রাঙামাটিতে পাহাড়ি দুই সংগঠনের মধ্যে গোলাগুলি
রাঙামাটির বাঘাইছড়িতে উপজেলা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে পাহাড়ি আঞ্চলিক দুই সংগঠনের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার (১৪ মে) সকাল ৭টা থেকে ৮টা পর্যন্ত গোলাগুলি হয়েছে বলে জানিয়েছে বাঘাইছড়ি থানা পুলিশ।  স্থানীয়দের সূত্রে জানা যায়, পাহাড়ের আঞ্চলিক দুই সংগঠন পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (জেএসএস) ও ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের (ইউপিডিএফ) মধ্যে উপজেলা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আধিপত্য বিস্তারে গোলাগুলির ঘটনা ঘটে, যা দুপুর পর্যন্ত থেমে থেমে অব্যাহত ছিল।  বাঘাইছড়ি থানার ওসি মোহাম্মদ ইসতেয়াক আহমেদ জানান, উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে পাহাড়ের আঞ্চলিক দুই সংগঠনের মধ্যে গোলাগুলির খবর পেয়েছি। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর টহল জোরদার করা হয়েছে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো হতাহত হয়নি। তৃতীয় ধাপে বাঘাইছড়িতে উপজেলা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
১৪ মে, ২০২৪

টেকনাফে আবারও গোলাগুলি ও মর্টার শেলের শব্দ
কক্সবাজারের টেকনাফ সীমান্তের ওপারে মিয়ানমার থেকে আবারও গোলাগুলি ও মর্টার শেলের বিকট শব্দ ভেসে আসছে। এতে আতঙ্কে আছেন হোয়াইক্যং ও হ্নীলা ইউনিয়ন সীমান্তের সাধারণ মানুষ। বৃহস্পতিবার (১‌১ এপ্রিল) দিবাগত রাত ১টা থেকে শুক্রবার (১২ এপ্রিল) সকাল ৯টা পর্যন্ত এ শব্দ শোনা গেছে। স্থানীয়রা জানান, মিয়ানমার সরকারি বাহিনীর সঙ্গে আরাকান আর্মির সংঘর্ষ চলছে। এতে টেকনাফের হোয়াইক্ষং উত্তর পাড়া, লম্বাবিল, উনচিপ্রাং, কাঞ্জর পাড়া, হ্নীলা, মোলভী পাড়া, ওয়াব্রাং, ফুলের ডেইল, চৌধুরী পাড়া, জালিয়া পাড়া এলাকায় সীমান্তের ওপারে গুলি ও মর্টার শেলের শব্দ শোনা যাচ্ছে। হোয়াইক্যং ও হ্নীলা সীমান্তের পূর্বে মিয়ানমার কুমিরহালি, নাইচদং, কোয়াংচিগং, শিলখালী, নাফপুরা এ গ্রামগুলোতে গৃহযুদ্ধ চলছে।  হোয়াইক্ষং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নূর আহমেদ আনোয়ার বলেন, ঈদের দিন থেকে থেমে থেমে মর্টারশেল ও গুলির শব্দ ভেসে আসছে। এতে স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।  টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রাশেদ মোহাম্মদ আলী বলেন, সকাল থেকে ভারী গোলার শব্দ পাওয়া যাচ্ছে। রাখাইনের চলমান যুদ্ধে এপারে অনেক শব্দ শোনা যাচ্ছে। প্রতিদিন এ ধরনের গোলার আওয়াজ এখানকার মানুষের মধ্যে আতঙ্ক বাড়াচ্ছে। টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আদনান চৌধুরী কালবেলাকে বলেন, সীমান্তের জনপ্রতিনিধিরা বিভিন্ন এলাকায় গোলাগুলির শব্দ পাওয়ার বিষয়টি জানিয়েছেন। মিয়ানমারে সংঘাতময় পরিস্থিতির কারণে সীমান্ত এলাকায় বিজিবি, কোস্টগার্ডসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতা বাড়ানো হয়েছে। সীমান্তে বসবাসরত বাংলাদেশের নাগরিকদের সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।
১২ এপ্রিল, ২০২৪

থানচিতে এবার থানায় হামলা, ঘণ্টাব্যাপী গোলাগুলি
