গরমে যাতে না পোড়ে ত্বক
এই গরমে ত্বক পুড়ে যাতে কালো না হয়, সেজন্য আছে কিছু ঘরোয়া পদ্ধতি। অ্যালোভেরা একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে, ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধির পাশাপাশি ত্বকের স্বাস্থ্যের উন্নতিও করে প্রাকৃতিক উপাদানটি। অ্যালোভেরার অন্দরে আছে অ্যালোজেল। এটি ত্বকের গভীরে প্রবেশ করে প্রদাহ কমায়। ত্বকের যে যে জায়গা রোদে পুড়েছে, সেখানে অ্যালোভেরার জেল লাগিয়ে রেখে দিন। এভাবে নিয়মিত কিছুদিন লাগালে উপকার মিলবে। শসা ত্বকের প্রদাহ কমায় শসা। ডার্মাটোলজিস্টরা বলছেন, প্রচণ্ড সূর্যালোকের কারণে যাতে ত্বক পুড়ে না যায়, সে বিষয়ে খেয়াল রাখে প্রাকৃতিক উপাদানটি। পরিমাণমতো শসার পেস্ট বানিয়ে তাতে পরিমাণমতো লেবুর রস মিশিয়ে মিশ্রণটি মুখে লাগিয়ে কম করে ১৫ মিনিট রাখতে হবে। এরপর ধুয়ে ফেলতে হবে। নিয়মিত লাগালে গরমে ত্বক সহজে পুড়ে কালো হবে না। তরমুজ ত্বকের পোড়াভাব কমাতে দুভাবে কাজে লাগাতে পারেন তরমুজকে। অল্প পরিমাণ তরমুজ নিয়ে রস সংগ্রহ করে সেটি মুখে লাগাতে পারেন অথবা তরমুজের খোসা মুখে ঘষতে পারেন। চন্দন গুঁড়া ও হলুদ একাধিক গবেষণা বলছে, চন্দন গুঁড়ায় থাকা প্রাকৃতিক তেল ত্বকের পোড়াভাব কমায়। ত্বক উজ্জ্বলও করে। চন্দন গুঁড়ায় অল্প পরিমাণ হলুদ গুঁড়া মেশাতে পারেন। হলুদে থাকা অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটারি উপাদান ত্বকের প্রদাহ কমাবে। সমপরিমাণ চন্দন ও হলুদ গুঁড়ার সঙ্গে পরিমাণমতো গোলাপজল মিশিয়ে পেস্ট বানান। মুখে লাগিয়ে ১৫ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন। নারিকেল তেল তেলটিতে আছে প্রচুর স্কিন প্রোটেকশন প্রপার্টিজ, যা ত্বকের পোড়াভাব কমানোর পাশাপাশি স্কিনকে উজ্জ্বল ও তুলতুলে রাখে। বাড়ি থেকে বের হওয়ার আগে সামান্য নারিকেল তেল মুখে লাগিয়ে ম্যাসাজ করুন।
০৫ মে, ২০২৪

রূপ চর্চা / ত্বক ও চুলের জন্য ঘি
ধোঁয়া ওঠা গরম ভাতে ঘি যেমন খেতে পারবেন, তেমন মুখে ঘি লাগিয়েও পাবেন সুন্দর ত্বক। গবেষণায় দেখা গেছে, মুখে ও হাত-পায়ে ঘি ম্যাসাজ করলে তা ত্বকে প্রবেশ করে সৌন্দর্য বাড়ায়। পাশাপাশি ত্বকের সমস্যাও দূর করে। উজ্জ্বলতা বেশ কিছু গবেষণায় গেছে, নিয়মিত ঘি ব্যবহার করলে ত্বকে কোলাজনের উৎপাদন বৃদ্ধি পায়। ফলে স্বাভাবিকভাবেই ত্বক উজ্জ্বল হয়। আর্দ্রতা শুষ্ক ত্বকে আর্দ্রতা কমে যাওয়ায় বলিরেখা ভেসে ওঠে। এমন পরিস্থিতিতে সমপরিমাণ ঘি ও পানি নিয়ে ভালো করে মুখে লাগিয়ে ম্যাসাজ করুন। ১৫ মিনিট করার পর ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। ফাটা ঠোঁট নামিদামি কোম্পানির ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করেও