সরকারের দুর্নীতি-লুটপাটে অর্থনীতি ভেঙে পড়েছে : জামায়াত
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেছেন, সরকারের সীমাহীন দুর্নীতির ফলে ব্যাংক লুট হচ্ছে, দেশের অর্থনীতি ভেঙে পড়েছে। দেশের জনগণ তাদের প্রাপ্য অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। শনিবার (১১ মে) ঢাকা মহানগর দক্ষিণ জামায়াতের উদ্যোগে রাজধানীর একটি মিলনায়তনে রুকন (সদস্য) প্রার্থীদের নিয়ে দিনব্যাপী শিক্ষাশিবিরে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, আধিপত্যবাদী অপশক্তির ষড়যন্ত্রের করালগ্রাসে আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি আজ চরম হুমকির মুখে। বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের একমাত্র রক্ষাকবচ হচ্ছে ইসলাম। অথচ এদেশের রাষ্ট্রব্যবস্থায় ইসলাম প্রতিষ্ঠিত না থাকায় সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে দুর্নীতিতে ছেয়ে গেছে, অন্যায় বেড়ে গেছে। এমতাবস্থায় এদেশের মাটি ও মানুষকে রক্ষা করতে জামায়াতে ইসলামীর রুকন প্রার্থীসহ সব জনশক্তিকে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে। ইসলামী সমাজব্যবস্থার পক্ষে জনমত গড়ে তুলতে হবে। ইসলামের আদর্শের দাওয়াত ঢাকা মহানগরীর প্রত্যেক ঘরে ঘরে পৌঁছে দিতে হবে। আল্লাহর তাওহিদের দাওয়াত নিয়ে এই তিলোত্তমা নগরীর প্রত্যেক অলিগলি মুখরিত রাখতে হবে। মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, জামায়াতে ইসলামীর রুকন প্রার্থীদের নিজেদের সর্বোচ্চ উজাড় করে আন্দোলনকে বিজয়ী করতে প্রচেষ্টা চালাতে হবে। মানুষকে আল্লাহর পথে আহ্বান করা একটি ফরজ ইবাদত। তাই সমাজের সব মানুষের কাছে ইসলামের সু-মহান আদর্শের দাওয়াত পৌঁছিয়ে দিতে হবে। বিশেষ করে নিজেদের আওতাধীন সব ব্যক্তির ওপর দ্বীনের দাওয়াত দেওয়া অবশ্যক। পরিবারের কর্তা তার স্ত্রী-সন্তানদের, প্রতিষ্ঠানের প্রধানরা তাদের অধীনস্থ কর্মকর্তা কর্মচারীদের, এলাকার মেম্বার-কমিশনার, চেয়ারম্যান, এমপি, মন্ত্রী কিংবা শাসকগণ যার যার অধীনস্থ সবাইকে সৎকাজের আদেশ ও অসৎ কাজের নিষেধ প্রদান করে ইসলামের ছায়াতলে আশ্রয়ের জন্য দাওয়াত দেবেন।   সভাপতির বক্তব্যে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ জামায়াতের আমির নূরুল ইসলাম বুলবুল বলেন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী এদেশে ইসলামী সমাজ বিনির্মাণের জন্য কাজ করে যাচ্ছে। একটি সুন্দর সমাজ বিনির্মাণের জন্য একদল যোগ্য ও দক্ষ লোকের প্রয়োজন। ফলে সেই দক্ষ ও যোগ্য লোক তৈরির জন্যই আজকে রুকন প্রার্থীদের দিনব্যাপী শিক্ষা শিবিরের মাধ্যমে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হচ্ছে। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ জামায়াতের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ বলেন, আমাদের প্রিয় জন্মভূমি বাংলাদেশে ইসলামী বিপ্লবকে ত্বরান্বিত করতে একদল দক্ষ, যোগ্য ও আদর্শের জন্য পাগলপারা কর্মী বাহিনী প্রয়োজন। তড়িঘড়ি করে মঞ্জিলে পৌঁছে যাওয়া আমাদের লক্ষ্য নয়। তাই ইসলামী জীবন-বিধান গ্রহণ ও তা বাস্তবায়নের মন মানসিকতা সম্পন্ন কাঙ্ক্ষিতমানের কর্মীবাহিনী গঠন করে আমরা আমাদের লক্ষ্যে পৌঁছুতে চাই। শিক্ষাশিবিরে আরও উপস্থিত ছিলেন মহানগর দক্ষিণের নায়েবে আমির আব্দুস সবুর ফকির, সহকারী সেক্রেটারি ড. আব্দুল মান্নান, কর্মপরিষদ সদস্য এস এম কামাল উদ্দিন ও ড. মোবারক হোসাইন, আব্দুস সালাম, জামায়াত নেতা আব্দুস সাত্তার সুমন, শাহীন আহমদ খান, আব্দুর রহিম জীবন, মু. মুজিবুর রহমান, হাবিবুর রহমানসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা।
