ওমরাহ পালন করেছেন ফখরুল দম্পতি
সস্ত্রীক ওমরাহ পালন করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। শনিবার (৪ মে) এশার নামাজের পরে বিএনপি মহাসচিব ও তার সহধর্মিণী রাহাত আরা বেগম ওমরাহ পালন করেছেন। রোববার (৫ মে) বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, মহাসচিব স্যার শনিবার এশার নামাজের পর ওমরাহ পালন করেন। ওমরাহ পালনের যেসব আনুষ্ঠানিকতা আছে যেমন তাওয়াফ করা, সাফা-মারওয়ায় সাই করা প্রভৃতি কাজ সম্পন্ন করেছেন। মসজিদুল হারাম বা হারাম শরিফে ওনারা নামাজ আদায় করেছেন। মহাসচিব মসজিদুল হারামে নামাজ আদায় করেন। এ সময় তিনি বাংলাদেশ ও দেশের জনগণের পাশাপাশি সমগ্র মুসলিম উম্মাহর অব্যাহত শান্তি, সমৃদ্ধি ও অগ্রগতি কামনা করে দোয়া করেন। বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ দলের লাখ লাখ নেতাকর্মীরা জন্য আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের কাছে রহমত চেয়ে দোয়া করেছেন বিএনপি মহাসচিব। তিনি জানান, এখন (রোববার, ৫ মে) ওনারা মক্কায় আছেন। ওনারা মক্কায় বিভিন্ন ঐতিহাসিক স্থানসমূহ যেমন, আরাফাত ময়দান, মিনা-মুজদালিফা, মোকামে ইব্রাহিম, জাবালে সাওর, জাবালে রহমত, জাবালে নূর, জমজম কূপ, মসজিদে নামিরা, মক্কা জাদুঘর, জান্নাতুল মোয়াল্লা প্রভৃতি ঐতিহাসিক স্থানে যাবেন। এরপর আগামীকাল (সোমবার) মক্কা থেকে জেদ্দা যাবেন। আগামী ৮ মে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হবেন বিএনপি মহাসচিব। এর আগে শনিবার মাগরিবের নামাজের পরে বিএনপি মহাসচিব সস্ত্রীক মদিনা থেকে মক্কায় পৌঁছান। গত ২ মে মির্জা ফখরুল বাংলাদেশ বিমানে মদিনা পৌঁছান। মদিনা পৌঁছে বিএনপি মহাসচিব ও তার স্ত্রী রাহাত আরা বেগম মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) রওজা মোবারক জিয়ারত করেন। শুক্রবার মসজিদে নববীতে জুমার নামাজ আদায় করেন বিএনপি মহাসচিব। গত ২৮ অক্টোবর ঢাকার নয়াপল্টনে বিএনপির মহাসমাবেশ পুলিশ পণ্ড করে দেওয়ার পরদিনই মির্জা ফখরুল গ্রেপ্তার হন। প্রায় সাড়ে তিন মাস কারাবাসের পর ১৫ ফেব্রুয়ারি জামিনে মুক্তি পান তিনি। কারাগারে যাওয়ার পর থেকে বিএনপি মহাসচিব ও তার স্ত্রী রাহাত আরা বেগম উভয়ে শারীরিক নানা জটিলতায় ভুগছেন। তার স্ত্রী রাহাত আরা বেগমও অসুস্থ। কারাগার থেকে মুক্তির পর ৪ মার্চ তারা চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে যান। ২০১৫ সালে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর কারাগারে থাকাকালীন অভ্যন্তরীণ ক্যারোটিড ধমনীতে ব্লক ধরা পড়ে। সেবারও কারাগার থেকে মুক্তির পর চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে গিয়েছিলেন তিনি।
০৫ মে, ২০২৪

ওমরাহ পালনে সৌদি গেছেন ফখরুল দম্পতি
পবিত্র ওমরাহ পালন করতে সৌদি আরব গেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। সঙ্গে রয়েছেন তার স্ত্রী রাহাত আরা বেগম। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকাল সোয়া তিনটায় বাংলাদেশ বিমানের ফ্লাইটে মদিনার উদ্দেশ্যে রওনা হন বলে জানান তার একান্ত সহকারী ইউনুস আলী। তিনি বলেন, পবিত্র ওমরাহ পালন করতে ম্যাডামসহ স্যার সৌদি আরব গেছেন। প্রথমে তারা সরাসরি মদিনায় যাচ্ছেন। সেখানে মহানবী হযরত মুহাম্মদের (সা.) রওজা মোবারক জিয়ারত করবেন এবং মসজিদে নববীতে নামাজ আদায় করবেন। এরপর মদিনা থেকে মক্কায় গিয়ে পবিত্র ওমরাহ পালনের আনুষ্ঠানিক শুরু করবেন তারা। কাবা শরীফ তাওয়াফ এবং সাফা-মারওয়া সায়ি করবেন, মসজিদুল হারামে নামাজ আদায় করবেন। আগামী ৮ মে বিএনপির মহাসচিব দেশে ফেরার কথা রয়েছে। সবার কাছে দোয়া চেয়েছেন বিএনপির মহাসচিব।