টানা তৃতীয় দিনের মতো হামলা অব্যাহত রেখেছে অস্ত্রধারীরা। গত মঙ্গল ও বুধবার দুই ব্যাংকের তিন শাখায় হামলার পর বৃহস্পতিবার রাতে বান্দরবানের থানচি থানা লক্ষ্য করে গুলি ছোড়া হয়েছে। পাল্টা গুলি ছুড়েছে পুলিশ ও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। প্রায় ঘণ্টাখানেক গোলাগুলি চলে। প্রাথমিকভাবে হতাহতের কোনো খবর না মিললেও থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে থানচিতে। স্থানীয়দের মধ্যে ছড়িয়ে পড়েছে আতঙ্ক। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ৮টার পর থানা লক্ষ্য করে পাহাড় থেকে গুলি ছোড়া হয়। পুলিশ ও বিজিবি পাল্টা গুলি ছুড়েছে। পুলিশ সূত্র বলছে, দূর পাহাড় থেকে শতাধিক রাউন্ড গুলি ছুড়েছে সন্ত্রাসীরা। রাত ১০টার দিকে পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি নূরে আলম মিনা কালবেলাকে বলেন, থানচি থানার দক্ষিণ ও পূর্ব পাশে পাহাড় রয়েছে। রাতের অন্ধকারে অজ্ঞাত অস্ত্রধারীরা দুই পাশ থেকে থানা লক্ষ্য করে গুলি করে। দূর থেকে গুলি করায় তা লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। পুলিশও পাহাড় লক্ষ্য করে পাল্টা গুলি ছোড়ে। থানার পাশে আমাদের আরেকটি টিম ছিল, তারাও পাহাড় লক্ষ্য করে গুলি ছুড়েছে। থেমে থেমে এক ঘণ্টার মতো গোলাগুলি হয়েছে। আমাদের কেউ হতাহত হয়নি। পাহাড়ে কিছু হয়েছে কি না, তা দিনেরবেলায় বোঝা যাবে। এদিকে বিজিবি সূত্রে জানা গেছে, থানচি বাজার সংলগ্ন বিজিবি পোস্ট ও থানচি থানা ঘেরাও করে কেএনএফ সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা শতাধিক রাউন্ড গুলিবর্ষণ করেছে। টানা ৪৫ মিনিট ধরে পাল্টাপাল্টি গোলাগুলি চলে। ৩৮ বিজিবি অধিনায়কের (বলীপাড়া জোন) নির্দেশে থানচি বাজার পোস্টে দায়িত্বে থাকা ১২ জন বিজিবি সদস্য কেএনএফ সন্ত্রাসীদের অবস্থান লক্ষ্য করে পাল্টা শতাধিক রাউন্ড গুলি করেছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কেএনএফ সন্ত্রাসীরা থানচি বাজার সংলগ্ন টিএনটি পাড়া এবং থানচি বাজারের মধ্যে অবস্থান করে গুলি চালায়। প্রথম দুদিন ব্যাংকে হামলা চালিয়ে টাকা ও অস্ত্র লুটের সময় অস্ত্রধারীরা পাহাড়ের সশস্ত্র সংগঠন কুকি চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) পোশাকে ছিল। তৃতীয় দফায় থানা লক্ষ্য করে কারা গুলি ছুড়েছে তা পুলিশের পক্ষ থেকে নিশ্চিত করা হয়নি। তবে কেএনএফ তাদের একটি ফেসবুক পেজে রাত সাড়ে ৯টার দিকে লিখেছে, ‘বান্দরবানের থানচিতে কেএনএফের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ব্যাপক বন্দুকযুদ্ধ। যুদ্ধ চলমান-কেএনএফ।’ কেএনএফ ও পুলিশের মধ্যে গোলাগুলির শব্দে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন স্থানীয়রা। রাতে ভয়ে কেউ ঘর থেকে বের হননি। রাত ১০টার দিকে রেমাক্রী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মুইশৈথুই মার্মা কালবেলাকে বলেন, ‘থানচি শহরের মধ্যে রাত ৮টা ১০ মিনিটের পর থেকে থেমে থেমে গুলির শব্দ পাওয়া যাচ্ছে। আমরা আতঙ্কে ঘরের মধ্যে রয়েছি। ভয়ে কেউ বাইরে যাচ্ছি না। বাইরে কী হচ্ছে জানি না। তবে গুলির শব্দ আসছে থানা ও বিজিবি ক্যাম্পের পাশ থেকে।’ পুলিশ যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য প্রস্তুত রয়েছে জানিয়ে ডিআইজি নূরে আলম মিনা বলেন, থানা এবং ওই এলাকায় পর্যাপ্তসংখ্যক পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। আমরা যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য প্রস্তুত আছি। পাশেই বিজিবি ক্যাম্প রয়েছে। তাদের সঙ্গে আমাদের যোগাযোগ রয়েছে। থেমে থেমে গোলাগুলির পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। গত ২ এপ্রিল রাতে রুমা বাজারে সোনালী ব্যাংকে হামলা চালায় কেএনএফএর অস্ত্রধারীরা। অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে নিয়ে যায় ব্যাংকের ম্যানেজার নেজাম উদ্দীনকে। নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশ ও আনসার সদস্যদের অস্ত্র লুট করে। পরদিন দুপুরে হামলা হয় থানচিতে। থানচির সোনালী ও কৃষি ব্যাংকের শাখায় কেএনএফের সশস্ত্র সদস্য অস্ত্রের মুখে সবাইকে জিম্মি করে আনুমানিক সাড়ে ১৭ লাখ টাকা নিয়ে যায়। এরই মধ্যে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সোনালী ব্যাংকের ম্যানেজার নেজাম উদ্দীনকে উদ্ধার করেছে র্যাব। জিম্মি মুক্তির এক ঘণ্টার ব্যবধানে ফের হামলা হয়। এবারের লক্ষ্যবস্তু ছিল থানচি থানা।
