ঘূর্ণিঝড় মিধিলি / দুবলায় শুঁটকিপল্লির ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি
ঘূর্ণিঝড় মিধিলির আঘাতে বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলার দুবলার চরের শুঁটকিপল্লির ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। নষ্ট হয়েছে প্রায় ৪০ হাজার কুইন্টাল মাছ। এতে ব্যবসায়ীদের আর্থিক ক্ষতি হয়েছে প্রায় ২৭ কোটি টাকা। শনিবার (১৮ নভেম্বর) দুপুরে পূর্ব সুন্দরবনের শরণখোলা রেঞ্জের দুবলা টহল ফাঁড়ির ওসি এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এ ছাড়া ঝড়ের তাণ্ডবে পাঁচ শতাধিক জেলেঘর, দুই শতাধিক শুঁটকি সংরক্ষণের ঘর ও আলোরকোলের শতাধিক দোকানির ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ও মালামাল মিলিয়ে ক্ষতির পরিমাণ আরও বেড়েছে। মৌসুমের শুরুতেই অপূরণীয় ক্ষতির মুখে পড়েছেন বলে জানিয়েছেন ক্ষতিগ্রস্তরা।  দুবলা টহল ফাঁড়ির ওসি মো. খলিলুর রহমান মুঠোফোনে বলেন, শনিবার সকালে শুঁটকি উৎপাদনকারী মাঝের কিল্লা, আলোরকোল, নারকেলবাড়িয়া, শ্যালার চরসহ চারটি চর পরিদর্শন করেছি। সব চরেই ঝড়ের ক্ষতচিহ্ন দেখা গেছে। আমরা প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি, মাচা, চাতাল ও আড়ায় থাকা ৩৫ থেকে ৪০ হাজার কুইন্টাল মাছ পচে নষ্ট হয়ে গেছে। ঢেকে রাখা আংশিক শুকনো মাছে পানি লেগে পোকায় ধরেছে। এ দিয়ে আর শুঁটকি হবে না।   মো. খলিলুর রহমান বলেন, মৌসুমের প্রথম ঝড়ে মহাবিপর্যয় নেমে আসে শুঁটকিপল্লিতে। কাঁচা মাছ, শুঁটকি ও অন্যান্য মিলিয়ে ব্যবসায়ীদের ক্ষতি হয়েছে প্রায় ৩০ কোটি টাকার। নষ্ট হওয়া মাছ থেকে যে পরিমাণ শুঁটকি পাওয়া যেত তাতে আমাদের (সরকারের) রাজস্ব আয় হতো ৮৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা।
১৮ নভেম্বর, ২০২৩

দুর্বল হয়েছে ‘মিধিলি’, নামল বিপদ সংকেত
ঘূর্ণিঝড় মিধিলি বাংলাদেশের উপকূল অতিক্রম করার পর দুর্বল হয় গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। এটি বর্তমানে পটুয়াখালী ও কাছাকাছি এলাকায় অবস্থান করছে। ফলে মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৭ নম্বর এবং চট্টগ্রাম ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৬ নম্বর বিপৎসংকেত নামিয়ে ফেলতে বলা হয়েছে। শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) বিকেলে সর্বশেষ আবহাওয়ার বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর। এতে বলা হয়, উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় ‘মিধিলি’ উত্তর ও উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে শুক্রবার বিকেল ৩টায় উপকূল অতিক্রম করেছে। একই সঙ্গে দুর্বল হয়ে বর্তমানে পটুয়াখালী ও তৎসংলগ্ন এলাকায় গভীর নিম্নচাপ আকারে অবস্থান করছে। এটি স্থলভাগের অভ্যন্তরে আরও উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর ও বৃষ্টি ঝরিয়ে ক্রমান্বয়ে দুর্বল হতে পারে। গভীর নিম্নচাপের প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর এলাকায় বায়ুচাপের তারতম্যের আধিক্য বিরাজ করছে। এর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা এবং সমুদ্রবন্দরগুলোর ওপর দিয়ে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যাওয়া অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর। বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত নামিয়ে এর পরিবর্তে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। একই সঙ্গে চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে ৬ নম্বর বিপদ সংকেত নামিয়ে এর পরিবর্তে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এর আগে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মো. এনামুর রহমান বলেছিলেন, মিধিলি ‘এ’ ক্যাটাগরির ঘূর্ণিঝড়। এটি বড় আকারের ঘূর্ণিঝড় হবে না।
১৭ নভেম্বর, ২০২৩

