প্রেমিকাকে বাড়িতে এনে উধাও প্রেমিক!
ফেসবুকে পরিচয়ের পরে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে প্রেমিকাকে খবর দিয়ে বাড়িতে এনে পালিয়ে গেছেন প্রেমিক পিয়াস পাল। এরপর ভুক্তভোগী ওই নারী প্রেমিকের স্ত্রীর স্বীকৃতির দাবিতে অনশনে বসেছেন সেখানে। রোববার (২৬ মে) দুপুরে শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলার রামভদ্রপুর ইউনিয়নের কার্তিকপুর গ্রামের পাল পাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী ওই নারী ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রায় এক বছর আগে কার্তিকপুর গ্রামের পাল পাড়ার অরুণ পালের ছেলে পিয়াস পালের সঙ্গে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে পরিচয় হয় গোসাইরহাট উপজেলার এক শিক্ষার্থীর। এরপর তাদের পরিচয় প্রেমের সম্পর্কে গড়ায়। পরিচয় থেকে সম্পর্ক প্রেমে গড়ালে পিয়াস পাল ওই নারীকে গোসাইরহাট, ডামুড্যাসহ একাধিক স্থানে নিয়ে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তোলে। তাদের প্রেমের বিষয়টি পিয়াস পালের মা-বাবাকে জানালে তারা ভুক্তভোগী নারীর থেকে এক মাসের সময় দাবি করে৷ এরপর ভুক্তভোগী নারী জানতে পারে পিয়াস বিদেশে চলে যাবে। বিষয়টি নিয়ে তাদের দুজনের মধ্যে কথা হলে একপর্যায়ে পিয়াস তার প্রেমিকা ভুক্তভোগী ওই নারীকে তাদের বাড়িতে আসতে বলে। প্রেমিকের কথা অনুযায়ী ভুক্তভোগী নারী প্রেমিকের বাড়িতে এসে ঘরে প্রবেশ করতে চাইলে প্রেমিক পিয়াস পাল তার মাকে নিয়ে ঘরে তালা মেরে চলে যায়। এরপর থেকে ভুক্তভোগী ওই নারী স্ত্রীর স্বীকৃতির দাবিতে অনশনে বসেছেন। জানতে চাইলে ভুক্তভোগী ওই নারী বলেন, ফেসবুকে পরিচয়ের পর পিয়াস পাল আমাকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়েছে। এরপর সম্পর্ক প্রেমে গড়ালে ডামুড্যা, গোসাইরহাটসহ বিভিন্ন স্থানে নিয়ে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে আমার সঙ্গে একাধিকবার শারীরিক সম্পর্ক করেছে। তার কথামতো আমি পিয়াসের বাড়িতে এসেছি। যেহেতু বিয়ে করবে বলে আমাকে আসতে বলেছে, সেহেতু বিয়ে না করে আমি পিয়াসের বাড়ি থেকে যাব না। প্রয়োজনে এখানেই মরব। কিন্তু আমি স্ত্রীর স্বীকৃতি চাই। বিষয়টি নিয়ে জানার জন্য মোবাইল ফোনসহ বিভিন্নভাবে চেষ্টা করেও পিয়াস পাল বা তার পরিবারের কারও সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। বিষয়টি নিয়ে ভেদরগঞ্জ থানা পুলিশের ওসি মিন্টু মন্ডল বলেন, বিষয়টি আমার জানা নাই। খোঁজখবর নিয়ে দেখব।
২৬ মে, ২০২৪

মুচলেকা দিয়ে থানা থেকে ছাড়া পেল ৩৯ কিশোর