অনেকে ঠোঁট ফাটা থেকে মুক্তি পান না। নিয়মিত রাতে ঘুমানোর আগে কয়েক ফোঁটা ঘি ঠোঁটে লাগিয়ে ম্যাসাজ করুন। ঠোঁটের কালো ছোপ দাগ থেকেও মিলবে মুক্তি। বয়সের ছাপ কর্মক্ষেত্রের ধকল এবং পরিবেশ দূষণের কারণে ত্বকের স্বাস্থ্যের বেশ ক্ষতি হয়। ধীরে ধীরে চেহারায় পড়ে বয়সের ছাপ। এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে নিয়মিত ব্যবহার করুন ঘি। প্রথমে ভালো করে মুখ ধুয়ে নিন। এরপর কয়েক ফোঁটা ঘি হাতে নিয়ে মুখে লাগিয়ে কয়েক মিনিট ম্যাসাজ করুন। চোখ ও চুল প্রতিদিন ঘুমাতে যাওয়ার আগে চোখের তলায় ঘি লাগিয়ে হালকা ম্যাসাজ করুন। এতে চোখের ক্লান্তি ভাব দূর হবে, পাশাপাশি ডার্ক সার্কেল কমবে। এ ছাড়া নিয়মিত অল্প পরিমাণ ঘিয়ের সঙ্গে অলিভ অয়েল মিশিয়ে তা চুলের গোড়ায় লাগাতে পারেন। এতে চুলের গোড়ায় পুষ্টির ঘাটতি দূর হবে। ঘি লাগিয়ে কম করে ১৫-২০ মিনিট ম্যাসাজ করে শ্যাম্পু করুন। এটি সপ্তাহে ২-৩ বার করতে পারেন।
২৮ এপ্রিল, ২০২৪

রূপ চর্চা / উজ্জ্বল ত্বক পেতে আলুর আইস কিউব
উজ্জ্বল ত্বক পেতে ঘরেই তৈরি করুন আলু আইস কিউব। ত্বকের যত্নে আলু বেশ কাজ করে। এটির ব্যবহারে ত্বক উজ্জ্বল হয়। মুখের দাগও কমে। গ্রীষ্মে ত্বকের যত্ন নিতে আলুর আইস কিউব ব্যবহার করতে পারেন। যেভাবে বানাবেন: আলুর আইস কিউব বানাতে আলু এবং লেবুর রস দরকার। লেবুর রসের পরিবর্তে ভিটামিন ই ক্যাপসুল ব্যবহারও করতে পারেন। প্রথমে আলু পিষে নিন। এরপরে আলু থেকে রস বের করে আইস ট্রে’তে রাখুন। এবার ওই রসে ভিটামিন ই ক্যাপসুল বা লেবুর রস মিশিয়ে ট্রে ফ্রিজে রেখে দিন। ব্যবহার: আইস কিউব সরাসরি মুখে লাগাবেন না। এতে মুখ জ্বলতে পারে। কিউব মুখে লাগাতে কটনের রুমাল ব্যবহার করুন। প্রতিদিন ব্যবহার করার দরকার নেই। দুই দিনের ব্যবধানে ব্যবহার করুন। কারণ আলু প্রাকৃতিক ব্লিচের কাজ করে। তাই বেশি ব্যবহার করলে পাশ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে। আবার আলুর সঙ্গে লেবুর রস ব্যবহার করলে মুখে কাটা বা ক্ষত থাকা যাবে না। এতে বেশ জ্বালা করবে। আবার আলু কিন্তু খানিকটা অ্যাসিডিক প্রকৃতির, তাই সেনসিটিভ ত্বকে এটি সমস্যা তৈরি করতে পারে। সেনসিটিভ ত্বক হলে ভিটামিন ই ক্যাপসুল ব্যবহার করতে পারেন নিশ্চিন্তে।
০১ এপ্রিল, ২০২৪

ত্বক ঝকঝকে রাখবে তরমুজ
ঋতুর পালাবদলের সঙ্গে সঙ্গে এর প্রভাব পড়ে ত্বকেও। ফলে রূপচর্চার রুটিনও পরিবর্তন করা জরুরি হয়ে পরে। শীতের রূপচর্চা আর গরমের রূপচর্চার মধ্যে পার্থক্য রয়েছে। কারণ দুই মৌসুমের সমস্যার মধ্যেও ভিন্নতা আছে। গরমে ত্বকের বাড়তি যত্ন প্রয়োজন। তার জন্য শুধু প্রসাধনী ব্যবহার করলে চলবে না। ভেতর থেকেও যেন ত্বক ভালো থাকে সেজন্য মৌসুমি বিভিন্ন ফল খেতে হবে। গরমে বিভিন্ন ধরনের মৌসুমি ফল পাওয়া যায় বাজারে। তরমুজ তার মধ্যে অন্যতম। শুধু পেটের খেয়াল রাখতে নয়, গরমে ত্বকের যত্ন নিতেও তরমুজ খুব উপকারী। ব্রণের সমস্যা গরমে বেশি হয়। ত্বক ঝকঝকে রাখতে ব্যবহার করতে পারেন তরমুজের কিছু প্যাক, জেনে নিন কী কী- তরমুজ ও কলার ফেসপ্যাক কলা ত্বককে খুব ভালোভাবে আর্দ্র রাখতে সাহায্য করে। এটা পটাশিয়াম ও ময়েশ্চারাইজার সমৃদ্ধ ফল যা শুষ্ক ত্বক আর্দ্র রাখে। কলাতে আছে ভিটামিন এ, যা ত্বক মসৃণ রাখে এবং শুষ্ক ত্বকের সমস্যা দূর করে। ত্বক সুন্দর রাখার জন্য কলার ভূমিকা অনবদ্য। তরমুজ ও কলা যদি ত্বকের যত্নে কাজে লাগান, সুফল পাবেন। এক কাপ তরমুজ ও দুটি পাকা কলা একসঙ্গে মেখে একটি মিশ্রণ বানিয়ে নিতে হবে। বাইরে থেকে ফিরে এ প্যাক ত্বকে মাখুন, ২০ মিনিট পরে ধুয়ে ফেলুন। দেখবেন মুহূর্তেই ত্বক টানটান ও মসৃণ হয়ে যাবে। টকদই ও তরমুজ গরমে শরীরকে ঠান্ডা রাখার জন্য তরমুজ এবং টকদই খুবই উপকারী। তাই এ দুটি উপদান দিয়েই বানিয়ে নিতে পারেন ফেসপ্যাক। ফেটানো টকদইয়ের মধ্যে তরমুজ আর সামান্য মধু মিশিয়ে একটি ঘন মিশ্রণ বানিয়ে নিতে হবে। তারপর ত্বকে লাগিয়ে ১০ থেকে ১৫ মিনিট রাখলেই ত্বক হবে উজ্জ্বল। তরমুজ ও টমেটোর রস ত্বকের ছিদ্রমুখ থেকে ময়লা পরিষ্কার করতে টমেটোর জুড়ি মেলা ভার। তরমুজ এবং টমেটোর রস একসঙ্গে মিক্সড করে ব্যবহার করলে বাড়তি সুফল মিলবে। বিশেষ করে তৈলাক্ত ত্বকের ক্ষেত্রে এ মিশ্রণটি সত্যিই দারুণ কাজ করে। তরমুজের ক্বাথের সঙ্গে টমেটোর রস মিশিয়ে প্যাক বানাতে পারেন। কয়েক মুহূর্তে ত্বকে আসবে দারুণ জেল্লা।
২৯ মার্চ, ২০২৪

লাউয়ের খোসায় উজ্জ্বল ত্বক
স্বাস্থ্যের পাশাপাশি ত্বকের জন্যও লাউ খুব উপকারী। লাউয়ের রস পান করলে ত্বক উজ্জ্বল হয়। আবার লাউয়ের খোসা ব্যবহারে মুখে গ্লো ফিরিয়ে আনা যায়। লাউ ও চালের গুঁড়া: লাউয়ের খোসা পেস্ট করে চালের গুঁড়ার সঙ্গে মিশিয়ে প্যাক তৈরি করে নিয়মিত ব্যবহার করলে ত্বকের সজীবতা বাড়বে। ব্লেন্ড: ট্যান দূর করতে লাউয়ের খোসা কাজে আসে। খোসা ব্লেন্ড করে পেস্টটি ১৫ মিনিট মুখ ও ঘাড়ে লাগিয়ে রাখুন। এরপর মুখ ধুয়ে নিন। লাউ ও গোলাপজল: খোসা রোদে শুকিয়ে পিষে নিন। গোলাপজল মিশিয়ে পেস্ট বানিয়ে মুখে লাগান। ১৫ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। প্যাকটি মুখের দাগ কমাবে। উজ্জ্বলতাও ফেরাবে। খোসা ও চন্দন: প্রথমে খোসা ভালো করে পেস্ট বানান। এতে চন্দন পাউডার মেশান। সপ্তাহে দুই থেকে তিনবার এ পেস্ট লাগালে মুখ উজ্জ্বল হয়।
২০ মার্চ, ২০২৪

রূপচর্চা / উজ্জ্বল ও মসৃণ ত্বক পেতে হলুদের টোনার
ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখতে টোনারের ব্যবহার জরুরি। টোনার ত্বককে ময়েশ্চারাইজ এবং সতেজ করে। আর্দ্রতার অভাবে ত্বকে নানা ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। এ ক্ষেত্রে আপনাকে সাহায্য করতে পারে টোনার। ত্বককে পরিষ্কার করে এবং টানটান রাখে টোনার। বাজারে বিভিন্ন ধরনের টোনার পাওয়া যায়। তবে আপনি নিজেই ঘরে তৈরি করতে পারেন হলুদের টোনার। হলুদ টোনার ত্বকের বলিরেখার পাশাপাশি দাগ ও ব্রণের জন্য কার্যকরী। যেভাবে তৈরি করবেন l উপকরণ হিসেবে লাগবে গোলাপজল, কাঁচা হলুদ, গ্রিন টি, লেবুর রস, পানি ও অ্যালোভেরা জেল। প্রথমে এক গ্লাস পানি গরম করে নিন। পানি ঠান্ডা হয়ে এলে গোলাপজল, কাঁচা হলুদ, গ্রিন টি, লেবুর রস, পানি ও অ্যালোভেরা জেল ওই পানিতে মিশিয়ে নিন। ব্যস, তৈরি হয়ে গেল হলুদের টোনার। এবার একটি বোতলে মিশ্রণটি ভরে রাখুন। l তবে টোনার সংরক্ষণের ক্ষেত্রে কিছু বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে। সংরক্ষণের জন্য প্লাস্টিকের বোতল ব্যবহার না করে কাচের বোতল ব্যবহার করা ভালো। বোতলে ভরে ফ্রিজে সংরক্ষণ করুন। টোনার তৈরির পর ১৫ দিন পর্যন্ত সেটা ব্যবহার করতে পারবেন। সপ্তাহে দুই-তিনবার ব্যবহার করতে হবে। l ব্যবহারের আগে মুখ পরিষ্কার করে নিন। তারপর হলুদ টোনার লাগান। টোনার দিয়ে দুই-তিন মিনিট মুখে ম্যাসাজ করুন। এরপর কুসুম গরম পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে নিন। তারপর ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করতে হবে।
০৩ মার্চ, ২০২৪

টিপস / ৪ খাবারে চকচকে ত্বক
ত্বকের হাজারও সমস্যার সমাধান দিতে পারে ভিটামিন ই। ব্রণ থেকে শুরু করে ত্বকের কালচে ভাব কিংবা ঔজ্জ্বল্য কমে যাওয়া, বলিরেখা বা ছোপ দাগও কমায় এই ভিটামিন। যে কারণে অনেকেই খান ভিটামিন ই ক্যাপসুল। আবার কেউ প্যাক তৈরির সময় মিশিয়ে নেন ভিটামিন ই জেল। তবে যত্নটা শুধু বাইরে থেকে নিলে হবে না। ভেতরে তথা ডায়েটেও রাখতে হবে ভিটামিন ই-সমৃদ্ধ খাবার। এই শীতের বাজারে ওই রকম খাবার পাবেন ভূরি ভূরি। পালংশাক এই শাকে রয়েছে ভিটামিন ই এবং একাধিক খনিজ। এ সময় এটি নিয়মিত খেলে ত্বকের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়বে। ত্বকে পানির মাত্রাও ঠিক থাকবে। কমবে বলিরেখাও। পালংশাকে থাকা ভিটামিন এ, সি, কে, আয়রন, ফোলেট ও পটাশিয়ামও ত্বকের নানা সমস্যা দূর করবে। কাঠবাদাম ত্বকের জেল্লা বাড়াতে খেতে পারেন কাঠবাদাম। এতেও ভিটামিন ই রয়েছে প্রচুর। সেইসঙ্গে মিলবে প্রোটিন, ফাইবার, পটাশিয়াম ও ম্যাগনেশিয়াম। প্রতিদিন একমুঠো কাঠবাদাম খেলে ত্বকের অনেক সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। ব্রকোলি আয়রন, ক্যালসিয়াম, ভিটামিন সি, ভিটামিন ই এবং ফাইবারসমৃদ্ধ ব্রকোলি। অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট, জিঙ্ক, কপারও আছে এতে। শীতের তরতাজা ব্রকোলি মানেই সুপারফুড। ত্বকের উজ্জ্বলতা ধরে রাখতে বেশ কাজে আসে শীতকালীন সবজিটি। বিভিন্ন সংক্রমণ থেকেও ত্বককে বাঁচাবে এটি। চীনাবাদাম চীনাবাদামে রয়েছে অ্যামিনো অ্যাসিড ট্রিপটোফ্যান। এটি সেরোটোনিন তৈরি করে শীতকালে মন খারাপ ভাব দূর করে। যার কারণে কোনো বাজে ছাপ পড়ে না চেহারাতেও। চীনাবাদাম কম গ্লাইসেমিক ইনডেক্সসমৃদ্ধ। ফলে রক্তের শর্করার মাত্রাও নিয়ন্ত্রণ করে। ভিটামিন ই ও ফ্যাটি অ্যাসিডে সমৃদ্ধ এ বাদাম ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখে। ব্রণের সমস্যা নিয়ন্ত্রণে রাখতেও কাজে আসে চীনাবাদাম।
২২ ডিসেম্বর, ২০২৩

টিপস / ত্বক টানটান রাখবে ৬ ফল
ঝলমলে মসৃণ ত্বক পেতে বাহ্যিক পরিচর্যাই যথেষ্ট নয়, ভেতর থেকেও দিতে হবে পুষ্টি ও যত্ন। রোজকার ডায়েটে তাই রাখুন জুতসই কিছু খাবার। এমনই ছয় ফলের কথা জানব এবার, যেগুলো খালি পেটে নিয়মিত খেলে ত্বক থাকবে উজ্জ্বল ও স্বাস্থ্যকর। আমলকী ত্বকের ছোপ দাগ দূর করতে রোজ একটা করে আমলকী খান। ত্বক থাকবে ঝলমলে। কলা পটাশিয়ামসমৃদ্ধ কলা ত্বকের স্থিতিস্থাপকতা বজায় রাখবে। এতে পড়বে না বলিরেখা বা বয়সের ছাপ। পাশাপাশি এ ফলে ফাইবারও রয়েছে, যা হজমে সহায়তা করে এবং পেট ফাঁপা কমায়। পেঁপে ঝলমলে ত্বক পেতে পাতে রাখুন পেঁপে। এর ভিটামিন ‘এ’, ‘সি’ ও ‘ই’ হলো পাওয়ার হাউস। এই অ্যান্টিঅক্সিডেন্টগুলো ফ্রি রেডিক্যালের হাত থেকে ত্বককে রক্ষা করে। ত্বকের জেল্লাও বাড়ায়। কমলা কমলালেবুতে রয়েছে প্রচুর ভিটামিন ‘সি’। এটি শরীরে কোলাজেন উৎপাদন বাড়ায়। কোলাজেনের কারণে ত্বকের প্রাকৃতিক জেল্লা ও নমনীয়তা আসে। ত্বকের তারুণ্যও বজায় থাকে। কোলাজেনের গুণেই সতেজ থাকে ত্বক। আপেল আপেলে ক্যালরি কম এবং ফাইবার বেশি। এতে ওজন থাকবে নিয়ন্ত্রণে। ত্বকে জমবে না মেদ। পাশাপাশি আপেল আমাদের পরিপাকতন্ত্র ঠিক রাখে এবং ত্বক পরিষ্কারও রাখে। তরমুজ মৌসুম এলে তরমুজ খাবেন নিয়মিত। এটি টমেটোর মতো লাইকোপেন সমৃদ্ধ। যে উপাদানটি ত্বককে সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি থেকে রক্ষা করে। সকালের দিকে খেলে সুফল মিলবে বেশি।
০৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৩

দুই উপাদানে খুশি ত্বক
স্ট্রবেরি আর ব্রাউন সুগার; এই দুটি দিয়েই বানিয়ে ফেলতে পারেন চমৎকার ফেস স্ক্রাব, যা ত্বককে করবে টানটান, দূর করবে ব্রণ এবং কালো ছোপ দাগ। ত্বকের মৃত কোষ, বলিরেখাও দূর করতে কার্যকর এটি। উপকার স্ট্রবেরিতে আছে ভিটামিন সি। ভিটামিন সি কোলাজেন তৈরি করে। এতে ত্বকের স্থিতিস্থাপকতা বাড়ে, বার্ধক্যের ছাপ ও বলিরেখা কমে। ত্বকে ব্রণ হওয়া আটকায় স্ট্রবেরি। অন্যদিকে