ট্রান্সজেন্ডার ইস্যুতে হেফাজতের সংবাদ সম্মেলন পেছাল
ট্রান্সজেন্ডার ইস্যুতে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের সংবাদ সম্মেলনের তারিখ পেছাল। আগামী ১৩ ফেব্রুয়ারি দলটির এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। রোববার (৪ ফেব্রুয়ারি) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আগামীকাল সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় শিক্ষা কারিকুলামে ইসলামের সঙ্গে সাংঘর্ষিক বিষয়াদি ও ট্রান্সজেন্ডার মতবাদ নিয়ে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলন করার কথা ছিল। কিন্তু অনিবার্য কারণবশত সেই সংবাদ সম্মেলন আজ পেছানো হয়েছে। আগামী ১৩ ফেব্রুয়ারি (মঙ্গলবার) বেলা ১১টায় হেফাজতের এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে।  
০৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

ট্রান্সজেন্ডার অপারেশন করতে গিয়ে জানলেন ৫ মাসের অন্তঃসত্ত্বা!
চেয়েছিলেন নারী থেকে পুরুষ হতে। করিয়েছিলেন স্তন অপসারণও। পরের ধাপে যখন আবারও লিঙ্গ পরিবর্তনের জন্য অপারেশন করাতে গেলেন তখনই জানা গেল এক অবাক তথ্য। ডাক্তার জানালেন, নারী থেকে পুরুষ হতে চাওয়া ওই ট্রান্সপার্সন পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) মার্কিন গণমাধ্যম নিউইয়র্ক পোস্ট এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।  প্রতিবেদনে বলা হয়, ট্রান্সজেন্ডার থেকে যাওয়া ওই ইতালির নাগরিকের নাম মার্কো। দেশটির রাজধানী রোমের একটি হাসপাতালে জরায়ু অপারেশনের প্রস্তুতি নেওয়ার সময় তার গর্ভাবস্থার বিষয়টি শনাক্ত হয়েছে। এর আগে তিনি ম্যাস্টেক্টমি অর্থাৎ স্তন অপসারণ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছেন।  বিচিত্র এ ঘটনাটি প্রথম আবিষ্কার করেছে ইতালির স্থানীয় পত্রিকা লা রিপাবলিকা। যেখানে বলা হয়েছে, মার্কো নামের ওই নারী বায়োলজিক্যালি শিশুটির মা হবেন। তবে আইনত তাকে শিশুটির পিতা হিসেবে রেজিস্ট্রার করা হবে। এ ধরনের ঘটনা ইতালিতে এটাই প্রথম।  অ্যান্ডোক্রিনোলজিস্ট ডা. জিউলিয়া সেনোফন্টে শিশুটির স্বাস্থ্য নিয়ে সতর্কবার্তা দিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, হরমোন থেরাপি শিশুটির স্বাস্থ্যগত ঝুঁকি তৈরি করতে পারে। এজন্য যত দ্রুত সম্ভব এটি বন্ধ করা দরকার বলেও মন্তব্য করেন তিনি।   তিনি জানান, যদি থেরাপি অবিলম্বে বন্ধ না করা হয়, তাহলে এর পরিণতি ভয়াবহ হতে পারে। কেননা শিশুটির অঙ্গপ্রত্যঙ্গ বৃদ্ধির জন্য প্রথম তিন মাস বেশ গুরুত্বপূর্ণ সময়।  এদিকে অনাগত সন্তানের যাতে কোনো ক্ষতি না হয় সে বিষয়টি নিশ্চিত করতে চিকিৎসকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন নারী থেকে পুরুষে রূপান্তরিত হতে চাওয়া মার্কো। চিকিৎসকরাও মার্কো এবং শিশুটির নিরাপত্তার জন্য রূপান্তর প্রক্রিয়া স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।  চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, নারী থেকে পুরুষ হতে চাওয়ার প্রক্রিয়া এখনও পর্যন্ত মার্কো এবং শিশুটির ওপর কোনো খারাপ প্রভাব ফেলেনি।    
২৫ জানুয়ারি, ২০২৪

এবার ট্রান্সজেন্ডার নিয়ে হেফাজতে ইসলামের বিবৃতি
