মঙ্গলবার, ২১ মে ২০২৪, ৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
কালবেলা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০২ আগস্ট ২০২৩, ০৪:৪৩ পিএম
আপডেট : ০২ আগস্ট ২০২৩, ০৫:১৮ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

ক্ষমতা হারানোর ভয়ে তারেক রহমান ও ডা. জুবাইদার বিরুদ্ধে ফরমায়েশি রায়: ইউট্যাব

পুরনো ছবি
পুরনো ছবি

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার সহধর্মিণী ডা. জুবাইদা রহমানের বিরুদ্ধে আদালতের দেওয়া রায়কে উদ্দেশ্যেপ্রণোদিত ও ফরমায়েশি আখ্যা দিয়ে এ ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সংগঠন ইউনিভার্সিটি টিচার্স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ইউট্যাব)।

বুধবার (২ আগস্ট ২০২৩) ইউট্যাবের প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক ড. এবিএম ওবায়দুল ইসলাম ও মহাসচিব অধ্যাপক ড. মো. মোর্শেদ হাসান খান এক বিবৃতিতে বলেন, ২০০৭ সালে ১/১১ এর জরুরি সরকারের সময় তারেক রহমান দম্পতির বিরুদ্ধে যে মামলাটি করা হয়েছিল তা ছিল সম্পূর্ণরুপে মিথ্যা ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। কারণ তথাকথিত জরুরি সরকার ছিল বর্তমান আওয়ামী সরকারেরই আন্দোলনের ফসল। একটা অসৎ উদ্দেশ্য নিয়ে মামলাটি দ্রুত নিষ্পত্তি করে আজ রায় ঘোষণা করা হলো সেই পুরনো কৌশলে। এটি একটি ফরমায়েশি রায়। ক্ষমতা হারানোর ভয়ে ভীত আওয়ামী লীগ সরকার যেভাবে চেয়েছে আদালত সেভাবে লিখে এখানে উপস্থাপন করেছে মাত্র। যে মামলা চলার মতো আইনগত কোনো উপাদান নেই সেই মামলার রায় ঘোষণা করে মূলত এই মুহূর্তের সবচেয়ে অন্যতম একজন জনপ্রিয় নেতাকে হেয় প্রতিপন্ন এবং একজন বরেণ্য চিকিৎসক ও কার্ডিওলোজিস্ট ডা. জুবাইদা রহমানের সম্মান ক্ষুন্ন করা হল।

তারা বলেন, ভবিষ্যতে ডা. জুবাইদা রহমান রাজনীতিতে সক্রিয় হবেন, এমন আশঙ্কা ও ভীতি থেকেই সরকারের ইঙ্গিতে মামলাটির রায় দেওয়া হলো। এমন সময় এই আদেশ দেওয়া হলো যখন ভোটবিহীন অবৈধ মাফিয়া আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে জনগণ ফুঁসে উঠেছে। এই আন্দোলনের সময় জুবাইদা রহমান দেশে ফিরলে আন্দোলনের গতি বৃদ্ধি পাবে ও নেতাকর্মীরা আরও চাঙ্গা হবে। এই ভয়ে ও ভবিষ্যতে যদি সঠিক ফর্মুলায় নির্বাচন হয়, তাতে যেন জুবাইদা রহমান অংশ নিতে না পারেন সেজন্য সাজানো মামলায় সরকারের নির্দেশে রায় ঘোষণা করা হল। আমরা মনে করি এই রায় সম্পূর্ণ উদ্দেশ্যেপ্রণোদিত। এই মুহুর্তে এ ধরণের আদেশ জনগণের দৃষ্টিকে অন্যদিকে ফেরানোর অপচেষ্টা মাত্র।

নেতৃদ্বয় বলেন, এ কথা বলার অপেক্ষা রাখে না যে, ২০০৭ সালের জরুরি সরকারের আমলে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধেও কয়েকটি মামলা হয়েছিল। কিন্তু ক্ষমতায় আসার পরই সেই মামলাগুলো উধাও হয়ে যায়। মূলত বিএনপি তথা জিয়া পরিবারকে দমনের লক্ষ্যেই সম্পূর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে তারেক রহমান ও ডা. জুবাইদা রহমানের বিরুদ্ধে দুদক এই মামলাটি করেছিল। এর পেছনে ক্ষমতাসীনদের চক্রান্ত রয়েছে। প্রকৃতপক্ষে জিয়া পরিবারকে হেয় করার জন্যই বানোয়াট, কাল্পনিক ও অসত্য মামলায় তারেক রহমান ও ডা. জুবাইদা রহমানের বিরুদ্ধে এই রায় দেওয়া হল।

তারা বলেন, বর্তমান সরকারের আমলে দেশের অর্থ পাচার করে বিভিন্ন দেশসহ কানাডায় বেগম পল্লী তৈরি হলেও এসব দুর্নীতি তদন্তে দুদকের কোনো তৎপরতা দেখা যায়নি। কারণ সরকারপন্থীরা এসব লুণ্ঠনে জড়িত। তাই তারেক রহমান ও ডা. জুবাইদা রহমানের বিরুদ্ধে থাকা মামলার রায় দেওয়ার মানে জিয়া পরিবারকে রাজনীতি থেকে নির্মূল করার চক্রান্ত।

