উৎপাদন ছাড়াই বিদ্যুৎকেন্দ্রকে ক্যাপাসিটি চার্জ দেওয়া হচ্ছে
বিদ্যুতের লোডশেডিং নিয়ে জাতীয় সংসদে ক্ষোভ প্রকাশ করে বিরোধী দলের নেতা গোলাম মোহাম্মদ কাদের বলেছেন, প্রায় ১১ হাজার মেগাওয়াট উৎপাদন ক্ষমতাসম্পন্ন বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো অলস বসে আছে এবং উৎপাদন ছাড়াই সেগুলোকে ক্যাপাসিটি চার্জ দেওয়া হচ্ছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দ্বাদশ জাতীয় সংসদের দ্বিতীয় অধিবেশনের সমাপনী বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। লোডশেডিংয়ের তথ্য তুলে ধরে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের বলেন, রাজধানী ঢাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহে তেমন কোনো ঘাটতি হয়নি। শহরের তুলনায় গ্রামাঞ্চলে এমনকি শিল্পাঞ্চলেও লোডশেডিং বাড়ছে। এ কারণে শিল্পকারখানায় উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে এবং অর্থনীতিতে বিরূপ প্রভাব বাড়ছে। এ সময় কুইক রেন্টাল সংক্রান্ত আইন নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন সংসদের বিরোধীদলীয় এই নেতা। তিনি বলেন, আমাদের চাহিদা ১৭ হাজার মেগাওয়াটের। আর বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা ২৭ হাজার ১৬২ মেগাওয়াটের। প্রয়োজনের বেশি ১০ হাজার মেগাওয়াটের বেশি উৎপাদন ক্ষমতাসম্পন্ন বিদ্যুৎকেন্দ্র বসে আছে। অথচ এ ধরনের পরিস্থিতিতে সরবরাহ নিরবচ্ছিন্ন রাখার জন্যই এই অতিরিক্ত উৎপাদন ক্ষমতাসম্পন্ন বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো বেসরকারি খাতে অনেক বেশি সুবিধা নিয়ে স্থাপন করা হয়েছিল।
১০ মে, ২০২৪

খালেদা জিয়ার গ্যাটকো মামলার চার্জ শুনানি ২৫ জুন
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে গ্যাটকো দুর্নীতি মামলায় অভিযোগ গঠন শুনানির তারিখ পিছিয়ে আগামী ২৫ জুন ধার্য করেছেন আদালত।  বুধবার (২৪ এপ্রিল) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৩ এর বিচারক আলী হোসাইনের আদালতে খালেদা জিয়ার অব্যাহতির বিষয়ে শুনানির দিন ধার্য ছিল। কিন্তু খালেদা জিয়ার প্রধান আইনজীবী মাসুদ আহমেদ তালুকদার দেশের বাইরে থাকায় অভিযোগ শুনানি পেছাতে সময়ের আবেদন করা হয়। আদালত সময় আবেদন মঞ্জুর করে অভিযোগ গঠন শুনানির জন্য নতুন করে এ তারিখ ধার্য করেন। খালেদা জিয়ার আইনজীবী আব্দুল হান্নান ভূঁইয়া সাংবাদিকদের এসব তথ্য নিশ্চিত করেন। জানা যায়, মামলাটিতে ১৫ জন আসামির মধ্যে ১৪ জনের অব্যাহতির বিষয়ে শুনানি শেষ হয়েছে। গত ২৪ জানুয়ারি খালেদা জিয়ার অব্যাহতি চেয়ে শুনানি শুরু হয়। ২০০৭ সালের ২ সেপ্টেম্বর দুদকের উপপরিচালক মো. গোলাম শাহরিয়ার ১৩ জনের বিরুদ্ধে বাদী হয়ে তেজগাঁও থানায় মামলাটি দায়ের করেন। ২০০৮ সালের ১৩ মে মামলাটি তদন্ত করে জোট সরকারের প্রভাবশালী ৯ জন সাবেক মন্ত্রী ও উপমন্ত্রীসহ মোট ২৪ জনের বিরুদ্ধে দুদকের উপপরিচালক মো. জহিরুল হুদা অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ২৪ আসামির মধ্যে সাবেক মন্ত্রী এম সাইফুর রহমান, আব্দুল মান্নান ভুইয়া, সাবেক মন্ত্রী ও জামায়াতে ইসলামীর আমির মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী, খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকো, এম কে আনোয়ার, সাবেক মন্ত্রী এম শামছুল ইসলাম, বন্দরের প্রধান অর্থ ও হিসাবরক্ষক কর্মকর্তা আহমেদ আবুল কাশেমের মৃত্যুর পর মামলায় বর্তমানে আসামির সংখ্যা ১৫ জন। অন্য আসামিদের মধ্যে রয়েছেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এবং সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সাবেক চেয়ারম্যান কমোডর জুলফিকার আলী, সাবেক মন্ত্রী কর্নেল আকবর হোসেনের (প্রয়াত) স্ত্রী জাহানারা আকবর, দুই ছেলে ইসমাইল হোসেন সায়মন এবং এ কে এম মুসা কাজল, এহসান ইউসুফ, সাবেক নৌ সচিব জুলফিকার হায়দার চৌধুরী, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সাবেক সদস্য এ কে রশিদ উদ্দিন আহমেদ এবং গ্লোবাল এগ্রোট্রেড প্রাইভেট লিমিটেডের (গ্যাটকো) পরিচালক শাহজাহান এম হাসিব, সাবেক মন্ত্রী ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন এবং সাবেক জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী এ কে এম মোশাররফ হোসেন।
