আদালতের নির্দেশে ৩ ঘর উচ্ছেদ, গৃহহীন ৪ পরিবার
বরগুনার আমতলী পৌর শহরের ওয়াবদা সড়কের মিঠাবাজার এলাকায় আদালতের নির্দেশে ৩টি ঘর উচ্ছেদ করা হয়েছে। আমতলী সহকারী জজ আদালতের বিচারক মো. সিহাবুর রহমানের নির্দেশে বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) এ ঘরগুলো উচ্ছেদ করা হয়। জানা গেছে, আমতলী পৌর শহরের ওয়াবদা সড়কের মিঠাবাজার এলাকার ৭৮৬ ও ১২১৮ নম্বর খতিয়ানের ৯১৪ নম্বর দাগের ৬ শতাংশ জমি আব্দুল আজিজ খানের দখলে ছিল। ওই জমি তিনি আফজাল হাওলাদার ও সিরাজ মৃধার কাছে বিক্রি করে দেন, এমনটি দাবি করেন আফজাল হাওলাদারের ছেলে সাংবাদিক মনিরুল ইসলাম হাওলাদার। সেই কেনা জমিতে তারা ৪০ বছর ধরে বসবাস করে আসছিলেন। অপরদিকে জমিটি ফিরোজা বেগম নামের এক নারী তার দাবি করে আমতলী সহকারী জজ আদালতে ২০১৫ সালে মামলা দায়ের করেন। চলতি বছরের ১৫ জানুয়ারি আমতলী সহকারী জজ আদালতের বিচারক সিহাবুর রহমান ফিরোজা বেগমের পক্ষে রায় দেন। বৃহস্পতিবার আদালতের নির্দেশে ওই জমিতে বসবাসরত মনিরুল ইসলাম হাওলাদার, রনি হাওলাদার ও সাব্বির হাওলাদার এবং রাসেল মৃধার ঘর উচ্ছেদ করা হয়। এ সময় ওই এলাকায় শত শত মানুষ ভিড় করেন। মামলার বাদী ফিরোজা বেগম আদালতের রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, আদালত আমাকে আমার প্রাপ্য অধিকার ফিরিয়ে দিয়েছেন। জমিতে বসবাসরত সাংবাদিক মনিরুল ইসলাম হাওলাদার, রনি হাওলাদার ও পারুল বেগম বলেন, আমরা প্রায় ৪০ বছর ওই জমিতে বসবাস করে আসছি। ঘর উচ্ছেদের কোনো নোটিশ আগে দেওয়া হয়নি। নোটিশ ছাড়াই আমাদের ঘর-বাড়ি উচ্ছেদ করা হয়েছে। আমাদের প্রতি অন্যায় করা হয়েছে। আমাদের পরিবারে দুজন অন্তঃসত্ত্বা। আমাদের কোনো আপিল করার সুযোগ দেওয়া হয়নি। বরগুনা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের নাজির ফারুক আহম্মেদ কালবেলাকে বলেন, আদালত নির্দেশ দিয়ে আমাকে ওই ঘরগুলো উচ্ছেদ করার জন্য ফোর্সসহ পাঠিয়েছে। আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী ৩টি ঘর উচ্ছেদ করা হয়েছে। নোটিশের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, নোটিশের বিষয়টি আদালত জানেন।
২২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

নতুন ঘর পেলেন ৩৭ ভূমি ও গৃহহীন
মুজিববর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে জমি ও গৃহ প্রদান কার্যক্রমের আশ্রয়ণ প্রকল্প-২ এর আওতায় সারা দেশের মতো ঝিনাইদহের মহেশপুরে ৫ম পর্যায়ে ৩৭টি পরিবারকে ২ শতাংশ জমি ও সেমিপাকা ঘর প্রদান করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) সকালে এই কার্যক্রম গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে শুভ উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরে উপজেলা পরিষদের হলরুমে আনুষ্ঠানিকতার মাধ্যমে ৩৭টি সুবিধাভোগী পরিবারের মধ্যে জমির দলিলসহ ঘরের চাবি বুঝিয়ে দেন উপজেলা প্রশাসন।  