গরু চুরি করে মোটরসাইকেল রেখে পালালেন চোর
কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে গরু চুরি করে নিয়ে যাওয়ার সময় চোরের দল একটি মোটরসাইকেল রেখে পালিয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার (১৩ মে) রাতে উপজেলার জোড্ডা পশ্চিম ইউপির ঘোড়াময়দান সিরাজ ড্রাইভারের বাড়িতে।  মঙ্গলবার (১৪ মে) সকালে পুলিশ মোটরসাইকেলটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। তবে চোর ও গরু উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। স্থানীয়রা জানান, সোমবার রাতে ঘোড়াময়দান গ্রামের আলম নামের এক ব্যক্তির ঘরে ঢুকে দুটি গাভী গরুর মধ্যে একটি গরু নিয়ে যায় চোরের দল। এর আগে চোরেরা একটি মোটরসাইকেল রেখে পালিয়ে যায়। ক্ষতিগ্রস্ত আলম বলেন, ভোর রাতে তার স্ত্রীর ঘুম ভাঙলে গরু ঘরে গিয়ে দেখেন দরজা খোলা। দুটি গরুর মধ্যে একটি গরু নেই। চুরি হওয়া গরুটির দাম প্রায় ১ লাখ টাকা। চোরেরা টয়লেটের দেওয়াল টপকে গরু ঘরে প্রবেশ করে এ চুরির ঘটনা ঘটায়। পরে জানতে পারে সিরাজ ড্রাইভারের বাড়িতে চোররা একটি মোটরসাইকেল রেখে পালিয়েছে। সিরাজ ড্রাইভার বলেন, রাতে গরু ঘরে গিয়ে দেখতে পান তার ঘরের পাশে একটি মোটরসাইকেল পড়ে আছে। বিষয়টি চেয়ারম্যানকে জানান তিনি। মনে হয় চোরের দল টের পেয়ে গাড়ি রেখে পালিয়ে গেছে। এ বিষয়ে মঙ্গলবার সকালে নাঙ্গলকোট থানার ওসি দেবাশীষ চৌধুরী কালবেলাকে বলেন, উদ্ধারকৃত মোটরসাইকেলটি নাথেরপেটুয়া থেকে চুরি করে এনেছে বলে জানা গেছে। হয়তো তেল শেষ হয়ে যাওয়ায় মোটরসাইকেলটি নিয়ে যেতে পারেনি তারা। গরু চুরির বিষয়ে থানায় কেউ লিখিত অভিযোগ দায়ের করেননি।
০১ জানুয়ারি, ১৯৭০

চোর নিয়ে গেছে একমাত্র সম্বল, দিশাহারা বৃদ্ধ দম্পতি
আয়ের একমাত্র উৎস হারিয়ে মাথায় হাত বৃদ্ধ মান্নান সরদার ও তার সহধর্মিণীর। গোয়ালঘরে থাকা তাদের একমাত্র সম্বল ২টি গাভি ও বাছুর নিয়ে গেছে চোরের দল। ওই দুই গাভির দুধ বিক্রি করেই সংসার চলত তাদের। এখন গোয়ালঘরে বসেই কাঁদছেন বৃদ্ধ। চাঁদপুর পৌর শহরের ১৪নং ওয়ার্ডের শিলন্দিয়া মঠখোলার বাসিন্দা মো. মান্নান সরদার। শুধু ৫৫ বছর বয়সী এ বৃদ্ধের সঙ্গেই এমন ঘটনা ঘটেছে তা নয়। চাঁদপুরে কোরবানি ঈদের আগে ঘটছে এমন অহরহ ঘটনা।  সরেজমিনে গিয়ে চাঁদপুর পৌর শহরের ১৩নং ওয়ার্ডের ওয়াপদা গেটের প্রবাসফেরত আব্দুর রশীদ গাজীর সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, রাত আড়াইটা ৩টা বাজলেই এখনো আঁতকে উঠি। আমার ৩টি গরুও নিয়ে গেছে চোরের দল। থানা পুলিশের কাছে অভিযোগ দিয়েও কোনো লাভ হয়নি। পাশের এলাকার মান্নান সরদারের গরু চুরির খবর পেয়ে নিজের চুরি যাওয়া গাভী গরু ও বাছুরের কথা জানাতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়লেন এ যুবক। চাঁদপুর সদর মডেল থানার ওসি মো. শেখ মুহসীন আলম জানান, থানা পুলিশ চেকপোস্টসহ গরু চোর চক্রকে ধরতে চিরুনি অভিযান চালাচ্ছে । দ্রুতই গরু উদ্ধারসহ এই চক্রের মূল হোতাদের আইনের আওতায় আনার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। তবে আর কোনো আশ্বাস নয়। বরং দ্রুত চোর শনাক্ত ও গরু উদ্ধারের তৎপরতা দেখতে চান ভুক্তভোগীরা।
