সিলিন্ডার বিস্ফোরণে দগ্ধ পরিবারের সবার মৃত্যু
রাজধানীর ভাসানটেকে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণের ঘটনায় আগুনে দগ্ধ একই পরিবারের ছয় সদস্যের সবাই একে একে মারা গেছেন। সর্বশেষ বেঁচে থাকা লিজা আক্তারও (১৭) চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় মারা গেছে। বিস্ফোরণে লিজার শরীরের ৩০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল বলে জানিয়েছেন শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক মো. তরিকুল ইসলাম। গত ১২ এপ্রিল গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণের আগুনে একই পরিবারের ছয়জন দগ্ধ হয়ে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি হন। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আগুনে দগ্ধ লিটন চৌধুরী, তার স্ত্রী সূর্য বানু, শাশুড়ি মেহেরুন নেসা এবং লিটনের মেয়ে লামিয়া ও ছেলে সুজন মারা যান। সর্বশেষ লিটনের বড় মেয়ে লিজা মারা গেল। নিহতদের গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলায়। তারা ভাসানটেকে ভাড়া বাসায় থাকতেন। লিটনের ছোট ভাই সোহাগ বলেন, এক এক করে সবাই চলে গেল। তাদের বাঁচাতে পারলাম না। আমার ভাই অনেক কষ্ট করেছে। আগুনে পুড়ে তার ছোট ছেলেমেয়েরা অনেক কষ্ট করেছে। একটু ভুলের কারণে কত বড় সর্বনাশ হয়ে গেল। গত ১২ এপ্রিল মিরপুর ১৩ নম্বরের ভাসানটেক এলাকায় ভোর রাতে মশার কয়েল জ্বালাতে গিয়ে সিলিন্ডারের লিকেজ থেকে ছড়ানো গ্যাসে বিস্ফোরণ ঘটে এবং আগুন ধরে যায়। আগুনে ওই ছয়জন দগ্ধ হয়েছিলেন।
২৮ এপ্রিল, ২০২৪

ভাসানটেকে দগ্ধ ছোট্ট সুজনও মারা গেল
রাজধানীর পশ্চিম ভাসানটেকে সিলিন্ডার গ্যাস লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে দগ্ধ শিশু সুজন (৯) মারা গেছে। এ নিয়ে এ ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে পাঁচজনে। গতকাল বুধবার দুপুর ১টার দিকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় তার। আবাসিক চিকিৎসক ডা. তরিকুল ইসলাম এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, সুজনের শরীরের ৪৩ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল। এ ঘটনায় তার বড় বোন লিজা (১৮) এখনো চিকিৎসাধীন। তার অবস্থাও আশঙ্কাজনক। এর আগে গত ১৬ এপ্রিল সকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান সুজনের বাবা লিটন মিয়া (৫২)। তার আগের দিন সন্ধ্যায় মারা যান মা সূর্য বানু। আর ১৪ এপ্রিল সকালে মারা যান নানি মেহেরুন্নেছা (৬৫)। গত ১২ এপ্রিল ভোররাতে ভাসানটেকের একটি বাসায় গ্যাস সিলিন্ডার থেকে আগুন লেগে একই পরিবারের ছয়জন দগ্ধ হন। পরে তাদের শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়।
২৫ এপ্রিল, ২০২৪

সাভারে গ্যাস বিস্ফোরণে দগ্ধ ৩
সাভারের আশুলিয়ায় একটি গোডাউনে গ্যাস লাইন বিস্ফোরণে তিনজন দগ্ধ হয়েছেন। আহতদের উদ্ধার করে ঢাকার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেন জিরাবো মডার্ন ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার আবু সায়েম মাসুম। এর আগে একইদিন বিকেলে আশুলিয়ার পাথালিয়া ইউনিয়নের কুরগাঁও আমতলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। দগ্ধদের একজন সুমন (৩০)। তিনি একটি গোডাউনের ম্যানেজার, বাকিরা হলেন- গোডাউনের পাশের বাসিন্দা পঞ্চাশোর্ধ এক নারী ও অপর এক যুবক। তবে তাদের বিস্তারিত পরিচয় জানা যায়নি। এ ব্যাপারে জিরাবো মডার্ন ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার আবু সায়েম মাসুম বলেন, আমরা ঘটনাস্থলে পৌঁছার আগেই স্থানীয়রা আগুন নিভিয়ে ফেলে এবং আহত তিনজনকে হাসপাতালে নিয়ে যায়। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে রান্না ঘরের ভেতরে গ্যাস জমা ছিল। হয়তো আগুন জ্বালানোর সঙ্গে সঙ্গে বিস্ফোরণ হয়েছে। আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখছি তদন্ত করে বিস্তারিত পরে জানানো হবে।
১৮ এপ্রিল, ২০২৪