এ সময় উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ময়জদ্দীন হামীদ, ভাইস চেয়ারম্যান আজিজুল হক আজা, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান হাসিনা খাতুন হেনা, মহেশপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাজ্জাদুল ইসলাম সাজ্জাদ, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নয়ন কুমার রাজবংশী, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান হাসিনা খাতুন হেনা, সহকারী কমিশনার (ভূমি) শরীফ শাওন, নাটিমা ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কাসেম, বাঁশবাড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান নাজমুল হুদা জিন্টু, সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ ও উপকারভোগীরা উপস্থিত ছিলেন। 
১৪ নভেম্বর, ২০২৩

আজ গৃহহীন মুক্ত হচ্ছে আরও ১২ জেলা
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বুধবার (৯ আগস্ট) আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় আরও ১২টি জেলাকে গৃহহীন ও ভূমিহীন মুক্ত ঘোষণা করবেন। এ সময় ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের মাঝে ২২ হাজার ১০১টি বাড়ি হস্তান্তর করা হবে। আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় ৪১টি জেলার আরও ১২৩টি উপজেলাকে গৃহহীন ও ভূমিহীন ঘোষণা করা হবে, যার ফলে মোট উপজেলার সংখ্যা হবে ৩৩৪টি এবং এই ১২ জেলাসহ সম্পূর্ণ গৃহহীন ও ভূমিহীন মুক্ত জেলার মোট সংখ্যা দাঁড়াবে ২১টিতে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে গৃহহীন ও ভূমিহীন পরিবারগুলোর মধ্যে বাড়ি বিতরণের ঘোষণা দেবেন। সোমবার (৭ আগস্ট) বিকেলে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের করবী হলে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মোহাম্মদ তোফাজ্জেল হোসেন মিয়া এসব তথ্য জানান। তিনি বলেন, আশ্রয়ণ প্রকল্প বিশ্বে একটি অনন্য প্রকল্প, কারণ পৃথিবীর আর কোনো দেশে এত বিপুল সংখ্যক ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের মাঝে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে বাড়ি বিতরণ করা হয়নি। আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের চতুর্থ ধাপের আওতায় এটি দ্বিতীয় পর্যায় এবং গত ২২ মার্চ দ্বিতীয় ধাপের অধীনে প্রথম দফায় ৩৯ হাজার ৩৬৫টি বাড়ি বিতরণ করা হয়। ২০২১ সালের ২৩ জানুয়ারি প্রথম পর্যায়ে ৬৩ হাজার ৯৯৯টি, ওই বছর ২০ জুন দ্বিতীয় পর্যায়ে ৫৩ হাজার ৩৩০টি এবং মুজিববর্ষের সময় তৃতীয় পর্যায়ে দুই ধাপে মোট ৫৯ হাজার ১৩৩টি বাড়ি বিতরণ করা হয়েছে। আরও ২২ হাজার ১০১টি ঘর বিতরণের মাধ্যমে, আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের অধীনে মোট সংখ্যা দাঁড়াবে ২ লাখ ৩৮ হাজার ৮৫১টি। মুখ্য সচিব জানান, প্রধানমন্ত্রী খুলনা জেলার তেরখাদা উপজেলার বারাসত সোনার বাংলা পল্লী আশ্রয়ণ প্রকল্প, পাবনার বেড়া উপজেলার চাকলা আশ্রয়ণ-২ প্রকল্প এবং নোয়াখালীর বেগমগঞ্জের আমানউল্লাহপুর আশ্রয়ণ প্রকল্পের সুবিধাগ্রহীতাদের সঙ্গে সরাসরি মতবিনিময় করবেন। প্রকল্পের আওতায় ভূমিহীন ও গৃহহীনরা দুই দশমিক দুই শতাংশ জমিতে ভালো মানের টিনশেড আধা-পাকা বাড়ি পাবেন। তোফাজ্জেল হোসেন মিয়া বলেন, প্রধানমন্ত্রী মানিকগঞ্জ, রাজবাড়ী, ময়মনসিংহ, শেরপুর, দিনাজপুর, ঠাকুরগাঁও, নওগাঁ, নাটোর, পাবনা, কুষ্টিয়া, পিরোজপুর ও ঝালকাঠিকে গৃহহীন-ভূমিহীন মুক্ত জেলা হিসেবে ঘোষণা করবেন এবং এর আগে তিনি পঞ্চগড় ও মাগুরাসহ আরও ৯টি জেলাকে ভূমিহীন ও গৃহহীন মুক্ত জেলা ঘোষণা করবেন। মুখ্য সচিব বলেন, নদীভাঙন, প্রাকৃতিক দুর্যোগ বা অন্য কোনো কারণে এসব এলাকায় কেউ গৃহহীন ও ভূমিহীন হলে তাদের জমিসহ বাড়ি দেওয়া হবে। জমির মালিকানা স্বামী-স্ত্রী উভয়কে দেওয়া হয়। তোফাজ্জেল হোসেন মিয়া বলেন, সরকার শুধু খাস জমিতে প্রকল্পের জন্য বাড়ি নির্মাণ করছে না, বাড়ি নির্মাণের জন্য জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেমোরিয়াল ট্রাস্টের কাছ থেকে জমি কেনা হচ্ছে। এ লক্ষ্যে ব্যক্তিবর্গের কাছ থেকেও অনুদান পাওয়া যায় বলে তিনি উল্লেখ করেন। আরও পড়ুন : বাংলাদেশে নির্বাচন নিয়ে মার্কিন প্রতিষ্ঠানের জরিপ প্রকাশ যাদের বাড়ি নেই, জমি আছে, তাদের জন্য সরকার কবে থেকে বাড়ি নির্মাণ শুরু করবে- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এখন সরকার এই প্রকল্পের আওতায় শুধু ভূমিহীন ও গৃহহীনদের বাড়ি দিচ্ছে এবং এই প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার পর যাদের বাড়ি নেই বা যাদের বাড়ি জরাজীর্ণ অবস্থায় রয়েছে তাদের জন্য বাড়ি নির্মাণ শুরু করবে।
০৯ আগস্ট, ২০২৩

ভূমিহীন ও গৃহহীন মুক্ত হচ্ছে আরও ১২ জেলা
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী বুধবার আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় আরও ১২টি জেলাকে গৃহহীন ও ভূমিহীন মুক্ত ঘোষণা করবেন। এ সময় ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের মাঝে ২২ হাজার ১০১টি বাড়ি হস্তান্তর করা হবে। আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় ৪১টি জেলার আরও ১২৩টি উপজেলাকে গৃহহীন ও ভূমিহীন ঘোষণা করা হবে, যার ফলে মোট উপজেলার সংখ্যা হবে ৩৩৪টি এবং এই ১২ জেলাসহ সম্পূর্ণ গৃহহীন ও ভূমিহীন মুক্ত জেলার মোট সংখ্যা দাঁড়াবে ২১টিতে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে গৃহহীন ও ভূমিহীন পরিবারগুলোর মধ্যে বাড়ি বিতরণের ঘোষণা দেবেন। সোমবার (৭  আগস্ট) বিকেলে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের করবী হলে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মোহাম্মদ তোফাজ্জেল হোসেন মিয়া এসব তথ্য জানান।  