বৃদ্ধাকে ধর্ষণের পর হত্যা করে মেঝেতেই পুঁতে রাখে লাশ
মাদক সেবনে বাধা দেওয়ায় ষাটোর্ধ্ব বৃদ্ধাকে ধর্ষণের পর হত্যা করে লাশ পুঁতে রাখা হয় তারই ঘরের মেঝেতে। বরিশাল জেলার বাকেরগঞ্জ উপজেলার চরামদ্দি ইউনিয়নের মধ্য কাটাদিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পুরো ঘটনা উদ্ঘাটনের পর রোববার (২১ এপ্রিল) বরিশাল জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে জানানো হয় এসব তথ্য। সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার ওয়াহিদুল ইসলাম বলেন, ইউনিয়নের মধ্য কাটাদিয়া গ্রামের মৃত জয়নাল গাজীর স্ত্রী রিজিয়া বেগম (৬০) একাই বসবাস করতেন। প্রায় সাত মাস আগে নিখোঁজ হন রিজিয়া বেগম। গত ১৩ এপ্রিল রিজিয়া বেগমের ছেলে রাসেল বাড়িতে এলে ঘরের ভেতরে মাটির স্তূপ দেখতে পান। বিষয়টি পুলিশকে অবহিত করলে তারা আদালতের নির্দেশে ঘরের ভেতর থেকে রিজিয়া বেগমের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে পাঠান। এ ঘটনায় বাদী হয়ে ওই দিন মামলা করেন নিহতের ভাই হাওলাদার মাসুদ। মামলার সূত্র ধরে তদন্তে নামে বরিশাল জেলা পুলিশ। প্রযুক্তির ব্যবহার করে এ ঘটনায় জড়িত দুজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- একই ইউনিয়নের মধ্য কাটাদিয়া গ্রামের মৃত আইউব আলীর ছেলে মো. ফয়সাল (৩৫) ও মৃত কালাম হাওলাদার কালুর ছেলে লালচাঁন (৩২)। পুলিশ সুপার ওয়াহিদুল ইসলাম বলেন, ফয়সাল ও লালচাঁন প্রতিনিয়ত ওই বৃদ্ধার ঘরে ও আশপাশে মাদক সেবন করত। সেই ঘটনায় বাধা দেওয়ায় ঘটনার দিন অর্থাৎ প্রায় সাত মাস আগে পরিকল্পিতভাবে ধর্ষণের পর গলায় কাপড় পেঁচিয়ে হত্যা করে ফয়সাল ও লালচাঁন। এর পর বৃদ্ধার ঘরেই মাটি খুঁড়ে তাকে চাপা দেয় তারা। ফয়সাল ও লালচাঁন দুজনেই মাদকসেবী বলে জানিয়েছে পুলিশ সুপার। গ্রেপ্তারকৃত দু’জনকে রোববার আদালতে সোপর্দ করা হয়।
২১ এপ্রিল, ২০২৪

ঈদের দিনে গুম পরিবারের খোঁজ নিলেন বিএনপি নেতা আমিনুল হক
বিভিন্ন সময়ে বিএনপির নিখোঁজ ও নিহতদের পরিবারের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করেছেন দলের ঢাকা মহানগর উত্তরের সদস্য সচিব আমিনুল হক। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিন তিনি এ শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। এদিন সকালে রাজধানীর পল্লবী থানা যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নুরে আলম, পল্লবী থানা ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক তরিকুল ইসলাম তারা এবং ২০২২ সালের ৭ ডিসেম্বর নয়াপল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয় সামনে পুলিশের গুলিতে নিহত পল্লবী থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা মরহুম মকবুল হোসেনের পরিবারের স্বজনদের সঙ্গে দেখা করেন এবং কুশলাদি বিনিময় করেন আমিনুল। এ সময় তিনি বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে এসব পরিবারের সদস্যদের শুভেচ্ছাও জানান। আমিনুল হক বলেন, এই দিন দিন নয়, দিন আরও আছে। আজকে যারা গুম খুন করছে, যারা সহায়তা করছে, যারা নির্দেশ দিচ্ছেন তাদের এক দিন কাঠগড়ায় দাঁড়াতেই হবে। মৃত্যুর পরও তাদের রেহাই দেওয়া হবে না। কবর থেকে উঠিয়ে তাদের বিচার করা হবে এই নৃশংসতার। মরণোত্তর বিচার করা হবে। পরে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির নেতাকর্মীদের সঙ্গে ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন সাবেক ফুটবলার আমিনুল হক। গুলশানে বিএনপি চেয়াপারসনের কার্যালয়ে দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীদের সঙ্গে তিনি এ শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মো. মোস্তফা জামান, মহানগর সদস্য আলাউদ্দিন সরকার টিপু, ওয়ার্ড কাউন্সিলর আলী আকবর আলী, হাজি মোহাম্মদ ইউসুফ, দপ্তরের দায়িত্ব প্রাপ্ত এবিএমএ রাজ্জাক, জিয়াউর ইসলাম জিয়াসহ বিএনপির সকল থানা ও ওয়ার্ড বিএনপির নেতারা উপস্থিত ছিলেন। এর আগে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের কবর জিয়ারত শেষে জিয়া পরিবারের কনিষ্ঠ পুত্র আরাফাত রহমান কোকোর কবর জিয়ারত করে ফুটবলার আমিনুল।
১১ এপ্রিল, ২০২৪

ক্ষমতা ধরে রাখতে গুম খুন অব্যাহত রেখেছে সরকার
লালমনিরহাটের মহেন্দ্রনগর উপজেলার খুনিয়াগাছ ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি মো. ফেরদৌস আলীকে গত রোববার দুষ্কৃতকারীরা নির্মমভাবে হত্যার ঘটনায় নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। গতকাল সোমবার এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, রাষ্ট্রের পরতে পরতে অমানবিকতা, নিষ্ঠুরতা ও পৈশাচিকতার বহিঃপ্রকাশ। রাষ্ট্রক্ষমতার জন্য শাসকগোষ্ঠী গোটা দেশকে সন্ত্রাসী দুঃশাসনের ছায়ায় আচ্ছন্ন করে রেখেছে। ঠান্ডা মাথায় খুন এখন ক্ষমতাশালীদের সংস্কৃতিতে পরিণত করা হয়েছে। বিএনপি মহাসচিব বিবৃতিতে মো. ফেরদৌস আলীকে হত্যাকারী দুষ্কৃতকারীদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান। তিনি ফেরদৌস আলীর বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোকাহত পরিবারবর্গের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান। ওই হত্যাকাণ্ডের নিন্দা ও প্রতিবাদ এবং ঘাতকদের গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক বিচার দাবি করেছেন স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এসএম জিলানী ও সাধারণ সম্পাদক রাজীব আহসান।
১২ মার্চ, ২০২৪

গুম খুনের তথ্য নিয়ে মিথ্যাচার করছে বিএনপি
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, গুম-খুন নিয়ে বিএনপির দাবির কোনো ভিত্তি নেই। তথ্য-উপাত্ত ছাড়া সরকারকে অপবাদ দিতে গুম-খুন নিয়ে বিএনপি মিথ্যাচার করছে। কাদের কাদের গুম-খুন করা হয়েছে, তা প্রমাণসহ তালিকা আমরা দেখতে চাই। গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির কার্যালয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, বিএনপির নেতৃত্বে বিরোধী দল ক্রমাগত মিথ্যাচার ও গুজবের মাধ্যমে জনগণকে বিভ্রান্ত করার অপকৌশল চালিয়ে যাচ্ছে। আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, বিএনপি বলে কারাগারে ১৩ জনকে মেরে ফেলা হয়েছে। জেলখানায় যারা বন্দি তারাও মানুষ। তাদেরও মৃত্যু হতে পারে। জেলে বন্দি হলে কি মৃত্যু হবে না? তারা সবাই বিএনপির এমন দাবি তারা কেমন করে করে? তিনি বলেন, বিএনপি কথায় কথায় গুম-খুনের কথা বলে। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা এবং পশ্চিমা দেশগুলোকে মিথ্যা তথ্য সরবরাহ করছে এই গুমের ঘটনা নিয়ে। গুমের ব্যাপারেও একই কথা, তথ্য-উপাত্ত ছাড়া এই গুমের ঘটনা তারা সরকারকে অপবাদ দেওয়ার জন্য করে যাচ্ছে। বিএনপির লিফলেট বিতরণ কর্মসূচির বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি বারবার অন্ধকারে ঢিল ছুড়বে। এটা রাজনীতি না। লিফলেট বিতরণ করে ব্যর্থতা আড়াল করা যাবে না। তাদের লিফলেট বিতরণ কর্মসূচির উদ্দেশ্য দেশ ধ্বংস করা ও মানুষ মারা। মিয়ানমার সীমান্তে অস্ত্রসহ অনুপ্রবেশ নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নে