাঁইয়ের গানের দুটি চরণ লিখেছিলেন শরিয়তপুরের বাসিন্দা সঞ্জয় রক্ষিত (৪০) নামের এক স্বর্ণকার। পরে এ ঘটনায় ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের অভিযোগে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। ঘটনাটি লালন ভক্তসহ সব মহলে উদ্বেগ ছড়ায়। আর এজন্যই সোমবার (৬ মে) বেলা ১১টার দিকে বগুড়া শহরের সাতমাথায় মুজিব মঞ্চে দিনব্যাপী ‘সব লোকে কয় লালন কী জাত সংসারে’ শীর্ষক এক কর্মসূচি পালন করে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট। এতে যে চরণ দুটি লেখায় সঞ্জয়কে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল সেই গানটি গাওয়া হয়। কর্মসূচিতে লালনের গান ও পদ পরিবেশনা, নাটক, বক্তৃতার মাধ্যমে গ্রেপ্তারের ঘটনার প্রতিবাদ জানানো হয়। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে কেউ কেউ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লালন ফকিরের বিরুদ্ধে নানা নেতিবাচক প্রচারণাও চালাচ্ছেন, যা প্রগতিশীল সংস্কৃতিকর্মীদের ক্ষুব্ধ করেছে বলে জানানো হয়। প্রতিবাদ কর্মসূচিতে লালনের ‘এমন সমাজ কবে গো সৃজন হবে’, ‘সময় গেলে সাধন হবে না’, ‘জাত গেল জাত গেল বলে, আমারে কি রাখবেন গুরু চরণদাসী’, ‘মিলন হবে কত দিনেসহ’ বিখ্যাত গানগুলো পরিবেশন করা হয়। কর্মসূচিতে গান পরিবেশন করেন লালন শিল্পী সুকুমার বাউল, হাফিজ বাউল, জগদীশ বাউল, কামরুল নাহার ডালিয়া ও নিখিল চন্দ্র। এ প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন উদীচী বগুড়ার সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মামুদুস সোবহান মিন্নু, বগুড়া জেলা সিপিবির সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ফরিদ, বগুড়ার জলেশ্বরীতলা ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এডনিস বাবু তালুকদার, জোটের সহসভাপতি লায়ন আতিকুর রহমান মিঠু, এ বি এম জিয়াউল হক বাবলা, হাকিম এম এ মজিদ মিয়া, আসাদ হোসেন, সহসাধারণ সম্পাদক আলমগীর কবির, সংশপ্তক থিয়েটারের সাধারণ সম্পাদক সাদেকুর রহমান সুজন, থিয়েটার আইডিয়ার পরিচালক নিভা রানী সরকার পূর্ণিমা, কবি আজিজার রহমান তাজ ও মির্জা আহসানুল হক দুলাল।  সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট বগুড়ার সভাপতি তৌফিক হাসান ময়না বলেন, বাঙালি সংস্কৃতির অবিচ্ছেদ্য অংশ লালন সাঁইজির একটি গানের দুটি চরণ ফেসবুকে শেয়ার করেছিলেন এক যুবক। ধর্ম অবমাননার কথা তুলে তাকে গ্রেপ্তার এবং তার পরবর্তী সময়ে নানা রকম প্রেক্ষাপট তৈরি করে সারা দেশে একটি তাণ্ডব পরিচালনা করার যে আয়োজন দেখতে পাচ্ছি, সেটি নিঃসন্দেহে বাংলাদেশের জন্য ভয়ংকর। আমরা বোধ হয় খুব বেশি দিন দূরে নেই। যেখানে এই বাংলাদেশকে দেখতে পাব বাঙালি সংস্কৃতিশূন্য, লালনশূন্য। গ্রামের পর গ্রামে লালন অপদস্থ হচ্ছেন। আমরা বগুড়ায় প্রতিবাদ করছি কিন্তু লালনকে লালনের সেই গ্রামে, লালন শিল্পীদের গ্রামে প্রতিষ্ঠিত করতে হবে।
০৬ মে, ২০২৪

নেট দুনিয়ায় ভাইরাল কিমের গাওয়া গান