২৪ এপ্রিল, ২০২৪

সার্ভিস চার্জ নিয়ে দুই মেরুতে এনসিটিবি-মন্ত্রণালয়
প্রাথমিক স্তরের পাঠ্যবই ছাপা নিয়ে দুই মেরুতে অবস্থান করছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)। গত বছর থেকেই এ নিয়ে চলছে টানাপোড়েন। প্রাথমিকের বই ছাপানোর জন্য এনসিটিবি সার্ভিস চার্জ পায়। এনসিটিবিকে সার্ভিস চার্জ না দিয়ে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের (ডিপিই) মাধ্যমে বই ছাপিয়ে সেটি নিজেদের কাছে রাখতে চায় গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। আর শেষ পর্যন্ত সরাসরি মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে বই ছাপা হলেও সার্ভিস চার্জ কিংবা রয়্যালটির ক্ষেত্রে ছাড় দিতে রাজি নয় এনসিটিবি। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, প্রাথমিকের বই ছাপানো নিয়ে শিক্ষার দুই মন্ত্রণালয়ের দ্বন্দ্ব দীর্ঘদিনের। এর আগে একাধিকবার প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় বই ছাপার উদ্যোগ নিলেও তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির হস্তক্ষেপে তা সম্ভব হয়নি। গত বছরের ১৫ ফেব্রুয়ারি প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বৈঠকে এনসিটিবির কাছ থেকে প্রাথমিকের বই ছাপানোর দায়িত্ব সরিয়ে নেওয়ার নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়। এ নিয়ে ১৯ ফেব্রুয়ারি কালবেলায় ‘প্রাথমিকের বই ছাপতে রশি টানাটানি’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এরপর ২৮ ফেব্রুয়ারি মন্ত্রণালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রাথমিকের বই ছাপার দায়িত্ব নিজেরাই নিতে চাওয়ার বিষয়টি জানান প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব মো. ফরিদ আহাম্মদ। অবশ্য আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠকে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় বিষয়টি উপস্থাপন করলেও তাতে সাড়া দেয়নি শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এরপর গত বছরের ১৩ মার্চ এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত চেয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে সারসংক্ষেপ পাঠায় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। সেখানে বিদ্যমান জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড আইন, ২০১৮-এর সংশ্লিষ্ট বেশ কয়েকটি ধারা সংশোধনের কথা বলা হয়। ওই প্রস্তাবে ২২ মার্চ অনুমোদন দেন প্রধানমন্ত্রী। এরপর ২৯ মার্চ সংশ্লিষ্ট আইনের প্রয়োজনীয় সংশোধনী আনার উদ্যোগ নিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে চিঠি দেয় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। এর ধারাবাহিকতায় মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব সোলেমান খানের সভাপতিত্বে গত বছরের ১৩ আগস্ট আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা অনুষ্ঠিত হয়। প্রধানমন্ত্রীর সম্মতি থাকায় এনসিটিবি আইনের সংশোধনী প্রস্তাব তৈরি করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার বিষয়ে সভায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এরপর গত ৬ নভেম্বর তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনির সভাপতিত্বে আরেকটি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে জানানো হয়, আইনটির সংশোধনী খসড়া