অবরোধের সমর্থনে জজকোর্ট প্রাঙ্গণে বিক্ষোভ 
একতরফা তপশিল প্রত্যাখ্যানসহ সরকার পতনের একদফা দাবিতে অবরোধের সমর্থন জানিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করেছে ইউনাইটেড ল'ইয়ারস ফোরাম ঢাকা বার ইউনিটের আইনজীবী নেতারা। বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর) জজকোর্ট প্রাঙ্গণে বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়ে আইনজীবী সমিতিতে শেষ হয়। এ সময় আইনজীবীরা বলেন, সরকার আবারও ২০১৪ ও ১৮ সালের মতো একদলীয় নির্বাচন মাধ্যেমে ক্ষমতায় আসতে চায়। তারই অংশ হিসেবে জনগণের দাবি উপেক্ষা করে সরকারের আজ্ঞাবহ নির্বাচন কমিশন দিয়ে নির্বাচনের তফসিল জারি করেছে। আইনজীবী নেতারা বলেন, এ সরকার ভোট চোর, গণতন্ত্র হত্যাকারী। বর্তমান সরকারের অধীনে কোনো সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। দেশে আর প্রহসনের নির্বাচন হবে না, হতে দেওয়া হবে না বলেও হুঁশিয়ারি দেন তারা। সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন মহানগর দায়রা জজের সাবেক পিপি বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট মহসিন মিয়া। এ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সহসভাপতি অ্যাডভোকেট লতিফ তালুকদার, অ্যাডভোকেট ওমর ফারুক ফারুকী, অ্যাডভোকেট খোরশেদ মিয়া আলম, অ্যাডভোকেট ইকবাল হোসেন, অ্যাডভোকেট মকবুল হোসেন ফকির, অ্যাডভোকেট খোরশেদ আলম, অ্যাডভোকেট জহির রায়হান জসিম, অ্যাডভোকেট সেলিম হোসেন অ্যাডভোকেট মো. জিয়াউদ্দিন জিয়া, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট তাহেরুল ইসলাম তৌহিদ, সাইফুল ইসলাম মিয়াজিসহ কয়েক শতাধিক আইনজীবী। 
১৬ নভেম্বর, ২০২৩

লক্ষ্মীপুর জজকোর্ট প্রাঙ্গণ থেকে অটোরিকশা ছিনতাই
লক্ষ্মীপুর জজকোর্ট প্রাঙ্গণ থেকে মো. নূর আলম (৩৫) নামে এক ব্যক্তির অটোরিকশা (মিশুক) ছিনতাইকারীরা নিয়ে যায়। এ সময় তিনি আদালত প্রাঙ্গণে নিজের অটোরিকশা পার্কিং করে একটি মামলায় হাজিরা দিতে গিয়েছিলেন। জীবিকার একমাত্র সম্বল অটোরিকশা হারিয়ে চালক নূর আলম ও তার স্ত্রী মুক্তা বেগম আদালত পাড়ায় কান্নায় ভেঙে পড়েন। কিছুতেই থামছে না স্বামী-স্ত্রীর কান্না। রোববার (২০ আগস্ট) দুপুর ২টার কার দিকে লক্ষ্মীপুর জজকোর্ট প্রাঙ্গণে স্বামী-স্ত্রীর কান্নার দৃশ্য চোখে পড়ে। চারপাশে উৎসুক জনতা দাঁড়িয়ে ছিল। নূর-আলম সদর উপজেলার বশিকপুর ইউনিয়নের রশিদপুর গ্রামের রাধা বাড়ির মৃত নূরনবীর ছেলে। এ ছাড়াও তিনি এক কন্যাসন্তানের জনক। খবর পেয়ে শহর পুলিশ ফাঁড়ির (ইনচার্জ) মো. জহিরুল আলম আদালত পাড়ায় এসে রিকশাচালক নূর আলমের সঙ্গে কথা বলেন এবং তাকে থানায় লিখিত অভিযোগ দেওয়ার পরামর্শ দেন। ভুক্তভোগী নূর আলম জানান, রোববার সকালে একটি মাদক মামলায় আদালতে হাজিরা দিতে আসেন। কোর্টের অষ্টম তলায় হাজিরা দিতে যান। ওই সময় স্ত্রী মুক্তা বেগমকে রিকশায় বসিয়ে রেখে যান। দীর্ঘক্ষণ দেরি হওয়ায় স্ত্রী মুক্তা বেগম তার সন্ধানে কোর্টে যান। হাজিরা দিয়ে এসে দেখেন তার (মিশুক) গাড়িটি নাই। জীবিকার একমাত্র সম্বল (মিশুক) হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে গেছে স্বামী-স্ত্রী। নূর-আলমের স্ত্রী মুক্তা বেগম জানান, ৫টি কিস্তি থেকে টাকা নিয়ে অটোরিকশা (মিশুক) কিনি। এখন আমরা কীভাবে চলব। কীভাবে কিস্তি পরিশোধ করব। আল্লাহ ছাড়া এখন আমাদের কিছুই নেই। লক্ষ্মীপুর শহর পুলিশ ফাঁড়ির (ইনচার্জ) জহিরুল আলম বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করছি। ভুক্তভোগী চালককে লিখিত অভিযোগ দিতে বলছি। এ ছাড়া আমরা (পুলিশ) আদালতের যেসব সিসিটিভির ফুটেজ আছে সেইগুলো সংগ্রহ করে অটোরিকশা উদ্ধারে অভিযান চালাব।  
২০ আগস্ট, ২০২৩
X