অবন্তিকার মৃত্যু / জামিন পেলেন জবি শিক্ষক দ্বীন ইসলাম 
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) আইন বিভাগের শিক্ষার্থী ফাইরুজ সাদাফ অবন্তিকার আত্মহত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার হওয়া অভিযুক্ত শিক্ষক দ্বীন ইসলাম জামিনে মুক্তি পেয়েছেন। তবে এই মামলায় অভিযুক্ত সহপাঠী আম্মান সিদ্দিকীর জামিন হচ্ছে না। বুধবার (৮ মে) কুমিল্লায় কারাগার থেকে বিকেলে জামিন পেয়েছেন বলে জানান কুমিল্লার কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. ফিরোজ হোসেন।  ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ফিরোজ হোসেন বলেন, হাইকোর্টের নির্দেশে আজ দ্বীন ইসলাম জামিনে মুক্তি পেয়েছেন। দুপুরের পর আমরা কোর্টের অর্ডার হাতে পাই। এরপরই তাঁকে কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি দেওয়া হয়। পরিবারের সদস্যরা তাকে গ্রহণ করে নিয়ে যান।  এর আগে ১৫ মার্চ আনুমানিক রাত ১০ টায় আত্মহত্যা করে অবন্তিকা। এঘটনায় অবন্তিকার মায়ের দায়ের করা মামলায় সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলাম ও সহপাঠী রায়হান সিদ্দিকী আম্মানকে আটক করে পুলিশ। ওইদিন রাতে ঢাকা মহানগর লালবাগ বিভাগের কোতোয়ালি থানা পুলিশ তাদের আটক করে।   
১৪ ঘণ্টা আগে

জেসিকার চেয়ারম্যানকে জামিন করাতে মরিয়া পদ্মা ব্যাংক
৮৯ কোটি টাকা ঋণখেলাপির অভিযোগে চট্টগ্রামের ব্যবসায়ী জসীম উদ্দীনের বিরুদ্ধে মামলা করে পদ্মা ব্যাংকের খাতুনগঞ্জ শাখা। পরে আদালত বিভিন্ন সময় কিস্তিতে টাকা পরিশোধের সময় বেঁধে দিলেও আদেশ মানেননি জসীম উদ্দীন। এতে সস্ত্রীক জসীমের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা ও সম্প্রতি তাদের বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট ইস্যু করেন আদালত। অথচ টাকা আদায়ে তৎপরতা না থাকলেও জসীম ও তার স্ত্রীর জামিন করাতে মরিয়া হয়ে উঠে খোদ পদ্মা ব্যাংক। এতে পদ্মা ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালককে শোকজ করেছে আদালত। বৃহস্পতিবার (২ মে) বিকেল সাড়ে ৩টার পর পদ্মা ব্যাংক ও জসীমের পক্ষে ৫ কোটি টাকার পে অর্ডার ও ৭ কোটি টাকার তারিখবিহীন চেক দাখিল করে। এ সময় জসীম ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে ইস্যু করা ওয়ারেন্ট রিকল ও সম্পত্তি জব্দের আদেশ প্রত্যাহারের যৌথ আবেদন করা হয়। শুনানি শেষে আবেদন না মঞ্জুর করে পদ্মা ব্যংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালককে শোকজ করেন চট্টগ্রাম অর্থঋণ আদালতের বিচারক মুজাহিদুর রহমান। বিষয়টি নিশ্চিত করেন আদালতের বেঞ্চ সহকারী রেজাউল করিম। তিনি কালবেলাকে বলেন, একজন ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপিকে আইনের শর্ত পূরণ ছাড়া জামিন ও সম্পত্তি অবমুক্ত করার আবেদন করে। এ কারণে পদ্মা ব্যাংক লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর বরাবরে আদেশ পাঠানো হবে না মর্মে কারণ দর্শানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে আগামী ৯ মে শোকজের জবাব দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয়। জানা যায়, জসীম উদ্দীন চট্টগ্রাম নগরীর লালদীঘি এলাকার মহল মার্কেটের মালিক। আদালত সূত্র জানায়, খেলাপি ঋণ পরিশোধ না করায় পদ্মা ব্যাংক লিমিটেড খাতুনগঞ্জ শাখার গ্রাহক জেসিকা ট্রেড ইন্টারন্যাশনালের মালিক জসিমের বিরুদ্ধে গত ৩০ এপ্রিল ৫ মাসের দেওয়ানি আটকাদেশসহ গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে চট্টগ্রাম অর্থঋণ আদালত। বৃহস্পতিবার (২ মে) ঋণখেলাপি জসিমের পক্ষে কোনো টাকা পরিশোধ না করে জামিন আবেদন করা হলে আদালত তা নামঞ্জুর করেন। বিচারক আদেশে উল্লেখ করেন, ডিক্রিদার পদ্মা ব্যাংক এবং জসিমের পক্ষে ৫ কোটি টাকার পে-অর্ডার এবং ৭ কোটি টাকার তারিখবিহীন চেক দাখিল করে দায়িকের বিরুদ্ধে ইস্যুকৃত ওয়ারেন্ট রিকল এবং দায়িকের সম্পত্তি জব্দের আদেশ প্রত্যাহার করার জন্য যৌথভাবে আবেদন করা হয়। অর্থঋণ আদালত আইনের ৩৪ (৬) ধারা ৮৮ কোটি টাকার ২৫% হিসেবে ২২ কোটি টাকা পরিশোধ না করায় এবং তারিখবিহীন চেক গ্রহণযোগ্য না হওয়ায় ডিক্রিদার পদ্মা ব্যাংক এবং দায়িকের দাখিলকৃত যৌথ দরখাস্ত নামঞ্জুর করেন আদালত। প্রধান কার্যালয়ের কর্তৃত্ববিহীন ডিক্রিদার ব্যাংকের এরূপ যৌথ দরখাস্ত স্বাক্ষর করায় বিস্ময় প্রকাশও করেন আদালত। আদালতে উপস্থিত ডিক্রিদার ব্যাংকের কর্মকর্তা প্রধান কার্যালয়ের টেলিফোনিক নিদের্শে এমন দরখাস্ত দাখিল করেছেন বলে উল্লেখ করেন। ডিক্রিদার ব্যাংকের পরিচালনা পরিষদের কোনো লিখিত মঞ্জুরিপত্র ছাড়া দায়িকের পক্ষে দরখাস্তে স্বাক্ষর করায় ডিক্রিদার ব্যাংকের আইনজীবী ক্ষমা প্রার্থনা করেন।  এর আগে, গত ৪ এপ্রিল জসিম ও তার স্ত্রী জুহিকে দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেন অর্থঋণ আদালত। কিন্তু শর্ত মোতাবেক ঋণের কিস্তি পরিশোধ না করে তারা বিলাসী জীবনযাপন অব্যাহত রাখে। বিলাসবহুল রেঞ্জ রোভার গাড়িতে চড়ে সমাজসেবার নামে দুই হাতে টাকা খরচ করতে থাকেন। সর্বশেষ মঙ্গলবার জসিম উদ্দিনের মালিকানাধীন দুটি গাড়ি, দক্ষিণ খুলশীর জসিম হিল পার্ক, পাথরঘাটা এলাকায় ছয়তলা ভবন ‘মফজল টাওয়ার’ ও চন্দনাইশ এলাকার একটি ডুপ্লেক্স ভবন ক্রোকের আদেশ দেন আদালত।
০৩ মে, ২০২৪

জামিন পেলেন ড. ইউনূস
২৫ কোটি টাকা আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগে করা মামলায় জামিন পেয়েছেন নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ ১৪ জন। বৃহস্পতিবার (২ মে) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক সৈয়দ আরাফাত হোসেনের আদালত এ জামিন মঞ্জুর করেন।  