টানা ভারি বর্ষণ আর ভয়াবহ বানের পানিতে কক্সবাজারের চকরিয়া পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ড় এলাকার বেড়িবাঁধ ভেঙে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। এতে বেশকিছু এলাকা কোমরপানিতে তলিয়ে গেছে।
শনিবার (৫ আগস্ট) থেকে টানা বৃষ্টিতে বহু এলাকার দোকানপাট, বসতবাড়ি ও সরকারি-বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে পানি নামেনি। বরং আরও বেড়েছে।
আরও পড়ুন : পটুয়াখালীতে বৃষ্টির রেকর্ড, পানিবন্দি হাজারো পরিবার
স্থানীয়রা জানিয়েছেন গত দুদিন ধরে দোকানপাট বন্ধ রয়েছে। এ নিয়ে তারা চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন।
এদিকে উপজেলা সদরের সঙ্গে বিভিন্ন ইউনিয়নের সড়ক যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। গত চার দিন ধরে কোমরপানি ও হাঁটুপানিতে এ জলাবদ্ধতার পরিস্থিতি হতে রেহাই পায়নি সরকারি বেসরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী, পুলিশ বিভাগসহ পৌরসভার হাজার হাজার মানুষ। পৌরসভার মাতামুহুরী নদীর কূলঘেঁষে ওয়ার্ডগুলোর বসতবাড়ির উঠানে, ঘরের ভেতরে এমনকি সামনের সড়কেও পানি জমেছে। এ অবস্থায় মানুষ নিরুপায় হয়ে পড়েছে। অনেকেই অন্যস্থানে আশ্রয় নিচ্ছে বলেও তথ্য পাওয়া গেছে।
পৌরসভার স্থানীয়রা জানান, লোকজনকে রিকশা অথবা গাড়িতে চড়ে কর্মস্থলে চলাচল করতে হচ্ছে। থানা সেন্টার, ভূমি অফিস, বিজয় ও শহীদ মিনার, চিংড়ি চত্বর, হালকাকারা, পুরাতন বিমানবন্দর মাঠ এলাকাসহ আরও অন্যান্য পৌরসভার বিভিন্ন স্থানে কোমর ও হাঁটুপানিতে চলাচল করতে হচ্ছে। জলাবদ্ধতা, বৃষ্টি ও বন্যার পানিতে একাকার হওয়ার কারণে বেশকিছু এলাকায় বিদ্যুৎবিছিন্ন হওয়ার সংবাদ পাওয়া গেছে। এই চরম দুর্ভোগে পড়েছেন এলাকা বাসিন্দারা।
মঙ্গলবার (৮ আগস্ট) সকালে সরেজমিনে পরিদর্শনকালে দেখা গেছে, মাতামুহুরী নদীর ব্রিজ পয়েন্ট চকরিয়ার নদীতে বন্যার পানি বিপদসীমা অতিক্রম করে প্রবাহিত হচ্ছে। চকরিয়ায় কক্সবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ডের এসও মো. সালামন সোমবার (৭ আগস্ট) এলাকার বেড়িবাঁধ পরিদর্শনকালে কালবেলাকে জানান, অতিরিক্ত বৃষ্টিপাতে পাহাড়ের ওপর হতে সৃষ্ট বন্যার পানি নেমে আসায় নদীতে পানি বৃদ্ধি হতে থাকে। গত চার-পাঁচদিন ধরে টানা বর্ষণের ফলে মাতামুহুরী নদীর পানি অতিরিক্ত বেড়ে ভয়াবহ বন্যার সৃষ্টি হয়েছে। আর বৃষ্টিপাত কম হলে পানি নামতে অনেক সময় লাগবে বলে জানান তিনি।
মন্তব্য করুন