১১ মে, ২০২৪

লোডশেডিংয়ে জনজীবন বিপর্যস্ত : জামায়াত
সারা দেশে বিদ্যুতের ভয়াবহ লোডশেডিংয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। সোমবার (৬ মে) জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ উদ্বেগ প্রকাশ করেন।  তিনি বলেন, দেশে অব্যাহত লোডশেডিং ও বিদ্যুৎখাতে ভয়াবহ বিপর্যয়ের কারণে জনজীবন আজ বিপর্যস্ত। একদিকে প্রচণ্ড গরমে মানুষের জীবন দুর্বিষহ, অপরদিকে ঘন ঘন লোডশেডিং মানুষের জীবনকে অসহনীয় করে তুলেছে। এ জামায়াত নেতা বলেন, তীব্র গরমে অনেকে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। এমতাবস্থায় কুইক রেন্টালের মতো জনস্বার্থবিরোধী চুক্তি বাতিল এবং বিদ্যুৎখাতের দুর্নীতি ও সব প্রকার অব্যবস্থাপনা দূর করে অবিলম্বে বিদ্যুৎ সমস্যার সমাধানে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। গোলাম পরওয়ার বলেন, বর্তমানে গ্রামে ৮ থেকে ১২ ঘণ্টা পর্যন্ত বিদ্যুৎ থাকে না। কিছু সময়ের জন্য আসে আবার চলে যায়। বিদ্যুতের অভাবে সেচের পাম্পগুলো অধিকাংশ সময় বন্ধ রাখতে হচ্ছে। ফলে পানিসেচ মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। কৃষক ফসল ফলাতে পারছে না। রাজধানী ঢাকার অধিকাংশ এলাকায় পানি সংকট দেখা দিয়েছে। দীর্ঘলাইন ধরেও পাম্পগুলো থেকে খাবার পানি পাওয়া যাচ্ছে না। বিদ্যুৎ না থাকায় পাম্পগুলো পানি সরবরাহ করতে পারছে না। তিনি বলেন, বিগত ১৫ বছরে বিদ্যুৎখাতে সরকারের ভয়াবহ দুর্নীতি, লুটপাট ও অনিয়মের কারণে বিদ্যুৎখাতে এই নৈরাজ্যজনক পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। সরকার দলীয় প্রভাবশালী ব্যক্তিদের দ্বারা পরিচালিত কুইক রেন্টালের মাধ্যমে বিদ্যুৎকেন্দ্র পরিচালনা করে সরকার হাজার হাজার কোটি টাকা লোপাট করেছে। শুরু থেকেই বিশেষজ্ঞগণ কুইক রেন্টালের বিরোধিতা করলেও সরকার সেদিকে কোনো কর্ণপাত করেনি। তিনি আরও বলেন, বর্তমান সরকারের আমলে বিগত ১৫ বছরে পাইকারি পর্যায়ে ১১ বার এবং খুচরা পর্যায়ে ১৩ বার বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হয়েছে। অবৈধভাবে ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য সরকার জনগণের ওপর বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দিয়ে অর্থনৈতিক ঘাটতি পূরণের অপচেষ্টা চালাচ্ছে। বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির ফলে শিল্প ও কৃষিসহ দেশের গোটা অর্থনীতির ওপর চরম বিরূপ প্রভাব পড়বে। গণবিরোধী সরকার দেশের জনগণকে মেরে নিজেরা বেঁচে থাকার চেষ্টা করছে।
০৬ মে, ২০২৪

দেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটেছে : জামায়াত
দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতি হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নেতারা। বৃহস্পতিবার (২ মে) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে দলটি। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়- জামায়াত গভীর উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করছে, দেশব্যাপী আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতি ঘটেছে। মানুষের জানমালের কোনো নিরাপত্তা নেই। প্রশাসনের ছত্রছায়ায় আওয়ামী দলীয় লোকরা হত্যা, গুম-খুন, ধর্ষণ, চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, জমি ও ঘর-বাড়ি দখল, ছিনতাই, ঘুষ-দুর্নীতিসহ হেন কোনো অপরাধ নেই, যা তারা সংঘটিত করছে না। দেশের নাগরিকরা চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্রের জন্য এটি অত্যন্ত দুঃখজনক। সরকার পুলিশ প্রশাসনকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করার