এদিন সকালে ড. ইউনূস পূর্বশর্তে জামিন আবেদন করেন। এরপর এ মামলায় হাজিরা দিতে বেলা ১১টা ২০ মিনিটে আদালতে পৌঁছান তিনি। এ মামলার অন্য আসামিরা হলেন-গ্রামীণ টেলিকমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. নাজমুল ইসলাম, পরিচালক ও সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আশরাফুল হাসান, পরিচালক পারভীন মাহমুদ, নাজনীন সুলতানা, মো. শাহজাহান, নূরজাহান বেগম ও পরিচালক এস. এম হাজ্জাতুল ইসলাম লতিফী, অ্যাডভোকেট মো. ইউসুফ আলী, অ্যাডভোকেট জাফরুল হাসান শরীফ, গ্রামীণ টেলিকম শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি মো. কামরুজ্জামান, সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ মাহমুদ হাসান ও প্রতিনিধি মো. মাইনুল ইসলাম, দপ্তর সম্পাদক কামরুল ইসলাম। এর আগে গত ১ ফেব্রুয়ারি মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দুদকের উপপরিচালক গুলশান আনোয়ার ১৪ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন। পরে গত ২ এপ্রিল ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেনের আদালত চার্জশিট আমলে গ্রহণ করেন। একইসঙ্গে মামলাটি বিচারের জন্য ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এ বদলি করেন। গত বছরের ৩০ মে গ্রামীণ টেলিকমের শ্রমিক-কর্মচারীদের কল্যাণ তহবিলের ২৫ কোটি ২২ লাখ ৬ হাজার ৭৮০ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে দুদক। সংস্থার উপপরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধান বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।
০২ মে, ২০২৪

আইসিটি মামলায় ৫ সাংবাদিকের জামিন
ডিজিটাল নিরাপত্তা (আইসিটি) আইনে এক নারী কাউন্সিলরের করা মামলায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরের ৫ সাংবাদিকের জামিন আবেদন মঞ্জুর করেছে চট্টগ্রাম সাইবার ট্রাইব্যুনাল আদালত।  মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) দুপুরে জেলা জজ মোহাম্মদ জহিরুল কবির উভয় পক্ষের আইনজীবীদের যুক্তিতর্ক শেষে এ জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন। জামিন পাওয়া পাঁচ সাংবাদিক হলেন- সমকালের নবীনগর প্রতিনিধি মাহবুব আলম লিটন, আমার সংবাদের প্রতিনিধি মো. বাবুল, দৈনিক বর্তমানের প্রতিনিধি মো. সফর আলী, এশিয়ান টিভি ও দেশ রূপান্তরের প্রতিনিধি জ ই বুলবুল এবং দৈনিক প্রতিদিনের কাগজের প্রতিনিধি মমিনুল হক রুবেল। মামলা সূত্রে জানা যায়, মুক্তিযোদ্ধার সন্তান সেজে ভাতা উত্তোলনের অভিযোগের ভিত্তিতে নবীনগর পৌরসভার নারী কাউন্সিলর নিলুফা ইয়াছমিনের বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ করায় গত বছর তাদের নামে সাইবার ট্রাইব্যুনাল চট্টগ্রামে ১৫-২৩নং মামলা হয়। ওই মামলায় চলতি বছরের মার্চ মাসের শেষের দিকে পাঁচ সাংবাদিকের নামে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। পরে তারা গত ২৩ এপ্রিল হাইকোর্ট থেকে ৬ সপ্তাহের আগাম জামিন নেন। মঙ্গলবার চট্টগ্রাম সাইবার ট্রাইব্যুনাল আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। সাংবাদিকদের পক্ষে আইনজীবী হিসেবে শুনানিতে অংশ নেন চট্টগ্রাম আইনজীবী সমিতির সদস্য অ্যাডভোকেট স্বরুপ কান্তি দেবনাথ। এ মামলা থেকে জামিন পাওয়া সাংবাদিকরা জানান, আমরা অভিযোগের ভিত্তিতে পত্রিকায় সংবাদটি প্রকাশ করায় মামলার আসামি হয়েছি। তদন্তকারী কর্মকর্তা আমাদের এ মামলা থেকে অব্যাহতি দিয়েছেন। এখন স্থায়ী জামিন পেয়েছি এবং স্থায়ী অব্যাহতিরও দাবি করছি।
