দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতি হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নেতারা। বৃহস্পতিবার (২ মে) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে দলটি।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়- জামায়াত গভীর উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করছে, দেশব্যাপী আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতি ঘটেছে। মানুষের জানমালের কোনো নিরাপত্তা নেই। প্রশাসনের ছত্রছায়ায় আওয়ামী দলীয় লোকরা হত্যা, গুম-খুন, ধর্ষণ, চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, জমি ও ঘর-বাড়ি দখল, ছিনতাই, ঘুষ-দুর্নীতিসহ হেন কোনো অপরাধ নেই, যা তারা সংঘটিত করছে না। দেশের নাগরিকরা চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্রের জন্য এটি অত্যন্ত দুঃখজনক। সরকার পুলিশ প্রশাসনকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করার কারণে পুলিশ অপরাধ নিয়ন্ত্রণের পরিবর্তে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়ছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়- সরকার ৭ জানুয়ারি প্রহসনের নির্বাচনের মাধ্যমে পুনরায় ক্ষমতা দখল করে নতুন স্টাইলে বিরোধীদলের নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার ও হয়রানি করছে। গত এপ্রিল মাসে ঢাকা ও গাজীপুর মহানগরী, নীলফামারী ও রাজশাহী মহানগরীসহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের ৩৫ জন নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়। রাজশাহীর আদালতে জামায়াত নেতারা হাজিরা দিতে গেলে রাজশাহী মহানগরী জামায়াতের সেক্রেটারিসহ ১০ জন নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়। আদালত অঙ্গন থেকে এ ধরনের গ্রেপ্তার নজিরবিহীন, ন্যক্কারজনক এবং আদালত অবমাননার শামিল।
নির্বাহী পরিষদ আরও লক্ষ্য করছে, রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় বেপরোয়া কিশোর গ্যাং তথা কিশোর অপরাধীদের দৌরাত্ম্য সমাজের শান্তি-শৃঙ্খলা বিঘ্নিত করছে। ঢাকা থেকে শুরু করে সারা দেশের গ্রাম পর্যন্ত কিশোর গ্যাং খুন, ধর্ষণ, মাদক চোরাচালান, মাদক সেবনসহ নানা অপরাধে জড়িয়ে পড়েছে। সরকার এবং সরকারি দলের লোকদের পৃষ্ঠপোষকতার কারণেই দেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির মারাত্মক অবনতি ঘটেছে এবং সমাজ জীবনে চরম অস্থিরতা বিরাজ করছে।
কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ দেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সমুন্নত রেখে মানুষের জানমাল, ইজ্জত-আব্রুর নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং গ্রেপ্তারদের অবিলম্বে মুক্তি প্রদান দেশের বিভিন্ন স্থানে নৈরাজ্য সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছে।
মন্তব্য করুন