রাজনীতিবিহীন জাপা হারাচ্ছে শক্তি
রাজনীতির মাঠে দিন দিন দুর্বল হচ্ছে জাতীয় পার্টি। সারা দেশেই কমছে সাংগঠনিক শক্তি। সাধারণ মানুষকে সম্পৃক্ত করার মতো রাজনৈতিক কোনো কর্মসূচিও নেই দীর্ঘদিন। নির্বাচনে নিয়মিত হলেও সেখানেও মিলছে না সাফল্যের দেখা। তৃণমূল থেকে শুরু করে সংসদ পর্যন্ত সব স্তরেই দলটির জনপ্রতিনিধির সংখ্যা একবারেই হাতেগোনা। একসময় ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত রংপুরসহ উত্তরাঞ্চলেও নেই আগের অবস্থা। সব মিলিয়ে সাবেক স্বৈরশাসক এরশাদের গড়া জাপার রাজনীতিতে চরম দুর্দিন চলছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। দলটির সাবেক ও বর্তমান নেতাসহ রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বিশ্বাসযোগ্যতা হারানো, দফায় দফায় ভাঙন, একক নেতৃত্বে দল পরিচালনা এবং রাজনৈতিক কর্মসূচি না থাকাই জাপার দুর্গতির মূল কারণ। এ অবস্থা চলতে থাকলে আরও টুকরো টুকরো হয়ে নামমাত্র দলে পরিণত হবে জাপা। তবে বিভক্তি কাটিয়ে সঠিক পরিকল্পনা নিয়ে এগোতে পারলে মাঝারি শক্তির দল হিসেবে রাজনীতিতে প্রভাব ধরে রাখা সম্ভব হতে পারে। দলীয় পরিস্থিতি সম্পর্কে জানতে চাইলে জাপা মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু কালবেলাকে বলেন, ‘রাজনীতিতে ভাঙা-গড়ার খেলা শুধু জাপায় নয়, অন্য দলগুলোতেও আছে। আমরা জাপাকে শক্তিশালী করতে কাজ করছি, সংসদে কম আসন মানেই দল দুর্বল—এমনটা ভাবার কারণ নেই। সদস্য সংখ্যায় কম হলেও সংসদে কী ভূমিকা পালন করছি, মানুষের কথা বলছি কি না—সেটাই বড় বিষয়।’ বিশ্লেষকরা বলছেন, ১৯৯০ সালে এইচ এম এরশাদের সরকারের পতনের পরও তার দল জাতীয় পার্টি (জাপা) বেশিরভাগ সময় ক্ষমতাসীনদের সঙ্গেই ছিল। এর পরও ক্রমশ দলটি এতটাই দুর্বল হয়েছে যে, এককভাবে নির্বাচন করার সামর্থ্যও এখন হারিয়েছে। ৩০০ আসনে শক্তিশালী প্রার্থীও দিতে পারে না দলটি। তারা বলছেন, জাপা শুধু দুর্বলই হয়নি, পথও হারিয়েছে। সরকারঘনিষ্ঠ হয়ে টিকে থাকার চেষ্টা দলটিকে জনবিচ্ছিন্ন করেছে। সম্প্রতি অনুষ্ঠিত যৌথ সভায় দলটির তৃণমূল নেতারাও একই বক্তব্য তুলে ধরেছেন। ১৯৮৬ সালের এক জানুয়ারি জাতীয় পার্টির আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়। ১৯৯০ সালের ৬ ডিসেম্বর ক্ষমতাচ্যুত হন এরশাদ। এরপর জাতীয় পার্টি আর ক্ষমতায় আসতে পারেনি। রাজনৈতিক নানা বৈরী পরিস্থিতির মুখে দল পরিচালনা করেছেন পার্টির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান। নিজেও জেল খেটেছেন। তবে টানা তিন মেয়াদে বিরোধী দলের আসনে আছে জাপা। বলা হয়, ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর রাজনৈতিকভাবে সবচেয়ে সুসময় পার করছে জাতীয় পার্টি। কিন্তু সরকারের সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধে রাজনীতি করলেও গত ১৫ বছরে জাতীয় পার্টির সাংগঠনিক অবস্থার কোনো উন্নতি হয়নি। বাড়েনি জনসমর্থনও। জনস্বার্থে পার্টির তৃণমূল পর্যন্ত কোনো কর্মসূচিও নেই। টানা তিনবার জাপা বিরোধী দলে থাকলেও কোনো ইস্যুতেই রাজপথে জাপার কোনো আওয়াজ নেই। ছোট দলগুলো যখন রাজপথে কর্মসূচির পরিচালনা করছে, তখনো দলটির কার্যক্রম বনানী চেয়ারম্যানের কার্যালয় ঘিরেই সীমাবদ্ধ। কাকরাইলের কেন্দ্রীয় কার্যালয় খোলা হয় না অনেকদিন। এখানে কেউ আসেনও না। জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের একাধিক উপদেষ্টা ও প্রেসিডিয়ামের সদস্য কালবেলাকে বলেন, ধারাবাহিক ক্ষমতাসীনদের সঙ্গে থেকে জাপা এখন গৃহপালিত রাজনৈতিক দলে পরিণত হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে জনসমর্থন হারানোর পাশাপাশি আন্তর্জাতিক পর্যায়েও দলটি গ্রহণযোগ্যতা একেবারেই তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে। পার্টির আন্তর্জাতিক সেলও কার্যত নিষ্ক্রিয়। ৩০০ সংসদীয় আসনে কত ভোট রয়েছে, তারও কোনো পরিসংখ্যান নেই। নেতাকর্মীরা দিন দিন হতাশ হয়ে অন্য দলে যোগ দিচ্ছেন বলেও জানান তারা। সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে জাপা চেয়ারম্যান জি এম কাদের নির্দ্বিধায় স্বীকার করেন, ১৯৯০ সালের পর জাতীয় পার্টি ক্রমে দুর্বল হয়ে পড়েছে। তার দলে সরকারি দলের এজেন্ট ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছে বলেও মনে করেন তিনি। সাত দফা ভাঙন: এরশাদের প্রতিষ্ঠিত জাতীয় পার্টি ভেঙে জন্ম নিয়েছে জেপি, বিজেপি ও বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি নামের তিনটি নিবন্ধিত দল। জাতীয় পার্টি (জাফর) নামের আরেকটি অনিবন্ধিত দল সক্রিয় রয়েছে। অতীতে সক্রিয় ছিল জাতীয় পার্টি (জা-মো) এবং জাতীয় পার্টি (না-ফি) নামের দুটি অংশ। সর্বশেষ গত ৯ মার্চ রওশন এরশাদ সম্মেলন করে নিজেকে জাপার চেয়ারম্যান ঘোষণা করেন। ফলে আরেকবার ভাঙন তৈরি হয় জাপায়। এ পর্যন্ত দলটিতে যত ভাঙন হয়েছে সর্বশেষ ভাঙনটি সবচেয়ে ক্ষতির কারণ বলেও মনে করেন দলের নেতারা। তারা বলছেন, ঘরের ভেতরে অর্থাৎ দেবর-ভাবির মধ্যে ভাঙনে সারা দেশে দল বিভক্ত হয়েছে। বারবার ভাঙনে দলের ভিত নষ্ট হয়েছে বলে মনে করছেন জাপা নেতারা। ভাঙন প্রসঙ্গে দলটির চেয়ারম্যান জি এম কাদের সম্প্রতি বলেছেন, ‘ক্ষমতাসীনরা বিরোধী দল ভাঙার চেষ্টা করে। জাতীয় পার্টির বেলায়ও এর ব্যতিক্রম হয়নি। সঠিক রাজনীতি করতে গেলেই সরকার বারবার দল ভেঙে দেওয়ার চেষ্টা করেছে।’ সংসদে আসন কমছে, ভূমিকাও দুর্বল: এরশাদ ক্ষমতা গ্রহণের পর ১৯৮৬ সালের ৭ মে অনুষ্ঠিত হয় তৃতীয় জাতীয় সংসদ নির্বাচন। ওই নির্বাচনে ১৫৩টি আসনে জয়লাভ করে জাপা। এর দুই বছরের মধ্যে ১৯৮৮ সালের ৩ মার্চ অনুষ্ঠিত হয় চতুর্থ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। আওয়ামী লীগ, বিএনপিসহ প্রায় সব রাজনৈতিক দলের বর্জন করা ওই নির্বাচনে জাপা ২৫১টি আসনে জেতে। ওই সংসদের মেয়াদ পেরোনোর আগেই নব্বইয়ের গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে এরশাদের পতন ঘটে। এরপর ১৯৯১ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত পঞ্চম সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টি ৩৫টি আসন। ১৯৯৬ সালের ১২ জুন সপ্তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পায় ৩২টি। ২০০১ সালের নির্বাচনে ইসলামী আন্দোলনের সঙ্গে জোট করে জাতীয় পার্টি পায় মাত্র ১৪ আসন। ২০০৮ সালে অনুষ্ঠিত নবম সংসদ নির্বাচনে ২৭টি; ২০১৪ সালের নির্বাচন বিএনপি বর্জন করলেও জাতীয় পার্টি পায় ৩৪টি আসন। এরপর ২০১৮ সালের নির্বাচনে সেটি আরও কমে দাঁড়ায় ২২-এ। সর্বশেষ গত ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের সঙ্গে ২৬টি আসনে সমঝোতা করেও ১১টির বেশি জিততে পারেনি জাতীয় পার্টি। নিজেদের ঘর হিসেবে পরিচিত রংপুরসহ গোটা উত্তরের জনপদে জাপার অবস্থান ক্রমশ দুর্বল হচ্ছে। রওশনপন্থি নেতা রংপুর-১ আসনে মসিউর রহমান রাঙ্গা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করে হেরেছেন। এ ছাড়া রংপুর-২, ৪, ৫ ও ৬ আসনেও বিপুল ভোটের ব্যবধানে হেরেছেন জাতীয় পার্টির প্রার্থীরা। গাইবান্ধায় হেরে গেছেন জাতীয় পার্টির শামীম হায়দার পাটোয়ারীর মতো আলোচিত প্রার্থী। জামানত হারিয়েছেন জি এম কাদেরের স্ত্রী শেরীফা কাদেরসহ বেশিরভাগ প্রার্থী। অন্যদিকে স্থানীয় সরকারের বিভিন্ন স্তরেও জাপার জনপ্রতিনিধি সংকট চরমে উঠেছে। চলমান উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দলটি প্রার্থী পাচ্ছে না। প্রথম দফা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দলের কেউ পাস করতে পারেননি। সব মিলিয়ে সারা দেশে স্থানীয় সরকারে দলটির জনপ্রতিনিধির সংখ্যা একেবারেই হাতেগোনা। অবশ্য রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে জয়লাভ জাপার বড় অর্জন। জানতে চাইলে জাতীয় পার্টি (রওশন) নির্বাহী সভাপতি কাজী ফিরোজ রশীদ কালবেলাকে বলেন, ‘সবার মতামত নিয়ে দল পরিচালনা না করলে ভাঙন ঠেকানো যায় না। কারও একক ইচ্ছায় দল পরিচালনা হলে এর পরিণতি শুভ হয় না। যার প্রত্যক্ষ উদাহরণ জাতীয় পার্টি। দলটি দিন দিন রাজনীতিতে দুর্বল হচ্ছে। আমরা নতুন করে জাগানোর চেষ্টা শুরু করেছি।’ রাষ্ট্রবিজ্ঞানী অধ্যাপক নুরুল আমিন বেপারী কালবেলাকে বলেন, ‘জাতীয় পার্টি সরকারে থেকে বিরোধী দলের ভূমিকা পালন করতে চায়। সাধারণ মানুষ এটি মোটেও গ্রহণ করে না। এ প্রেক্ষাপটে জাতীয় পার্টির কাছে মানুষের তেমন কোনো প্রত্যাশা নেই। তারা বিশ্বাসযোগ্যতা হারিয়েছে। আস্তে আস্তে নামসর্বস্ব দলে পরিণত হবে জাতীয় পার্টি।’
১৮ মে, ২০২৪

জি এম কাদেরের দাবি, চাপে ভোট করে জাপা
নির্বাচনের সাড়ে তিন মাস পর ভোটে অংশগ্রহণের নেপথ্যের কাহিনি জানাল বিরোধী দল জাতীয় পার্টি (জাপা)। দলটির চেয়ারম্যান ও বিরোধী দলের নেতা জি এম কাদের বলেছেন, দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টি ভোট বর্জনের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। জি এম কাদেরের দাবি, পরবর্তী সময়ে চাপের মুখে বর্জনের সিদ্ধান্ত পাল্টাতে বাধ্য হয়েছেন। তিনি অভিযোগ করেন, কোন্দল করে দল ভেঙে দেওয়া হবে—এমন পরিস্থিতি তৈরি করা হয়। এ ছাড়া কিছু শক্তিশালী দেশ আওয়ামী লীগকে বিজয়ী করতে চায়—এমন কথা জানতে পারে দলটি। তাই শেষ মুহূর্তে ভোটে আসার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। গতকাল