ট্রান্সজেন্ডার ইস্যু নিয়ে চলছে নানা আলোচনা-সমালোচনা। এবার বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ। ট্রান্সজেন্ডার ব্যক্তির অধিকার সুরক্ষা আইন ২০২৩ (খসড়া) প্রণয়ন ও বাস্তবায়নে বিরত থাকার দাবি জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে তারা। মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) দেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে হেফাজতে ইসলামের আমির আল্লামা শাহ মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী ও মহাসচিব আল্লামা শায়েখ সাজিদুর রহমান এ দাবি জানান। হেফাজতের নেতৃদ্বয় ট্রান্সজেন্ডার মতবাদকে ‘অভিশপ্ত’ আখ্যা দিয়ে এই মতবাদকে একটি ইমান বিধ্বংসী মতবাদ বলেন। তারা আরও বলেন, এই মতবাদ এক ধরনের মানসিক বিকৃতি। সম্প্রতি ‘ট্রান্সজেন্ডার’ নামে অভিশপ্ত একটি অদ্ভুত মতবাদ প্রকট আকার ধারণ করেছে। বিভিন্ন মাধ্যমে এ মতবাদের অধিকারীদের উপস্থিতি জানান দিতে দেখা যাচ্ছে। সরকারের কাছে নানারকম দাবিও তারা উত্থাপন করছে। আমরা এ দেশে ট্রান্সজেন্ডার ব্যক্তির অধিকার সুরক্ষা আইন ২০২৩ (খসড়া) প্রণয়ন ও বাস্তবায়নে বিরত থাকতে সরকারের প্রতি জোর দাবি জানাচ্ছি। এ ছাড়াও আসিফ মাহাতাব ইস্যুতে তারা বিবৃতিতে বলেন, একজন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক স্বাধীনভাবে দেশের বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে কথা বলতেই পারেন। সামাজিক ও ধর্মীয় বিষয়ে কথা বলায় ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় লেকচারার আসিফ মাহাতাবকে শিক্ষকতার পদ থেকে অব্যাহতি দিয়ে চরম ধৃষ্টতা দেখিয়েছে। তারা যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে তা শিক্ষক সমাজ ও দেশ-জাতিকে হতবাক করেছে। তারা এর মাধ্যমে এক কলঙ্কজনক অধ্যায়ের সূচনা করেছে। অবিলম্বে তাকে স্বপদে বহাল করার পাশাপাশি ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে জাতির কাছে ক্ষমা চাওয়ার দাবি তোলেন তারা। উল্লেখ্য, সপ্তম শ্রেণির পাঠ্যবইয়ে ট্রান্সজেন্ডার গল্প ‘শরীফ থেকে শরীফা’ প্রসঙ্গে নেতিবাচক বক্তব্য এবং প্রকাশ্যে বইয়ের পাতা ছিঁড়ে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের খণ্ডকালীন চাকরি হারান দর্শনের শিক্ষক আসিফ মাহতাব। গেল রোববার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে তাকে আর ক্লাস নিতে না যাওয়ার জন্য মুঠোফোনে জানিয়ে দেওয়া হয়। বিষয়টি জানাজানি হলে সামাজিক মাধ্যমে এর পক্ষে-বিপক্ষে অবস্থান নেন মানুষ। কেউ কেউ বলছেন, আসিফ মাহতাব একজন শিক্ষক হয়ে বই ছিঁড়ে প্রতিবাদ জানাতে পারেন না। অনেকেই আবার এ ধরনের প্রতিবাদকে স্বাগত জানিয়ে চাকরিচ্যুতের জন্য ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের সমালোচনা করেছেন।
২৪ জানুয়ারি, ২০২৪

ট্রান্সজেন্ডার সুরক্ষা আইন বাস্তবায়নে বিরত থাকুন
ট্রান্সজেন্ডার ব্যক্তির অধিকার সুরক্ষা আইন ২০২৩ (খসড়া) প্রণয়ন ও বাস্তবায়নে বিরত থাকতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমির শাহ মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী ও মহাসচিব শায়েখ সাজিদুর রহমান। ট্রান্সজেন্ডার মতবাদকে অভিশপ্ত আখ্যা দিয়ে তারা বলেন, এটি ইমানবিধ্বংসী মতবাদ। এ মতবাদ এক ধরনের মানসিক বিকৃতি। সম্প্রতি ‘ট্রান্সজেন্ডার’ নামে অভিশপ্ত একটি অদ্ভুত মতবাদ প্রকট আকার ধারণ করেছে। বিভিন্ন মাধ্যমে এ মতবাদের অধিকারীদের উপস্থিতি জানান দিতে দেখা যাচ্ছে। সরকারের কাছে নানারকম দাবিও তারা উত্থাপন করছে। আমরা এ দেশে ট্রান্সজেন্ডার ব্যক্তির অধিকার সুরক্ষা আইন ২০২৩ (খসড়া) প্রণয়ন ও বাস্তবায়নে বিরত থাকতে সরকারের