০৫ এপ্রিল, ২০২৪

বান্দরবানে ফের গোলাগুলি
বান্দরবানে কুকি চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ) ফের তাণ্ডব চালাচ্ছে থানচি বাজারে। থানচি থানায় হঠাৎ অস্ত্রধারীরা গুলি ছুড়লে পাল্টা গুলি ছোড়ে পুলিশ। এখনো হতাহতের কোন খবর পাওয়া যায়নি। বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) রাত সাড়ে আটটা থেকে ঘণ্টাব্যাপি গোলাগুলির শুরু হয়েছে বলে নিশ্চিত করেন চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি নূরে আলম মিনা। স্থানীয়রা জানান, প্রথমে হাসপাতাল রোড আর মৈত্রী শিশু সদন রোড দিয়ে তারা আসছিলো। আসার সাথে সাথে পুলিশ ক্যাম্পে লক্ষ্য করে গুলি করলে এক পর্যায়ে বিজিবি ক্যাম্পসহ পাল্টা গুলাগুলি হয় সন্ত্রাসীদের সাথে। পুরো এলাকায় জুড়ে থমথমে বিরাজ করেছে।  ডিআইজি নূরে আলম মিনা বলেন, থানচি থানার দক্ষিণ–পূর্ব পাশের পাহাড় থেকে কে বা কারা গুলি ছুড়তে থাকে। থানা থেকে পুলিশ সদস্যরা পাল্টা গুলি ছোড়ে। ডিআইজি বলেন, থানায় পর্যাপ্ত পুলিশ সদস্য রয়েছে। দুপুরে থানা পরিদর্শনের পর অতিরিক্ত ফোর্স সেখানে মোতায়েন করা হয়েছে। পুলিশ সদস্যরা ভালো রয়েছে। থানচি ইউএনও মোহাম্মদ মামুন বলেন, রাত সাড়ে আটটার দিকে একদল সন্ত্রাসী বাজারে এসে গোলাগুলি শুরু করে। এরপর তারা থানাতেও গুলি চালায়। এ সময় পুলিশ ও বিজিবিও পাল্টা গুলি চালায়। সন্ত্রাসীরা হাসপাতালের কাছে এসেও গুলি করতে থাকে। মোহাম্মদ মামুন বলেন, পুলিশের পক্ষ থেকে আমাকে জানানো হয়েছে, ৪০০ থেকে ৫০০টি গুলি ছুড়েছে পুলিশ। বিজিবির ছোড়া গুলির সংখ্যা আগামীকাল জানা যেতে পারে।
০৪ এপ্রিল, ২০২৪

বান্দরবানে অপারেশন চলছে, পুলিশ সেখানে গোলাগুলি করছে : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল জানিয়েছেন, বান্দরবানের থানচি উপজেলার কৃষি ও সোনালী ব্যাংকের শাখায় সশস্ত্র হামলার ঘটনায় সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে অভিযান চলছে। পুলিশ সেখানে গোলাগুলি করছে। বুধবার (৩ এপ্রিল) বিকেলে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। তিনি বলেন, আজকে দিনের বেলায় থানচিতে কৃষি ও সোনালী ব্যাংকে আক্রমণ করেছে। এই অপারেশনটা এখনো চলছে। পুলিশ সেখানে গোলাগুলি করছে। সেখান থেকে কত টাকা নিয়েছেন বা ক্ষয়ক্ষতি কী পরিমাণ এখনো জানা যায়নি। ব্যাংক ডাকাতিতে কুকি চীনের সম্পৃক্ততা নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ইদানীং কুকি চীন আবার বিভিন্নভাবে তাদের অবস্থান জানান দিচ্ছে। কুকি চীন আগেও বান্দরবানে একটি জায়গায় অবস্থান করে জঙ্গি বাহিনীর সঙ্গে আঁতাত করে একটা ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা করেছিল। আমাদের র‍্যাব ও আর্মি সেই ঘাঁটি সরিয়ে দিয়েছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, মঙ্গলবার হঠাৎ করেই পাহাড়ে ব্যাংক ডাকাতির একটা প্রচেষ্টা হয়েছে। রুমাতে সোনালী ব্যাংকে ঢোকার আগে বৈদ্যুতিক যে সাব-স্টেশন ছিল সেটাকে বন্ধ করে তারা ব্যাংকের দিকে অগ্রসর হয়। সেখানে পুলিশ মোতায়েন ছিল। পুলিশ ও ব্যাংকের ম্যানেজার সবাই তারাবির নামাজে ছিল। সেই সময় তারা ঢুকে দুই পুলিশকে আহত করে দুটি এসএমজি ও আটটি চাইনিজ রাইফেল লুট করে। উপজেলা কমপ্লেক্সে আনসারদের শর্টগানগুলোও তারা নিয়ে নেয়। তিনি বলেন, হামলাকারীরা সোনালী ব্যাংকের একটা ভল্ট ভাঙে। আরেকটা ভাঙতে পারেনি। অফিসিয়াল কোনো সংবাদ এখনো পাওয়া যায়নি। সোনালী ব্যাংকের ম্যানেজারকে জিম্মি করে নিয়ে গেছে। কত টাকা নিয়েছে, সেটা এখনো অফিসিয়ালি জানা যায়নি।
