রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
সোশ্যাল মিডিয়া
মোবাইল অ্যাপস
আর্কাইভ
কনভার্টার
EN
আজকের পত্রিকা
ই-পেপার
ম্যাগাজিন
ঈদ সংখ্যা ২০২৪
ঈদ সংখ্যা ২০২৩
সারাবেলা ম্যাগাজিন
টি ২০ ম্যাগাজিন
আর্কাইভ
সোশ্যাল মিডিয়া
ফেসবুক পেজ
Kalbela
Kalbela Online
Kalbela News
kalbela.com
Kalbela World
Kalbela Sports
Kalbela Entertainment
ইউটিউব চ্যানেল
Kalbela News
image/svg+xml
Kalbela World
image/svg+xml
Kalbela Entertainment
Kalbela Sports
টিকটক
Kalbela News
টিকটক
Kalbela Entertainment
টুইটার
Kalbela
ইনস্টাগ্রাম
Kalbela
লিঙ্কডইন
Kalbela
টেলিগ্রাম
Kalbela
লাইকি
Kalbela News
সাউন্ডক্লাউড পডকাস্ট
Kalbela News
গুগল নিউজ
Kalbela
ইমু
Kalbala
হোয়াটসঅ্যাপ
Kalbala
থ্রেডস
Kalbela News
বাংলা কনভার্টার
মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষকে আল্টিমেটাম
৬ মিনিট আগে
অবশেষে লালমনিরহাটে কাঙ্ক্ষিত বৃষ্টি
৪ মিনিট আগে
সাংবাদিককে মারধরের ঘটনায় মামলা
২৪ মিনিট আগে
চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্রলীগের কমিটি বিলুপ্ত
৪১ মিনিট আগে
উত্তরা ইউনিভার্সিটিতে রিসার্চ অ্যান্ড পাবলিকেশন অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠিত
৫৯ মিনিট আগে
সর্বশেষ
জাতীয়
রাজনীতি
সারাদেশ
বিশ্ব
খেলা
বিনোদন
শিক্ষা
বাণিজ্য
স্বাস্থ্য
ভিডিও
অডিও
রোববার, ১৯ মে ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
সর্বশেষ
জাতীয়
রাজনীতি
সারাদেশ
বিশ্ব
খেলা
বিনোদন
শিক্ষা
বাণিজ্য
স্বাস্থ্য
মতামত
ধর্ম
আইন-আদালত
অপরাধ
রাজধানী
প্রবাস
লাইফস্টাইল
প্রযুক্তি
শিল্প-সাহিত্য
চাকরি
চট্টগ্রাম সারাবেলা
নারী-শিশু
আইন ও পরামর্শ
সোশ্যাল মিডিয়া
বিচিত্র
কর্পোরেট
নবযাত্রার ১ বছর
বঙ্গবন্ধুর বায়োপিক
পরিবেশ ও জলবায়ু
পিএসআই
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন
রম্যবেলা
ভিডিও স্টোরি
ফটো স্টোরি
ফটোগ্যালারি
ভিডিও গ্যালারি
অডিও
| ১৯ মে ২০২৪
সর্বশেষ
জাতীয়
রাজনীতি
সারাদেশ
বিশ্ব
খেলা
বিনোদন
শিক্ষা
বাণিজ্য
স্বাস্থ্য
মতামত
ভিডিও
অডিও
রোববার, ১৯ মে ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
সর্বশেষ
জাতীয়
রাজনীতি
সারাদেশ
বিশ্ব
খেলা
বিনোদন
শিক্ষা
বাণিজ্য
স্বাস্থ্য
মতামত
ধর্ম
আইন-আদালত
অপরাধ
রাজধানী
প্রবাস
লাইফস্টাইল
প্রযুক্তি
শিল্প-সাহিত্য
চাকরি
চট্টগ্রাম সারাবেলা
নারী-শিশু
আইন ও পরামর্শ
সোশ্যাল মিডিয়া
বিচিত্র
কর্পোরেট
নবযাত্রার ১ বছর
বঙ্গবন্ধুর বায়োপিক
পরিবেশ ও জলবায়ু
পিএসআই
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন
রম্যবেলা
ভিডিও স্টোরি
ফটো স্টোরি
ফটোগ্যালারি
ভিডিও গ্যালারি
অডিও
অনুসন্ধান
কুবি উপাচার্য ও কোষাধ্যক্ষের বিরুদ্ধে নতুন অভিযোগ
গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা-২০২৪ ‘সি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় কেন্দ্রে না এসে সম্মানী নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈন ও কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আসাদুজ্জামানের বিরুদ্ধে। শিক্ষকদের অভিযোগ তারা ক্ষমতা অপব্যবহার করে এ সম্মানী গ্রহণ করেছেন। গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা সংশ্লিষ্টরা জানান, গত ১০ মে ভর্তি পরীক্ষার অংশ হিসেবে উপাচার্য ১৫ হাজার টাকা ও কোষাধ্যক্ষ ১২ হাজার টাকা নিয়েছেন। তবে তাদের কেউই পরীক্ষা কেন্দ্রে আসেননি। এ দিকে উপাচার্য ও কোষাধ্যক্ষ ভর্তি পরীক্ষার দিন বাংলোতে ছিলেন বলে জানিয়েছেন উপাচার্যপন্থি শিক্ষকরা। এ বিষয়ে গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার সি ইউনিটের অর্থ কমিটির সদস্য সচিব শুভ্র ব্রত সাহা বলেন, সদস্য সচিব হিসেবে আমি আমার দায়িত্ব পালন করেছি। এ বিষয়ে আহ্বায়ক ভালো বলতে পারবে। ভিসি আর ট্রেজারার বিশ্ববিদ্যালয়ে উপস্থিত না হয়ে টাকা নিতে পারে কি না জানতে চাইলে অর্থ কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান বলেন, আমি যতটুকু জানি ভিসি বাংলো ক্যাম্পাসের অন্তর্ভুক্ত। তবে আমি অর্থ কমিটির দায়িত্বে ছিলাম। কিন্তু অর্থ বণ্টন করে অর্থ দপ্তর। এতগুলো মানুষের টাকা এক ঘণ্টার মধ্যে বণ্টন করা সম্ভব না বিধায় পরীক্ষা শুরুর আগে থেকে বণ্টন করা হয়। অর্থ দপ্তরের ডেপুটি ডিরেক্টর নাসির উদ্দিন বলেন, স্যার বাংলোতে ছিল। কিন্তু এটাও ক্যাম্পাস। আমি আমার দায়িত্ব পালন করেছি। সি ইউনিটের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আহসান উল্ল্যাহ বলেন, ভিসি আর ট্রেজারার বাংলোতে ছিল। তবে উপউপাচার্য আমার সঙ্গে সার্বক্ষণিক ছিল। তিনি আমার সঙ্গে বিভিন্ন দপ্তরে গিয়েছিল। তারা ক্যাম্পাসে কেন আসেননি সেটা আমি জানি না। ওনারা টপ লেভেলের। আমি তো আর বলতে পারব না কেন আসে নাই, ওনাদের সঙ্গে কথা বলেন। আমাদের তারা নির্দেশ দেয় সেই অনুযায়ী কাজ করি। এখন তারা ক্যাম্পাসে আসছে কি না সেটা তারা ভালো বলতে পারবে। এ বিষয়ে শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান বলেন, যে লোকটা সেলারি শিট চুরি করতে পারে, (কর করাপশন ইনভলব) এলে সে লোকটা নিয়ে কমেন্ট করতে আমার রুচিতে বাধে। সে সারা দেশের গুচ্ছ অন্তর্ভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ভর্তি পরীক্ষা কমিটির কোষাধ্যক্ষের দায়িত্বে আছে যতদূর জানি। তবে সে জায়গা থেকে ন্যূনতম দায়িত্ববোধ মনে না করে অর্থনৈতিক সুবিধা নেবেন অনিয়মের মাধ্যমে। তবে ভিসি এবং কোষাধ্যক্ষ দুজনই সংঘবদ্ধ, দুজনেই যেমন সন্ত্রাসী তেমন দুর্নীতিতেও। তিনি যে বলছেন ‘দুর্নীতি-উন্নতি’ সে এটাতেই বিশ্বাসী। সম্মানী গ্রহণের বিষয়ে কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান বলেন, তোমার কাছে ভুল তথ্য আছে। আমি অফিস করেছি, স্বাক্ষরও করেছি। তবে কোষাধ্যক্ষ অফিসের সেকশন অফিসার নমিতা পাল বলেন, আমি যতক্ষণ ছিলাম স্যারকে দেখি নাই। এরপর আমি পরীক্ষার ডিউটিতে চলে যাই। পরীক্ষা শেষ বাংলোতে গিয়েছিলাম সেখানেও স্যারকে পাইনি। উপাচার্যের পিএস টু ভিসি হোসাইন মোরশেদ ফরহাদ বলেন, স্যার ক্যাম্পাসে আসেন নাই। তবে বাংলোতে ছিলেন। কেন আসে নাই জানতে চাইলে তিনি বলেন, হয়ত মনমানসিকতা ভালো নাই, এ ধরনের কাজকর্ম চললে সবার তো মনমানসিকতা খারাপ থাকতেই পারে। পরীক্ষার দায়িত্ব পালন না করে সম্মানী গ্রহণ করতে পারে কি না জানতে চেয়ে উপাচার্যকে মোবাইল ফোনে কল দিলেও ফোন রিসিভ হয়নি। পরে বাংলোতে গিয়েও দেখা হয়নি।
১৪ মে, ২০২৪
কুবিতে উপাচার্য, ট্রেজারার ও প্রক্টরের কার্যালয়ে তালা