শনিবার রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে জাপা আয়োজিত বর্ধিত সভায় তিনি এসব কথা বলেন। সভায় জি এম কাদেরের বিরুদ্ধে দলের নেতাদের পক্ষ থেকে ওঠা সব অভিযোগ খণ্ডন করেন তিনি। সভায় বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা দলের বিভিন্ন সমস্যা, চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি, দলের ভাঙনসহ বিভিন্ন বিষয়ে খোলামেলা আলোচনা করেন। অনেকেই রওশন এরশাদের নেতৃত্বে জাপার ভাঙন নিয়ে সমালোচনা করেন। এমনকি মসিউর রহমান রাঙ্গাসহ রওশনপন্থি কোনো নেতাকেই দলে না ফেরানোর দাবি জানান তারা। ২০২৩ সালের ১৬ ডিসেম্বর রাতে সবাইকে (দলের প্রার্থী) জানিয়ে দিলাম নির্বাচনে যাব না—এ কথা জানিয়ে জি এম কাদের বলেন, কিন্তু ১৭ ডিসেম্বর সকালে আমার ওপরে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে চাপ এলো। প্রত্যক্ষভাবে সেটা বলব না; কিন্তু পরোক্ষভাবে হলো, আমাদের দলের ভেতরে কোন্দল তৈরি করে দল ভেঙে দেওয়া হবে। তিনি বলেন, তখন আমার মতো ওয়েল ইনফর্মড নেতা দেশে কমই ছিল। আমি জেনে গিয়েছিলাম, কিছু শক্তিশালী দেশ আওয়ামী লীগকে ফের জয়ী করতে চায়। তাই আমি নির্বাচনের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। পরবর্তী সময়ে সরকার আমাদের সঙ্গে নেগোসিয়েশনে গেল। জাপা না গেলে নির্বাচনের ‘গ্রহণযোগ্যতা থাকবে না’ বলে আওয়ামী লীগ তাদের চেয়েছে বলেও মনে করেন জি এম কাদের। আওয়ামী লীগের সঙ্গে আসন সমঝোতার বিষয়ে তিনি বলেন, ২৬ জনের তালিকা দেওয়া হলো। কিন্তু আওয়ামী লীগ যেখানে জাতীয় পার্টির ক্যান্ডিডেট দিল, সেখানে স্বতন্ত্র পাওয়ারফুল প্রার্থীও রেখেছে। কেবল কয়েকটি আসনে নিরপেক্ষ নির্বাচন হয়েছে দাবি করে তিনি বলেন, সরকার যাকে পাস করাতে চায়, তাকে পাস করানো হয়েছে। আমি যেই আসনে নির্বাচন করেছি, সেখানেও আমাকে হারানোর জন্য অনেক চেষ্টা করা হয়েছে। আমাকে ধ্বংস করা মানে জাতীয় পার্টিকে ধ্বংস করা। জি এম কাদের বলেন, আমরা নিয়মতান্ত্রিকভাবে কথা বলে যাচ্ছি, কিন্তু আমাদের স্পেস দেওয়া হচ্ছে না। ‘আওয়ামী লীগ আমাদের ব্যবহার করে একদলীয় রাজত্বের চিন্তা করেছে’ মন্তব্য করে জি এম কাদের বলেন, তারা চেয়েছে অনুগত বিরোধী দল। তারা আমাদের গলায় পচা-গলা, মরা, আবর্জনা ঢুকিয়ে দিয়ে অনুগত বিরোধী দল বানানোর চেষ্টা করেছিল, কিন্তু তা আমরা হইনি। আওয়ামী লীগ প্রজাতন্ত্রের জায়গায় রাজতন্ত্র কায়েম করছে বলেও মন্তব্য করেন জাপা চেয়ারম্যান। তিনি বলেন, জনগণ ভোট দিতে চায় না, এটা হচ্ছে বিরাজনীতিকরণ। এসব করে আওয়ামী লীগ বর্তমানে রাজনৈতিক দলের চরিত্র হারিয়েছে। আন্দোলনে নেমে বিএনপি কিছু ভুল করেছে বলেও মনে করেন জাপার এই নেতা। তিনি বলেন, আমি জানতাম বিএনপির আন্দোলনে সরকার পতন সম্ভব নয়। ১০ লাখ নয়, ১ কোটি মানুষও রাস্তায় নামলে নির্বাচন বন্ধ হবে না। তিনি বলেন, ২০২৩ সালের ২৮ অক্টোবর নয়াপল্টনে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে পণ্ড হয় বিএনপির সমাবেশ। নিজেদের কারণেই বিএনপি আন্দোলনে পরাস্ত হয়েছে। কিন্তু