প্রতি জোর দাবি জানাচ্ছি। গতকাল মঙ্গলবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তারা এ দাবি জানান। বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন হেফাজতের প্রচার সম্পাদক মুফতি কিফায়াতুল্লাহ আজহারী। বিবৃতিতে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের খণ্ডকালীন লেকচারার আসিফ মাহতাবকে অব্যাহতি দেওয়ায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বলা হয়, একজন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক স্বাধীনভাবে দেশের বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে কথা বলতেই পারেন। সামাজিক ও ধর্মীয় বিষয়ে কথা বলায় ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের লেকচারার আসিফ মাহতাবকে শিক্ষকতার পদ থেকে অব্যাহতি দিয়ে চরম ধৃষ্টতা দেখিয়েছে। তারা যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তা শিক্ষক সমাজ ও দেশ-জাতিকে হতবাক করেছে।
২৪ জানুয়ারি, ২০২৪

ট্রান্সজেন্ডার ইস্যুতে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের স্পষ্ট অবস্থান জানতে চান আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা
ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক আসিফ মাহতাবকে চাকরিচ্যুত করায় ট্রান্সজেন্ডার ইস্যুতে বিশ্ববিদ্যালয়টির সুস্পষ্ট অবস্থান জানতে চেয়েছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।  মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর মেরুল বাড্ডাস্থ বিশ্ববিদ্যালয়টির স্থায়ী ক্যাম্পাসের প্রধান ফটকের সামনে সাংবাদিকদের এ কথা জানান আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। তারা বলেন, শিক্ষক আসিফ মাহতাবকে কেন চাকরিচ্যুত করা হয়েছে তার বিষয়ে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়কে স্পষ্ট ব্যাখ্যা দিতে হবে। আসিফ স্যারের ইস্যুতে বিশ্ববিদ্যালয়ের যদি কোনো ভুল থাকে তাহলে আমরা চাই তার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করুক কর্তৃপক্ষ। এ ছাড়া ট্রান্সজেন্ডার ইস্যুতে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের স্পষ্ট অবস্থান কী তাও আমরা জানতে চাচ্ছি।  শিক্ষার্থীরা আরও জানান, আমরা যে দাবিগুলো করেছি মনে করি সেগুলো যৌক্তিক। এই দাবিগুলো মেনে নেওয়া উচিত। আল্লাহ তায়ালা আমাদের সৃষ্টি করেছেন ছেলে অথবা মেয়ে হিসেবে। আর যাদের আঙ্গিক বৈকল্য আছে বা কোনো ধরনের অসুস্থতা আছে তাদের কোনো কিছু বলা যায়, যেটাতে তাদের নিজেদের কোনো দোষ নেই। কিন্তু আমার শুধু ইচ্ছা করল বা মনের তাড়নায় অন্যকিছু একটা হয়ে গেলাম এটা ইসলাম কেন, কোনো ধর্মই এটা অনুমতি দেবে না।  এ সময় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন ধরনের প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন করেন। একটি প্ল্যাকার্ডে লেখা ছিল, ‘জেন্ডার ইকুয়ালিটির নামে আমার দেশে ট্রান্স মতবাদ চলবে না।’  এর আগে, সপ্তম শ্রেণির ইতিহাস ও সামাজিকবিজ্ঞান বইয়ে ট্রান্সজেন্ডার ইস্যু অন্তর্ভুক্তি নিয়ে সমালোচনা করায় ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিলোসফির খণ্ডকালীন শিক্ষক আসিফ মাহতাবকে চাকরিচ্যুত করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এ নিয়ে তোলপাড় শুরু হয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোতে। এ পরিপ্রেক্ষিতে মঙ্গলবার দুপুর থেকে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাসের প্রধান ফটকের সামনে অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন একদল শিক্ষার্থী। 
