নারীদের চুলোচুলি, কী ঘটেছিল জানালেন ডিবি হারুন
রাজধানীর গুলশানের একটি বারের সামনে। বেশ কয়েকজন নারীর মধ্যে হাতাহাতি হচ্ছে। সঙ্গে চিৎকার ও চেঁচামেচি। ঘটনাস্থলে থাকা কয়েকজন পুরুষ থামানোর চেষ্টা করলেও কোনো ভাবে তাদের থামানো যাচ্ছে না। এমনটাই দেখা গেছে গত ১৪ এপ্রিল রাতে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিওতে। ঘটনাটি ঘিরে পরবর্তী এক নারী থানায় অভিযোগ করলে পুলিশ তিন তরুণীকে গ্রেপ্তার করে।  তবে সবার মনে প্রশ্ন মূলত কী ঘটেছিল সেই রাতে। সে বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত জানিয়েছেন ডিবিপ্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ। বুধবার (১৭ এপ্রিল) বিকালে রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিবি কার্যালয়ে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, সম্প্রতি গুলশান-২ নম্বরের ক্যাফে সেলেব্রিটা বারের সামনে কয়েকজন তরুণীর মধ্যে হাতাহাতির ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী মামলা করেন। পরে ঘটনাস্থলের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করে অভিযুক্ত তিন নারীকে গ্রেপ্তার করা হয়।  তিনি বলেন, ওই নারীরা সেদিন রাতে বারে মদপান করতে গিয়েছিলেন।  তাদের কারও লাইসেন্স ছিল না। এরপরও বারের লোকজন তাদেরকে মদ দেয়। মুনাফার আশায় তারা এত পরিমাণ মদ খাওয়ালেন যে সবাই মাতাল হলেন।  ডিবিপ্রধান বলেন, বার থেকে বের হয়ে ওইতারা সবার সামনে মারামারি করলেন। গুলশান সোসাইটির মানুষ দেখলেন, ভিডিও করে ভাইরাল করলেন। এতে আমাদের সমাজের যারা সাধারণ মানুষ তারা কী মনে করবেন। অভিভাবকদের অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, আপনার মেয়েরা শেষরাতে কোথায় যায়, কোথায় গিয়ে কী করছে খোঁজ রাখা উচিৎ। আজকে এসব নারী বারে গিয়ে মদ খেয়ে মাতাল হয়ে মারামারি করেছে, কাপড় খোলার কাজ করেছে। এটা অন্য কারও ক্ষেত্রে ঘটতে পারে।  ডিবিপ্রধান আরও বলেন, যে মেয়েটা মার খেয়েছে তিনিও মাতাল ছিলেন। তিনি অভিযোগ করেছেন। তার অভিযোগের প্রেক্ষিতে বাকি সবাইকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।  গত ১৪ এপ্রিল বারের সামনে সাদা পোশাক পরা নারী ও লাল শাড়ি পরা এক নারীর মধ্যে হাতাহাতির একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়। এতে দেখা যায়, হাতাহাতির সময় একে অপরকে নোংড়া ভাষায় গালাগাল করে চিৎকার করছিল নারীরা। এ সময় একজনের কাপড় খুলে ফেলেন অপর এক নারী। কয়েকজন পুরুষ তাদের থামানোর চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন। পরবর্তীতে অনেক চেষ্টার পর ঝগড়া থামলে যে যার গন্তব্যে চলে যান।
১৭ এপ্রিল, ২০২৪

একটা গ্রুপ বইমেলায় ঢুকে পরিবেশ নষ্ট করতে চায় : ডিবি হারুন
ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের প্রধান হারুন অর রশীদ বলেছেন, এই গ্রুপটা কারা, যারা বইমেলার মধ্যে ঢুকে পরিবেশ নষ্ট করতে চায়, সাধারণ মানুষকে হয়রানি করতে চায়? তাদের উদ্দেশ্য কী সেটা খুঁজে বের করার চেষ্টা করছি। তাদেরও খুঁজছি। বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে ডিবি কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি।   তিনি বলেন, অমর একুশে বইমেলায় ঢুকে একটি গ্রুপ লেখক, পাঠক ও দর্শনার্থীদের হয়রানি করছে। তারা পরিবেশ নষ্ট করতে চায়। যাদের ইভটিজিং করেছে, কটূক্তি করেছে তারা অভিযোগ দিয়েছে। আমরা অভিযোগ নিয়েছি, যাচাইবাছাই করছি। এর আগে বিকেলে ডিবি কার্যালয়ে গিয়ে বইমেলা থেকে বের দেওয়ার ঘটনায় পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের কাছে লিখিত অভিযোগ দেন আলোচিত-সমালোচিত কনটেন্ট ক্রিয়েটর আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলম। গতকাল বুধবার (২১ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে হিরো আলমকে দুয়োধ্বনি দিয়ে বইমেলা থেকে বের করে দেন শতাধিক দর্শনার্থী। এরও আগে গেলো ৯ ফেব্রুয়ারি সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বইমেলায় স্ত্রীকে নিয়ে নিজের লেখা বইয়ের প্রচারণায় গিয়ে পাঠক ও দর্শনার্থীদের ক্ষোভের মুখে পড়েন মুশতাক। দুয়োধ্বনি দিয়ে তাদের বইমেলা প্রাঙ্গণ থেকে বের হয়ে যেতে বাধ্য করা হয়। এ নিয়ে ১২ ফেব্রুয়ারি পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের কাছে অভিযোগে দেন তারা।   
২২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

কেন্দ্রীয় নেতাদের নির্দেশে তাণ্ডব চালায় বিএনপির কর্মীরা : ডিবি হারুন
রাজধানীর পল্টনে গত ২৮ বিএনপির ডাকা সমাবেশে হামলা ভাঙচুর ও পুলিশকে মারধরের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে পাঁচজন ও গাড়িতে আগুন দেওয়ার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে একজন বিএনপি ও যুবদলের নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের মতিঝিল বিভাগ। গোয়েন্দা পুলিশ বলছে, রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির সমাবেশকেন্দ্রিক হরতাল ও অবরোধে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতাদের নির্দেশে নেতাকর্মীরা ঢাকা শহরের বিভিন্ন জায়গায় অগ্নিসংযোগ, ভাঙচুর ও পুলিশের সরকারি কাজে বাধা প্রদান করে। এমনকি বিভিন্ন জায়গায় যাত্রীবাহী বাসে অগ্নিসংযোগের ফলে জনমনের ভীতির সৃষ্টি হয়। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- বিএনপি কর্মী ইসমাঈল পাটওয়ারী (৬৫), শ্যামপুর থানার সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুল্লাহ আল সাঈদ রনি, শ্যামপুর থানার ৪৭ নং ওয়ার্ডের সাবেক সদস্য সচিব এসএম মুরাদ হোসেন মামু এবং বিএনপি-যুবদলের কর্মী মাকসুদুর রহমান মাসুদ, মোস্তফা কামাল সুমন। বাসে আগুন দেওয়ার অভিযোগে স্বেচ্ছাসেবক দলের কর্মী আল আমিন (২৯)। আজ রোববার (১৯ নভেম্বর) দুপুরে রাজধানীর মিন্টো রোডে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবিপ্রধান) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ এসব কথা বলেন। অতিরিক্ত কমিশনার হারুন বলেন, বিএনপির সমাবেশে শাহজাহানপুর থানার কমলাপুর রেলওয়ে অফিসার্স কোয়ার্টারের সামনে বিএনপির বিভিন্ন নেতাকর্মীরা গাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও পুলিশকে মারধর। ভিডিও ফুটেজ পর্যালোচনায় দেখা যায় ইসমাঈল পাটওয়ারী দুটি সবুজ রঙের প্লাস্টিকের লাঠি নিয়ে নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের ওপর হামলা করে। এ ছাড়া বিএনপি নেতা আবদুস