তারা একটা দায় আমার ওপর চাপিয়ে দিয়েছে। তারা বলে, আমি না গেলে নাকি নির্বাচন হতো না। বিএনপি-জামায়াতের নিজেদের দোষ ঢাকার জন্য আমার ওপরে দোষ দেয়। বর্ধিত সভায় আরও বক্তব্য দেন জাপার মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু, দলের কো-চেয়ারম্যান এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার, সালমা ইসলাম ও মুস্তাফিজুর রহমান মোস্তফা। প্রেসিডিয়াম সদস্য নাজমা আক্তার, ফখরুল ইমাম, নাসরিন জাহান রত্না ও চেয়ারম্যানের স্ত্রী শেরীফা কাদেরও বর্ধিত সভায় অংশ নেন।
২৮ এপ্রিল, ২০২৪

সুলতান আহমেদ হাওলাদারের মৃত্যুতে জাপা চেয়ারম্যানের শোক
জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান ও সাবেক মহাসচিব এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদারের বড় ভাই ‌পটুয়াখালী জেলা শাখা জাতীয় পার্টির সভাপতি সুলতান আহমেদ হাওলাদার (৭৭) মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) সকাল সাগে ৭টার দিকে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। সুলতান আহমেদ হাওলাদারের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা গোলাম মোহাম্মদ কাদের। তিনি মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারবর্গের প্রতি সমবেদনা জানান। জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা শোক বিবৃতিতে বলেন- সুলতান আহমেদ হাওলাদার একজন ভালো মানুষ ছিলেন। তিনি অত্যন্ত নম্র, ভদ্র ও ‌বিনয়ী স্বভাবের আদর্শবান সাংগঠনিক দক্ষ ও অভিজ্ঞ রাজনীতিক নেতা ছিলেন। তার মৃত্যুতে পটুয়াখালী জেলা একজন অভিজ্ঞ অভিভাবক হারালো আর আমরা হারালাম একজন রাজনৈতিক সাংগঠনিক দক্ষ সহযোদ্ধা। পটুয়াখালী জেলা শাখার জাতীয় পার্টির যে রাজনৈতিক শূন্যতা হলো তা সহসাই পূর্ণ হওয়ার নয়। তার মৃত্যুতে আমরা গভীর শোকাহত ও মর্মাহত। আল্লাহ রাব্বুল আল আমিন তাকে জান্নাতের সর্বোচ্চ মাকাম দান করুন, আমিন। অনুরূপ এক শোকবার্তায় জাতীয় পার্টির মহাসচিব ও জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট মো. মুজিবুল হক চুন্নু গভীরভাবে সমবেদনা জানান। তিনি মরহুমের রুহের মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোকাহত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেন। সুলতান আহমেদ হাওলাদার মৃত্যুকালে ছোট ভাই জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার স্ত্রী, এক ছেলে ও দুই মেয়েসহ অসংখ্য আত্মীয়স্বজন ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের রেখে গেছেন। মরহুমের প্রথম জানাজা বৃহস্পতিবার বাদ আছর রাজধানীর গুলশান- ২ আজাদ মসজিদে অনুষ্ঠিত হবে। দ্বিতীয় জানাজা হবে আগামীকাল শুক্রবার বিকাল ৩টায় দুমকি সরকারি জনতা কলেজ মাঠে স্মৃতিসৌধে পুষ্পবিহীন শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে। আগামীকাল শুক্রবার বাদ আছর আংগারিয়া ইউনিয়ন পরিষদ স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে ‌তৃতীয় জানাজা নিজ বাড়ি জামে মসজিদে অনুষ্ঠিত হবে। সব কার্যক্রম শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে।