কুমিল্লার নগরীতে জটলা বেঁধে আড্ডা, ঘোরাঘুরি ও বেপরোয়াভাবে মোটরসাইকেল চালিয়ে বিভিন্ন ধরনের নেতিবাচক আচরণ প্রদর্শন করে সাধারণ মানুষের মাঝে আতঙ্ক সৃষ্টির অভিযোগে ৩৯ কিশোরকে আটক করেছে পুলিশ। শুক্রবার (২৪ মে) বিকেল ৪টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত অভিযান পরিচালনা করে তাদের আটক করে কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশ। পরে রাত ১০টার দিকে ৩৯ কিশোরের অভিভাবকদের ডেকে এনে মুচলেকা নিয়ে পরিবারের জিম্মায় ছেড়ে দেওয়া হয়। এ সময় অভিভাবকদের সন্তানদের প্রতি খেয়াল ও নজরদারি রাখার আহ্বান জানায় পুলিশ। জানা গেছে, কিছুদিন ধরে কিশোরদের বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড প্রশাসনের নজরে আসে। এ পরিপ্রেক্ষিতে কুমিল্লা নগরীর অশোকতলা, রানীর কুঠি সড়ক, নগর উদ্যান, নানুয়াদিঘী, রানীর দিঘীসহ শহরের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালায় পুলিশ। কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানার (ওসি) ফিরোজ হোসেন কালবেলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আটক কিশোরদের অভিভাবককে ডেকে মুচলেকা দিয়ে পরিবারের জিম্মায় ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে এসব কিশোর নিজেদের মধ্যে কোন্দল, চাঁদাবাজি, এলাকার নিয়ন্ত্রণ ও মাদক সিন্ডিকেটে জড়িয়ে পড়ছে।  তিনি বলেন, উঠতি বয়সীদের মধ্যে ক্ষমতা বিস্তারকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠছে গ্যাং কালচার। তারা এলাকায় নিজেদের অস্তিত্ব জানান দিতে দলবেঁধে চলাফেরা ও বেপরোয়াভাবে মোটরসাইকেল শোডাউন দেয়। এ ছাড়া তুচ্ছ বিষয় নিয়ে সাধারণ মানুষের ওপর চড়াও হয়ে খুনোখুনির ঘটনা পর্যন্ত ঘটায়। ওসি ফিরোজ হোসেন আরও বলেন, আমরা সকল অভিভাবক ও সমাজের দায়িত্বশীলদের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি উঠতি বয়সী কিশোরদের পারিবারিক ও সামাজিকভাবে নিয়ন্ত্রণ করার। যাতে তারা কোনোভাবেই অনৈতিক ও অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িয়ে না পড়ে। আমরা আটক করা কিশোরদের অভিভাবকদের জানিয়েছি, ভবিষ্যতে তাদের কোনো গ্যাং কালচারে পেলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। স্থানীয় সাংবাদিক সাদিক মামুন বলেন, কিশোর অপরাধ নিয়ন্ত্রণে প্রতিটি পরিবারকে সচেতন হতে হবে। এ ছাড়া এটি নিয়ন্ত্রণে সামাজিক আন্দোলনের বিকল্প নেই। গ্যাং কালচার থেকে কিশোরদের ফিরিয়ে আনতে শিক্ষক, জনপ্রতিনিধি, অভিভাবক ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।
২৫ মে, ২০২৪

গৃহবধূকে কুপ্রস্তাব, রাজি না হওয়ায় পরিবারকে হুমকি
বরগুনার আমতলী উপজেলার কুকুয়া ইউনিয়নের এক গৃহবধূকে কুপ্রস্তাব দিলে রাজি না হওয়ায় ওই নারীর পরিবারকে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম মনির ফকির (৪৫)। তিনি উপজেলার কুকুয়া ইউনিয়নের পূর্ব চুনাখালী গ্রামের বাসিন্দা আকব্বর ফকিরের ছেলে।  