তীব্র তাপপ্রবাহে ক্লাস চলেছে চুয়াডাঙ্গার স্কুল-কলেজে
দীর্ঘ ছুটির পর রোববার (২৮ এপ্রিল) থেকে খুলেছে স্কুল-কলেজ। অতি তীব্র তাপপ্রবাহেও চুয়াডাঙ্গার স্কুল-কলেজগুলোতে পুরোদমে ক্লাস চলেছে। শিক্ষার্থীর উপস্থিতি ছিল কম। তবে তীব্র গরমে হাঁসফাঁস অবস্থা ছিল শিক্ষার্থীদের। শিক্ষার্থীরা বলেন, গরম লাগলেও ক্লাসরুমে বসে ক্লাস করতে অসুবিধা হচ্ছে না। তবে আসা-যাওয়ায় অসুবিধা হচ্ছে। রাস্তায় বের হলেই রোদে আগুনের তেজ। অভিভাবকরা বলছেন, এই তাপদাহের মধ্যে স্কুল খুলেছে। বাচ্চাদের ছাতা-পানির বোতল দিয়ে স্কুলে পাঠিয়েছি। তবে মে মাস পড়লেই তাপপ্রবাহ কেটে যাবে শুনছি। আর কয়েকটা দিন স্কুল বন্ধ থাকলে ভালো হতো। শিক্ষকরা বলছেন, সরকারের নির্দেশনা মেনেই ক্লাস করানো হচ্ছে। এবার রোজার ছুটি গেল, এরপর তাপপ্রবাহের ছুটি। সিলেবাস সম্পন্ন করা মুশকিল তাই একটু কষ্ট হলেও ক্লাস করতে হবে। চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. তবিবুর রহমান বলেন, সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক সকাল ৮টা থেকে বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত স্কুল চালানো হয়েছে। সব বিদ্যালয়গুলোতে সুন্দরভাবে ক্লাস চলেছে। কোথাও কোনো অসুবিধা হয়নি।  চুয়াডাঙ্গায় রোববার (২৮ এপ্রিল) সকাল ৯টায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৪.০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৬১ শতাংশ। দুপুর ১২টায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪০.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ২৩ শতাংশ।
২৮ এপ্রিল, ২০২৪

তীব্র তাপপ্রবাহ থেকে বাঁচতে কুমিল্লায় গাছ লাগাচ্ছে ছাত্রলীগ
কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়ায় তীব্র তাপপ্রবাহ থেকে মুক্তির লক্ষ্যে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ক্যাম্পাস, গ্রামীণ সড়ক ও মহাসড়কের পাশে বৃক্ষরোপণ শুরু করেছে উপজেলা ছাত্রলীগ। বুধবার (২৪ এপ্রিল) দিনব্যাপী উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি আনোয়ার হোসেন মিশনের নেতৃত্বে এ বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।  জানা গেছে, সারাদেশে চলমান তাপপ্রবাহ যেন ভবিষ্যতে আর না হয় সে লক্ষ্যে কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগের দিকনির্দেশনায় বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি শুরু করে উপজেলা ছাত্রলীগ। এই কর্মসূচির আওতায় উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ক্যাম্পাস, গ্রামীণ সড়ক, পুকুর, দীঘি ও বিভিন্ন জলাশয়ের পাড়ে এই বৃক্ষরোপণ করা হয়। পরিবেশের ভারসাম্য ফিরিয়ে আনতে বৃক্ষরোপণের এই কার্যক্রম চলমান থাকবে। উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি আনোয়ার হোসেন মিশন বলেন, ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা ছাত্রলীগ উপজেলার বৃক্ষরোপণ উপযুক্ত সকল স্থানে বৃক্ষরোপণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এরই অংশ হিসেবে আজ সারাদিন উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ক্যাম্পাস ও সড়কে বৃক্ষরোপণ করা হয়। পর্যায়ক্রমে আমরা উপজেলার আনাচে-কানাচে ঘুরে ঘুরে বৃক্ষরোপণ কার্যক্রম চালিয়ে যাব।