২৮ মার্চ, ২০২৪

সাদ এরশাদসহ ১০ নেতাকে জাপা থেকে অব্যাহতি
জাতীয় পার্টির (জাপা) জি এম কাদের অংশ থেকে দলের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান প্রয়াত হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের ছেলে সাদ এরশাদসহ ১০ জ্যেষ্ঠ নেতাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দলটির যুগ্ম দপ্তর সম্পাদক মাহমুদ আলম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের দলীয় গঠনতন্ত্রে প্রদত্ত ক্ষমতাবলে পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য সাহিদুর রহমান টেপা, চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা এম এ কুদ্দুস খান, যুগ্ম মহাসচিব রাহগীর আল মাহি সাদ এরশাদ, সাংগঠনিক সম্পাদক মাহমুদা রহমান মুন্নি, প্রাদেশিক বিষয়ক সম্পাদক খোরশেদ আলম খুশু, ধর্মবিষয়ক সম্পাদক এস এম আল জুবায়ের, যুগ্ম সাংগঠনিক সম্পাদক সুজন দে, শারফুদ্দিন আহমেদ শিপু, শারমিন পারভীন লিজা, যুগ্ম প্রচার সম্পাদক শেখ মাসুক রহমান ও যুগ্ম মহিলাবিষয়ক সম্পাদক শাহনাজ পারভীনকে দলীয় সব পদ-পদবি থেকে অব্যাহতি দিয়েছেন। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর দলপ্রধান ও মহাসচিবের বিরুদ্ধে পরাজিত প্রার্থীরা মনোনয়ন বাণিজ্যসহ নানা অভিযোগ আনেন। তারা দলের দুই শীর্ষ নেতারা পদত্যাগও দাবি করেন। একপর্যায়ে তারা রওশন এরশাদ অংশে যুক্ত হয়ে সম্মেলনে অংশ নিয়ে পদ-পদবি বাগিয়ে নেন। এ নিয়ে ক্ষুব্ধ জি এম কাদের। শেষ পর্যন্ত তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নিলেন বিরোধী দলের নেতা।
২২ মার্চ, ২০২৪

রমজানের রাজনীতি / কেন্দ্রীয়ভাবে ইফতার পার্টি করবে না জাপা
রমজান মাসে কেন্দ্রীয়ভাবে ইফতার পার্টি না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিরোধী দল জাতীয় পার্টি। এ ছাড়া বাহুল্য পরিহার করে সীমিত পর্যায়ে ইফতার আয়োজনে সারা দেশের নেতাকর্মীদের নির্দেশ দিয়েছে দলটি। নির্দেশ অনুযায়ী, জেলা, মহানগর, উপজেলা, থানা, পৌরসভা ও ওয়ার্ড পর্যায়ের কমিটিগুলো ইফতারের আয়োজন করবে বলে দলের পক্ষ থেকে জানা গেছে। জাপা মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু কালবেলাকে বলেন, রমজানে দলের পক্ষ থেকে ইফতার পার্টির বড় কোনো আয়োজন নেই। আগামী ১৫ মার্চ কূটনীতিকদের সম্মানে রাজধানীর একটি হোটেলে ইফতার পার্টির আয়োজন হবে। ১৭ মার্চ স্বল্প পরিসরে ঢাকা মহানগর উত্তর কমিটি ইফতারের আয়োজন করবে। তিনি বলেন, রমজান মানেই সংযম। ইফতার করানো হলো সওয়াব। তবে বাহুল্যভাবে যেন কোনো আয়োজন না হয়, এ ব্যাপারে আমরা সতর্ক। এ বছর দলের পক্ষ থেকে কেন্দ্রীয়ভাবে কোনো ইফতার পার্টির আয়োজন করা হচ্ছে না।
১২ মার্চ, ২০২৪

রওশনের জাপা থেকে পদত্যাগ করলেন শফিকুল ইসলাম সেন্টু