সামাদের কর্মী সাঈদ রনি, মুরাদ ও মাসুদ। তারা প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা, গাড়ি ভাঙচুর, পুলিশের ওপর হামলা ও পুলিশ বক্সে আগুন দেওয়ার ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। এ ছাড়া বিভিন্ন ভিডিও ফুটেজেও তাদের দেখা গেছে। গ্রেপ্তার মোস্তফা কামাল সুমন ২৮ অক্টোবর সমাবেশের দিন পুলিশের ওপর হামলা করে এক পুলিশ সদস্যের দাঁত ভেঙে ফেলে। এমনকি এই ঘটনার ছবি প্রকাশ করে ফেসবুকে লিখেছেন দাঁতভাঙা জবাব দিয়েছি। এ ছাড়া নিহত পুলিশ সদস্যের শিশুকন্যা ‘বাবা, বাবা বলে কাঁদছে’ এমন এক ফেসবুক পোস্টে গিয়ে কমেন্ট করেছে ‘উই আর নট আনহ্যাপি’। গ্রেপ্তারের পর সবকিছু স্বীকার করেছে। এমনকি তার সঙ্গে যারা ছিল তাদের পরিচয় স্বীকার করেছে। পৃথক আরেক ঘটনায় গত ৮ অক্টোবর সন্ধ্যায় রাজধানীর বংশাল এলাকায় আকাশ পরিবহনে যাত্রীবেশে উঠে আগুন দেওয়ার ঘটনায় আল আমিন এক বিএনপি কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।  ডিবি প্রধান বলেন, সন্ধ্যায় কেরানীগঞ্জ থেকে গাজীপুর রুটে চলাচল করা আকাশ পরিবহনের একটি গাড়িতে বংশাল থানার নবাব ইউসুফ রোডের  ট্রাফিক সিগন্যালে গাড়ি থামলে যাত্রীবেশে কয়েকজন মিলে গাড়িতে উঠে। পরে গাড়িতে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে নেমে যায়। এই ঘটনায় জড়িত আল আমিনকে কেরানীগঞ্জ থানার চুনকটিয়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করা হয়। নাশকতা ও আগুনের ঘটনায় জড়িতরা গ্রেপ্তারের পর ঘটনার দায় স্বীকার করেছে। পাশাপাশি তারা বলেছে, এই নাশকতা তাদের পূর্বপরিকল্পিত।
১৯ নভেম্বর, ২০২৩

তপশিল ঘোষণার পর বিশৃঙ্খলা করলে ব্যবস্থা : ডিবি হারুন
তপশিল ঘোষণার পর কেউ জনমনে আতঙ্ক ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে চাইলে নির্বাচন কমিশনের দিকনির্দেশনা অনুযায়ী আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কঠোর ব্যবস্থা নিবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ। বুধবার (১৫ নভেম্বর) দুপুরে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন তিনি। হারুন অর রশীদ বলেন, তপশিল ঘোষণাকে ঘিরে ও ঘোষণার পর কেউ যদি সহিংসতা করে ও অনলাইনে উসকানি দিলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।  জনগণের নিরাপত্তা দিতে রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে পুলিশের নজরদারি থাকবে। পাশাপাশি অলিতে গলিতে মোটরসাইকেল পেট্রল টিম কাজ করবে বলেও জানাই গোয়েন্দা পুলিশের এই কর্মকর্তা।  তিনি আরও বলেন, নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা মতে কাজ করবে পুলিশ। বিদেশে বসে করা উসকানি দিচ্ছে সে বিষয়ে পুলিশ জানে। কেউ যাতে নাশকতা না করতে পারে তার জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে পুলিশ।
১৫ নভেম্বর, ২০২৩

হাসান সারওয়ার্দীকে নিয়ে যা বললেন ডিবি হারুন
বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের উপদেষ্টা পরিচয় দিয়ে সংবাদ সম্মেলন করা মিয়ান আরেফীর বিরুদ্ধে পল্টন থানায় করা মামলায় অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা হাসান সারওয়ার্দীকে গ্রেপ্তার করেছে ডিবি। মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) সাভারের একটি বাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার গ্রেপ্তারের বিষয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেন, ২৮ তারিখ বিএনপির একটা শান্তিপূর্ণ সমাবেশ হওয়ার কথা ছিল। তারা সেজন্য অনুমতিও নিয়েছিল। কিন্তু আমরা লক্ষ্য করেছি সেদিন বেলা ১২টার পর থেকেই বিএনপির নেতাকর্মীরা আমাদের পুলিশ সদস্যদের উপর ককটেল চার্জ করে, মারধর শুরু করে এবং প্রধান বিচারপতির বাসবভনে হামলা করে। এমনকি আমাদের পুলিশ সদস্যরা আহত হয়ে যেখানে চিকিৎসা নিচ্ছিল, রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালে সেখানেও হামলা করে। সবচেয়ে করুণ  এবং হৃদয় বিদারক যে ঘটনাটি ঘটে সেটি হচ্ছে আমাদের এক পুলিশ সদস্যকে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করে। এ ঘটনায় প্রায় একশর মতো পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে যার মধ্যে অনেকেই মুমূর্ষু। তিনি বলেন, এ ঘটনার সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাদের নিবৃত করার চেষ্টা করে। এরপর বিভিন্ন ঘটনার মধ্য দিয়ে সমাবেশ শেষ হয় এবং তারা চলে যায়। কিন্তু সন্ধ্যার পরই আমরা বিভিন্ন মিডিয়াতে দেখলাম যে বিএনপি অফিসে জো বাইডেনের উপদেষ্টা পরিচয়ে এক ব্যক্তি বক্তব্য প্রদান করছেন। তার পাশে আজকের যে দুই নম্বর আসামি লেফট্যানেন্ট জেনারেল (অব.) হাসান সারওয়ার্দী তিনিও বসে আছেন এবং মাথা দুলাচ্ছেন। জো বাইডেনের যে উপদেষ্টা পরিচয়দানকারী মিয়ান আরাফি, তিনি বলছিলেন যে তিনি র‍্যাবকে তিনি স্যাংশানে সহায়তা করেছেন। তিনি পুলিশ, আনসার এমনকি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পররাষ্ট্রমন্ত্রী আইনমন্ত্রীকেও স্যাংশান দেওয়ার ব্যবস্থা করবেন। তার সঙ্গে জো বাইডেনের প্রতিদিন ৮-১০ বার কথা হয়। তিনি জো বাইডেনকে জানিয়েছেন, বিএনপির লোকজনের প্রতি হামলা চালিয়েছেন। এরপর তিনি সব জায়গায় এই তথ্য জানিয়েছেন। হারুন বলেন, উনার এসব বক্তব্য লেফট্যানেন্ট জেনারেল (অব.) হাসান সারওয়ার্দী সমর্থন করেছেন। এতে দেখা গেলো বিএনপির নেতাকর্মীরা এতে উৎসাহ পেলেন এবং রাতের বেলা আরও বাসে আগুন লাগালেন। দেশে একটা অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করলেন এবং রাষ্ট্রদোহীতার মতো একটি অপরাধ করলেন। পরবর্তীতে যখন জো বাইডেনের উপদেষ্টা পরিচয় দেইয়া ব্যক্তিকে ডেকে আনলাম, উনি জানালেন উনি যে কথাগুলো বলেছেন যে, বাংলাদেশ হিন্দুস্থান হয়ে যাবে, বাংলাদেশ শ্রীলঙ্কা হয়ে যাবে এসব কথা নাকি উনি বলতে চান নাই। উনাকে এসব কথা হাসান সারওয়ার্দী শিখিয়ে দিয়েছেন। উনি শিখিয়ে দিয়ে এসব কথা বলিয়েছেন। এতে আরও সহযোগিতা করেছেন ইশরাক এবং এডভোকেট বেলাল। যার কারণে দেশে আজকে এই অস্থিতিশীল অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে এবং উনার বক্তব্যে যে একটা রাষ্ট্রদ্রোহীতা যে একটি অপরাধ হয়েছে সেটা নিয়ে একটি মামলা হয়েছে পল্টন থানায়। সেই মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। দরকার পড়লে আমরা তাকে রিমান্ডে আনবো। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা যাবে যে কি ষড়যন্ত্র তারা করতে চেয়েছিলেন। তিনি বলেন, দেশের পুলিশ, র‍্যাব, আনসার এবং অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মনোবল ভেঙে দিয়ে তারা কি করতে চেয়েছিলেন তা জানতে পারবো। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে আমরা পরবর্তী বিষয় সবাইকে জানাতে পারব।