৩০ এপ্রিল, ২০২৪

চট্টগ্রামে মিতু হত্যা / বাবুল আক্তারকে জামিন দেননি হাইকোর্ট
স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু হত্যা মামলায় সাবেক পুলিশ সুপার (এসপি) বাবুল আক্তারের জামিন আবেদন উত্থাপিত হয়নি মর্মে খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। গতকাল সোমবার বিচারপতি মো. হাবিবুল গনি ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মনসুরুল হক চৌধুরী। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আসাদুজ্জামান মনির ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মুহাম্মদ শাহ নেওয়াজ। পরে মুহাম্মদ শাহ নেওয়াজ বলেন, এ মামলায় মোট ৯৭ জন সাক্ষী আছে। এর মধ্যে ৪৭ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। এ পর্যায়ে আসামিকে জামিন দেওয়ার সুযোগ নেই। এই যুক্তিতে হাইকোর্ট তাকে জামিন দিতে চাননি। তখন তার আইনজীবীর আবেদন ফেরত চান। আইনজীবীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত জামিন আবেদনটি ‘নট প্রেসড রিজেক্ট’ করে আদেশ দিয়েছেন। ২০১৬ সালের ৫ জুন সকালে চট্টগ্রাম নগরের নিজাম রোডে ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে যাওয়ার পথে দুর্বৃত্তদের গুলি ও ছুরিকাঘাতে খুন হন মিতু। এ ঘটনা দেশজুড়ে ব্যাপক আলোচিত হয়। ঘটনার সময় মিতুর স্বামী পুলিশ সুপার বাবুল আক্তার অবস্থান করছিলেন ঢাকায়। পরে তিনি চট্টগ্রামে ফিরে পাঁচলাইশ থানায় অজ্ঞাতপরিচয়দের আসামি করে হত্যা মামলা করেন। তবে মামলাটিতে স্ত্রী হত্যাকাণ্ডে স্বামী বাবুল আক্তারেরই সম্পৃক্ততা পায় পিবিআই। ২০২১ সালের ১২ মে আগের মামলাটিতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়। একই দিন বাবুল আক্তারকে প্রধান আসামি করে চট্টগ্রাম নগরের পাঁচলাইশ থানায় দ্বিতীয় মামলাটি দায়ের করেন মিতুর বাবা সাবেক পুলিশ পরিদর্শক মোশাররফ হোসেন। ওইদিনই মামলাটিতে বাবুল আক্তারকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠায় পিবিআই। সেই থেকে কারাগারে রয়েছেন বাবুল। এদিকে, প্রথম মামলায় পিবিআইর দেওয়া চূড়ান্ত প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে ২০২১ সালের ১৪ অক্টোবর নারাজির আবেদন করেন বাবুলের আইনজীবী। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে একই বছরের ৩ নভেম্বর নারাজি ও পিবিআইর প্রতিবেদন খারিজ করে মামলাটি অধিকতর তদন্তের আদেশ দেন। এরপর দুটি মামলাই তদন্ত করতে থাকে পিবিআই। তবে পরবর্তী সময়ে আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী ২০২২ সালের ২৫ জানুয়ারি মিতুর বাবার করা মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেওয়া হয়। এরপর একই বছরের ১৩ সেপ্টেম্বর প্রথম মামলাটি অধিকতর তদন্ত শেষে বাবুলসহ সাতজনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়। ২০২৩ সালের ১৩ মার্চ আলোচিত মামলাটিতে বাবুল আক্তারসহ সাত আসামির বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। বতর্মানে মামলাটি সাক্ষ্য গ্রহণ পর্যায়ে রয়েছে।