ভাসানটেকে আগুনের ঘটনায় দগ্ধ একজনের মৃত্যু
রাজধানীর মিরপুরের ভাসানটেকে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণের ঘটনায় একই পরিবারের দগ্ধ ৬ জনের মধ্যে একজনের মৃত্যু হয়েছে। নিহতের নাম মেহেরুন্নেসা (৬৫)। গত শনিবার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক তরিকুল ইসলাম বলেন, শুক্রবার ভোরে ভাষানটেক থেকে দগ্ধ অবস্থায় নারী-শিশুসহ ৬ জনকে বার্ন ইউনিটের জরুরি বিভাগে আনা হয়। তাদের মধ্যে মেহরুন্নেসা মারা গেছেন। তার শরীরের ৪৭ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল। বাকিদের মধ্যে সূর্য বানু ৮২ শতাংশ, লামিয়া ৫৫, লিটন ৬৭, লিজা ৩০ এবং সুজন ৪৩ শতাংশ পোড়া নিয়ে চিকিৎসাধীন। সবার অবস্থাই আশঙ্কাজনক বলে জানান তিনি। গত শুক্রবার ভোরে ভাষানটেকের কালভার্ট রোড এলাকায় মশার কয়েল জ্বালানোর সময় গ্যাস সিলিন্ডারের লিকেজ থেকে এ বিস্ফোরণ হয়। এতে একই পরিবারের ৬ জন দগ্ধ হন।
১৬ এপ্রিল, ২০২৪

গাজীপুরে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ, বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রসহ দগ্ধ ২
গাজীপুরের শিমুলতলী এলাকায় একটি বহুতল ভবনে গ্যাস সিলিন্ডারের লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীসহ দুজন দগ্ধ হয়েছেন। রোববার (১৪ এপ্রিল) দুপুরে শিমুলতলী সালনা রোড এলাকায় ৮তলা ভবনের নিচতলায় এ দুর্ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন গাজীপুর ফায়ার সার্ভিসের উপসহকারী পরিচালক আবদুল্লাহ আল আরেফিন। আহতরা হলেন- বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মো. ফারহান হাসান (২৬) ও ভবনের কেয়ারটেকার খাইরুল ইসলাম (৩৬)। ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তা বলেন , ৮তলা ভবনের নিচ তলায় রোববার দুপুরে অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যাওয়ার আগেই বাড়ির লোকজন আগুন নিভিয়ে ফেলেছে। স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। এদের মধ্যে ফারহানের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে ঢাকা শেখ হাসিনা বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে পাঠানো হয়েছে। কেয়ারটেকার খাইরুল ইসলাম শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসার পর বাসায় ফিরে গেছেন। তিনি আশঙ্কামুক্ত। তিনি আরও বলেন, নিচতলার ওই কক্ষে রান্নার গ্যাস সিলিন্ডার পাওয়া গেছে। ঈদের ছুটিতে কক্ষের দরজা-জানালা ও তালা আটকিয়ে ফারহান হাসান যায়। ধারণা করা হচ্ছে, বন্ধ থাকা অবস্থায় ঘরে থাকা গ্যাস সিলিন্ডারের কোনো লিকেজ থেকে গ্যাস বেরিয়ে ওই রান্নাঘরে জমেছিল। রোববার দুপুরে ওই কক্ষের অদূরেই কেয়ারটেকার রান্না করছিলেন। ওই চুলা থেকে অগ্নিস্ফুলিঙ্গ কিংবা ভবনের লিফট থেকে কোনোভাবে স্পার্কিয়ের ফলে রান্নার কক্ষে জমে থাকা গ্যাসে উচ্চ শব্দে বিস্ফোরণ ও অগ্নিকাণ্ডের সৃষ্টি হয়েছে। আগুনে কেয়ারটেকারের রান্নার হাড়ি-পাতিলসহ চুলা এবং লিফটের নিচতলা, ৫ম তলা, ৬ষ্ঠ তলা ও ৭তম তলার লিফটের দরজাও ভেঙে গেছে। এ ছাড়া রান্না ঘরের দরজা-জানালা ভেঙে গেছে এবং সেখানে থাকা খাটসহ-বিছানা ও তৈজসপত্র পুড়ে গেছে।
১৪ এপ্রিল, ২০২৪