৩১ অক্টোবর, ২০২৩

বিএনপি কর্মীদের বিরুদ্ধে তদন্ত করে ব্যবস্থা ডিবি হারুন
বিএনপি নেতাকর্মীরা রাজধানীতে সরকারি স্থাপনায় হামলা করেছে বলে অভিযোগ করেছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) প্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ। তিনি বলেন, দায়ীদের বিরুদ্ধে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। গতকাল শনিবার বিএনপির সমাবেশ চলাকালীন পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় রাজধানীর কাকরাইলে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গিয়ে ডিবিপ্রধান হারুন বলেন, বিএনপির কর্মসূচি শান্তিপূর্ণভাবে করার কথা। ডিএমপি কমিশনারের কাছ থেকে তারা এমন শর্তেই অনুমতি নিয়েছে। হঠাৎ দুপুর ১২টার পর থেকে দেখা গেল, তারা প্রধান বিচারপতির বাড়ির ফটকে ও জাজেস কোয়ার্টারের সামনে আক্রমণ করেছে। আইডিইবি ভবনের সামনে দুটি গাড়িতে আগুন দেওয়া হয়েছে। কাকরাইল মোড়ে একটি ট্রাফিক পুলিশ বক্সে আগুন দেওয়া হয়েছে। বিএনপির নেতাকর্মীরা পুলিশের ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেছেন উল্লেখ করে হারুন বলেন, আমরা আমাদের কাজ করছি। তাদের নিবৃত্ত করার চেষ্টা করছি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে গেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সরকারি স্থাপনায় হামলা ও গাড়িতে আগুনের ঘটনায় তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেবে পুলিশ।
২৯ অক্টোবর, ২০২৩

বিএনপি শান্তিপূর্ণ সমাবেশের অনুমতি নিয়ে পুলিশের ওপর হামলা করছে : ডিবি হারুন
বিএনপি শান্তিপূর্ণ সমাবেশের অনুমতি নিয়ে পুলিশের ওপর হামলা করছে বলে অভিযোগ করেছেন ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ডিবি) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ। শনিবার (২৮ অক্টোবর) রাজধানীর কাকরাইলে প্রধান বিচারপতি বাসভবনের সামনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ অভিযোগ করেন তিনি। হারুন অর রশীদ বলেন, সমাবেশগুলো নিয়মতান্ত্রিকভাবে করার কথা, ডিএমপি কমিশনারের কাছ থেকে তারা এমন শর্তেই অনুমতি নিয়েছে। কিন্তু হঠাৎ পুলিশের ওপর বিএনপি নেতাকর্মীরা ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে। এরপর আমরা তাদের সরিয়ে দিই। পরে তারা আইডিইবি ভবনে আগুন দেয়, চিফ জাস্টিজের ভবনে ভাঙচুর করে। আমরা সেখান থেকেও তাদের সরিয়ে দিয়েছি। জামায়াতের সমাবেশ প্রসঙ্গে ডিবিপ্রধান বলেন, জামায়াত শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করলে আমরা কিছু বলছি না। কিন্তু সেখানেও তারা পুলিশের ওপর ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করেছে। আমরা সজাগ আছি, নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেব। মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ আরও বলেন, সরকারি ভবনে আগুন-বাসে আগুন– যারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে, তদন্ত করে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