কারণে পুলিশ অপরাধ নিয়ন্ত্রণের পরিবর্তে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়ছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়- সরকার ৭ জানুয়ারি প্রহসনের নির্বাচনের মাধ্যমে পুনরায় ক্ষমতা দখল করে নতুন স্টাইলে বিরোধীদলের নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার ও হয়রানি করছে। গত এপ্রিল মাসে ঢাকা ও গাজীপুর মহানগরী, নীলফামারী ও রাজশাহী মহানগরীসহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের ৩৫ জন নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়। রাজশাহীর আদালতে জামায়াত নেতারা হাজিরা দিতে গেলে রাজশাহী মহানগরী জামায়াতের সেক্রেটারিসহ ১০ জন নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়। আদালত অঙ্গন থেকে এ ধরনের গ্রেপ্তার নজিরবিহীন, ন্যক্কারজনক এবং আদালত অবমাননার শামিল। নির্বাহী পরিষদ আরও লক্ষ্য করছে, রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় বেপরোয়া কিশোর গ্যাং তথা কিশোর অপরাধীদের দৌরাত্ম্য সমাজের শান্তি-শৃঙ্খলা বিঘ্নিত করছে। ঢাকা থেকে শুরু করে সারা দেশের গ্রাম পর্যন্ত কিশোর গ্যাং খুন, ধর্ষণ, মাদক চোরাচালান, মাদক সেবনসহ নানা অপরাধে জড়িয়ে পড়েছে। সরকার এবং সরকারি দলের লোকদের পৃষ্ঠপোষকতার কারণেই দেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির মারাত্মক অবনতি ঘটেছে এবং সমাজ জীবনে চরম অস্থিরতা বিরাজ করছে। কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ দেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সমুন্নত রেখে মানুষের জানমাল, ইজ্জত-আব্রুর নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং গ্রেপ্তারদের অবিলম্বে মুক্তি প্রদান দেশের বিভিন্ন স্থানে নৈরাজ্য সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছে।
০২ মে, ২০২৪

বনায়ন কর্মসূচি বাস্তবায়নে ব্যর্থ সরকার : জামায়াত
সরকার দেশে প্রাকৃতিক ভারসাম্য বজায় রাখার জন্য বনায়ন কর্মসূচি বাস্তবায়নে ব্যর্থ হয়েছে। বনায়নের জন্য বিপুল পরিমাণ অর্থ বরাদ্দ থাকলেও তা বাস্তবায়িত হচ্ছে না। বিপরীত পক্ষে অপরিকল্পিত ও লাগামহীনভাবে গাছপালা কেটে দেশের বনাঞ্চলসমূহ ধ্বংস করা হচ্ছে। নিয়মবহির্ভূতভাবে ও বিল্ডিং কোড অনুসরণ না করে ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে।  মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) জামায়াতের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ বৈঠকে প্রস্তাবনায় এসব বিষয় ওঠে আসে। বৈঠকে সংগঠনের আমীর ডা. শফিকুর রহমান সভাপতিত্ব করেন। এ সময় দেশব্যাপী তীব্র দাবদাহ এবং প্রচণ্ড গরমে বিপর্যন্ত পরিবেশ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়। আলোচনার বেশকিছু প্রস্তাব গৃহীত হয়। গৃহীত প্রস্তাবে বলা হয়, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ গভীর উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করছে যে, বাংলাদেশে তীব্র দাবদাহ, প্রচণ্ড গরম ও উত্তপ্ত আবহাওয়ায় জনজীবন বিপর্যস্ত। অপরিকল্পিত নগরায়ন ও চাহিদামতো বনায়ন না হওয়ায় দেশে তাপমাত্রা ৭৬ বছরের রেকর্ড ভঙ করেছে। দীর্ঘদিন বৃষ্টি না হওয়ায় মানুষ, পশু-পাখি, জীব-জন্তু ভীষণ কষ্ট পাচ্ছে। দেশে ভয়াবহ খরা দেখা দিয়েছে। মাঠ-ঘাট ফেটে চৌচির হয়ে যাচ্ছে। গাছ-পালা ও মৌসুমি ফলমূলসহ সব ধরনের শস্য মরে যাচ্ছে। সর্বত্রই এক ভয়াবহ পরিস্থিতি বিরাজ করছে। তদুপরি বিদ্যুতের লোডশেডিং জনজীবনকে আরও বিপর্যস্ত করে তুলেছে। বলা হয়, এই পরিস্থিতিতে জামায়াতে ইসলামী দেশের আলেম-ওলামা ও জনগণকে সঙ্গে