৩০ এপ্রিল, ২০২৪

ফেসবুক পোস্টে লালনের গান, আদালতে মুচলেকা দিয়ে জামিন পেলেন যুবক
ফেসবুক পোস্টে লালনের গানের দুই লাইন লিখে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের অভিযোগে আটককৃত যুবককে জামিন দিয়েছেন আদালত। সোমবার (২৯ এপ্রিল) আনুমানিক দুপুর দেড়টার দিকে শরীয়তপুরের ভেদেরগঞ্জ আমলি আদালতের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শাকিব হোসেন তার জামিন মঞ্জুর করেন।  শরীয়তপুর জেলা কোর্ট পরিদর্শক আলমগীর হোসেন বিকেলে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।  তিনি বলেন, ফেসবুকের স্টোরিতে স্ট্যাটাসকে ঘিরে শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলার মহিষার ইউনিয়নের হরি নারায়ণ রক্ষিতের ছেলে সঞ্জয় রক্ষিতকে (৪০) ভেদরগঞ্জ থানা পুলিশ রোববার আটক করে। সঞ্জয় পেশায় স্বর্ণকার। ফৌজদারি কার্যবিধির ৫৪ (১) এর ধারায় তাকে আটক করা হয়েছিল। পরে ৫০ টাকার অঙ্গীকারনামায় স্বাক্ষর করেন ভবিষ্যতে তিনি এমন কোনো কাজ করবেন না, যাতে সামাজিক বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়। আর এ ঘটনায় কোনো মামলা হয়নি।  এ বিষয়ে রোববার রাত ১০টার দিকে ভেদরগঞ্জ থানার ওসি মিন্টু মন্ডল টেলিফোনে বলেন, ফেসবুকের স্টোরিতে দুটি লাইন লেখাকে ঘিরে সঞ্জয় রক্ষিত নামে এক যুবককে আটক করা হয়েছে। স্থানীয় কয়েকজন ব্যক্তি দাবি করেছেন, এই লেখার মাধ্যমে মুসলমান ধর্মাবলম্বীদের অনুভূতিতে আঘাত হানা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে তারা মৌখিক অভিযোগ করেছেন। তাই সামাজিক বিশৃঙ্খলা এড়াতে সঞ্জয়কে আটক করে শরীয়তপুর জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে। কারা অভিযোগ করেছেন, জানতে চাইলে ওসি তাদের নাম উল্লেখ না করে বলেন, স্থানীয় কয়েকজন এই অভিযোগ করেছেন। যে গানের দুটি লাইন লিখে স্টোরিতে দিয়েছেন সঞ্জয়, সেটি লালনের গানের অংশ তা জানেন কি না, জানতে চাইলে ওসি বলেন, কোনো কিছু জানার থাকলে থানায় আসেন। আমি এখন ব্যস্ত আছি, এখন কথা বলতে পারব না। উল্লেখ্য, ‘সব লোকে কয় লালন কি জাত সংসারে’ লালনের এ গানের দুটি লাইন লিখে ফেসবুক স্টোরিতে দেওয়ায় ইসলাম ধর্মকে কটূক্তি করার অভিযোগের পর রোববার তাকে আটক করে পুলিশ। পরে আদালতের মাধ্যমে তাকে জেলা কারাগারে প্রেরণ করা হয়। সঞ্জয়ের ফেসবুকের স্টোরির স্ক্রিনশটে দেখা গেছে, তিনি সেখানে লিখেছেন- 'সুন্নতে খাতনা দিলে যদি হয় মুসলমান, তাহলে নারী জাতির কী হয় বিধান'। এই দুটি লাইন লালনের 'সব লোকে কয় লালন কি জাত সংসারে' গানের।  যদিও লালনের গানের এই দুইটি লাইনের মধ্যে খাতনা শব্দটি কোথাও খুঁজে পাওয়া যায়নি। খাতনা শব্দটি সঞ্জয় রক্ষিত সম্ভবত নিজ থেকে যুক্ত করেছিলেন।
২৯ এপ্রিল, ২০২৪

ধর্ষণ মামলায় জামিন পেলেন সেই মুশতাক