০৩ মে, ২০২৪

সন্ন্যাসী হতে ২০০ কোটির সম্পত্তি বিলিয়ে দিলেন দম্পতি
রাজকীয় জীবন ছেড়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সন্ন্যাসী জীবনের। এ জন্য বিলিয়েছেন নিজেদের তিলে তিলে গড়া নিজেদের ২০০ কোটির সম্পত্তি। বিচিত্র এমন ঘটনার তথ্য জানিয়েছেন ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।   সোমবার (১৫ এপ্রিল) সংবাদমাধ্যমের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গুজরাটের এক ব্যবসায়ী ও তার স্ত্রী মিলে সন্ন্যাস জীবন পার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এ জন্য নিজেদের যাবতীয় সম্পত্তি বিলিয়ে দিয়েছেন তারা।  সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, সন্ন্যাস জীবন বেছে নেওয়া ওই ব্যবসায়ীর নাম ভবেশ ভাণ্ডারি। নির্মাণকাজের ব্যবসা করা ওই ব্যবসায়ী গুজরাটের হিম্মতনগরের বাসিন্দা। গত ফেব্রুয়ারিতে ধর্মীয় এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে নিজেদের ২০০ কোটির সম্পদ বিলিয়ে দেন তিনি। আগামী ২২ এপ্রিল শপথ নেওয়ার পর তাদের সন্ন্যাস জীবন শুরু হবে।   প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সম্পত্তি দানের জন্য এক শোভাযাত্রার আয়োজন করেন এ দম্পতি। রাজকীয় সাজে সেজে ট্রাকে করে চার কিলোমিটার পাড়ি দেন তারা। এ সময় নগদ অর্থের পাশাপাশি তারা বাড়ির এসি থেকে শুরু করে নিজেদের স্মার্টফোনও বিলিয়ে দেন তারা।  প্রশ্ন উঠেছে, সব সম্পত্তি দান করে কীভাবে কাটবে বাকি জীবন? জানা গেছে, সংসারের সমস্ত বন্ধন কাটিয়ে ফেলতে হবে। কোনো সম্পত্তি রাখতে পারবেন না তারা। পাথেয় বলতে তাদের থাকবে কেবল সাদা রঙের  দুটি পোশাক আর সঙ্গে নেবেন ভিক্ষার পাত্র ‍ও একটি ঝাড়ু। জৈন ধর্মের অনুসারী সন্ন্যাসীরা কোথায় বসতে গেলে ঝাড়ু ‍দিয়ে আবর্জনা সরিয়ে নেন। ফলে তাদেরও একই পন্থা মেনে চলতে হবে। শপথ নেওয়ার পর তারা খালি পায়ে গোটা ভারত ঘুরবেন। আর ভিক্ষার অর্থেই চলতে তাদের জীবন।   এর আগে ভবেশ দম্পতির ১৯ বছরের মেয়ে ও ১৬ বছরের ছেলে সন্ন্যাস জীবন বেছে নিয়েছিলেন। সন্তানদের দেখে তারা অনুপ্রাণিত হয়েছেন বলে জানা গেছে। এ ছাড়া ২০২৩ সালে এক হীরা ব্যবসায়ী ধনকুবের দম্পতি সব সম্পদ দান করে সন্ন্যাস জীবন বেছে নিয়েছেন বলে খবর প্রকাশ হয়েছিল। 
১৬ এপ্রিল, ২০২৪

নববর্ষের শুভেচ্ছা জানালেন বাইডেন দম্পতি
বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও তার স্ত্রী জিল বাইডেন। রোববার (১৪ এপ্রিল) রাত ১২টার পর সামাজিক মাধ্যম এক্সে এক বার্তায় এই শুভেচ্ছা জানান তারা। টুইটে বাইডেন লেখেন, বৈশাখী, নবরাত্রি, সংক্রান এবং এই সপ্তাহে আসন্ন নববর্ষ উদযাপনে সারা বিশ্বে জড়ো হওয়া সবাইকে জিল ও আমি শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। আমরা আপনাদের আনন্দ কামনা করছি।  