কিম জং উন হয়তো ভাবতে পারেননি তার গানটি ঝড় তুলবে টিকটকে। কিন্তু বাস্তবে ভাবনার থেকে বেশি কিছু হলো। দুই সপ্তাহ আগে প্রকাশ করা ভিডিও গানটি ভাইরাল হয়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম অ্যাপ টিকটকে। একই সঙ্গে সেটি ছড়িয়ে পড়েছে নেট দুনিয়ায়। উত্তর কোরিয়ার স্বৈরশাসক নিজের প্রসংশায় এই গানটি প্রচার করেছেন তার জনগণের জন্য।     গানটি প্রকাশের পর থেকেই এটি নিয়ে চলছে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা। সমালোচকরা বলছেন, ভিডিওটির মধ্যে একটি অশুভ বার্তা লুকিয়ে রয়েছে৷ তাদের দাবি, গানটিতে কিমের অতিরঞ্জিত প্রসংসা করা হয়েছে এবং ব্যাপকভাবে প্রপাগাণ্ডা চালানো হয়েছে।   “ফ্রেন্ডলি ফাদার” শিরোনামে গানটির শুরুতেই কিমের প্রসংসা করে বলা হয়েছে, তোমার নেতা “তোমার মায়ের মতো উষ্ণ হৃদয়ের অধিকারী” এবং “তোমার বাবার মতো উদার”। এই লিরিক বাজার সঙ্গে সঙ্গে ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, অনেক শিশুর মধ্যে বসে উৎফুল্ল কিম একটি শিশুকে জড়িয়ে ধরে চুম্বন করছেন। এ সময় লিরিকে শোনা যায়, “তোমাদের বন্ধুত্বপূর্ণ বাবা”।  এই অংশে শিশুদের সঙ্গে কিমের হাস্যোজ্জ্বল ব্যবহারের মাধ্যমে একতার আহ্বান জানানো হয়েছে। গানটিতে উত্তর কোরিয়ার জনগণের কাছে তাদের স্বৈরশাসককে একজন মা এবং একজন বাবার সাথে তুলনা করে তাকে মহৎ দেখানোর চেষ্টা করা হয়েছে।  এরপর দেখা গেছে অন্য আরেকদল উৎফুল্ল বাচ্চার সঙ্গে গান গাচ্ছেন উত্তর কোরীয় নেতা। পরের দৃশ্যে দেখা গেছে, উত্তর কোরিয়ার সমাজের সম্মানিত ব্যক্তিরাও কিমের সঙ্গে একই গান গাইছেন। সেখানে বলা হচ্ছে, উত্তর কোরিয়া রাষ্ট্র একটি ঐক্যবদ্ধ জাতি চায়।  গানটি শুরু হয়েছে উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতার প্রশংসা দিয়ে। এরপর তাকে প্রত্যেকের পরিবারের অংশ হিসাবে দেখানোর চেষ্টা করা হয়েছে। এরপরের অংশে বলা হয়েছে, “আসুন আমরা আমাদের মহান নেতা কিম জং উন সম্পর্কে গান করি”, “আসুন আমাদের বন্ধুত্বপূর্ণ পিতা কিম জং উন সম্পর্কে গর্ব করি।”  সমালোচকরা বলছেন, উত্তর কোরিয়ার জনগণের কাছে কিম নিজেকে জাতির পিতা হিসেবে উপস্থাপন করতে চাইছেন। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে তিনি তার পার্লামেন্টেও এই ইচ্ছে প্রকাশ করেছেন। সমালোচকরা আরও বলছেন, কিম তার জনগণের মগজ ধোলাই করার জন্য নিজের প্রশংসায় তৈরি গান প্রচার করছেন।  কিম জং উন ২০১২ সালে তার বাবা কিম জং ইলের স্থলাভিষিক্ত হন। কিম জং ইলকে উত্তর কোরিয়ার “মহান উত্তরসূরি” বলে অভিহিত করা হয়। কিমের দাদা কিম ইল সুং দুটি উপাধি ধারণ করেছিলেন – “পিতা” এবং “দ্য গ্রেট”। অনেকে ধারণা করছেন, কিম নিজেও তার উত্তরসূরিদের মতো কোনো উপাধি গ্রহণ করতে চাচ্ছেন।  
০৪ মে, ২০২৪

মে দিবসের গান ও কবিতা
আজ পহেলা মে। আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস। ঊনবিংশ শতাব্দীর শেষার্ধে প্যারিসে শ্রমিকদের যে আন্দোলন শুরু হয় তার রেশ ছড়িয়ে পড়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে। দিবসটিকে নিয়ে বিশ্বে বহু গান, সিনেমা, কবিতা, নাটকসহ রচিত হয়েছে বহু সৃজনশীল কর্ম। দিবসটির তাৎপর্য বহন করে এমন কিছু গান ও কবিতার কথা থাকছে। ১৮৮৯ সালে পহেলা মে আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস ঘোষণার পরের