বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪, ২৬ বৈশাখ ১৪৩১
ফিলিস্তিন ইস্যুতে উত্তাল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে গাজায় ইসরায়েলের আগ্রাসনবিরোধী শিক্ষার্থীদের চলমান আন্দোলন ‘ফ্রি প্যালেস্টাইন মুভমেন্টে’ সংহতি জানিয়ে সমাবেশ ও বিক্ষোভ কর্মসূচির আয়োজন করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সাধারণ শিক্ষার্থীরা। এ সময় ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর কুশপুত্তলিকা দাহ করা হয়।  রোববার (৫ মে) বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে ‘সলিডারিটি উইদ ফ্রি প্যালেস্টাইন মুভমেন্ট ইন আমেরিকান ইউনিভার্সিটিজ’ শিরোনামে এই কর্মসূচি পালিত হয়। সমাবেশ শেষে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ র‍্যালি নিয়ে শাহবাগ মোড়ে গিয়ে এবং সেখান থেকে পুনরায় টিএসসিতে এসে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর কুশপুত্তলিকা দাহ করে সমাবেশ সমাপ্ত করেন।  এ সময় শিক্ষার্থীরা- ‘ফ্রম দ্য রিভার টু দ্য সী, প্যালেস্টাইন উইল বি ফ্রি’; ‘ওয়ান, টু, থ্রি, ফোর, অকোপেশান মোর; 'ফাইভ, সিক্স, সেভেন, এইট, ইসরায়েল টেরোরিস্ট; ইসরায়েলের দোসররা, হুঁশিয়ার সাবধান ফ্রি ফ্রি প্যালেস্টাইন’- ইত্যাদি স্লোগান দেন এবং পৃথিবীজুড়ে নিপীড়িত মানুষের পক্ষে, মানবতার পক্ষে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানান। সমাবেশে ফিলিস্তিনি মানুষ ও আন্দোলরত শিক্ষার্থীদের প্রতি সংহতি জানিয়ে ‘তীর হারা এই ঢেউয়ের সাগর পাড়ি দেব রে’ ও জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ‘কারার ঐ লৌহকপাট’ গান পরিবেশন করেন সংগীত বিভাগের শিক্ষার্থী আহমেদ আবদুল্লাহ সালমান ও তার বন্ধুরা, কবিতা পাঠ করেন ঢাবির আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ শাহীন ও আবিদ হাসান রাফি।  সমাবেশে সংহতি জানিয়ে ম্যানেজমেন্ট বিভাগের শিক্ষক আরিফুল ইসলাম অপু বলেন, আমাদের নতুন কিছু বলার নেই। আমাদের এই আন্দোলন কোনো নির্দিষ্ট জনগোষ্ঠীর জন্য নয়। এই আন্দোলন মানবতার বিরুদ্ধে বিষফোড়া ওইসব রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে। এত পুঙ্খানুপুঙ্খরূপে তথ্যপ্রমাণবহুল গণহত্যা এর আগে পৃথিবী কখনো দেখেনি। এই পরিমাণে তথ্যপ্রমাণবহুল গণহত্যা দেখার পরেও পৃথিবীর মোড়লরা তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিতে পারছে না। ফলে এই ব্যবস্থা নিয়ে আমাদের প্রশ্ন তুলতে হবে।  এ সময় আইন বিভাগের শিক্ষার্থী শাখাওয়াত জাকারিয়া বলেন, আজকের এই সংহতি সমাবেশে শিক্ষার্থীদের স্বতঃস্ফূর্ত উপস্থিতি জানান দেয়, বাংলাদেশের সাধারণ শিক্ষার্থীরা ফিলিস্তিনের মানুষের জন্য কতটা মর্মাহত। এ পর্যন্ত ইসরায়েলের হামলায় ফিলিস্তিনের ৩৪ হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। অক্টোবর থেকে এর বিরুদ্ধে আন্দোলন সংগ্রাম চলছে, সারা বিশ্বের মানুষ তাদের প্রতি সমবেদনা প্রকাশ করছে, ইসরায়েলের বিরোধিতা করছে৷ এটা শুধু ফিলিস্তিনের পক্ষের লড়াই নয় বরং এটা সারা বিশ্বের আর্ত মানবতার জন্য লড়াই।  অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী আব্দুর রব নাসিম বলেন, স্বাধীনতার পর ইসরায়েল বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দিয়েছিল কিন্তু বঙ্গবন্ধু সেই স্বীকৃতিকে ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করেছিলেন এবং বাংলাদেশের পাসপোর্টে 'এক্সেপ্ট' ইসরায়েল শব্দটি যুক্ত করে দিয়েছিলেন। কিন্তু দুঃখের বিষয় বর্তমানে ষড়যন্ত্র করে সেই একসেপ্ট শব্দটি আমাদের পাসপোর্ট থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। এটা আমাদের মুক্তিযুদ্ধে শহীদ হওয়া ৩০ লাখ মা-বোনের সাথে বিশ্বাসঘাতকতার নামান্তর।  ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী এ বি জোবায়ের বলেন, যারা নিজেদের সবসময় মানবতার পক্ষে দাবি করে কিন্তু তারা পৃথিবীর সবচেয়ে বড় মানবতাবিরোধী। তাদের কখনো লাশের ক্ষুধা মিটে না। তাদের ঘৃণ্য কাজের বিরুদ্ধে সারা বিশ্বেই আন্দোলন করে আসছে। তাদের এসব কাজের বিরুদ্ধে যখন আমেরিকার বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করছিল তখন তাদের উপর আমেরিকা সরকার পেটুয়া বাহিনী লেলিয়ে গ্রেপ্তার ও হেনস্তা করে। এমনকি তাদের অনেককে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কারও করা হয়।  তিনি বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পর থেকেই শিক্ষার্থীরা অন্যায়ের প্রতিবাদ করে আসছে। এই ইসরায়েল নামক রাষ্ট্রের নামের কোনো অস্তিত্ব ছিল না, তারা উড়ে এসে জুড়ে বসেছে। আমরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে জায়নবাদের দোসরদের মুখে থুতু নিক্ষেপ করি। আমরা চাই অতি দ্রুত এই ফিলিস্তিনি মানুষের উপর বর্বরোচিত হামলা সমাপ্ত হোক এবং এর সাথে জড়িতদের বিচার করা হোক। আমরা বিশ্ব শান্তি চাই। আমরা এমন বর্বরোচিত হামলা দেখতে চাই না। ম্যানেজমেন্ট বিভাগের শিক্ষার্থী মিফতাহুল জান্নাত বলেন, এখন পর্যন্ত ফিলিস্তিনের ৩৪ হাজার ৬০০ জন সাধারণ মানুষ নিহত হয়েছে। যারা নিরীহ, যাদের কোনো অপরাধ নেই। এখন পর্যন্ত গাজায় ১০ হাজারেরও বেশি নারী শহিদ হয়েছেন। গাজায় ৩৭টি হাসপাতালের মধ্যে ৩০টি হাসপাতালকে ধ্বংসস্তূপে পরিণত করা হয়েছে। গাজার ৮৭ শতাংশ স্কুলকে বোমা মেরে উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। আগামী ২ বছরেও ধ্বংসস্তূপ থেকে লাশ খোঁজে বের করলেও তা শেষ হবে না। সেখানে ১ লক্ষ ৫৫ হাজার গর্ভবতী নারী বেঁচে থাকার অধিকার পাচ্ছে না, এমনকি সুপেয় পানিও পাচ্ছে না। তারা তাদের সন্তান জন্মদান করতে পারছে না। এই নিরীহ মানুষের উপর বর্বরোচিত হামলার আমরা তীব্র প্রতিবাদ জানাই।  আইন বিভাগের শিক্ষক নকিব নাসরুল্লাহ বলেন, শিক্ষার্থীরা মানবতায় উদ্বুদ্ধ হয়ে শিক্ষার্থীদের যে আয়োজন আমি তাকে সমর্থন জানাতে এসেছি। আজকে আমাদের অবস্থান নিপীড়িত মানুষের পক্ষে। ফিলিস্তিনকে সমর্থন জানাতে মুসলিম হওয়ার প্রয়োজন নেই, একজন মানুষ হলেই যথেষ্ট। এমন গণহত্যা পৃথিবীর সমস্ত ইতিহাসকে ভেঙে দিয়েছে। প্রথম ও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরে কোন যুদ্ধে এত নারী-শিশু এর আগে কখনও হত্যা হয়নি৷  এছাড়া, সমাবেশে বক্তব্য প্রদান করেন ঢাবি শিক্ষার্থী জয়েন উদ্দিন তন্ময়, শেখ তাওহিদ, বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী মুসাদ্দেক আলী ইবনে মোহাম্মদ প্রমুখ। এসময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকশ শিক্ষার্থী উপস্থিত থেকে ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি প্রকাশ করেন।
০৫ মে, ২০২৪

চাকরির সুযোগ দিচ্ছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি)। প্রতিষ্ঠানটি তাদের সংগীত বিভাগে ‘প্রভাষক’ পদে দুজন শিক্ষক নিয়োগ দেবে। আগ্রহী যোগ্য প্রার্থীরা আগামী ২৬ মে পর্যন্ত আবেদন করতে পারবেন। প্রতিষ্ঠানের নাম : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পদ ও বিভাগের নাম : প্রভাষক, সংগীত বিভাগ চাকরির ধরন : স্থায়ী প্রার্থীর ধরন : নারী-পুরুষ (উভয়) বয়স : নির্ধারিত নয় বেতন স্কেল : ২২,০০০-৫৩,০৬০/-টাকা (জাতীয় বেতন স্কেল- ২০১৫) যোগ্যতা : প্রার্থীদের অবশ্যই এসএসসি এবং এইচএসসি পরীক্ষায় প্রথম বিভাগ/জিপিএ-এর ক্ষেত্রে স্কেল ৫.