নিয়ে ইস্তিস্কা নামাজ আদায়ের আহ্বান জানায়। মানুষ তীব্র গরম ও অনাবৃষ্টি থেকে মুক্তির জন্য মহান রবের নিকট সাহায্য চেয়ে ইস্তিস্কার নামাজ আদায়ের জন্য উপস্থিত হলে রাষ্ট্রের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বিভিন্ন স্থানে বাধা দেয় ও অনেককে গ্রেপ্তার করে। সরকারের এ পদক্ষেপ যারপরনাই অমানবিক, অনাকাঙ্ক্ষিত ও অনভিপ্রেত। দেশবাসীর প্রশ্ন, সরকার কী চায় না দেশের মানুষ স্বস্তিত্বে থাকুক, শান্তিতে থাকুক। সর্বোপরি সরকারের এই ঘটনা তাদের ইসলামবিরোধী কর্মকাণ্ডের কথাই স্মরণ করিয়ে দেয়। কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সরকারের এই ঘটনার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছে। কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ দেশকে তাপদাহসহ সকল প্রকার প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের হাত থেকে রক্ষার জন্য মহান রবের খাস রহমত কামনা করছে। সেই সঙ্গে মানব সৃষ্ট সংকট নিয়ন্ত্রণ, বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি গ্রহণ, পরিবেশ সংরক্ষণ এবং পরিকল্পিত নগরায়ণের জন্য সরকার ও সর্বস্তরের জনগণের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, তাপমাত্রা বৃদ্ধির জন্য বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনই প্রধানতম দায়ী। সেই সঙ্গে অপরিকল্পিত নগরায়ণ, জলাধারা কমে যাওয়া, বনভূমি সংরক্ষণ না করা, যত্রতত্র গাছপালা কেটে ফেলা, নদী-নালা, খাল-বিল ভরাট করে বাড়িঘর নির্মাণ ইত্যাদি দায়ী। এ অবস্থা থেকে পরিত্রাণের জন্য জনগণকে সচেতন হতে হবে। পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করতে হবে। পরিকল্পিত নগরায়ণ কর্মসূচি হাতে নিতে হবে। বেদখল হওয়া জলাধার তথা নদ-নদী, ও খাল-বিল পুনরুদ্ধার করে তা সংরক্ষণ করতে হবে। সবুজ বনায়ন কর্মসূচি হাতে নিতে হবে। প্রতিটি বাড়িতে গাছ লাগাতে হবে।
৩০ এপ্রিল, ২০২৪

জামায়াত নিয়ে ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্য অসাংবিধানিক
‘জামায়াত নিবন্ধিত দল নয়; তাই প্রকাশ্যে রাজনীতিতে আসার সুযোগ নেই’ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের এমন বক্তব্যের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে জামায়াতে ইসলামী। দলটির সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার গতকাল এক বিবৃতিতে বলেন, ওবায়দুল কাদেরের দেওয়া বক্তব্য বেআইনি, অগণতান্ত্রিক ও অসাংবিধানিক। তিনি বলেন, জামায়াত একটি নিয়মতান্ত্রিক গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল। প্রহসনের নির্বাচন ছাড়া অতীতে প্রতিটি জাতীয় নির্বাচনে জামায়াত অংশ নিয়েছে এবং সংসদে প্রতিনিধিত্ব ছিল। জামায়াতের রাজনীতি করা ও মানবতার কল্যাণে ভূমিকা রাখার ব্যাপারে কোনো আইনি প্রতিবন্ধকতা নেই। পানি, স্যালাইন বিতরণ: চলমান তীব্র তাপদাহে পিপাসার্ত মানুষের মাঝে সুপেয় পানি ও স্যালাইন বিতরণ করেছেন জামায়াতের ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের নেতাকর্মীরা। পল্টন দক্ষিণ থানার উদ্যোগে গতকাল এসব সামগ্রী বিতরণে নেতৃত্ব দেন ঢাকা দক্ষিণ জামায়াতের নায়েবে আমির ড. হেলাল উদ্দিন।
২২ এপ্রিল, ২০২৪

আন্দোলনে বদ্ধপরিকর জামায়াত