জনপ্রশাসনে প্রমিতকরণের জন্য পাঠানো হয়েছে। খসড়া প্রস্তাবটির ওপর আরও একটি আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা করে চূড়ান্ত করতে বলা হয়। আইনটি সংশোধন না হওয়া পর্যন্ত এনসিটিবির মাধ্যমেই প্রাথমিকের বইসহ সব পাঠ্যপুস্তক ছাপানোর কথা বলা হয়। কিন্তু দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কারণে সেটি পিছিয়ে যায়। নির্বাচনের পর নতুন সরকার গঠনের পর সম্প্রতি আবারও বিষয়টি সামনে আনে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠকে ফের উপস্থাপন করা হলে তাতে সায় দেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়। জানা গেছে, গত ২১ মার্চ সচিবালয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আয়োজিত এক ব্রিফিংয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব ফরিদ আহাম্মদ সাংবাদিকদের বলেন, এনসিটিবির কাজ শিক্ষাক্রম তৈরি ও পর্যালোচনা করা। বই ছাপানোর কাজটি প্রশাসনিক। প্রাথমিকের প্রতিটি বই ছাপানোর জন্য এনসিটিবিকে ২ টাকা ৬০ পয়সা করে সার্ভিস চার্জ দিতে হয়। সে হিসাবে প্রতি বছর ৩০ থেকে ৩৫ কোটি সার্ভিস চার্জ দিতে হয়। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর বই ছাপালে এ টাকা সরকারের সাশ্রয় হবে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা কালবেলাকে বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নীতিগত অনুমোদনের পর এটি কোর কমিটিতে যাবে। এরপর সংশ্লিষ্ট সব কমিটিতে আলোচনা হবে। তারপর খসড়া হবে। এরপর আইন সংশোধনের জন্য মন্ত্রিসভায় যাবে। এখনো অনেক কাজ বাকি। তবে, এনসিটিবি মানেই যেহেতু শিক্ষা মন্ত্রণালয়, তারা কালক্ষেপণ করতে পারে। কারণ এত বড় কাজ তারা হাতছাড়া করতে চাইবে না। কালক্ষেপণ করে এনসিটিবি প্রধানমন্ত্রীকে বিষয়টি ভিন্নভাবেও বুঝাতে পারে। আবার হঠাৎ করেই বই ছাপানোর দায়িত্ব পেয়ে গেলেও প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের কারিকুলাম করা ও বই ছাপানোর মতো সক্ষমতা রয়েছে কি না, তাও দেখতে হবে। অন্যদিকে পাঠ্যপুস্তক বোর্ড প্রাথমিকের বই ছাপানোর দায়িত্ব নিজেদের অধীনে রাখতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে দেনদরবার চালিয়ে যাচ্ছে। আইনি জটিলতা ও এনসিটিবির আর্থিক সংকটে পড়ার শঙ্কার কথা জানিয়ে তারা বই ছাপার কাজ নিজেদের অধীনে রাখতে মরিয়া। এনসিটিবি কর্মকর্তারা বলছেন, জটিলতা কাটাতেই বই ছাপানোর কাজ এনসিটিবির অধীনে এক ছাতার নিচে আনা হয়। এ দায়িত্ব এখন প্রাথমিক অধিদপ্তরে গেলে নতুন করে নানা জটিলতা সামনে আসবে। একই সঙ্গে আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়বে এনসিটিবি। নেপথ্যে সার্ভিস চার্জ: দেশে প্রাথমিক স্তরে শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় ১ কোটি ৩০ লাখ। প্রতি বছর প্রাক-প্রাথমিক থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত প্রায় ১০ কোটি পাঠ্যবই ছাপা হয়। গত ১৩ বছর ধরে ৯৮ লটে ৩০-৩২টি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে এসব বই মুদ্রণ করা হচ্ছে। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ভাষ্য, বই ছাপা ঘিরে নানা সিন্ডিকেট কাজ করছে। এ জন্য বইয়ের মুদ্রণ ও কাগজের মান নিয়ে প্রতি বছর প্রশ্ন উঠছে। তাই বইয়ের মান ভালো করতে ও সিন্ডিকেট ভাঙতে প্রাথমিক স্তরের বই ছাপাতে চায় এই মন্ত্রণালয়। গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, প্রাথমিকের শিক্ষার্থীদের জন্য বিনামূল্যের বই ছাপানোর বরাদ্দ আসে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের অনুকূলে। বর্তমানে যে আইন রয়েছে, তাতে বই ছাপানোর জন্য এনসিটিবিকে অতিরিক্ত ২ শতাংশ অর্থ সার্ভিস চার্জ হিসেবে দিতে হয়। এতে এনসিটিবির প্রায় ২৫ থেকে ৩০ কোটি টাকা আয় হয়। আর প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়ে। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ফরিদ আহাম্মদ বলেন, ‘বই ছাপানোর বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী নীতিগত অনুমোদন দিয়েছেন। এজন্য এনসিটিবির আইন সংশোধন করতে হবে। এরপর সরকার যা সিদ্ধান্ত জানাবে তাই হবে। সেই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আমরা অনুমতি পেলেই কাজ শুরু করে দেব। এটি নিয়ে কারও সমালোচনার কিছু নেই।’ অন্যদিকে এনসিটিবির কর্মকর্তারা বলছেন, প্রাথমিকের বই সংশ্লিষ্ট অধিদপ্তর ছাপালে এনসিটিবির প্রাথমিক শাখার কর্মকর্তাদের খরচও তাদেরই দিতে হবে। কারণ সরকার তাদের বেতন দেয় না। ২ শতাংশ সার্ভিস চার্জ (রয়্যালটি) থেকে পাওয়া টাকা দিয়েই এনসিটিবির প্রাথমিক শাখার কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বেতন-ভাতা দেওয়া হয়। এনসিটিবির প্রাথমিক শাখার একজন কর্মকর্তা কালবেলাকে বলেন, ‘মন্ত্রণালয় সরকারের ২৫-৩০ কোটি টাকা বাঁচানোর কথা বললেও প্রকৃত চিত্র ভিন্ন। কারণ বই ছাপার সার্ভিস চার্জ না পেলে এনসিটিবির প্রাথমিক শাখার কর্মকর্তাদের বেতনের টাকা সরকারের অন্য খাত থেকে দিতে হবে। তাহলে কার টাকা বাঁচিয়ে তারা কাকে দেবেন?’ বিষয়টি পরিষ্কার করার জন্য এনসিটিবির পক্ষ থেকেও প্রধানমন্ত্রী বরাবর চিঠি দেওয়ার চিন্তা রয়েছে বলে সংশ্লিষ্টরা জানান। এ বিষয়ে এনসিটিবি চেয়ারম্যান অধ্যাপক ফরহাদুল ইসলাম কালবেলাকে বলেন, ‘আমরা সবাই সরকারেরই লোক। সরকারের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নই আমাদের কাজ। সরকার যদি প্রাথমিকের বই ছাপানোর দায়িত্ব মন্ত্রণালয় বা অধিদপ্তরকে দেয়, আমাদের কোনো আপত্তি নেই। কিন্তু সে ক্ষেত্রে রয়্যালটি ফি (সার্ভিস চার্জ) এনসিটিবিকে দিতে হবে।’ তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর কাছে সারসংক্ষেপ পাঠানোর আগে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে কথা বলে নেওয়া উচিত ছিল। কিন্তু সেটি না করে সরাসরি প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে পাঠিয়েছেন। এর মাধ্যমে শৃঙ্খলা নষ্ট হয়। তিনি একতরফাভাবে বলে যাচ্ছেন, তারা বই ছাপালে ২৫ থেকে ৩০ কোটি টাকা সরকারের লাভ হবে। এনসিটিবির প্রাথমিক শাখার ২৫-২৬ জন কর্মকর্তার বেতন-ভাতা হয় সরকারের দেওয়া রয়্যালটি থেকে। কিন্তু এখন বই নিয়ে যাবে একজন, কারিকুলাম করবে আরেকজন। এটি সমস্যার সৃষ্টি করবে। তারা কাজের দায়িত্ব পেলেও বইয়ের রয়্যালটি দিয়ে যেতে হবে।’
২১ এপ্রিল, ২০২৪

ম্যাগনেটিক চার্জ প্রযুক্তি নিয়ে দেশে ইনফিনিক্সের নোট ৪০ সিরিজ
বাংলাদেশের বাজারে নতুন স্মার্টফোন সিরিজ ‘নোট ৪০’ এনেছে প্রযুক্তি ব্র্যান্ড ইনফিনিক্স। এই সিরিজে থাকছে দুটি মডেল—ইনফিনিক্স নোট ৪০ এবং ইনফিনিক্স নোট ৪০ প্রো। এ সিরিজের মাধ্যমে প্রথমবারের মতো অ্যান্ড্রয়েড ফোনে যুক্ত হয়েছে ম্যাগনেটিক চার্জিং। অলরাউন্ড ফাস্টচার্জ ২.০ এর আওতায় এই প্রযুক্তি এনেছে ইনফিনিক্স। দুটি ফোনেই আছে ২০ ওয়াটের ওয়্যারলেস ম্যাগচার্জ এবং রিভার্স চার্জের সুবিধা। এ ছাড়া নোট ৪০র সঙ্গে উপহার হিসেবে থাকবে ম্যাগনেটিক চার্জিং প্যাড। নোট ৪০ প্রোর সঙ্গে থাকবে ম্যাগনেটিক পাওয়ার ব্যাংক। নোট ৪০ সিরিজে আরও যোগ হয়েছে ইনফিনিক্সের নিজস্ব ম্যানেজমেন্ট চিপ—চিতা এক্স১। প্রচলিত চিপের চেয়ে এর সক্ষমতা দ্বিগুণেরও বেশি। আছে ৬ ন্যানোমিটারের মিডিয়াটেক হেলিও জি৯৯ আল্টিমেট প্রসেসর, যা গেমার ও হেভি ইউজারদের দেবে চমৎকার পারফরম্যান্স। দুটি ফোনেই আছে ৫০০০ মিলি অ্যাম্পিয়ারের অল-রাউন্ড ফাস্ট-চার্জ ব্যাটারি। তিনটি ভিন্ন চার্জিং মোডে মাত্র ১৬ মিনিটেই শূন্য থেকে ৫০ শতাংশ পর্যন্ত চার্জ হবে এই ফোন। আবার প্রাণবন্ত ভিজ্যুয়াল দিতে নোট ৪০ সিরিজের দুটি ফোনেই আছে ৬.