চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের চকরিয়া উপজেলার বানিয়ারছড়া আমতলী এলাকায় সড়ক দুর্ঘটনায় ২ নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও চারজন। বৃহস্পতিবার (২৪ আগস্ট) দুপুর দুইটা দিকে চকরিয়া উপজেলার বানিয়াছড়া এলাকায় সিএনজিচালিত অটোরিকশা সাথে লড়ি গাড়ির সংঘর্ষে হলে এ দুর্ঘটনা ঘটে। চকরিয়ার চিরিঙ্গা হাইওয়ের পুলিশ ফাঁড়ির সেকেন্ড অফিসার মোহাম্মদ আলী দুর্ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। প্রত্যক্ষদর্শী এবং পুলিশসূত্রে জানা যায়, সিএনজিচালিত অটোরিকশাটি পেকুয়ার মগনামা হতে যাত্রী নিয়ে  চকরিয়া স্বাস্থ্যকমপ্লেক্স হাসপাতালে আসার পথে বিপরীতমুখী আসা লড়ি গাড়ীটি হঠাৎ অটোরিকশাকে ধাক্কা দেয়। এতে অটোরিকশাটি রাস্তার পাশে খাদে পড়ে উল্টে গেল এই হতাহতের ঘটনা ঘটে। এ সময় সিএনসি গাড়িটি দুমড়ে মুছে যায়। ঘটনাস্থলে দুই জন নিহত ও  চারজন আহত হয়। নিহতরা হলেন বান্দরবানের লামা উপজেলার ফাইতং ইউনিয়নের বুড়ির চিকনঘোনা গ্রামের আব্দুস সালামের স্ত্রী রোকেয়া বেগম (৫৫) ও মেয়ে জেসমিন আক্তার (২০)। আহতরা হলেন দুদু মিয়া (৬০), রাবেয়া বেগম (৫৫), শাহিনা আক্তার (৪৫) ও মো. আরিফ (২৪)। গুরুতর আহত দুদু মিয়ার অবস্থা আশঙ্কাজনক। লরি ও অটোরিকশা দুটি জব্দ করা হয়েছে। 

টানা ভারি বর্ষণ আর ভয়াবহ বানের পানিতে কক্সবাজারের চকরিয়া পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ড় এলাকার বেড়িবাঁধ ভেঙে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। এতে বেশকিছু এলাকা কোমর পানিতে তলিয়ে গেছে।

কক্সবাজারের চকরিয়া ও দিনাজপুরের নবাবগঞ্জে বাস-ট্রাক সংঘর্ষে চারজন নিহত হয়েছেন। পৃথক ঘটনায় আহত হয়েছেন ১৬ জন। গতকাল মঙ্গলবার সকালে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের হারবাং এলাকার দরগাহ গেট এবং দিনাজপুর-গোবিন্দগঞ্জ মহাসড়কে উপজেলার চড়ারহাট টুলটুলিপাড়া নামক স্থানে দুর্ঘটনা দুটি ঘটে। জানা গেছে, মঙ্গলবার ভোর ৬টায় দরগাহ গেট এলাকায় রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা সিমেন্ট বোঝাই ট্রাকের পেছনে কক্সবাজারমুখী যাত্রীবাহী বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলে দুজন নিহত হন। পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস আহতদের উদ্ধার করে চকরিয়া সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করেছে। তাদের মধ্যে দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছে পুলিশ। যাত্রীদের অভিযোগ, চালক ঘুমন্ত অবস্থায় ছিলেন। তাই এ দুর্ঘটনা ঘটেছে। নিহতরা হলেন বাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর এলাকার বাসিন্দা টিপু সুলতান (২২) নামে এক শিক্ষার্থী ও ঢাকার সায়েদাবাদ এলাকার বাসিন্দা সাদিত (২১)। চকরিয়া ফায়ার সার্ভিস বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। অন্যদিকে দিনাজপুরের নবাবগঞ্জে ট্রাক ও বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে ঘটনাস্থলে ট্রাকের চালক আকরাম হোসেন (৩২) ও বাসের যাত্রী জান্নাতি রহমতারা (১২) নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় আরও ১০ জন আহত হয়ে বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। নিহত আকরাম হোসেন পাবনা জেলার বেড়া উপজেলার সরিষা গ্রামের নুরুজ্জামানের ছেলে, জান্নাতি রহমতারা পার্শ্ববর্তী পার্বতীপুর উপজেলার দেবিপুর গ্রামের জিয়ারুল হকের মেয়ে। পুলিশ জানায়, মা এন্টারপ্রাইজ নামে একটি যাত্রীবাহী বাস ঢাকা থেকে দিনাজপুরের উদ্দেশে আসার পথে মঙ্গলবার সকালে দিনাজপুর-গোবিন্দগঞ্জ মহাসড়কে উপজেলার চড়ারহাট টুলটুলিপাড়া নামক স্থানে পৌঁছলে অন্যদিক থেকে আসা একটি বালু বহনকারী ট্রাকের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ ঘটে। এতে ঘটনাস্থলে ওই দুজন নিহত হন। এ ঘটনায় আরও ১০ জন আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে ছয়জনকে গুরুতর অবস্থায় দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। সংবাদ পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিত নিয়ন্ত্রণে নেয় এবং মৃতদেহ উদ্ধারসহ যান চলাচল স্বাভাবিক করে। নবাবগঞ্জ থানার ওসি তাওহীদুল ইসলাম বলেন, জান্নাতির পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ না থাকায় সুরতহাল শেষে পরিবারের কাছে মৃতদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে। চালকের মৃতদেহ থানা হেফাজতে রয়েছে।