লালমনিরহাট কালীগঞ্জে কম খরচে অধিক লাভ হওয়ায় দিন দিন জনপ্রিয় হচ্ছে করলা চাষ। করলা চাষ করে বাজারে ভালো দাম পাওয়ায় প্রান্তিক পর্যায়ের কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে। কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকেও চাষিদের নিরাপদ বিষমুক্ত সবজি চাষে দেওয়া হচ্ছে নানাবিধ পরামর্শ।
কালীগঞ্জ উপজেলার চলবলা ইউনিয়নের সবজি চাষি নুর মোস্তফা (৫৬) দীর্ঘদিন ধরে কৃষিকাজের সঙ্গে যুক্ত। অনান্য ফসলের পাশাপাশি চলতি মৌসুমে তিনি নিজের ২০ শতাংশ জমিতে করেছেন করলার চাষ। গত এক মাসেই তিনি ৩০ হাজার টাকার করলা বিক্রি করেছেন। আগামী কয়েক মাসে আরও ৪০ হাজার টাকার করলা বিক্রি করবেন বলে আশা করছেন তিনি।
তার মতো এমন আরও অনেক চাষি উপজেলায় এ বছর করলার চাষ করেছেন। করলা চাষি আবুল বাশার বলেন, আমি দীর্ঘদিন ধরে ধান, গম, শাকসবজি চাষ করি। কৃষিকাজ করেই আমার জীবন জীবিকা চলে। এ বছর গত এপ্রিল মাসে আমি নিজের ২০ শতাংশ জমিতে উন্নতজাতের করলা চাষ করি। ৩৫ দিন পরে ফলন আসে। প্রথম দিকে স্থানীয় বাজারে ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করি। বর্তমানে ৪০ টাকা কেজিতে বিক্রি করছি। প্রতি সপ্তাহে ২ দিন গড়ে ৪০ থেকে ৫০ কেজি করলা বিক্রি করছি। এই পর্যন্ত ৩০ হাজার টাকার করলা বিক্রি করেছি। এই মৌসুমে আরও ৪০ হাজার টাকার করলা বিক্রি করব বলে আশা করছি।
কাকিনা ইউনিয়নের আরেক চাষি সুমন মিয়া বলেন, আমি আমার ১৫ শতাংশ জমিতে চলতি মৌসুমে করলার চাষ করেছি। আল্লাহর রহমতে ভালো ফলন হয়েছে। বাজারে ভালো দামও পেয়েছি। আমার পরিবারের মুখে এখন খুশির হাসি।
উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা রবিউল ইসলাম কালবেলাকে বলেন, আমার চলবলা ইউনিয়নে প্রায় ৫০ জন কৃষক করলা চাষে সফলতা পেয়েছেন। কম খরচে অল্প পরিশ্রমে অধিক লাভবান হয়েছেন চাষিরা। ফলনের শুরুর দিকে স্থানীয় বাজারে ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে করলা। এখন ৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। দিন দিন করলা চাষে আগ্রহ বাড়ছে।
মন্তব্য করুন