কালবেলা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭:৫৮ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

বনায়ন কর্মসূচি বাস্তবায়নে ব্যর্থ সরকার : জামায়াত

গ্রাফিক্স : কালবেলা
গ্রাফিক্স : কালবেলা

সরকার দেশে প্রাকৃতিক ভারসাম্য বজায় রাখার জন্য বনায়ন কর্মসূচি বাস্তবায়নে ব্যর্থ হয়েছে। বনায়নের জন্য বিপুল পরিমাণ অর্থ বরাদ্দ থাকলেও তা বাস্তবায়িত হচ্ছে না। বিপরীত পক্ষে অপরিকল্পিত ও লাগামহীনভাবে গাছপালা কেটে দেশের বনাঞ্চলসমূহ ধ্বংস করা হচ্ছে। নিয়মবহির্ভূতভাবে ও বিল্ডিং কোড অনুসরণ না করে ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে।

মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) জামায়াতের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ বৈঠকে প্রস্তাবনায় এসব বিষয় ওঠে আসে। বৈঠকে সংগঠনের আমীর ডা. শফিকুর রহমান সভাপতিত্ব করেন। এ সময় দেশব্যাপী তীব্র দাবদাহ এবং প্রচণ্ড গরমে বিপর্যন্ত পরিবেশ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়। আলোচনার বেশকিছু প্রস্তাব গৃহীত হয়।

গৃহীত প্রস্তাবে বলা হয়, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ গভীর উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করছে যে, বাংলাদেশে তীব্র দাবদাহ, প্রচণ্ড গরম ও উত্তপ্ত আবহাওয়ায় জনজীবন বিপর্যস্ত। অপরিকল্পিত নগরায়ন ও চাহিদামতো বনায়ন না হওয়ায় দেশে তাপমাত্রা ৭৬ বছরের রেকর্ড ভঙ করেছে। দীর্ঘদিন বৃষ্টি না হওয়ায় মানুষ, পশু-পাখি, জীব-জন্তু ভীষণ কষ্ট পাচ্ছে। দেশে ভয়াবহ খরা দেখা দিয়েছে। মাঠ-ঘাট ফেটে চৌচির হয়ে যাচ্ছে। গাছ-পালা ও মৌসুমি ফলমূলসহ সব ধরনের শস্য মরে যাচ্ছে। সর্বত্রই এক ভয়াবহ পরিস্থিতি বিরাজ করছে। তদুপরি বিদ্যুতের লোডশেডিং জনজীবনকে আরও বিপর্যস্ত করে তুলেছে।

বলা হয়, এই পরিস্থিতিতে জামায়াতে ইসলামী দেশের আলেম-ওলামা ও জনগণকে সঙ্গে নিয়ে ইস্তিস্কা নামাজ আদায়ের আহ্বান জানায়। মানুষ তীব্র গরম ও অনাবৃষ্টি থেকে মুক্তির জন্য মহান রবের নিকট সাহায্য চেয়ে ইস্তিস্কার নামাজ আদায়ের জন্য উপস্থিত হলে রাষ্ট্রের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বিভিন্ন স্থানে বাধা দেয় ও অনেককে গ্রেপ্তার করে। সরকারের এ পদক্ষেপ যারপরনাই অমানবিক, অনাকাঙ্ক্ষিত ও অনভিপ্রেত। দেশবাসীর প্রশ্ন, সরকার কী চায় না দেশের মানুষ স্বস্তিত্বে থাকুক, শান্তিতে থাকুক। সর্বোপরি সরকারের এই ঘটনা তাদের ইসলামবিরোধী কর্মকাণ্ডের কথাই স্মরণ করিয়ে দেয়। কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সরকারের এই ঘটনার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছে।

কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ দেশকে তাপদাহসহ সকল প্রকার প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের হাত থেকে রক্ষার জন্য মহান রবের খাস রহমত কামনা করছে। সেই সঙ্গে মানব সৃষ্ট সংকট নিয়ন্ত্রণ, বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি গ্রহণ, পরিবেশ সংরক্ষণ এবং পরিকল্পিত নগরায়ণের জন্য সরকার ও সর্বস্তরের জনগণের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, তাপমাত্রা বৃদ্ধির জন্য বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনই প্রধানতম দায়ী। সেই সঙ্গে অপরিকল্পিত নগরায়ণ, জলাধারা কমে যাওয়া, বনভূমি সংরক্ষণ না করা, যত্রতত্র গাছপালা কেটে ফেলা, নদী-নালা, খাল-বিল ভরাট করে বাড়িঘর নির্মাণ ইত্যাদি দায়ী। এ অবস্থা থেকে পরিত্রাণের জন্য জনগণকে সচেতন হতে হবে। পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করতে হবে। পরিকল্পিত নগরায়ণ কর্মসূচি হাতে নিতে হবে। বেদখল হওয়া জলাধার তথা নদ-নদী, ও খাল-বিল পুনরুদ্ধার করে তা সংরক্ষণ করতে হবে। সবুজ বনায়ন কর্মসূচি হাতে নিতে হবে। প্রতিটি বাড়িতে গাছ লাগাতে হবে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

গরুর মাংসে হাড়-চর্বি বেশি দেওয়ায় সংঘর্ষ

‘বিএনপি ছাড়া দেশে শান্তি আসবে না’

এক ইলিশ ১০ হাজার টাকা

ভাতের হোটেলের পাওনা চাওয়ায় গুলি

ব্যক্তি স্বার্থে দলকে ব্যবহার করা যাবে না : সেলিমুজ্জামান

‘জনগণের অধিকার ও মৌলিক চাহিদা নিশ্চিত করতে কাজ করছে বিএনপি’

নিউইয়র্কের প্রবাসীদের এনআইডি কার্যক্রমের উদ্বোধন

কুয়েতে প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য সুখবর

ফের জামায়াতের সমালোচনা করলেন হেফাজত আমির

জবি ক্যাম্পাসে ছাত্রদল নেতা হাসিবুলের প্রথম জানাজা সম্পন্ন

১০

গণতন্ত্রে উত্তরণে বিশ্বের সমর্থন পাওয়া গেছে : মির্জা ফখরুল

১১

আমরা পা ছেড়ে মাথার রগে ফোকাস করছি, মজার ছলে সর্ব মিত্র

১২

নাটকীয় ম্যাচ জিতে টাইগারদের সিরিজ জয়

১৩

জবি ছাত্রদল নেতার মৃত্যুতে হাসপাতালে ভিপি সাদিক কায়েম

১৪

হঠাৎ খিঁচুনিতে জবি ছাত্রদল নেতার মৃত্যু

১৫

আবারও ইনজুরিতে ইয়ামাল

১৬

ঈদগাহের নামকরণ নিয়ে দ্বন্দ্ব, দুই গ্রামবাসীর সংঘর্ষ

১৭

খুলনায় ছেলের হাতে বাবা খুন

১৮

চাকসু নির্বাচন / ১৫ সেকেন্ডে দিতে হবে ১ ভোট

১৯

‘ভোটের অধিকার না থাকায় শ্রমজীবীরা বেশি অমর্যাদার শিকার’

২০
X