ভাসানটেকে সিলিন্ডার বিস্ফোরণে দগ্ধ ৬ জনের অবস্থাই আশঙ্কাজনক
রাজধানীর ভাসানটেকে একটি বাসায় গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে দগ্ধ একই পরিবারের ছয়জনের অবস্থাই আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। তারা শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন। শুক্রবার (১২ এপ্রিল) ভোর ৪টার দিকে নতুন বাজার কালভার্ট রোডের ৪/১৩নং এল পশ্চিম ভাসানটেকের দ্বিতীয় তলার বাসার নিচতলার একটি রুমে এ ঘটনা ঘটে। দগ্ধরা হলেন- শাশুড়ি মেহেরুন্নেছা (৮০), পুত্রবধূ সূর্য বানু (৩০), তার সন্তান সুজন (৮), লামিয়া (৭), লিজা (১৮) এবং তাদের বাবা মো. লিটন (৫২)। বার্ন ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন পার্থ শংকর পাল গণমাধ্যমকে জানান, দগ্ধ ছয়জনের শরীরের ৩০ শতাংশ থেকে ৮২ শতাংশ পর্যন্ত এবং শ্বাসনালি পুড়ে গেছে। সবার অবস্থাই আশঙ্কাজনক। দগ্ধদের মধ্যে দুজন এইচডিইউতে আর একজন আইসিইউতে। বাকিরা এখনো রেড ইউনিটে। শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সূর্য বানুর শরীরের ৮২ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। এ ছাড়া লামিয়ার ৫৫ শতাংশ, মো. লিটনের ৬৭ শতাংশ, লিজার ৩০ শতাংশ, সুজনের ৪৩ শতাংশ ও মেহরুন্নেসার শরীরের ৪৭ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। জানা গেছে, লিটনের গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহে। পরিবার নিয়ে কালভার্ট রোডের দোতলা বাড়িটির নিচতলায় ভাড়া থাকতেন। তিনি ফার্নিচারের ব্যবসা করতেন। রাতে ওই বাসায় সবাই ঘুমিয়ে ছিলেন। ভোরে লিটন মশার কয়েল জ্বালাতে গিয়েই বিস্ফোরণ ঘটে। এতে পরিবারটির ছয়জনই দগ্ধ হন। ধারণা করা হচ্ছে, লিকেজের কারণে সিলিন্ডার থেকে গ্যাস বেরিয়ে এই বিস্ফোরণ ঘটেছে।
১২ এপ্রিল, ২০২৪

রাজধানীতে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে দগ্ধ ৬
রাজধানীর ভাসানটেকের একটি বাসায় সিলিন্ডারের গ্যাস লিকেজ থেকে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এতে নারী শিশুসহ একই পরিবারের ছয়জন দগ্ধ হয়েছেন। ভোর পৌনে পাঁচটার দিকে তাদেকে উদ্ধার করে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট ভর্তি করা হয়েছে। শুক্রবার (১২ এপ্রিল) ভোর চারটার দিকে নতুন বাজার কালভার্ট রোডের ৪/১৩নং এল পশ্চিম ভাসানটেকের দ্বিতীয় তলার বাসার নিচতলার একটি রুমে এ ঘটনা ঘটে। দগ্ধরা হলেন- শাশুড়ি মেহেরুন্নেছা (৮০), পুত্রবধূ সূর্য বানু (৩০), তার সন্তান সুজন (৮), লামিয়া (৭), লিজা (১৮) এবং তাদের বাবা মো. লিটন (৫২)। শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সূর্য বানু ৮২ শতাংশ, লামিয়া ৫৫ শতাংশ, মো. লিটন ৬৭ শতাংশ, লিজার ৩০ শতাংশ, সুজনের ৪৩ শতাংশ ও মেহরুন্নেসার শরীরের ৪৭ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। বর্তমানে তাদের জরুরি বিভাগের অবজারভেশনে রাখা হয়েছে।
১২ এপ্রিল, ২০২৪

সাভারে ৫ গাড়িতে আগুন, দগ্ধ একজনের মৃত্যু
ঢাকার সাভারে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে তেলবাহী একটি লরিতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় পেছনে থাকা চারটি ট্রাক ও একটি প্রাইভেটকারেও আগুন লেগে যায়।  মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) ভোর সাড়ে পাঁচটায় হেমায়েতপুরের জোরপুল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ৬টি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় মো. ইকবাল নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। মৃত মো. ইকবালের গ্রামের বাড়ি যশোরের চৌগাছা উপজেলায়। তিনি সিমেন্টের ট্রাকে কাজ করতেন। এ ছাড়া এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও তিনজন। আহতদের উদ্ধার করে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে পাঠানো হয়েছে। তবে তাদের নাম-পরিচয় তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ভোর সাড়ে পাঁচটার দিকে জোরপুল এলাকায় রোড ডিভাইডারের সঙ্গে লেগে একটি তেলের লরিতে আগুন লেগে যায়। এ সময় আশপাশে থাকা চারটি ট্রাক ও একটি প্রাইভেটকারেও আগুন ছড়িয়ে পড়ে।  সাভার হাইওয়ে থানার ইনচার্জ মো. বাবুল জানান, ভোরে হেমায়েতপুরের জোরপুল এলাকায় একটি তেলের লরিতে আগুন ধরে গেলে চারটি ট্রাক ও একটি প্রাইভেটকারও পুড়ে যায়। এতে একজন নিহত হয়েছেন। পুলিশ যান চলাচল স্বাভাবিক করতে কাজ করছে।
০২ এপ্রিল, ২০২৪

