গনগনে চুয়াডাঙ্গা তাপের তীব্রতা আরও বাড়বে
টানা তাপপ্রবাহে বিপর্যস্ত জনজীবন। সারা দিন রোদ আর প্রচণ্ড গরমে স্থবিরতা নেমে এসেছে কর্মজীবনেও। সূর্যের প্রখরতায় প্রাণ যায় যায় অবস্থা। প্রচণ্ড ঘামে মানুষের কর্মক্ষমতা কমে যাচ্ছে। কাজ করার জন্য দিনের যে সময়টা নির্ধারিত, সে সময়টাতে মানুষকে ঘরে বিশ্রাম নিতে হচ্ছে। কারণ বাইরে বের হলে হিটস্ট্রোকে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি। তা ছাড়া এই গরমে গায়ের চামড়া পুড়ে যাওয়ার অবস্থা হচ্ছে, ফোস্কা পড়ে যাচ্ছে অনেকের গায়ে। বাধ্য হয়ে অনেকেই ঘরে বসে থাকছেন। গতকাল সোমবার দেশের বিভিন্ন এলাকায় হিটস্ট্রোকে আরও ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। এদিকে তীব্র তাপপ্রবাহে গনগন করছে চুয়াডাঙ্গা। দেশের ইতিহাসে তৃতীয় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে এ জেলায়। আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, দেশের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া অতি তীব্র তাপপ্রবাহ আরও বাড়তে পারে। আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, গতকাল চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা উঠেছে ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসে, যা গত বছরের ১৭ এপ্রিলের সমান। ঢাকায় তাপমাত্রার পারদ উঠেছে ৪০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে, যা এ মৌসুমে ঢাকায় সর্বোচ্চ। এদিন যশোরে ৪২ দশমিক ৮, রাজশাহীতে ৪২ দশমিক ৬, পাবনায় ৪২ দশমিক ৫, খুলনায় ৪১ দশমিক ৮, কুষ্টিয়া ও সাতক্ষীরায় ৪১ দশমিক ৫, বাগেরহাটে ৪১ দশমিক ৩, ফরিদপুরে ৪১ দশমিক ২, গোপালগঞ্জে ৪১, টাঙ্গাইলে ৪০ দশমিক ৮, দিনাজপুরে ৪০ দশমিক ১, বগুড়ায় ৪০ দশমিক ৬ ও নওগাঁয় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস লিপিবদ্ধ করা হয়েছে। গত বছরের ১৭ এপ্রিলও পাবনার ঈশ্বরদীতে ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল। তার আগে ১৯৯৫ ও ২০০২ সালেও একই তাপমাত্রা রেকর্ড হয়, যা দেশের ইতিহাসে তৃতীয় সর্বোচ্চ। আর ২০১৪ সালের ২১ মে চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা ওঠে ৪৩ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে, যা ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালের ১৮ মে ৪৫ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল, যা বাংলাদেশের নথিভুক্ত ইতিহাসের সর্বোচ্চ। ঢাকায় এ মৌসুমে গত ২০ এপ্রিল ৪০ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসে উঠেছিল তাপমাত্রা। আর গত বছরের ১৬ এপ্রিল ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৪০ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তার আগে ১৯৬৫ সালে এপ্রিল মাসে ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা উঠেছিল ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। আর ১৯৬০ সালে ঢাকায় পারদ উঠেছিল রেকর্ড ৪২ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। আবহাওয়াবিদরা বলছেন, দেশে বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ বেশি থাকায় প্রকৃত তাপমাত্রার চেয়েও চার থেকে পাঁচ ডিগ্রি বেশি তাপমাত্রার গরম অনুভূত হচ্ছে। যে কারণে সাধারণের অস্বস্তিও বেশি। আবহাওয়া অফিস