রাজধানীর মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের ছাত্রীকে প্রলোভন ও ধর্ষণের অভিযোগে করা মামলায় খন্দকার মুশতাক আহমেদ ও কলেজের অধ্যক্ষ ফাওজিয়া রাশেদীকে জামিন দিয়েছেন আদালত। সোমবার (২৯ এপ্রিল) শুনানি শেষে ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৮ এর বিচারক শওকত আলীর আদালত এ আদেশ দেন। আগামী ২ জুন মামলার পরবর্তী তারিখ ধার্য করা হয়েছে।  পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল পর্যন্ত তাদের জামিন মঞ্জুর করেন আদালত। এ তথ্য জানান, মুশতাক আহমেদের আইনজীবী খন্দকার হাসান শাহরিয়ার।  তিনি বলেন, আজ আসামিদের স্থায়ী জামিন চেয়ে শুনানি করি। আদালত প্রতিবেদন দাখিল পর্যন্ত তাদের জামিন মঞ্জুর করেছেন। এর আগে গত ১৪ মার্চ মামলাটি পুলিশ ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন একই আদালত। ২০২৩ সালের ১ আগস্ট আদালতে মামলাটি করেন ওই ছাত্রীর বাবা। আদালত বাদীর জবানবন্দি নিয়ে গুলশান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে অভিযোগটি এজাহার হিসেবে গণ্য করে নিয়মিত মামলার আদেশ দেন। মামলায় মুশতাকের সঙ্গে আসামি করা হয় ফাওজিয়া রাশেদীকে। পরে মামলায় তথ্যগত ভুল হয়েছে উল্লেখ করে আসামিদের অব্যাহতির সুপারিশ করে আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেন তদন্ত কর্মকর্তা গুলশান থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সোহেল রানা। গত ৩ মার্চ চূড়ান্ত প্রতিবেদনে নারাজি দেন মামলার বাদী। মামলার অভিযোগে বাদী মো. সাইফুল ইসলাম উল্লেখ করেন, তার মেয়ে মতিঝিল আইডিয়ালের একাদশ শ্রেণির ছাত্রী। আসামি মুশতাক বিভিন্ন অজুহাতে কলেজে আসতেন এবং তার মেয়েকে ক্লাস থেকে প্রিন্সিপালের কক্ষে ডেকে নিতেন। খোঁজখবর নেওয়ার নামে খন্দকার মুশতাক মেয়েটিকে বিভিন্নভাবে প্রলোভন দেখাতেন। কিছুদিন পর আসামি ভিকটিমকে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে কুপ্রস্তাব দেন। কিন্তু এতে রাজি না হওয়ায় মেয়েটিকে তুলে নিয়ে গিয়ে জোরপূর্বক বিয়ে এবং তাকে ও তার পরিবারকে ঢাকা ছাড়া করবে বলে হুমকি দেন মুশতাক।  এ রকম আচরণের বিষয়ে পরে মেয়েটি কলেজের অধ্যক্ষ ফাওজিয়া রাশেদীকে ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ করে। এ সময় ব্যবস্থা গ্রহণ করার আশ্বাস দিয়ে অধ্যক্ষ ফাওজিয়া রাশেদী, মুশতাককে তার কক্ষে ডেকে আনেন। পরে মেয়েটিকেও ক্লাস থেকে নিয়ে এসে রুমের দরজা বন্ধ করে দেন এবং মুশতাক আহমেদকে সময় ও সঙ্গ দিতে বলেন। মামলার বিররণে বলা হয়, এ বিষয়ে মেয়েটির বাবা মো. সাইফুল ইসলাম অধ্যক্ষের কাছে প্রতিকার চাইতে গেলেও কোনো সহযোগিতা করেননি ফাওজিয়া রাশেদী, বরং আসামি মুশতাককে অনৈতিক সাহায্য করেন। এ পরিস্থিতিতে সাইফুল ইসলাম উপায় না পেয়ে মেয়েকে নিয়ে গত ১২ জুন ঠাকুরগাঁওয়ের বাড়িতে চলে যান। কিন্তু মুশতাক আহমেদ তার লোকজন দিয়ে মেয়েটিকে অপহরণ করে নিয়ে যায় সেখান থেকে। এরপর সাইফুল ইসলাম জানতে পারেন, তার মেয়েকে একেক দিন একেক স্থানে রেখে খন্দকার মুশতাক আহমেদ অনৈতিক কাজে বাধ্য করেছেন এবং যৌন নিপীড়ন করেছেন। 
২৯ এপ্রিল, ২০২৪

বিএনপি নেতা গয়েশ্বরের জামিন
