গাজীপুরে ব্যাটারি কারখানায় বিস্ফোরণে চীনা নাগরিক নিহত
গাজীপুরের কাশিমপুরে ব্যাটারি কারখানায় বিস্ফোরণে একজন চীনা প্রকৌশলী নিহত হয়েছেন। এ সময় দগ্ধ হয়েছেন আরও ৬ জন। মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) রাত সাড়ে ৭টার দিকে কাশিমপুর থানার দক্ষিণ পানিশাইলের পলাশ হাউজিং এলাকায় টং রুই ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড নামের ব্যাটারি কারখানায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন গাজীপুর ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক আবদুল্লাহ আল আরেফিন। নিহত চীনা নাগরিকের নাম পু সুকি (৫২)। তিনি ওই কারখানায় প্রকৌশলী হিসেবে কর্মরত ছিলেন। ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তা বলেন, স্থানীয় টং রুই ইন্ডাস্ট্রিজ নামের সেমিপাকা ব্যাটারি কারখানা ভবনে হঠাৎ বয়লার বিস্ফোরণ ঘটে। বিস্ফোরণে চীনা নাগরিকসহ কয়েকজন দগ্ধ হন ও পাশে থাকা লাকড়িতে আগুন লেগে যায়। সারাবো ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছার আগেই হতাহতদের স্থানীয়রা উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়। কাশিমপুর থানার ওসি (অপারেশন) মহিউদ্দিন বলেন, কারখানাটি ঈদের ছুটির কারণে এক সপ্তাহ বন্ধ ছিল। মঙ্গলবার কারখানা চালু করা হয়। সন্ধ্যায় কারখানার বয়লার সমস্যা দেখা দিলে তা মেরামতের জন্য চীনা প্রকৌশলী চেষ্টা করেন। এক পর্যায়ে বয়লার বিস্ফোরিত হলে ঘটনাস্থলে ওই চীনা প্রকৌশলী নিহত ও অপর ৬ জন আহত হন। আহতদের উদ্ধার করে তেতুইবাড়ি এলাকার শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিব মেমোরিয়াল কেপিজে বিশেষায়িত হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখান থেকে অমল ঘোষ নামের একজনকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ণ ও প্লাষ্টিক সার্জারি বিভাগে ভর্তি করা হয়েছে।
১৬ এপ্রিল, ২০২৪

চাকরির আশ্বাসে প্রতারণা নেতৃত্বে দুই চীনা নাগরিক
মোবাইলে খুদেবার্তায় লোভনীয় বেতনে চাকরির প্রস্তাব কিংবা অনলাইনে কয়েক ঘণ্টা কাজ করে প্রতিদিন ৫ থেকে ১০ হাজার টাকা আয়ের সুযোগের প্রলোভন দেখিয়ে একটি লিঙ্কে যোগাযোগ করতে বলা হয়। কিন্তু সেখানে ক্লিক করলেই পড়তে হয় প্রতারক চক্রের ফাঁদে। এভাবেই দীর্ঘদিন অনলাইনে লোভনীয় চাকরি ও বিনিয়োগে কয়েক ঘণ্টায় দ্বিগুণ লাভের কথা বলে চলছিল প্রতারণা। এমন অভিযোগে দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে নারীসহ আটজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম (দক্ষিণ) বিভাগ। ডিবি জানায়, চক্রের মূলহোতা দুই চীনা নাগরিক লিও ও এলিওএন। তারা স্থানীয় এজেন্ট ব্যবহার করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। সম্প্রতি এক ভুক্তভোগীর অভিযোগের পর তদন্তে নেমে