জানায়, যশোর, চুয়াডাঙ্গা, পাবনা ও রাজশাহী জেলার ওপর দিয়ে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ এবং খুলনা ও রাজশাহী বিভাগের অবশিষ্টাংশ এবং ঢাকা বিভাগের ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। ময়মনসিংহ জেলাসহ বরিশাল, রংপুর ও চট্টগ্রাম বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে। এ ছাড়া আজ মঙ্গলবার সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। জলীয়বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তিভাব বিরাজমান থাকতে পারে। আজ চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দুয়েক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা/ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেইসঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে। চলতি মৌসুমে টানা ৩০ দিন ধরে চলা তাপপ্রবাহ আরও কয়েকদিন স্থায়ী হতে পারে জানিয়ে আবহাওয়াবিদ এ কে এম নাজমুল হক বলেন, মে মাসের ২ তারিখ বা তার পরে দেশের উত্তর, উত্তর-পূর্বাঞ্চল এবং দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের এলাকা বিশেষ করে ময়মনসিংহ, সিলেট, চট্টগ্রাম ও বরিশাল বিভাগের অনেক জায়গায় বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। সে সময় এসব এলাকার চলমান তাপপ্রবাহ প্রশমিত হবে। এ ছাড়া ঢাকাসহ দেশের পশ্চিমাঞ্চল বিশেষ করে খুলনা, রাজশাহী অঞ্চলের চলমান তাপপ্রবাহ আরও অব্যাহত থাকবে। ৪-৫ তারিখের দিকে এসব অঞ্চলে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। তিনি জানান, এর আগে ২০১৪ সালে ৫-৩০ এপ্রিল টানা ২৬ দিন তাপপ্রবাহ ছিল। ২০১৬ সালে ৬-৩০ এপ্রিল টানা ২৫ দিন তাপপ্রবাহ ছিল। ২০২৩ সালে ১৩ এপ্রিল থেকে ৫ মে টানা ২৩ দিন তাপপ্রবাহ বয়ে যায়। এবার তাপপ্রবাহের মধ্যে চুয়াডাঙ্গা ও যশোরে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাওয়ার প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। এর কারণ জানতে চাইলে আবহাওয়াবিদ ওমর ফারুক বলেন, সবসময়ই এসব এলাকায় তাপমাত্রা বেশি আসে, বহু আগে থেকেই হয়ে আসছে। কারণ এই এলাকাগুলো ভারতের বিহার, পশ্চিমবঙ্গের পাশে। ওইসব এলাকায় ৪৪ ডিগ্রি তাপমাত্রা উঠেছে রোববার, সেটার আঁচ এসে পড়ে এখানে। আবহাওয়া অধিদপ্তরের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, শেষ তিন দশকে বাংলাদেশের আবহাওয়া আগের তুলনায় উষ্ণ হয়ে উঠেছে। বৃষ্টিপাত ও শীতের দিন কমছে, বছরের বড় অংশজুড়ে গরমের বিস্তার বাড়ছে। গড় তাপমাত্রা বেড়ে এপ্রিল মাস আরও উত্তপ্ত হয়ে উঠছে। হিটস্ট্রোকে ৬ মৃত্যু: কক্সবাজারের পেকুয়ায় গতকাল দুপুরে হিটস্ট্রোকে মোহাম্মদ কালু (৫০) নামে এক দিনমজুরের মৃত্যু হয়েছে। জয়পুরহাটের ক্ষেতলালে মারা গেছেন বাবলু হোসেন (৫৫) নামে এক ভ্যানচালক। নরসিংদীর পলাশে ধান কাটার সময় গরমে অসুস্থ হয়ে মানিক মিয়া (৫০) নামে এক দিনমজুরের মৃত্যু হয়েছে। মানিক মিয়া লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার বাসিন্দা। জয়পুরহাটের আক্কেলপুরে হিটস্ট্রোকে বাবলু খন্দকার (৪৫) নামে এক ভ্যানচালক মারা গেছেন। মৌলভীবাজারের আটঘর বাজারে হিটস্ট্রোকে মারা গেছেন নুরুল মিয়া (৫০) নামে এক দিনমজুর। ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুরে মাটির রাস্তা সংস্কারের সময় হিটস্ট্রোকে লতিফা বেগম (৪০) নামে এক নারী শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে।