তিনি বলেন, আশ্রয়ণ প্রকল্প বিশ্বে একটি অনন্য প্রকল্প, কারণ পৃথিবীর আর কোনো দেশে এতো বিপুল সংখ্যক ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের মাঝে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে বাড়ি বিতরণ করা হয়নি।  আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের চতুর্থ ধাপের আওতায় এটি দ্বিতীয় পর্যায় এবং গত ২২ মার্চ দ্বিতীয় ধাপের অধীনে প্রথম দফায় ৩৯ হাজার ৩৬৫টি বাড়ি বিতরণ করা হয়। ২০২১ সালের ২৩ জানুয়ারি প্রথম পর্যায়ে ৬৩ হাজার ৯৯৯টি, ওই বছর ২০ জুন দ্বিতীয় পর্যায়ে ৫৩ হাজার ৩৩০টি এবং মুজিববর্ষের সময় তৃতীয় পর্যায়ে দুই ধাপে মোট ৫৯ হাজার ১৩৩টি বাড়ি বিতরণ করা হয়েছে। আরও ২২ হাজার ১০১টি ঘর বিতরণের মাধ্যমে, আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের অধীনে মোট সংখ্যা দাঁড়াবে ২ লাখ ৩৮ হাজার ৮৫১টি। মুখ্য সচিব জানান, প্রধানমন্ত্রী খুলনা জেলার তেরখাদা উপজেলার বারাসত সোনার বাংলা পল্লী আশ্রয়ণ প্রকল্প, পাবনার বেড়া উপজেলার চাকলা আশ্রয়ণ-২ প্রকল্প এবং নোয়াখালীর বেগমগঞ্জের আমানউল্লাহপুর আশ্রয়ণ প্রকল্পের সুবিধাগ্রহীতাদের সঙ্গে সরাসরি মতবিনিময় করবেন। প্রকল্পের আওতায় ভূমিহীন ও গৃহহীনরা দুই দশমিক দুই শতাংশ জমিতে ভালো মানের টিনশেড আধা-পাকা বাড়ি পাবেন। তোফাজ্জেল হোসেন মিয়া বলেন, প্রধানমন্ত্রী মানিকগঞ্জ, রাজবাড়ী, ময়মনসিংহ, শেরপুর, দিনাজপুর, ঠাকুরগাঁও, নওগাঁ, নাটোর, পাবনা, কুষ্টিয়া, পিরোজপুর ও ঝালকাঠিকে গৃহহীন-ভূমিহীন মুক্ত জেলা হিসেবে ঘোষণা করবেন এবং এর আগে তিনি পঞ্চগড় ও মাগুরাসহ আরও ৯টি জেলাকে ভূমিহীন ও গৃহহীন মুক্ত জেলা ঘোষণা করবেন। মুখ্য সচিব বলেন, নদীভাঙন, প্রাকৃতিক দুর্যোগ বা অন্য কোনো কারণে এসব এলাকায় কেউ গৃহহীন ও ভূমিহীন হলে তাদের জমিসহ বাড়ি দেওয়া হবে। জমির মালিকানা স্বামী-স্ত্রী উভয়কে দেওয়া হয়। তোফাজ্জেল হোসেন মিয়া বলেন, সরকার শুধু খাস জমিতে প্রকল্পের জন্য বাড়ি নির্মাণ করছে না, বাড়ি নির্মাণের জন্য জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেমোরিয়াল ট্রাস্টের কাছ থেকে জমি কেনা হচ্ছে। এ লক্ষ্যে ব্যক্তিবর্গের কাছ থেকেও অনুদান পাওয়া যায় বলে তিনি উল্লেখ করেন।  আরও পড়ুন : ‘নিষেধাজ্ঞা যুক্তরাষ্ট্রের দুর্নীতি দমনের হাতিয়ার’ যাদের বাড়ি নেই, জমি আছে, তাদের জন্য সরকার কবে থেকে বাড়ি নির্মাণ শুরু করবে- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এখন সরকার এই প্রকল্পের আওতায় শুধু ভূমিহীন ও গৃহহীনদের বাড়ি দিচ্ছে এবং এই প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার পর যাদের বাড়ি নেই বা যাদের বাড়ি জরাজীর্ণ অবস্থায় রয়েছে তাদের জন্য বাড়ি নির্মাণ শুরু করবে। 
০৮ আগস্ট, ২০২৩
X