চক্রটির খোঁজ পায় ডিবির সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম বিভাগ। গ্রেপ্তার হয় চক্রের বাংলাদেশি এজেন্ট ইমাদুল ইসলাম, আবু বক্কর সিদ্দিকি শান্ত, জাবের আহাম্মেদ, রাকিব মোল্লা, মোহাম্মদ আলী, মো. সোলাইমান, আবু সাইদ সুমন ও হোসনাহার আক্তার হেমা। ঢাকা, সাভার ও জামালপুরের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। গতকাল বুধবার দুপুরে রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিবিতে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ। তিনি বলেন, অনলাইনে পার্টটাইম জবে লোভনীয় বেতনের ফাঁদে ফেলে টাকা হাতিয়ে নেয় তিন বাংলাদেশি ও চীনা নাগরিকের সংঘবদ্ধ চক্র। তিনি জানান, অভিযোগকারী গত ১১ নভেম্বর হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরে খুদেবার্তায় অনলাইনে কাজের প্রস্তাব পান। বিস্তারিত জানতে চাইলে বলা হয়, সরবরাহ করা সাইটে প্রবেশ করে ভোট ও রিভিউ দিতে হবে। প্রতিটির বিনিময়ে ১৫০ টাকা পাবেন। পরে বিশ্বাস অর্জন করতে বিভিন্ন সময় প্রতারক চক্র তাকে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে প্রায় ৮ হাজার টাকা পাঠায়। কয়েকদিন পর তাদের দেওয়া মোবাইল ব্যাংকিং নম্বরে ৯ হাজার টাকা পাঠাতে বলে। টাকা পাঠানোর পর একটি ওয়েবসাইটে অ্যাকাউন্ট খুলতে বলে। কিন্তু কাজ শেষ হয়নি অজুহাতে অ্যাকাউন্টের টাকা আটকে দেয় এবং শেষ করতে আরও ৩৬ হাজার টাকা চওয়া হয়। এভাবে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন অজুহাতে ৯ লাখের বেশি টাকা হাতিয়ে নেয়। অতিরিক্ত কমিশনার হারুন বলেন, গ্রেপ্তাররা সবাই সি-ফ্যাইনান্স ও অনলাইনে লোন দেওয়ার নামে প্রতারণা চক্রের সঙ্গে জড়িত। তারা এই চক্রের বাংলাদেশি এজেন্ট হিসেবে কাজ করে। গ্রেপ্তার সোহান গোয়েন্দা পুলিশকে জানিয়েছে, তার পূর্বপরিচিত জাবেরের মাধ্যমে সি-ফ্যাইনান্স, লোন অ্যাপস, হানি ট্রাপস অ্যাপের মাধ্যমে প্রতারণার জন্য বিভিন্ন কোম্পানির বেশ কিছু সিমের অর্ডার পায়। পরে বিষয়টি শান্তকে জানালে সে রাজি হয়। এরপর শান্ত প্রতিটি সিম ২ থেকে আড়াই হাজার টাকায় কেনে এবং সেগুলো ৩ থেকে সাড়ে ৩ হাজার টাকায় সোহানের কাছে বিক্রি করে। সোহান সেই সিম জাবেরের কাছে ৫ থেকে সাড়ে ৫ হাজার টাকায় বেচে। এই প্রতারণা চক্রের মূলহোতা চীনা নাগরিক নিও এবং এলওইন। তাদের পরিকল্পনায় ঢাকার উত্তরা এবং জামালপুর জেলায় থাকা প্রতিনিধিরা কাজ করত। নিও এবং এলওইনর নির্দেশে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে হাতিয়ে নেওয়া হতো টাকা। গ্রেপ্তাররা শিক্ষিত এবং সবাই তথ্য প্রযুক্তিতে দক্ষ। তাদের আরও জিজ্ঞাসাবাদ করে এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য নেওয়া হচ্ছে।
০৪ জানুয়ারি, ২০২৪

ব্যাংককে বিলাসবহুল শপিংমলে গুলি, চীনা নাগরিক নিহত
থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককের সবচেয়ে বিলাসবহুল শপিংমলে গুলির ঘটনায় এক চীনা নাগরিক নিহত হয়েছে। এ ছাড়া আরও ছয়জন আহত হয়েছে। এ ঘটনায় সন্দেহভাজন এক কিশোরকে আটক করেছে থাই পুলিশ। আজ মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর) ব্যাংককের কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত সিয়াম প্যারাগন শপিংমলে এ ঘটনা ঘটে। সিয়াম প্যারাগন থাইল্যান্ডের সবচেয়ে বিখ্যাত শপিংমল। রয়টার্সের খবরে বলা হয়, সিয়াম প্যারাগন গুলির শব্দে শত শত মানুষ দিগ্বিদিক ছোটাছুটি শুরু করেন। এদের মধ্যে অনেক শিশুও ছিল। থাই জরুরি পরিষেবা বিভাগ জানিয়েছে, এ ঘটনায় এক নারী নিহত এবং আরও ছয়জন আহত হয়েছে। তাদের মধ্যে পাঁচজন গুরুতর আহত। যদিও শুরুতে তিনজন নিহত হওয়ার কথা জানিয়েছিল সংস্থাটি। পরে পুলিশ জানিয়েছে, নিহত নারী একজন চীনা নাগরিক। দেশটির পুলিশপ্রধান তোরসাক সুকভিমল বলেছেন, সন্দেহভাজন বন্দুকধারীর বয়স ১৪ বছর। সে মানসিক রোগজনিত কারণে চিকিৎসা নিচ্ছিল। কিন্তু ঘটনার দিন সে তার ওষুধ নেয়নি। আমরা তার বাবা-মায়ের সঙ্গে আলাপ করেছি। তিনি আরও বলেন, ওই কিশোর জানিয়েছে কেউ তাকে অন্যদের ওপর গুলি চালাতে নির্দেশ দিয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শী এক ব্যক্তি রয়টার্সকে বলেন, মাত্র কয়েক মিনিটে এ ঘটনা ঘটেছে। আমরা শুধু দেখছি, সব মানুষ ছোটাছুটি করছে। তবে আসলে কী হচ্ছে, তা আমরা বুঝতে পারেনি। আমরা বেশ কয়েকটি গুলির শব্দ শুনেছি, ছয় বা সাতটি হবে। থাইল্যান্ডে এ ধরনের বন্দুক সহিংসতা প্রায়ই ঘটে। এর আগে ২০২২ সালে একটি নার্সারিতে প্রবেশ করে এক ঘণ্টাব্যাপী বন্দুক ও ছুরি হামলায় ২২ শিশুসহ ৩৫ জনকে হত্যা করেছিলেন সাবেক এক পুলিশ কর্মকর্তা। এ ঘটনার পর ওই পুলিশ কর্মকর্তা বাড়িতে গিয়ে গুলি করে আত্মহত্যা করেছিলেন।
০৩ অক্টোবর, ২০২৩

প্রেমের ফাঁদে ফেলে প্রতারণা, একসঙ্গে ৮৮ চীনা নাগরিক গ্রেপ্তার
প্রেমের জালে ফেলে প্রতারণার অভিযোগে ইন্দোনেশিয়ার ৮৮ চীনা নাগরিককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ইন্দোনেশিয়ার রিয়াউ দ্বীপপুঞ্জ থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। বার্তা সংস্থা এএফপির বরাত দিয়ে দ্য স্ট্রেইট টাইমস এ তথ্য জানিয়েছে। ইন্দোনেশিয়া পুলিশ বুধবার এ তথ্য দিয়ে জানায়, অনলাইন প্রতারণার সিন্ডিকেট চালানোর সন্দেহে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। চীনে শত শত ভুক্তভোগীকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে তারা। এ চক্রটি চীনে থাকা তাদের সহযোগীদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে কাজ করে। এর আগে গত ২৯ আগস্ট রিয়াউ দ্বীপপুঞ্জ প্রদেশের বাটাম শহরের একটি শিল্প পার্ক থেকে ওই ৮৮ জনকে গ্রেপ্তার