৩০ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বোচ্চ তাপমাত্রায় পুড়ছে চুয়াডাঙ্গা
দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রায় পুড়ছে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমের সীমান্তবর্তী জেলা চুয়াডাঙ্গা। শনিবার (২৭ এপ্রিল) বিকেল ৩টায় তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ৪২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।  চুয়াডাঙ্গা আঞ্চলিক আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ইনচার্জ মো. জামিনুর রহমান কালবেলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, শনিবার বিকেল ৩টা পর্যন্ত চুয়াডাঙ্গায় দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। বাতাসের আর্দ্রতা বেশি অর্থাৎ বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ অনেক বেশি থাকার কারণে ভ্যাপসা গরম অনুভূত হচ্ছে। এখন এ জেলায় অতি দাবদাহ চলছে। আরও ৪-৫ দিন এ অবস্থা থাকতে পারে। এরপর মে মাসের কালবৈশাখী ঝড় ও বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। এর আগে শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) চুয়াডাঙ্গায় এ মৌসমে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪২ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এদিন বিকেল ৩টায় চুয়াডাঙ্গা আঞ্চলিক আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার কেন্দ্র থেকে এ তাপমাত্রা রেকর্ড হয়। আর বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ১১ শতাংশ। তীব্র গরমের কারণে শ্রমিক, দিনমজুর, রিকশা-ভ্যানচালকরা কাজে বের হতে পারছেন না। একটু প্রশান্তির খোঁজে গাছের ছায়া ও ঠান্ডা পরিবেশে স্বস্তি খুঁজছে স্বল্প আয়ের মানুষ। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে রাস্তাঘাটে লোকজনের চলাচল সীমিত হয়ে পড়ছে। আবার অনেকে জরুরি প্রয়োজন ও জীবন-জীবিকার তাগিদে প্রচণ্ড দাবপ্রবাহ উপেক্ষা করে কাজে বের হচ্ছেন। এদিকে তীব্র দাবদাহে রোববার থেকে স্কুল খোলার সিদ্ধান্তে মিশ্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন এ জেলার অভিভাবকরা। যেখানে ইউনিসেফ চলতি দাবদাহে বাংলাদেশের শিশুদের অতি উচ্চ ঝুঁকির মধ্যে রেখেছে। সেখানে স্কুলগুলো চলমান তাপপ্রবাহ পর্যন্ত বন্ধ রাখার জন্য সরকারের অনুরোধ জানিয়েছেন চুয়াডাঙ্গা জেলার অভিভাবকরা।
২৭ এপ্রিল, ২০২৪

চুয়াডাঙ্গা বইছে মাঝারি দাবদাহ
চুয়াডাঙ্গায় বইছে মাঝারি তাপপ্রবাহ। এতে জনজীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। তীব্র গরমে রোজাদারদের অবস্থাও ওষ্ঠাগত। আবহাওয়া অফিস বলছে সহজে দেখা মিলছেনা বৃষ্টির। সোমবার (১ এপ্রিল) এ জেলায় দুপুর ১২টায় ৩৭  ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। এ সময় বাতাসের আদ্রতা ছিল ২৮ শতাংশ। বেলা ৩টায় তাপমাত্রা বেড়ে দাঁড়ায় ৩৮ দশমিক ৫  ডিগ্রিতে। এ সময় বাতাসের আদ্রতা ২১ শতাংশ। এরপর সন্ধ্যা ছয়টায় চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াাস। দু’তিন দিনের মধ্যে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা নেই। ফলে তাপমাত্রা আরও বাড়তে পারে। সরেজমিনে দেখা যায়, সকালে সূর্য ওঠার সঙ্গে সঙ্গে তীব্র রোদের দেখা মিলছে। বেলা বাড়ার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে এ রোদ যেন আগুনের ফুলকি হয়ে ঝরছে। বিশেষ করে দুপুরের পর আগুন ঝরা রোদের তেজে বাইরে বের হওয়া মুশকিল হয়ে পড়ছে। সূর্য একেবারে ডুবে যাবার আগ পর্যন্ত এ অবস্থা বিরাজ করছে।  