২৩ জানুয়ারি, ২০২৪

ট্রান্সজেন্ডার বিতর্কে চাকরি গেল ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকের
সপ্তম শ্রেণির ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান বইয়ের একটি অধ্যায়ে ট্রান্সজেন্ডার নিয়ে আলোচনা করে শিক্ষার্থীদের মগজধোলাই করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিলোসফির খণ্ডকালীন শিক্ষক আসিফ মাহতাব উৎস। তিনি ওই বইয়ের মানুষে মানুষে সাদৃশ্য ও ভিন্নতা অধ্যায়ে ‘শরীফার গল্প’ অংশের পাতা ছিঁড়ে এর প্রতিবাদ জানিয়েছেন। এর রেশ ধরে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তাকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। বিষয়টি নিয়ে সোমবার (২২ জানুয়ারি) দুপুরে সভায় মিলিত হন ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নেতৃস্থানীয়রা। এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে এই বিষয়ে ব্যাখ্যা দেওয়া হবে বলে জানা গেছে।  এর আগে রোববার (২১ জানুয়ারি) রাতে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে আসিফ মাহতাবকে আর ক্লাস নিতে না যাওয়ার জন্য মুঠোফোনে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে জানিয়েছেন তিনি। ফেসবুক স্ট্যাটাসে আসিফ মাহতাব লিখেছেন, আজকে আমি ব্র্যাকে রেগুলার ক্লাস নিয়েছি। আমাকে (রাত ১১টা) এইমাত্র ফোন করে জানানো হয়েছে, আমি যাতে বিশ্ববিদ্যালয়ে আর ক্লাস না নিতে না যাই। আমি জানি না, হঠাৎ কেন তারা এই সিদ্ধান্ত নিল। আমাকে কোনো কারণ জানানো হয়নি। ঘটনার সূত্রপাত হয় গত শুক্রবার। ওইদিন রাজধানীর কাকরাইলে ইনস্টিটিউট অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্সে ‘বর্তমান কারিকুলামে নতুন পাঠ্যপুস্তক : বাস্তবতা ও ভবিষ্যৎ’ শীর্ষক সেমিনারের আয়োজন করে জাতীয় শিক্ষক ফোরাম। ওই অনুষ্ঠানে সপ্তম শ্রেণির পাঠ্যবইয়ে ট্রান্সজেন্ডারের গল্প ঢুকিয়ে শিক্ষার্থীদের মগজধোলাই করা হচ্ছে এমন অভিযোগ করে আসিফ মাহতাব বলেন পাঠ্যবই থেকে ‘শরীফ থেকে শরীফা’ হওয়ার গল্পের পাতা ছিঁড়ে ফেলেন। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, আসিফ মাহতাবের এমন কর্মকাণ্ডের কারণে তার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিয়েছে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়।
২২ জানুয়ারি, ২০২৪

ট্রান্সজেন্ডার আইনটি শরিয়াহ বিরোধী
‘ট্রান্সজেন্ডার ব্যক্তির অধিকার সুরক্ষা আইন ২০২৩ (খসড়া)’-এর বিষয়ে গণমাধ্যমে বিবৃতি দিয়েছে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ। সংগঠনটির আমির শাহ মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী ও মহাসচিব শায়েখ সাজিদুর রহমান গতকাল শুক্রবার বিবৃতিতে বলেন, আইনটি ইসলামী শরিয়তের পরিপন্থিই নয়, মানুষের স্বভাবজাত রুচি-প্রকৃতিবিরোধীও। যে কোনো ধর্মের সুস্থ বিবেক-বুদ্ধি ও রুচিসম্পন্ন ব্যক্তি এটির সমর্থন করতে পারে না। তারা আরও বলেন, কোনো মুসলিম দেশ না বুঝে এমন আইন পাস করলেও বিষয়টি স্পষ্ট হওয়ার পর দ্রুতই বাতিল করেছে। সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করে নেতারা বলেন, আইনটিকে হিজড়া সম্প্রদায়ের অধিকার সুরক্ষা আইন মনে করা হলেও বাস্তবে তা নয়। কারণ, হিজড়া ও ট্রান্সজেন্ডার এক নয়। নেতারা আরও বলেন, হিজড়া (খুনছা) নিয়ে