১১ মে, ২০২৪

গাজীপুরে চোর সন্দেহে গণপিটুনিতে নিহত ২
গাজীপুরের কাপাসিয়ায় গরু চোর সন্দেহে গণপিটুনিতে দুজন নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) দিবাগত রাত ২টার দিকে কাপাসিয়ার সিংহশ্রী ইউনিয়নের নামিলা গ্রামের চান মিয়ার বাড়িতে একজন ও একই ইউনিয়নের বড়িবাড়ি গ্রামের ধানক্ষেত অপরজন নিহত হন।  কাপাসিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবু বকর মিয়া ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তাৎক্ষণিকভাবে নিহতদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রাত ২টার দিকে কাপাসিয়া থানাধীন সিংহশ্রী ইউনিয়নের নামিলা গ্রামে মনির উদ্দিনের ছেলে মো. চান মিয়ার বাড়িতে অজ্ঞাত পরিচয়ের কিছু লোক গরু চুরির উদ্দেশে প্রবেশ করেন। এ সময় চান মিয়া গরু চুরির বিষয়টি টের পেয়ে ডাকাডাকি করে এলাকাবাসীকে জড়ো করেন। পরে এলাকাবাসী ঘটনাস্থলে একজনকে ধরে ফেলে এবং গণপিটুনি দিলে ঘটনাস্থলেই একজনের মৃত্যু হয়। অন্যজনকে স্থানীয়রা ধাওয়া দিলে পার্শ্ববর্তী বড়িবাড়ি গ্রামে ধানক্ষেতের আড়ালে লুকান। পরে উত্তেজিত এলাকাবাসী তাকে ধান খেতের আড়াল থেকে খুঁজে বের করে পিটুনি দিলে ঘটনাস্থলেই তারও মৃত্যু হয়। সিংহশ্রী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আনোয়ার পারভেজ জানান, গরু চুরি রোধে এলাকায় গ্রামবাসী পাহারা বসিয়েছিল। রাতে গাড়িতে করে একটি কৃষকের গরু চুরি করতে কয়েকজন আসেন। গ্রামবাসী গরু চুরির বিষয়টি টের পেয়ে একজোট হয়ে দুজনকে গণপিটুনি দেয়। এতে ঘটনাস্থলে নামিলা গ্রামে একজন ও পার্শ্ববর্তী বড়িবাড়ি গ্রামের ধানক্ষেতে আরেকজন নিহত হন। তিনি বলেন, আরও চার-পাঁচজন গরু চোর এখনো এলাকায় আছে, গ্রামবাসী তাদের খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে। কাপাসিয়া থানার ডিউটি অফিসার আরিফ হোসেন বলেন, বৃহস্পতিবার রাত ২টার দিকে কাপাসিয়ার সিংহশ্রী ইউনিয়নের নামিলা গ্রামে ও বড়িবাড়ি গ্রামে গরু চোর সন্দেহে গণপিটুনিতে দুজন নিহত হয়েছেন। এ বিষয়ে কাপাসিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবু বকর মিয়া বলেন, গরু চোর সন্দেহে গণপিটুনিতে দুজন নিহত হয়েছেন। তাদের বিস্তারিত পরিচয় জানা যায়নি। মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
২৯ মার্চ, ২০২৪

দোকানে সিসি ক্যামেরা, মুখ লুকালেন চোর