৭৮ ইঞ্চির ফুল এইচডি প্লাস অ্যামোলেড ডিসপ্লে। ১২০ হার্টজ রিফ্রেশ রেটের রেসপন্সিভ টাচ স্ক্রিনে আছে ইন-ডিসপ্লে ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সর। নোট ৪০ প্রো-তে আছে বেজেল-বিহীন থ্রিডি কার্ভড ডিসপ্লে। সিরিজটির ফোনে প্রধান ক্যামেরা হিসেবে আছে ওআইএস সাপোর্টসহ শক্তিশালী ১০৮ মেগাপিক্সেলের সুপার-জুম ক্যামেরা এবং ৩২ মেগাপিক্সেলের সেলফি ক্যামেরা। আধুনিক ইন-সেন্সর জুম প্রযুক্তির সাহায্যে নোট ৪০ সিরিজের ফোনে উন্নতমানের ইমেজ পাওয়া যাবে। তিন গুণ জুমেও পরিষ্কার ছবি তোলা সম্ভব হবে এতে। নোট ৪০ সিরিজের ফোনগুলোতে পাওয়া যাবে দুই বছরের অ্যান্ড্রয়েড আপডেটসহ ৩৬ মাসের সিকিউরিটি প্যাচ। বিশেষ ধরনের লাইটিংয়ের জন্য এতে যুক্ত করা হয়েছে অ্যাকটিভ হেলো লাইটিংয়ের মতো এআই প্রযুক্তি। অডিওর জন্য নোট ৪০ সিরিজের ডুয়েল স্পিকারে আছে জেবিএলের প্রযুক্তি। ৮ জিবি র‌্যাম ও ২৫৬ জিবি ধারণক্ষমতার নোট ৪০ প্রো-এর বাজারমূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৩০ হাজার ৯৯৯ টাকা এবং ১২ জিবি র‌্যাম ও ২৫৬ জিবি সংস্করণটির বাজারমূল্য ৩৪ হাজার ৯৯৯ টাকা। ভিন্টেজ গ্রিন ও টাইটান গোল্ড রঙে পাওয়া যাচ্ছে ফোনটি। অন্যদিকে ৮ জিবি/২৫৬ জিবি নোট ৪০ মডেলটির বাজারমূল্য ২৬ হাজার ৯৯৯ টাকা। ফোনটি পাওয়া যাচ্ছে টাইটান গোল্ড ও অবসিডিয়ান ব্ল্যাক রঙে। ১ এপ্রিল থেকে দেশজুড়ে ইনফিনিক্সের অফিসিয়াল রিটেইলার ও অনলাইনে পাওয়া যাবে ফোনগুলো।
৩১ মার্চ, ২০২৪

আদায়কৃত অতিরিক্ত সুপারভিশন চার্জ ফেরতের নির্দেশ
সিএমএসএমই খাত ও ভোক্তা ঋণের প্রশাসনিক ব্যয় শিল্প এবং অন্যান্য ঋণের চেয়ে বেশি হওয়ায় এসব ঋণে অতিরিক্ত ১ শতাংশ সুপারভিশন চার্জ আরোপের বিধান রয়েছে। কিন্তু কিছু ব্যাংক ভোক্তাদের কাছ থেকে অতিরিক্ত চার্জ আদায় করছে। এ পরিস্থিতিতে আদায়কৃত অতিরিক্ত সুপারভিশন চার্জ ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। গতকাল বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ থেকে এক প্রজ্ঞাপনে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়। এতে বলা হয়, ব্যাংকগুলোকে আগ্রহী করতে সিএমএসএমই এবং ভোক্তা ঋণের আওতাধীন ব্যক্তিগত ও গাড়ি ক্রয় ঋণে সর্বোচ্চ ১ শতাংশ সুপারভিশন চার্জ প্রদানের বিধান রয়েছে। এই চার্জ বছরে একবার আদায় বা আরোপ করা যাবে। পাশাপাশি বার্ষিক ভিত্তিতে আরোপিত এ সুপারভিশন চার্জের ওপর চক্রবৃদ্ধি হারে কোনো চার্জ বা সুদ আরোপ করা যাবে না। কিন্তু সম্প্রতি বিভিন্ন ব্যাংক ভিন্ন ভিন্ন পদ্ধতি অবলম্বনপূর্বক সুপারভিশন চার্জ হিসাবায়ন করার কারণে ক্ষেত্রমতে গ্রাহকের কাছ থেকে বাড়তি চার্জ আদায় করছে বলে মনে করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এ পরিস্থিতিতে কোনো ঋণ গ্রহীতার কাছ থেকে অতিরিক্ত সুপারভিশন চার্জ আদায় করা হয়ে থাকলে তা ফেরত দিতে বা সমন্বয় করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, মেয়াদি ঋণের সুপারভিশন চার্জ আরোপের ক্ষেত্রে মূল ঋণের গড় স্থিতিকে ভিত্তি হিসেবে গণ্য করে সুপারভিশন চার্জ হিসাবায়ন করতে হবে। চলমান ঋণের ক্ষেত্রে মূল ঋণের দৈনিক গড় স্থিতিকে ভিত্তি হিসেবে গণ্য করত সুপারভিশন চার্জ হিসাবায়ন করতে হবে। সুপারভিশন চার্জের ওপর কোনো ধরনের জরিমানা অথবা সুদ আরোপ করা যাবে না। ঋণগ্রহীতাদের জন্য সুপারভিশন চার্জ পরিশোধের পদ্ধতি সহজ করতে ব্যাংকার-গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে মেয়াদি ঋণের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট ঋণের পরিশোধ সূচির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে মাসিক বা ত্রৈমাসিক বা ষান্মাসিক ভিত্তিতে এ চার্জ আদায়যোগ্য হবে।
১৯ মার্চ, ২০২৪

ভোক্তা ঋণ / আদায়কৃত অতিরিক্ত সুপারভিশন চার্জ ফেরত দেওয়ার নির্দেশ