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) উপাচার্য, ট্রেজারার এবং প্রক্টরকে ২৪ ঘণ্টা আলটিমেটামের পর দাবি বাস্তবায়ন না হওয়ায় অবাঞ্চিত ঘোষণা করে তিন কার্যালয়ে তালা দিয়েছে শিক্ষক সমিতি। বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১০টায় শিক্ষক নেতাদের উপস্থিতিতে এসব কার্যালয়ে তালা দেওয়া হয়। জানা যায়, শিক্ষকদের ওপর হামলায় জড়িতদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিতকরণ এবং হামলায় ‘মদতদানকারী’ ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর কাজী ওমর সিদ্দিকীর অপসারণ, গেস্টহাউস শিক্ষক-কর্মকর্তাদের জন্য অবমুক্ত করা, পদোন্নতির জন্য আবেদনকৃত শিক্ষকদের অবিলম্বে পদোন্নতির ব্যবস্থা করাসহ সাত দফা দাবি জানিয়ে আসছিল বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি। কিন্তু প্রশাসন এ বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। ফলে শিক্ষকরা তিন দফায় ক্লাস বর্জনসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে। যার সঙ্গে সবশেষ যুক্ত হয় ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম। দপ্তরে তালা দেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও সহযোগী অধ্যাপক মেহেদী হাসান বলেন, আমরা উপাচার্য স্যারকে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছিলাম কিন্তু তিনি সমাধানের জন্য আমাদের সঙ্গে আলোচনায় বসেননি। তাই পূর্বের ঘোষণা অনুযায়ী প্রক্টর, ট্রেজারার ও উপাচার্যকে অবাঞ্চিত ঘোষণা করে তাদের কার্যালয়ে তালা দেওয়া হয়েছে। আমাদের দাবি বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত তালা থাকবে। শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের বলেন, আন্দোলন চললেও নিয়মিত ক্লাস, পরীক্ষা হবে। আমরা চাই বিশ্ববিদ্যালয় শান্তিপূর্ণ অবস্থা বিরাজ করুক। কিন্তু যেভাবে শিক্ষকদের অধিকার বঞ্চিত করা হচ্ছে, অবৈধ শর্ত চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে তারই প্রেক্ষিতে আজকে আমাদের এই পদক্ষেপ। আমরা আশাবাদী উপাচার্য এই সংকট নিরসনে এগিয়ে আসবেন। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈনকে একাধিকবার কল দিয়েও পাওয়া যায়নি। অন্যদিকে উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহা. হুমায়ুন কবিরও এ বিষয়ে কিছু বলতে অপারগতা প্রকাশ করেন।
২৫ এপ্রিল, ২০২৪
কুবিতে ‘তিন অনিয়মের দায়’ উপাচার্যের ওপর চাপালেন ট্রেজারার
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) শিক্ষকদের তোপের মুখে বিশ্ববিদ্যালয়ের সমালোচিত তিন অনিয়মে উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈনকে দোষারোপ করলেন কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. আসাদুজ্জামান। গত ৩১ জানুয়ারি ‘সার্ভিস রুলস, একাডেমিক রুলস অ্যান্ড রেগুলেশন’ (পরীক্ষা, ছুটি এবং আপগ্রেডেশন বিধি) প্রশিক্ষণের আয়োজন করে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউশনাল কোয়ালিটি অ্যাসুরেন্স সেল (আইকিউএসি)। এতে রিসোর্স পারসন হিসেবে ছিলেন কোষাধ্যক্ষ। তবে প্রশিক্ষণে নির্ধারিত বিষয়ের ওপর কোনো বিশেষজ্ঞকে না রেখে কোষাধ্যক্ষকে রিসোর্স পারসন হিসেবে কেনো রাখা হয়েছে? অংশগ্রহণকারী শিক্ষকরা এমন প্রশ্ন তোলেন। এসময় শিক্ষকরা কোষাধ্যক্ষের কাছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সমালোচিত বিভিন্ন অনিয়মের বিষয়ে জানতে চান। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় শিক্ষকদের প্রাপ্ত ভাতা থেকে কোনো প্রকার নীতিমালা ছাড়াই ভাইস চ্যান্সেলরের নামে বৃত্তি প্রদান, বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থ খরচে গেস্ট হাউস রাখা হলেও শিক্ষকদের বঞ্চনায় ডুবিয়ে সেটি উপাচার্যের দখলে নেওয়া, বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন-২০০৬ ও ইউজিসির আইন অমান্য করে শিক্ষক নিয়োগে, পদোন্নতিতে বৈষম্য সৃষ্টির পাশাপাশি সঠিক নিয়মে আপগ্রেডেশন না দেওয়াসহ গুরুতর অনিয়মের বিষয়গুলো নিয়ে শিক্ষকরা প্রশ্ন তোলেন। পরে এসব অনিয়মের দায় উপাচার্যের ওপর চাপান কোষাধ্যক্ষ। এ বিষয়ে বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. মোকাদ্দেস-উল-ইসলাম বলেন, আমরা ট্রেজারারের কাছে সাম্প্রতিক সময়ে ঘটে যাওয়া নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে প্রক্টর কাজী ওমর সিদ্দিকীর পিএইচডি নথিভুক্তি, উপাচার্যের পছন্দের ব্যক্তিদের পদোন্নতি স্থায়ীকরণ এবং সব শর্তপূরণ হলেও ব্যক্তিগত আক্রোশে অন্য শিক্ষকদের পদোন্নতি প্রদানে অযাচিত শর্তারোপের বিষয়ে ব্যাখ্যা জানতে চাইলে তিনি বিব্রতবোধ করেন। তিনি বলেন, ‘এসব সিদ্ধান্ত আমি নিতে পারি না। হায়ার অথরিটি আছে; বোর্ড আছে। উপাচার্য এ ব্যাপারে ভালো বলতে পারবেন।’ এভাবে তিনি আমাদের প্রশ্ন এড়িয়ে উপাচার্যের ওপর দায় চাপান। বস্তুত এসব অনিয়মের কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকরা তাদের ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।’ প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণকারী কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মেহেদী হাসান জানান, আমি কোষাধ্যক্ষের কাছে জানতে চাই, বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব নিয়ম আছে, কিন্তু এসব নিয়মের ব্যত্যয় ঘটিয়ে একাধিক ব্যক্তিকে কোনো আইনে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে? যোগ্যতা থাকার পরও কেনো প্রমোশন আটকিয়ে দেওয়া হচ্ছে? এ ছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থ খরচে গেস্ট হাউস রাখা হয়েছে, কিন্তু শিক্ষকদের বঞ্চনায় ডুবিয়ে উপাচার্য একাই সেটি কীভাবে দখল করতে পারেন? যে পদ্ধতিতে বৃত্তি দেওয়া হচ্ছে সেটার খাত নিয়েও কোষাধ্যক্ষকে প্রশ্ন করলে তিনি সঠিক ব্যাখ্যা দিতে পারেননি। উল্টো শিক্ষকরা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনিয়মের বিষয় নিয়ে প্রশ্ন করলে তিনি এটির সম্পূর্ণ দায়ভার উপাচার্যকে চাপিয়ে দেন। আমার প্রশ্ন হচ্ছে তাহলে কি উপাচার্য একাই সকল দুর্নীতির মূল হোতা? নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন সহযোগী অধ্যাপক বলেন, শিক্ষক পদোন্নতির নীতিমালা অনুযায়ী আবেদনের সময় তো Q1 এবং Q2 নীতিমালা ছিল না। কিন্তু এসব নিয়ে পদোন্নতির সময় আমাদের আটকে দিচ্ছে। এসব নিয়ে যখন প্রশ্ন করা হয় তখন কোষাধ্যক্ষ বলেন, এসব বিষয়ে আমার হাতে থাকে না। এখানে হায়ার অথরিটি আছে। যাচাইবাছাই বোর্ড আছে তাদের ওপর নির্ভর করে।’ আবার উপাচার্য তার নিজের কাছে গেস্ট হাউসের চাবি রেখে দেওয়াতে আমাদের প্রতিনিয়ত ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। এরপর তার অপছন্দের শিক্ষকদের পদোন্নতিতে নিয়মবহির্ভূত শর্তারোপ করছেন। শিক্ষকরা এসব প্রশ্নবাণে জর্জরতি করলে তখন কোষাধ্যক্ষ বিব্রত হয়ে বলেন, ‘এসব বিষয়ে উপাচার্য ভালো বলতে পারবেন।’ এদিকে শিক্ষকদের তোপের মুখে উপাচার্যের ওপর দায় চাপানোর বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. আসাদুজ্জামান বলেন, উপাচার্যের ওপর দায় চাপানোর বিষয়টি সম্পূর্ণ অসত্য। শিক্ষক নিয়োগ এবং আপগ্রেডেশনের বিষয়টি হায়ার বোর্ডের বিষয়। সেখানে উপাচার্যসহ অন্যান্য বোর্ড মেম্বাররা সিদ্ধান্ত নেন। সেখানে কাছের লোকদের সুযোগ দেওয়া কিংবা দূরের লোকদের ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতার বিষয়টি সম্পূর্ণ ওনাদের। আমি সেখানে ছিলামও না। কী হয়েছে জানিও না। এ ছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের গেস্ট হাউস নিয়ে বিড়ম্বনা ও মেধাবৃত্তির বিষয়ে উপাচার্যের কর্মকাণ্ডের বিষয়ে শিক্ষকদের কাছে কোষাধ্যক্ষের দেওয়া মন্তব্য সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, একটা সময় ভর্তি পরীক্ষার লভ্যাংশ থেকে শিক্ষকদের একটি অংশ দেওয়া হতো। যা পুরোপুরি প্রচলিত নিয়ম। কিন্তু বর্তমানে সেই অর্থ দিয়ে মেধাবৃত্তি দেওয়ার বিষয়টি ‘নিয়ম মেনে করা হয়নি’ এই ধরনের অভিযোগ সঠিক নয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের গেস্ট হাউসের অব্যবস্থাপনার বিষয়ে তিনি বলেন, আমি শিক্ষকদের তখন বলেছি গেস্ট হাউস অব্যবস্থাপনার বিষয় নিয়ে উপাচার্যের সঙ্গে কথা বলব। তবে কোষাধ্যক্ষের দায় ছাপানোর বিষয়ে কথা বলতে উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈনের দপ্তরে গেলে তিনি অন্যান্য সাক্ষাৎ প্রার্থীদের সঙ্গে কথা বললেও প্রতিবেদককে ব্যস্ততা দেখিয়ে প্রায় দুই ঘণ্টা বসিয়ে রাখার পরও কথা বলেন নাই। এরপর উপাচার্যের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি কোনো সাড়া দেননি। মোবাইল ফোনে ক্ষুদে বার্তা পাঠালেও তার উত্তর পাওয়া যায়নি।
০৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪
প্রেসিডেন্সি ইউনিভার্সিটির ট্রেজারার ফারুক
আগামী চার বছরের জন্য প্রেসিডেন্সি ইউনিভার্সিটিতে ট্রেজারার হয়েছেন অধ্যাপক এএইচএম ফারুক। মঙ্গলবার তাকে বরণ করে নেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, শিক্ষক-শিক্ষিকা ও কর্মকর্তারা। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রাণিবিদ্যায় স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। অষ্টম বিসিএসে শিক্ষা ক্যাডারে নিয়োগ পেয়ে সরকারি কলেজের প্রাণিবিদ্যা বিভাগে প্রভাষক হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। তিনি দেশের বিভিন্ন সরকারি কলেজে অধ্যাপনা করেছেন। সর্বশেষ নোয়াখালীর চৌমুহনী সরকারি এসএ কলেজের অধ্যক্ষ ছিলেন।
১৮ জানুয়ারি, ২০২৪
মানারাতে নতুন ট্রেজারার ছবুরকে অভ্যর্থনা