আমরা প্রতিনিয়ত কত রকমের ঘটনার সম্মুখীন হয়ে থাকি কিন্তু আজ ভিন্ন রকমের ঘটনা সামনে নিয়ে এসেছি। লুঙ্গি দিয়ে মুখ লুকিয়ে উলঙ্গ হয়ে একটি দোকানে হানা দিয়েছে চোর। চুরির পুরো সময়টা উলঙ্গ ছিল, আর সম্পূর্ণ ভিডিওটি দোকানে থাকা সিসি ক্যামেরায় ধারণ হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে গাজীপুরের শ্রীপুরে। বুধবার (২০ মার্চ) ভোর সাড়ে ৫টার দিকে শ্রীপুর পৌরসভার মাওনা বাজার এলাকায় মাওনা বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের বিপরীত পাশে দেবাশীষ ভ্যারাইটিজ স্টোরে এ ঘটনা ঘটে। দোকানের মালিক দেবাশীষ সাহা জানান, বুধবার ভোরে ঘুম থেকে উঠে দোকানে সিসি ক্যামেরা দেখি। এসময় ৩টি ক্যামেরা থেকে ২টা ক্যামেরাতে কিছুই দেখতে না পেয়ে কিছু আগে টেনে পেছনের দৃশ্য দেখার চেষ্টা করি। এসময় পেছনের অংশে একটি লোককে মাথায় কাপড় বাধা ও উলঙ্গ অবস্থায় দেখতে পেয়ে দ্রুত দোকানে চলে আসি। তিনি জানান, দোকান খুলে দোকানের ড্রয়ার অগোছালো অবস্থায় দেখতে পাই। পরে দোকানে থাকা ইন্টারনেটে ব্যবহৃত রাউডার, বিক্রির জন্য রাখা বিভিন্ন ধরনের এয়ার ফোন ও ৫-৭টি মোবাইল চার্জার, গ্রামীণফোনের সিম বিক্রির কাজে ব্যবহৃত একটি ট্যাব ও দুইটা বাটন মোবাইল নিয়ে যায়। এতে ১৫-২০ হাজার টাকার মালামাল নিয়ে গেছে চোর। তিনি আরও বলেন, দোকানে অবস্থানের সময় চোর পুরো সময় তার ব্যবহৃত লুঙ্গি দিয়ে মাথা ঢেকে চুরি করে। এসময় তার পুরো শরীর ছিল উলঙ্গ। সিসি ক্যামেরায় ধারণকৃত ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছেড়ে দেওয়া হলে তা মুহূর্তেই ভাইরাল হয়ে যায়। ফেসবুক ব্যবহার কারী খোরশেদ আলম নামে এক সমাজ কর্মী লিখেছেন এমন চোর জীবনে এই প্রথম দেখলাম। নাঈম খান রাব্বি নামে অপর একটি ফেসবুক ব্যবহারকারী লিখেছেন, মনে হয় চোর যখন জানতে পারছে সিসি ক্যামেরা আছে, সতর্কতার জন্য মুখ ঢাকার চেষ্টা করেছে। তার থেকে বড় কথা চোর বেশ চালাক ভাবছে উলঙ্গ অবস্থায় চুরি করলে ফুটেজটা ভাইরাল করবে না কেউ, বেচারা চোরের চালাকিটা কাজে এলো না। মোহাম্মদ হাসান ফারুক নামে এক ফেসবুক ব্যবহারকারী লিখেছেন, চোরের যে কোন ধর্ম নাই, তা আবার প্রমাণ পেল। পড়নের লুঙ্গি খুলে পাগড়ি বানিয়েছে। দেবাশীষ সাহা আরও জানান, এর আগেও দুই বার দোকানে চুরির ঘটনা ঘটেছিল। তখন থানায় অভিযোগ দিয়েও কোনো প্রতিকার পাইনি। শ্রীপুর থানার ওসি মো. শাহজামান জানান, এঘটনায় এখনও কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
২১ মার্চ, ২০২৪

অভিজাত এলাকার চোর সাবেক যুগ্ম সচিবের মেয়ে
বাবা সাবেক যুগ্ম সচিব, বোন একটি মোবাইল ফোন অপারেটরের বড় কর্মকর্তা। সমাজের মার্জিত পরিবারের সন্তান হয়েও জুবাইদা সুলতানা (৪৪) বেছে নিয়েছেন চুরির পেশা। ঢাকার বিভিন্ন অভিজাত হোটেলে হওয়া সেমিনারে ভুয়া পরিচয়ে অংশ নিয়ে সেখান থেকে কৌশলে চুরি করতেন ব্যাগ, মোবাইল, ল্যাপটপ, টাকাসহ বিভিন্ন জিনিসপত্র। তার টার্গেট ছিল নারীরা। ১২ বছর ধরে তিনি এভাবেই চুরি করে আসছিলেন। এই দীর্ঘ সময়ে প্রায় ৮০০ চুরির ঘটনা ঘটিয়েছেন। ডিবি জানায়, গত ৩ মার্চ ঢাকা ক্লাবে গাইনোকোলজিক্যাল অনকোলজি-বিষয়ক এক সেমিনারে অংশ নেন জুবাইদা। সেখানে তিনি গাইনি অনকোলজি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ফারহানা হকের মোবাইল, ব্যাগ ও গহনা চুরি করেন। চুরির জিনিসপত্র বিক্রি করে দিলেও তার হোয়াটস অ্যাপ নম্বরটি নিজের মোবাইলে নেন জুবাইদা। এরপর থেকে ডা. ফারহানা সেজে হোয়াটস অ্যাপে ব্যবস্থাপত্র দিয়ে রোগীদের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছিলেন। এ বিষয়ে গত মঙ্গলবার রমনা মডেল থানায় একটি মামলা হয়। এরপর বিষয়টি নিয়ে ছায়াতদন্ত শুরু করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। গত শুক্রবার জুবাইদা সুলতানাকে গ্রেপ্তার করে ডিবির সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম (দক্ষিণ) বিভাগ। এ সময় উদ্ধার করা হয় বিভিন্ন হোটেল থেকে চুরি করা গহনা, মোবাইল, ভ্যানিটি ব্যাগ, টাকা, ল্যাপটপসহ বিপুল পরিমাণ প্রসাধন সামগ্রী। গতকাল শনিবার রাজধানীর মিন্টো রোডে নিজ কার্যালয়ে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেন, রাজধানীর গুলশান ক্লাব, ঢাকা ক্লাব, হোটেল র্যাডিসনসহ বিভিন্ন হোটেলে আয়োজিত সভা, সেমিনারসহ সামাজিক নানা অনুষ্ঠানে ভুয়া পরিচয় দিয়ে অংশ নিতেন জুবাইদা। সেখানে নারীদের সঙ্গে গড়ে তুলতেন সখ্য। এক সময় তাদের ব্যাগ, মোবাইল বা গুরুত্বপূর্ণ কোনো জিনিস নিয়ে দিতেন চম্পট। ডিবি প্রধান বলেন, বিলাসী জীবনযাপনে অভ্যস্ত জুবাইদাকে দেখে বোঝার উপায় নেই তিনি একজন পেশাদার চোর। চুরি শেষে কোনো পণ্য পছন্দ হলে নিজে ব্যবহার করতেন। বাকিগুলো বিক্রি করে দিতেন। তিনি স্বামীর চতুর্থ স্ত্রী। তার স্বামী বর্তমানে সৌদি প্রবাসী। সৌদিবাসী হলেও জুবাইদার চুরি করা জিনিস বিক্রির ব্যবস্থা করে দিতেন তিনি। অবসরপ্রাপ্ত সচিবের মেয়ে জুবাইদা। তার বড় বোনও চাকরিজীবী। চুরির স্বভাবের জন্য তিনি পরিবার থেকে বিতাড়িত হয়েছেন। ডিবি প্রধান বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সব স্বীকার করেছেন জুবাইদা। তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
১৭ মার্চ, ২০২৪

মিটার চুরি করে ফোন নম্বর লিখে গেল চোর
বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলায় এক রাতে ১০টি বৈদ্যুতিক মিটার চুরির পর চিরকুটে একটি মুঠোফোন নম্বর রেখে যায় চোর চক্র।  বুধবার (১৩ মার্চ) দিবাগত রাতে উপজেলার চাঁপাপুর ইউনিয়নের ৩টি গ্রামে এ চুরির ঘটনা ঘটে। মিটারের গ্রাহকরা ওই নম্বরে যোগাযোগ করলে তাদের কাছে প্রতিটি মিটারের দাম ১৪ হাজার টাকা দাবি করা হয় বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা। বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) দুপুরে বন্তইর গ্রামের গভীর নলকূপের মালিক রফিক ও শাহজাহান আলী জানান, একরাতেই উপজেলার বন্তইর, হাউসপুর ও বরিয়াবার্তা গ্রামে গভীর নলকূপের বৈদ্যুতিক মিটার চুরি হয়। চোর চক্র মিটারগুলো চুরির পর চিরকুটে একটি নম্বর রেখে যায়। সেই চিরকুটে আবার ছোট করে ‘মিটার চোর’ শব্দটিও উল্লেখ করা হয়।  তিনি আরও বলেন, মিটারের গ্রাহকরা ওই নম্বরে যোগাযোগ করলে তাদের কাছে প্রতিটি মিটারের দাম ১৪ হাজার টাকা দাবি করা হয়। এ টাকা ওই নম্বরে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে পাঠাতে বলা হয়েছে।  