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী রাজপথের আন্দোলনে বদ্ধপরিকর বলে মন্তব্য করেছেন দলটির আমির ডা. শফিকুর রহমান। তিনি আরও বলেন, যতই বাধা আসুক, ইকামাতে দ্বীনের কাজ চালিয়ে যাব। গতকাল শুক্রবার ঢাকা মহানগরী দক্ষিণ জামায়াতের উদ্যোগে অনলাইন মাধ্যম জুম, ইউটিউব ও ফেসবুক লাইভে ঈদ পুনর্মিলনী ও গণসংযোগ পক্ষের উদ্বোধনে এসব কথা বলেন তিনি। ১৫ দিনের এ গণসংযোগ চলবে আগামী ৩ মে পর্যন্ত। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আমির মুহাম্মদ নূরুল ইসলাম বুলবুল। সঞ্চালনা করেন সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ। আরও বক্তব্য দেন জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার, কেন্দ্রীয় নেতা রফিকুল ইসলাম খান, এএইচএম হামিদুর রহমান আযাদ, মাওলানা আব্দুল হালিম, ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি মনজুরুল ইসলাম, জামায়াত নেতা মতিউর রহমান আকন্দ, মোবারক হোসাইন, মো. সেলিম উদ্দিন, ড. খলিলুর রহমান মাদানী, বিএফইউজের সভাপতি রুহুল আমিন গাজী, আব্দুস সবুর ফকির, ড. হেলাল উদ্দিন, দেলাওয়ার হোসেন, কামাল হোসাইন, ড. আব্দুল মান্নান প্রমুখ।
২০ এপ্রিল, ২০২৪

চার কারণে পিছু হটল জামায়াত
উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেওয়া থেকে পিছু হটল বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। যেসব নেতা নির্বাচনের প্রস্তুতিতে ছিলেন, এরই মধ্যে তাদের প্রার্থী না হতে বারণ করা হয়েছে। জামায়াতের নীতিনির্ধারণী পর্ষদ কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের বৈঠকে আলোচনার পর উপজেলা নির্বাচনে না যাওয়ার এ সিদ্ধান্ত হয়। কেন্দ্রের এ সিদ্ধান্ত স্থানীয় দায়িত্বশীল নেতারা তৃণমূলে জানিয়ে দিয়েছেন। সেইসঙ্গে যারা মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন, তাদের প্রত্যাহার করতে বলা হয়েছে। তবে এ বিষয়ে জামায়াত কোনো আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেয়নি। দলীয় সিদ্ধান্ত না থাকলেও দেশের বিভিন্ন এলাকায় জামায়াতের অনেক নেতা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণের বিষয়ে প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। সম্ভাব্য প্রার্থীরা স্থানীয়ভাবে নানারকম প্রচার ও গণসংযোগও করছিলেন। বিশেষ করে রোজার মধ্যে এবং ঈদুল ফিতরে তারা ব্যাপক গণসংযোগ করেছেন। দলটির নেতারা বলছেন, মূলত বেশকিছু কারণে বর্তমান পরিস্থিতিতে নির্বাচনে যাচ্ছে না জামায়াত। তার মধ্যে মোটাদাগে চারটি কারণের কথা বলছেন নেতারা। কারণগুলো হচ্ছে—মানুষের ভোটাধিকার প্রয়োগে ক্ষমতাসীনদের ‘হস্তক্ষেপ’; বর্তমান নির্বাচনী ব্যবস্থা ও পরিবেশের প্রতি জনগণের ‘আস্থার সংকট’; গণতন্ত্র না থাকা এবং উপজেলা নির্বাচনে অংশ নিয়ে ‘অবৈধ সরকার’কে বৈধতা না দেওয়া। এদিকে উপজেলা নির্বাচনের প্রথম ধাপের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ তারিখের (সোমবার) আগেই সিদ্ধান্ত বদল করায় জামায়াতের তৃণমূলে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। মাঠপর্যায়ে পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁও, দিনাজপুর, গাইবান্ধা, যশোর, সাতক্ষীরা, চুয়াডাঙ্গাসহ বেশকিছু উপজেলায় জামায়াতের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনী তৎপরতা শুরু করেছিলেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকটি উপজেলার সম্ভাব্য প্রার্থীরা এ প্রতিবেদককে বলেন, নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্ত এমন সময় এলো, যখন তারা ব্যাপকভাবে গণসংযোগ করছিলেন। এতে তৃণমূল নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের মাঝে নেতিবাচক বার্তা যায়। নির্বাচনে গেলে কী লাভ আর কী ক্ষতি—এটা ভেবে অনেক আগেই সিদ্ধান্ত নিতে পারতেন দলের নীতিনির্ধারকরা। তবে সার্বিক পরিস্থিতিতে জামায়াতের কেন্দ্রীয় নেতারা যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, সেটাকেও সম্মান জানাতে