ইউট্যাবের শীর্ষ দুই নেতা বলেন, তারেক রহমান বাংলাদেশের কোটি কোটি তরুণের রাজনৈতিক আইকন। দল পরিচালনায় তার রাজনৈতিক প্রজ্ঞা ইতিমধ্যে প্রতিষ্ঠিত। তার দক্ষতা, যোগ্যতা ও রাজনৈতিক দূরদশির্তা অনন্য। সম্প্রতি তিনি রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের রুপরেখা ঘোষণা দিয়ে নিজের রাজনৈতিক নেতৃত্ব ও যোগ্যতাকে বিশ্ব দরবারে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছেন। তারেক রহমানের বাবা ছিলেন এ দেশের মহান স্বাধীনতার ঘোষক ও রণাঙ্গণের বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বীর উত্তম। তার মা বেগম খালেদা জিয়া হলেন বাংলাদেশের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী। যাকে বাংলাদেশের কোটি কোটি মানুষ ভোট দিয়ে তিনবার প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত করে দেশ পরিচালনার দায়িত্ব দিয়েছিলেন। সেই পরিবারের সন্তান এবং বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদের আগামীদিনের কাণ্ডারি হচ্ছেন দেশনায়ক তারেক রহমান। তার বিরুদ্ধে ফের নতুন করে ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে।

অন্যদিকে ডা. জুবাইদা রহমান একদিকে যেমন জিয়াউর রহমান এবং বেগম খালেদা জিয়ার পুত্রবধূ ও একটি ঐতিহ্যবাহী বর্ণাঢ্য পরিবারের সন্তান। মেধাবী চিকিৎসক জুবাইদা রহমান পড়ালেখা করেছেন দেশের স্বনামধন্য ও সেরা চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান ঢাকা মেডিকেল কলেজে। তার পিতা মরহুম মাহবুব আলী খান বাংলাদেশ নৌ বাহিনীর সাবেক প্রধান এবং সাবেক মন্ত্রী। চাচা কর্ণেল এমএজি ওসমানী মহান মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক। সুতরাং তারেক রহমান ও ডা. জুবাইদা রহমানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে মামলা অবান্তর এবং ভিত্তিহীন। মূলত সরকার আদালতকে ব্যবহার করে অসৎ রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নিয়েই এই মামলাটি দীর্ঘ সময় ধরে টিকিয়ে রেখেছে, যার কোনো ভিত্তি নেই। আমরা মনে করি তারেক রহমান ও ডা. জুবাইদা রহমান ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত হয়েছেন।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

রাইসির হেলিকপ্টারের যে সমস্যার কথা জানালেন তুর্কি পরিবহনমন্ত্রী

সমর্থকের বাড়িতে নৈশভোজ, চেয়ারম্যান প্রার্থীকে অর্থদণ্ড

ভোটের আগের রাতে গোপন প্রচারণা, দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর প্রাইভেটকার আটক

বিলাসবহুল গাড়িতে সরকারি লোগো সাঁটিয়ে ৭ লাখ ইয়াবা পাচার

ইরানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা

বাবার খোঁজে ভারতে যাচ্ছেন এমপি আনারের মেয়ে

ফোর্বসের তালিকায় স্থান পাওয়া ৯ তরুণকে ছাত্রলীগের শুভেচ্ছা

মোবাইল কিনে না দেওয়ায় শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বাজার বসিয়ে অবৈধ বিদ্যুতের ব্যবসা

র‍্যাব হেফাজতে নারীর মৃত্যু, ক্যাম্প কমান্ডারসহ প্রত্যাহার ৪

১০

চলতি অর্থবছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধি হবে ৫.৮২ শতাংশ : বিবিএস

১১

ট্রাকের ধাক্কায় প্রাণ গেল শিশুর

১২

জাল স্বাক্ষরে ওষুধ বিতরণের অভিযোগ

১৩

ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে আরবদের মুনাফেকি ও সুপার হিরোদের অবদান

১৪

নোয়াখালীতে ৩০ কেজি হরিণের মাংস জব্দ

১৫

নিপুনের পেছনে বড় কোনো শক্তি আছে : ডিপজল

১৬

ফিলিস্তিনের পক্ষে সংহতি জানিয়ে চবিতে সাইক্লিস্টের র‍্যালি

১৭

রাষ্ট্রপতির সঙ্গে আইআইইউসি প্রতিনিধিদলের সৌজন্য সাক্ষাৎ

১৮

আ.লীগ নেতার বিরুদ্ধে আপত্তিকর ভিডিও ছড়ানোর অভিযোগ

১৯

রাইসির মরদেহ কোথায়, জানাজার বিষয়ে কী সিদ্ধান্ত?

২০
X