নাশকতার পৃথক ছয় মামলায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের জামিন দিয়েছেন আদালত।  বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেন শুনানি শেষে এ জামিন মঞ্জুর করেন। এর মধ্যে রাজধানীর পল্টন থানার চার মামলা ও রমনা থানার দুটি মামলা রয়েছে।  এর আগে গত ২২ জানুয়ারি বিচারপতি হাবিবুল গণি ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের হাইকোর্ট বেঞ্চ গয়েশ্বর চন্দ্র রায়কে ২৫ মার্চ পর্যন্ত আগাম জামিন দেন। উচ্চ আদালতের দেওয়া আগাম জামিনের মেয়াদ শেষ হওয়ায় তিনি আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন।  শুনানি শেষে আদালত তার জামিন মঞ্জুর করেন। গত বছরের ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশে সংঘর্ষের ঘটনায় তার বিরুদ্ধে ৬টি মামলা হয়েছিল।
২৫ এপ্রিল, ২০২৪

আপসের শর্তে সেই ল্যান্ড ক্রুজার চালকের জামিন
রাজধানীর খিলক্ষেতে গাড়ির ধাক্কায় এক শিশুসহ চার পথচারী নিহতের মামলায় সেই ল্যান্ড ক্রুজার জিপ গাড়ির চালক নাবিল আল দ্বীন বিশালকে জামিন দিয়েছেন আদালত। ভুক্তভোগী পরিবারগুলোর সঙ্গে আপস ও আর্থিক সহায়তা এবং আগামী ধার্য তারিখে ড্রাইভিং লাইসেন্স জমা দেওয়ার শর্তে আদালত তার জামিন মঞ্জুর করেন। ড্রাইভিং লাইসেন্স জমা দিতে ব্যর্থ হলে জামিন বাতিল হবে বলে আদেশ দিয়েছেন আদালত। গতকাল সোমবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শান্ত ইসলাম মল্লিকের আদালত শুনানি শেষে এ আদেশ দেন। এদিন আসামির পক্ষে জামিন শুনানি করেন অ্যাডভোকেট হাফিজুর রহমান চৌধুরী। বাদীপক্ষে অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ মুহিবুল্লাহ জামিনের বিরোধিতা করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত ১৩ মে পর্যন্ত পাঁচ হাজার টাকা মুচলেকায় আসামি বিশালের জামিন মঞ্জুর করেন। তবে আসামির জামিনে ক্ষুব্ধ বাদীপক্ষ। বাদীপক্ষের আইনজীবী মোহাম্মদ মুহিবুল্লাহ বলেন, আসামির ড্রাইভিং লাইসেন্স নেই। তার কারণে তিনটি পরিবারের চারটি লোকের প্রাণ ঝরে গেছে। জামিন আদেশের বিরুদ্ধে আমরা উচ্চ আদালতে যাব। জানা যায়, গত বছরের ২৭ ডিসেম্বর রাত ৯টার দিকে বিমানবন্দরের দিক থেকে আসা একটি বেপরোয়া ল্যান্ড ক্রুজার জিপ গাড়ি ফুটওভার ব্রিজের নিচের আইল্যান্ডে ধাক্কা দিয়ে পাশে দাঁড়িয়ে থাকা পথচারীদের ওপর উঠে যায়। ঘটনাস্থলেই আট বছরের শিশু ইয়াসিনের মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় আহত হন ইয়াসিনের বাবা সুমন মিয়া, উজ্জ্বল পাণ্ডে ও আমরিনা হক নামে তিনজন। তাদের প্রথমে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে ঢাকা মেডিকেলে নেওয়া হলে সেখানে উজ্জ্বল পাণ্ডে ও আমরিনা হকের মৃত্যু হয়। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সুমন মিয়াও মারা যান। এ ঘটনায় নিহত আমরিনার স্বামী এস এম রেজাউল হক খিলক্ষেত থানায় মামলা করেন। মামলার পর ২৮ ডিসেম্বর বিশালকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
২৩ এপ্রিল, ২০২৪

ঈদের আগে জামিন পেয়ে ফাঁকা ঢাকায় চুরি