চলমান তাপপ্রবাহে সবচেয়ে কষ্টে পড়েছে খেটে খাওয়া দিনমজুর, রিকশা-ভ্যান চালক ও কৃষকেরা। তীব্র রোদে মাঠে টিকতে পারছেন না কৃষক ও দিনমজুরা। চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ইনচার্জ জামিনুর রহমান জানান, মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) এ জেলার তাপমাত্রা আরও বাড়বে। দু’একদিনের মধ্যে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা নেই। আবহাওয়ার এ পরিস্থিতি আপাতত চলমান থাকবে।   
০১ এপ্রিল, ২০২৪

অনিয়মের অভিযোগে চুয়াডাঙ্গা কামিল মাদ্রাসার ২ শিক্ষক বরখাস্ত
শৃঙ্খলা ভঙ্গ, নারী কেলেঙ্কারি ও সভাপতির স্বাক্ষর জাল করার অপরাধে চুয়াডাঙ্গা কামিল মাদ্রাসার দুই শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত পত্র দণ্ডপ্রাপ্তরা গ্রহণ করেছেন বলে মাদ্রাসার অধ্যক্ষ নিশ্চিত করেছেন। এদের মধ্যে সহকারী শিক্ষক (কৃষি শিক্ষা) ওয়াহিদ মোহা. রাশেদীন আমিনের বিরুদ্ধে শৃঙ্খলা ভঙ্গ, নারী কেলেঙ্কারি ও সভাপতির স্বাক্ষর জাল করা এবং সহকারী অধ্যাপক মো. রুহুল আমিনের বিরুদ্ধে শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির ২৮ ফেব্রুয়ারির এক সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।  সাময়িক বরখাস্তের চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, ২০২৩ সালের ১০ সেপ্টেম্বর সকাল ৯টার দিকে সহকারী শিক্ষক (কৃষি শিক্ষা) ওয়াহিদ মোহা. রাশেদীন আমিন এবং সহকারী অধ্যাপক মো. রুহুল আমিন মাদ্রাসার অধ্যক্ষের কক্ষে এসে বিধি মোতাবেক শ্রেণি কার্যক্রম পরিচালনার বিরোধিতা করে অধ্যক্ষের সঙ্গে অসদাচরণ ও অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করেন। এসময় মাদ্রাসার সহকারী অধ্যাপক (রাষ্ট্রবিজ্ঞান) মো. আবুল হাশেম ও প্রভাষক (গ্রন্থাগার ও তথ্যবিজ্ঞান) মো. মাসুদুর রহমান প্রতিবাদ করলে অভিযুক্তরা প্রতিবাদী দুই শিক্ষককে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে রক্তাক্ত করেন এবং প্রাণনাশের হুমকি দেন। এ ছাড়া সহকারী শিক্ষক (কৃষি শিক্ষা) ওয়াহিদ মোহা. রাশেদীন আমিনের বিরুদ্ধে নারী কেলেঙ্কারি ও মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতির স্বাক্ষর জাল করে উচ্চতর বেতনের আবেদন করার বিষয় প্রমাণিত হয়। এসব বিষয়ে অভিযুক্ত দুই শিক্ষককে দুদফা কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদান করা হলেও তারা সন্তোষজনক জবাব দিতে ব্যর্থ হন। একইসঙ্গে সহকারী শিক্ষক (কৃষি শিক্ষা) ওয়াহিদ মোহা. রাশেদীন আমিন দ্বিতীয় দফায় পাঠানো শিক্ষক লাঞ্ছনা এবং নারী কেলেঙ্কারী ও সভাপতির স্বাক্ষর জালিয়াতি নোটিশের কোনো জবাব দেননি। এ কারণে চুয়াডাঙ্গা কামিল মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির গত ২৮ ফেব্রুয়ারির সভায় ওই দুই শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত করার সিদ্ধান্ত হয়। ওয়াহিদ মোহা. রাশেদীন আমিন নানা অপকর্মের সঙ্গে জড়িত রয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন শিক্ষক ও স্থানীয়রা। অন্যায়ের পর ম্যানেজ করে পার পাওয়ায় তিনি বেপরোয়া হয়ে ওঠেন। রাশেদীন আমীন বিটিভি ও বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার চুয়াডাঙ্গা জেলার প্রতিনিধি। চুয়াডাঙ্গা কামিল মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি রিয়াজুল ইসলাম জোয়ার্দ্দার স্বাক্ষরিত পত্রের মাধ্যমে অভিযুক্ত দুই শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত করে।