বৃহস্পতিবার (২৩ মে) সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে, আমতলী উপজেলার কুকুয়া ইউনিয়নের বাসিন্দা ওই নারীর স্বামী ঢাকায় চাকরি করেন। বাড়িতে তিনি তার দুই ছেলেসন্তান নিয়ে বসবাস করেন। বাড়িতে স্বামী না থাকার সুযোগে পার্শ্ববর্তী পূর্ব চুনাখালী গ্রামের মনির দীর্ঘদিন ধরে ওই নারীকে বিভিন্নভাবে অনৈতিক সম্পর্কের জন্য কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছে। তার কুপ্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় নারীর পরিবারকে ভয়-ভীতি ও হুমকি দিয়ে আসছে সে। এতে ভয় আর আতঙ্কে দুই সন্তান নিয়ে নিজের ঘরেও থাকতে পারছেন না ওই নারী। ভুক্তভোগী ওই গৃহবধূ বলেন, মনির ফকির আমার ওপর অনেক অত্যাচার করতে আছে। তার কথা আমি মানি নাই। তারপর অনেক ধমকি-ধামকি দেহাইতেছে। তোমার ভাইরে মাইরালাম, তোমার পোলাপান মাইরালামু ইত্যাদি। ওর জ্বালায় নিজের ঘরেও থাকতে পারি না। দুই পোলা লইয়া এহন মানুষের বাড়ি থাহি। আমি এইয়ার বিচার চাই, বিচার চাই। গৃহবধূর ভাই বলেন, আমার বুইন জামাই ঢাকা থাহে। বুইনে দুই পোলা লইয়া বাড়ি থাহে। মনির ফকির আমার বুইনেরে ধমকায়। ওর জ্বালায় আমি বুইনেরে একবার  ঢাকায়ও পাঠাইছি। বাড়িতে আইয়া ও থাকতে পারে না। ভুক্তভোগী ওই নারীর স্বামী বলেন, আমার বউ বাড়িতে থাকে দুই পোলা লইয়া। আমি ঢাকায় চাকরি করি। মনির ফকির আমার পরিবারকে বিভিন্নভাবে কুপ্রস্তাব দেয়। রাজি না হইলে ভয়ভীতি দেখায়। আমি একবার ঢাকা নিয়েও রাখছি। বাড়ি আইসা থাকতে পারে না। মনির ফকিরের অত্যাচারে আমরা অতিষ্ঠ।   অভিযুক্ত মনির ফকির অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমি যদি দোষী হইয়া থাকি, কেউ প্রমাণ দিতে পারে, দেশের আইনে যা বিচার হয় আমি মাথা পাইত্তা নিমু। আমতলী থানার ওসি কাজী শাখাওয়াত হোসেন তপু বলেন, এ বিষয়ে কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্তসাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
২৪ মে, ২০২৪

মাকে খুঁজতে গিয়ে হারিয়ে গেল সোহান
ঢাকায় গার্মেন্টস ফ্যাক্টরিতে চাকরি করা মাকে খুঁজতে বাড়ি থেকে বেরিয়ে চার দিন ধরে নিখোঁজ রয়েছে সোহান (১৪) নামের এক কিশোর। অবশেষে সোমবার (২০ মে) দুপুরে তার নানি বুলবুলি বেগম থানায় একটি নিখোঁজ ডায়েরি করেছেন। সোহান বগুড়ার আদমদীঘির সান্তাহারে সান্দিড়া গ্রামের ব্যাপারী পাড়ায় নানির বাড়িতে থাকত। সোহানের মা সুবর্ণা বেগম ঢাকায় একটি গার্মেন্টস ফ্যাক্টরিতে চাকরি করেন। আর বাবা রাসেল দুবাই প্রবাসী। আত্মীয়স্বজনের বাড়িসহ সম্ভাব্য সব স্থানে খোঁজ করেও কোনো হদিস মেলেনি তার। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ছোটবেলা থেকেই উপজেলার সান্তাহার ইউপির সান্দিড়া গ্রামের ব্যাপারীপাড়ায় নানির বাড়ি থেকে স্থানীয় প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণিতে পড়ত সোহান। তার দাদার বাড়িও একই গ্রামে। দুই বছর আগে বাবা রাসেল কাজের জন্য বিদেশে যান। এরপর থেকে মা সুবর্ণা তার ছোট ভাইকে নিয়ে দাদার বাড়িতে থাকত। মাস খানেক আগে তিনিও কাজের তাগিদে সোহানের কাছে তার ছোট ভাইকে রেখে ঢাকায় একটি গার্মেন্টসে চাকরি নেন। এরপর থেকে সোহান ও তার ছোটভাই নানা-নানির কাছে ছিল। কয়েকদিন ধরে মায়ের কথা মনে পড়ছিল সোহানের। বিষয়টি তার নানিকে একাধিকবার বলেছিল সে। হঠাৎ শুক্রবার দুপুর ২টায় জিন্সপ্যান্ট ও সাদা শার্ট পরে বাড়ি থেকে বের