শরিয়তের সুস্পষ্ট বিধান ফতোয়ার কিতাবগুলোতে উল্লেখ রয়েছে। পক্ষান্তরে ট্রান্সজেন্ডার নামে যে আইনের খসড়া তৈরি করা হয়েছে, তা আল্লাহর সৃষ্টির মাঝে বিকৃতি ও শরিয়ত পরিবর্তনের মতো কুফরি গুনাহ। এতে ব্যক্তি, পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রের নীতিনৈতিকতা এবং শৃঙ্খলা বিনষ্ট হবে। কোরআন-সুন্নাহবিরোধী আইন যা সমাজে ভয়াবহ অবক্ষয় ডেকে আনবে, তা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করা থেকে বিরত থাকার জন্য সরকারপ্রধানের কাছে জোর দাবি জানান তারা।
০৬ জানুয়ারি, ২০২৪

ট্রান্সজেন্ডার কোটায় ভর্তি নিয়ে ঢাবির নতুন সিদ্ধান্ত
ট্রান্সজেন্ডার বা তৃতীয় লিঙ্গ কোটায় কারা ভর্তি আবেদন করতে পারবেন, তা জানিয়ে বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) প্রশাসন। যেখানে বলা হয়েছে যারা জন্মগত ও প্রকৃতিগতভাবে লিঙ্গবৈচিত্র্যের অধিকারী, তারাই ভর্তি আবেদন করতে পারবেন।  বৃহস্পতিবার (৪ জানুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের উপপরিচালক মোহাম্মদ রফিকুল ইসলামের স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তি থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।  বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামে ট্রান্সজেন্ডার অথবা হিজড়া কোটায় ভর্তির বিষয়ে জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়েছে। এ বিভ্রান্তি নিরসনের লক্ষ্যে ঢাবি কর্তৃপক্ষ সুস্পষ্টভাবে জানাচ্ছে যে, ২০২২-২০২৩ সেশন থেকে একাডেমিক কাউন্সিলের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামে ভর্তির ক্ষেত্রে ট্রান্সজেন্ডার অথবা হিজড়া কোটা প্রচলন করা হয়। কেবলমাত্র জন্মগতভাবে লিঙ্গবৈচিত্র্যের অধিকারী শিক্ষার্থীরা ট্রান্সজেন্ডার অথবা হিজড়া কোটায় ভর্তির আবেদন করতে পারবেন। সেক্ষেত্রে কোটা শনাক্তকরণে সরকারের সমাজসেবা অধিদপ্তর প্রদত্ত হিজড়া পরিচয়পত্র অবশ্যই দাখিল করতে হবে বলেও জানানো হয়েছে। গত ১৭ ডিসেম্বর ২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি বিজ্ঞপ্তিতে কোটার অংশে হিজড়া অথবা ট্রান্সজেন্ডার কোটার কথা উল্লেখ করা হয়। যা অনেক আলোচনা-সমালোচনার জন্ম দেয়। এরপর গত ২১ ডিসেম্বর ট্রান্সজেন্ডার কোটা বাতিলের দাবিতে মানববন্ধন পালন ও উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করে শিক্ষার্থীরা। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড এ এস এম মাকসুদ কামাল শিক্ষার্থীদের স্পষ্ট করেন ট্রান্সজেন্ডার কোটায় শুধু হিজরারাই স্থান পাবে, চিকিৎসার মাধ্যমে রূপান্তরিত কেউ এই কোটার যোগ্য হবে না। কিন্তু শিক্ষার্থীরা তখন ভর্তি বিজ্ঞপ্তি থেকে বিতর্কিত ট্রান্সজেন্ডার শব্দটি বাতিলের দাবি জানায়। গত ৩০ ডিসেম্বর সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে ১ জানুয়ারি পর্যন্ত আলটিমেটাম দেয় তারা।
০৪ জানুয়ারি, ২০২৪

ঢাবিতে ট্রান্সজেন্ডার কোটা বাতিলের দাবি