২৫ এপ্রিল, ২০২৪

তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি / ঈশ্বরদীতে বইছে তীব্র তাপপ্রবাহ
ঈশ্বরদীর ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে তীব্র তাপপ্রবাহ। এপ্রিলের প্রথম দিন থেকেই ঈশ্বরদীর ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে মাঝারি তাপপ্রবাহ।  শনিবার (৬ এপ্রিল) ঈশ্বরদীতে মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। এর আগে ১ এপ্রিল চলতি বছরে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৯ ডিগ্রি ঈশ্বরদীতে রেকর্ড হয়েছিল। ঈশ্বরদী আবহাওয়া অফিস এ তথ্য নিশ্চিত করে। এদিকে তীব্র রোদ ও অসহনীয় গরমে দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে জনজীবন। সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছে রিকশাচালক, কুলি ও নিম্ন আয়ের দিনমজুর শ্রেণির মানুষ। গরমের তীব্রতায় রোজাদারদের প্রাণ ওষ্ঠাগত। প্রখর রোদে ঘাম ঝড়ানো তাপমাত্রার কারণে শ্রমজীবী মানুষ পড়েছেন চরম বিপাকে। শিশুদের গরমের তীব্রতায় দীর্ঘসময় ধরে পুকুরে নেমে ঝাপাঝাপি করতে দেখা গেছে। গত কয়েক দিনের তাপদাহে শহরের পোস্ট অফিস মোড় সংলগ্ন ঈশ্বরদী-পাবনা মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে বিটুমিন গলে যেতে শুরু করেছে। এতে সড়কে চলাচলকারী যানবাহনের চাকায় পিচ আটকে যাচ্ছে। ফলে চালকরা ধীরগতিতে গাড়ি চালাচ্ছেন। তীব্র খরায় ভূ-গর্ভস্থ পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ায় টিউবওয়েলে পানি উঠছে না। ফলে উপজেলাজুড়ে তীব্র পানি সংকট দেখা দিয়েছে। পৌরসভার পানি বিভাগের সহকারী প্রকৌশলী প্রবীর বিশ্বাস বলেন, সাপ্লাই লাইনে পানি সরবরাহের জন্য সবকটি মেশিন চালিয়েও পানি সরবরাহ করতে কষ্ট হচ্ছে। খরা মৌসুমের শুরুতেই এবারে ভূগর্ভস্থ পানির স্তর অনেক নিচে নেমে গেছে। ঈশ্বরদী রেলওয়ে মালগুদাম সেডে রেলের মালামাল খালাসের কাজে নিয়োজিত কুলি নূরুল ইসলাম বলেন, তীব্র রোদে বাতাস গরম। শরীর ঝলসে যাওয়ার মতো অবস্থা। শরীর দিয়ে অঝোর ধারায় ঘাম ঝরছে। কাজ করতে খুবই কষ্ট হচ্ছে। আরামবাড়িয়া বাজারের কাঠমিস্ত্রি আজগর আলী বলেন, চুক্তিতে আমরা এখানে কাঠের আসবাবপত্র তৈরির কাজ করি। আজ গরমের তীব্রতায় ভালোভাবে কাজ করতে পারছি না। কিছু সময় পর পর বসে বিশ্রাম নিচ্ছি। রিকশাচালক হাশেম শেখ বলেন, প্রখর রোদে সড়ক উত্তপ্ত। রাস্তায় রিকশা চালানো কষ্ট হয়ে যাচ্ছে। তীব্র গরমে বয়স্ক, শিশুরা পড়েছে সব থেকে বেশি ভোগান্তিতে। গরমের তীব্রতায় পানিশূন্যতায়ও অসুস্থ হচ্ছেন কেউ কেউ। তীব্র রোদ ও অসহনীয় গরমে রাস্তাঘাট-হাটবাজারে লোকসমাগম কমে গেছে। জরুরি কাজ না থাকলে মানুষজন তেমন বাইরে বের হচ্ছেন না। রোদের প্রখরতায় রাস্তার পিচ তপ্ত উষ্ণতা ছড়াচ্ছে। রোজা রাখতে কষ্ট হচ্ছে বলে জানিয়েছেন রোজাদাররা। ঈশ্বরদী আবহাওয়া অফিসের সহকারী পর্যবেক্ষক নাজমুল হক রঞ্জন জানান, ঈশ্বরদীসহ পার্শ্ববর্তী এলাকায় পারদের কাঁটা তীব্র তাপপ্রবাহ ছুঁয়েছে। গত সোমবার (১ এপ্রিল) ঈশ্বরদীতে দেশের সর্বোচ্চ মাত্রা ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়। আজ শনিবার (৬ এপ্রিল) বেড়ে হয়েছে ৪০ ডিগ্রি। চলতি সপ্তাহে তাপমাত্রা আরও বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
০৬ এপ্রিল, ২০২৪
X