সেতুমন্ত্রী বলেন, অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার ব্যাপারে বাংলাদেশ অত্যন্ত সচেতন ও সজাগ। বিদেশি কারও অনুপ্রবেশ ঘটলে তা খতিয়ে দেখাসহ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদে সংরক্ষিত নারী আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রসঙ্গে দলের সাধারণ সম্পাদক বলেন, স্বতন্ত্রসহ ৪৮ জনকে আওয়ামী লীগ মনোনয়ন দেবে। এর মধ্যে আমাদের শরিক দলগুলোও সংরক্ষিত আসন পাবে। তিনি বলেন, বুধবার আওয়ামী লীগের বোর্ড মিটিং হবে। এতে সভাপতিত্ব করবেন শেখ হাসিনা। তিনি প্রার্থীর তালিকা চূড়ান্ত করবেন।
১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

গুম নিয়ে সোচ্চার থাকায় আদিলুরকে কারাদণ্ড : বিএনপি
গুম ও বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড নিয়ে সোচ্চার থাকায় মানবাধিকার সংস্থা অধিকারের সম্পাদক আদিলুর রহমান খানকে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে বলে দাবি করেছে বিএনপি।  শুক্রবার (১৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে  নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এই দাবি করেন।  ফখরুল বলেন, ‘বাংলাদেশে গুম করে দেওয়া ও  বিচারবহির্ভূত  হত্যাকাণ্ড- এই ব্যাপারে তিনি (আদিলুর রহমান খান) ছিলেন সবচেয়ে সোচ্চার এবং এই বিষয়গুলো তিনি আন্তজাতিক অঙ্গনে, হিউম্যান রাইট কমিশন, মানবাধিকার সংস্থাগুলোতে তুলে ধরেছেন। যে কারণে তাকে এই কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।’ তিনি এহেন সাজার তীব্র নিন্দা জানিয়ে আদিলুর রহমান ও অধিকারের পরিচালক এ এস এস নাসির উদ্দিনের অবিলম্বে মুক্তি দাবি করেন।   বিএনপি মহাসচিব বলেন, আদিলুর রহমান খান এক সাধারণ হিউম্যান রাইটস এক্সিভিস্ট নয়, তিনি আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন হিউম্যান রাইটস অ্যাক্টিভিস্ট এবং সারা পৃথিবীতে তিনি হিউম্যান রাইট অ্যাক্টিভিস্ট হিসেবে অত্যন্ত পরিচিত ও সমাদৃত। আপনারা নিশ্চয়ই লক্ষ করেছেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নের পার্লামেন্টে তারা একটা রেজুলেশন নিয়েছে। সেই রেজুলেশনে তারা কনডেম করেছে এই সাজা দেওয়াকে এবং একই সঙ্গে তারা এই মামলা ও সাজা প্রত্যাহার করে তাকে মুক্তি দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে। মির্জা ফখরুল বলেন, ‘ইউরোপীয় ইউনিউয়নের পার্লামেন্টে রেজুলেশনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে একেবারেই মানবাধিকার নেই এটা (সাজা) তারও একটা প্রমাণ। তারা বলেছেন, বাংলাদেশে ডেমোক্রেসি, মানবাধিকার এগুলো অত্যন্ত খারাপ, ক্রমেই নিচের দিকে নেমেছে। আমরা আজকে আদিলুর রহমান খান ও এ এস এম নাসির উদ্দিনকে অবিলম্বে সাজা প্রত্যাহার করে মুক্তি দেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।’ তিনি বলেন, এতে প্রমাণিত হয়, বাংলাদেশের বিচার বিভাগ এখন পুরোপুরিভাবে সরকারের নিয়ন্ত্রণে চলে গেছে, দলীয়করণ হয়ে গেছে। আজকে কোনো মানুষই ন্যায়বিচার পাচ্ছে না, সেখান থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। উল্লেখ্য, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারার মামলায় সাইবার ট্রাইব্যুনাল গতকাল আদিলুল রহমান ও এ এস এম নাসির উদ্দিনকে দুই বছরের কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকার অর্থদণ্ড প্রদান করে।
১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৩

কৃষ্ণনগরে গুম আতঙ্ক!