চান তারা। জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আবদুল হালিম গতকাল মঙ্গলবার কালবেলাকে বলেন, সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় উপজেলা নির্বাচন না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জামায়াত। এরই মধ্যে সারা দেশে দলীয় সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। কেউ মনোনয়ন জমা দিলে তা প্রত্যাহার করতে বলা হয়েছে। দায়িত্বশীল সূত্র জানায়, বিএনপি-জামায়াতসহ প্রায় ৬৩টি রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ সরকারের অধীন গত ৭ জানুয়ারির জাতীয় সংসদ নির্বাচন বর্জন করেছে। বিএনপিও এ উপজেলা নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে না। ইসলামী দলগুলোর অন্যতম চরমোনাই পীরের ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশও সংসদ নির্বাচনের মতো উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সবমিলিয়ে জামায়াতকেও শেষ পর্যন্ত উপজেলা নির্বাচন না করার সিদ্ধান্ত নিতে হলো। এবারের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশগ্রহণের বিষয়ে শুরুর দিকে কিছুটা নমনীয় ছিল জামায়াত। জয়ের সম্ভাবনা আছে এবং স্থানীয়ভাবে প্রভাব আছে—এমন উপজেলাগুলোতে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার ব্যাপারে প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নিয়েছিল দলটি। এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য এবং প্রার্থী মনোনয়নের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট উপজেলা ও জেলা কমিটির দায়িত্বশীল নেতাদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। সে মোতাবেক সম্ভাব্য প্রার্থীরা প্রস্তুতিও নিচ্ছিলেন। সংশ্লিষ্টরা জানান, দেশের চলামান রাজনৈতিক ও সার্বিক পরিস্থিতিতে ঈদের আগে দলের নীতিনির্ধারণী পর্ষদ কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের বৈঠক ডাকে জামায়াতে ইসলামী। সেখানে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। একপর্যায়ে উপজেলা নির্বাচনে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। ঈদুল ফিতরের পরপরই গত শনিবার উপজেলা নির্বাচন না করার বিষয়ে জেলা ও উপজেলার দায়িত্বশীল নেতাদের মাধ্যমে তৃণমূলে মৌখিকভাবে নির্দেশনা পাঠানো হয়েছে। সিদ্ধান্ত পরিবর্তনের ব্যাপারে জামায়াতের নেতারা বলছেন, তারা পর্যালোচনা করে দেখেছেন যে, দেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের কোনো পরিবেশ নেই। জনগণ ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারছে না। নির্বাচন কমিশন স্বাধীনভাবে ভূমিকা রাখতে ব্যর্থ হচ্ছে। যার সর্বশেষ প্রমাণ গত ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন। দেশের প্রধান বিরোধী দল বিএনপিসহ অসংখ্য রাজনৈতিক দল এ সরকারের অধীনে নির্বাচন বর্জন করেছে। এ অবস্থায় জামায়াতে ইসলামী উপজেলা নির্বাচনে অংশ নিয়ে ‘অবৈধ সরকার’কে বৈধতা দেওয়ার কোনো প্রশ্নই আসে না। তা ছাড়া নির্বাচনের আগেই বিভিন্ন স্থানে জামায়াতের সম্ভাব্য প্রার্থীদের হুমকি দিয়ে ভয় দেখানো হচ্ছে। এসব বিষয়কে বিবেচনা করে উপজেলা নির্বাচনে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জামায়াত। জামায়াতের কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আজাদ গতকাল কালবেলাকে বলেন, জামায়াতে ইসলামী শুধু নয়, বাংলাদেশের কোনো গণতান্ত্রিক দল উপজেলা নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে না। কারণ, গত ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে দেশের জনগণ ভোট দিতে