করে ইন্দোনেশিয়া পুলিশ। এদের মধ্যে ৮৩ জন পুরুষ এবং ৫ জন নারী রয়েছে। অনেকেই সরকারি কর্মকর্তাসহ এই চক্রটি চীনে শত শত ভুক্তভোগীকে ব্ল্যাকমেল করেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। পুলিশ জানায়, ভুক্তভোগীদের সঙ্গে অনলাইনে ভিডিও কলে থাকাকালীন আপত্তিকর মুহূর্ত রেকর্ড করে রাখত চক্রের সদস্যরা। পরে ওই ভিডিও দেখিয়ে তারা ভুক্তভোগীদের ব্ল্যাকমেল করত। টাকা পাঠাতে অস্বীকৃতি জানালে ভিডিওগুলো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করার হুমকি দেওয়া হতো। তবে চক্রটি ঠিক কতদিন ধরে কাজ করছে এবং তারা কত আয় করেছে, তা স্পষ্ট নয় বলে জানিয়েছে ইন্দোনেশিয়া পুলিশ। রিয়াউ দ্বীপপুঞ্জ পুলিশের মুখপাত্র জাহওয়ানি পান্দ্রা আরস্যাদ বলেন, ভুক্তভোগীদের মধ্যে কোনো ইন্দোনেশিয়ার নাগরিক আছে কিনা আমরা তদন্ত করে দেখছি। যদি কেউ না থাকে তবে প্রতারকদের শিগগিরই নির্বাসিত করা হবে। এর আগে ২০১৯ সালে একটি অনলাইন প্রতারণার দায়ে পুলিশ ৮৫ জন চীনা নাগরিক এবং ৬ ইন্দোনেশিয়ার নাগরিককে গ্রেপ্তার করেছিল। ভুক্তভোগীদের কাছ থেকে ব্ল্যাকমেল করে লাখ লাখ ডলার হাতিয়ে নিয়েছিল এ চক্রটি।
৩১ আগস্ট, ২০২৩

ছাত্রী ধর্ষণে গ্রেপ্তার সহযোগীসহ চীনা নাগরিক
চীনে নিয়ে যাওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে রাজধানীর উত্তরায় এক কলেজছাত্রীকে দুদিন আটকে রেখে ধর্ষণের অভিযোগে চীনা নাগরিককে নারী সহযোগীসহ গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন চীনা নাগরিক জি সেন (৫৮) ও সহযোগী হীরা চাকমা (২৫)। হীরা চাকমার বাড়ি রাঙামাটির বাঘাইছড়িতে। তবে তুরাগের ১৮ নম্বর সেক্টরের রূপসা বিল্ডিংয়ে থাকেন। গতকাল মঙ্গলবার উত্তরা পশ্চিম থানার ওসি মুহাম্মদ মাসুম আলম তথ্য নিশ্চিত করে জানান, ভুক্তভোগী কলেজছাত্রীর অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে গত রোববার রাতে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। প্রাথমিক তদন্তে ঘটনার সত্যতা মিলেছে। গ্রেপ্তার দুজন বর্তমানে কারাগারে। ওসি বলেন, ওই ছাত্রী সরকারি কলেজের উচ্চ মাধ্যমিকে প্রথম বর্ষে পড়েন। পাশাপাশি বেসরকারি একটি প্রতিষ্ঠানে খণ্ডকালীন কাজ করেন। হীরা চাকমার সঙ্গে ফেসবুকের মাধ্যমে পরিচয় হয় ওই ছাত্রীর। তাকে চীনে নিয়ে যাওয়ার কথা বলেছিলেন হীরা চাকমা। ফাঁদে ফেলে গত শুক্রবার রাতে জি সেনের উত্তরার ১৪ নম্বর সেক্টরের বাসায় নিয়ে যান হীরা চাকমা। সেদিনই ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করেন জি সেন। ওই ছাত্রী বাসা থেকে চলে যেতে চাইলে জি সেনের সঙ্গে বিয়ের কথা বলা হয়। পরদিন একই কথা বলে আবারও ধর্ষণ করেন। ভুক্তভোগী ওই ছাত্রী জানান, ঘটনার পর তাকে অভিযুক্তরা রোববার উত্তরার একটি কফিশপে নিয়ে যায়। সেখানে এক নারীকে বিষয়টি জানিয়ে