সকাল হইতেই কৃষ্ণনগরের বাসিন্দারা দেওয়ালে দেওয়ালে একটি বিজ্ঞপ্তি দেখিয়া যুগপৎ বিস্মিত এবং চিন্তিত হইয়া পড়িল। বিজ্ঞপ্তিটি একটি নিখোঁজ সংবাদ। কৃষ্ণনগরবাসী দলবদ্ধভাবে বারবার পাঠ করিতেছে। সংবাদটি নিম্নরূপ : নিখোঁজ বিজ্ঞপ্তি— এতদ্বারা সর্বসাধারণের অবগতির জন্য জানানো যাইতেছে যে, কৃষ্ণনগরের অত্যন্ত পরিচিত মুখ শ্রী গোপালচন্দ্র ভাঁড় বিগত দুই সপ্তাহ যাবৎ নিরুদ্দিষ্ট হইয়া রহিয়াছেন। তাঁহার দেহের বিবরণ হইল—তিনি অতিশয় স্থূলকায়, মধ্যপ্রদেশ অর্থাৎ উদর অনাবশ্যক স্ফীত, কেশ বিরল অথচ বাবরিসম্বলিত মাথা, গাত্র কিঞ্চিৎ শ্যামবর্ণ, মুখমণ্ডল গোলাকার, চক্ষুদ্বয় রসগোল্লার মতো এবং প্রায়শই রক্তবর্ণ রূপ ধারণ করে, পরিধানে লালরঙের ধুতি ও হলুদ রঙের ফতুয়া এবং স্কন্ধে একটি গামছা, বয়স চল্লিশ হইতে ষাটের মধ্যে। কথাবার্তা বেশ বুদ্ধিদীপ্ত এবং পেশায় নরসুন্দর। যদি কোনো সহৃদয় ব্যক্তি এই নিরুদিষ্ট মানুষের হার সন্ধান পান অথবা কোথাও দেখিয়া থাকেন, তাহা হইলে অতিসত্বর নিম্নবর্ণিত ঠিকানায় যোগাযোগ করিবেন এবং সন্ধানদাতাকে উপযুক্ত পরিমাণ পারিতোষিক প্রদান করা হইবে। সন্ধানপ্রার্থী : ভারপ্রাপ্ত মহারাজ গবুচন্দ্র সিংহ রায় (সাবেক মন্ত্রী, কৃষ্ণনগর, ভারতবর্ষ)। কৃষ্ণনগরের সর্বত্র এই বিজ্ঞপ্তি সাঁটিয়া দেওয়া হইল এবং উৎসুক কৃষ্ণনগরবাসী হুমড়ি খাইয়া এই সংবাদ পাঠ করিতে থাকিল। ইহার ফলে সর্বত্র বিষাদের ছায়া পড়িল। শুরু হইল ব্যাপক গুঞ্জন। কেহ কেহ এমন মন্তব্যও করিল যে, গোপাল ভাঁড় মন্ত্রীর চক্ষুশূল হওয়ায় সে কটা-ঘটার সঙ্গে গোপন শলাপরামর্শ করিয়া গোপালকে গুম করিয়া দিয়াছে। দুই দিন না যাইতেই আবার নূতন হারানো বিজ্ঞপ্তি। এবার নিখোঁজ কৃষ্ণনগরের প্রবীণ নাগরিক অতিশয় মৃদুভাষী এবং নম্রস্বভাবের বিজ্ঞানী। আবার নাগরিকদের জটলা, কানাকানি এবং সংশয়। বিজ্ঞানীর মতো এমন নিরীহ মানুষ হঠাৎ উধাও হয় কীভাবে? কৃষ্ণনগরবাসী কিছুতেই বুঝিয়া উঠিতে পারিতেছে না এমন অজাতশত্রু একজন বিজ্ঞানসাধক কীভাবে নিরুদ্দেশ হইয়া যাইতে পারেন। এবারও সন্দেহ ঘনীভূত হইল এবং সন্দেহের তীর তাক করা হইল মন্ত্রীর দিকে। ইহারও দুদিন পর অকস্মাৎ অন্তর্ধান ঘটিল কৃষ্ণনগরের মিষ্ঠভাষী প্রিয়দর্শন রাজকবির। এবার গোটা কৃষ্ণনগর জুড়িয়া চরম অসন্তোষ! এসব কী ঘটিতেছে এই শান্তিপূর্ণ রাজ্যে! একের পর এক ভালো মানুষ গুম হইয়া যাইতেছে! ওদিকে মহারাজ কৃষ্ণচন্দ্রের কোনো হদিশও পাওয়া যাইতেছে না। এক রাত্রে মন্ত্রীর ভবনে মন্ত্রী এবং কটা-ঘটার গোপন সাক্ষাৎ— মন্ত্রী— ব্যাপার কী রে কটা-ঘটা! মিঠু-বিটুরা কোথায়? ওদের কাজ কতদূর? কটা—একটু সময় তো লাগবেই মন্ত্রীমশাই! কতদূর যেতে হচ্ছে বুঝতে পারছেন! আর কীভাবে যাওয়া হচ্ছে তাও নিশ্চয়ই আপনার জানা আছে। মন্ত্রী—তা তো বুঝলাম, কিন্তু আমার তো আর দেরি সইছে