সিএমএসএমই খাত ও ভোক্তা ঋণের প্রশাসনিক ব্যয় শিল্প ও অন্যান্য ঋণের চেয়ে বেশি হওয়ায় এসব ঋণে অতিরিক্ত ১ শতাংশ সুপারভিশন চার্জ আরোপ করার বিধান রয়েছে। কিন্তু কিছু ব্যাংক ভোক্তাদের থেকে এর চেয়ে বেশি চার্জ আদায় করছে। এমন পরিস্থিতিতে আদায়কৃত অতিরিক্ত সুপারভিশন চার্জ ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। সোমবার (১৮ মার্চ) বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ থেকে জারি করা এক প্রজ্ঞাপনে এই নির্দেশনা দেওয়া হয়। এতে বলা হয়, সিএমএসএমই ও ভোক্তা খাতের ঋণ প্রদানে ব্যাংকগুলোকে আগ্রহী করতে সিএমএসএমই এবং ভোক্তা ঋণের আওতাধীন ব্যক্তিগত ও গাড়ি ক্রয় ঋণে সর্বোচ্চ ১ শতাংশ সুপারভিশন চার্জ প্রদানের বিধান রয়েছে। এই সুপারভিশন চার্জ বছরে একবার আদায় বা আরোপ করা যাবে। পাশাপাশি বার্ষিক ভিত্তিতে আরোপিত এ সুপারভিশন চার্জের ওপর চক্রবৃদ্ধি হারে কোনো চার্জ বা সুদ আরোপ করা যাবে না। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে বিভিন্ন ব্যাংক ভিন্ন ভিন্ন পদ্ধতি অবলম্বনপূর্বক সুপারভিশন চার্জ হিসাবায়ন করার কারণে ক্ষেত্রমতে গ্রাহক হতে অধিক পরিমাণ সুপারভিশন চার্জ আদায় করছে বলে মনে করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এমন পরিস্থিতিতে কোনো ঋণ গ্রহীতার নিকট হতে অতিরিক্ত সুপারভিশন চার্জ আদায় করা হয়ে থাকলে তা ফেরত প্রদান বা সমন্বয় করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, মেয়াদি ঋণের সুপারভিশন চার্জ আরোপের ক্ষেত্রে মূল ঋণের গড় স্থিতিকে ভিত্তি হিসেবে গণ্য করত সুপারভিশন চার্জ হিসাবায়ন করতে হবে। চলমান ঋণের ক্ষেত্রে মূল ঋণের দৈনিক গড় স্থিতিকে ভিত্তি হিসেবে গণ্য করত সুপারভিশন চার্জ হিসাবায়ন করতে হবে। সুপারভিশন চার্জের উপর কোনো ধরনের জরিমানা অথবা সুদ আরোপ করা যাবে না। ঋণ গ্রহীতাদের জন্য সুপারভিশন চার্জ পরিশোধের পদ্ধতি সহজীকরণের লক্ষ্যে ব্যাংকার-গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে মেয়াদি ঋণের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট ঋণের পরিশোধসূচির সাথে সামঞ্জস্য রেখে মাসিক বা ত্রৈমাসিক বা ষান্মাসিক ভিত্তিতে এ চার্জ আদায়যোগ্য হবে। চলমান ঋণের ক্ষেত্রে ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে সুদ আদায়ের সময় প্রাপ্য সুপারভিশন চার্জ আদায় করা যাবে। তলবী ঋণের ক্ষেত্রে মেয়াদান্তে পরিশোধের সময় এককালীন আদায় করা যাবে অথবা উভয় পক্ষের সম্মতিক্রমে মেয়াদের মধ্যে একাধিক কিস্তিতে আদায়যোগ্য হবে। মাসিক বা ত্রৈমাসিক অথবা ষান্মাসিক ভিত্তিতে সুপারভিশন চার্জ আদায় করা হলে, বছরান্তে প্রাপ্ত গড় স্থিতির হিসাবায়নের ভিত্তিতে সুপারভিশন চার্জ সমন্বয় করতে হবে। শরীয়াহ ভিত্তিক পরিচালিত ব্যাংকগুলো তাদের বিনিয়োগের ক্ষেত্রে উল্লিখিত নির্দেশনা অনুসরণকরত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারবে।
১৮ মার্চ, ২০২৪

মোবাইল ফোন চার্জ করার সময় যেসব বিষয় খেয়াল রাখবেন
বর্তমান সময় মোবাইল ফোন অনেক গুরুত্বপূর্ণ। একরকম অভ্যাসও বটে। সঙ্গে না থাকলে মনে হয় হয় কি যেন নেই। প্রাত্যহিক জীবনের সঙ্গী হয়ে দাঁড়িয়েছে। সুসময়-দুঃসময়ে পরম আস্থার ডিভাইসটির যত্ন নেওয়া তাই জরুরি।  মোবাইল ফোনের আয়ু নির্ভর করে ব্যাটারির যত্নের ওপর। আর ব্যাটারির যত্ন নির্ভর করে আপনি কতটুকু সতর্কতার সঙ্গে চার্জ দিচ্ছেন তার ওপর। এজন্য চার্জ দেওয়ার সময় যেসব বিষয় খেয়াল রাখতে হবে। একেবারে তলানীতে নামার আগেই চার্জ করুন- ফোনে সবসময়ই ২০ থেকে ৮০ শতাংশ চার্জ রাখতে হবে। মোবাইল ফোনকে সম্পূর্ণভাবে চার্জ শূন্য হওয়া থেকে রক্ষা করতে হবে। আপনি যদি এটি না করেন তবে এটি ব্যাটারির আয়ু কমিয়ে দিতে পারে। গরম মোবাইল সাথে সাথে চার্জে নয়- অনেকক্ষণ কথা বললে, গেম খেললে, ইউটিউবে ভিডিও দেখলে সাধারণ সব মোবাইল ফোনই গরম হয়। মনে রাখবেন, মোবাইল ফোন গরম অবস্থায় কখনো চার্জে দেবেন না। এতে ব্যাটারির ক্ষতি হতে পারে। যদি আপনার ফোনটি গরম হতে থাকে তবে এটি ঠান্ডা হতে