০৩ এপ্রিল, ২০২৪

বাংলাদেশি জাহাজ উদ্ধারে ইইউ নৌবাহিনী-জলদস্যু গোলাগুলি
ভারত মহাসাগরে জলদস্যুদের কবলে পড়া বাংলাদেশি জাহাজ উদ্ধারে পিছু নিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) একটি জাহাজ। বুধবার (১৩ মার্চ) রাতে ওই জাহাজটি জলদস্যুদের পিছু নেয়। এক পর্যায়ে ইইউ নৌবাহিনীর সঙ্গে জলদস্যুদের গোলাগুলি হয়েছে।  সোমালিয়া উপকূলে ছিনতাই হওয়া জাহাজটিকে ইইউর জাহাজটি এখনও অনুসরণ করে চলছে। তবে জলদস্যুদের সঙ্গে গোলাগুলির পর একপর্যায়ে দস্যুরা বাংলাদেশি জাহাজের জিম্মি নাবিকদের হত্যার হুমকি দেয়। এতে উপায় না পেয়ে পিছু হঠেছে নৌবাহিনীর জাহাজটি।  জানা গেছে, ইইউ নৌবাহিনীর জাহাজটি বাংলাদেশি পতাকাবাহী জাহাজ এমভি আব্দুল্লাহকে ২০ ন্যটিক্যাল মাইল দূর থেকে অনুসরণ করে চলেছে। জাহাজটি ইতোমধ্যে সোমালিয়ার জলদস্যুদের নিয়ন্ত্রিত এলাকায় প্রবেশ করেছে। তবে জলদস্যুদের অনড় অবস্থার কারণে জিম্মিদের উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।  বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) গণমাধ্যমে এক বন্দি নাবিকের পাঠানো বার্তা থেকে এসব তথ্য জানা গেছে। ওই নাবিক নিজেও জাহাজটিকে অনুসরণের কথা জানিয়েছেন। তবে জাহাজটি কোন দেশের তা তিনি নিশ্চিত হতে পারেননি। অন্যদিকে এবিসি নিউজ জানিয়েছে, জাহাজটিকে ছায়ার মতো অনুসরণ করছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের একটি (ইইউ) জাহাজ। মঙ্গলবার ইউরোপীয় ইউনিয়নের মেরিটাইম সিকিউরিটি ফোর্স জানিয়েছে, তাদের একটি রণতরী উপকূলে বাংলাদেশি ওই জাহাজটিকে অনুসরণ করছে। জাহাজটিতে ২৩ ক্রু সদস্য জিম্মি অবস্থায় রয়েছেন। সংস্থাটি জানিয়েছে, বর্তমানে জলদস্যুরা জাহাজে অবস্থান নিয়েছেন এবং তারা ২৩ ক্রুকে জিম্মি করেছেন। তবে জাহাজে থাকা ক্রুরা নিরাপদ রয়েছেন। তাদের বিষয়ে পদক্ষেপ অব্যাহত রয়েছে। জাহাজটি সোমালিয়ার উপকূলের দিকে যাচ্ছে বলেও জানিয়েছে সংস্থাটি। এদিকে নৌপরিবহন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মুহাম্মদ মাকসুদ আলম জানিয়েছেন, জলদস্যুদের হাতে জিম্মি হওয়া বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ সোমালিয়া উপকূলে নোঙর করেছে। তিনি জানান, ধারণা করা হচ্ছে সোমালিয়ার দস্যুদলের পক্ষ থেকে যে কোনো সময় যোগাযোগ করা হতে পারে। জাহাজটির মালিকপক্ষ কেএসআরএম গ্রুপের মুখপাত্র মিজানুল ইসলাম বলেন, জলদস্যুদের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়নি। জাহাজের নাবিকরা ভালো ও সুস্থ আছেন। সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী, জলদস্যুরা নাবিকদের কোনো ক্ষতি করেনি। তাদের যাতে কোনো ক্ষতি না হয় আমরা সেই চেষ্টায় করছি। জিম্মিদের ফেরাতে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চলছে।  বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত মুক্তিপণ দাবির বিষয়টিকে গুজব বলে দাবি করে তিনি বলেন, আমাদের কাছে এখন পর্যন্ত কোনো দাবি-দাওয়া জানায়নি জলদস্যুরা। জাহাজটিকে নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নেওয়ার পর তারা দাবির বিষয়টি বলতে পারে বলেও জানান তিনি। 