সেহরির সময় গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে দগ্ধ ৪
ঢাকার ধামরাইয়ে সেহরি রান্নার সময় গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে একই পরিবারের চারজন দগ্ধ হয়েছেন। দগ্ধদের আশঙ্কাজনক অবস্থায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে। বুধবার (২৭ মার্চ) ভোর রাতে ধামরাই পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ড মোকামটোলা এলাকার বাসিন্দা ইব্রাহিম হোসেনের বিল্ডিংয়ের নিচ তলায় এ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। দগ্ধরা হলেন- নুরুল ইসলাম নান্নু মিয়া, স্ত্রী সুফিয়া বেগম, মেয়ে নিশরাত জাহান সাথী ও ছেলে আল হাদী সোহাগ। ধামরাই ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ইনচার্জ সোহেল রানা কালবেলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ফ্ল্যাটটিতে দুটি গ্যাস সিলিন্ডার ছিল। প্রাথমিক তদন্তে গ্যাস সিলিন্ডার লিকেজ থেকে এ বিস্ফোরণ হয়েছে বলে ধারণা করছি। সিলিন্ডার বিস্ফোরিত হয়ে পরিবারের চারজন দগ্ধ হয়েছেন। শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের চিকিৎসক মো. তরিকুল ইসলাম কালবেলাকে বলেন, দগ্ধ সুফিয়া বেগমের শরীরের ৮০ শতাংশ ও নুরুল ইসলাম নান্নুর ৪৮ শতাংশ, ছেলে আল হাদী সোহাগের ৩৮ শতাংশ ও মেয়ে নিশরাত জাহান সাথীর শরীরের ১৬ শতাংশ পুড়ে গেছে। তাদের মধ্যে তিনজেনর অবস্থা আশঙ্কাজনক। নুরুল ইসলামের ভাতিজা বলেন, সেহরির সময় গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণের খবর পাই। চাচি রান্না করতে উঠলে তখন হয়তো বিস্ফোরণ হয়েছে। আমরা এসে দেখি ফায়ার সার্ভিস আগুন নিয়ন্ত্রণে এনেছে। ঘরের আসবাবপত্র পুড়ে গেছে। ধামরাই উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা নুর রিফফাত আরা বলেন, ভোর রাতে আগুনে দগ্ধ চারজনকে হাসপাতালে আনা হয়। তাদের অবস্থা সংকটাপন্ন থাকায় ঢাকায় পাঠানো হয়।
২৭ মার্চ, ২০২৪

সিদ্ধিরগঞ্জে সিলিন্ডার বিস্ফোরণে দুই নারী দগ্ধ
নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে একটি বাড়িতে গ্যাসের সিলিন্ডার লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে দুই নারী দগ্ধ হয়েছেন। গতকাল শুক্রবার সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেন শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক ডা. তরিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, দগ্ধ অবস্থায় ওই দুই নারীকে নারায়ণগঞ্জ থেকে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে আনা হয়। দগ্ধ মোছা. আইরিনের (৩০) শরীরের ২ শতাংশ ও মোছা. জান্নাতের (২৮) শরীর ১০ শতাংশ দগ্ধ হয়। তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। আইরিনের স্বামী রুবেল জানান, সিদ্ধিরগঞ্জের সানারপাড়ার নুরুল ইসলামের বাড়িতে পরিবার নিয়ে ভাড়া থাকেন তারা। গত বৃহস্পতিবার রাতে রান্না করার সময় গ্যাসের সিলিন্ডার লিকেজ থেকে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে রান্না ঘরে থাকা আইরিন ও তাদের প্রতিবেশী জান্নাত দগ্ধ হন। দ্রুত তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হয়। নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের উপসহকারী পরিচালক ফখরুদ্দিন আহমেদ বলেন, গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে দুজন দগ্ধের ঘটনা আমরা শুনেছি। ঘটনাস্থলের কাছাকাছি ডেমরা ফায়ার সার্ভিস থাকায় খবর পেয়ে তারা তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থলে যায়।
২৩ মার্চ, ২০২৪
X