এদিকে সকালে এসব চুরি যাওয়া মিটারগুলোর মধ্যে বন্তইর গ্রামের একটি ফসলি মাঠের জমিতে খড়ের স্তূপের মধ্যে ওই গ্রামের বেলাল নামের এক ব্যক্তির বৈদ্যুতিক মিটার পাওয়া যায়। অন্যগুলো না পাওয়ায় ভুক্তভোগী গ্রাহকরা নিরুপায় হয়ে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছেন।  আদমদীঘি থানার ওসি রাজেশ কুমার চক্রবর্তী বলেন, মিটার চুরির ঘটনায় থানায় কেউ অভিযোগ করেননি। অভিযোগ পেলে তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে চোর শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা হবে।
১৪ মার্চ, ২০২৪

পুলিশ বক্সের জানালা দরজা খুলে নিল চোর
দিনাজপুর-গোবিন্দগঞ্জ মহাসড়কে ভারী যানবাহন ও পথচারীকে সুরক্ষা দিতে ২০০৪ সালে  বসানো হয়েছিল একটি পুলিশ বক্স। কিন্তু সেই পুলিশ বক্সে পাঁচ বছর ধরে থাকছে না পুলিশ। এতে ওই মহাসড়কে ছিনতাই ও অপরাধের ঘটনা বেড়ে গেছে। এমনকি দিনের পর দিন সড়কের পাশে অযত্নে অবহেলায় পড়ে থাকা সেই পুলিশ বক্সের জানালা দরজা খুলে নিয়ে গেছে চোরেরা। বেহাল দশার এ পুলিশ বক্সটি দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলা শহরের প্রবেশমুখ দিনাজপুর-গোবিন্দগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়কে। এলাকার নাম দুর্গাপুর। স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত এক মাসে ওই পুলিশ বক্সের সামনে মহাসড়কে চলাচল করা দূর্গাপুর গ্রামের পথচারীদের মধ্যে প্রায় আটজনের মোবাইল ফোন ছিনতাই হয়েছে। গত ডিসেম্বরে দিনাজপুর থেকে গোবিন্দগঞ্জগামী একটি যাত্রীবাহী বাসে ওই পরিত্যক্ত পুলিশ বক্সের সামনে থেকে সন্ধ্যায় দুর্বৃত্তরা পাথর ছুড়ে মারে। এতে করে বাসে থাকা এক নারীযাত্রী আহত হয়ে স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়েছেন। উপজেলার পলিপ্রয়াগপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রহমত আলী বলেন, দূর্গাপুর ঢিবিসহ আশপাশের পথচারী ও পরিবহনের নিরাপত্তার কথা ভেবে ২০০৪ সালে ইউনিয়ন পরিষদের উদ্যোগে এডিপির (বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি) মাধ্যমে ইটের দেয়াল ও টিনের ছাউনি দিয়ে একটি পুলিশ বক্স তৈরি করা হয়। তখন থেকে ১২ বছরের বেশি সময় ধরে সেখানে পুলিশ সদস্যরা পাহারা দিতেন। এর ফলে ওই সময়ে সেখানে ছিনতাই ও চুরি-ডাকাতি বন্ধ হয়েছিল। কিন্তু পাঁচ বছর ধরে সেখানে পুলিশের পাহারা না থাকায় এলাকায় আবারও চুরি ও ছিনতাই শুরু হয়েছে। গত এক মাসে আমার এলাকায় ৮ থেকে ১০টি জায়গায় চুরির ঘটনা ঘটেছে। স্থানীয় লোকজন বলেন, গত বছর নভেম্বর মাসের এক রাতে ওই পুলিশ বক্সে চার দেয়ালে থাকা লোহার গ্রিলের পাঁচটি জানালা খুলে নিয়ে গেছে চোরেরা। পুলিশ বক্সে দক্ষিণ পাশের শ্যামপুর গ্রামের বাসিন্দা ও দোকানি সুপুল মুর্মু কালবেলাকে বলেন, উটিতো আর পুলিশ থাকে না। চোরেরা জানলা-দরজা খুইলে নিয়ে গেইছে। পুলিশের ঘরের জানলা-দরজা চোরেরা যদি খুইলে নিয়ে যায়, তাইলে তো হামার মতো মানুষের বাড়িঘরোত দরজা-জানলা কিছুই থাকপে না। পুলিশ পাহারা দিলে তোহামার এলাকার মানুষের উপকার হলোহনে। এ ছাড়াও স্থানীয় পথচারীরা জানান, সন্ধ্যা লাগলেই পুলিশ বক্সে পাশের আদিবাসী গ্রামের কিছুসংখ্যক আদিবাসী চোলাই মদের ব্যবসা চালাচ্ছে। ফলে চোলাই মদসেবী মোটরসাইকেলের আনাগোনা বেড়ে চলেছে দিনের পর দিন।   