সহযোগী অধ্যাপক হলেন ৯০ চিকিৎসক
সহযোগী অধ্যাপক হিসেবে পদোন্নতি পেয়েছেন দেশের বিভিন্ন স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ৯০ জন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক। সম্প্রতি স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের পারসোনেল-১ শাখার উপসচিব সারমিন সুলতানার সই করা এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, ‘স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীন স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের পদোন্নতি কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে দেশের বিভিন্ন স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ৯০ জন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসককে সহযোগী অধ্যাপক পদে পদোন্নতি দেওয়া হলো। ৩০ এপ্রিল থেকে পদোন্নতিপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের বর্ণিত কর্মস্থলে বদলি/পদায়ন করা হলো।’ এর মধ্যে ইউরোলজি বিভাগের আটজন, গাইনি অ্যান্ড অবস বিভাগের ১৮ জন, সার্জারি বিভাগের ৬৩ জন ও পেডিয়াট্রিক নিউরোলজি অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট বিভাগের একজন চিকিৎসক রয়েছেন।
০৮ মে, ২০২৪

চিকিৎসক ছেলের বিরুদ্ধে ইউএনওর কাছে মায়ের অভিযোগ
ছেলেকে ডাক্তার বানাতে গিয়ে সহায় সম্বল সব হারিয়েছেন বাবা-মা। সরকারি চিকিৎসক হিসেবে কর্মরত ছেলে সুজাউদৌল্লা এখন গুরুদাসপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার। নিজের রক্ত পানি করে চিকিৎসক বানানো সেই ছেলের কাছেই জায়গা হচ্ছে না বৃদ্ধ পিতা-মাতার। ভরণপোষণ না দিয়ে উল্টো পিতা-মাতাকে বাড়ি থেকে বিতারিত করতে চালাচ্ছেন নির্যাতন। অবশেষে ভরণপোষণের দাবি জানিয়ে সোমবার (৬ মে) সকালে গুরুদাসপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন মনিরা বেগম নামে এক মা। অভিযুক্ত চিকিৎসক সুজাউদৌল্লা বর্তমানে গুরুদাসপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার হিসেবে কর্মরত। তিনি প্রায় দেড় বছর ধরে এ দায়িত্ব পালন করছেন। সুজাউদৌল্লা পৌর সদরের আনন্দনগর মহল্লার খাইরুল ইসলামের ছেলে। বৃদ্ধা মা মনিরা বেগম কালবেলাকে বলেন, উপজেলা পৌর সদরের আনন্দ নগর মহল্লার মো. খাইরুল ইসলামের স্ত্রী মনিরা বেগম। ছেলে সুজাউদ্দৌলাকে ডাক্তারি পড়াতে সবটুকু জমি বিক্রি করে দেন এ দম্পতি। ছেলেকে ডাক্তার বানাতে অনেক কষ্ট করেছেন তারা। কখনো কষ্টের তাপ বুঝতে দেননি ছেলেকে। ছেলেকে ডাক্তারি পড়াতে গিয়ে সহায় সম্বল সব হারিয়ে তারা এখন নিঃস্ব। একমাত্র ছেলে হওয়ায় মাথাগোঁজার ঠাঁইটুকুও লিখে দিয়েছেন ছেলের নামেই। তিনি বলেন, ছেলে চিকিৎসক হলেও তাদের ভরণপোষণ দেন না। পেটের তাগিদে অসুস্থ শরীর নিয়ে ভ্যান চালান তার স্বামী খাইরুল ইসলাম। যা আয় হয় তাতেই কোনোমতে দিনাতিপাত করেন তারা। এখন বাড়ি থেকে তাদের বের করে দিতে চিকিৎসক ছেলে নিয়মিত শারীরিক মানসিক নির্যাতন শুরু করেছেন। স্বামীকে নিয়ে কোথায় যাবেন এর প্রতিকার চেয়ে তিনি ইউএনও অফিসে অভিযোগ দিয়েছেন। খাইরুল ইসলাম কালবেলাকে বলেন, আমার সহধর্মিণী অসুস্থ। অসুস্থ মাকে প্রায়ই গালাগাল করেন ছেলে। তিনি সেটা দেখে না দেখার ভান করতেন, বুঝতে দিতেন না কাউকে। অথচ যে মা কখনো নিজে না খেয়ে যাকে খাওয়াতে আজ আমার সেই সন্তান বড় ডাক্তার হয়ে মাকে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করছেন। গায়ে হাত তুলছেন। তাই ছেলের নামে