১৪ মার্চ, ২০২৪

হাইতিতে ন্যাশনাল প্যালেসের কাছাকাছি এলাকায় ব্যাপক গোলাগুলি
হাইতিতে ব্যাপক তাণ্ডব চালাচ্ছে গ্যাং সন্ত্রাসীরা। দেশটির প্রধানমন্ত্রী আরিয়েল হেনরি অনুপস্থিত থাকায় তারা মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে আসছে দেশটির এ গ্যাং সদস্যরা। শনিবার (০৯ মার্চ) দ্য গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।  প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শুক্রবার হাইতির রাজধানী পোর্ট অব প্রিন্সে ন্যাশনাল প্যালেসের কাছাকাছি এলাকায় ব্যাপক গোলাগুলি হয়েছে। বার্তা সংস্থা ইএফইর বরাতে সংবাদমাধ্যম জানায়, শুক্রবার সন্ধ্যায় গ্যাং সদস্যরা বেশ কয়েকটি সরকারি ভবনে হামলা চালিয়েছে। দেশটির আইনপ্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর দাবি, গ্যাংয়ের এ হামলা দ্রুত ও পরিকল্পিত ছিল।  প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, কয়েকটি ভিন্ন ভিন্ন দলের গ্যাং সদস্যরা একসঙ্গে হয়ে ন্যাশনাল প্যালেসসহ কয়েকটি সরকারি ভবনে হামলা চালায়। এ সময় প্রচণ্ড গোলাগুলি ও বিস্ফোরণ ঘটে।  সিএনএন জানিয়েছে, গ্যাং সদস্যদের হামলায় ন্যাশনাল প্যালেসের কাছাকাছি দুটি পুলিশ স্টেশন আক্রান্ত হয়েছে।  হাইতির সাবেক পুলিশ কর্মকতা জিমি চেরিজিয়ার এ গ্যাং সহিংসতায় নেতৃত্ব দিচ্ছেন। তিনি দেশটিতে বারবিকিউ হিসেবে পরিচিত। মূলত প্রধানমন্ত্রী আরিয়েল হেনরিকে পদত্যাগে বাধ্য করার জন্য তিনি এ সহিংসতা চালিয়ে আসছেন।  দেশটির এ গ্যাং সদস্যরা এর আগে দুটি কারাগারে হামলা চালায়। এতে হাজারও বন্দি কারাগার থেকে পালিয়ে যায়। এ ছাড়া বেশ কয়েকজন নিহতও হন।   
০৯ মার্চ, ২০২৪

রাখাইনে তীব্র গোলাগুলি এপারে নির্ঘুম রাত
এপারে কক্সবাজারের টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের চৌধুরীপাড়া। মাঝখানে প্যারাবন। তার ওপারেই নাফ নদ পেরিয়ে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের মংডু জেলা। রোববার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা থেকে গতকাল সোমবার ভোর ৫টা পর্যন্ত এই মংডু জেলার উত্তরে কুমিরখালী, বলিবাজার, নাইচাডং, কোয়াচিদং, শিলখালী, কেয়ারিপ্রাং ও পেরাংপ্রু গ্রামে গোলাগুলি ও মর্টার শেলের বিস্ফোরণ হয়েছে। আকাশে দেখা গেছে আগুনের কুণ্ডলী ও কালো ধোঁয়া। তীব্র গোলাগুলি ও বিস্ফোরণে এপারে টেকনাফ সীমান্ত কেঁপে ওঠে। ফলে সীমান্তের লোকজন আতঙ্কে নির্ঘুম রাত কাটিয়েছে। সাবরাং ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য রেজাউল করিম রেজু বলেন, রোববার সন্ধ্যা ৭টা থেকে আজ (গতকাল) ভোর সোয়া ৫টা পর্যন্ত বোমা ও গুলির শব্দ শোনা গেছে। সাবরাং ও নয়াপাড়ার বিপরীতে নাফ নদের ওপারে বলিবাজারে সবচেয়ে বেশি বিস্ফোরণ ঘটছে। সেখানকার আকাশে আগুনের ফুলকি ও কালো ধোঁয়া দেখা গেছে। ওপারের গুলি ও মর্টার শেল এসে পড়ার আতঙ্কে আছে হ্নীলা ইউনিয়নের চৌধুরীপাড়ার শতাধিক রাখাইন পরিবার। গ্রামের কয়েকজন বলেন, নির্ঘুম রাত কেটেছে তাদের। রাখাইনের অস্থিতিশীল পরিস্থিতিতে তাদের স্বাভাবিক জীবন ব্যাহত হচ্ছে। এ পর্যন্ত টেকনাফ সীমান্তে এপারের গুলি কিংবা মর্টার শেল এসে পড়েনি জানিয়ে হ্নীলা ইউপি চেয়ারম্যান রাশেদ মোহাম্মদ আলী বলেন, আরাকান আর্মি মংডু শহর তিন দিক থেকে ঘিরে হামলা চালাচ্ছে। তাতে হতাহতের ঘটনাও ঘটছে। বলিবাজারসহ বিভিন্ন এলাকায় বিমান হামলা চললেও বাংলাদেশের আকাশসীমা লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটছে না। টেকনাফ পৌরসভার প্যানেল মেয়র মুজিবুর