দিনাজপুর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মমিনুল করিম পরিত্যক্ত পুলিশ বক্সটি পরিদর্শন করেন। তিনি বলেন, বিরামপুর থানায় পুলিশের জনবৃদ্ধি করে দূর্গাপুর এলাকা ও সেখানকার মহাসড়কে যেন কোনো ধরনের চুরি ছিনতাইয়ের ঘটনা না ঘটে সে জন্য পরিত্যক্ত পুলিশ বক্স সংস্কার করে পুলিশের জনবল বৃদ্ধি করে পাহারা বাড়াতে হবে। বিরামপুর থানার ওসি সুব্রত কুমার সরকার বলেন, পুলিশের পক্ষ থেকে সুযোগ না থাকলেও সেখানে এখন নিয়মিত পুলিশের পাহারা জোরদার করা হবে। পলিপ্রয়াগপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যন রহমত আলী কালবেলাকে বলেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে বলে পুলিশ বক্সটি দ্রুত সংস্কার করে মহাসড়কে পুলিশের পাহারার ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হবে।
০১ মার্চ, ২০২৪

আশুলিয়ায় নার্সিং কলেজে চোর সন্দেহে যুবককে পিটিয়ে হত্যা
আশুলিয়ার কাইচাবাড়ী এলাকার মাউন্ট ভিউ নার্সিং কলেজ ও ইনস্টিটিউটে চোর সন্দেহে যুবককে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল শুক্রবার বিকেলে কাইচাবাড়ীর মাউন্ট ভিউ হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। আশুলিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মাসুদুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। গ্রেপ্তাররা হলেন কাইচাবাড়ী এলাকার মো. মুসলিম ও সাইফুল শেখ । তারা দুজনই ওই প্রতিষ্ঠানের কর্মী বলে জানা গেছে। নিহতের নাম হান্নান শেখ (৩০)। তিনি পাবনা সদরের ভাড়ারা মধ্যপাড়া গ্রামের মোহাম্মদ আলী শেখ সচিনের ছেলে। মানসিক ভারসাম্যহীন হান্নান প্রায়ই কাউকে কিছু না বলে বাড়ি থেকে বের হয়ে যেতেন। হান্নানের ভগ্নিপতি মইনুল ইসলাম লিয়াকত বলেন, হান্নানের মানসিক সমস্যার কারণে স্ত্রী তাকে তালাক দিয়ে চলে গেছেন। মাঝে মধ্যেই তার এ সমস্যা দেখা দিত। তখন বাড়ি থেকে বের হয়ে যেতেন। তার অনেক চিকিৎসাও করানো হয়েছে; কিন্তু একেবারে সেরে ওঠে না। ৭-৮ মাস আগে বাড়ি থেকে বের হওয়ার পর অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তাকে পাওয়া যায়নি। গত ২১ ফেব্রুয়ারি তারা হান্নানের মৃত্যুর খবর পান। মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০ ফেব্রুয়ারি ভোরে হান্নান মাউন্ট ভিউ হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার ভবনের তিন তলায় ঢুকে পড়েন। এ সময় মুসলিম ও সাইফুল তাকে সেখান থেকে নামিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। তখন হান্নান কিছু না বলে পালানোর চেষ্টা করলে চোর সন্দেহে তাকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করেন তারা। পরে তাকে গণস্বাস্থ্য সমাজভিত্তিক মেডিকেল ঘুরে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। হান্নানের মৃত্যুর খবর পাওয়ার পর ২২ ফেব্রুয়ারি আশুলিয়া থানায় মামলা করেন ভগ্নিপতি লিয়াকত। এ বিষয়ে জানতে চাইলে মাউন্ট ভিউ নার্সিং কলেজ ও ইনস্টিটিউটের ম্যানেজার আব্দুল মালেক ফায়েক বলেন, আমি একজন আইনজীবীর চেম্বারে রয়েছি। আপনাকে পরে ফোন দেব। বলে তিনি ফোন কেটে দেন।