২৮ অক্টোবর, ২০২৩

আ.লীগ-বিএনপি সমাবেশের অনুমতি পাবে : ডিবি হারুন
আওয়ামী লীগ ও বিএনপি দুই দলই সমাবেশের অনুমতি পাবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) প্রধান অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ। শুক্রবার (২৭ অক্টোবর) বিকেলে রাজধানীর নাইটিঙ্গেল মোড়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি। হারুন অর রশীদ বলেন, আওয়ামী লীগ ও বিএনপি সমাবেশ করার জন্য অনুমতি চেয়েছে। আমার ধারণা, তারা অনুমতি পাবে। তবে স্থানের বিষয়ে এখনই বলা যাচ্ছে না। স্থানের বিষয়টি খুব দ্রুতই জানিয়ে দেওয়া হবে তাদের। আগামীকাল শনিবার রাজনৈতিক দলগুলোর মহাসমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। সমাবেশ ঘিরে লাখ লাখ মানুষের জমায়েত হবে। এ কারণে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা ডিবির একাধিক টিম ঘুরে ঘুরে দেখছি। ঢাকা শহরের নিরাপত্তা নিশ্চিতে পুলিশের টহল টিম কাজ করছে। সমাবেশকে কেন্দ্র করে নাশকতার কোনো আশঙ্কা আছে কিনা- এমন প্রশ্নের জবাবে ডিবিপ্রধান বলেন, ঝুঁকির কথা বিবেচনা করেই থানা পুলিশ, ডিবি পুলিশ ও অন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর টহল ও চেকপোস্ট জোরদার করা হয়েছে। লাখ লাখ মানুষ ঢাকায় ঢুকবে, এর মধ্যে তৃতীয় কোনো লোক অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটাতে পারে। এ জন্য আমাদের টহল পার্টি জোরদার আছে। বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি করা হচ্ছে। ওয়ারেন্টভুক্ত আসামিদের গ্রেপ্তারের বিষয়ে হারুন অর রশীদ বলেন, এটি আমাদের রুটিন ওয়ার্ক। আগামীকাল মহাসমাবেশ বলে মনে হচ্ছে অ্যারেস্ট হচ্ছে। তবে তা নয়, সব সময়ই এ ধরনের অ্যারেস্ট হয়। যার বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট আছে তাকে আমরা আজকেও গ্রেপ্তার করব, কালও করব এবং ভবিষ্যতেও করব।  এদিকে, জামায়াতও সমাবেশ করার ঘোষণা দেওয়ার প্রসঙ্গে হারুন অর রশিদ বলেন, দলের নিবন্ধন না থাকলে গুরুত্বপূর্ণ স্থানে সমাবেশের কথা বললেই তা করতে দেওয়া হবে না। কাকে কোথায় অনুমতি দিতে হবে সেটি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বিচার-বিশ্লেষণ করে দেখবেন।
২৭ অক্টোবর, ২০২৩

বিএনপির মহাসমাবেশ ঘিরে নাশকতার আশঙ্কা নেই : ডিবি হারুন
ঢাকায় আগামী ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশ ঘিরে নাশকতার কোনো আশঙ্কা নেই বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) প্রধান মুহাম্মদ হারুন অর রশিদ। তবে পুলিশের কঠিন চেকপোস্ট ও অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি।  রোববার (২২ অক্টোবর) সকালে রাজধানীর মিন্টো রোড ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে হারুন অর রশীদ এসব কথা বলেন।  ডিবিপ্রধান বলেন, ‘প্রতিদিন অনেক বহিরাগত ঢাকায় আসেন। তারা এসে বিভিন্ন অপরাধ করে। রাজধানীতে অনেক কেপিআইভুক্ত স্থাপনা রয়েছে সেগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং কেউ যাতে নাশকতা না করতে পারে সে জন্য চেকপোস্ট বসানো হয়। এটা পুলিশের রুটিন কাজ। এটা পুলিশ সব সময় করে। অপরাধের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনার কারণে ঢাকায় মানুষ সুন্দরভাবে চলাচল করতে পারছে। অপরাধ কমে আসছে।’ এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘ঢাকা শহরে একসময় একাধিক রাজনৈতিক দল সমাবেশ করতে পারত না। কিন্তু বর্তমানে একই দিনে তিন চারটি সমাবেশ হচ্ছে, প্রত্যেকটি সমাবেশস্থলে পুলিশ নিরাপত্তা দিচ্ছে। অতীতে বড় বড় সমাবেশ হয়েছে, কোথাও কোনো নাশকতার ঘটনা ঘটেনি। আগামী ২৮ অক্টোবর কোনো নাশকতার আশঙ্কা নেই। আমরা আশা করি কোনো কিছু ঘটবে না। ডিএমপি কমিশনারের অনুমোদিত সমাবেশে আমরা পর্যাপ্ত নিরাপত্তা দেব। আমরা আশ্বস্ত করতে চাই, ঢাকায় আমাদের চেকপোস্ট চলবে, অভিযান চলবে, পরোয়ানাভুক্ত আসামি গ্রেপ্তারে আমাদের রুটি কাজও চলমান থাকবে।’
২২ অক্টোবর, ২০২৩

যে পর্যায়ের নেতাই হোক, ওয়ারেন্ট থাকলেই গ্রেপ্তার : ডিবি হারুন
যেই পর্যায়ের নেতাই হোক, ওয়ারেন্ট থাকলেই তাকে গ্রেপ্তার করা হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) প্রধান অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ। বুধবার (১১ অক্টোবর) দুপুরে মিন্টো রোডের নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বিএনপির প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানিকে গ্রেপ্তার প্রসঙ্গে এ কথা বলেন তিনি।  ডিবি প্রধান বলেন, ‘যেই পর্যায়ের নেতাই হোক, আইন তার নিজস্ব গতিতে চলে। এ ক্ষেত্রে কাউকে ছাড় দেওয়া হচ্ছে না, হবেও না। ওয়ারেন্ট থাকলেই গ্রেপ্তার করা হবে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাজই অপরাধী ব্যক্তিকে আইনের আওতায় আনা। সে রাজনৈতিক ব্যক্তিই হোক কিংবা অন্য যেকোনো ব্যক্তি। কারো বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট ও সুস্পষ্ট মামলা থাকলে তাকে আইনের আওতায় আনা হবে।’  তিনি আরও বলেন, ‘লক্ষ্মীপুরে তার (এ্যানি) বিরুদ্ধে মোট দুটি ওয়ারেন্ট আছে। জেলা পুলিশের অনুরোধের ভিত্তিতে ধানমন্ডি মডেল থানা পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। পাশাপাশি রাজধানীর সায়েন্সল্যাব এলাকায় পুলিশকে আঘাতের মামলায়ও তিনি এফআইআরভুক্ত আসামি। দুটি ঘটনায় ধানমন্ডি থানা পুলিশ তাকে ধরে আনে। তার বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট জারি হলেও তিনি আদালতে হাজির হননি, জামিন নেননি। তিনি কোনো মামলাতেই হাজির হননি। ওয়ারেন্ট থাকায় তাকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে। ওয়ারেন্টের কথা পুলিশের পক্ষ থেকে বারবার জানালেও এ্যানি আদালতে হাজির হননি।’ এর আগে, মঙ্গলবার (১০ অক্টোবর) রাতে বিএনপির প্রচার সম্পাদক ও মিডিয়া সেলের সদস্য সচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানিকে বাসা থেকে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য অধ্যাপক ড. মোর্শেদ হাসান খান কালবেলাকে এ তথ্য জানান।  থানায় যাওয়ার আগে শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি বাসা থেকে মোবাইল ফোনে গণমাধ্যমকে বলেন, ‘পুলিশ দরজায় লাথি মারছে, হুমকি দিচ্ছে, দরজা না খুললে দরজা ভেঙে ঢুকে আমাকে গুলি করবে। আমি সব মামলায় জামিনে আছি বর্তমানে, তারপরও তারা বেআইনিভাবে আমাকে তুলে নেওয়ার চেষ্টা করছে।’
১১ অক্টোবর, ২০২৩
X