দিন এবং তারপর চার্জ করুন। চার্জে দিয়ে ফোন ব্যবহার নয়- মোবাইল চার্জে থাকা অবস্থায় কখনই ফোন ব্যবহার করবেন না। কারণ চার্জ দেওয়া অবস্থায় মোবাইল ফোন ব্যবহার করলে ব্যাটারি দ্রুত নষ্ট হতে পারে। এসময় প্রসেসরেও চাপ পড়ে। তাই চার্জ দেওয়ার পর ফোন ব্যবহার করুন। বজ্রপাতের সময় চার্জ দেবেন না- বজ্রপাতের সময় অবশ্যই মোবাইল ফোন চার্জে দেওয়া যাবে না। আবহাওয়া স্বাভাবিক হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করাই ভাল। বজ্রপাতে আপনার ফোন এবং চার্জার উভয়েরই একেবারে অচল হওয়ার ঝুঁকি থাকে। মোবাইল ফোনে সুরক্ষা কভারটি সরিয়ে চার্জ দিন- আজকাল সব মোবাইল ফোনই চার্জ দেওয়ার সময় গরম হয়ে যায়। এজন্য চার্জ দেওয়ার আগে ফোনে কভার থাকলে সেটি খুলে চার্জ দেওয়া ভাল। এতে উত্তাপ কম হবে। রাতে ফোন চার্জে দিয়ে ঘুমাবেন না- অনেকেই ভাবেন ঘুমানোর আগে ফোন একেবারে চার্জে দেবেন। এটা ভুলেও করবেন না। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে পুরো রাত চার্জ দিয়ে রাখলে উল্টো ব্যাটারির ক্ষতি হতে পারে। ওভারচার্জিং সবসময়ই ব্যাটারির স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। থার্ডপার্টি ব্যাটারি অ্যাপ ব্যবহার করবেন না- আপনার ফোনের ব্যাটারি নিয়ন্ত্রণের জন্য ফোনে বিল্ট-ইন ব্যবস্থা আছে। তাই অনলাইনে নানা চটকদার বিজ্ঞাপন, আপনাকে ভয় ধরিয়ে থার্ড পার্টি ব্যাটারি অ্যাপ ডাউনলোড করতে বলা কোনো বিজ্ঞাপনের  ফাঁদে পড়বেন না। অযথা বার বার চার্জে দেবেন না- আপনার মোবাইল ফোনে চার্জ ২০ শতাংশে না পৌঁছানো অব্দি ফোন ব্যবহার করুন। এর আগে অল্প সময়ের জন্য বার বার চার্জে দেবেন না। এতে ব্যাটারির ক্ষতি হতে পারে।
০১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

পাকিস্তানের চার্জ ডি অ্যাফেয়ার্সকে ইরানের তলব
হামলা পাল্টা হামলা নিয়ে উত্তেজিত পাকিস্তান-ইরান সম্পর্ক। বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) সকালে ইরানে হামলা চালিয়েছে পাকিস্তান। এরপরই পাকিস্তানের চার্জ ডি অ্যাফেয়ার্সকে তলব করেছে ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।  ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় পাকিস্তানের চার্জ ডি অ্যাফেয়ার্সকে তলব করেছে। রাষ্ট্রদূতের অনুপস্থিতিতে তিনি দূতাবাসের সর্বোচ্চ কর্মকর্তা। তাকে তেহরানে বৃহস্পতিবার সকালে হামলার বিষয়ে তলব করা হয়েছে।  ইরানের তাসনিম নিউজ এজেন্সি জানিয়েছে, সীমান্তবর্তী সিস্তান-বেলুচিস্তান প্রদেশে পাকিস্তানের হামলার বিষয়ে ব্যাখ্যা চেয়ে দেশটির চার্জ ডি অ্যাফেয়ার্সকে তলব করা করা হয়েছে।  এর আগে মঙ্গলবার পাকিস্তানের বেলুচিস্তানে হামলা চালিয়েছিল ইরান। এরই জেরে বৃহস্পতিবার দেশটিতে পাল্টা হামলা চালিয়েছে ইসলামাবাদ। ইরানের সীমান্তবর্তী কয়েকটি স্থানে সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর অবস্থান ও স্থাপনা লক্ষ্য করে এমন হামলা চালানো হয়। বেলুচিস্তান প্রদেশে ইরানের হামলার ঘটনায় দুই দেশের মধ্যে চরম কূটনৈতিক উত্তেজনাও দেখা দিয়েছে। পাকিস্তানের আকাশসীমা লঙ্ঘন ও হামলার জবাবে বুধবার কড়া পদক্ষেপ নিয়েছে ইসলামাবাদ। ইরান থেকে নিজেদের রাষ্ট্রদূত প্রত্যাহার করেছে পাকিস্তান। একইসঙ্গে পাকিস্তানে নিযুক্ত ইরানি রাষ্ট্রদূতকেও আপাতত ইসলামাবাদে না ফিরতে বলা হয়েছে। বর্তমানে নিজ দেশে আছেন পাকিস্তানে নিযুক্ত ইরানি রাষ্ট্রদূত। তার আর পাকিস্তানে ফেরার দরকার নেই বলে জানিয়েছেন পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মুমতাজ জাহরা বালোচ। মুমতাজ জাহরা বালোচ বলেন, পাকিস্তান ইরান থেকে তার রাষ্ট্রদূতকে প্রত্যাহার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে এবং পাকিস্তানে ইরানের রাষ্ট্রদূত যিনি বর্তমানে ইরান সফর করছেন তিনি আপাতত ইসলামাবাদ ফিরে আসবেন না।  
১৮ জানুয়ারি, ২০২৪