হয় সোহান। উঠানে কাজ করার সময় বিষয়টি লক্ষ্য করছিল তার নানি। নানি বুলবুলি জানান, প্রথমে ভাবছিলাম তার বন্ধু-বান্ধবের সঙ্গে আশপাশেই কোথাও যাবে। সন্ধ্যা নামলেও সে বাড়ি না ফেরায় খোঁজাখুঁজি শুরু করি। তার মাকে বিষয়টি জানালে সেও বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ নেয়। অবশেষে নিরুপায় হয়ে থানায় একটি নিখোঁজ ডায়েরি করেন। ছেলেটি দেখতে শ্যাম বর্ণের, মুখমণ্ডল গোলাকার, লম্বায় ৪ ফিট। কোনো সহৃদ ব্যক্তি ছেলেটির দেখা পেলে ০১৭৫৪-১৫৬৩৬৩ (নানা আব্দুস সাত্তার) এই নাম্বারে জানানোর জন্য অনুরোধ করেছেন ছেলেটির নানি। আদমদীঘি থানার ওসি রাজেশ কুমার চক্রবর্তী জানান, নিখোঁজ ডায়েরি পাওয়ার পর সোহানের সন্ধানের চেষ্টা চালানো হচ্ছে।
২০ মে, ২০২৪

সাংবাদিককে মারধরের ঘটনায় মামলা
সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে সাংবাদিক আবু মুসার ওপর হামলা ও তার মোবাইল ফোন কেড়ে নিয়ে এলোপাতাড়ি মারপিটের ঘটনায় থানায় মামলা করা হয়েছে। রোববার (১৮ মে) সন্ধ্যায় সাংবাদিক আবু মুসা বাদী হয়ে সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ইউসুফ আলীসহ সাতজনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতনামা ১০-১৫ জনের বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করেন। আবু মুসা দৈনিক মানবজমিন পত্রিকার বেলকুচি উপজেলা প্রতিনিধি।  মামলায় তিনি উল্লেখ করেছেন, বৃহস্পতিবার দুপুরে সোহাগপুর এএস উচ্চ বিদ্যালয়ে ম্যানেজিং কমিটির বিরুদ্ধে হওয়া অভিযোগের তদন্তের জন্য শিক্ষা বোর্ড থেকে টিম আসে। আমি ও সবুজ সরকার নামে অপর এক সাংবাদিক সেখানে সংবাদ সংগ্রহে যাই। তদন্ত শেষে দেখতে পাই বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও পৌর মেয়র সাজ্জাদুল হক রেজাকে আসামিরা আক্রমণ করে। ওই আক্রমণের বিষয়টি মোবাইল ফোনে ছবি ধারণ করতে গেলে আসামিরা ক্ষিপ্ত হয়ে আমার ওপর আক্রমণ করে। এ সময় আমার মোবাইল ফোন, দৈনিক মানবজমিন পত্রিকার পরিচয়পত্র ছিনিয়ে নেয় এবং আমাকে এলোপাতাড়ি কিলঘুষি মারতে থাকে। বিবাদীরা অকথ্য ভাষায় গালাগাল করে।  বেলকুচি থানার ওসি মো. আনিছুর রহমান মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, থানায় এজাহার দেওয়ার পর রোববার সন্ধ্যায় মামলাটি এন্ট্রি করা হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশি অভিযান চলছে।
১৮ মে, ২০২৪

ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে গরু ছিনতাইয়ের মামলা
সিলেটের দক্ষিণ সুরমা উপজেলায় পিকআপ ভর্তি গরু ছিনতাইয়ের ঘটনায় ছাত্রলীগের এক নেতাসহ আটজনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। মঙ্গলবার (১৪ মে) রাত ৯টার দিকে দক্ষিণ সুরমা উপজেলার সাতমাইল (ঢাকা-সিলেট) মহাসড়কের খাঁজাকালু গ্রামের রাস্তার সামনে এ ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় একজন ছিনতাইকারীকে গণধোলাই দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে স্থানীয়রা। পরে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে জালালপুর ইউনিয়নের ছব্দলপুর থেকে ৫টি গরু উদ্ধার করা হয়। এ বিষয়ে বুধবার (১৫ মে) দক্ষিণ সুরমা থানায় বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন সুনামগঞ্জের ছাতকের মণ্ডলীভোগ এলাকার মৃত তাজউদ্দিনের ছেলে গরু ব্যবসায়ী গউছ উদ্দিন। মামলার আসামিরা হলেন- দক্ষিণ সুরমা উপজেলার মোগলাবাজার থানার জালালপুর ইউনিয়নের শেখপাড়া গ্রামের শফিক মিয়ার ছেলে বোরহান উদ্দিন (২০), দক্ষিণ সুরমা উপজেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি ও সিলাম গ্রামের ঠিকরপাড়ার মৃত মোবারক আলীর ছেলে সামসুদ্দোহা সাদি (২২), ছব্দলপুর গ্রামের মৃত নছব আলীর ছেলে খসরু মিয়া (৩৬), একই উপজেলার লিটন (২৭), রনি (২৭), মুন্না (৩০), সেবুল (৩০) ও কোতোয়ালি থানার জল্লারপাড় এলাকার জেবু (২৫)। স্থানীয় ও মামলা সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার রাতে সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার মণ্ডলীভোগ এলাকার মৃত তাজউদ্দিনের ছেলে গরু ব্যবসায়ী গউছ উদ্দিন একটি পিকআপে করে ৫টি গরু সিলেটের গোয়াইনঘাট থেকে ক্রয় করে জগন্নাথপুর নিয়ে যাচ্ছিলেন। দক্ষিণ সুরমা উপজেলার (ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে) খাজাকালু গ্রামের রাস্তার সামনে পৌঁছামাত্র ৩টি মোটরসাইকেল ও একটি অটোরিকশা (সিএনজি) যোগে ছিনতাইকারীরা তার গাড়িটি ঘিরে ফেলে। এক পর্যায়ে তাদের গাড়ি থেকে নামিয়ে অস্ত্রের মুখে চালককে জিম্মি করে গাড়ির নিয়ন্ত্রণ নেয় ছিনতাইকারা। পরে তারা পিকআপ নিয়ে জালালপুর রোডের দিকে চলে যায়। তাৎক্ষণিক দক্ষিণ সুরমা থানার টহল পুলিশকে বিষয়টি জানালে তারা গাড়ির জিপিএস ট্রাকিংয়ের মাধ্যমে গাড়িটির অবস্থান শনাক্ত করে। পরে মোগলাবাজার থানা পুলিশের সহযোগিতায় জালালপুর ইউনিয়নের ছব্দলপুর থেকে ছিনতাইকারী মো. বোরহান উদ্দিনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তার দেওয়া তথ্য থেকে ৫টি গরু উদ্ধার করা হয়। এ ব্যাপারে দক্ষিণ সুরমা উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নোমান আহমদ লাকি বলেন, বিষয়টির ব্যাপারে আমি অবগত হয়েছি। ঘটনার সত্যতা জেনে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জেলা নেতৃবৃন্দকে জানানো হবে। এ বিষয়ে দক্ষিণ সুরমা থানার এসআই ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা রাহুল দেবনাথ জানান, মামলায় এক আসামিকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে। বাকিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টার পাশাপাশি তদন্ত অব্যাহত আছে। উল্লেখ্য, ২০২১ সালের ২২ অক্টোবর দক্ষিণ সুরমা কলেজে ছুরিকাঘাতে নিহত আরিফুল ইসলাম রাহাত হত্যা মামলার প্রধান আসামি ছিলেন উপজেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি সামসুদ্দোহা সাদি। ওই মামলায় ২৬ অক্টোবর গ্রেপ্তারের পর দীর্ঘদিন জেল খেটে জামিন নিয়ে কারাগার থেকে মুক্তি পান সাদি।
১৬ মে, ২০২৪

পুলিশের গাড়িতে গুলি করা ডাকাত সর্দার গ্রেপ্তার
কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলার মাতারবাড়ি-চালিয়াতলী সড়কে ডাকাতি করতে গিয়ে পুলিশের গাড়িকে লক্ষ্য করে গুলি করা ডাকাত দলের সর্দার নজরুল ইসলাম প্রকাশ টাওয়ারকে অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ সময় তার কাছে থাকা ১টি দেশীয় এলজি বন্দুক ও ১ রাউন্ড লোড করা কার্তুজ উদ্ধার করা হয়।   বৃহস্পতিবার (১৬ মে) ভোর সাড়ে ৪টার দিকে উপজেলার কালারমার ছড়ার ইউনুছখালী নাছির উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয় সংলগ্ন মাঠের দক্ষিণ পূর্ব পাশ থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।   নজরুল ইসলাম প্রকাশ টাওয়ার ইউনুছ খালী এলাকার কালা মিয়ার পুত্র বলে জানা যায়। পুলিশ জানান, গত ১৪ মে মাতারবাড়ি-চালিয়াতলী সড়কে ডাকাতি করার সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পুলিশের গাড়ি লক্ষ্য করে গুলি করে পালিয়ে যায় অস্ত্রধারী ডাকাতদল। এতে ডাকাতের গুলিতে গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হন পুলিশ সদস্য মনির আহমদ। এর পর থেকে পুলিশ ডাকাতদের ধরতে বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে। মহেশখালী থানার এসআই ইমরানের নেতৃত্বে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কালারমার ছড়ার ইউনুছ খালী নাছির উদ্দীন উচ্চ বিদ্যালয়ের পূর্বে পাশে অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে নজরুলকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এ সময় তার থেকে ১টি দেশীয় এলজি বন্দুক ও ১ রাউন্ড লোড করা কার্তুজ উদ্ধার করা হয়। আটক নজরুল পুলিশের গাড়িতে গুলি করার কথা স্বীকার করেন এবং এ ঘটনায় আরও জড়িতদের নাম প্রকাশ করেন। মহেশখালী থানার ওসি সুকান্ত চক্রবর্তী জানান, মাতারবাড়ি সড়কে ডাকাতি ও পুলিশের গাড়িতে গুলি করার ঘটনায় অভিযান চালিয়ে অস্ত্রসহ নজরুল নামে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার দেওয়া তথ্যসহ জড়িতদের  বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট আইনে মামলার প্রস্তুতি চলছে।
১৬ মে, ২০২৪

মার্কেটের ভেতর থেকে হাতবোমা উদ্ধার
যশোরের শার্শায় একটি মার্কেটের ভেতর থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় ৩টি হাতবোমা উদ্ধার করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১৪ মে) দুপুর ১টার দিকে বোমাগুলো উদ্ধার করে বাগআঁচড়া তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ। উপজেলার বাগআঁচড়া বাজারের বাবু চেয়ারম্যানের মার্কেটের উত্তর পাশে একটি টিউবওয়েলের পাশ থেকে বোমাগুলো উদ্ধার করা হয়। পরে পুলিশ সেগুলো উদ্ধার করে ক্যাম্পে নিয়ে যায়। স্থানীয় লোকজন বলছেন, মূলত উপজেলা নির্বাচন ঘিরে নাশকতা সৃষ্টির জন্য কেউ হাতবোমাগুলো মার্কেটের ভেতরে রেখে গেছে। শার্শা থানার ওসি শেখ মনিরুজ্জামান জানান, নির্বাচনকালীন