বছরই বিশ্বের বিভিন্ন দেশে মে দিবসে শ্রমিক ধর্মঘট ও বিক্ষোভ হয়। বিখ্যাত প্রতিবাদী সংগীত তারকা পিট সিগার ‘টকিং ইউনিয়ন’ গানের মধ্য দিয়ে শ্রমিকদের ঐক্যবদ্ধভাবে ন্যায্য অধিকার আদায়ের প্রতি সমর্থন জানান। শ্রমিকদের দাবির কথা বলেছেন যারা, তারা কঠোর দমননীতির শিকার হন। এমনই একজন জো হিল। অভিবাসী শ্রমিক ও সংগীত রচয়িতা জো হিলকে হত্যার অভিযোগে প্রাণদণ্ড দেওয়া হয় ১৯১৫ সালে। ‘জো হিল’ নামে বাঁধা হয় বিখ্যাত গান, যা অমরত্বের দাবিদার। কণ্ঠ দেন কিংবদন্তি সংগীত তারকা জোয়ান বায়েজ। বিখ্যাত প্রতিবাদী সংগীত তারকা পিট সিগার ‘টকিং ইউনিয়ন’ গানের মধ্য দিয়ে শ্রমিকদের ঐক্যবদ্ধভাবে ন্যায্য অধিকার আদায়ের প্রতি সমর্থন জানান। ১৮৮৯ সালে জিম কোন্যাল লেখেন রেড ফ্লাগ নামে একটি গান। যার প্রথম চরণ—জনতার পতাকা টকটকে লাল/ ঢেকে রাখে শহীদের লাশ/ শক্ত শীতল তাদের দেহ/ এই পতাকার প্রতি ভাঁজে ভাঁজে/ হৃদয়ের রক্ত রাঙায় এই পতাকা। এটি একটি দীর্ঘ সংগীত। একইভাবে বব হার্ট, কপল্যান্ড, অ্যাসলেট প্যাটিশ মে দিবস ও শ্রমিকের অধিকার নিয়ে গান লিখেছেন। মে দিবসকে কেন্দ্র করে বাংলা গান ও কবিতা হয়েছে উল্লেখযোগ্য সংখ্যায়। কবি সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের বিখ্যাত কবিতা: প্রিয়, ফুল খেলবার দিন নয় অদ্য/ ধ্বংসের মুখোমুখি আমরা, চোখে আর স্বপ্নের নেই নীল মদ্য/ কাঠফাটা রোদ সেঁকে চামড়া। চিমনির মুখে শোনো সাইরেন-শঙ্খ,/ গান গায় হাতুড়ি ও কাস্তে, তিল তিল মরণেও জীবন অসংখ্য/ জীবনকে চায় ভালোবাসতে। হেমাঙ্গ বিশ্বাসের গাওয়া গান জন হেনরি। এটি এমন এক গান, যা আমাদের চিন্তা জগৎকে মুহূর্তে নাড়িয়ে দেয়, আলোড়ন তোলে এবং মানুষের মুক্তির চূড়ান্ত পথে চালিত করতে উদ্বুদ্ধ করে। গানের কথা: জন হেনরি, জন হেনরি/ নাম তার ছিল জন হেনরি ছিল যেন জীবন্ত ইঞ্জিন/ হাতুড়ির তালে তালে গান গেয়ে শিল্পী/ খুশি মনে কাজ করে রাত-দিন/ হো হো হো হো খুশি মনে কাজ করে রাত-দিন। বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর লিখেছেন—‘সবচেয়ে কম খেয়ে, কম পরে, কম শিখে বাকি সকলের পরিচর্যা করে। সকলের চেয়ে বেশি তাদের অসম্মান। কথায় কথায় তারা রোগে মরে, উপোসে মরে, উপরওয়ালাদের লাথি-ঝাঁটা খেয়ে মরে। তারা সভ্যতার পিলসুজ, মাথায় প্রদীপ নিয়ে খাড়া দাঁড়িয়ে থাকে উপরের সবাই আলো পায়, তাদের গা দিয়ে তেল গড়িয়ে পড়ে।’ আবার গণসংগীত শিল্পী প্রতুল মুখোপাধ্যায়ের সব গানই মেহনতি মানুষের গান। মে দিবস নিয়ে তার লেখা ও গাওয়া গান, ‘বলো সাথী সবদিনই আমাদের পহেলা মে দুনিয়ার মজদুর এক হও এই ডাক শুনি যেদিন, সেদিনই মে দিন সাথী সেদিনই মে দিন।’ এ ছাড়া ‘ডিঙা ভাসাও সাগরে’ এবং ‘আলু বেচো ছোলা বেচো, বেচো বাখরখানি’ উল্লেখযোগ্য। আমাদের জাতীয় কবি বিদ্রোহী কাজী নজরুল ইসলামের ‘কুলি-মজুর’ কবিতার কয়েকটি পঙক্তি: হাতুড়ি শাবল গাঁইতি চালায়ে ভাঙিল যারা পাহাড়,/ পাহাড়-কাটা সে পথের দুপাশে পড়িয়া যাদের হাড়,/ তোমারে সেবিতে হইল যাহারা মজুর, মুটে ও কুলি,/ তোমারে বহিতে যারা পবিত্র অঙ্গে লাগাল ধূলি;/ তারাই মানুষ, তারাই দেবতা, গাহি তাহাদেরি গান,/ তাদেরি ব্যথিত বক্ষে পা ফেলে আসে নব উত্থান!