০০ এর মধ্যে ন্যূনতম ৪.২৫ সহসংগীত বিষয়ে অনার্স এবং মাস্টার্স ডিগ্রি (উভয়) পরীক্ষায় ন্যূনতম প্রথম শ্রেণি অথবা সিজিপিএ-এর ক্ষেত্রে ৪.০০ এর মধ্যে ৩.৫০ প্রাপ্ত হতে হবে।  যেসব প্রার্থী অনার্স ও মাস্টার্স ডিগ্রি উভয় পরীক্ষায় প্রথম স্থান/সর্বোচ্চ সিজিপিএ অর্জন করেছে তাদের ক্ষেত্রে এসএসসি বা এইচএসসি পরীক্ষার যে কোনো একটির অনুমোদিত শর্ত শিথিলযোগ্য। প্রার্থীদের সংশ্লিষ্ট বিষয়ে পিএইচ.ডি. ডিগ্রি এবং মানসম্পন্ন জার্নালে গবেষণা প্রকাশনা থাকলে অগ্রাধিকার প্রদান করা যেতে পারে। সংশ্লিষ্ট নোট এবং শর্তাবলি প্রযোজ্য। বিস্তারিত জানতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট এখানে দেখুন। আবেদনের ঠিকানা : রেজিস্ট্রার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা- ১০০০ আবেদন ফি : রেজিস্ট্রার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুকূলে ৭৫০/- (সাতশত পঞ্চাশ) টাকা মূল্যের পে-অর্ডার/ব্যাংক ড্রাফট, সার্টিফিকেট, প্রশংসাপত্র, মার্কশিট এবং অভিজ্ঞতার প্রমাণপত্রের সত্যায়িত প্রতিলিপিসহ ০৮ (আট) কপি আবেদনপত্র রেজিস্ট্রার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বরাবর আগামী ২৬/০৫/২০২৪ তারিখের মধ্যে পৌঁছাতে হবে। চাকরিরত প্রার্থীদের যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে আবেদন করতে হবে। টাকা পে-অর্ডার/ব্যাংক ড্রাফটের মাধ্যমে পাঠাতে হবে। আবেদনের শেষ তারিখ : ২৬ মে, ২০২৪
০২ মে, ২০২৪

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও বিজয় সরণি মেট্রো স্টেশন খুলছে আজ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও বিজয় সরণি মেট্রো স্টেশন চালু হচ্ছে আজ বুধবার। ফলে এখন থেকে এ পথে মোট পাঁচটি স্টেশন চালু থাকবে। এর আগে চালু হয়েছিল ফার্মগেট, সচিবালয় ও মতিঝিল স্টেশন। সকাল সাড়ে ৭টায় শুরু হবে মেট্রো স্টেশন দুটির কার্যক্রম। বর্তমানে উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত সব স্টেশনই চালু রয়েছে। আর আগারগাঁও-মতিঝিল অংশে সাত স্টেশনের মধ্যে চালু হচ্ছে পাঁচটি। কারওয়ান বাজার ও শাহবাগ স্টেশনের কার্যক্রম এখন শুরু হচ্ছে না। আগামী জানুয়ারির মাঝামাঝি স্টেশন দুটি চালু হতে পারে বলে সম্প্রতি রাজধানীর প্রবাসী কল্যাণ ভবনে জানিয়েছিলেন ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ এন ছিদ্দিক। তিনি বলেন, মেট্রোরেলের দ্বিতীয় অংশ উদ্বোধনকালে বলা হয়েছিল, আগামী তিন মাসের মধ্যে মতিঝিল পর্যন্ত সব স্টেশন চালু হবে।
১৩ ডিসেম্বর, ২০২৩

কাল খুলছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও বিজয় সরণি মেট্রো স্টেশন
আগামীকাল বুধবার (১৩ ডিসেম্বর) থেকে চালু হচ্ছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও বিজয় সরণি মেট্রো স্টেশন। এ পথে ফার্মগেট, সচিবালয় ও মতিঝিলের পর আরও দুটি মিলিয়ে মোট পাঁচটি স্টেশন চালু থাকবে।   এদিন সকাল সাড়ে ৭টা থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও বিজয় সরণি মেট্রো স্টেশনের যাত্রী চলাচল শুরু হবে। বর্তমানে উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত সব স্টেশনই চালু রয়েছে। আর আগারগাঁও থেকে মতিঝিল অংশে আছে সবমিলিয়ে সাতটি স্টেশন। এ মধ্যে চালু হচ্ছে পাঁচটি স্টেশন। এরপর শুধু কারওয়ান বাজার ও শাহবাগ স্টেশনেই যাত্রী চলাচলের বাকি থাকছে। আগামী জানুয়ারি মাসের মাঝামাঝি চালু হতে পারে এ দুটি মেট্রো স্টেশন। এর আগে গত ৭ ডিসেম্বর রাজধানীর প্রবাসী কল্যাণ ভবনে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ এন ছিদ্দিক এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, আমরা যখন মেট্রোরেলের দ্বিতীয় অংশের উদ্বোধন করেছিলাম তখন এটা সময়সীমার কথা বলেছিলাম যে, আগামী তিন মাসের মধ্যে মতিঝিল পর্যন্ত সব স্টেশন চালু হবে। সেই ধারাবাহিকতায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও বিজয় সরণি স্টেশন চালু হচ্ছে।  