কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৭:২২ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

ধর্ষণ মামলায় জামিন পেলেন সেই মুশতাক

খন্দকার মুশতাক আহমেদ। ছবি : সংগৃহীত
খন্দকার মুশতাক আহমেদ। ছবি : সংগৃহীত

রাজধানীর মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের ছাত্রীকে প্রলোভন ও ধর্ষণের অভিযোগে করা মামলায় খন্দকার মুশতাক আহমেদ ও কলেজের অধ্যক্ষ ফাওজিয়া রাশেদীকে জামিন দিয়েছেন আদালত।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) শুনানি শেষে ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৮ এর বিচারক শওকত আলীর আদালত এ আদেশ দেন। আগামী ২ জুন মামলার পরবর্তী তারিখ ধার্য করা হয়েছে।

পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল পর্যন্ত তাদের জামিন মঞ্জুর করেন আদালত। এ তথ্য জানান, মুশতাক আহমেদের আইনজীবী খন্দকার হাসান শাহরিয়ার।

তিনি বলেন, আজ আসামিদের স্থায়ী জামিন চেয়ে শুনানি করি। আদালত প্রতিবেদন দাখিল পর্যন্ত তাদের জামিন মঞ্জুর করেছেন।

এর আগে গত ১৪ মার্চ মামলাটি পুলিশ ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন একই আদালত।

২০২৩ সালের ১ আগস্ট আদালতে মামলাটি করেন ওই ছাত্রীর বাবা। আদালত বাদীর জবানবন্দি নিয়ে গুলশান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে অভিযোগটি এজাহার হিসেবে গণ্য করে নিয়মিত মামলার আদেশ দেন। মামলায় মুশতাকের সঙ্গে আসামি করা হয় ফাওজিয়া রাশেদীকে। পরে মামলায় তথ্যগত ভুল হয়েছে উল্লেখ করে আসামিদের অব্যাহতির সুপারিশ করে আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেন তদন্ত কর্মকর্তা গুলশান থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সোহেল রানা। গত ৩ মার্চ চূড়ান্ত প্রতিবেদনে নারাজি দেন মামলার বাদী।

মামলার অভিযোগে বাদী মো. সাইফুল ইসলাম উল্লেখ করেন, তার মেয়ে মতিঝিল আইডিয়ালের একাদশ শ্রেণির ছাত্রী। আসামি মুশতাক বিভিন্ন অজুহাতে কলেজে আসতেন এবং তার মেয়েকে ক্লাস থেকে প্রিন্সিপালের কক্ষে ডেকে নিতেন। খোঁজখবর নেওয়ার নামে খন্দকার মুশতাক মেয়েটিকে বিভিন্নভাবে প্রলোভন দেখাতেন। কিছুদিন পর আসামি ভিকটিমকে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে কুপ্রস্তাব দেন। কিন্তু এতে রাজি না হওয়ায় মেয়েটিকে তুলে নিয়ে গিয়ে জোরপূর্বক বিয়ে এবং তাকে ও তার পরিবারকে ঢাকা ছাড়া করবে বলে হুমকি দেন মুশতাক।

এ রকম আচরণের বিষয়ে পরে মেয়েটি কলেজের অধ্যক্ষ ফাওজিয়া রাশেদীকে ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ করে। এ সময় ব্যবস্থা গ্রহণ করার আশ্বাস দিয়ে অধ্যক্ষ ফাওজিয়া রাশেদী, মুশতাককে তার কক্ষে ডেকে আনেন। পরে মেয়েটিকেও ক্লাস থেকে নিয়ে এসে রুমের দরজা বন্ধ করে দেন এবং মুশতাক আহমেদকে সময় ও সঙ্গ দিতে বলেন।

মামলার বিররণে বলা হয়, এ বিষয়ে মেয়েটির বাবা মো. সাইফুল ইসলাম অধ্যক্ষের কাছে প্রতিকার চাইতে গেলেও কোনো সহযোগিতা করেননি ফাওজিয়া রাশেদী, বরং আসামি মুশতাককে অনৈতিক সাহায্য করেন। এ পরিস্থিতিতে সাইফুল ইসলাম উপায় না পেয়ে মেয়েকে নিয়ে গত ১২ জুন ঠাকুরগাঁওয়ের বাড়িতে চলে যান। কিন্তু মুশতাক আহমেদ তার লোকজন দিয়ে মেয়েটিকে অপহরণ করে নিয়ে যায় সেখান থেকে। এরপর সাইফুল ইসলাম জানতে পারেন, তার মেয়েকে একেক দিন একেক স্থানে রেখে খন্দকার মুশতাক আহমেদ অনৈতিক কাজে বাধ্য করেছেন এবং যৌন নিপীড়ন করেছেন।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

জুলাইয়ে আহতদের জন্য দেড় হাজার ফ্ল্যাট, ব্যয় ১,৩৪৪ কোটি টাকা

ভুয়া তথ্য দিয়ে স্কুল এমপিওভুক্ত করেছেন কথিত প্রধান শিক্ষক

ডুবোচর ও তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রের বর্জ্যে ইলিশশূন্য পায়রা!

চোখ হারানো জুলাই যোদ্ধা হিমেল পেল সাড়ে ৩ লাখ টাকার অনুদান

পদ্মা সেতু প্রকল্প রক্ষা বাঁধে ভাঙন / জিও ব্যাগ ফেলছে পাউবো, স্থানীয়দের দাবি টেকসই বাঁধ

৫ শিক্ষকের ৪ জনই অনুপস্থিত, পাঠদান ব্যাহত

একবার সুযোগ দিন, ফেল করলে দ্বিতীয়বার চাইবো না : ফয়জুল করিম

হেফাজত আমিরের সঙ্গে নেজামে ইসলাম পার্টির নেতার বৈঠক

সারাদেশে আলিম ও কারিগরির এইচএসসি পরীক্ষা স্থগিত

যুক্তরাষ্ট্রে বন্যা কেন এত মারাত্মক হলো, দায় কার?

১০

সরকারি টাকায় গাড়ি কেনা ও বিদেশ সফর বন্ধ

১১

কুমিল্লা বোর্ডের বৃহস্পতিবারের এইচএসসি পরীক্ষা স্থগিত

১২

চট্টগ্রাম বন্দর পরিদর্শন করলেন নৌবাহিনী প্রধান

১৩

ব্রাজিল কোচ আনচেলত্তির এক বছরের জেল

১৪

খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদে অস্থায়ী চেয়ারম্যান নিয়োগ

১৫

চাঁদাবাজ দুর্নীতিবাজদের বয়কট করুন : নাহিদ ইসলাম

১৬

চাল বাজারে তদারকি, ১৩৮ প্রতিষ্ঠানকে ১০ লাখ টাকা জরিমানা

১৭

ফেনীসহ দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে আকস্মিক বন্যায় জরুরি ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান

১৮

মোসাদ্দেক ইস্যু- সরি বলেছেন গাজী আশরাফ

১৯

শিক্ষার্থীদের ব্লকেড কর্মসূচিতে লাঠিচার্জ, আহত ২০

২০
X