মানারাত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে নবনিযুক্ত ট্রেজারার অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আব্দুছ ছবুর খানকে অভ্যর্থনা জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। সোমবার আশুলিয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাসের সেমিনার হলে এ অভ্যর্থনা অনুষ্ঠান হয়। এ সময় ট্রেজারার আব্দুছ ছবুর খানকে সবার পক্ষে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান স্কুল অব ইঞ্জিনিয়ারিং, সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির ডিন ও ফার্মেসি বিভাগের প্রধান ড. নারগিস সুলতানা চৌধুরী এবং রেজিস্ট্রার ড. মোয়াজ্জম হোসেন।
২৫ অক্টোবর, ২০২৩
মানারাত ইউনিভার্সিটির নতুন ট্রেজারার ঢাবি অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আব্দুছ ছবুর খান
রাজধানীর মানারাত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ট্রেজারার হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আব্দুছ ছবুর খান। শনিবার (২১ অক্টোবর) তিনি এ পদে যোগদান করেন। এ সময় তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব ট্রাস্টিজের অন্যতম সদস্য ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারপারসন অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিমসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও কর্মকর্তারা ফুল দিয়ে অভ্যর্থনা জানান। এর আগে গত ১৭ অক্টোবর ড. মুহাম্মদ আব্দুছ ছবুর খানকে মানারাত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ট্রেজারার হিসেবে নিয়োগের বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের উপসচিব ড. মো. ফরহাদ হোসেন স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, রাষ্ট্রপতি ও চ্যান্সেলরের অনুমোদনক্রমে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন-২০১০ এর ধারা ৩৩ (১) অনুযায়ী ড. মুহাম্মদ আব্দুছ ছবুর খান, প্রফেসর এবং সাবেক চেয়ারম্যান, ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে মানারাত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি-এর ট্রেজারার পদে নিয়োগ প্রদান করা হলো। জানা যায়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগে দুই যুগেরও বেশি সময়কাল শিক্ষকতা করেছেন ড. মুহাম্মদ আব্দুছ ছবুর খান। তিনি ১২ নভেম্বর ২০১৪ থেকে ১১ নভেম্বর ২০১৭ পর্যন্ত বিভাগের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেছেন। অধ্যাপনার পাশাপাশি তিনি অনুবাদ, গবেষণা ও মৌলিক সাহিত্য সৃষ্টিতে সমান পারঙ্গম একজন সফল লেখক। তিনি শাকির সবুর নামে সাহিত্যাঙ্গনে বেশি পরিচিত। এ যাবতকাল তার প্রকাশিত গ্রন্থের সংখ্যা ৩৪। তিনি ২০২২ সালে ইরান সরকারের ২৯তম ইরানস ওয়ার্ল্ডবুক অ্যাওয়ার্ডে ভূষিত হন। তিনি মৌলিক গল্প-উপন্যাস রচনার পাশাপাশি আধুনিক বাংলা কথাসাহিত্য ও ফারসি উভয় ভাষায়ই অনুবাদ করেছেন।
২১ অক্টোবর, ২০২৩
জবির অধ্যাপকদের মধ্যে থেকেই ট্রেজারার চায় শিক্ষকরা