তিনি আরও বলেন, তবে স্টেশন চালু হলেও সময়ের কোনো পরিবর্তন হবে না। আগের যে সময়সূচি সেই অনুযায়ী মতিঝিল ও আগারগাঁও পর্যন্ত চলাচল করবে। তবে পর্যায়ক্রমে শাহবাগ ও কারওয়ান বাজার মেট্রো স্টেশন খুলে দেওয়া হবে। এর আগে গত ৪ নভেম্বর মেট্রোরেলের আগারগাঁও থেকে মতিঝিল অংশের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপরের দিন ৫ নভেম্বর উত্তরা হতে মতিঝিল পর্যন্ত মেট্রোরেলের চলাচল শুরু হয়। তবে মতিঝিল পর্যন্ত সকাল সাড়ে ১১টা পর্যন্ত চলাচল করছে। আর উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত আগের সময় রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত চলছে মেট্রোরেল।  
১২ ডিসেম্বর, ২০২৩

সিকৃবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় চলচ্চিত্র সংসদের দশম ক্যাম্পাস স্ক্রিনিং সম্পন্ন
সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (সিকৃবি) ১৫ তম আন্তর্জাতিক আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র উৎসবের (আইআইইউএসএফএফ) দশম ক্যাম্পাস স্ক্রিনিং অনুষ্ঠিত হয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় চলচ্চিত্র সংসদের উদ্যোগে রোববার (১০ ডিসেম্বর) সকাল ১০ টায় এ উৎসবের আয়োজন করা হয়। এতে সার্বিক সহায়তা করেছে সিকৃবি চলচ্চিত্র সংসদ। ‘টেক ইউর ক্যামেরা, ফ্রেম ইউর ড্রিম’- স্লোগান নিয়ে ২০০৭ সালে যাত্রা শুরু করে আইআইইউএসএফএফের। প্রতি বছর সারাবিশ্বের বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র আহ্বান করা হয়। এ বছর ৯৬টি দেশ থেকে এক হাজার ৬৭১টি শর্ট ফিল্ম জমা পড়েছে। এর মধ্য থেকে নির্বাচিত শর্টফিল্ম দেশব্যাপী প্রদর্শনী করা হচ্ছে। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় চলচ্চিত্র সংসদ এর দপ্তর সম্পাদক শৌভিক দেবনাথ শন্তু বলেন, ‘২০০৭ সালে আমাদের এ ইভেন্টের যাত্রা শুরু । আন্তর্জাতিক আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র উৎসব। আমাদের এ আয়োজনের মূল লক্ষ্য হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা, যারা আবেগ নিয়ে চলচিত্র নির্মাণ করে তাদের জন্য একটি প্ল্যাটফর্ম তৈরি করা। যাতে তারা প্রচারণা এবং উৎসাহ পায়। এছাড়াও আমরা যে বিশবিদ্যালয়ে গিয়েছি সে বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনো শিক্ষার্থী কোনো শর্টফিল্ম তৈরি করে থাকলে সেটি আমরা প্রদর্শনের চেষ্টা করেছি। আমাদের এ কাজ আগামীতেও চলবে। আমরা আমাদের এই কাজ চালিয়ে যাবো যাতে করে নতুন নতুন চলচ্চিত্র নির্মাতারা বেরিয়ে আসেন, এবং উৎসাহ পান।’ সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় চলচ্চিত্র সংসদের সভাপতি শতাব্দী দত্ত শ্রাবণ বলেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় চলচ্চিত্র সংসদ আমাদের সঙ্গে কোলাবোরেশান করে ১৫তম আন্তর্জাতিক আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র উৎসবের (আইআইইউএসএফএফ) অংশ হিসেবে সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্যাম্পাস স্ক্রিনিং করছে- যা বিশ্ববিদ্যালয় দুটির মধ্যে আন্তঃসম্পর্ক তৈরিতে ভূমিকা রাখবে এবং স্বাধীনধারার চলচ্চিত্র নির্মাণের যে লক্ষ্য নিয়ে সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় চলচ্চিত্র সংসদ কাজ করে তাতে ভিন্ন এক মাত্রা যোগ করবে।’ এবারের আসরে নির্বাচিত চলচ্চিত্রগুলো দেশের ছয়টি বিভাগের নয়টি ক্যাম্পাসে প্রদর্শন করা হচ্ছে। গত ৩০ অক্টোবর বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রদর্শনীর মধ্য দিয়ে ক্যাম্পাস স্ক্রিনিংয়ের যাত্রা শুরু হয়। পরবর্তীতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়। এ বছর উৎসবের ১৫তম আসরে সহযোগিতায় রয়েছে রয়্যাল নরওয়েজিয়ান দূতাবাস এবং বাংলাদেশে জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউএনডিপি)।