সহযোগিতা চান ওই ছাত্রী। সেখান থেকে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে। ওসি মাসুম বলেন, শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ওই ছাত্রীর শারীরিক পরীক্ষা করা হয়েছে। এখন সে তার পরিবারের হেফাজতে রয়েছে। গ্রেপ্তার চীনা নাগরিক বাংলাদেশে বসবাসরত চীনাদের চিকিৎসা করতেন। তবে তার চিকিৎসার বৈধ কাগজপত্র আছে কি না বা কীভাবে এ দেশে এসেছেন, সেগুলোর তদন্ত চলছে।
৩০ আগস্ট, ২০২৩

তরুণীকে আটকে রেখে ধর্ষণ, সহযোগীসহ গ্রেপ্তার চীনা নাগরিক
চীনে নিয়ে গিয়ে ভালো চাকরির ব্যবস্থা করে দেওয়া হবে এমন কথা বলে এক তরুণীকে দুদিন আটকে রেখে ধর্ষণের অভিযোগে এক চীনা নাগরিককে তার নারী সহযোগীসহ গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তার চীনা নাগরিকের নাম জি সেন (৫৮) এবং তার সহযোগীর নারীর নাম হীরা চাকমা (২৫)। মঙ্গলবার উত্তরা পশ্চিম থানার ওসি মুহাম্মদ মাসুম আলম কালবেলাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।  ওসি জানান, ভুক্তভোগী কলেজছাত্রীর অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে গত রোববার রাতে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। প্রাথমিক তদন্তে ঘটনার সত্যতা মিলেছে। গ্রেপ্তার দুজন বর্তমানে কারাগারে। ওসি বলেন, ওই ছাত্রী সরকারি একটি কলেজের উচ্চমাধ্যমিকে প্রথম বর্ষে পড়েন। পাশাপাশি বেসরকারি একটি প্রতিষ্ঠানে খণ্ডকালীন কাজ করেন। গ্রেপ্তার চীনের নাগরিক জি সেনের সহযোগী হীরা চাকমার সঙ্গে ফেসবুকের মাধ্যমে পরিচয় হয় কলেজছাত্রীর। তাকে চীনে নিয়ে যাওয়ার কথা বলেছিলেন হীরা চাকমা। ফাঁদে ফেলে গত শুক্রবার রাতে জি সেনের উত্তরার ১৪ নম্বর সেক্টরের বাসায় নিয়ে যান হীরা চাকমা। সেদিন কলেজছাত্রীকে ধর্ষণ করেন জি সেন। ওই ছাত্রী বাসা থেকে চলে যেতে চাইলে জি সেনের সঙ্গে বিয়ের কথা বলা হয়। পরদিন একই কথা বলে আবারও ধর্ষণ করা হয় তাকে। এরপর ওই কিশোরীর অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে চীনের নাগরিক জি সেনকে সহযোগীসহ উত্তরার ১৬ নম্বর সেক্টর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ওই ছাত্রীর শারীরিক পরীক্ষা করা হয়েছে। এখন ছাত্রীটি পরিবারের হেফাজতে রয়েছে।
২৯ আগস্ট, ২০২৩

বিয়ের প্রলোভনে কলেজছাত্রীকে ধর্ষণ, নারীসহ চীনা নাগরিক গ্রেপ্তার
বিয়ের কথা বলে ও চীনে নিয়ে যাওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে এক কলেজছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে নারীসহ এক চীনা নাগরিককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গত রোববার রাতে ঢাকার উত্তরা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- চীনের নাগরিক জি সেন (৫৮) এবং তার সহযোগী হীরা চাকমা (২৫)। পুলিশ জানায়, ওই কলেজছাত্রীর