ফোনের চার্জ দ্রুত ফুরিয়ে যাচ্ছে, সমাধান কী
ফোনের ব্যাটারি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু এখানেই বাধে যত সমস্যা। দ্রুত ফুরিয়ে যায় ব্যাটারির চার্জ। এর জন্য ফোনের ব্যাটারি নষ্ট হয়ে যাওয়াই দায়ী নয়। যদিও আমরা এটাকেই বেশি দায়ী মনে করি। এ জন্য অনেকেই নতুন ব্যাটারি বা নতুন ফোন কিনতে বাধ্য হন। মূলত ব্যাটারি দ্রুত শেষ হওয়ার কতগুলো প্রযুক্তিগত কারণ আছে। ফোনে ৫টি ফিচার থাকে যেগুলো বন্ধ করে দিলে ব্যাটারির আয়ু বেড়ে যায়। চলুন জেনে নিই এই ফিচারগুলো সম্পর্কে— ১. স্ক্রিনের ব্রাইটনেস এবং টাইমআউট সেটিং ব্যাটারি দ্রুত শেষ হওয়ার প্রধান কারণ হলো ডিসপ্লে। তাই স্ক্রিনের উজ্জ্বলতা এমনভাবে সেট করুন যাতে এটি আপনার চোখের জন্য আরামদায়ক হয়। অযথা ফোনের উজ্জ্বলতা বাড়িয়ে রাখা উচিত নয়। এছাড়াও, অটো-লক বা স্ক্রিন টাইমআউট সেটিংস পরিবর্তন করুন। এটি আপনার ফোনের ব্যাটারির আয়ু বাড়িয়ে দিতে পারে। ২. ব্যাকগ্রাউন্ড অ্যাপ ব্লক ব্যবহারকারীর অজান্তেই অনেক সময় কিছু কিছু অ্যাপ ব্যাকগ্রাউন্ডে চলতে থাকে, যা ফোনের ব্যাটারি নষ্ট করে দেয়। তাই এ ধরনের ব্যাকগ্রাউন্ডে চলা অ্যাপগুলো দেখে‌ শুনে ব্যবহার উচিত। ফোনের ‘সেটিংস’ থেকে অ্যাপগুলো খুঁজে নিয়ে ‘ব্যাকগ্রাউন্ড অ্যাপ রিফ্রেশ’ অপশন বন্ধ করে দিলে সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন। ৩. লোকেশন শেয়ারিং লোকেশন শেয়ারিং অপশনটি ফোনের ব্যাটারি শেষ করে দিতে পারে। তাই প্রতিটি অ্যাপকে লোকেশন শেয়ার অপশন ব্যবহার করতে দেওয়া উচিত নয়। আর এটি বন্ধ করার জন্য প্রথমে, ‘সেটিংস’ এ যান, তারপর ‘প্রাইভেসি’ অপশনে ক্লিক করুন, তারপরে ‘লোকেশন সার্ভিস’ এ ট্যাপ করুন। এর পর  ‘অলওয়েস’র পরিবর্তে ‘অ্যাপ ইউজিং’ অপশন সিলেক্ট করুন। ৪. সেলুলার ডেটার বদলে ওইফাই ডেটা নির্বাচন ব্যবহারকারীদের পক্ষে সম্ভব হলে সেলুলার ডেটার পরিবর্তে ওইফাই ব্যবহার করা উচিত। কারণ, সেলুলার নেটওয়ার্ক ওইফাইয়ের তুলনায় অনেক শক্তি খরচ করে, যার ফলে ফোনের ব্যাটারির আয়ু কমে যায়। ৫. লো-পাওয়ার মোড আইফোনের ক্ষেত্রে সবসময় লো পাওয়ার মোড সক্রিয় রাখা উচিত। কারণ, এটি ব্যাটারি কম খরচ করে। আর এর জন্য প্রথমে ‘সেটিংস’ এ যান। এরপর ‘ব্যাটারি’ অপশনে ট্যাপ করুন এবং তারপরে ‘লো পাওয়ার মোড’ সিলেক্ট করুন।
১২ জানুয়ারি, ২০২৪

ডা. সাবরিনার চার্জ গঠনের দিন ধার্য
তথ্য গোপন করে দুটি জাতীয় পরিচয়পত্র গ্রহণ করার অভিযোগে রাজধানীর বাড্ডা থানায় দায়ের হওয়া মামলায় জেকেজির চেয়ারম্যান ডা. সাবরিনা শারমিন চৌধুরীর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের শুনানির জন্য আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করেছেন আদালত। বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুব আলম এই দিন ধার্য করেন। এদিন আদালতে অভিযোগ গঠনের জন্য দিন ধার্য ছিল। কিন্তু সাবরিনার আইনজীবী অভিযোগ গঠনের শুনানি পেছানোর জন্য সময়ের আবেদন করেন। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারক অভিযোগ গঠনের শুনানি পেছানোর জন্য সময়ের আবেদন করেন। এর আগে ২০২০ সালের ৩০ আগস্ট রাতে গুলশান থানা নির্বাচন কর্মকর্তা মমিন মিয়া বাদী হয়ে ডা. সাবরিনার বিরুদ্ধে এই মামলা করেন। এরপর সাবরিনাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে দুদিনের রিমান্ডে পাঠায় ঢাকার সিএমএম আদালত। রিমান্ড শেষে পরে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। নথি থেকে জানা যায়, ২০২০ সালের ২৭ আগস্ট করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) নমুনা পরীক্ষা না করে ভুয়া রিপোর্ট দেওয়ার অভিযোগে অভিযুক্ত জেকেজি হেলথ কেয়ারের চেয়ারম্যান ডা. সাবরিনা আরিফের দুটি জাতীয় পরিচয়পত্রই (এনআইডি) ব্লক করে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
২৭ ডিসেম্বর, ২০২৩
X