পরীক্ষার রুটিনে পরিবর্তন আনল জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়
শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে ২০২২ সালের অনার্স চতুর্থ বর্ষের চূড়ান্ত পরীক্ষার রুটিন পরিবর্তন করেছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। গত বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে পরীক্ষার পরিবর্তিত সময়সূচি প্রকাশ করেছে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক দপ্তর। জানা গেছে, গত ২০ মার্চ অনার্স চতুর্থ বর্ষের চূড়ান্ত পরীক্ষার রুটিন প্রকাশ করে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়। রুটিন অনুযায়ী, ১৯ মে পরীক্ষা শুরু হয়ে শেষ হবে ১১ জুন। সেই সূচি অনুযায়ী ঈদুল আজহার আগেই পরীক্ষা শেষ হওয়ার কথা। তবে প্রতি বিষয়ের পরীক্ষার মাঝে কম ছুটি দেওয়া হয়েছে উল্লেখ করে রুটিন পরিবর্তনের দাবিতে আন্দোলনে নামেন শিক্ষার্থীরা। পরীক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে অনার্স চতুর্থ বর্ষের চূড়ান্ত পরীক্ষার পরিবর্তিত সময়সূচি প্রকাশ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। পরিবর্তিত সময়সূচি অনুযায়ী, আগামী ১৯ মে পরীক্ষা শুরু হবে, চলবে ২৭ জুন পর্যন্ত। রুটিনে দেখা গেছে, প্রতিটি পরীক্ষার মাঝে দুই থেকে তিন দিনের বিরতি দেওয়া হয়েছে। তিনটি পরীক্ষা ঈদুল আজহার পরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
২০ এপ্রিল, ২০২৪

শিক্ষার্থীদের আন্দোলন, পরীক্ষার রুটিনে পরিবর্তন আনল জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়
শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে ২০২২ সালের অনার্স ৪র্থ বর্ষের চূড়ান্ত পরীক্ষার রুটিন পরিবর্তন করেছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে পরীক্ষার পরিবর্তিত সময়সূচি প্রকাশ করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক দপ্তর। জানা গেছে, গত ২০ মার্চ অনার্স চতুর্থ বর্ষের চূড়ান্ত পরীক্ষার রুটিন প্রকাশ করে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়। রুটিন অনুযায়ী, ১৯ মে পরীক্ষা শুরু হয়ে শেষ হবে ১১ জুন। সেই সূচি অনুযায়ী ঈদুল আজহার আগেই পরীক্ষা শেষ হওয়ার কথা। তবে চূড়ান্ত পরীক্ষার রুটিনে প্রতিটি বিষয়ের পরীক্ষার মাঝে কম ছুটি দেওয়া হয়েছে উল্লেখ করে এই রুটিন পরিবর্তনের দাবিতে আন্দোলনে নামে শিক্ষার্থীরা। তাদের দাবি ছিল, প্রতিটি পরীক্ষার মাঝে অন্তত ২ থেকে ৩ দিন বিরতি দেওয়া হোক। এরপর পরীক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে বৃহস্পতিবার অনার্স চতুর্থ বর্ষের চূড়ান্ত পরীক্ষার পরিবর্তিত সময়সূচি প্রকাশ করেছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। পরিবর্তিত সময়সূচি অনুযায়ী, আগামী ১৯ মে এই পরীক্ষা শুরু হবে। যা চলবে ২৭ জুন পর্যন্ত। রুটিনে দেখা গেছে, প্রতিটি পরীক্ষার মাঝে ২ থেকে ৩ দিনের বিরতি দেওয়া হয়েছে। আবার তিনটি পরীক্ষা ঈদুল আজহার পরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এমনকি, ঈদের কারণে একটি পরীক্ষার মাঝে শিক্ষার্থীরা ছুটি পাচ্ছে ১১ দিন।  
১৯ এপ্রিল, ২০২৪

ব্লেন্ডেড অ্যাপ্রোচে প্রশিক্ষণ বাড়াচ্ছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়
‘ব্লেন্ডেড অ্যাপ্রোচে’ শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ বাড়ানো হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মশিউর রহমান। তিনি বলেন, কলেজ শিক্ষকদের দক্ষ করতে বহুমুখী প্রশিক্ষণ কার্যক্রম পরিচালনার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ২০২৪ সালে শিক্ষক প্রশিক্ষণই সর্বোচ্চ গুরুত্ব পাবে। সরাসরি প্রশিক্ষণ দিয়ে মাস্টার ট্রেইনার তৈরি করা হবে। জিআইএস, মেন্টাল হেলথ, ক্যারিয়ার কাউন্সিল বিষয়েও প্রশিক্ষণ চলবে। বুধবার কলেজ এডুকেশন ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্টের (সিইডিপি) অধীন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় আয়োজিত বিষয়ভিত্তিক শিক্ষক প্রশিক্ষণের সমাপনী অনুষ্ঠানে অনলাইনে যুক্ত হয়ে এসব কথা বলেন উপাচার্য। বিষয়ভিত্তিক শিক্ষক প্রশিক্ষণ কার্যক্রম ১ জানুয়ারি শুরু হয়।