সময়ে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। এ সময় বাগআঁচড়া বাবু মার্কেট থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় ৩টি হাতবোমা উদ্ধার করা হয়েছে। কে বা কারা বোমাগুলো রেখেছে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। বোমাগুলো আপাতত ক্যাম্পে আছে, পরবর্তীতে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে বিস্তারিত জানা যাবে। বিষয়টি নিয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া প্রক্রিয়াধীন আছে।
১৪ মে, ২০২৪

চীনা নাগরিকের মাথা ফাটিয়ে পালাল ডাকাত
গাজীপুরের কাশিমপুরে বাড়িতে ঢুকে লোকজনকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে দুর্ধর্ষ ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এ সময় ডাকাত দলের সদস্যরা নগদ আট লাখ টাকা এবং কয়েক ভরি স্বর্ণালংকার লুট করে নিয়ে যায়। এ ছাড়া তাদের হামলায় আহত হন এক চীনা নাগরিক।  সোমবার (১৪ মে) দিবাগত রাত ১টার দিকে মাধবপুর এলাকার মিয়াজুদ্দিন মিয়নের বাড়িতে এ ডাকাতির ঘটনা ঘটে। বাড়ির মালিক মিয়নের অভিযোগ, সোমবার রাতে ৭-৮ জনের সংঘবদ্ধ ডাকাত দলের সদস্য জানালার গ্রিল কেটে বাড়িতে প্রবেশ করে। তারা মাথায় অস্ত্র ঠেকিয়ে হাত-মুখ বেঁধে জিম্মি করে স্বর্ণালংকার, মোবাইল ফোন ও নগদ আট লাখ টাকা ছিনিয়ে নেয়। পরে  ফ্লাটের নিচ তলায় থাকা এক চীনা নাগরিকের মাথায় আঘাত করে রক্তাক্ত করে। তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। কাশিমপুর থানার ওসি সানোয়ার জাহান বলেন, ৭-৮ জন ডাকাত একটি ফ্লাট বাড়িতে ঢুকে নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার লুট করে। পরে তারা পালিয়ে যাওয়ার সময় সামনে ওই চীনা নাগরিককে দেখতে পান। চীনা নাগরিক চিৎকার, চেঁচামেচি করলে ডাকাতরা তাকে মাথায় আঘাত করে পালিয়ে যায়। গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপপুলিশ কমিশনারসহ ডিবি পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। তদন্ত করে ডাকাতদের অতি দ্রুত গ্রেপ্তারে কাজ করছে পুলিশ।
১৪ মে, ২০২৪

শাহবাগ থানায় গাড়ির ডাম্পিংয়ে আগুন
রাজধানীর শাহবাগ থানার ডাম্পিং ইয়ার্ডে আগুনের ঘটনা ঘটেছে। সোমবার (১৩ মে) বিকেলে থানার পেছনে হঠাৎ আগুন ধরে যায়। জানা গেছে, তাৎক্ষণিক থানার পুলিশ, আনসার সদস্য এবং স্থানীয়রা মিলে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। পরে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছান। তাৎক্ষণিকভাবে আগুন লাগার কারণ জানাতে পারেনি ফায়ার সার্ভিস। এদিকে কয়েক মিলোমিটার দূর থেকে আগুনের কালো ধোঁয়া দেখা যায়। এর আগে, চলতি বছরের ৫ মার্চ শাহবাগ থানার পেছনে পুলিশের জব্দ করা পুরোনো গাড়িতে আগুন লাগার ঘটনা ঘটে। ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট গিয়ে সেই আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তখনো আগুন লাগার কারণ ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানা যায়নি। 
১৩ মে, ২০২৪
X