জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে অন-ক্যাম্পাস স্নাতক কোর্স স্থগিত রাখার নির্দেশনা দিয়ে গতকাল মঙ্গলবার চিঠি দেয় বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)। চিঠিতে পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের জবাব চাওয়া হয়। আজ বুধবারই জবাব দিয়ে ফিরতি চিঠি পাঠিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের সাক্ষর করা চিঠিতে বলা হয়েছে, ইউজিসির চিঠিতে আইনের যেসব ধারা বর্ণনা করা হয়েছে, তা আংশিক ও খণ্ডিত। অনার্স খোলা বিষয়ে আইনের ধারা উল্লেখ করে ইউজিসিকে পাঠানো চিঠিতে বলা হয়েছে, আপনার প্রেরিত পত্র ও সূত্রের পরিপ্রেক্ষিতে এ মর্মে অবহিত করছি যে, ১৯৯২ সালের ৩৭ নম্বর আইন, যা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ১৯৯২ নামে অবহিত। ৩ ধারায় এ আইনের প্রাধান্য সম্পর্কে বর্ণিত রয়েছে ‘আপাতত বলবৎ অন্য কোনো আইনে বিপরীত যাহা কিছুই থাকুক না কেন, এ আইনের বিধানাবলি কার্যকর হইবে।
আইনের ৪১(১) ধারায় বর্ণিত হয়েছে, এ আইন ও সংবিধির বিধান সাপেক্ষে, বিশ্ববিদ্যালয় এবং কলেজসমূহে স্নাতকপূর্ব, স্নাতকোত্তর ও অন্যান্য পাঠক্রমে ছাত্র ভর্তি অ্যাকাডেমিক কাউন্সিল কর্তৃক এতদুদ্দেশে নিযুক্ত ভর্তি কমিটি কর্তৃক প্রণীত বিধি দ্বারা পরিচালিত হইবে।
৬(খ) ধারায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষমতা সম্পর্কে বর্ণিত রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজে শিক্ষাদানের জন্য পাঠক্রম নির্ধারণ করা। ৬(গ) ধারায় বর্ণিত রয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজে জ্ঞানের বিকাশ, বিস্তার ও অগ্রগতির লক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক নির্ধারিত ক্ষেত্রে শিক্ষাদান ও গবেষণার ব্যবস্থা করা।
চিঠিতে আরও বলা হয়, আইনের ২৯ ধারায় বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাডেমিক ইউনিট স্নাতকোত্তর শিক্ষা প্রশিক্ষণ ও গবেষণা কেন্দ্রের কার্যাবলি বিবৃত হয়েছে এবং ২৯(১)(ক) ধারায় উল্লেখ রয়েছে, এ কেন্দ্র সম্মান ও স্নাতকোত্তর শিক্ষা সংগঠনের দায়িত্ব পালন করবে। আইনের উপরের বর্ণিত ধারাসমূহ থেকে প্রতীয়মান হয় যে, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ক্যাম্পাসে (গাজীপুর) স্নাতক প্রোগ্রামে শিক্ষার্থী ভর্তির গৃহীত সিদ্ধান্ত আইনসঙ্গত ও যথার্থ।
এর আগে মঙ্গলবার জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ক্যাম্পাস গাজীপুরে অনার্স কোর্স খোলার বিষয়ে জানতে চেয়ে চিঠি দেয় ইউজিসি। চিঠিতে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় আইনের কয়েকটি ধারা উল্লেখ করে অনার্স কোর্স বন্ধের কথা বলা হয়। ইউজিসি আইনের বিভিন্ন ধারা তুলে ধরে চিঠিতে উল্লেখ করে, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ক্যাম্পাসে (গাজীপুর) স্নাতক প্রোগ্রামে শিক্ষার্থী ভর্তির জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ১৯৯২-এর সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।
মন্তব্য করুন