লিখে দেওয়া ভিটেমাটিও ফেরত চান তিনি। অভিযুক্ত চিকিৎসক সুজাউদ্দৌলা বলেন, পিতামাতা তাকে ডাক্তারি পড়ার খরচ দেননি। তাছাড়া বাবা-মা হওয়ার যোগ্যতাও হারিয়ে ফেলেছেন খাইরুল-মনিরা দম্পতি। তারপরও তিনি ভরণপোষণ দিতে চাইলে তারা কাছে আসেন না। এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মুজাহিদুল ইসলাম বলেন, পিতামাতার বিষয়টি নিয়ে একাধিকবার চিকিৎসক সুজাউদৌল্লাকে সতর্ক করেছেন তিনি। কিন্তু তিনি কোনো কথাই শুনছেন না। চিকিৎসক সুজাউদৌল্লার বিরুদ্ধে মায়ের দায়ের করা অভিযোগের বিষয়টি নিশ্চিত করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সালমা আক্তার কালবেলাকে মোবাইল ফোনে বলেন, এরইমধ্যে চিকিৎসক সুজাউদৌল্লাকে হাজির হতে বলা হয়েছে। খুব দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
০৭ মে, ২০২৪

চিকিৎসক রকিবুলের বিরুদ্ধে অভিযোগের শেষ নেই
শরীয়তপুরের গোসাইরহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এমসিএইচ ইউনিটের চিকিৎসক মো. রকিবুল ইসলামের বিরুদ্ধে নিয়মিত অফিস না করা, জোর করে অধস্তন কোয়ার্টারে থাকা, অধস্তন সহকর্মীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার, নিয়মিত রোগী না দেখা, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের আদেশ না মানাসহ নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। যদিও তার দাবি, এসব অভিযোগ সত্য নয়। জেলা পরিবার পরিকল্পনার উপপরিচালক জানিয়েছেন, তার বিরুদ্ধে অভিযোগের আলোকে ব্যবস্থা নিতে চিঠি দিয়েছি। সরেজমিন একাধিক দিন গিয়ে দেখা যায়, গোসাইরহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এমসিএইচ ইউনিটের চিকিৎসক রকিবুল ইসলামের কক্ষটিতে তালা ঝুলছে। তিনি কখন আসেন সে ব্যাপারে দায়িত্বরত কর্মচারীরও কিছু জানা নেই। ফাহিমা বেগম নামে এক নারী তার শিশুকে টিকা দেওয়ার জন্য এমসিএইচ ইউনিটে দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে দেখা যায়। স্থানীয় বাসিন্দা সবুজ মিয়া বলেন, গত ৩ বছরে নানা কারণে বহুবার এ হাসপাতালে আসা-যাওয়া করেছি। রকিবুল ইসলাম নামে যে একজন ডাক্তার এখানে আছে, তা আপনাদের কাছে শুনলাম। জেলা পরিষদের সদস্য আব্রাহাম লিংকন কালবেলাকে বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গরিব, দুঃখী, অসহায় মানুষের চিকিৎসার জন্য দুর্গম চরের মধ্যে কোটি টাকা খরচ করে ১০ শয্যা বিশিষ্ট আব্দুর রাজ্জাক মা ও শিশু হাসপাতাল নির্মাণ করেছেন। ডাক্তার ও নার্সের অভাবে সেটি তালাবদ্ধ থাকে। তাই চরের এই অসহায় পরিবারগুলোকে চিকিৎসার জন্য মানুষের কাছ থেকে টাকা ধার নিয়ে উপজেলা সদর ও জেলা সদরে ছুটতে হয়। এখানে ডাক্তার রকিবুল ইসলাম নামে একজন চিকিৎসককে সপ্তাহে দুই দিন রোগী দেখার জন্য অর্ডার থাকলেও তিনি এখানে আসেনও না, রোগীও দেখেন না। আমি বিষয়টি জেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মাসুদ মামুনের সঙ্গে কথা বলি। তিনি আমাকে জানান, ডাক্তার রকিবুল ইসলামকে সপ্তাহে দুদিন সেখানে রোগী দেখার জন্য চিঠি দেওয়া হয়েছে; কিন্তু প্রকৃতপক্ষে ডাক্তার রকিবুল ইসলাম এখানে আসেন না। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসের এক কর্মচারী কালবেলাকে বলেন, ডা. মো. রকিবুল ইসলাম গোসাইরহাট উপজেলায় গত বছরের ৯ এপ্রিল যোগদানের পর থেকে এ পর্যন্ত ১০ জন রোগী দেখেছেন কি না সন্দেহ। তিনি তার অধস্তন কর্মচারীদের সঙ্গেও খারাপ আচরণ করেন। তার ভয়ে সবাই ভীত। এ বিষয়ে জানতে ডা. রকিবুল ইসলামের গোসাইরহাট (এমসিএইচ) ইউনিটের চেম্বারে গেলে তাকে পাওয়া যায়নি। তার কক্ষটি তালাবদ্ধ ছিল। মোবাইল ফোনে তার সঙ্গে যোগাযোগ কো হলে তিনি কালবেলাকে বলেন, আমার বিরুদ্ধে সব অভিযোগ মিথ্যা। তবে আমি বেশিরভাগ সময় পরিদর্শনের কাজে ব্যস্ত থাকি। শরীয়তপুর জেলা পরিবার পরিকল্পনার উপপরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) মাসুদ মামুন কালবেলাকে বলেন, ডা. রকিবুল ইসলামের বিরুদ্ধে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি আমার কাছে অভিযোগ করেছেন। অভিযোগের আলোকে আমি তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে চিঠি দিয়েছি। প্রয়োজন হলে আবারও দেব। আমি তাকে ফোন দিলে তিনি বলেন, আমি এখন মিটিংয়ে আছি। ভিজিটে আছি। ক্যাম্পিং করছি। আমার কাছেও তার গতিবিধি সন্দেহজনক মনে হয়।
০৬ মে, ২০২৪

সাংবাদিক পরিচয়ে ব্ল্যাকমেইল-চাঁদাবাজি
মেহেরপুরে স্থানীয় একটি পত্রিকার সাংবাদিক পরিচয়ে চাঁদাবাজি ও ব্ল্যাকমেইলের অভিযোগ উঠেছে কথিত দুই সাংবাদিক মো. আব্দুর রউফ ও মো. মহসিন আলীর বিরুদ্ধে। ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী ওবায়দুল্লাহ বিষয়টি নিয়ে মেহেরপুর সদর থানায় একটি লিখিত অভিযোগের পাশাপাশি ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ হস্তান্তর করেছেন। মেহেরপুর সদর থানার ডিউটি অফিসার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। মেহেরপুর সদর উপজেলার কুলবাড়িয়া গ্রামের হার্ডওয়ার ব্যবসায়ী মো. ওবায়দুল্লাহর (৪৮) দায়ের করা অভিযোগ থেকে জানা গেছে, মো. আব্দুর রউফ (৫৮) ও মো. মহসিন আলী (৬০) নিজেদের স্থানীয় দৈনিক আমাদের সূর্যোদয় পত্রিকার প্রতিনিধি পরিচয় দিয়ে ২৩ এপ্রিল মঙ্গলবার ওবায়দুল্লাহ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে যান। এ সময় তারা তাকে সুদি ব্যবসায়ী আখ্যা দিয়ে বলেন জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের কাছে তার অপকর্মের সকল প্রমাণ রয়েছে। এ সময় তারা তাকে ভয়ভীতি দেখান এবং মোটা অঙ্কের চাঁদা দাবি করেন।  এ সময় বলেন, তাদের টাকা দিলে জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনকে ম্যানেজ করে বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়া হবে। একইসঙ্গে তারা হুমকি দেন যে, টাকা না দিলে বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় তাকে নিয়ে খবর প্রকাশ করা হবে। পরে তারা ব্যবসায়ী ওবায়দুল্লাহর কাছ থেকে ১০ হাজার টাকা নিয়ে স্থান ত্যাগ করেন এবং পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আরও ১ লাখ টাকা দেওয়ার জন্য আলটিমেটাম দেন। এরপর বুধবার ২৪ এপ্রিল বিকেল ৫টা ২৫ মিনিটে আব্দুর রউফ ০১৭১৬১৩৪৮৩০ নম্বর থেকে ওবায়দুল্লাহকে কল দিয়ে আবারো ১ লাখ টাকা চাঁদা চেয়ে হুমকিধমকি দিলে তিনি থানায় এসে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। এ সময় তিনি তার প্রতিষ্ঠানে সিসিটিভি ক্যমেরায় ধারণকৃত পূর্বে চাঁদা প্রদানের ভিডিওটি পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেন। উল্লেখ্য, নব্য সাংবাদিক সাজা আব্দুর রউফ ইতোপূর্বে আইনবহির্ভূতভাবে নিজেকে ডাক্তার পরিচয় দেওয়া এবং চিকিৎসাসেবা দেওয়ার অপরাধে একাধিকবার ভ্রাম্যমাণ আদালত দ্বারা দণ্ডিত হয়েছেন। বিগত তিন চার দিন যাবৎ তিনি আবার নিজেকে সাংবাদিক হিসেবে পরিচয় দিয়ে বেড়াচ্ছেন।  