১০ ডিসেম্বর, ২০২৩

শাহবাগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের মিছিল
আওয়ামী লীগ সরকারের পদত্যাগ ও নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ১ দফা দাবিতে বিএনপি আহূত দেশব্যাপী ১০ম ধাপের ৪৮ ঘণ্টা অবরোধ সফলে মিছিল করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) শাখা ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা।  বুধবার (৬ ডিসেম্বর) সকালে শাহবাগ মোড় থেকে শুরু হয়ে পরীবাগে রাস্তা অবরোধের মাধ্যমে শেষ হয়। ঢাবি ছাত্রদলের সভাপতি খোরশেদ আলম সোহেল ও সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলামের নেতৃত্বে মিছিলে ঢাবি ছাত্রদলের সিনিয়র সহসভাপতি এ বি এম ইজাজুল কবির রুয়েল, সাংগঠনিক সম্পাদক মাসুদুর রহমান মাসুদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গণেশ চন্দ্র রায় সাহস, মাসুম বিল্লাহ (এফএইচ), মো. মাছুম বিল্লাহ (এফআর), মো. তরিকুল ইসলাম তারিক, মো. নাছির উদ্দিন শাওন, গাজী মো. সাদ্দাম হোসেন, মো. শামীম আক্তার শুভ, রাজু আহমেদ, আবু হান্নান তালুকদার, সোহেল রানা, ইব্রাহিম খলিল, নাহিদুজ্জামান শিপন, আবদুর রহিম রনি, শফিকুল ইসলাম, আমান উল্লাহ আমান, তারেক হাসান মামুন, মাহবুব আলম শাহিন, নূর আলম ভূঁইয়া ইমন, মো. মাহফুজুর রহমান, তৌহিদুল ইসলাম, বোরহান উদ্দিন খান সৈকত, সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক হোসাইন আহমেদ সাদ্দাম মীর, মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হল শাখা ছাত্রদলের সহসভাপতি নওরোজ আমিন দীপ্ত, যুগ্ম সম্পাদক ওবায়দুল্লাহ রিদওয়ান, সাংগঠনিক সম্পাদক আইয়াজ মোহাম্মাদ ইমন, হাজী মুহম্মদ মুহসীন হল শাখা ছাত্রদলের সভাপতি ওমর ফারুক মামুন, যুগ্ম সম্পাদক মিনহাজুল হক নয়ন, আরিফুল ইসলাম, দপ্তর সম্পাদক আবুজার গিফারী ইফাত, বিজয় একাত্তর হল শাখা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক বি এম কাউছার, সিনিয়র সহসভাপতি সাইফ খান, সহসভাপতি আলমগীর হোসেন আলম, তানভীর আজাদী, সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক বজলুর রহমান বিজয়, প্রচার সম্পাদক তানভীর আল হাদী মায়েদ, অমর একুশে হল শাখা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আক্তারুজ্জামান বাপ্পি, সাংগঠনিক সম্পাদক নাহিদ হাসান নিপু, মাস্টারদা সূর্যসেন হল শাখা ছাত্রদলের যুগ্ম-সম্পাদক মানিউল আলম পাঠান শান্ত, মুস্তাকিন আল মামুন পিয়াল, প্রচার সম্পাদক মনোয়ার হোসেন প্রান্ত, শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হল শাখা ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক ইয়াকুব হাসান সানি, মেহেদী হাসান, তানভীর হাসান মিঠু, কর্মী সামসুল হক আনান, কবি জসীমউদদীন হল শাখা ছাত্রদলের প্রচার সম্পাদক (যুগ্ম-সম্পাদক পদমর্যাদা) শেখ তানভীর বারী হামীম, সহপ্রচার সম্পাদক মো. মেহেদী হাসান, সহক্রীড়া সম্পাদক এমদাদুল হক মিলন, স্যার এ এফ রহমান হল শাখা ছাত্রদলের যুগ্ম-সম্পাদক মাহবুবুর রহমান সেজান, জারিফ রহমান, সলিমুল্লাহ মুসলিম হল শাখা ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল কাফি, প্রচার সম্পাদক সৈয়দ ইয়ানাথ ইসলাম, শেখ মুজিবুর রহমান হল শাখা ছাত্রদলের যুগ্ম-সম্পাদক শরিফ উদ্দিন সরকার, দপ্তর সম্পাদক সাইফ আল ইসলাম দ্বীপ, ফজলুল হক মুসলিম হল শাখা ছাত্রদলের প্রচার সম্পাদক মেহেদী হাসান রুমি।  