ঘূর্ণিঝড় হামুন, উপকূলে মাইকিং
সমুদ্রের সৃষ্ট গভীর নিম্নচাপটি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে। স্থানীয়দের তাই সচেতন করতে বরগুনায় প্রচার করছে কোস্টগার্ড, নৌ পুলিশ। নৌ পুলিশ ও কোস্টগার্ডের উদ্যোগে মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) সকাল থেকেই পাথরঘাটার ঝুঁকিপূর্ণ নদীর তীরবর্তী এলাকায় ও পাথরঘাটা উপজেলা শহরেও প্রচার চালানো হচ্ছে। এদিকে ঘূর্ণিঝড় পূর্ববর্তী এবং পরবর্তী উদ্ধার অভিযানসহ প্রচারের জন্য স্বেচ্ছাসেবীদের প্রস্তুত করতে শুরু করেছে জেলা প্রশাসন। চরদুয়ানী নৌ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ শহিদুল ইসলাম সরদার বলেন, আমরা সকাল থেকে প্রচার চালিয়ে যাচ্ছি। বিশেষ করে বলেশ্বর নদীর পাড়ে কয়েকশ পরিবারকে নিরাপদে যেতে বলা হয়েছে। পাথরঘাটা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. রোকনুজ্জামান খান বলেন, ইতোমধ্যেই আমরা জরুরি সভা করে সব আশ্রয়কেন্দ্র সংরক্ষিত রাখার জন্য নির্দেশনা দিয়েছি।  বরগুনা জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোহা. রফিকুল ইসলাম বলেন, ইতোমধ্যে আমরা আবহাওয়া বার্তা পেয়েছি। ঘূর্ণিঝড় পূর্ববর্তী ও পরবর্তী উদ্ধার অভিযানের জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রস্তুত হওয়ার নির্দেশনা প্রদান করেছি। হামুন মোকাবিলায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভা হয়েছে। দুর্যোগপ্রবণ জেলা হওয়া সত্ত্বেও উপকূলীয় জেলা বরগুনায় আবহাওয়া অফিস না থাকায় সঠিক সময়ে সঠিক সংকেতের অভাবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বেশি হয়। ২০২০ সালের ২০ মে সুপার সাইক্লোন আম্ফানের আঘাতে জেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন বেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ২০০৯ সালের ২৫ মে ঘূর্ণিঝড় আইলায় জেলার বেড়িবাঁধের বাইরে ও চরাঞ্চলের এলাকাগুলোতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। এ ছাড়াও ২০০৭ সালের ১৫ নভেম্বর সুপার সাইক্লোন সিডরে জেলার প্রায় দুই শতাধিক মানুষ মারা যান।
২৪ অক্টোবর, ২০২৩

ঘূর্ণিঝড় হামুন / বরগুনায় প্রস্তুত ৬৪২ আশ্রয়কেন্দ্র
বরগুনায় ঘূর্ণিঝড় হামুন মোকাবিলায় জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় বরগুনার ৬৪২টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত করার নির্দেশনা দিয়েছেন জেলা প্রশাসক মুহা. রাফিকুল ইসলাম। মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) সকাল ১১টায় বরগুনা জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সুবর্ণজয়ন্তী মিলনায়তনে জেলা প্রশাসক মুহা. রফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে এ প্রস্তুতিমূলক সভা অনুষ্ঠিত হয়।  সভায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি জেলা প্রশাসক মুহা. রফিকুল ইসলাম আবহাওয়া অধিদপ্তরের সর্বশেষ বুলেটিনে পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৭ নম্বর মহাবিপদ সংকেতের কথা জানিয়ে, ঘূর্ণিঝড় হামুন মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানান। এ ছাড়াও জেলার ৬৪২টি আশ্রয় কেন্দ্রগুলোকে প্রস্তুত রাখতে নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।  এ সময় উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার আবদুস ছালাম, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ জাহাঙ্গীর কবির, এডিসি জেনারেল ফয়সাল আহমেদ, প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিকস মিডিয়ার সাংবাদিকসহ জেলার সব দপ্তরের কর্মকর্তারা।
২৪ অক্টোবর, ২০২৩
X