মেহেরপুর জেলা তথ্য অফিসার আব্দুল্লাহ আল মামুন এ বিষয়ে কালবেলাকে বলেন, এ ধরনের ব্ল্যাকমেইল ও চাঁদাবাজির ঘটনা প্রকৃত সাংবাদিকদের মান ক্ষুণ্ণ করে। এদের বিরুদ্ধে জেলার সকল সাংবাদিকদের সোচ্চার হওয়া প্রয়োজন। ভুক্তভোগীকে অনুরোধ করব পুলিশের পাশাপাশি জেলা প্রশাসক বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দিতে। জেলা প্রশাসক একটি কমিটি গঠন করে দিলে সেই কমিটির তদন্ত প্রতিবেদন ও সুপারিশের ভিত্তিতে আমরা অভিযুক্ত কথিত সাংবাদিকদের কালো তালিকাভুক্ত করব। যাতে তারা পরবর্তীতে নিজেদের সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে কোনো ধরনের সুযোগ-সুবিধা না নিতে পারে। কথিত সাংবাদিক আব্দুর রউফ সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত অনুসন্ধানে জানা যায়, ২০০৪ সালে গাংনী উপজেলার বামন্দী ইউনিয়নের চেরাগী পাড়ার ফর্মান আলী নামের এক ব‍্যক্তির মাধ্যমে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের ডোমকল থেকে বাংলাদেশে আসেন আব্দুর রউফ। সেই সময় তার ঠোঁটের ওপর কাটা দাগ ছিল, যা আঞ্চলিক ভাষায় গর্ণা কাটা বলে পরিচিত। তিনি সেই সময় এলাকায় ঠান্ডা জ্বর নিয়ে চিকিৎসাসেবা দিতে শুরু করলে এলাকায় পরিচিতি লাভ করেন ভারতীয় গর্ণা কাটা ডাক্তার হিসেবে। ২০০৭ সালের দিকে বামন্দী আলহেরা ফার্মেসিতে অস্থায়ী চেম্বার খুলে রোগী দেখা শুরু করেন। একপর্যায়ে আব্দুর রউফ তার ঠোঁট অপারেশন করে গর্ণাকাটা সারিয়ে ফেলেন। সেই সময় গাংনী র‍্যাব ক‍্যাম্প বামন্দীর আলহেরা ফার্মেসিতে অভিযান পরিচালনা করে ভুয়া ডাক্তার হিসেবে আব্দুর রউফকে অর্থদণ্ড প্রদান করে এবং রোগী দেখার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। এরপর আব্দুর রউফ মেহেরপুরে চলে আসেন এবং শহরের পুরাতন বাসস্ট‍্যান্ড এলাকায় একটি ফার্মেসিতে আবার চেম্বার খুলে বসেন। অতঃপর মেহেরপুরের এক নারীকে বিয়ে করে মেহেরপুরের স্থানীয় হিসেবে পরিচিতি লাভ করেন।  অভিযুক্ত অপর সাংবাদিক মো. মহাসিন আলী বেশ কয়েক বছর আগে মেহেরপুর শহরের পুরাতন বাসস্ট্যান্ডের একটি ফাঁকা জায়গায় চায়ের দোকান পরিচালনা করে জীবিকা নির্বাহ করতেন। তার চায়ের দোকানে জেলার বিভিন্ন গণমাধ্যমে কর্মরত সংবাদকর্মীরা চা খেতে যেতেন। সেই সুবাদে প্রথমে তিনি পত্রিকার হকারি ব্যবসা শুরু করেন। পরে মেহেরপুর, চুয়াডাঙ্গা ও কুষ্টিয়ার বিভিন্ন স্থানীয় পত্রিকাতে ছড়া-টিপ্পনী লিখতেন। বর্তমানে মেহেরপুরের গাংনী থেকে প্রকাশিত ডিএফপি বহির্ভূত পত্রিকা আমাদের সূর্যোদয়ের সাংবাদিক হিসেবে পরিচিত।  মেহেরপুর সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. অলক কুমার দাস কালবেলাকে বলেন, মাত্র কিছুদিন পূর্বে নিয়মবহির্ভূতভাবে চিকিৎসা সেবা দেওয়ার অপরাধে আমরা আব্দুর রউফকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছি। চিকিৎসা সেবা সম্পর্কিত তার প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা নাই। বাংলাদেশের চিকিৎসা করার জন্য বিএমডিসির ছাড়পত্র বা অনুমোদন তার নাই। কিন্তু সে নিজের নামের পূর্বে ডাক্তার লিখে পরিচয় দিয়ে বেড়ায়। হঠাৎ করে দুই তিন দিন যাবৎ শুনছি আব্দুর রউফ একজন সাংবাদিক। হয়তো নিজের অপকর্ম ধামাচাপা দিতেই এখন এই রূপ ধারণ করেছে। অভিযুক্ত সাংবাদিক মো. মহাসিন আলীকে ব্ল্যাকমেইল ও চাঁদাবাজির অভিযোগ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন, ওবায়দুল্লাহ একজন সুদ ব্যবসায়ী। আমার কাছে সব রেকর্ড আছে। নিউজ তৈরি হচ্ছে। সিসিটিভি ফুটেজে টাকা নেওয়ার বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন করলে তিনি এড়িয়ে যান। আবারো বলেন, আমার কাছে সব রেকর্ড আছে আমি নিউজ লিখছি। ডিএফপির স্বীকৃতির অপেক্ষায় থাকা স্থানীয় দৈনিক আমাদের সূর্যোদয়ের প্রকাশক ও সম্পাদক আবুল কাশেম অনুরাগী কালবেলাকে বলেন, মাত্র একদিন আগে আব্দুর রউফকে আমি আমার প্রতিষ্ঠানের আইডি কার্ড দিয়েছি। তবে মহসিন আলী দীর্ঘদিন ধরে আমার পত্রিকায় কাজ করছে। কখনো তার বিরুদ্ধে আমি এ ধরনের অভিযোগ শুনিনি। আপনি যদি কোনো তথ্য প্রমাণ পান আমাকে জানাবেন। আমি নিজেই ব্যবস্থা গ্রহণ করব। কোনো ব্যক্তির অপকর্মের দ্বায় আমার প্রতিষ্ঠান ও আমি নেবো না। মেহেরপুর সদর থানার ওসি সেখ কনি মিয়া চাঁদাবাজির অভিযোগের বিষয়টি নিশ্চিত করে কালবেলাকে বলেন, অভিযোগের প্রেক্ষিতে অনুসন্ধান চলছে। পরবর্তীতে কি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, সেটা আমি জেনে আপনাকে নিশ্চিত করব।
২৯ এপ্রিল, ২০২৪

হাসপাতালে শিশুর মৃত্যু, স্বজনদের হামলায় চিকিৎসক আইসিইউতে
চট্টগ্রামে একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এক শিশুর মৃত্যুর ঘটনায় চিকিৎসককে মারধর করেছেন স্বজনরা। রোববার নগরের ওআর নিজাম রোডের মেডিকেল সেন্টারে এ ঘটনা ঘটে। হাসপাতালটির ব্যবস্থাপক ইয়াসিন আরাফাত জানান, আহত চিকিৎসক রিয়াজ উদ্দিন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে আছেন। তিনি হাসপাতালটিতে এনআইসিইউর কনসালট্যান্ট হিসেবে দায়িত্বরত ছিলেন। ইয়াসিন আরাফাত বলেন, শনিবার রাত পৌনে ১১টার দিকে এক বছর বয়সী একটি শিশুকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বাচ্চাটি শ্বাসকষ্টে ভুগছিল। রাতে পিআইসিইউতে রাখার পর সকালে তাকে এনআইসিইউতে স্থানান্তর করা হয়। রোববার সকাল ১০টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শিশুটি মারা যায়। ইয়াসিন জানান, এরপর সকাল ১১টার দিকে শিশুটির বাবা লোকজন জড়ো করে এনে এনআইসিইউর সামনে চিকিৎসক রিয়াজকে মারধর শুরু করেন। পরে আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এদিকে শনিবার সকাল ১১টায় হাসপাতালের সিসিটিভির কিছু ফুটেজ কালবেলার হাতে এসেছে। তাতে দেখা গেছে, প্রথমে শিশুটির কয়েকজন স্বজন কেভিনের ভেতরে ঢুকে ওই চিকিৎসকের ওপর চড়াও হন। এরপর একে একে অনেকেই ওই চিকিৎসকের ওপর হামলা শুরু করেন। এলোপাতাড়ি কিল-ঘুসি মারা হয় তাকে। হামলা থেকে বাঁচতে তিনি বারবার কেবিনে ঢুকে দরজা বন্ধ করে দেওয়ার চেষ্টা করেন। ১৮ থেকে ২০ জন তার ওপর হামলা চালানোয় তিনি জ্ঞান হারিয়ে লুটিয়ে পড়েন। মাটিতে পড়ে যাওয়ার পরও তাকে সারা শরীরে লাথি মারতে থাকেন সবাই। হাসপাতালের রেজিস্ট্রারে শিশুটির ঠিকানা লেখা হয়েছে সীতাকুণ্ড উপজেলার বিএম ডিপো এলাকা। তার বাবার নাম সুমন। চিকিৎসককে মারধরের ঘটনায় রোববার রাতে পাঁচলাইশ থানায় মামলা করা হয়েছে মেডিকেল সেন্টারের পক্ষ থেকে। এতে শিশুটির বাবা এবং অজ্ঞাত আরও ১৮ থেকে ২০ জনকে আসামি করা হয়েছে। এদিকে চিকিৎসক পেটানোর অভিযোগে করা মামলায় প্রধান সন্দেহভাজনসহ ছয়জনকে গ্রেপ্তারের কথা জানিয়েছে পুলিশ। গত রাতে নগরীর বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের ধরা হয় বলে জানিয়েছেন পাঁচলাইশ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আখতারুজ্জামান। তিনি বলেন, তাদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।
১৬ এপ্রিল, ২০২৪

খতনার সময় লিঙ্গ কর্তন, ১৫ দিনেও রক্ত বন্ধ হয়নি