০১ মে, ২০২৪

লালনের গান পোস্ট দেওয়ায় গ্রেপ্তার!
ফেসবুকে লালনগীতির দুটি পঙক্তি পোস্ট করায় ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের অভিযোগ এনে শরীয়তপুরে এক যুবককে গ্রেপ্তারের ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ ও নিন্দা জানিয়েছেন সর্বস্তরের মানুষ। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও অনেকে প্রতিবাদ জানিয়েছেন। পুলিশের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন কেউ কেউ। অভিযোগের সত্যতা যাচাই-বাছাই না করে সঞ্জয় রক্ষিতকে আটকের ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে জড়িতদের শাস্তির দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ ও বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদ। এদিকে গতকাল সোমবার দুপুরে শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ আমলি আদালতের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শাকিব হোসেন মুচলেকার বিনিময়ে সঞ্জয়ের জামিন মঞ্জুর করেন। কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক আলমগীর হোসেন কালবেলাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ফেসবুক পোস্টকে ঘিরে উপজেলার মহিষার ইউনিয়নের সাজনপুর এলাকার মৃত হরি নারায়ণ রক্ষিতের ছেলে সঞ্জয় রক্ষিততে (৪০) গত রোববার গ্রেপ্তার করে ভেদরগঞ্জ থানা পুলিশ। জামিনকালে সঞ্জয় মুচলেকা দিয়েছেন। অঙ্গীকারনামায় তিনি বলেছেন, সামাজিক বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয় ভবিষ্যতে এমন কাজ করবেন না। সঞ্জয়কে আটকের ঘটনা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দ্রুত ছড়িয়ে পড়লে অনেকেই প্রতিবাদ জানিয়ে স্ট্যাটাস দেন। তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে নিন্দা জানান। ভেদরগঞ্জ থানার ওসি মিন্টু মণ্ডল ফোনে কালবেলাকে জানান, ফেসবুকে লালনের গানের কথা পোস্ট করেন সঞ্জয় রক্ষিত। এর মাধ্যমে মুসলমানদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করা হয়েছে বলে থানায় এসে মৌখিক অভিযোগ জানান কয়েকজন। সামাজিক বিশৃঙ্খলা এড়াতে সঞ্জয়কে ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। তবে অভিযোগকারীদের নাম জানাতে রাজি হননি এই পুলিশ কর্মকর্তা। উল্লেখ্য, ‘সব লোকে কয় লালন কি জাত সংসারে’ লালনের এই গানের কথা লিখে ফেসবুক স্টোরিতে দেওয়ায় ইসলাম ধর্মকে কটূক্তি করার অভিযোগে গত রোববার সঞ্জয় রক্ষিতকে আটক করে পুলিশ। পরে আদালতের মাধ্যমে তাকে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়। ঐক্য পরিষদ ও পূজা পরিষদের নিন্দা সঞ্জয় রক্ষিতকে গ্রেপ্তারে নিন্দা ও প্রতিবাদ জানায় বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদ। গতকাল সোমবার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রানা দাশগুপ্ত স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে এ প্রতিবাদ জানানো হয়। পরিষদের