২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

নারী ক্রিকেটারের ফোন-টাকা উদ্ধার ধরা পড়ল চোর
জাতীয় নারী ক্রিকেট দলের সদস্য স্বর্ণা আক্তারের আইফোন ও ডলার চুরির ঘটনায় আরেক নারী ক্রিকেটারের স্বামী আল-আমিন দেওয়ান ওরফে আযানকে (২৯) গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। দুটি আইফোন, মার্কিন ডলারসহ প্রায় সাড়ে ৫ লাখ টাকার মালপত্র চুরির অভিযোগে গত সোমবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানায় আল-আমিনের বিরুদ্ধে মামলা করেন স্বর্ণা। এই মামলায় মঙ্গলবার রাতে দিনাজপুর থেকে আল-আমিনকে গ্রেপ্তারসহ চুরি যাওয়া আইফোন ও অন্যান্য মালপত্র উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল বুধবার বিকেলে তাকে গ্রেপ্তারের কথা জানিয়েছেন র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন। গত সোমবার রাজধানীর তেজকুনীপাড়া খেলাঘর মাঠে জাতীয় নারী ক্রিকেট দলের অলরাউন্ডার স্বর্ণা আক্তার সতীর্থদের নিয়ে অনুশীলন করছিলেন। এ সময় তার ব্যবহৃত দুটি আইফোন চুরি হয়। একই দিনে তার বাসা থেকে সাড়ে ৩ হাজার মার্কিন ডলার, ব্যাংকের চেক বই, ভিসা কার্ডসহ মূল্যবান জিনিসপত্র চুরির ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনায় সেদিন রাতে স্বর্ণা আক্তার রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানায় চুরির মামলা করেন। পরে মঙ্গলবার রাতে র‌্যাব-১৩ ও র‌্যাব-২-এর একটি দল দিনাজপুরে অভিযান চালিয়ে আল-আমিনকে গ্রেপ্তার করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আল-আমিন চুরির বিষয়টি স্বীকার করেছেন। র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, আল-আমিন মূলত একজন প্রতারক। তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিভিন্ন আইডি খুলে নিজেকে বড় ব্যবসায়ী পরিচয় দিতেন এবং সুন্দর নারীদের আকৃষ্ট করতে নিয়মিত বিভিন্ন স্টাইলে ছবি পোস্ট করতেন। নিজেকে প্রদর্শনের জন্য টিকটক ভিডিও তৈরি করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আপলোড করতেন। এভাবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নারীদের সঙ্গে কৌশলে সম্পর্ক গড়ে তোলেন তিনি। পরবর্তী সময়ে আল-আমিন এসব নারীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তাদের আস্থা অর্জন করে নিয়মিত তাদের সঙ্গে দেখা করতেন। অনেক ক্ষেত্রে কোনো নারীকে বিয়ে করে বা বিয়ে না করে সুবিধাজনক সময়ে তাদের নগদ অর্থসহ মূল্যবান জিনিসপত্র নিয়ে আত্মগোপনে চলে যেতেন। সম্প্রতি আল-আমিন নিজেকে গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তার