অভিযোগ, চীনে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে তাকে আটকে রেখে ধর্ষণ করা হয়েছে। এমন অভিযোগ পাওয়ার পর চীনের নাগরিক জি সেনকে সহযোগীসহ উত্তরার ১৬ নম্বর সেক্টর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। গতকাল সোমবার তাদের আদালতের নির্দেশে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভুক্তভোগী ছাত্রীর শারীরিক পরীক্ষা করা হয়েছে। এখন ছাত্রীটি পরিবারের হেফাজতে আছে। উত্তরা পশ্চিম থানার ওসি মাসুদ আলম বলেন, প্রাথমিক তদন্তে ঘটনার সত্যতা মিলেছে। গ্রেপ্তারের পর দু’জন এখন কারাগারে। উত্তরা পশ্চিম থানা-পুলিশ জানায়, ওই ছাত্রী সরকারি একটি কলেজের উচ্চমাধ্যমিকে প্রথম বর্ষে পড়ে। পাশাপাশি সে বেসরকারি একটি প্রতিষ্ঠানে খণ্ডকালীন কাজ করে। চীনের নাগরিক জে সেনের সহযোগী হীরা চাকমার সঙ্গে ফেসবুকের মাধ্যমে পরিচয় হয় কলেজছাত্রীর। তাকে চীনে নিয়ে যাওয়ার কথা বলেছিলেন হীরা চাকমা। ফাঁদে ফেলে গত শুক্রবার রাতে চীনের নাগরিক জে সেনের উত্তরার ১৪ নম্বর সেক্টরের বাসায় নিয়ে যান হীরা চাকমা। ওই দিন কলেজছাত্রীকে ধর্ষণ করেন জে সেন। ওই ছাত্রী বাসা থেকে চলে যেতে চাইলে জে সেনের সঙ্গে বিয়ের কথা বলা হয়। পরদিন একই কথা বলে আবারও ধর্ষণ করা হয় তাকে। পুলিশের একজন কর্মকর্তা জানান, কলেজছাত্রীকে গত রোববার একটি কফি শপে নিয়ে যান জে সেন ও হীরা চাকমা। সেখানে অন্য এক নারীকে বিষয়টি জানিয়ে সহযোগিতা চায় ছাত্রীটি। ঘটনাটি পুলিশকে জানানো হলে ছাত্রীটিকে উদ্ধার করা হয় এবং দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
২৯ আগস্ট, ২০২৩

প্রেমের টানে জীবননগরে চীনা নাগরিক
প্রেমের টানে হাজার মাইল পাড়ি দিয়ে প্রায়ই বাংলাদেশে ছুটে আসছেন ভিনদেশি তরুণ-তরুণী। এবার বাংলাদেশের চুয়াডাঙ্গার জীবননগরের মেয়ে ফারিয়া সুলতানা মুনকে (২০) বিয়ে করলেন সাউই চুই (২৮) নামের এক চীনা নাগরিক। গত ৩০ জুন ঢাকায় তাদের বিয়ে সম্পন্ন হয়। এরপর গত সোমবার চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার গয়েশপুর গ্রামে নিজেদের বাড়িতে স্বামীকে নিয়ে আসেন ফারিয়া সুলতানা। সাউই চুই এখানে তিন দিন থেকে গত বুধবার রাতে ঢাকায় ফিরে গেছেন। ফারিয়া সুলতানা জীবননগর উপজেলার সীমান্ত ইউনিয়নের গয়েশপুর গ্রামের মৃত শফিকুল ইসলামের মেয়ে। স্থানীয়রা জানান, এক বছর আগে চীনা যুবক সাউই চুইর সঙ্গে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম উইচ্যাটে পরিচয় হয় জীবননগর উপজেলার সীমান্ত ইউনিয়নের গয়েশপুর গ্রামের দিনমজুর শফিকুল ইসলামের মেয়ে ফারিয়া সুলতানা মুনের। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। দুজনের মধ্যে প্রায় সাত থেকে আট মাস উইচ্যাটের মাধ্যমে কথোপকথন হয়। এক সময় মুনকে বিয়ের প্রস্তাব দেয় চীনা যুবক। বিষয়টি দুজনের পরিবারও জানত। একপর্যায়ে সাউই চুই চীন থেকে ঢাকায় এসে ফারিয়ার সঙ্গে দেখা করেন এবং ঈদুল আজহার পরদিন ওই চীনা নাগরিকের বোনের উপস্থিতিতে তাদের বিয়ে হয়। ৪ নম্বর সীমান্ত ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইসাবুল ইসলাম মিল্টন মোল্লা বলেন, চীন থেকে এক যুবক গয়েশপুর গ্রামে হতদরিদ্র পরিবারের একটি মেয়েকে শরিয়াহ অনুযায়ী বিয়ে করেছেন। বরকে দেখতে প্রতিদিন মেয়ের বাড়িতে মানুষ ভিড় করছেন। মেয়ের পরিবারটি অত্যন্ত দরিদ্র। জীবননগর থানার ওসি নাসির উদ্দিন মৃধা বলেন, চীনের এক নাগরিক জীবননগর উপজেলার গয়েশপুর গ্রামে এসে একটি মেয়েকে বিয়ে করেছেন, ঘটনাটি আমরা শুনেছি। তাদের পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়েছে বলে জানতে পেরেছি।
১৪ জুলাই, ২০২৩

প্রেমের টানে জীবননগরে চীনা নাগরিক
প্রেমের টানে হাজার মাইল পাড়ি দিয়ে প্রায়ই বাংলাদেশে ছুটে আসছেন ভিনদেশি তরুণ-তরুণী। এবার বাংলাদেশের চুয়াডাঙ্গার জীবননগরের মেয়ে ফারিয়া সুলতানা মুনকে (২০) বিয়ে করলেন সাউই চুই (২৮) নামের এক চীনা নাগরিক। গত ৩০ জুন ঢাকায় তাদের বিয়ে সম্পন্ন হয়। এরপর গত সোমবার চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার গয়েশপুর গ্রামে নিজেদের বাড়িতে স্বামীকে নিয়ে আসেন ফারিয়া সুলতানা। সাউই চুই এখানে তিন দিন থেকে গত বুধবার রাতে ঢাকায় ফিরে গেছেন। ফারিয়া সুলতানা জীবননগর উপজেলার সীমান্ত ইউনিয়নের গয়েশপুর গ্রামের মৃত শফিকুল ইসলামের মেয়ে। স্থানীয়রা জানান, এক বছর আগে চীনা যুবক সাউই চুইর সঙ্গে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম উইচ্যাটে পরিচয় হয় জীবননগর উপজেলার সীমান্ত ইউনিয়নের গয়েশপুর গ্রামের দিনমজুর শফিকুল ইসলামের মেয়ে ফারিয়া সুলতানা মুনের। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। দুজনের মধ্যে প্রায় সাত থেকে আট মাস উইচ্যাটের মাধ্যমে কথোপকথন হয়। এক সময় মুনকে বিয়ের প্রস্তাব দেয় চীনা যুবক। বিষয়টি দুজনের পরিবারও জানত। একপর্যায়ে সাউই চুই চীন থেকে ঢাকায় এসে ফারিয়ার সঙ্গে দেখা করেন এবং ঈদুল আজহার পরদিন ওই চীনা নাগরিকের বোনের উপস্থিতিতে তাদের বিয়ে হয়। ৪ নম্বর সীমান্ত ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইসাবুল ইসলাম মিল্টন মোল্লা বলেন, চীন থেকে এক যুবক গয়েশপুর গ্রামে হতদরিদ্র পরিবারের একটি মেয়েকে শরিয়াহ অনুযায়ী বিয়ে করেছেন। বরকে দেখতে প্রতিদিন মেয়ের বাড়িতে মানুষ ভিড় করছেন। মেয়ের পরিবারটি অত্যন্ত দরিদ্র। জীবননগর থানার ওসি নাসির উদ্দিন মৃধা বলেন, চীনের এক নাগরিক জীবননগর উপজেলার গয়েশপুর গ্রামে এসে একটি মেয়েকে বিয়ে করেছেন, ঘটনাটি আমরা শুনেছি। তাদের পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়েছে বলে জানতে পেরেছি।
১৪ জুলাই, ২০২৩
X