মহেশখালীর মাতারবাড়িতে খতনা করার সময় আলভী ফারাভী নামে এক শিশুর লিঙ্গ কেটে ফেলেছেন আব্দুল ওয়াদুদ নামে এক পল্লী চিকিৎসক। রোববার (১৪ এপ্রিল) সকালে শিশুটির অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. রাজিব। ভুক্তভোগী শিশু আলভী ফারাভী উপজেলার সাইরার ডেইল এলাকার আব্দুল কাদেরের ছেলে।  এর আগে শনিবার (৩০ মার্চ) উপজেলার সাইরার ডেইল এলাকায় খতনা করতে গিয়ে এ ঘটনা ঘটে। জানা গেছে,  গত ৩০ মার্চ শিশু ফারাভীকে খতনা করতে আসেন পল্লী চিকিৎসক আব্দুল ওয়াদুদ। পল্লী চিকিৎসক আব্দুল ওয়াদুদ জোর করে খতনা করতে চাইলে শিশুটি পালিয়ে বাথরুমে চলে যায়। সেখান থেকে জোর করে এনে খতনা করেন তিনি। পরে সেলাই করে দিয়ে চলে গেলেও শিশুটির রক্ত পড়া বন্ধ হয়নি। পরে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে নিয়ে গেলে অবস্থার অবনতি ঘটলে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায় পরিবার। এখন পর্যন্ত শিশুটি রক্ত পড়া বন্ধ হয়নি। লিঙ্গ হারিয়ে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে শিশুটি। আলভীর বাবা আবদুল কাদের বলেন, খতনার নামে পল্লী চিকিৎসক আব্দুল ওয়াদুদ আমার ছেলের লিঙ্গ কেটে ফেলেছে। সে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে। আমি এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের পাশাপাশি তাকে আইনের আওতায় আনার দাবি জানাই। এ বিষয়ে জানতে পল্লী চিকিৎসক আব্দুল ওয়াদুদের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে সাংবাদিক পরিচয় জানার পর ফোন বিছিন্ন করে দেন তিনি। মহেশখালী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মাহাফুজুল হক কালবেলা বলেন, পল্লী চিকিৎসকের খতনা করার অনুমোদন নেই। তারা এ ধরনের চিকিৎসা করতে পারে না। কোনো দুর্ঘটনা ঘটলে পল্লী চিকিৎসককে দায় নিতে হবে।
১৪ এপ্রিল, ২০২৪

‘ভালো চিকিৎসক তৈরিতে কোনো আপস নয়’
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) নতুন উপাচার্য অধ্যাপক ডা. দীন মো. নূরুল হক বলেছেন, কোয়ালিটিফুল চিকিৎসক তৈরিতে আমরা কোনো আপস করবো না। ভবিষ্যতের জন্য চিকিৎসক তৈরিতে মানের দিক থেকে কোনো ছাড় না দিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছি। রোববার (৭ এপ্রিল) সন্ধ্যায় রাজধানীর ধানমন্ডিতে এক বৈজ্ঞানিক অধিবেশনে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও ইমেরিটাস অধ্যাপক ডা. এবিএম আবদুল্লাহ। বাংলাদেশ কার্ডিওভাসকুলার রিসার্চ ফাউন্ডেশন এই অধিবেশনের আয়োজন করে। উপাচার্য বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্তমানে ৪ হাজার ৮০৭ জন রেসিডেন্ট চিকিৎসক আছেন। এরমধ্যে ১০০ জন বিদেশি রেসিডেন্ট। তাদের ডিগ্রিটা যেন ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ করে দেওয়া হয়। আমরা তাদের পরীক্ষার ব্যাপারে কোনো ছাড় দেবো না। নতুন দায়িত্ব গ্রহণ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে আমাকে এনে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। আমি এখানকার দায়িত্ব চেয়ে নেইনি। আমার ওপর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভরসার পাশাপাশি আমার প্রতি ওনার কিছু চাওয়াও আছে। আমি চেষ্টা করবো এই বিশ্ববিদ্যালয়কে শিক্ষা, চিকিৎসা ও গবেষণায় বিশ্বে একটি অনুকরণীয় বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে গড়তে।  
০৮ এপ্রিল, ২০২৪

রোগী চিকিৎসক কাউকে রেহাই দেয়নি ইসরায়েলি বাহিনী
ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় আল শিফা হাসপাতাল ঘিরে ইসরায়েলি বাহিনীর ১৩ দিনের অভিযানে চার শতাধিক মানুষ নিহত হয়েছেন। হামাস নিয়ন্ত্রিত গাজার তথ্য দপ্তর গতকাল রোববার এ কথা জানায়। নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে রোগী, চিকিৎসাকর্মী এবং যুদ্ধের কারণে বাস্তুচ্যুত মানুষ রয়েছেন। খবর আলজাজিরার ইসরায়েলি বাহিনীর দাবি, হামাসের জ্যেষ্ঠ সন্ত্রাসীরা হাসপাতালটি ব্যবহার করছেন—এমন গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে অভিযানটি চালানো হচ্ছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেছেন, হাসপাতাল এলাকায় বিমান হামলা হয়েছে। চলেছে স্থল অভিযানও। আল শিফা গাজা উপত্যকার সবচেয়ে বড় হাসপাতাল। গত বছরের নভেম্বরেও ইসরায়েলি সেনাবাহিনী ওই হাসপাতাল প্রাঙ্গণে অভিযান চালিয়েছিল। এ নিয়ে তখন আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ক্ষোভ জানিয়েছিল। চলমান যুদ্ধে বাস্তুচ্যুত হওয়া কয়েক হাজার ফিলিস্তিনি ওই হাসপাতাল প্রাঙ্গণে আশ্রয় নিয়েছেন। এদিকে ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে ত্রাণের অপেক্ষায় থাকা ফিলিস্তিনের ভিড়ে শনিবার আবারও নির্বিচার হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী। এতে নিহত হয়েছেন ১৭ জন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও প্রায় ৩০ জন। এর আগে তাৎক্ষণিকভাবে নিহতের সংখ্যা ১২ বলে জানানো হয়েছিল। ইসরায়েল এর আগেও কয়েক দফায় গাজায় সাহায্যপ্রার্থীদের ওপর এ ধরনের হামলা চালিয়েছে। আলজাজিরার খবরে বলা হয়, গাজার আল কুয়েত গোলচত্বরে এ হামলা চালানো হয়। সাহায্যপ্রার্থী ফিলিস্তিনিরা কয়েক সপ্তাহ ধরে গাজার ওই মোড়ে জড়ো হচ্ছেন এবং চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে তারা একের পর এক ইসরায়েলি হামলার শিকার হচ্ছেন। এর আগে প্যালেস্টাইন রেড ক্রিসেন্ট বলেছিল, গত শুক্রবার একই গোলচত্বরে সাহায্য বিতরণের সময় বন্দুক হামলায় পাঁচ ফিলিস্তিনি নিহত হন। সেসময় হাজার হাজার মানুষ সেখানে ময়দা এবং অন্যান্য সরবরাহ বহনকারী ট্রাকগুলোর আসার অপেক্ষায় জড়ো হয়েছিলেন। ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী এর আগে খাদ্য ও সহায়তা সরঞ্জাম সরবরাহকারী ট্রাকের অপেক্ষায় থাকা ফিলিস্তিনিদের ওপর একাধিকবার বড় পরিসরে হামলা চালিয়েছে এবং এতে বহু সাহায্যপ্রার্থী ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
০১ এপ্রিল, ২০২৪

ভুটানের চিকিৎসক ও নার্সরা প্রশিক্ষণ নিতে আসবেন
ভুটানের চিকিৎসক ও নার্সরা প্রশিক্ষণ নিতে বাংলাদেশে আসবেন বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন। গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি। এর আগে সকালে মন্ত্রীর সঙ্গে ইনস্টিটিউটটি পরিদর্শন করেন ভুটানের রাজা জিগমে খেসার নামগিয়েল ওয়াংচুক এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক সায়মা ওয়াজেদ। আরও ছিলেন ভুটানের রাষ্ট্রদূত রিনচেন কুয়েনসিল, ডব্লিউএইচওর বাংলাদেশ প্রতিনিধি বর্ধন জং রানা, সৈয়দ মাহফুজুল হক ও ড. কামরুজ্জামান, স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব জাহাঙ্গীর আলম, স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব আজিজুর রহমান, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের মহাপরিচালক ডা. টিটু মিয়া প্রমুখ। স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরও বলেন, হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ড ঘুরে বিভিন্ন কার্যক্রম সম্পর্কে কথা বলেছেন ভুটানের রাজা। তার দেশে বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিট নির্মাণের যে চুক্তি হয়েছে সে বিষয়েই মূল আলোচনা হয়েছে। তাকে জানিয়েছি ডাক্তারদের ট্রেনিংয়ের প্রোগ্রাম করব। ভুটান থেকে ডাক্তার ও নার্সরাও এসে আমাদের হাসপাতালেই ট্রেনিং নেবেন। ডা. সামন্ত লাল বলেন, ভুটানের রাজা আমাদের ডাক্তারদের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন। দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সঙ্গেও কথা হলো। তারা দেশে ফিরে হাসপাতালের স্থান নির্ধারণ করে জানাবেন। তারপর আমরা যাব। কাজ শুরু করতে সর্বনিম্ন দুই বছর লাগবে। তিনি জানান, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক সায়মা ওয়াজেদের সঙ্গে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বৈঠক হয়েছে। সেখান স্বাস্থ্যব্যবস্থাকে উন্নতি করার উদ্যোগ, ভ্যাকসিন প্ল্যান, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিনিধিদলের আসন্ন সফরসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। ঢাকার বাইরে বার্ন ইউনিট বাড়াতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সহায়তার বিষয়ে আশ্বস্ত করেছেন তিনি।
২৭ মার্চ, ২০২৪

দেশে একযোগে কর্মবিরতিতে ইন্টার্ন চিকিৎসক
৩০ হাজার টাকা ভাতা ও কর্মস্থলে নিরাপত্তা নিশ্চিত করাসহ বিভিন্ন দাবিতে সারা দেশে একযোগে সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৪৮ ঘণ্টার কর্মবিরতি পালন করছে ইন্টার্ন চিকিৎসক পরিষদ (ইচিপ)। গতকাল রোববার সকালে থেকে মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালগুলোতে এই কর্মবিরতি পালন করছেন চিকিৎসকরা। এর আগে শনিবার আলাদা বিজ্ঞপ্তিতে এ কর্মবিরতি ঘোষণা করা হয়। জানা গেছে, শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসক পরিষদ, ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসক পরিষদ, রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসক, রাঙামাটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসক পরিষদ, বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসক পরিষদ, রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসক পরিষদ, কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসক পরিষদসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় ইন্টার্ন চিকিৎসকরা কর্মবিরতি পালন করছেন। পরিষদের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ইন্টার্ন চিকিৎসকদের ভাতা ৩০ হাজার টাকা এবং কর্মস্থলে নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবিতে সারা দেশের ইন্টার্ন চিকিৎসকরা যৌক্তিক দাবি উত্থাপন করে আন্দোলনে সম্মিলিত হয়েছেন। যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে এমন পারিশ্রমিকে চিকিৎসা সেবা প্রদান করতে গিয়ে ইন্টার্ন চিকিৎসকরা মানবেতর জীবনযাপন করছেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে দেশের সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসক পরিষদের সিদ্ধান্তে ২৪ ও ২৫ মার্চ দুই দিনের কর্মবিরতি ঘোষণা করা হয়েছে। ইন্টার্ন চিকিৎসকদের কর্মসূচির সঙ্গে একাত্ম হয়ে দাবি আদায়ে সচেষ্ট থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়।
২৫ মার্চ, ২০২৪
X