রহমান জানান, রোববার সন্ধ্যা থেকে গতকাল ভোর ৫টা পর্যন্ত মংডুর আশপাশের কয়েকটি গ্রামে ২০-৩০টি মর্টার শেলের বিস্ফোরণ ঘটেছে। তাতে টেকনাফ পৌরসভার জালিয়াপাড়া, চৌধুরীপাড়া, কুলালপাড়া ও ডেইলপাড়ায় কম্পন দেখা দেয়। আগের তিন রাতেও কম্পন অনুভূত হয়েছিল। এদিকে, শাহপরীর দ্বীপ সীমান্তে গোলাগুলির শব্দ পাওয়া না গেলেও এখনো দ্বীপের জেটিতে মানুষ চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সেখানকার দোকানদার আবদুল শুক্কুর। তিনি বলেন, কয়েকদিন ধরে এই সীমান্তে কোনো গুলির শব্দ পাওয়া যাচ্ছে না। তবে নাফ নদে কোস্টগার্ড এবং সীমান্তে বিজিবির টহল অব্যাহত রয়েছে। কিন্তু জেটি বন্ধ থাকায় আমাদের ব্যবসায় ব্যাপক লোকসান হচ্ছে। এখনো মিয়ানমার থেকে অনুপ্রবেশের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে রোহিঙ্গারা। এরই মধ্যে অনুপ্রবেশকালে প্রায় ৪০০ রোহিঙ্গাকে ফেরত পাঠিয়েছে সীমান্তে দায়িত্বে থাকা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এ ব্যাপারে কোস্টগার্ড চট্টগ্রাম পূর্ব জোনের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট তাহসিন রহমান বলেন, ‘ওপারের চলমান যুদ্ধের পরিস্থিতির মধ্যে নাফ নদ দিয়ে সীমান্তে অনুপ্রবেশের সম্ভাবনা থেকে আমরা টহল জোরদার রেখেছি। নতুন করে কাউকে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। টেকনাফ-২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. মহিউদ্দীন আহমেদ বলেন, ‘সীমান্তে অবৈধ অনুপ্রবেশ, মাদক পাচার রোধসহ যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় বিজিবি সদস্যরা সবসময় সতর্ক অবস্থায় রয়েছে এবং সীমান্ত নিরাপদে রাখতে বিজিবি রাত-দিন কাজ করে আসছে। তবে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি ও কক্সবাজারের উখিয়া সীমান্তের মানুষ চার দিন ধরে গোলাগুলির শব্দ শুনতে পাচ্ছেন না। এর পরও মিয়ানমারের রাখাইন পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ ও অনুপ্রবেশ ঠেকাতে বিজিবি সদস্যদের তৎপর রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিজিবির টেকনাফের ২ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মহিউদ্দিন আহমেদ।
০৫ মার্চ, ২০২৪

টেকনাফ সীমান্তে গোলাগুলি ও বিস্ফোরণ, নির্ঘুম রাত কাটছে স্থানীয়দের
কক্সবাজারের টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের চৌধুরীপাড়া। এপারে প্যারাবনের পর নাফ নদীর ওপারে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের মংডুর আশপাশের কয়েকটি এলাকায় রাতভর থেমে থেমে গোলাগুলি ও মর্টার শেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে। রোববার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা থেকে আজ সোমবার ভোর ৫টা পর্যন্ত মংডু টাউনশিপের উত্তরে কুমিরখালি, বলিবাজার, নাইচাডং, কোয়াচিদং, শিলখালি, কেয়ারিপ্রাং ও পেরাংপ্রু গ্রামে গোলাগুলি ও মর্টার শেলের বিস্ফোরণ হয়েছে। এতে এপারে টেকনাফ সীমান্ত কেঁপে ওঠে। মাঝখানে কিছুদিন বন্ধ থাকলেও কয়েকদিন ধরে মর্টার শেলের ভারী আওয়াজের কারণে সীমান্ত এলাকায় লোকজন আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন। সোমবার ভোরে টেকনাফের হ্নীলা সীমান্তের ওপার থেকে টানা বিস্ফোরণের শব্দ পাওয়া গেছে। বিস্ফোরণের শব্দ থামার পর সীমান্তে ওপারে দেখা গেছে ঘন ধোঁয়া। ফলে সীমান্ত এলাকায় লোকজন জীবন-জীবিকা নির্বাহ করতে পারছে না। সীমান্তের লোকজন ভয়ভীতি ও আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন। গতকাল বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত বলিবাজার এলাকায় ঘণ্টাব্যপাী আকাশপথে হামলা চালায় মিয়ানমারের জান্তা বাহিনী। সীমান্ত চৌকি দখল ও পুনরুদ্ধার নিয়ে সরকারি বাহিনীর সঙ্গে সংঘাতে জড়ায় দেশটির সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান আর্মি। ওপারের শক্তিশালী বোমা ও মর্টার শেল বিস্ফোরণের ঘটনায় এপারে টেকনাফের সাবরাং, টেকনাফ পৌর শহর, হ্নীলা ও হোয়াইক্যং ইউনিয়নে কম্পন অনুভূত হয়। আতঙ্কে নির্ঘুম রাত কাটান ইউনিয়নগুলোর অন্তত ১০ হাজার মানুষ। সাবরাং ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য রেজাউল করিম রেজু বলেন, রোববার সন্ধ্যা ৭টা থেকে আজ সোমবার ভোর সোয়া ৫টা পর্যন্ত বোমা ও গুলির শব্দ শোনা গেছে। সাবরাং ও নয়াপাড়ার বিপরীতে নাফ নদীর ওপারে বলিবাজারে সবচেয়ে বেশি বিস্ফোরণ ঘটছে। সেখানকার আকাশে আগুনের ফুলকি ও কালো ধোঁয়া দেখা গেছে। ওপারের গুলি ও মর্টার শেল এসে পড়ার আতঙ্কে আছে হ্নীলা ইউনিয়নের চৌধুরীপাড়ার শতাধিক রাখাইন পরিবার। গ্রামের কয়েকজন বলেন, নির্ঘুম রাত কেটেছে তাদের। রাখাইনের অস্থিতিশীল পরিস্থিতিতে তাদের স্বাভাবিক জীবন ব্যাহত হচ্ছে। এ পর্যন্ত টেকনাফ সীমান্তে  এপারের গুলি কিংবা মর্টার শেল এসে পড়েনি জানিয়ে হ্নীলা ইউপি চেয়ারম্যান রাশেদ মোহাম্মদ আলী বলেন, আরাকান আর্মি মংডু শহর তিন দিক থেকে ঘিরে হামলা চালাচ্ছে। তাতে হতাহতের ঘটনাও ঘটছে। বলিবাজারসহ বিভিন্ন এলাকায় বিমান হামলা চললেও বাংলাদেশের আকাশসীমা লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটছে না। টেকনাফ পৌরসভার প্যানেল মেয়র মুজিবুর রহমান বলেন, সর্বশেষ গতকাল সন্ধ্যা থেকে আজ ভোর ৫টা পর্যন্ত মংডুর আশপাশের কয়েকটি গ্রামে ২০-৩০টি মর্টার শেলের বিস্ফোরণ ঘটেছে। তাতে টেকনাফ পৌরসভার জালিয়াপাড়া, চৌধুরীপাড়া, কুলালপাড়া, ডেইলপাড়াতে কম্পন দেখা দেয়। আগের তিন রাতেও কম্পন অনুভূত হয়। এদিকে, শাহপরীর দ্বীপ সীমান্তে গোলাগুলির শব্দ পাওয়া না গেলেও এখনো দ্বীপের জেটিতে মানুষ চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সেখানকার দোকানদার আবদুল শুক্কুর। তিনি বলেন, কয়েকদিন ধরে এই সীমান্তে কোনো গুলির শব্দ পাওয়া যাচ্ছে না। তবে নাফনদীতে কোস্টগার্ড এবং সীমান্তে বিজিবির টহল অব্যাহত রয়েছে। কিন্তু জেটি বন্ধ থাকায় আমাদের ব্যবসায় ব্যাপক লোকসান হচ্ছে। এখনো মিয়ানমার থেকে অনুপ্রবেশের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে রোহিঙ্গারা। ইতিমধ্যে অনুপ্রবেশকালে প্রায় চারশ রোহিঙ্গাকে ফেরত পাঠিয়েছে সীমান্তে দায়িত্বে থাকা আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী। এ ব্যাপারে কোস্টগার্ড চট্টগ্রাম পূর্ব জোনের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট তাহসিন রহমান বলেন, ওপারের চলমান যুদ্ধের পরিস্থিতির মাঝে নাফনদী দিয়ে সীমান্তে অনুপ্রবেশের সম্ভাবনা থেকে আমরা (কোস্টগার্ড) টহল জোরদার রেখেছি। নতুন করে কাউকে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। ইততোমধ্যে আমরা দুই শতাধিকের মতো অনুপ্রবেশকারী রোহিঙ্গাকে প্রতিহত করেছি। টেকনাফ-২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. মহিউদ্দীন আহমেদ বলেন, সীমান্তে অবৈধ অনুপ্রবেশ ও মাদক পাচার রোধসহ যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় বিজিবি সদস্যরা সব সময় সতর্ক অবস্থায় রয়েছে এবং সীমান্ত নিরাপদে রাখতে বিজিবি রাত-দিন কাজ করে আসছে। টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আদনান চৌধুরী বলেন, রাখাইনে নতুন করে গোলাগুলি ও মর্টার শেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটলেও এখন পর্যন্ত টেকনাফ সীমান্তে গুলি এসে পড়ার খবর পাওয়া যায়নি। সীমান্তে বিজিবি ও কোস্টগার্ড সর্তক রয়েছে। তবে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি ও কক্সবাজারের উখিয়া সীমান্তের মানুষ চারদিন ধরে গোলাগুলির শব্দ শুনতে পাচ্ছেন না। তারপরও মিয়ানমারের রাখাইন পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ ও অনুপ্রবেশ ঠেকাতে বিজিবি সদস্যদের তৎপর রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিজিবির টেকনাফের ২ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মহিউদ্দিন আহমেদ। এদিকে নাফ নদী দিয়ে সেন্টমার্টিন যাতায়াতের পর্যটকবাহী জাহাজগুলো এখনো বন্ধ আছে। এ ছাড়া বন্ধ রয়েছে মাছ ধরাও। সাত কিলোমিটার দীর্ঘ এই নাফনদী ভাগ করেছে দুই দেশকে। ওপারে মিয়ানমার। সেখানে চলছে গৃহযুদ্ধ।
০৪ মার্চ, ২০২৪

সীমান্তে গোলাগুলি / ‘বিকট বিস্ফোরণে মনে হলো ভূমিকম্প হচ্ছে’
মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ সংঘাতের জেরে আবারও শনিবার (২ মার্চ) সকাল থেকে বোমা ও গুলির শব্দে কেঁপে উঠছে টেকনাফ সীমান্ত। স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, এত বিকট শব্দ মনে হচ্ছে জীবনে প্রথম শুনেছেন তারা। বিস্ফোরণে হ্নীলায় যেন কম্পন সৃষ্টি হয়েছে। মনে হয়েছে, ভূমিকম্প হচ্ছে। শব্দ শুনেই শিশুরা কান্নাকাটি শুরু করে দিয়েছে। এদিকে টেকনাফের হোয়াইক্যং ইউনিয়ন ও হ্নীলা ইউনিয়নের সীমান্ত এলাকার স্থানীয় লোকজন কালো ধোঁয়া দেখতে পাচ্ছেন। কিছু দিন বন্ধ থাকলেও ফের কয়েক দিন ধরে মর্টার শেলের ভারী আওয়াজে সীমান্ত এলাকায় লোকজন আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন। সকালে টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের চৌধুরীপাড়ার পূর্বে মিয়ানমারে সীমান্তে কালো ধোঁয়া দেখতে পান স্থানীয় লোকজন। সেখানকার বাসিন্দা জামাল উদ্দিন বলেন, শনিবার সকালে নাফ নদের ওপারে একটি বিস্ফোরণ হয়। এত বিকট শব্দ মনে হচ্ছে জীবনে প্রথম শুনলাম। বিস্ফোরণে হ্নীলায় যেন কম্পন সৃষ্টি হয়েছে। মনে হয়েছে ভূমিকম্প হয়েছে। শব্দ শুনেই শিশুরা কান্নাকাটি শুরু করে দিয়েছে। হ্নীলা এলাকার সীমান্তের এ বাসিন্দা আরও জানান, রাখাইন রাজ্যের বলিবাজারের দক্ষিণে ও নাগাকুরা এলাকায় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর সারা রাত টানা গোলাগুলির শব্দ শোনা গেছে। এপারের মানুষ নানাভাবে জানতে পেরেছে– জান্তা বাহিনীকে হটিয়ে ওই দুই এলাকা আরাকান আর্মি দখলে নিয়ে নিয়েছে। পুনঃদখলের জন্য মিয়ানমারের সেনাবাহিনী চেষ্টা করছে। এ কারণে দুপক্ষের মধ্যে তীব্র লড়াই চলছে। হ্নীলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রাশেদ মোহাম্মদ আলী বলেন, ‘মিয়ানমারের ওপারে শুক্রবার সারা রাত থেমে থেমে চলছিল মর্টার শেল ও গোলাগুলি। সকালেও সেটি থেমে থেমে চলমান ছিল। হ্নীলা চৌধুরীপাড়ার পূর্বে মায়ানমারে কালো ধোঁয়া দেখা যায়। বলতে পারছি না কখন শেষ হবে এ সংঘাত। দিন দিন আরও বাড়ছে, এর প্রভাব পড়েছে বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী এলাকাগুলোতে। মানুষ সব সময় আতঙ্কে রয়েছে। টেকনাফ-২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফট্যানেন্ট কর্নেল মো. মহিউদ্দীন আহমেদ বলেন, ‘সীমান্তে অবৈধ অনুপ্রবেশ এবং মাদক পাচার রোধসহ যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় বিজিবি সদস্যরা সব সময় সতর্ক অবস্থায় রয়েছে। সীমান্ত নিরাপদে রাখতে বিজিবি রাত-দিন কাজ করছে।’
০২ মার্চ, ২০২৪
X