না। কবে যে প্রাসাদের ভেতরে ঢুকব, কবে যে সিংহাসনটায় বসব, তা তো বুঝতে পারছি না। ওদিকে মানুষজন তো অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে! আর হ্যাঁ, খুঁজে পেলি কোথায় গেছে বিজ্ঞানী আর রাজকবি? মানুষজন তো ভাবতে শুরু করেছে যে, আমিই নাকি চক্রান্ত করে একের পর এক ওদের গুম করে দিচ্ছি! গোপালের খোঁজ নেই, বিজ্ঞানীর খোঁজ নেই। এমনকি রাজকবিরও কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না—এটা একটা কথা হলো! ঘটা—মন্ত্রীমশাই, আমরাও তো বুঝতে পারছি সমস্যাটা, বনজঙ্গল থেকে শুরু করে বাড়ি বাড়ি গিয়ে খুঁজছি, কিন্তু পাচ্ছি না। মনে হয় যেন কর্পূরের মতো উবে গেছে মানুষগুলো। কটা—মন্ত্রীমশাই, আরও কিছু মালকড়ি ছাড়ুন তাড়াতাড়ি। বিটু-মিঠুকে আরও দিতে হবে, আমাদের দুজনেরও লাগবে খরচপাতি। মাঝপথে তো থেমে গেলে হবে না। মন্ত্রী—আরে না, না। মাঝপথে কেন থামবি! কাজ যখন শুরু করেছিস, তখন তো শেষ করতে হবেই। ঘটা—তবে টাকা! মন্ত্রী—দেব, দেব, যা আশা করেছিস তার চেয়ে বেশিই পাবি। আর তাছাড়া আমি যদি সিংহাসনে বসি তাহলে তোরা কোথায় উঠবি বুঝতে পারিস! একজন হবে মন্ত্রী আর একজন সেনাপতি, কী দারুণ! কটা—সে যখন হবে তখন তো হবেই। কিন্তু এখন তো লাগবে আরও বেশ কিছু! দিন মন্ত্রীমশাই, তাড়াতাড়ি দিন। আমার তো আবার মিঠু-বিটুর সংসারেও কিছু পাঠাতে হবে। মন্ত্রী—ঠিক ঠিক বলত তোরা, আর কদিন লাগতে পারে বলে মনে হয়? ঘটা—মন্ত্রীমশাই, আপনি তো জানেন, কাজটা অনেক ঝুঁকির! ওরা দুজন কৃষ্ণনগরের শুধু নয়, গোটা মুর্শিদাবাদ খুঁজলেও ওরকম সিঁধেল চোর পাওয়া যাবে না। ওদের কাজ যেমন নিখুঁত, তেমনি পাকা। ওরা যখন কাজ শুরু করেছে তখন ভগবানের কৃপায় কাজ শেষ করেই আসবে। শুধু কাজ শেষ হওয়ার আগে গোপাল, বিজ্ঞানীরা যেন আবার দুম করে বেরিয়ে না পড়ে! মন্ত্রী—ওরা কোথায় আছে সেই খবরটা যদি পাওয়া যেত, তাহলে নিশ্চিন্ত হওয়া যেত। আচ্ছা, দেখা যাক! আমি তোদের জন্য কিছু টাকাকড়ি নিয়ে আসি। কটা-ঘটা (সমস্বরে)—বেশি করে আনবেন কিন্তু মন্ত্রীমশাই। এ নিয়ে যেন বারবার প্যান প্যান না করতে হয়। লেখক : প্রধান সম্পাদক, দৈনিক কালবেলা
০৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৩

গুম বন্ধে বাংলাদেশের প্রতি আহ্বান অ্যামনেস্টির
গুমের চর্চা বন্ধে বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। সেই সঙ্গে ভুক্তভোগীদের পরিবারের জন্য সত্য, ন্যায়বিচার, ক্ষতিপূরণ নিশ্চিতের আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি। বুধবার (৩০ আগস্ট) ‘আন্তর্জাতিক গুম প্রতিরোধ দিবস’ উপলক্ষে বাংলাদেশ সরকারের প্রতি এসব আহ্বান জানিয়ে টুইট করেন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক কার্যালয়। টুইটে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা বলেছে, গুম অনেকগুলো মানবাধিকার লঙ্ঘন করে। এর মধ্যে রয়েছে জীবনের অধিকার, নির্যাতন থেকে স্বাধীনতা, স্বাধীনতা ও ন্যায়বিচার। বাংলাদেশের উচিত গুমবিরোধী আন্তর্জাতিক সনদে সই করা। এ ছাড়া জাতিসংঘের গুমবিষয়ক ওয়ার্কিং গ্রুপের বাংলাদেশ সফরের অনুরোধ গ্রহণ করা। দিবসটি উপলক্ষে অ্যামনেস্টি ছাড়াও যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কভিত্তিক আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস ওয়াচ গত মঙ্গলবার একটি বিবৃতি দেয়। সেখানে সংগঠনটি বলে, বাংলাদেশের নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে গুমের ঘটনা তদন্তে একটি স্বাধীন কমিশনকে সহায়তার জন্য জাতিসংঘের প্রস্তাব সরকারের গ্রহণ করা উচিত। সম্প্রতি বাংলাদেশে চলমান বেশ কয়েকটি ইস্যুতে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। কয়েকদিন আগেই এক বছর ধরে কারাগারে বন্দি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী খাদিজাতুল কুবরার মুক্তির দাবি জানিয়েছে সংস্থাটি।
৩১ আগস্ট, ২০২৩

গুম করা যেন সরকারের নীতি হয়ে গেছে - মির্জা ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বিরোধী দলের নেতাদের উঠিয়ে নিয়ে প্রথমে অস্বীকার এবং পরে আদালতে সোপর্দের ঘটনা এখন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাজ হয়ে দাঁড়িয়েছে। গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ছাড়া তুলে নিয়ে গিয়ে গুম করাটা অবৈধ আওয়ামী সরকার নীতি হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেছে। গত মঙ্গলবার আদালত থেকে বের হওয়ার পর রাস্তা থেকে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সমবায়বিষয়ক সম্পাদক জি কে গউছকে সাদা পোশাকধারী গোয়েন্দা পুলিশের তুলে নেওয়া ও অস্বীকার এবং পরে গতকাল তাকে আদালতে সোপর্দ করার ঘটনায় উদ্বেগ ও নিন্দা জানিয়ে এক বিবৃতিতে ফখরুল এসব কথা বলেন। মির্জা ফখরুল বলেন, মধ্যরাতের নির্বাচনের পরও অবৈধ আওয়ামী সরকার নিজেদের অস্তিত্বের প্রশ্নে সবসময় অজানা আশঙ্কায় উদ্বিগ্ন থাকে। তাই ভিন্নমতের মানুষকে ভয় পাইয়ে দিতে গুম, ক্রসফায়ারের ধারাবাহিকতা চালু রাখা হয়েছে। বাসাবাড়িতে হানা, বাড়ির সদস্যদের প্রতি দুর্ব্যবহারসহ নানাভাবে বিএনপির নেতাকর্মী ও তাদের পরিবার নির্যাতন-নিপীড়নের জাঁতাকলে পিষ্ট হচ্ছে। বিএনপি মহাসচিব বলেন, জুলুম-নির্যাতন-হামলা-মামলার বিরাজমান পরিস্থিতিতেও দেশের মানুষ গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার আন্দোলন থেকে পিছপা হবে না। তিনি হবিগঞ্জের নেতা জি কে গউছের বিরুদ্ধে করা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মামলা প্রত্যাহার ও অবিলম্বে তার নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানান।