তিন সভাপতি সাবেক সংসদ সদস্য ঊষাতন তালুকদার, ড. নিম চন্দ্র ভৌমিক ও নির্মল রোজারিও এবং সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট রানা দাশগুপ্ত বিবৃতিতে বলেন, সঞ্জয়কে সাইবার নিরাপত্তা আইনে গ্রেপ্তারের ঘটনা রহস্যজনক ও নিন্দনীয়। এর মাধ্যমে আইনের অপপ্রয়োগই নয়, বাঙালির ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিকে রুদ্ধ করার অপচেষ্টা চালানো হয়েছে। এ জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী কর্তৃপক্ষের যারা দায়ী, তাদের অনতিবিলম্বে চিহ্নিত করে শাস্তির আওতায় আনতে বিবৃতিতে দাবি জানানো হয়েছে। বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি বাসুদেব ধর ও সাধারণ সম্পাদক সন্তোষ শর্মা বিবৃতিতে বলেছেন, ‘লালন সাঁইয়ের গান উল্লেখের কারণে সঞ্জয়ের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ গভীর শঙ্কার জন্ম দিয়েছে ও অশনিসংকেত হিসেবে প্রতিভাত হচ্ছে।’ বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, ‘সব লোকে কয় লালন কি জাত সংসারে’ এই গান বাঙালির আবহমান ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিচর্চার অংশ। সঞ্জয় রক্ষিতের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ শুধু আমাদের ষাটের দশকের কথা স্মরণ করিয়ে দেয় না, সংস্কৃতিচর্চার পথকেও রুদ্ধ করার আশঙ্কা সৃষ্টি করেছে। জামিনের সময় তার কাছ থেকে ৫০ টাকার অঙ্গীকারনামায় সই নেওয়ায় আরও শঙ্কার জন্ম দিয়েছে। ঘটনাকে অবাঞ্ছিত উল্লেখ করে পূজা পরিষদের নেতারা দায়ী ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সরকারের কাছে দাবি জানিয়েছেন।’  
৩০ এপ্রিল, ২০২৪

ইউটিউব ট্রেন্ডিংয়ের দখলে যে গীতিকবির সর্বাধিক গান
গীতিকবি আসিফ ইকবাল। নিজের লেখা গান দিয়ে ইতোমধ্যেই দর্শকের হৃদয়ে জায়গা করে নিয়েছেন তিনি। উপহার দিয়েছেন অসংখ্য কালজয়ী সব গান। বর্তমানে এই গীতিকবির তিনটি গান একসঙ্গে ইউটিউবের সেরা দশ ট্রেন্ডিংয়ে অবস্থান করছে। যা তার জন্য যেমন আনন্দের, তেমনই গর্বের। আসিফ ইকবাল গান লেখেন চার দশক ধরে। তবে সিনেমার জন্য গান লেখা শুরু করেছিলেন ২০১৮ -তে। ঢাকা অ্যাটাক, ভয়ঙ্কর সুন্দর, ইউ টার্ন, প্রিয়তমা এবং প্রহেলিকা সিনেমার জন্য গান লিখে রাতারাতি তিনি গেল বছর চলে আসেন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। সেই ধারায় এবারের ঈদে মুক্তি পাওয়া সবচেয়ে রাজকুমারের টাইটেল গানও তারই লেখা। যে গানটি মুক্তির পর থেকেই অবস্থান করছে ইউটিউব ট্রেন্ডিংয়ে বাংলাদেশের এক নম্বর গান হিসেবে। এখানেই শেষ নয় আসিফ ইকবালের অগ্রযাত্রা। ২১ এপ্রিল ইউটিউব ট্রেন্ডিং তালিকায় দেখা গেছে আসিফ ইকবালের লেখা আরও দুটি গান।  