সমুদ্রের সৃষ্ট গভীর নিম্নচাপটি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে। স্থানীয়দের তাই সচেতন করতে বরগুনায় প্রচার করছে কোস্টগার্ড, নৌ পুলিশ। নৌ পুলিশ ও কোস্টগার্ডের উদ্যোগে মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) সকাল থেকেই পাথরঘাটার ঝুঁকিপূর্ণ নদীর তীরবর্তী এলাকায় ও পাথরঘাটা উপজেলা শহরেও প্রচার চালানো হচ্ছে। এদিকে ঘূর্ণিঝড় পূর্ববর্তী এবং পরবর্তী উদ্ধার অভিযানসহ প্রচারের জন্য স্বেচ্ছাসেবীদের প্রস্তুত করতে শুরু করেছে জেলা প্রশাসন।
চরদুয়ানী নৌ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ শহিদুল ইসলাম সরদার বলেন, আমরা সকাল থেকে প্রচার চালিয়ে যাচ্ছি। বিশেষ করে বলেশ্বর নদীর পাড়ে কয়েকশ পরিবারকে নিরাপদে যেতে বলা হয়েছে।
পাথরঘাটা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. রোকনুজ্জামান খান বলেন, ইতোমধ্যেই আমরা জরুরি সভা করে সব আশ্রয়কেন্দ্র সংরক্ষিত রাখার জন্য নির্দেশনা দিয়েছি।
বরগুনা জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোহা. রফিকুল ইসলাম বলেন, ইতোমধ্যে আমরা আবহাওয়া বার্তা পেয়েছি। ঘূর্ণিঝড় পূর্ববর্তী ও পরবর্তী উদ্ধার অভিযানের জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রস্তুত হওয়ার নির্দেশনা প্রদান করেছি। হামুন মোকাবিলায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভা হয়েছে।
দুর্যোগপ্রবণ জেলা হওয়া সত্ত্বেও উপকূলীয় জেলা বরগুনায় আবহাওয়া অফিস না থাকায় সঠিক সময়ে সঠিক সংকেতের অভাবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বেশি হয়। ২০২০ সালের ২০ মে সুপার সাইক্লোন আম্ফানের আঘাতে জেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন বেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ২০০৯ সালের ২৫ মে ঘূর্ণিঝড় আইলায় জেলার বেড়িবাঁধের বাইরে ও চরাঞ্চলের এলাকাগুলোতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। এ ছাড়াও ২০০৭ সালের ১৫ নভেম্বর সুপার সাইক্লোন সিডরে জেলার প্রায় দুই শতাধিক মানুষ মারা যান।
মন্তব্য করুন