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৩

নেতাকর্মীদের মুক্তিসহ নির্দলীয় সরকারের দাবি ঢাবির বিএনপিপন্থি শিক্ষকদের
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ গ্রেপ্তার নেতাকর্মীদের মুক্তি, গ্রেপ্তার বন্ধ এবং নির্দলীয়-নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবি জানিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) বিএনপিপন্থি শিক্ষকদের সংগঠন সাদা দল। বৃহস্পতিবার (৯ নভেম্বর) দুপুরে ঢাবির অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে আয়োজতি এক মানববন্ধন থেকে এ দাবি জানানো হয়। এ সময় সাদা দলের আহ্বায়ক অধ্যাপক লুৎফর রহমান বলেন, আপনারা যদি জনগণের ভাষা বুঝতে না পারেন তাহলে জনগণের দাবির কাছে, গণআন্দোলনের কাছে আপনাদের পদত্যাগ করতেই হবে। হয় জনগণের আন্দোলনের মুখে আপনারা পদত্যাগ করবেন, না হয় দেশের গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার নিয়ে বিদেশি মহল যে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে, আমরা মনে করি তাদের চাপেও হয়তো আপনাদের পদত্যাগ করতে হবে। তিনি বলেন, ‘দেশের বর্তমান অর্থনৈতিক অবস্থা এবং বাজার মূল্য, সবকিছু বিবেচনা করলে হয়তো একদিন দেশ চালাতে ব্যর্থ হয়েও আপনাদের পদত্যাগ করতে হতে পারে। সরকারের প্রতি আমাদের আহ্বান, আপনার পদত্যাগ করে নির্দলীয়-নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের ব্যবস্থা করুন। আমরা আপনাদের কাছ থেকে সেই সৎসাহস প্রত্যাশা করি।’  সাদা দলের যুগ্ম আহ্বায়ক অধ্যাপক মোহাম্মদ ছিদ্দিকুর রহমান খান বলেন, ২০১৪ এবং ১৮ সালে দুটি প্রহসনমূলক নির্বাচন হয়েছে। বর্তমান সরকার আবারও একটি প্রহসনমূলক নির্বাচনের সব আয়োজন সম্পন্ন করেছে। তিনি দাবি করেন, ২৮ অক্টোবরের ঘটনায় ইতিমধ্যে বিএনপির ১০ হাজার নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।  সাদা দলের সাবেক আহ্বায়ক এ বি এম ওবায়দুল ইসলাম বলেন, ছাত্রলীগ-যুবলীগ নেতাকর্মীরা বিএনপির শান্তিপূর্ণ সমাবেশে হামলা করেছে। তারাই গাড়ি ভাঙচুর করেছে, বিচারপতির বাড়ি ভাঙচুর করেছে, অ্যাম্বুলেন্স পুড়িয়েছে। তিনি আরও বলেন, সারা দেশে গণগ্রেপ্তার চলছে। এত কিছুর মধ্যেও বিএনপি মানুষের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য আন্দোলন করে যাচ্ছে। 
০৯ নভেম্বর, ২০২৩

কেমন উপাচার্য পেল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৯তম উপাচার্য নিযুক্ত হয়েছেন অধ্যাপক ড. এএসএম মাকসুদ কামাল। তিনি সদ্য সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানের স্থলাভিষিক্ত হয়ে শনিবার (৪ নভেম্বর) দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন। নতুন উপাচার্যের কাছে দল-মত নির্বিশেষে সবার প্রত্যাশা আকাশচুম্বী।  ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও বাংলাদেশ একে অন্যের পরিপূরক। বাংলাদেশ রাষ্ট্রের অভ্যুদয়ের সূচনালগ্ন থেকে ঐতিহাসিকভাবে শতবর্ষী এ বিশ্ববিদ্যালয় গর্বিত অংশীদার। বলা হয়, রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশ কোন পথে এগিয়ে যাবে তা অনেকাংশেই নির্ভর করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার মান ও এর রাজনৈতিক-সাংস্কৃতিক পরিবেশ-পরিস্থিতির ওপর। স্বাভাবিকভাবেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য কেমন হওয়া উচিত সে বিষয়ে বিভিন্ন সময়ে সবিস্তর আলোচনা হয়ে থাকে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাতিষ্ঠানিক প্রধান যিনি হবেন, তাঁকে অবশ্যই অন্তত ততটুকু প্রজ্ঞাসম্পন্ন হতে হবে যা একইসাথে একজন রাষ্ট্রনায়ক ও একজন শিক্ষাবিদের থাকা আবশ্যক।  