০২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

সমন্বিত উদ্যোগে এগিয়ে যেতে চায় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় : উপাচার্য
বঙ্গবন্ধু কন্যার শিক্ষা দর্শন নিয়ে সমন্বিত উদ্যোগে এগিয়ে যেতে চায় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়। এ বিশ্ববিদ্যালয়কে নিয়ে আগামী দিনে আমরা যা করতে চাই তার রূপকল্প নির্ধারিত। অধিভুক্ত কলেজের অধ্যক্ষ, শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীদের সঙ্গে নিয়েই তা বাস্তবায়ন করা হবে বলে জানিয়েছেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. মশিউর রহমান।  সোমবার বিকালে গাজীপুরে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ক্যাম্পাসে সিনেট হলে কলেজে র‌্যাংকিং- এ বিজয়ী কলেজের অধ্যক্ষবৃন্দের মাঝে পুরস্কার ও সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।  ড. মো. মশিউর রহমান বলেন, বঙ্গবন্ধু এবং শেখ হাসিনার বাংলাদেশে একটি সন্তানও অর্থের অভাবে পড়াশোনা করতে পারবে না তা কাম্য নয়। আমরা এটা মেনে নিতে পারি না। অস্বচ্ছল শিক্ষার্থীদের জন্য বৃত্তি প্রকল্প চালু করেছি, যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী উদ্বোধন করেছেন। এই বৃত্তিপ্রকল্পের আওতায় অস্বচ্ছল মেধাবী শিক্ষার্থীদের অর্থায়ন করা হবে। সকল কলেজে তালিকা চাওয়া হয়েছে। আপনারা সেই তালিকা প্রেরণ করলেই আমরা অর্থ প্রেরণ করব।  বাংলাদেশ নিঃসন্দেহে নতুন প্রজন্মকে সঙ্গে নিয়ে বিশ্বে অনন্য রোল মডেল হবে জানিয়ে উপাচার্য বলেন, ‘আমাদের মূল লক্ষ্য বাংলাদেশকে পরিবর্তনের দিকে নিয়ে যাওয়া। আমাদের লক্ষ্য শিক্ষার্থীদের বিশ্বমানের করে গড়ে তোলা। যে মুক্তিযোদ্ধারা আত্মাহুতি দিয়েছেন- যাদের রক্তের ঋণে আমরা আবদ্ধ তাদের প্রতি আমাদের শ্রদ্ধা রাখা। একজন মুক্তিযোদ্ধার স্মৃতির কাছে দাঁড়িয়ে আমরা যেন গৌরবের সাথে বলতে পারি- যে হাতে দিয়ে গেছে এই দেশ, সেই হাত এই দেশ সুরক্ষায় অতন্দ্র প্রহরীর মতো কাজ করছে। সেটি পরাশক্তিকে পরাভূত করে। বাংলাদেশ নিঃসন্দেহে নতুন প্রজন্মকে সঙ্গে নিয়ে বিশ্বে অনন্য রোল মডেল হবে। এটি কোনো গল্প নয়, রূপকথা নয়। এটিই বাস্তবতা।’  দেশের প্রথিতযশা সমাজবিজ্ঞানী ড. মশিউর রহমান বলেন, ‘আপনারা যারা অধ্যক্ষবৃন্দ রয়েছেন- পাওয়া, না পাওয়া, দুঃখ, বেদনাকে পাশে রেখে নিত্যদিন বাংলাদেশ গড়ার কাজে সম্পৃক্ত হচ্ছেন সততা, নিষ্ঠা এবং দক্ষতার সাথে। আমাদের সীমাবদ্ধতাগুলো যেমন আমরা জানি, কিন্তু স্বপ্নের কাছে পরাজিত না হওয়ার শিক্ষা আমরা মুক্তিযুদ্ধের মধ্যদিয়ে পেয়েছি। ৯ মাসের সশস্ত্র লড়াইয়ের সময়ে আমাদের সাধারণ নিরন্ন মানুষ সশস্ত্র গেরিলা যোদ্ধা হয়েছে শুধুমাত্র দেশমাতৃকা প্রতিষ্ঠার স্বপ্নে। ওই স্বপ্নে আমরা পরাজিত করার কোন পথ সামনে রাখিনি। ওই স্বপ্নে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ৭ই মার্চে সবাইকে প্রস্তুতি নেয়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন। সেই আহ্বানে সারা দিয়ে ৩০ লক্ষ মানুষ আত্মাহুতি দিয়েছেন। ২ লক্ষ মা-বোন নির্যাতন সয়ে একটি মানচিত্র এঁকেছেন। এই বিরল আত্মত্যাগ পৃথিবীর আর কোথাও নেই। সুতরাং ভিন্ন ঐতিহ্য, সংস্কৃতি আর গৌরব নিয়ে যে বাংলাদেশ- সেই বাংলাদেশ বিশ্বব্যাংককে চ্যালেঞ্জ করে আত্মমর্যাদার পদ্মাসেতু নির্মাণ করবে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে চ্যালেঞ্জ করে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিজস্ব গণতন্ত্রকে সমুন্নত রাখবে সেটিই বাংলাদেশের স্বকীয়তা।’ উপাচার্য ড. মশিউর রহমান বলেন, ‘যখন পৃথিবীর অন্যান্য দেশ যুদ্ধে অবতীর্ণ হয়, সেই সময়ে আমরা মিয়ানমারের লক্ষ লক্ষ শরণার্থীকে আশ্রয় দেই। পৃথিবীর বহু উন্নত রাষ্ট্র মানবিক হতে পারেনি যেটা বাংলাদেশ পেরেছে। সুতরাং আমাদের শক্তিমত্ত্বার উৎস অন্যত্র। মুক্তিযুদ্ধ, বঙ্গবন্ধু আমাদের অনুপ্রেরণার মূল ক্ষেত্র। সেটিকে বিবেচনায় রেখেই জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় নিজেকে গড়ে তুলবার চেষ্টা করছে। একটি প্রতিকূল অবস্থার মধ্য দিয়ে আমরা যখন অতিক্রম করছি তখন এই বিশ্ববিদ্যালয়ের অঙ্গীভূত বঙ্গবন্ধু মুক্তিযুদ্ধ বাংলাদেশ গবেষণা ইনস্টিটিউট বন্ধ করে দিয়ে ইতিহাস চর্চার পথকে রুদ্ধ করা হয়েছে। কিন্তু আমরা আমাদের শিক্ষার্থীদেরকে প্রিয় দেশমাতৃকা বুঝতে এবং শেখাতে চেয়েছি। সেকারণেই বঙ্গবন্ধু মুক্তিযুদ্ধ বাংলাদেশ গবেষণা ইনস্টিটিউট যেমন পুনঃপ্রতিষ্ঠা হয়েছে। একইসঙ্গে স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদ্বয়ের ইতিহাস অবশ্যপাঠ্য করা হয়েছে। সেখানেই আমরা থেমে থাকিনি। আমরা অ্যাকাডেমিক ও ফিজিক্যাল মাস্টার প্ল্যান তৈরি করেছি। পিজিডি ও শর্টকোর্স চালু করেছি। উদ্দেশ্য ধীরে ধীরে দক্ষতাভিত্তিক একটি প্রজন্ম তৈরি করা। পাশাপাশি আমরা আরও অনেক কাজ হাতে নিয়েছি। পর্যায়ক্রমে তা বাস্তবায়ন করা হবে।’   তিনি বলেন, ‘একজন শিক্ষক দেশ গড়ার জন্য নিজেকে যেভাবে নিবেদিত করেন- আমি এখনো আস্থার সঙ্গে বলতে পারি বাংলাদেশে অথবা পৃথিবীর আর কোনো মহত্ত্বম পেশা নেই যেখানে নিজে সংশ্লিষ্ট থেকে আত্মনিয়োগ করে পরবর্তী প্রজন্মকে সন্তানের মতো, কখনো কখনো সন্তানের চেয়ে অধিক আদর নিয়ে শিক্ষার্থীদের বড় করে। এর মধ্যে যে অপরূপ শক্তি আছে, মাধুর্য্য আছে, তৃপ্তি আছে সেটি অন্য কোনো পেশায় নেই। সেকারণেই শিক্ষকতার মহত্ত্ব ভিন্ন। কারো স্বীকৃতির অপেক্ষায় থাকে না।’    শিক্ষক প্রশিক্ষণে গুরুত্বারোপ করে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য বলেন, ‘২০২৪ সালে আমরা ৫ হাজার শিক্ষককে আইসিটি এবং ৫ হাজার শিক্ষককে প্যাডাগোজি বিষয়ে প্রশিক্ষণ নিয়ে এক্সপার্ট হিসেবে তৈরি করতে চাই। মেন্টাল হেলথ এবং ক্যারিয়ার কাউন্সিলিং বিষয়ে আমরা প্রশিক্ষণ ইতোমধ্যে শুরু করেছি। সারাদেশে এটি ছড়িয়ে দিতে চাই। বই লেখা প্রকল্প শুরু করেছি। গবেষণা প্রকল্প আমরা গ্রহণ করেছি। ক্লাসরুমে শিক্ষার্থী ফিরিয়ে আনতে চাই। এজন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।’ আইন করে শিক্ষার্থীদের বাধ্য করার চেয়ে তাকে অনুপ্রাণিত করা জরুরি উল্লেখ করে উপাচার্য ড. মশিউর রহমান বলেন, ‘কোনো কিছুই আইন করে করা যায় না। শিক্ষার্থীদের ক্লাসরুমে ফিরিয়ে আনতে ক্লাসরুমকে আকর্ষণীয় করে তুলতে হবে। শিক্ষক যদি ভালো প্যাডাগোজি নিয়ে হাজির হয় তাহলে আমার বিশ্বাস শিক্ষার্থীরা নিশ্চয়ই ক্লাসমুখী হবে। আমরা এক্সামিনেশন ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (ইএমএস) চালু করেছি। ইতোমধ্যে আমাদের সারাদেশের শিক্ষকদের ৮০ শতাংশ ইএমএসে সাফল্য দেখিয়েছেন। এই পদ্ধতির ফলে পরীক্ষা গ্রহণ, ফলাফল তৈরি থেকে শুরু করে ফরম পূরণ সবকিছুই দ্রুত সময়ের মধ্যে সম্পন্ন হবে। লার্নিং ম্যানেজমেনন্ট সিস্টেম (এলএমএস) প্রণয়ন করা হয়েছে। সহশিক্ষা পাঠ্যক্রম আরও বিস্তৃত করা হচ্ছে। কলেজগুলোতে ক্লাব কার্যক্রম বাড়ানো খুবই জরুরি। আমার অচিরেই সারাদেশে ‘ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি ক্যাম্প’ চালু করতে যাচ্ছি। যেখানে শিক্ষার্থীরা হাতে কলমে সহশিক্ষা পাঠগ্রহণসহ নানাবিধ বিষয়ে শিখতে পারবে।’  জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কলেজগুলো মধ্যে ২০১৮ সালের কলেজ র্যাংকিং এ জাতীয় পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ ৫ কলেজের মধ্যে প্রথম হয়েছে রাজশাজী কলেজ। এরপর পর্যায়ক্রমে পাবনার সরকারি এডওয়ার্ড কলেজ, বগুড়ার সরকারি আজিজুল হক কলেজ, ময়মনসিংহের আনন্দ মোহন কলেজ, রংপুরের কারমাইকেল কলেজ। জাতীয় পর্যায়ে সেরা মহিলা কলেজ নির্বাচিত হয়েছে লালমাটিয়া মহিলা কলেজ, ঢাকা। জাতীয় পর্যায়ে সেরা সরকারি কলেজ রাজশাহী কলেজ। জাতীয় পর্যায়ে সেরা বেসরকারি কলেজ ঢাকা কমার্স কলেজ। বিজয়ী এসব কলেজের অধ্যক্ষবৃন্দের হাতে আজকের অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে পুরস্কার প্রদান করা হয়েছে।  জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত ৮৮১টি স্নাতক (সম্মান) পাঠদানকারী কলেজের পারফরমেন্স-এর ভিত্তিতে ২০১৫, ২০১৬ ও ২০১৭ সালের কলেজ র‌্যাংকিং ফলাফল প্রকাশ করা হয়। ২০১৮ সালের কলেজ র‌্যাংকিং-এর জন্য অনলাইনে তথ্য প্রেরণের আহবান জানিয়ে ০৩ মার্চ ২০১৯ খ্রি: জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েব সাইটে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী  আবেদন যাচাই-বাছাই করে ১২৫টি কলেজ প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত হয়। নির্ধারিত কচও পয়েন্টের ভিত্তিতে জাতীয় পর্যায়ে ৮টি এবং ঢাকা অঞ্চলে ১০টি, চট্টগ্রাম অঞ্চলে ১০টি, রাজশাহী অঞ্চলে ১০টি, খুলনা অঞ্চলে ১০টি, বরিশাল অঞ্চলে ০৪টি, সিলেট অঞ্চলে ০৬টি, রংপুর অঞ্চলে ১০টি ও ময়মনসিংহ অঞ্চলে ০৮টি সর্বমোট ৭৬টি কলেজ চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত করা হয়।  জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. মশিউর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. নিজামউদ্দিন আহমেদ, কোষাধ্যক্ষ প্রফেসর আবদুস সালাম হাওলাদার, রংপুরের উত্তর বাংলা কলেজের প্রতিষ্ঠাতা ও অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. মোজাম্মেল হক প্রমুখ। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কলেজ মনিটরিং এন্ড ইভালুয়েশন দপ্তরের পরিচালক রফিকুল আকবরের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে সারাদেশের বিজয়ী কলেজের অধ্যক্ষবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। 
৩০ জানুয়ারি, ২০২৪

শিক্ষামন্ত্রীকে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ভিসির অভিনন্দন
নবনিযুক্ত শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরীকে স্বাগত ও অভিনন্দন জানিয়েছেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (ভিসি) প্রফেসর মো. মশিউর রহমান। গত শুক্রবার এক অভিনন্দন বার্তায় উপাচার্য শিক্ষামন্ত্রীকে শুভেচ্ছা জানান এবং তার নেতৃত্বে শিক্ষার গুণগত মান নিশ্চিতে নতুন দিগন্তের সূচনা হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। এতে উপাচার্য বিদায়ী শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনিকেও ধন্যবাদ জানান। উপাচার্য বলেন, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে উপমন্ত্রী হিসেবে মহিবুল হাসান যে কাজ করেছেন, তা ছিল প্রশংসনীয়। এই পদে থেকে তিনি যে অভিজ্ঞতা ও দক্ষতা অর্জন করেছেন, তা নতুন দায়িত্ব পালনে আরও বেশি সহায়ক হবে। আগামীদিনে তার দক্ষ নেতৃত্বে তা এগিয়ে যাবে এবং সেটি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শিক্ষা দর্শন বাস্তবায়নে সত্যিকার অর্থেই প্রভাব ফেলতে সক্ষম হবে।
১৪ জানুয়ারি, ২০২৪

শেখ হাসিনা মানেই সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন : জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. মশিউর রহমান বলেছেন, আগামী নির্বাচন বাংলাদেশের উন্নয়ন, অগ্রগতি এবং গণতান্ত্রিক চর্চার ধারাবাহিকতা রক্ষার নির্বাচন। গণতন্ত্রে বিশ্বাসী বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা মানেই সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ এবং শান্তিপূর্ণ নির্বাচন।   শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবে এডুকেশন, রিসার্চ এন্ড ডেভেলপমেন্ট ফোরাম অব বাংলাদেশ (ইআরডিএফবি) আয়োজিত আব্দুস সালাম অডিটোরিয়ামে উন্নয়ন ও নির্বাচন শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ড. মো. মশিউর বলেন, আগামী নির্বাচনে আমাদের সকলের উচিত ঐক্যবদ্ধ হয়ে নিজ নিজ জায়গা থেকে শেখ হাসিনাকে নির্বাচিত করে গণতন্ত্রের এই পথচলা অব্যাহত রাখতে সহায়তা করা। বঙ্গবন্ধুকন্যা স্বৈরাচারী শাসকের রক্ত চক্ষুকে উপেক্ষা করে এ দেশের অসহায় জনগোষ্ঠীর ভাত ও ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দিয়েছেন।   বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের সদস্য ড. মো. সাজ্জাদ হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সাহাদাত হোসেন সিদ্দিকী মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।   বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (রুটিন দায়িত্ব) ও সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. বদরুজ্জামান ভূঁইয়ার সঞ্চালনায় সেমিনারের ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আব্দুর রশীদ, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের  উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাহবুবা নাসরীন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের  অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আবু ইউসুফ ও  বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. আবদুল জব্বার খান প্রমুখ বক্তব্য দেন। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপক অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সাহাদাত হোসেন সিদ্দিকী তার বক্তব্যে বলেন, বর্তমান সরকারের একান্ত প্রচেষ্টার ফলে বাংলাদেশ এইচডিআইয়ের ক্ষেত্রে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে সবার ওপরে অবস্থান করছে। বাংলাদেশের উন্নয়নের এই স্থিতিশীলতা ধরে রাখলে আগামীতে এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশে অনেক বেশি এফডিআই আসবে।  সভাপতি অধ্যাপক ড. সাজ্জাদ হোসেন বলেন, বাংলাদেশের ৭০ ভাগ মানুষের ভোটে আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়লাভ করার মাধ্যমে উন্নয়ন ও গণতন্ত্রের এই ধারা অব্যাহত থাকবে।
০৮ ডিসেম্বর, ২০২৩

অবহেলার আরেক নাম জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়
প্রায়ই জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ালেখার মান নিয়ে পত্রিকায় লেখা প্রকাশ হয়। কিন্তু জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় চলতে থাকে তার আপন মহিমায়; যেন দেখার, ভাবার কিংবা পরিবর্তনের কেউ নেই। আজকে যেখানে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষার্থীর পেছনে বার্ষিক ব্যয় ধরা হয় ১ হাজার ১৫১ টাকা, সেখানে ইউজিসির দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বছরে মাথাপিছু ব্যয় ২ লাখ ১২ হাজার এবং চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীপিছু সরকারের বার্ষিক ব্যয় ১ লাখ ৯২ হাজার টাকার বেশি, যা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর ব্যয়ের তুলনায় প্রায় ১৬৬ গুণ বেশি। বাংলায় একটা কথা প্রচলিত আছে, ‘যত গুড় দিব, তত মিষ্টি হবে।’ যেখানে গুড়ই দেওয়া হয় ১৬৬ ভাগের এক ভাগ, সেখানে ভালো মিষ্টি আশা করাটাই যেন রূপকথার গল্প। শুধু বাজেটেই নয়, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় অবহেলিত আর উপেক্ষিত চাকরির বাজারে। পরীক্ষকরা সিভিতে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় দেখে শুরুতেই ধারণা করেন, এ ক্যান্ডিডেট ততটা মেধাবী আর অভিজ্ঞ হবে না। তাদের ধারণাও একেবারে ভুল নয়। কেননা চাকরির বাজারে একাডেমিক এডুকেশনের পাশাপাশি গুরুত্ব দেওয়া হয় সফট স্কিলগুলোকে। কমিউনিকেশন আর প্রেজেন্টেশন স্কিল এর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্ব পায়। আজকে যেখানে সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতি সেমিস্টারেই দুটি আর চার বছরমেয়াদি অনার্স শেষ করতে ১৬টি প্রেজেন্টেশন দিতে হয়, সেখানে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে অনার্স থেকে মাস্টার্স পর্যন্ত একবারও প্রেজেন্টেশন দিতে হয় না। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে যেখানে প্রতি সেমিস্টার শেষে অন্তত একটি করে চার বছরে মোট আটটি ভাইভা দিতে হয়। সেখানে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ভাইভা দিতে হয় মাত্র একটি। সেটিও আবার নামমাত্র। অনেকটা নিয়মরক্ষার্থে বাধ্য হয়ে। যেখানে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়ার পাশাপাশি অভিজ্ঞতার জন্য গ্র্যাজুয়েশন শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে ইন্টার্নশিপের ব্যবস্থা থাকে। তা ছাড়া ফিল্ড ভিজিট, বিজনেস কোর্স কম্পিটিশন, রিসার্চ, অ্যাসাইনমেন্ট ইত্যাদির মতো কার্যক্রম চলতে থাকে সবসময়। সেখানে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে এর কোনো ছিটেফোঁটাও নেই। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীরা শুধু মুখস্থ প্রশ্ন-উত্তর পড়া নিয়ে ব্যস্ত। একবার শিক্ষার্থীদের একটু ক্লাসে উপস্থিতি নিয়ে বলতে চাই। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় নাম শুনলে প্রথমে মাথায় আসে, ‘ওহ! এখানে ক্লাস করা লাগে না।’ আসলেও তাই। ইনকোর্স পরীক্ষায় ক্লাসে উপস্থিতিতে ৫ নম্বর নির্ধারিত থাকলেও খুব একটা কার্যকর হয় না সেটিও। বেশিরভাগ শিক্ষার্থীর অনার্স থেকে মাস্টার্স পর্যন্ত শিক্ষাজীবন কাটে শুধু ওই ইনকোর্স আর ফাইনাল পরীক্ষায় উপস্থিত হওয়ার মধ্য দিয়ে। যদিওবা কোনো ভালো শিক্ষার্থী ক্লাস করতে যায়, গিয়ে দেখে হাতেগোনা কয়েকজন মাত্র শিক্ষার্থী ক্লাসে এসেছে। তাই শিক্ষকও সেভাবে পড়াতে আগ্রহ বোধ করেন না। ফলে সময় কাটে মোটিভেশন দেওয়া আর গল্পে গল্পে। এভাবে যখন কেটে যায় গোটা একটি শিক্ষাবর্ষ, রুটিন প্রকাশ হয় নির্বাচনী পরীক্ষার। এ পরীক্ষা যেন রহস্যের আরেক নাম। প্রশ্নপত্র দেওয়ার কিছুক্ষণ পর থেকে শুরু হয় শিক্ষার্থীদের সাদা খাতায় শুধু নাম-রোল লিখে জমা দেওয়ার পালা। কিছুক্ষণ পর থেকে শিক্ষকরাও যেন ইশারা-ইঙ্গিতে বলতে থাকেন, ‘খাতা জমা দাও।’ পরীক্ষা দেওয়ার পূর্ণ প্রস্তুতি নিয়ে যাওয়া শিক্ষার্থী যখন দেখতে পায় চোখের সামনে অন্য সবাই খাতা জমা দিয়ে চলে যাচ্ছে, তখন তার মানসিকতা পরিবর্তন কি খুব একটা স্বাভাবিক নয়? তাহলে দায় কার? দায় কর্তৃপক্ষের। কারণ শিক্ষার্থীরা নিশ্চিতভাবেই জানে যে, তাদের নির্বাচনী পরীক্ষার খাতা দেখাও হবে না, মূল্যায়নও হবে না। তাহলে পরীক্ষা দিয়ে কী লাভ? শিক্ষকরা যদি বলতেন নির্ধারিত পুরো সময় পরীক্ষা দিতে হবে। তাহলে কেউ পরীক্ষা শুরুর ২০-২৫ মিনিট পর সাদা খাতায় শুধু নাম-রোল লিখে বের হতো না। নির্বাচনী পরীক্ষা শিক্ষাবর্ষ শেষে ফাইনাল পরীক্ষার প্রস্তুতি ও নিজেকে ঝালাই করার একটি বড় সুযোগ। সেই সুযোগ নষ্ট হচ্ছে দুপক্ষের অবহেলায় আর গুরুত্বহীনতায়। একজন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীর কাছে সমাবর্তন হলো বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের শ্রেষ্ঠ প্রাপ্তি। সবচেয়ে দুঃখজনক ও বিস্ময়কর ঘটনা হলো, প্রতিষ্ঠার প্রায় ৩০ বছর পার করলেও আজ পর্যন্ত জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনো সমাবর্তন অনুষ্ঠানের আয়োজন হয়নি। উইকিপিডিয়ার তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম বিশ্ববিদ্যালয় আমাদের জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়। বিশ্ববিদ্যালয়টির ২ হাজার ২৮৩টি অধিভুক্ত কলেজে অধ্যয়ন করে ২৮ লাখেরও বেশি শিক্ষার্থী। ডয়চে ভেলের রিপোর্ট বলছে, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গ্র্যাজুয়েট হওয়া ৬৬ ভাগ শিক্ষার্থী বেকার। একটি জাতীয় দৈনিকের রিপোর্ট অনুযায়ী, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ২১ শতাংশ শিক্ষার্থী অনার্স কিংবা মাস্টার্স শেষ করে চাকরি পায়। বাকি ৭৯ শতাংশ শিক্ষার্থী মুখ থুবড়ে পড়ে চাকরির বাজারে। বৃদ্ধি পায় দেশে বেকারের সংখ্যা। এই যে এত এত সমস্যা, এর সমাধান কোথায়? নতুন করে ভাবতে হবে। কাঠামোগত পরিবর্তন ছাড়া জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার মান উন্নয়ন সম্ভব নয়। আমাদের শিক্ষা কার্যক্রম পরিবর্তন করে প্র্যাকটিকাল করতে হবে। যাতে শুধু মুখস্থ করে পরীক্ষা দেওয়ার মধ্যেই সীমাবদ্ধ না থেকে প্রতিযোগিতামূলক চাকরির বাজারে ভালো করা যায়। প্রেজেন্টেশন ও ইন্টানশিপ বাধ্যতামূলক করতে হবে। এর মধ্য দিয়ে শিক্ষার্থীরা পাবলিক কমিউনিকেশন স্কিল অর্জনে সক্ষম হবে। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য আর্থিক বরাদ্দও বৃদ্ধি করতে হবে। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষায় গুণগতমান উন্নয়নে কার্যকর পদক্ষেপ নেবে, দেশের তরুণ প্রজন্মের বড় একটি অংশ যেখানে শিক্ষার আলোয় আলোকিত হতে চায়, সেই বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষাজীবন শেষে তরুণরা যেন চাকরির বাজারে অন্ধকারে না হারিয়ে যায়—জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হিসেবে এটুকুই প্রত্যাশা করি। মেহেদী হাসান নাঈম শিক্ষার্থী সরকারি আজিজুল হক কলেজ, বগুড়া