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় ট্রান্সজেন্ডার কোটা বাতিলের দাবি জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) সকাল ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের সামনে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে আয়োজিত মানববন্ধনে এ দাবি জানানো হয়।  এ সময় শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন প্লেকার্ড হাতে ট্রান্সজেন্ডার কোটা বিলুপ্তির জন্য স্লোগান দেয়। পরে শিক্ষার্থীরা উপাচার্যের কাছে স্মারকলিপি প্রদান করেন। মানববন্ধনে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীরা বলেন, যারা স্বেচ্ছায় অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে লিঙ্গ পরিবর্তন করে বা পরিপূর্ণ নারী বা পুরুষের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ ও বৈশিষ্ট্য থাকার পরও যারা নিজেকে বিপরীত লিঙ্গের পরিচয় দেন, তারাও ‘ট্রান্সজেন্ডার/হিজড়া’ কোটার মাধ্যমে সুবিধা ভোগ করবেন। তাই এই কোটা থেকে ‘ট্রান্সজেন্ডার’ শব্দটি বাদ দিতে হবে।  মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা ‘অনতিবিলম্বে ভর্তি পরীক্ষায় ট্রান্সজেন্ডার কোটা বাতিল করা; দ্রুত সময়ে এই ভর্তি বিজ্ঞপ্তি বাতিল করে সংশোধিত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা; হিজড়া জনগোষ্ঠীকে বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্বিঘ্নে পড়াশোনার পরিবেশ সৃষ্টির জন্য পর্যাপ্ত পদক্ষেপ নেওয়া; দেশের দণ্ডবিধির ৩৭৭ ধারা মোতাবেক অবৈধ ট্রান্সজেন্ডার প্রথাকে প্রমোট করার দায়ে ঢাবি কর্তৃপক্ষকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়ার দাবি জানান। মানববন্ধন শেষে তারা উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপি এবং ট্রান্সজেন্ডার শব্দ বাদ দিতে সাত দিনের আলটিমেটাম দেন। প্রসঙ্গত, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় গত শিক্ষাবর্ষের (২০২২-২৩) আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রগ্রামে ভর্তিতে উচ্চশিক্ষার সুযোগ নিশ্চিত করতে হিজড়াদের জন্য ‘ট্রান্সজেন্ডার/হিজড়া’ নামে একটি কোটা চালু করে। তবে সেই শিক্ষাবর্ষে এই কোটায় কোনো শিক্ষার্থী ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেনি। গত ১৮ ডিসেম্বর থেকে ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি আবেদন শুরু হয়। এবারের ভর্তি বিজ্ঞপ্তিতেও কোটার বিষয়টি উল্লেখ রয়েছে।
২১ ডিসেম্বর, ২০২৩

ট্রান্সজেন্ডার প্রার্থী দিল লিবারেল ইসলামিক জোট
আগামী জাতীয় নির্বাচনে গাজীপুর-৫ আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে একজন ট্রান্সজেন্ডারকে মনোনয়ন দিয়েছে বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি (বিএসপি) নেতৃত্বাধীন লিবারেল ইসলামিক জোট। গতকাল মঙ্গলবার বিএসপির চেয়ারম্যান সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ মাইজভান্ডারী ঘোষিত প্রার্থী তালিকা বিশ্লেষণ করে এ তথ্য জানা যায়। মনোনয়ন পাওয়া ট্রান্সজেন্ডার প্রার্থীর নাম ঊর্মি। বাড়ি গাজীপুর সদর উপজেলার পূবাইলের বড়ইবাড়ি এলাকায়। মনোনয়ন পেয়ে উচ্ছ্বসিত ঊর্মি জানান, দলের চেয়ারম্যানের প্রতি কৃতজ্ঞ। নির্বাচিত হলে আমাকে জনগণের পাশে পাওয়া যাবে। আশা করছি, মানুষ আমাকে ভোট দিয়ে সে সুযোগ দেবেন। এর আগে প্রার্থীর তালিকা ঘোষণা দিয়ে সাইফুদ্দীন আহমদ মাইজভান্ডারী বলেন, সারা দেশে আমাদের ৩০ জন হেভিওয়েট প্রার্থী আছেন। সুষ্ঠু নির্বাচন হলে তারা বিজয়ী হবেন। মনোনয়ন দেওয়ার ক্ষেত্রে সব সম্প্রদায় ও শ্রেণির প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করেছি। তৃতীয় লিঙ্গের একজনকেও প্রার্থী করেছি। প্রসঙ্গত, আওয়ামী লীগের ২৯৮ প্রার্থীর মধ্যে সংখ্যালঘু ও ক্ষুদ্র জাতিসত্তার ২০ জন রয়েছে। ট্রান্সজেন্ডার না থাকলেও নারী প্রার্থী ২৪ জন।
২৯ নভেম্বর, ২০২৩
X