ব্রাউন সুগার চমৎকার প্রাকৃতিক এক্সফোলিয়েন্ট। ত্বকের ভেতর থেকে পরিষ্কার করে এই বাদামি চিনি। মৃত কোষ ও ময়লা দূর করে ত্বকের স্বাভাবিক ঔজ্জ্বল্য বাড়ায় এটি। আবার ব্ল্যাকহেডসের সমস্যায়ও দূর করতে কাজে দেয় ব্রাউন সুগার। এতে প্রচুর অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট রয়েছে, যা ত্বককে ফ্রি-রেডিক্যালের ক্ষতি থেকে বাঁচায়। আবার ব্রাউন সুগারে আছে অনেক গ্লাইকোলিক অ্যাসিড। এটি ত্বকের পোড়া ভাব দূর করে। যেভাবে বানাবেন ৩-৪টি পাকা স্ট্রবেরি ভালো করে ধুয়ে নিন। বৃন্তটা ছিঁড়ে নিতে হবে তার আগে। এবার ব্লেন্ডারে স্ট্রবেরির মিহি পেস্ট বানান। একটি পাত্রে স্ট্রবেরি পেস্ট, দুই টেবিল চামচ ব্রাউন সুগার এবং আধা চা চামচ হলুদ গুঁড়া নিয়ে ভালোভাবে মিশিয়ে নিন। এরপর ফেস ওয়াশ দিয়ে মুখ ধুয়ে নিন। চোখের চারপাশ ছেড়ে পুরো মুখ ও গলায় স্ক্রাবটি লাগান। দুই মিনিটের মতো ম্যাসাজ করুন। এরপর পাঁচ মিনিট মুখে স্ক্রাবটি রেখে দিন। তারপর হালকা গরম পানিতে মুখ ধুয়ে ফেলুন। মুখ মুছে লাগিয়ে নিন ময়েশ্চারাইজার।
০৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৩

মাথার ত্বক ম্যাসাজ
স্কাল্প ম্যাসাজ মাথার ত্বকে রক্ত ​​প্রবাহ বাড়ায়। এ ম্যাসাজ চুলের ফলিকলকে পুষ্ট করে এবং চুলের বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। মাথার ত্বক থেকে মৃত কোষ অপসারণ করতেও ম্যাসাজ কাজে আসে। এ কোষ অপসারণ না করা হলে চুলের গোড়া আটকে যায়। এতে চুলের ক্ষতি হয়। অন্যদিকে মাথার ত্বকের ম্যাসাজ মানসিক চাপও কমায়। আর এ ম্যাসাজ আছে পাঁচ রকমের— বৃত্তাকার ম্যাসাজ : এটি মাথার ত্বকের একটি প্রাথমিক ম্যাসাজ। ত্বকে ছোট, বৃত্তাকারে ম্যাসাজ করতে ব্যবহার করতে হয় আঙুলের ডগা। নিডিং ম্যাসাজ : এই ম্যাসাজে আঙুলের ডগা ব্যবহার করে মাথার ত্বকে মৃদু চাপ প্রয়োগ করা হয়। অনেকটা ময়দা মাখানোর মতো করে ম্যাসাজ করতে হয় বলে এর নাম নিডিং ম্যাসাজ। ট্যাপিং ম্যাসাজ : একটি ছন্দময় প্যাটার্নে মাথার ত্বকে ট্যাপ করতে হয়। এ কাজেও ব্যবহার করা হয় আঙুলের ডগা। প্রেসিং ম্যাসাজ : এ ম্যাসাজটি মাথার ত্বকে সরাসরি চাপ প্রয়োগ করে করা হয়। ওয়ার্মিং ম্যাসাজ : মাথার ত্বকে তেল বা কোনো ক্রিম ম্যাসাজের জন্য এ পদ্ধতি অনুসরণ করা হয়। হাতের তালু ও আঙুল দিয়ে এভাবে তেল ম্যাসাজ করলে মাথায় রক্ত ​​প্রবাহ বাড়ে এবং চুলের বৃদ্ধি দ্রুত হয়। কতটা সময় মাথার ত্বক তথা স্কাল্পে ম্যাসাজের উপকার পেতে হলে সপ্তাহে দুই-তিন দিন পাঁচ মিনিট ম্যাসাজই যথেষ্ট। এ ম্যাসাজ সবার জন্যই নিরাপদ। তবে ত্বকে সোরিয়াসিস বা একজিমার সমস্যা থাকলে আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
১৮ আগস্ট, ২০২৩
X