২২ মার্চ, ২০২৪

চুয়াডাঙ্গা জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের আহ্বায়ক কমিটি গঠন
চুয়াডাঙ্গায় জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছে। প্রশান্ত অধিকারীকে আহ্বায়ক ও কিশোর কুমার কুন্ডুকে সদস্য সচিব করে ২৫ সদস্য বিশিষ্ট জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের এ কমিটি গঠন করা হয়।  গত ৭ মার্চ বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি জে এল ভৌমিক ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. চন্দ্রনাথ পোদ্দার স্বাক্ষরিত প্যাডে এ কমিটির অনুমোদন দেওয়া হয়।  মেয়াদোর্ত্তীণ পূর্ববর্তী কমিটি বাতিল করে নতুন এ কমিটি ঘোষণা করেন কেন্দ্রীয় পূজা উদযাপন পরিষদ। এ ছাড়া জেলার সব উপজেলার পূজা উদযাপন পরিষদের কমিটিগুলো বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়। 
১৯ মার্চ, ২০২৪

মাঘের শুরুতে শীতে কাঁপছে চুয়াডাঙ্গা
কথায় আছে মাঘের শীতে বাঘ কাঁপে। বাঘ কাঁপানো শীত পড়ছে চুয়াডাঙ্গায়। শীতে কাঁপছে চুয়াডাঙ্গা। ভোর থেকে সূর্যের দেখা মেলেনি চুয়াডাঙ্গার আকাশে। কুয়াশাচ্ছন্ন পরিবেশে কনকনে ঠান্ডা বিরাজ করছে। মৃদু শৈত্যপ্রবাহ নেই। তবে উত্তরের হিমেল হাওয়ায় শীতের তীব্রতা বাড়িয়েছে বহুগুণ। কষ্টে আছে দিন আনা দিন খাওয়া মানুষগুলো। রুটি-রুজির সন্ধানে বাইরে বের হওয়া কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ছে তাদের জন্য। বেলা বাড়ছে, বিপরীতে তাপমাত্রা কমছে। ফলে বাড়ছে শীতের তীব্রতা। এদিকে শীতার্ত মানুষের পাশে এখনও দাঁড়াতে দেখা যায়নি স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের। তবে জেলা প্রশাসন থেকে প্রায় ২৫ হাজারের মতো কম্বল ৪টি উপজেলায় বিতরণ করা হয়েছে বলে জেলা ত্রাণ অফিস সূত্রে জানা গেছে। এর কয়েকটি পাশাপাশি বেসরকারি সংগঠন কিছু কম্বল বিতরণ করেছে। তবে তা অপর্যাপ্ত। সোমবার (১৫ জানুয়ারি) সকাল ৬টায় চুয়াডাঙ্গায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ দশমিক শূন্য ডিগ্রি সেলসিয়াস। সকাল ৯টায় চুয়াডাঙ্গায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১০ দশমিক ৯ ডিগ্রি এবং বাতাসের আর্দ্রতা ৯৪ শতাংশ। গত শনি ও রোববার দুদিন ধরে ৯ দশমিক ৬ ও ৯ দশমিক ৭ ছিল এ জেলার তাপমাত্রা। সোমবার তাপমাত্রার পারদ সামান্য বেড়েছে। দুএকদিনের মধ্যে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। তারপর তাপমাত্রা কিছুটা বাড়বে পারে বলে জানিয়েছে চুয়াডাঙ্গা আঞ্চলিক আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার কেন্দ্র।
১৫ জানুয়ারি, ২০২৪

তীব্র শীতে কাঁপছে চুয়াডাঙ্গা