কাউন্সিলের ৪৮ ঘণ্টা না পেরুতেই জাতীয় পার্টি (রওশন) থেকে পদত্যাগ করেছেন দলটির কো-চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম সেন্টু। গতকাল সোমবার বিকেলে রওশন এরশাদ বরাবর এ পদত্যাগপত্র পাঠান তিনি। এতে পারিবারিক ও স্বাস্থ্যগত কারণে পদত্যাগের কথা উল্লেখ করা হয়। এর আগে বিভিন্ন অনিয়ম নিয়ে জি এম কাদেরের বিরুদ্ধে গণমাধ্যমে কথা বললে দলীয় পদ হারান সেন্টু। তাকে অব্যাহতি দেওয়ার প্রতিবাদে জাতীয় পার্টি মহানগর উত্তরের ৬ শতাধিক নেতাকর্মীও দল থেকে পদত্যাগ করেন। শফিকুল ইসলাম সেন্টু জি এম কাদেরের নেতৃত্বাধীন জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি ছিলেন। অনুষ্ঠিত ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে পরাজিত ক্ষুব্ধ প্রার্থীদের পক্ষ নিয়ে দলের চেয়ারম্যান ও মহাসচিবের পদত্যাগও চান তিনি।
১২ মার্চ, ২০২৪

১২ অক্টোবর সম্মেলন করবে জাপা
আগামী ১২ অক্টোবর দলের দশম জাতীয় সম্মেলন ডেকেছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের। গতকাল দলটির যুগ্ম দপ্তর সম্পাদক মাহমুদ আলম স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বুধবার বনানী চেয়ারম্যান কার্যালয়ে জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম ও সংসদ সদস্যদের এক যৌথসভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন জি এম কাদের। সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ১২ অক্টোবর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জাতীয় পার্টির দশম জাতীয় সম্মেলন হবে। ৩০ আগস্টের মধ্যে মেয়াদোত্তীর্ণ জেলাগুলোর সম্মেলন সম্পন্ন করতে হবে। ৩০ এপ্রিল ঢাকায় কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির বর্ধিত সভা হবে। ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে নিজ নিজ জেলায় বর্ধিত সভা করা হবে।
০৮ মার্চ, ২০২৪

এবার বাবলাকে বহিষ্কার করল জাপা
রওশন এরশাদের সঙ্গে বৈঠকের পাঁচ ঘণ্টার মধ্যেই জাতীয় পার্টি থেকে বহিষ্কার হলেন সাবেক এমপি ও দলের কো-চেয়ারম্যান সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা।  রোববার (১৮ ফেব্রুয়ারি) জাপা যুগ্ম দপ্তর সম্পাদক মাহমুদ আলম স্বাক্ষরিত বার্তায় এ তথ্য জানানো হয়েছে।  এতে বলা হয়েছে, জাপা চেয়ারম্যান জি এম কাদের দলীয় গঠনতন্ত্রে প্রদত্ত ক্ষমতাবলে আবু হোসেন বাবলাকে পার্টির কো-চেয়ারম্যানসহ দলীয় সব পদ থেকে অব্যাহতি প্রদান করেছেন। যা ইতোমধ্যে কার্যকর করা হয়েছে।  বাবলা আজ রওশনপন্থি নেতাদের সংবাদ সম্মেলনে যোগ দেন। রওশন এরশাদের নেতৃত্বে জাতীয় কাউন্সিলের ঘোষণা দিয়েছেন তারা। বাবলাকে সম্মেলন কমিটির কো-আহ্বায়ক করা হয়।  এর আগে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে কো-চেয়ারম্যান কাজী ফিরোজ রশীদ, প্রেসিডিয়াম সদস্য সুনীল শুভ রায়, ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক শফিকুল ইসলাম সেন্টু, ভাইস চেয়ারম্যান ইয়াই ইয়া চৌধুরীসহ বেশ কয়েকজনকে বহিষ্কার করে জাপা। বহিষ্কৃত ও ক্ষুব্ধ নেতাকর্মীদের নিয়ে দল গুছানোর কাজ করছেন রওশন এরশাদ। নিজেকে চেয়ারম্যান ও কাজী মামুনুর রশীদকে মহাসচিব ঘোষণা দেন তিনি। এ ছাড়াও আগামী ৯ মার্চ সম্মেলনের ঘোষণাও দিয়েছেন তিনি।  
১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