যায়নি। তারা একতরফা নির্বাচন বর্জন করেছে। সেই জনরোষ এখনো আছে। সুতরাং যেসব কারণে আমরা জাতীয় সংসদ নির্বাচন বর্জন করেছি, সেসব কারণেই উপজেলা নির্বাচনে যাচ্ছি না। তিনি বলেন, জামায়াতে ইসলামী জনগণের জন্য রাজনীতি করে। জনগণের প্রতি জামায়াতের দায়বদ্ধতা আছে। দায়িত্বশীল দল হিসেবে জামায়াত জনমতকে উপেক্ষা করে নির্বাচনে যেতে পারে না। প্রসঙ্গত, সর্বশেষ ২০১৪ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পরপর অনুষ্ঠিত উপজেলা নির্বাচনে অংশ নিয়ে জামায়াতের শতাধিক প্রার্থী উপজেলা চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান (মহিলাসহ) হন। ২০০৯ সালের নির্বাচনে ২৪টি উপজেলায় চেয়ারম্যানসহ ৩৯ জন ভাইস চেয়ারম্যান (মহিলাসহ) নির্বাচিত হয়েছিলেন। ২০১৯ সালে দলীয় প্রতীকে অনুষ্ঠিত উপজেলা নির্বাচন বর্জন করে জামায়াত। দলের নিবন্ধন না থাকলেও স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার সুযোগ ছিল জামায়াত নেতাদের। কিন্তু দলীয় সিদ্ধান্তে সেবার কেউ নির্বাচনে অংশ নেননি।
১৭ এপ্রিল, ২০২৪

ভোটের মাঠে নেমে হঠাৎ সরে দাঁড়াল জামায়াত
হাইকোর্টের দেওয়া রায়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন বাতিলসহ নানা কারণে দলটি এতদিন নির্বাচন থেকে দূরে ছিল। তবে রংপুরের পীরগাছায় আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে হঠাৎ মাসখানেক আগে ভোটের মাঠে নেমেছিলেন জামায়াতের নেতারা।  গত এক মাস ধরে রংপুর মহানগর জামায়াতের আমীর এ টি এম আজম খান চেয়ারম্যান পদে, পীরগাছা উপজেলা জামায়াতের আমীর মোস্তাক আহমদ ভাইস চেয়ারম্যান পদে ও উপজেলা জামায়াতের সাবেক আমীর মোত্তালেব হোসেনের স্ত্রী মুনঝুরী বেগম মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করবেন বলে পোস্টার, লিফলেট, গণসংযোগের মাধ্যমে জানান দিচ্ছিলেন। এমনকি ভাইস চেয়ারম্যান পদের দুই প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিলও করেছেন। তবে রোববার (১৪ এপ্রিল) সন্ধ্যার পর হঠাৎ গুঞ্জন ওঠে জামায়াত এই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছে না।  এ বিষয়ে জানতে রংপুর মহানগর জামায়াতের আমীর এ টি এম আজম খানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি কালবেলাকে জানান, দলের হাইকমান্ডের নির্দেশনা অনুযায়ী তারা আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছেন না। ভাইস চেয়ারম্যান পদে যে দুজন মনোনয়ন দাখিল করেছেন তারাও দলের সিদ্ধান্ত মোতাবেক মনোনয়ন প্রত্যাহার করবেন। এদিকে উপজেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে, ১ম ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন (১৫ এপ্রিল) পর্যন্ত পীরগাছা উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ৫ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৫ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৭ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।  চেয়ারম্যান পদে যারা মনোনয়ন দাখিল করেছেন তারা হলেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. তছলিম উদ্দিন চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ মিলন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. আরিফুল হক লিটন, যুবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সহসম্পাদক মো. মনোয়ারুল ইসলাম এবং জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও উপজেলা সভাপতি আবু নাসের শাহ মো. মাহবুবার রহমান। ভাইস চেয়ারম্যান পদে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. জাফর