২৫ নভেম্বর, ২০২৩

চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় শিক্ষার্থীদের গড়ে তুলতে হবে - জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ভিসি
শিক্ষার্থীদের চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের সঙ্গে খাপ খাওয়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. মশিউর রহমান। তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের বিশ্বমানের করে গড়ে তুলতে হবে, যাতে তারা সবধরনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে পারে। এ ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রয়েছে শিক্ষকদের। গত শুক্রবার রাজধানীর ফার্মগেটে ইউসিসি গ্রুপ মিলনায়তনে বিশ্ব শিক্ষক দিবস ২০২৩ উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। ‘আমার শিক্ষক’ শিরোনামের আলোচনা সভায় ড. মশিউর রহমান বলেন, প্রযুক্তি শিক্ষার গুরুত্ব বাড়াতে হবে। শিক্ষার্থীদের যুগোপযোগী শিক্ষা দিয়ে বিশ্বমানের নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। আলোচনা সভা ও সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ইউসিসি গ্রুপের চেয়ারম্যান ড. এম এ হালিম পাটওয়ারী। বিশেষ অতিথি ছিলেন তেজগাঁও কলেজের অধ্যক্ষ ড. মো. হারুন-অর-রশিদ, সিদ্ধেশ্বরী কলেজের অধ্যক্ষ শেখ জুলহাস উদ্দিন, ডিআইআইটির অধ্যক্ষ ড. মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন, শেখ বোরহানুদ্দী পোস্টগ্র্যাজুয়েট কলেজের অধ্যক্ষ মো. আবদুর রহমান, অধ্যক্ষ ড. অগাস্টিন ক্রুজ, প্রফেসর মো. ফয়েজ হোসেনসহ রাজধানীর বিভিন্ন কলেজের অধ্যক্ষ ও শিক্ষকরা। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন এডুকেশন ওয়াচের সম্পাদক মো. খলিলুর রহমান প্রমুখ। আলোচনা সভায় শ্রদ্ধা-ভালোবাসায় নিজেদের প্রিয় শিক্ষককে স্মরণ করেন অতিথিরা। অনুষ্ঠানে ১৫ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধান ও শিক্ষকদের এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড দেন ড. মশিউর রহমান। এ ছাড়া কুইজ প্রতিযোগিতায় বিজয়ী তিনজনকে অর্থ পুরস্কারসহ মোট ২৫ জনের হাতে মেডেল ও সনদপত্র তুলে দেন তিনি।
০৮ অক্টোবর, ২০২৩

অন ক্যাম্পাস স্নাতক কোর্স / ইউজিসির চিঠির জবাব দিল জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে অন ক্যাম্পাস স্নাতক কোর্স স্থগিত রাখার নির্দেশনা দিয়ে গত মঙ্গলবার চিঠি দেয় বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)। চিঠিতে পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের জবাব চাওয়া হয়। গতকাল বুধবারই জবাব দিয়ে ফিরতি চিঠি পাঠিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। বিশ্ববিদ্যালয় রেজিস্ট্রারের স্বাক্ষর করা চিঠিতে বলা হয়েছে, ইউজিসির চিঠিতে আইনের যেসব ধারা বর্ণনা করা হয়েছে, তা আংশিক ও খণ্ডিত। অনার্স খোলা বিষয়ে আইনের ধারা উল্লেখ করে ইউজিসিকে পাঠানো চিঠিতে বলা হয়েছে, ১৯৯২ সালের ৩৭ নম্বর আইন, যা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ১৯৯২ নামে অবহিত। ৩ ধারায় এ আইনের প্রাধান্য সম্পর্কে বর্ণিত রয়েছে ‘আপাতত বলবৎ অন্য কোনো আইনে বিপরীত যাহা কিছুই থাকুক না কেন, এ আইনের বিধানাবলি কার্যকর হইবে।’ আইনের ৪১(১) ধারায় বর্ণিত হয়েছে, এ আইন ও সংবিধির বিধান সাপেক্ষে, বিশ্ববিদ্যালয় এবং কলেজগুলোতে স্নাতকপূর্ব, স্নাতকোত্তর ও অন্যান্য পাঠক্রমে ছাত্র ভর্তি একাডেমিক কাউন্সিল কর্তৃক এতদুদ্দেশে নিযুক্ত ভর্তি কমিটি কর্তৃক প্রণীত বিধি দ্বারা পরিচালিত হইবে। ৬(খ) ধারায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষমতা সম্পর্কে বর্ণিত রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজে শিক্ষাদানের জন্য পাঠক্রম নির্ধারণ করা। ৬(গ) ধারায় বর্ণিত রয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজে জ্ঞানের বিকাশ, বিস্তার ও অগ্রগতির লক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক নির্ধারিত ক্ষেত্রে শিক্ষাদান