এই ঈদে সিনেমা ও অডিও মিলে প্রায় শতাধিক গান প্রকাশ হয়েছে ইউটিউবে। এরমধ্যে সেরা দশ-এ আসিফ ইকবাল একাই অবস্থান করছেন তিনটি গানে। বিশ্লেষকরা মনে করছেন, শিল্পী-সুরকারের পাশাপাশি গান লেখার মধ্যেও যে মুনশিয়ানা রয়েছে, সেটিই প্রমাণ করছে এই ট্রেন্ডিং লিস্ট। গীতিকবি হিসেবে আসিফ ইকবাল তার যোগ্যতা জানান দিলেন নতুন করে। এ প্রসঙ্গে আসিফ ইকবাল বলেন, ‘আমি শুধুই একজন গীতিকবি। শিল্পী বা সুরকার নই। ফলে এই বহুমাত্রিক সময়ে শুধু গান লিখে নিজেকে প্রমাণ করাটা বেশ কঠিন। সেই কঠিন সময়ে ট্রেন্ডিংয়ে নিজের লেখা তিনটি গান একসঙ্গে দেখলে নিজেরই অবাক লাগে। চোখ ঝাঁপসা হয়ে আসে। চার দশক ধরে আমার গান লেখার অভিজ্ঞতা। শ্রোতাদের ভালোবাসা ছাড়া এতদিন টেকা যেত না। তবে গত বছর থেকে সিনেমায় নিয়মিত হওয়ার পর, গান লেখার আনন্দটা যেন নতুন করে অনুভব করছি। এই গুড-ফিল অনুভূতিটা বাঁচিয়ে রাখতে চাই। ধন্যবাদ জানাতে চাই, আমার সুরকার, শিল্পী, নির্মাতা ও নায়ক-নায়িকাদের। কারণ, সিনেমার কাজটি আসলেই টিমওয়ার্ক।’ চার দশকে আসিফ ইকবাল লিখেছেন ৫ শতাধিক গান। যার প্রায় সবই সিনেমার বাইরে, রেডিও, টেলিভিশন আর অডিওতে। তার লেখা প্রথম গান প্রকাশ হয় ১৯৮৪ সালে বিটিভিতে। সৈয়দ মনসুরের সুরে বন্ধন শিল্পীগোষ্ঠীর জন্য লেখা সেই গানটির নাম ‘অনেক তো বলেছি’। এরপর আর থামেননি। লিখেছেন হাতভরে। এরমধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- কুমার বিশ্বজিতের ‘সুখ ছাড়া দুখ’, ‘তারা ভরা রাত’, ‘মেঘ রং মেয়ে’, জেমসের ‘অনন্যা’, নকীব খানের ‘স্বপ্ন জড়ানো’, নকীব-সামিনা চৌধুরীর ‘তুমি এলে পায়ে পায়’, আইয়ুব বাচ্চুর ‘ভাঙা মন’, ‘বহুদূর যেতে হবে’, ‘পরিত্যক্ত ডায়েরিটা’, আশিকুজ্জামান টুলুর ‘এই দূর পরবাসে’, সামিনা-ফাহমিদা নবীর ‘আমার সকল সুখে বুবু’, নিলয়ের ‘হ্যাপি তোকে মনে পড়লে’, মাহাদির ‘সুনীল বরুনা’, ‘মেঘ হয়ে কাঁদো বলে’, ‘অন্যরকম’, মাহাদি-এলিটার ‘হৃদয়ের ঝড়ে’, ‘নিঝুম রাত’, ‘ভোরের শিশির’, সোয়েব-এলিটার ‘ঘুম হয়ে আজ থাকতে যদি’, ন্যানসির ‘আমি ছুঁয়ে দিলেই’, মিনারের ‘কী তোমার নাম’, ‘বাড়াবাড়ি’, ‘একটুখানি’, ‘বাবা মায়ের জন্য’ প্রভৃতি।
২১ এপ্রিল, ২০২৪

আলোচনা, গান ও কবিতায় মুজিবনগর দিবস উদযাপিত
মুজিবনগর সরকারের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানের প্রত্যক্ষদর্শী সাবেক অধ্যক্ষ এবং ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব মুহম্মদ শফিকুর রহমান প্রধান আলোচকের বক্তব্যে বলেন, আমরা জানতে পারি, মেহেরপুরের বৈদ্যনাথ তলায় মুজিবনগর সরকার গঠিত হয়েছে একাত্তরের ১০ এপ্রিল। শপথ গ্রহণ ১৭ এপ্রিল। আমি তখন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র। আমরা ছাত্ররা সেদিন মুজিবনগরের আম্রকাননে সমবেত হই। শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান ও প্যারেড প্রত্যক্ষ করি। তখন অন্যরকম একটা উত্তেজনা, উৎসাহ, উদ্দীপনা আমাদের মধ্যে কাজ করে। যেন আমরা প্রকৃতপক্ষেই যুদ্ধরত অবস্থায় আছি। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির আয়োজনে জাতীয় নাট্যশালার সেমিনার কক্ষে বুধবার সকাল ১১টায় ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস উদযাপন উপলক্ষ্যে আলোচনা অনুষ্ঠানে মুজিবনগর সরকারের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানের প্রত্যক্ষদর্শীর সাবেক অধ্যক্ষ এবং ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব মুহম্মদ শফিকুর রহমান এ কথা বলেন। আলোচক হিসেবে আরো ছিলেন বিশিষ্ট লেখক ও গবেষক মামুন সিদ্দিকী। সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির সচিব সালাহউদ্দিন আহাম্মদ। মুহম্মদ শফিকুর রহমান ঐতিহাসিক মুজিবনগর সরকারের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানের বর্ণনা তুলে ধরে বলেন, বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণের পর ২৬ মার্চ থেকেই দেশব্যাপী যুদ্ধের আলোড়ন তৈরি হয়।। মুক্তিযোদ্ধারা নিজেদের জীবন দিয়ে, মা-বোনদের ত্যাগের বিনিময়ে এই দেশকে স্বাধীন করেছে। এ স্বাধীনতাকে আমাদের ধরে রাখতে হবে, দেশপ্রেমে উদ্ধুদ্ধ হয়ে দেশের জন্য কাজ করতে হবে। মামুন সিদ্দিকী বলেন, “বঙ্গবন্ধুর ডাকে তার নেতৃত্বে যে মুক্তিযুদ্ধ হয়েছিল তাতে কোন সন্দেহ নেই। কিন্তু এই সময়ে এসেও অনেকে জাতীয় চার নেতা এবং বঙ্গবন্ধুর মধ্যে বিভেদ সৃষ্টির চেষ্টা করেন যা সঠিক নয়। সভাপতির বক্তব্যে একাডেমির সচিব বলেন, মুক্তিযুদ্ধের মধ্যে দিয়ে আমরা এ বাংলাদেশ পেয়েছি। আমাদের যাবতীয় অধিকার, সব রকমের নাগরিক সুযোগ সুবিধা সমস্ত কিছু নিশ্চিত হয়েছে এ স্বাধীনতার মধ্যে দিয়ে। আমাদের স্বাধীনতা কিভাবে অর্জিত হয়েছে তার নেপথ্য ইতিহাস আমাদের জানা জরুরি। এই ধারণাটিকেই শিল্পকলা একাডেমি লালন ও চর্চা করে। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস এবং মুক্তিসংগ্রামের যে ধারাবাহিক পরম্পরা, যে ঘটনাপ্রবাহ আছে তা আমাদের নতুন প্রজন্মকে জানলে তারা দেশপ্রেমে উদ্ধুদ্ধ হবে। তারা সঠিক বাংলাদেশ, বঙ্গবন্ধূর স্বপ্নের বাংলাদেশ, সোনার বাংলাদেশ গড়ে তুলতে পারবে । অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন একাডেমির কর্মকর্তা সৌম্য সালেক। আলোচনা পর্বের মাঝে মুক্তিযুদ্ধের কবিতা আবৃত্তি করেন মীর বরকত এবং মুক্তির গান পরিবেশন করেন ঢাকা সাংস্কৃতিক দল।
১৮ এপ্রিল, ২০২৪

আসছে তামান্না-শুভর নতুন গান ভালোবাসি বলেছি
তরুণ প্রজন্মের সুরেলা গায়িকা তামান্না হকের গাওয়া নতুন গান 'ভালোবাসি বলেছি'। রোমান্টিক ধাঁচের এই গানে তামান্নার ও কাজী শুভ গানটি ঈদের আগে মুক্তি পাওয়ার কথা থাকলেও শেষ মুহূর্তে মুক্তি দেওয়া হয়নি। অবশেষে ঈদ ও পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে ১৫ এপ্রিল (সোমবার) বিকেল ৩টায় গানটি অন্তর্জাল কাঁপাতে আসছে। গানটি প্রসঙ্গে তামান্না হক বলেন, ঈদের জন্য স্পেশাল এই গানটি করা। সংগীত ক্যারিয়ারে এই প্রথম কাজী শুভ ভাইয়ার সঙ্গে ডুয়েট গান করলাম। গানটির গীতিকার জিয়াউর রহমান। এসকে শানুর সুরে এটির সংগীত পরিচালনা করেছেন এইচ আর লিটন। তামান্না জানান, গানটির মিউজিক ভিডিও পরিচালনা করেছেন জীবন চন্দ্র দাস। আর গানটি রিলিজ হচ্ছে  ডিপি মিউজিক স্টেশন ইউটিউব চ্যানেলে থেকে তামান্না আরও বলেন, আমার খুব আনন্দ লাগছে, এই প্রথম আমি কাজী শুভ ভাইয়ের সঙ্গে সুন্দর একটি রোমান্টিক গান করলাম। আমার শ্রোতা দর্শকভক্তদের জানাই ঈদ মোবারক ও পহেলা বৈশাখের শুভেচ্ছা। আশা করি আমার এই গানটি আপনাদের ঈদের ও বৈশাখের আনন্দ অনেক বাড়িয়ে দেবে।