ঘন কুয়াশা আর উত্তরের হিমেল হাওয়ায় শীতে কাঁপছে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমের সীমান্তবর্তী জেলা চুয়াডাঙ্গা। সকালের সূর্যের দেখা মিলছে দুপুরে। মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় চুয়াডাঙ্গায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১২ দশমিক ০ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং বাতাসের আর্দ্রতা ১০০ শতাংশ।  এর আগে সকাল ৬টায় চুয়াডাঙ্গায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১২ দশমিক ০ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং বাতাসের আর্দ্রতা ১০০ শতাংশ। গত সোমবার তাপমাত্রা ছিল ১৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। প্রচন্ড শীত আর কুয়াশায় বিপাকে পড়েছে জেলার খেটে খাওয়া মানুষ। পাশাপাশি পাল্লা দিয়ে বাড়ছে শীতজনিত রোগ। কোল্ড ডায়রিয়া, সর্দি-কাঁশি জ্বরে আক্রান্ত হচ্ছে শিশু, বয়োবৃদ্ধসহ সব বয়সী মানুষ। আবহাওয়ার এ পরিস্থিতি অব্যাহত থাকবে আগামী কয়েক দিন। সেইসঙ্গে তাপমাত্রা আরও কমতে পারে বলে জানিয়েছে চুয়াডাঙ্গা আঞ্চলিক আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার।
০৯ জানুয়ারি, ২০২৪

অসহায় শীতার্ত মানুষের পাশে চুয়াডাঙ্গা ভলান্টিয়ার্স
চুয়াডাঙ্গায় অসহায় ও ছিন্নমূল মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করেছে সামাজিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘চুয়াডাঙ্গা ভলান্টিয়ার্স’। শুক্রবার (২৯ ডিসেম্বর) জেলা শিল্পকলা একাডেমির মুক্তমঞ্চে ও শনিবার (৩০ ডিসেম্বর) আলমডাঙ্গা উপেজলায় শীতবস্ত্র বিতরণ করেছে সংগঠনটি। পুরো শীতজুড়ে এ কার্যক্রম চলমান থাকবে বলে জানান ভলান্টিয়াররা। গরিব অসহায় মানুষের বাসায়ও পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে শীতবস্ত্র। শীতবস্ত্র পেয়ে এক বৃদ্ধা বলেন, শীতে খুব কষ্টে ছিলাম। কম্বলটি পেয়ে খুব উপকার হলো। আপনাদের জন্য দোয়া করি। কম্বল পেয়ে মাদ্রাসায় পড়ুয়া এক শিশুশিক্ষার্থীর চোখে প্রশান্তির ছাপ দেখা যায়।  এ সময় বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আরফিন রাজ্জাক, সাকিব আহমেদ, সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজের মিরাজ আহমেদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়াসির আল মাসতুর, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের হাসিনা আক্তারসহ বিভিন্ন স্তরের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। কর্মসূচির বিষয়ে সংগঠনটির প্রধান সমন্বয়ক আসলাম হোসেন বলেন, অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানো আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। শীতবস্ত্র বিতরণ শুধু অসহায় মানুষের প্রতি করুণা নয়, এটা দায়বদ্ধতা। দরিদ্র অসহায় মানুষ দেশ ও সমাজের অংশ। তাই সমাজের বিত্তশালীসহ সবার উচিত গরিব ও সুবিধাবঞ্চিত মানুষের পাশে দাঁড়ানো। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ওয়াসির আল মাসতুর বলেন, চুয়াডাঙ্গা ভলান্টিয়ার্স বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। শীতবস্ত্র বিতরণ তারই একটি অংশ। সংগঠনের সদস্য ও বুয়েট শিক্ষার্থী সাকিব আহমেদ বলেন, চুয়াডাঙ্গার অনেক মানুষ ঢাকা ও দেশের বাইরে অবস্থান করছেন, আপনারাও এগিয়ে আসুন এসব শীতার্ত মানুষের কল্যাণে। অথবা আমাদের মাধ্যমেও সহায়তা দিতে পারেন, আমরা পৌঁছে দেব গরিব অসহায় মানুষের কাছে। সবাইকে নিয়ে আমরা সম্প্রতির