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকদের মধ্য থেকেই ট্রেজারার পদে নিয়োগ ও অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক ড. কামালউদ্দিন আহমদকে ফের নিয়োগ না দিতে সংবাদ সম্মেলন করেছে শিক্ষক সমিতি।বুধবার (৪ অক্টোবর) দুপুর সাড়ে ১২ টায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির লাউঞ্জে এ সংবাদ সম্মেলন করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. একেএম লুৎফর রহমান বলেন, স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণের লক্ষ্যে অক্লান্ত পরিশ্রম করে নেতৃত্ব দিয়ে চলেছেন হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা। এক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের অবদান অনস্বীকার্য। তবে অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে জানাতে হচ্ছে যে, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. কামালউদ্দীন আহমদের সময়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় এবং দ্বিতীয় ক্যাম্পাস প্রকল্পের কাজে নানা অনিয়মসমূহ বিভিন্ন গণমাধ্যম ও পত্র-পত্রিকায় উঠে এসেছে। দরপত্র মূল্যায়ন কমিটিতে কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. কামালউদ্দীন আহমদ আহ্বায়ক থাকা অবস্থায় সাকা চৌধুরীর পরিবার সংশ্লিষ্ট কোম্পানিকে লেকের টেন্ডার দেয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণে আইন ও বিধিবিধান অনুসরনে ব্যর্থ হয়েছে এবং চরম অদক্ষতার পরিচয় দিয়েছে বলে পরিকল্পনা কমিশন কর্তৃক গঠিত প্যানেল রায় দিয়েছে। ট্রেজারারকে কমিটি থেকে বাদসহ আর্থিক জরিমানাও করা হয়েছে। এতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হয়েছে। আমরা প্রশাসনিক দুর্বলতার কারণে পিছিয়ে পড়ছি। এ সময় সংবাদ সম্মেলনে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক থেকে ট্রেজারার নিয়োগের দাবি জানিয়ে শিক্ষক সমিতির নেতৃবৃন্দরা জানান, কোষাধ্যক্ষ পদে ড. কামালউদ্দিন আহমদের মেয়াদ শেষ হবে আগামী ২৬ নভেম্বর। আগামী ট্রেজারার নিয়োগে আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক থেকে চাই। ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক ড. কামালউদ্দিন আহমদ ৫ বছর পূর্বেই চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের থেকে অবসর গ্রহণ করেছেন। শিক্ষক সমিতির নেতারা আরো বলেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্তমানে ১৫৬ জন অধ্যাপক রয়েছেন। এর মধ্যে দুইজন অধ্যাপক পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য এবং দুইজন উপ-উপাচার্য হিসেবে সুনামের সাথে কাজ করে যাচ্ছেন। এ ছাড়া প্রাইভেট বিশ্বদ্যিালয়ের উপাচার্য ও উপ-উপাচার্য পদে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন অধ্যাপক বর্তমানে দায়িত্ব পালন করছেন। এ ছাড়া অতীতেও বিভিন্ন পাবলিক ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য, উপ-উপাচার্য ও ট্রেজারার পদে অনেক অধ্যাপক দায়িত্ব পালন করেছেন। শিক্ষক সমিতির সংবাদ সম্মেলনে জানায়, উন্নয়নের গতি ত্বরান্বিত করার স্বার্থে অনতিবিলম্বে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকদের মধ্য হতে বঙ্গবন্ধুর আদর্শে উজ্জীবিত সৎ এবং প্রশাসনিক ও গবেষণায় অভিজ্ঞ যেকোনো একজনকে কোষাধ্যক্ষ পদে নিয়োগ দানের জন্য সরকারের আশু দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. আইনুল ইসলামসহ বাকি নেতৃরা বক্তব্য প্রদান করেন।
০৪ অক্টোবর, ২০২৩
আরও
X