১৪ এপ্রিল, ২০২৪

ঈদে প্রকাশিত হয়েছে হাসান মুহতারিমের ‘অকুল দরিয়া’
এবার ঈদে প্রকাশিত হয়েছে হাসান মুহতারিমের কথা, সুর ও কণ্ঠে ‘অকুল দরিয়া’ শিরোনামে ফোক ঘরাণার একটি গান। গানের কথা ও সুর লেখার পাশাপাশি গানটির গল্পও তিনি লিখেছেন। হাসান মুহতারিম পেশায় একজন পুলিশ কর্মকর্তা। তিনি ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের সহকারী কমিশনারের দায়িত্ব পালন করছেন। হাসান মুহতারিম জানান, আমি এই প্রথম কোনো ফোক ঘরানার গান গাইলাম নিজের লেখা ও সুরে। স্রোতারা মূলত আমাকে বরাবরই রক ঘরানার গানে পেয়ে থাকে, এবারই প্রথম ফোক গানে আমাকে পাবে। আমি ব্যাপারটা নিয়ে খুবই এক্সাইটেড। আমি বরাবরই গানপাগল মানুষ। আমি আমার প্রতিটি গানই খুব যত্ন নিয়ে করি। এ গানটাতেও যত্নের কোনো কমতি ছিল না। এমএমপি রনি খুব সুন্দর সংগীতায়োজন করেছেন। তিনি জানান, বেশ কিছুদিন আগেও আমার ‘কুয়াশা’ শিরোনামের একটি গান রিলিজ পেয়েছিল। মানুষ গানটি বেশ সাদরে গ্রহণ করেছিল। গানটি বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছিল। সেই ধারাবাহিকতায় কুয়াশা-২ এর গান অলরেডি তৈরি করেছি। আমরা এখন ভিডিও তৈরি নিয়ে প্রিপ্রোডাকশন করছি। এটাও হয়তো কিছুদিন পর রিলিজ করব। পরিচালক রাজ বিশ্বাস শংকর বলেন, হাসান মুহতারিম ভাই বরাবরই খুব সুন্দর গান করেন, এ গানটিও ব্যতিক্রম নয়। আর সবচেয়ে বড় কথা- হাসান ভাইয়া অনেক ক্রিয়েটিভ মানুষ। ভিডিও পরিচালনার ক্ষেত্রে উনি আমাকে সর্বোচ্চ স্বাধীনতা দিয়েছেন এবং অনেক বিষয়ে আমাকে সাহায্য করেছেন প্রতিনিয়ত। আমরা ঢাকার বাইরে গোপালগঞ্জ নামের একটি গ্রামে ভিডিওটির শুটিং করেছি। শুটিং করতে গিয়ে আমরা অনেক বাধা-বিপত্তির সম্মুখীন হয়েছি কিন্তু ফয়সাল আহমেদ ভাইয়ের সহযোগিতায় দিনশেষে আমরা একটি সুন্দর ভিডিও করতে সক্ষম হয়েছি। আশা করছি দর্শক ভিডিওটি খুব পছন্দ করবে। গানটিতে ক্যামেরায় ছিলেন ইয়াসিন বিন আরিয়ান এবং সম্পাদনায় ছিলেন এস এম তুসার। কলাকুশলীরা অনেক কষ্ট করেছেন ভিডিওটি নির্মাণ করতে। গানটির মিউজিক অ্যারেঞ্জার এম এমপি রনি বলেন, হাসান মুহতারিম ভাইয়ার সঙ্গে এর আগেও অনেক কাজ হয়েছে। উনার সুরে মিউজিক অ্যারেজ্ঞ করতে বরাবরই খুব ভালো লাগে। কিন্তু এ গানটি গতানুগতিক ধারার বাইরের গান। হাসান মোহতারিম ভাইয়ার সুরে এই গানটিতে মিউজিক অ্যারেজ্ঞ করে আমি খুবি আনন্দ পেয়েছি। উল্লেখ্য, হাসান মুহতারিমের প্রকাশিত অন্য গানগুলো হলো- কুয়াশা, গাঙচিল, দেয়াল, অসুস্থ শহর। এসব গান ইতোমধ্যে জনপ্রিয় হয়েছে। একজন পুলিশ কর্মকর্তা হয়েও হাসান মুহতারিমের সাংস্কৃতিক অবদানের জন্য ইতোমধ্যে প্রশংসা কুড়িয়েছেন।
১৩ এপ্রিল, ২০২৪
X