চুয়াডাঙ্গা গড়ে তুলতে চাই। সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থী মিরাজ আহমেদ বলেন, তীব্র শীতে আপনাদের পাশে দাঁড়াতে পেরে ভালো লাগছে। আমরা আশা করি, চুয়াডাঙ্গা ভলান্টিয়ার্সের পাশাপাশি জেলার ধনাঢ্য ব্যক্তিরাও এগিয়ে আসবে। চুয়াডাঙ্গাতে এমনিতেই বেশি শীত। এ মুহূর্তে সবার সম্মিলিত সহায়তা দরকার। শীতবস্ত্র উপহার বিতরণ কার্যক্রমের প্রধান সমন্বয়ক ও চুয়াডাঙ্গা ডিবেট ক্লাবের সদস্য রনি বিশ্বাস বলেন, আমরা আনুষ্ঠানিকভাবে আজ থেকে শীতবস্ত্র উপহার বিতরণ কার্যক্রম শুরু করলাম। আগামীতে জেলার পাঁচটি থানায় চলবে। আমাদের সামর্থ্য অনুযায়ী পরবর্তী সময়ে ইউনিয়নেও শীতার্ত মানুষের পাশে দাঁড়াতে চাই। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব হেলথ সায়েন্সেসের শিক্ষার্থী তাবাসসুম হাসান, ফার্স্ট ক্যাপিটাল ইউনিভার্সিটির প্রিয়াংকা বিশ্বাস, চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের ইমরান হোসেন, রোকসানা জেবা, সাকিব আল হাসান, জিতু আহসান, সালেকীন আহমেদ প্রমুখ। সুবিধাবঞ্চিত মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর পাশাপাশি চুয়াডাঙ্গা ভলান্টিয়ার্স আরও পাঁচটি বিষয়ে কার্যক্রম পরিচালনা করছে। এগুলো হলো ডিবেট ক্লাব, আইটি টিম, ব্লাড সেন্টার, বিজনেস প্ল্যাটফর্মসহ আগামীর নেতৃত্ব তৈরির জন্য লিডারশিপ প্রোগ্রাম পরিচালনা।
৩১ ডিসেম্বর, ২০২৩

৭ ডিসেম্বর : চুয়াডাঙ্গা মুক্ত দিবস আজ
আজ ৭ ডিসেম্বর চুয়াডাঙ্গা মুক্ত দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে ভারত সীমান্ত ঘেঁষা চুয়াডাঙ্গা জেলা হানাদার মুক্ত হয়। এ দিন মুক্তিযোদ্ধা ও ভারতীয় মিত্র বাহিনীর তুমুল প্রতিরোধের মুখে পাকহানাদার বাহিনী এক রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর চুয়াডাঙ্গা ছেড়ে পার্শ্ববর্তী কুষ্টিয়া ও ঝিনাইদহ্ জেলা অভিমুখে পালিয়ে যায়। হানাদারমুক্ত হয় চুয়াডাঙ্গা।  মহান মুক্তিযুদ্ধে চুয়াডাঙ্গার অবদান অবিস্মরণীয়। প্রথম রাজধানী হিসেবে নির্ধারিত হয় চুয়াডাঙ্গা। তারিখও নির্ধারিত হয় এপ্রিলের ১০। খবরটি আগেভাগেই জানাজানি হয়ে যাওয়ার ফলে কৌশলগত কারণে ১৭ এপ্রিল মেহেরপুর জেলার বৈদ্যনাথ তলায় প্রথম রাজধানী হয় এবং প্রবাসী সরকারের শপথ অনুষ্ঠিত হয়। ১৯৭১ সালের ২৬ নভেম্বর জেলার জীবননগর শহরে পাকহানাদার বাহিনীর পতন ঘটলেও চূড়ান্ত বিজয় আসে ৪ ডিসেম্বর। এদিন ভোরে ভারতীয় মিত্র বাহিনীর কমান্ডার মেজর দত্ত ও বর্ম্মা এবং ৮ নম্বর সেক্টরের বানপুর সাব-সেক্টর কমান্ডার ক্যাপ্টেন মোস্তাফিজুর রহমানের নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধা ও মিত্র বাহিনী যৌথভাবে জীবননগরের ধোপাখালী সীমান্ত দিয়ে ভারত থেকে প্রবেশ করে জীবননগর, দত্তনগর, হাসাদহ সন্তোষপুর, রাজাপুর, ধোপাখালী ও মাধবখালীতে অবস্থানরত পাকবাহিনীর উপর অতর্কিতভাবে ঝাঁপিয়ে পড়ে। শুরু হয় রক্তক্ষয়ী প্রচণ্ড যুদ্ধ। এ সময় রাজাপুর ও মাধবখালী সীমান্তে সন্মুখ সমরে শাহাদৎ বরন করেন হাবিলদার আব্দুল গফুর, নায়েক আব্দুল মালেক, আব্দুর রশিদ, সিপাহী সিদ্দিক আলী, আব্দুল আজিজ ও আবু বকর। যুদ্ধে পাকহানাদার বাহিনীর ২৯ বেলুচ রেজিমেন্টের সৈন্যরা যৌথ বাহিনীর কাছে পরাজিত হয়ে পার্শ্ববর্তী জেলা ঝিনাইদহের দিকে পালিয়ে যায়। অপরদিকে জেলার দর্শনা ও দামুড়হুদা অঞ্চল দিয়ে