ইকবাল, উপজেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক শাহ মো. ফরহাদ হোসেন, উপজেলা জামায়াতের আমীর মোস্তাক আহমদ, আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি মরহুম শাহ আব্দুর রাজ্জাকের নাতি শাহ মো. শারেখ খন্দকার জয়, পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির সাবেক পরিচালক আব্দুর রহিম এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে উপজেলা মহিলা জাতীয় পার্টির সভানেত্রী মোছা. তানজিনা আফরোজ, জামায়াত নেতার স্ত্রী মোছা. মুনঝুরী বেগম, মোছা. শারমিন আক্তার, মোছা. মাহমুদা খাতুন, মোছা. রেহেনা বেগম, মোছা. ইসরাত জাহান মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।
১৫ এপ্রিল, ২০২৪

মৌলভীবাজারের ৫ উপজেলা থেকে প্রার্থী সরিয়ে নিল জামায়াত
আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মৌলভীবাজার জেলার পাঁচটি উপজেলায় বিভিন্ন পদে প্রার্থী ঘোষণা করেছিল বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। এবার এসব প্রার্থী আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করার ঘোষণা দিয়েছেন। দুটি উপজেলায় চেয়ারম্যান, তিনটিতে ভাইস চেয়াম্যান পদপ্রার্থী হিসেবে প্রচার চালালেও মনোনয়ন ফরম জমা দেওয়ার আগমুহূর্তে সরে দাঁড়ালেন তারা। জানা যায়, রোববার (১৪ এপ্রিল) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভিডিও বার্তা দিয়ে বিভিন্ন উপজেলার প্রার্থীরা আসন্ন উপজেলা নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন।  আসন্ন নির্বাচনে মৌলভীবাজার জেলায় জামায়াতের প্রার্থীরা হলেন- বড়লেখা উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে উপজেলা আমির মো. এমাদুল ইসলাম, জুড়ী উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে জেলার ভারপ্রাপ্ত আমির মাওলানা আব্দুর রহমান, কুলাউড়া উপজেলায় ভাইস চেয়ারম্যান পদে রাজানুর রহিম ইফতেখার, রাজনগর উপজেলায় ভাইস চেয়ারম্যান পদে উপজেলা আমির আবুর রাইয়ান শাহীন ও মৌলভীবাজার সদর উপজেলায় মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে দেওয়ান শরীফা ইসলাম চৌধুরী। বড়লেখা উপজেলা আমির মো. এমাদুল ইসলাম বলেন, কেন্দ্রের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছি। উপজেলা উন্নয়ন ফোরামের মনোনীত প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রচারে অংশ নিয়েছিলাম। প্রচারের সময় সবার সহযোগিতা ও ভালোবাসা পেয়েছি। কেউ কোনো ধরনের চাপ প্রয়োগ করেনি। ফেসবুকে দেওয়া ভিডিও বার্তায় এমাদুল ইসলাম বলেন, দেশের সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে আমি নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালাম। নির্বাচনী প্রচারের সময় আমি দলমত নির্বিশেষে সবার আন্তরিক সহযোগিতা ও ভালোবাসা পেয়েছি। সেজন্য আমি সবার নিকট চির কৃতজ্ঞ। আমি অতীতে সবার পাশে ছিলাম, ভবিষ্যতেও থাকব। মৌলভীবাজার জেলা জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত আমির মাওলানা আব্দুর রহমান নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, সংগঠনের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত। ঘোষিত তপশিল অনুযায়ী, প্রথম ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মনোনয়ন ফরম জমা দেওয়ার শেষ দিন ১৫ এপ্রিল সোমবার। মনোনয়ন ফরম যাচাই-বাছাই হবে ১৭ এপ্রিল। মনোনয়ন ফরম প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ২২ এপ্রিল। প্রতীক বরাদ্দ ২৩ এপ্রিল, আর ভোটগ্রহণ ৮ মে। আর দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচন ২১ মে। 
১৫ এপ্রিল, ২০২৪
X