ঈদের আগে জামিন পেয়ে বেরিয়ে আসে বেশ কিছু পেশাদার চোর চক্রের সদস্য। এরপর ঈদে ফাঁকা বাসাগুলো টার্গেট করে চুরিতে নামে তারা। ফাঁকা বাসাগুলো রেকি করে রাজধানীর চকবাজার, কেরানীগঞ্জসহ বেশ কিছু এলাকার বাসায় চুরি করে তারা। চকবাজারের একটি চুরির মামলার তদন্তে গ্রেপ্তার হয়েছে চোর চক্রের সাত সদস্য। গ্রেপ্তাররা হলেন—মো. মিরাজ হোসেন (৩৫), মো. মামুন (৩৪), মো. সায়মুন (৩০), অমিত হাসান ইয়াসিন (২১), বরুণ (৫০), হাসিনা বেগম (৫২) ও জামিলা খাতুন হ্যাপি (১৮)। গত শনিবার চকবাজারের ইসলামবাগ এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে চকবাজার থানা পুলিশ। এ সময় তাদের কাছ থেকে একটি সোনার ছোট আংটি, তিনটি রুপার পায়েল, একটি রিয়েলমি স্মার্টফোন, একটি সোনার নাকফুল, গলানো সোনা (তিন ভরি) উদ্ধার করা হয়েছে। গ্রেপ্তার প্রথম চারজনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় ৪৭টি মামলা রয়েছে। যার মধ্যে শুধু মামুনের বিরুদ্ধেই রয়েছে ২২টি মামলা। আসামিদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাতে তদন্ত সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছে, ফাঁকা ঢাকায় বাসাবাড়িতে চুরি করতে চক্রটি তৎপর হয়ে ওঠে। প্রথমে তারা রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় দলবদ্ধ হয়ে বাসাবাড়ি রেকি করে। রেকি শেষে তাদের পছন্দমতো একটি বাসা ঠিক করে সেখানে চুরি করে। মূলত টার্গেট করে চুরি করতেন তারা। তাদের টার্গেটে থাকে স্বর্ণালংকার ও ইলেকট্রনিক ডিভাইস। ঈদের এক থেকে দেড় মাস আগে জামিনে বের হন তারা। গতকাল রোববার ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে লালবাগ বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মাহাবুব উজ জামান বলেন, ৯ এপ্রিল রাজধানীর পূর্ব ইসলামবাগের বাসিন্দা মো. হাফিজুল ইসলাম পরিবার নিয়ে ঈদুল ফিতর উদযাপন করতে গ্রামের বাড়ি যান। এরপর ১২ এপ্রিল ঢাকায় ফিরে বাসায় প্রবেশ করতে গেলে দেখেন মূল গেটের হেজবল্টের লক ভাঙা। পরে তিনি বাড়ির মালিককে নিয়ে বাসার ভেতর প্রবেশ করে দেখেন সব কক্ষের আসবাবপত্র এলোমেলো অবস্থায় পড়ে রয়েছে। বেডরুমে প্রবেশ করে দেখেন স্টিলের আলমারি ভেঙে ১ লাখ ১০ হাজার টাকা, প্রায় লাখ টাকার স্বর্ণালংকার, ৪০০ ডলার ও একটি স্মার্টফোন নেই। এ ঘটনায় তিনি ডিএমপির চকবাজার থানায় একটি মামলা করেন। মামলার পরিপ্রেক্ষিতে বাসার সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে চোরদের শনাক্ত করা হয়। ডিসি জানান, চক্রটি ইসলামবাগের বাসাটিতে চুরির আগে কেরানীগঞ্জের দুটি বাসায় চুরি করেছে। চুরি করার পর চক্রটি তাঁতীবাজারে গিয়ে সোনা ব্যবসায়ী বরুণের কাছে চোরাই সোনা বিক্রি করে দেন। পরে বরুণ এ চোরাই সোনা গলিয়ে ফেলেন। তাকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তার কাছ থেকে গলানো সোনা উদ্ধার হয়েছে। চক্রটির নেশা ও পেশা হলো চুরি। গ্রেপ্তার জামিলা খাতুন হ্যাপির বাসা হচ্ছে এ চক্রের গোপন আস্তানা। সেখানে বসে তারা চুরি করার পরিকল্পনা করে। চুরির পর চক্রটির অন্য সদস্যরা হ্যাপির বাসায় কিছুদিন আত্মগোপনে থাকে।
২২ এপ্রিল, ২০২৪
X