মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ সংঘাতের জেরে আবারও শনিবার (২ মার্চ) সকাল থেকে বোমা ও গুলির শব্দে কেঁপে উঠছে টেকনাফ সীমান্ত। স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, এত বিকট শব্দ মনে হচ্ছে জীবনে প্রথম শুনেছেন তারা। বিস্ফোরণে হ্নীলায় যেন কম্পন সৃষ্টি হয়েছে। মনে হয়েছে, ভূমিকম্প হচ্ছে। শব্দ শুনেই শিশুরা কান্নাকাটি শুরু করে দিয়েছে।
এদিকে টেকনাফের হোয়াইক্যং ইউনিয়ন ও হ্নীলা ইউনিয়নের সীমান্ত এলাকার স্থানীয় লোকজন কালো ধোঁয়া দেখতে পাচ্ছেন। কিছু দিন বন্ধ থাকলেও ফের কয়েক দিন ধরে মর্টার শেলের ভারী আওয়াজে সীমান্ত এলাকায় লোকজন আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন।
সকালে টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের চৌধুরীপাড়ার পূর্বে মিয়ানমারে সীমান্তে কালো ধোঁয়া দেখতে পান স্থানীয় লোকজন। সেখানকার বাসিন্দা জামাল উদ্দিন বলেন, শনিবার সকালে নাফ নদের ওপারে একটি বিস্ফোরণ হয়। এত বিকট শব্দ মনে হচ্ছে জীবনে প্রথম শুনলাম। বিস্ফোরণে হ্নীলায় যেন কম্পন সৃষ্টি হয়েছে। মনে হয়েছে ভূমিকম্প হয়েছে। শব্দ শুনেই শিশুরা কান্নাকাটি শুরু করে দিয়েছে।
হ্নীলা এলাকার সীমান্তের এ বাসিন্দা আরও জানান, রাখাইন রাজ্যের বলিবাজারের দক্ষিণে ও নাগাকুরা এলাকায় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর সারা রাত টানা গোলাগুলির শব্দ শোনা গেছে। এপারের মানুষ নানাভাবে জানতে পেরেছে– জান্তা বাহিনীকে হটিয়ে ওই দুই এলাকা আরাকান আর্মি দখলে নিয়ে নিয়েছে। পুনঃদখলের জন্য মিয়ানমারের সেনাবাহিনী চেষ্টা করছে। এ কারণে দুপক্ষের মধ্যে তীব্র লড়াই চলছে।
হ্নীলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রাশেদ মোহাম্মদ আলী বলেন, ‘মিয়ানমারের ওপারে শুক্রবার সারা রাত থেমে থেমে চলছিল মর্টার শেল ও গোলাগুলি। সকালেও সেটি থেমে থেমে চলমান ছিল। হ্নীলা চৌধুরীপাড়ার পূর্বে মায়ানমারে কালো ধোঁয়া দেখা যায়। বলতে পারছি না কখন শেষ হবে এ সংঘাত। দিন দিন আরও বাড়ছে, এর প্রভাব পড়েছে বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী এলাকাগুলোতে। মানুষ সব সময় আতঙ্কে রয়েছে।
টেকনাফ-২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফট্যানেন্ট কর্নেল মো. মহিউদ্দীন আহমেদ বলেন, ‘সীমান্তে অবৈধ অনুপ্রবেশ এবং মাদক পাচার রোধসহ যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় বিজিবি সদস্যরা সব সময় সতর্ক অবস্থায় রয়েছে। সীমান্ত নিরাপদে রাখতে বিজিবি রাত-দিন কাজ করছে।’
মন্তব্য করুন