পরিচয় ও বর্তমানে ছুটিতে অবস্থান করে কাপড়ের ব্যবসা করছেন বলে এক নারী ক্রিকেটার সঙ্গে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পরিচিত হন। পরিচয়ের ১৭ দিনের মাথায় গত ১২ জানুয়ারি আল-আমিন ওই নারী ক্রিকেটারকে বিয়ে করেন। র্যাবের এই কর্মকর্তা আরও বলেন, জাতীয় ক্রিকেট দলের নারী সদস্য স্বর্ণা আক্তারের সঙ্গে ওই নারী ক্রিকেটারসহ চারজন তিন বছর ধরে রাজধানীর পূর্ব রাজাবাজার একটি ফ্ল্যাটে বসবাস করে আসছিলেন। আল-আমিন ওই ফ্ল্যাটে নতুন স্ত্রীকে নিয়ে একটি আলাদা রুমে বসবাস করতে থাকেন। গত ২৯ জানুয়ারি সকাল সাড়ে ৯টার দিকে স্বর্ণা অক্তার তিন রুমমেটসহ সতীর্থ খেলোয়াড়দের নিয়ে তেজকুনীপাড়া খেলাঘর মাঠে অনুশীলনে যান। এ সময় আল-আমিন বাসায় অবস্থান করছিলেন। তখন স্বর্ণার রুমের ওয়ার্ডরোবের ড্রয়ারের তালা ভেঙে ডলার, একটি চেক বই, ভিসা কার্ড, তার রুমমেট অন্য নারী ক্রিকেটারের ব্যাগ থেকে সাড়ে ৬ হাজার টাকাসহ অন্যান্য জিনিসপত্র নিয়ে বাসা থেকে বের হয়ে যান। এরপর যান তেজকুনীপাড়া খেলাঘর মাঠে। সেখানে ক্রিকেটারদের অনুশীলনের ভিডিও করার কথা বলে স্বর্ণা আক্তারের আইফোনটি চেয়ে নেন। ছবি তোলার ফাঁকে কৌশলে ব্যাগ থাকা আরেকটি আইফোনসহ দুটি ফোন নিয়ে পালিয়ে যান।
০১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

‘আগে চুরি করতাম স্যার, এখন ভালো হয়ে গেছি’
কথায় আছে চোরের দশ দিন গৃহস্তের একদিন। এবার ঠিক তেমনটাই যেন ঘটল চট্টগ্রামের চান্দগাঁও থানা এলাকায়।  আন্তঃজেলা চোর চক্রের সদস্য গোলামুর রহমানকে (মনা) গ্রেপ্তারের পর ভয়ে সে পুলিশের উদ্দেশে বলে, ‘আগে চুরি করতাম স্যার, এখন ভালো হয়ে গেছি’। তবে এর পরপরই তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে আরও দুটি চোরাই মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ।  বুধবার (৩১ জানুয়ারি) দুপুরে মনাকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চান্দগাঁও থানার ওসি জাহিদুল কবির। এর আগে মঙ্গলবার রাতে তাকে চান্দগাঁও থানার এক কিলোমিটার এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।  পুলিশ জানায়, চট্টগ্রাম নগরের চকাবাজার, চান্দগাঁও থানায় মনার বিরুদ্ধে ডাকাতির প্রস্তুতি মামলা ও চুরির মামলা রয়েছে। তাছাড়া ঢাকার যাত্রাবাড়ী থানায় রয়েছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা। মনার বাড়ি নোয়াখালী হলেও তিনি থাকতেন চট্টগ্রামের চান্দগাঁও এলাকায়। মোবাইল, মোটরসাইকেল চুরিসহ নানা অপকর্মের সাথে জড়িত সে।  চান্দগাঁও থানার এসআই আব্দুল মোনাফ কালবেলাকে বলেন, ‘গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আমরা মনাকে গ্রেপ্তার করি। ধরা পড়ার পর মনা আমাদের বলেছিল সে এখন ভালো হয়ে গেছে। কিন্তু তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতেই দুটি চোরাই মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় চুরি, ডাকাতি, মাদকদ্রব্য আইনে মামলা রয়েছে।’
৩১ জানুয়ারি, ২০২৪
X