৩১ আগস্ট, ২০২৩

মানববন্ধনে মঈন খান / গুম হওয়াদের পরিবারের আর্তি না শুনলে পরিণতি শুভ হবে না
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান বলেছেন, গুম হওয়া ব্যক্তিদের পরিবারের কান্না আজ সবার হৃদয়ে স্পন্দন সৃষ্টি করলেও সরকার সে কান্নার শব্দ শুনতে পায় না। তাদের আর্তি শুনতে না পেলে এর পরিণতি শুভ হবে না। গতকাল বুধবার নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ‘আন্তর্জাতিক গুম প্রতিরোধ দিবস’ উপলক্ষে এক মানববন্ধন কর্মসূচিতে এ কথা বলেন তিনি। গুম হওয়া নেতাকর্মীদের সন্ধান দাবিতে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপির উদ্যোগে এই মানববন্ধন হয়। ‘গুম’ হওয়া পারভেজ হোসেনের ছোট মেয়ে হৃদি, মাহফুজুর রহমান সোহেলের ছোট্ট মেয়ে সাফা, সাজেদুল ইসলাম সুমনের বোন সানজীদা ইসলাম তুলি, হুমায়ুন কবির পারভেজের ছেলে শাহরিয়া, মাজহারুল ইসলাম রাসেলের বড় ভাই লোটাস, মিরাজ খানের স্ত্রী আমেনা আখতার বৃষ্টি প্রমুখ তাদের কষ্টের কথা বলতে গিয়ে বারবার অশ্রুসজল হয়ে পড়েন। মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমানউল্লাহ আমানের সভাপতিত্বে এবং সদস্য সচিব আমিনুল হকের সঞ্চালনায় এতে বরকত উল্লাহ বুলু, আবদুস সালাম, আবদুস সালাম আজাদ, শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি, মীর সরফত আলী সপু, আনিসুর রহমান তালুকদার খোকন, সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, এসএম জিলানি, হাসান জাফির তুহিন, রাশেদ ইকবাল খান প্রমুখ বক্তব্য দেন। এ ছাড়া দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়েও মৌন মিছিল করে বিএনপি। গুমের বিচার হবে—নজরুল ইসলাম : বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, আওয়ামী শাসনামলে বিএনপির প্রায় ৬০০ মানুষ গুমের শিকার হয়েছে। প্রতিটি গুমের বিচার একদিন হবে। চট্টগ্রামের কাজীর দেউড়িতে মহানগর বিএনপির মৌন মিছিল-পূর্ব সমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি। মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক শাহাদাত হোসেনের সভাপতিত্বে ও যুগ্ম আহ্বায়ক ইয়াছিন চৌধুরী লিটনের পরিচালনায় সমাবেশে দলের সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীমসহ অন্যরা বক্তব্য দেন।
৩১ আগস্ট, ২০২৩

সরকারের পতনের মধ্য দিয়ে গুম-খুনের বিচার হবে : টুকু
আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের মধ্য দিয়ে গুম-খুনের বিচার হবে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয়তাবাদী যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু।  বুধবার (৩০ আগস্ট) বিকেলে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ‘আন্তর্জাতিক গুম প্রতিরোধ দিবস’ উপলক্ষে এক মানববন্ধন কর্মসূচিতে এ মন্তব্য করেন তিনি। গুম হওয়া নেতা-কর্মীদের সন্ধান দাবিতে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপির যৌথ উদ্যোগে এই মানববন্ধন হয়। যুবদল সভাপতি বলেন, রাষ্ট্রীয় বাহিনী দিয়ে বিএনপির নেতা-কর্মীদের গুম করা হচ্ছে, খুন করা হচ্ছে। আমরা বলতে চাই, এই রাষ্ট্রীয় বাহিনী দিয়ে যারা রাষ্ট্রের জনগণের সাথে অন্যায় করছে, তাদের বিচার এই বাংলার মাটিতে হবে। তিনি বলেন, বাংলাদেশের জনগণকে সাথে নিয়ে বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের নেতৃত্বে একদফার আন্দোলন চলছে। এই অনাচার-অবিচার, গুম-খুনের বিচার এই সরকারের পতনের মধ্যে দিয়ে হবে ইনশাআল্লাহ। ক্ষমতাসীনদের উদ্দেশে টুকু বলেন, আমাদের নেতাকর্মীদের ওপর অন্যায়-অবিচার-অত্যাচার করছেন, গ্রেপ্তার করছেন। এসব করে কোনো কাজ হবে না, আন্দোলন চলবেই। আন্দোলনের মাধ্যমেই আপনাদের পতন ঘটবে। ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমানের সভাপতিত্বে এবং সদস্য সচিব আমিনুল হকের সঞ্চালনায় এতে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান। মানববন্ধনে আরও বক্তব্য দেন- বিএনপির বরকতউল্লাহ বুলু, আবদুস সালাম, রুহুল কবির রিজভী, আবদুস সালাম আজাদ, শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, মীর সরফত আলী সপু, আনিসুর রহমান তালুকদার খোকন, স্বেচ্ছাসেবক দলের এসএম জিলানি, কৃষক দলের হাসান জাফির তুহিন, ছাত্রদলের রাশেদ ইকবাল খান প্রমুখ নেতৃবৃন্দ। কর্মসূচিতে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা মফিকুল হাসান তৃপ্তি, বজলুল করিম চৌধুরী আবেদ, আবু সাঈদ, হাসান মামুন, আকরামুল হাসান, ইকবাল হোসেন শ্যামল, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের যুগ্ম আহবায়ক আব্দুস সাত্তার, সাইফুল ইসলাম, সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের অধ্যাপক ডা. জাহিদ হোসেন, কাদের গণি চৌধুরী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. এবিএম ওবায়দুল ইসলাম, অধ্যাপক লুৎফর রহমান, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরামের অধ্যাপক মো. শামসুল আলম, অধ্যাপক মো. নুরুল ইসলাম, কৃষক দল নেতা ইঞ্জিনিয়ার টিএস আইয়ুব, স্বেচ্ছাসেবক দলের রাজিব আহসান, নাজমুল হাসান, ডা. জাহেদুল কবির জাহিদ, সরদার মো. নুরুজ্জামান, হারুনুর রশিদ, সাবেক স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা আনু মো. শামীম আজাদ, মোকছেদ আলম, যুবদলের মামুন হাসান, নুরুল ইসলাম নয়ন, জাভেদ হাসান স্বাধীন, মিয়া মোহাম্মদ রাসেল, শাহ নাসিরুদ্দীন রুমন, করিম সরকার, গিয়াস উদ্দীন মামুন, ছাত্রদলের সাইফ মাহমুদ জুয়েল, রাকিবুল ইসলাম রাকিবসহ বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।  
৩০ আগস্ট, ২০২৩
X