‘কাদের-চুন্নুর মতো মীর জাফরদের বয়কট করতে হবে’
আগামী ৯ মার্চ দলের কাউন্সিল উপলক্ষে আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু করেছে জাতীয় পার্টির রওশনপন্থিরা। সিলেটে বিভাগীয় প্রতিনিধি সম্মেলনের মধ্য দিয়ে কার্যক্রম শুরু করেন জাপা মহাসচিব কাজী মামুনুর রশিদ। অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, কারবালা ষড়যন্ত্রের মতোই গেল নির্বাচনে রক্তপাতহীন ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে জি এম কাদের নামধারী এরশাদের পরিবারকে রাজনৈতিকভাবে ধ্বংস করার চেষ্টা করেছেন। তাই কাদের-চুন্নুর মতো মীর জাফরদের আজীবনের জন্য বয়কট করতে হবে। তিনি বলেন, যতক্ষণ পর্যন্ত কাদের-চুন্নুকে উৎখাত করা না হবে, ততক্ষণ পর্যন্ত এরশাদের সৈনিকরা ঘরে ফিরবে না। বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) সিলেট জেলা পরিষদ মিলনায়তনে সিলেট জেলা ও মহানগর জাতীয় পার্টি আয়োজিত বিভাগীয় প্রতিনিধি সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব বলেন। তিনি বলেন, জি এম কাদেরের সামনে যদি একটি ন্যায়সঙ্গত দাবিও উথাপন করা হয়, তাতেও তিনি বহিষ্কারের আদেশ দেন। মনে রাখতে হবে ফিরোজ রশিদ এক দিনে সৃষ্টি হয়নি। তিনি তার অফিসে বসে নেতাকর্মীদের সঙ্গে আলোচনায় নির্বাচন নিয়ে কাদের-চুন্নুর আচরণের প্রতিবাদ করায়, তাকে বহিষ্কার করা হয়। কাজী মামুন বলেন, ২৬টি আসনে আওয়ামী লীগ সভাপতি নৌকার প্রার্থী প্রত্যাহার করে নেন। তাহলে জি এম কাদের-চুন্নু আসন সমঝোতার কথা অস্বীকার করলেন কেন? এটা কি প্রতারণা নয়? তারা জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীদের সঙ্গে প্রতারণা করেছেন। দেশের ১৮ কোটি মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করেছেন। সুতরাং আমাদের উচিত হবে প্রতারক কাদের-চুন্নকে আজীবনের জন্য বয়কট করা। এ সময় জাপা মহাসচিব কাজী মামুন আগামী ২৪ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় অনুষ্ঠিতব্য বর্ধিত সভা ও ৯ মার্চের কাউন্সিল সফল করতে সিলেট বিভাগের জাতীয় পার্টির এরশাদ প্রেমিক নেতাকর্মীদের উপস্থিত থাকা আহ্বান জানান। দলের ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক সংসদ সদস্য ইয়াহইয়া চৌধুরী এহিয়ার সভাপতিত্বে প্রতিনিধি সভায় প্রধান বক্তা ছিলেন, রাহগির আল মাহি সাদ এরশাদ। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী গোলাম সারওয়ার মিলন, ঢাকা মহানগর উত্তর জাপার আহ্বায়ক ও প্রেসিডিয়াম সদস্য শফিকুল ইসলাম সেন্টু, সাবেক এমপি এমএ গোফরান, সাবেক ছাত্র নেতা খন্দকার মনিরুজ্জামান টিটু, পার্টির উপদেষ্টা এম এ কুদ্দুস খান, ভাইস চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম পাঠান, উপদেষ্টা আমানত হোসেন, ফখরুল আহসান শাহজাদা, পীরজাদা জুবায়ের আহমেদ, জহির উদ্দিন জহির, আব্দুর রহমান চৌধুরী, আবু সাঈদ লিয়ন, এরফান উদ্দিন, মিরাজুল ইসলাম রাজ, সাহেদ কাদরী ও মাসুদ হাসান প্রমুখ।
১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪
X