পাক বাহিনীর উপর গেরিলা আক্রমণ শুরু করে মুক্তিযোদ্ধা ও মিত্রবাহিনী। এর ফলে চুয়াডাঙ্গা জেলা পুরোপুরি শত্রু মুক্ত হওয়ার পথ সুগম হয়। এরপর ৬ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় পাক বাহিনী চুয়াডাঙ্গা শহরমুখি মাথাভাঙ্গা নদীর ব্রিজের একাংশ শক্তিশালী বোমার বিস্ফোরণ ঘটিয়ে উড়িয়ে দেয়। যাতে মুক্তিযোদ্ধারা তাদের অনুসরণ করতে না পারে। ৭ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় পাকবাহিনী চুয়াডাঙ্গা শহর ও আলমডাঙ্গা অতিক্রম করে কুষ্টিয়ার দিকে চলে যায়। এরপর ১৯৭১ সালের আজকের এই দিনে চুয়াডাঙ্গা জেলা পুরোপুরি শত্রু মুক্ত হয়। এ দিন স্বতঃস্ফুর্ত মুক্তিপাগল মুক্তিযোদ্ধারা চুয়াডাঙ্গার মাটিতে প্রথম উত্তোলন করে লাল-সবুজ খচিত স্বাধীন বাংলার পতাকা। শুরু হয় প্রশাসনিক কর্মকাণ্ড। মোস্তফা আনোয়ারকে মহকুমা প্রশাসক করে এখানে বেসামরিক প্রশাসন চালু করা হয়।   দীর্ঘ ৯ মাস রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের পর ১৯৭১ সালের ৭ ডিসেম্বর চুয়াডাঙ্গাকে মুক্ত করে এ জেলার বীর মুক্তিযোদ্ধারা। চুয়াডাঙ্গায় মোট মুক্তিযোদ্ধা ১ হাজার ৬৩১ জন। এর মধ্যে যুদ্ধাহত  ১৫৬ জন। এ রণাঙ্গণে শহীদ হয়েছেন ১৭ জন মুক্তিযোদ্ধা। এ জেলায় দু’জন বীর প্রতীকও রয়েছেন। মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে পাকিস্থানী বাহিনীর সঙ্গে চুয়াডাঙ্গার এসব সূর্য সন্তানদের সাহসী মোকাবেলা চুয়াডাঙ্গাকে করেছে মহিমান্বিত। এ কারণে জাতীয় গৌরবের প্রেক্ষাপটে চুয়াডাঙ্গা জেলার নন্দিত অবস্থান ইতিহাসে স্বীকৃত। এ দিনটি উপলক্ষে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, মুক্তিযোদ্ধা সংসদসহ  বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন নানা কর্মসূচির আয়োজন করেছে।
০৭ ডিসেম্বর, ২০২৩

চুয়াডাঙ্গা সীমা‌ন্তে ১৪ দি‌নের ব্যবধা‌নে বাংলা‌দেশি‌‌ নিহত
চুয়াডাঙ্গা সীমা‌ন্তে ১৪ দি‌নের ব্যবধা‌নে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে রবিউল ইসলাম (৪১) নামে আরও এক বাংলা‌দেশি নিহত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৮ সে‌প্টেম্বর) রাত একটার দি‌কে চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপ‌জেলার ঠাকুরপুর-মু‌ন্সিপুর সীমা‌ন্তের ৯০/৯১ পিলা‌রের মাঝামা‌ঝি স্থা‌নে তিনি গুলিবিদ্ধ হন। ‌নিহত র‌বিউল উপ‌জেলার পীরপুরকুল্লা গ্রা‌মের মৃত. ফয়জুল ইসলা‌মের ছে‌লে। এর আগে গত ১৪ সে‌প্টেম্বর রা‌তে চুয়াডাঙ্গার জীবননগরের বেনীপুর সীমা‌ন্তে বিএসএফের গুলিতে মিজানুর রহমান (৫০) নামে এক বাংলাদেশি নিহত হন। মু‌ন্সিপুর কোম্পা‌নি কমান্ডার সু‌বেদার মিজানুর রহমান ঘটনার সত্যতা নি‌শ্চিত ক‌রে জানান, বুধবার দিবাগত রাত সাড়ে ১০টার দি‌কে বিএসএফের গুলিতে রবিউল‌ নিহত হন। এ বিষ‌য়ে পতাকা বৈঠ‌কের জন্য বিএসএফের কা‌ছে সকা‌লে পত্র পাঠা‌নো হয়। পত্র পে‌য়ে বিএসএফ বৃহস্প‌তিবার দুপুর একটা ২০ মি‌নি‌টের সময় ঠাকুরপুর সীমা‌ন্তে ৯১ মেইন পিলা‌রের স‌ন্নিক‌টে বি‌জি‌বি-‌বিএসএফ এক পতাকা বৈঠ‌কে মি‌লিত হয়। পতাকা বৈঠ‌কে বিএসএফ র‌বিউলের নিহতর কথা শিকার ক‌রে জানায়, তার মর‌দেহ ময়নাতদন্তের জন্য কৃষ্ণনগর হাসপাতালে পাঠা‌নো হ‌য়ে‌ছে। ময়নাতদন্ত শেষ হ‌লে র‌বিউলের মরদেহ ফেরত দেওয়া হ‌বে।
২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৩
X