ও গবেষণার ব্যবস্থা করা। চিঠিতে আরও বলা হয়, আইনের ২৯ ধারায় বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ইউনিট স্নাতকোত্তর শিক্ষা প্রশিক্ষণ ও গবেষণা কেন্দ্রের কার্যাবলি বিবৃত হয়েছে। ২৯(১)(ক) ধারায় উল্লেখ রয়েছে, এ কেন্দ্র সম্মান ও স্নাতকোত্তর শিক্ষা সংগঠনের দায়িত্ব পালন করবে। আইনের উপরের বর্ণিত ধারাগুলো থেকে প্রতীয়মান হয় যে, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ক্যাম্পাসে (গাজীপুর) স্নাতক প্রোগ্রামে শিক্ষার্থী ভর্তির গৃহীত সিদ্ধান্ত আইনসংগত ও যথার্থ। মঙ্গলবার জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ক্যাম্পাস গাজীপুরে অনার্স কোর্স খোলার বিষয়ে জানতে চেয়ে চিঠি দেয় ইউজিসি। চিঠিতে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় আইনের কয়েকটি ধারা উল্লেখ করে অনার্স কোর্স বন্ধের কথা বলা হয়।
২১ সেপ্টেম্বর, ২০২৩

অন-ক্যাম্পাস স্নাতক কোর্স / ইউজিসির চিঠির জবাব দিল জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে অন-ক্যাম্পাস স্নাতক কোর্স স্থগিত রাখার নির্দেশনা দিয়ে গতকাল মঙ্গলবার চিঠি দেয় বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)। চিঠিতে পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের জবাব চাওয়া হয়। আজ বুধবারই জবাব দিয়ে ফিরতি চিঠি পাঠিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের সাক্ষর করা চিঠিতে বলা হয়েছে, ইউজিসির চিঠিতে আইনের যেসব ধারা বর্ণনা করা হয়েছে, তা আংশিক ও খণ্ডিত। অনার্স খোলা বিষয়ে আইনের ধারা উল্লেখ করে ইউজিসিকে পাঠানো চিঠিতে বলা হয়েছে, আপনার প্রেরিত পত্র ও সূত্রের পরিপ্রেক্ষিতে এ মর্মে অবহিত করছি যে, ১৯৯২ সালের ৩৭ নম্বর আইন, যা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ১৯৯২ নামে অবহিত। ৩ ধারায় এ আইনের প্রাধান্য সম্পর্কে বর্ণিত রয়েছে ‘আপাতত বলবৎ অন্য কোনো আইনে বিপরীত যাহা কিছুই থাকুক না কেন, এ আইনের বিধানাবলি কার্যকর হইবে। আইনের ৪১(১) ধারায় বর্ণিত হয়েছে, এ আইন ও সংবিধির বিধান সাপেক্ষে, বিশ্ববিদ্যালয় এবং কলেজসমূহে স্নাতকপূর্ব, স্নাতকোত্তর ও অন্যান্য পাঠক্রমে ছাত্র ভর্তি অ্যাকাডেমিক কাউন্সিল কর্তৃক এতদুদ্দেশে নিযুক্ত ভর্তি কমিটি কর্তৃক প্রণীত বিধি দ্বারা পরিচালিত হইবে। ৬(খ) ধারায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষমতা সম্পর্কে বর্ণিত রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজে শিক্ষাদানের জন্য পাঠক্রম নির্ধারণ করা। ৬(গ) ধারায় বর্ণিত রয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজে জ্ঞানের বিকাশ, বিস্তার ও অগ্রগতির লক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক নির্ধারিত ক্ষেত্রে শিক্ষাদান ও গবেষণার ব্যবস্থা করা। চিঠিতে আরও বলা হয়, আইনের ২৯ ধারায় বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাডেমিক ইউনিট স্নাতকোত্তর শিক্ষা প্রশিক্ষণ ও গবেষণা কেন্দ্রের কার্যাবলি বিবৃত হয়েছে এবং ২৯(১)(ক) ধারায় উল্লেখ রয়েছে, এ কেন্দ্র সম্মান ও স্নাতকোত্তর শিক্ষা সংগঠনের দায়িত্ব পালন করবে। আইনের উপরের বর্ণিত ধারাসমূহ থেকে প্রতীয়মান হয় যে, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ক্যাম্পাসে (গাজীপুর) স্নাতক প্রোগ্রামে শিক্ষার্থী ভর্তির গৃহীত সিদ্ধান্ত আইনসঙ্গত ও যথার্থ। এর আগে মঙ্গলবার জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ক্যাম্পাস গাজীপুরে অনার্স কোর্স খোলার বিষয়ে জানতে চেয়ে চিঠি দেয় ইউজিসি। চিঠিতে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় আইনের কয়েকটি ধারা উল্লেখ করে অনার্স কোর্স বন্ধের কথা বলা হয়। ইউজিসি আইনের বিভিন্ন ধারা তুলে ধরে চিঠিতে উল্লেখ করে, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ক্যাম্পাসে (গাজীপুর) স্নাতক প্রোগ্রামে শিক্ষার্থী ভর্তির জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ১৯৯২-এর সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।
২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৩
X