প্রসঙ্গত, অধ্যাপক মাকসুদ কামালের বেড়ে ওঠা বাংলাদেশের লক্ষ্মীপুর জেলার সম্ভ্রান্ত একটি রাজনৈতিক পরিবারে। তাঁর প্রয়াত সহোদর বড় ভাই বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ এ কে এম শাহজাহান কামাল জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পার্লামেন্টের কনিষ্ঠ সাংসদ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন এবং পরবর্তীতে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রাক্তন বিমান ও পর্যটনমন্ত্রী ছিলেন। অর্থাৎ, ছোটবেলা থেকেই তিনি বঙ্গবন্ধুর মানবতাবাদী ও রাজনৈতিক দর্শনের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে আসছেন। তিনি ছাত্রজীবনে সক্রিয় রাজনীতি করেছেন। শিক্ষক নেতা হিসেবে সুদীর্ঘ সময় ধরে ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি’র ৩ বার সাধারণ সম্পাদক ও ৪ বার সভাপতি ও সব সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের নিয়ে গঠিত ‘বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশন’র ১ বার মহাসচিব ও ৩ বার সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। এ সময় তিনি শিক্ষকদের যুগপৎ অধিকার আদায়ে নজিরবিহীন অবদান রেখে শিক্ষক সমাজে ব্যাপকভাবে সমাদৃত হন। তা ছাড়া তিনি দুর্যোগ বিজ্ঞান ও ব্যবস্থাপনা বিভাগের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান এবং আর্থ অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্সেস অনুষদের ৪ মেয়াদে ডিন ও মাস্টার দা সূর্যসেন হলের প্রাধ্যক্ষ হিসেবে সফলতার সাথে দায়িত্ব পালন করেন। উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পূর্ব পর্যন্ত তিনি প্রো-উপাচার্য (শিক্ষা) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। অর্থাৎ, বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্ভাব্য প্রায় সব দায়িত্বশীল পদে আসীন থেকে যে অভিজ্ঞতা তিনি অর্জন করেছেন তাঁর আলোকে বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনা করতে পারবেন।  ‌নেতৃত্বের পাশাপাশি গবেষণাতেও তিনি সমানভাবে অবদান রেখে চলেছেন। নেদারল্যান্ডসের University of Twentte থেকে দ্বিতীয় এমএসসি ডিগ্রি ও জাপানের Tokyo Institute of Technology থেকে ডক্টরেট ডিগ্রি অর্জন করেন। এ ছাড়া তাঁর ৫০টিরও বেশি প্রবন্ধ মানসম্মত দেশি-বিদেশি জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে এবং দুই শতাধিক কনফারেন্সে তিনি প্রবন্ধ উপস্থাপন করেছেন। এ ছাড়াও, অনেক স্বনামধন্য বিদেশি প্রতিষ্ঠানে তিনি যৌথ গবেষণা প্রকল্পে যুক্ত রয়েছেন।  ‌ ‌ড. মাকসুদ কামাল তাঁর বাবা-মায়ের নামে প্রতিষ্ঠিত ‘ফরিদ-মাছুমা জনকল্যাণ ফাউন্ডেশন’-এর মাধ্যমে বিভিন্নভাবে মানুষের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছেন। আবার দুর্যোগকালীন সময়ে অসহায় মানুষকে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করতে তিনি এগিয়ে আসেন এমন খবরও বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে দেখা যায়। ফলে তাঁর মধ্যে উপযুক্ত সব গুণের যথাযথ সমন্বয় লক্ষণীয়। তিনি একইসাথে একজন সুদক্ষ প্রশাসক ও বিশ্বমানের একাডেমিশিয়ান।  অধ্যাপক মাকসুদ কামাল মানুষ হিসেবে একজন জনহিতৈষী-মানবিক মানুষ, শিক্ষক হিসেবে একজন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন গবেষক ও বিদগ্ধ শিক্ষাবিদ, নেতা হিসেবে একজন প্রজ্ঞাবান ও ক্যারিশম্যাটিক নেতা- এটি সর্বজনবিদীত । ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সচেতন শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের দৃঢ় বিশ্বাস, অধ্যাপক মাকসুদ কামাল তাঁর দূরদর্শী সিদ্ধান্তের মাধ্যমে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে অদূরেই বিশ্বের প্রথম সারির বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর একটি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করবেন। ‘প্রাচ্যের অক্সফোর্ড’ খ্যাতি হয়ে উঠবে বাস্তবসম্মত। দায়িত্ব গ্রহণ করার সময় তিনি টাইমস হাইয়ার এডুকেশনের র‌্যাংকিংয়ের পূর্বশর্তগুলো উল্লেখ করে মানসম্মত গবেষণার দিকে বিশেষ নজর দেওয়ার কথা উল্লেখ করেন। এ ছাড়াও শিক্ষার্থীরা বিশ্বাস করে, তাঁর নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিদ্যমান আবাসন সংকটের সন্তোষজনক সমাধানের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার পরিবেশ ফিরে আসবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের খাবারের মানবৃদ্ধি ও মেডিকেল সেন্টারের যথোপযুক্ত সংস্কার ও চিকিৎসা সেবার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যসেবা সুনিশ্চিত হবে। বিশ্বমানের টিচিং লোড ক্যালকুলেশন অনুসরণ করে শিক্ষার্থীর অনুপাতে দক্ষ ও যোগ্য শিক্ষক নিয়োগের পাশাপাশি নতুন শিক্ষকদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা, ক্লাসরুম সংকট নিরসন ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার দৃষ্টান্তমূলক সদর্থক পরিবর্তন আনয়ন করে এবং চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের আশীর্বাদকে ব্যবহার করে ‘স্মার্ট ক্যাম্পাস’ গড়ে তোলা সম্ভব হবে বলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বিশ্বাস করে। মানসম্মত উচ্চশিক্ষা ও গবেষণার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার দীর্ঘদিনের যে আক্ষেপ সেটাও এবার ঘুচবে বলে সবার বিশ্বাস। আমরা জানি, হাজারো সমস্যায় জর্জরিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আমূল-পরিবর্তন আসতে কিছুটা সময় প্রয়োজন হবে। তবে সেদিন হয়তো আর বেশিদূর নয় যখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বিশ্বখ্যাত অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সমতুল্য হয়ে উঠবে।  ‌এসব প্রত্যাশা কেবল শিক্ষার্থীদের প্রত্যাশাই নয়, তাঁদের প্রবল বিশ্বাস। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পরিবার বিশ্বাস করে তিনিই পারেন এই বিশ্ববিদ্যালয়কে একটি মডেল বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তর করতে। বাংলাদেশের সব সচেতন নাগরিক প্রত্যাশা করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাধ্যমে বাংলাদেশ একসময় ‘আলোকিত বাংলাদেশ’ হিসেবে বিশ্বের দরবারে মাথা উঁচু করে দাঁড়ানোর শক্তি পাবে। তাঁর প্রদর্শিত পথ ধরে একসময় বাংলাদেশের প্রতিটি প্রান্তে প্রকৃত শিক্ষার আলো পৌঁছে যাবে৷ গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের গৃহীত ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ রূপকল্প বাস্তবায়নে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পথপ্রদর্শক হবে। এরই প্রেক্ষিতে মানবিক ও নৈতিক মূল্যবোধসম্পন্ন গ্রাজুয়েট তৈরির মাধ্যমে অধ্যাপক মাকসুদ কামালের নেতৃত্বে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কল্পিত ‘সোনার বাংলা’ গড়ে তুলতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে।
০৫ নভেম্বর, ২০২৩
X