ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় ট্রান্সজেন্ডার কোটা বাতিলের দাবি জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) সকাল ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের সামনে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে আয়োজিত মানববন্ধনে এ দাবি জানানো হয়।
এ সময় শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন প্লেকার্ড হাতে ট্রান্সজেন্ডার কোটা বিলুপ্তির জন্য স্লোগান দেয়। পরে শিক্ষার্থীরা উপাচার্যের কাছে স্মারকলিপি প্রদান করেন।
মানববন্ধনে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীরা বলেন, যারা স্বেচ্ছায় অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে লিঙ্গ পরিবর্তন করে বা পরিপূর্ণ নারী বা পুরুষের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ ও বৈশিষ্ট্য থাকার পরও যারা নিজেকে বিপরীত লিঙ্গের পরিচয় দেন, তারাও ‘ট্রান্সজেন্ডার/হিজড়া’ কোটার মাধ্যমে সুবিধা ভোগ করবেন। তাই এই কোটা থেকে ‘ট্রান্সজেন্ডার’ শব্দটি বাদ দিতে হবে।
মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা ‘অনতিবিলম্বে ভর্তি পরীক্ষায় ট্রান্সজেন্ডার কোটা বাতিল করা; দ্রুত সময়ে এই ভর্তি বিজ্ঞপ্তি বাতিল করে সংশোধিত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা; হিজড়া জনগোষ্ঠীকে বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্বিঘ্নে পড়াশোনার পরিবেশ সৃষ্টির জন্য পর্যাপ্ত পদক্ষেপ নেওয়া; দেশের দণ্ডবিধির ৩৭৭ ধারা মোতাবেক অবৈধ ট্রান্সজেন্ডার প্রথাকে প্রমোট করার দায়ে ঢাবি কর্তৃপক্ষকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়ার দাবি জানান। মানববন্ধন শেষে তারা উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপি এবং ট্রান্সজেন্ডার শব্দ বাদ দিতে সাত দিনের আলটিমেটাম দেন।
প্রসঙ্গত, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় গত শিক্ষাবর্ষের (২০২২-২৩) আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রগ্রামে ভর্তিতে উচ্চশিক্ষার সুযোগ নিশ্চিত করতে হিজড়াদের জন্য ‘ট্রান্সজেন্ডার/হিজড়া’ নামে একটি কোটা চালু করে। তবে সেই শিক্ষাবর্ষে এই কোটায় কোনো শিক্ষার্থী ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেনি। গত ১৮ ডিসেম্বর থেকে ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি আবেদন শুরু হয়। এবারের ভর্তি বিজ্ঞপ্তিতেও কোটার বিষয়টি উল্লেখ রয়েছে।
মন্তব্য করুন