সবশেষে তিনি লেখেন, শুভ বাংলা, খেমার, লাও, মায়ানমারিজ, নেপালি, সিংহলি, তামিল, থাই ও বিষু নববর্ষ।  এদিন যথাযোগ্য মর্যাদায় বাংলা নববর্ষ উদযাপন করছে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠন। বাংলা নববর্ষের অনুষ্ঠান আবশ্যিকভাবে জাতীয় সংগীত এবং এসো হে বৈশাখ গান পরিবেশনের মাধ্যমে শুরু হয়। আজ সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং বাংলা একাডেমির উদ্যোগে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে।  এদিকে, সকাল ৯টা ১৫ মিনিটে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদ থেকে মঙ্গল শোভাযাত্রাটি শুরু হয়। জানা গেছে, এবারের মঙ্গল শোভাযাত্রার র‍্যালিটি চারুকলা অনুষদ থেকে বের হয়ে শাহবাগ মোড় হয়ে ঘুরে টিএসসি হয়ে আবার চারুকলায় গিয়ে শেষ হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড এ এস এম মাকসুদ কামালের নেতৃত্বে চারুকলা অনুষদ থেকে মঙ্গল শোভাযাত্রাটি শুরু হয়। সমাজকল্যাণমন্ত্রী ডা. দীপু মনি, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম ও ডিএমপি কমিশনার শোভাযাত্রায় অংশ নেন। 
১৪ এপ্রিল, ২০২৪

ঈদে বাড়ি ফেরার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় দম্পতি নিহত
ঈদের ছুটিতে মোটরসাইকেলে বাড়ি ফেরার পথে ময়মনসিংহের হালুয়াঘাটে বিদ্যুতের খুঁটিতে ধাক্কা লেগে সাইদুর রহমান (২৮) ও সোনিয়া আক্তার (২২) দম্পতি নিহত হয়েছেন। শুক্রবার (৫ এপ্রিল) সকালে উপজেলা থেকে সীমান্তবর্তী সড়কের লক্ষ্মীকুড়া বাজার এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত সাইদুর রহমানের গ্রামের বাড়ি কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলায়।  হালুয়াঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাহবুবুল হক এসব তথ্য নিশ্চিত করেন। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, সাইদুর রহমান ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে চাকরি করেন। ঈদের ছুটিতে স্ত্রী নিয়ে মোটরসাইকেলযোগে ঈশ্বরগঞ্জ থেকে গ্রামের বাড়ি ফিরছিলেন তিনি। কুড়িগ্রামের রৌমারী যাওয়ার পথে হালুয়াঘাট সীমান্তবর্তী সড়কের লক্ষ্মীকুড়া বাজার এলাকায় বিদ্যুতের খুঁটিতে তাদের মোটরসাকেলের ধাক্কা লাগে। এতে ঘটনাস্থলেই চালক সাইদুর নিহত হন। পরে সোনিয়া আক্তারকে উদ্ধার করে হালুয়াঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। হালুয়াঘাট থানার ওসি আরও জানান, নিহত দম্পতির মরদেহ উদ্ধার করে থানায় রাখা হয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
০৫ এপ্রিল, ২০২৪

হিন্দু মেয়েকে বিয়ে দিয়ে শুভেচ্ছায় ভাসছেন মুসলিম দম্পতি
পিরোজপুরে পিতৃহীন অসহায় এক দরিদ্র হিন্দু মেয়েকে বিয়ে দিয়ে মানবিক ও ধর্মীয় সম্প্রীতির এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন এক মুসলিম দম্পতি। এ কাজের জন্য ওই মুসলিম দম্পতিকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন পিরোজপুর জেলা হিন্দু মহাজোট। বুধবার (২৭ মার্চ) বিকেলে মুসলিম দম্পতি মোহাম্মদ আলী ও শিউলি বেগমের সিআই পাড়ার বাসায় শুভেচ্ছা সামগ্রী পাঠায় পিরোজপুর জেলা হিন্দু মহাজোট। জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক সুপতি হালদার চঞ্চলের নেতৃত্বে একটি দল এ শুভেচ্ছা সামগ্রী নিয়ে যান। এ সময় বাংলাদেশ হিন্দু মহাজোট পিরোজপুর জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক সুপতি হালদার চঞ্চল জানান, এই বিয়ের মাধ্যমে বাংলাদেশে হিন্দু-মুসলমানের মধ্যে মানবিক ও সম্প্রীতির বন্ধন আরও সুদৃঢ় হলো। মোহাম্মদ আলী ও শিউলি বেগম জানান, এমন ভালো কাজ করতে পারলে মানসিক শান্তি পাওয়া যায়। সমাজে এমন কাজ আরও বেশি বেশি হওয়া প্রয়োজন। এর আগে, বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) রাতে পিরোজপুরে এ বিয়ের আয়োজন করেন মোহাম্মদ আলী ও তার স্ত্রী শিউলি বেগম। বাড়ির গৃহপরিচারিকা পূণ্যির একমাত্র মেয়ে মিতুকে ধুমধাম করে বিয়ে দেন তারা। সমাজের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন এই হতদরিদ্র পিতৃহীন মেয়েটির বিয়েতে।
২৭ মার্চ, ২০২৪

নিজ ঘরে কবর খুঁড়ে ১২ বছর মৃত্যুর অপেক্ষায় দম্পতি
পীরের নির্দেশে মৃত্যুর আগেই কবর তৈরি করে পাকা করেছেন ভাজন আলী-অবিরন নেছা দম্পতি। মৃত্যুর পর সেখানেই দাফন করার অসিয়ত করেছেন পরিবারের সদস্যদের। ঘরের ভেতর কবর খুঁড়ে ১২ বছর ধরে মৃত্যুর অপেক্ষায় শত বছর বয়সী এ দম্পতি। কবর খননের বিষয়টি রীতিমতো এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। আশপাশের এলাকার মানুষও আসছে দেখার জন্য। কী কারণে তিনি জীবিত অবস্থায় নিজের কবর খুঁড়েছেন সেটি নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে জেগেছে কৌতূহল। এ দম্পতির বাড়ি পঞ্চগড় সদর উপজেলার চাকলাহাট ইউনিয়নের উত্তর ভাটিয়া পাড়া গ্রামের মৃত ঈমান আলীর ছেলে মো.ভাজন আলী (১০১) ও  স্ত্রী মোছা.অবিরন (৭৬)। জাতীয় পরিচয়পত্র অনুযায়ী তার বয়স ১০১ হলেও ভাজন আলীর দাবি, তার বয়স ১১৫ বছর। পীরের নির্দেশে মো.ভাজন আলী বলেন, যুদ্ধের দুই বছর পরে বাবার মৃত্যু হয়। এর আগে তিনি কবরের জায়গা নির্ধারণ করে দেন। তিনি বলে গেছেন আমার পাশে তোমাদের দুজনের যেন কবর দেয়া হয়। মুহাম্মদ ছাইফুদ্দীন নকশাবন্দী মুজাদ্দেদী এনায়েতপুরী রহমাতুল্লাহি আলাইহি ময়মনসিংহ শম্ভুগঞ্জি পীরের মুরিদান ভাজন আলী। তরিকার খেলাফতের দায়িত্ব দেওয়া হয় তাকে।  ভাজন আলী বলেন, পীর বাবা বলে গেছেন কবর খুঁড়ে মাজার করে রাখতে। পরে গত বারো বছর পূর্বে স্ত্রীসহ নিজের কবর খুঁড়ে রেখেছি। ভাজন আলীর পঞ্চগড়ে সাড়ে তিনশ মুরিদান রয়েছে তিনি নিজেকে পীর বলেও দাবি করেন। কবর খোঁড়ার পর কবরের চারপাশে পাকা করে মাজার করা হয়েছে। পাশের ঘরে নামাজ আদায় মিলাদ মাহফিলসহ বসবাস করেন। ভাজন আলী আরও বলেন, মৃত্যুর পর আমার স্বজনরা যাতে বাড়ির পাশের খননকৃত কবরে আমাকে দাফন করে সে কথাও তাদের বলে যাচ্ছি সব সময়। সন্তানদের বিষয়ে জানতে চাইলে মোছা.অবিরন বলেন, তাদের তিন ছেলে ও পাঁচ মেয়ের মধ্যে এক মেয়ের মৃত্যু হয়েছে। সবার বিয়ে হয়ে অন্যত্র থাকে। ছেলে আব্দুল জলিল বলেন, পীরের ইচ্ছায় আমার বাবা মা ঘরের ভিতর কবর খুঁড়ে রেখেছেন। শুনেছি দাদাও বলে গেছেন তার পাশে যেন তাদের কবর হয়। সরকার পাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক মো. আলমগীর হোসেন বলেন, মৃত্যুর আগে কবর খুঁড়ে রাখার বিষয়টি জানাজানি হলে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। আমিও দেখতে গিয়েছিলাম। তবে কী কারণে কবর খুঁড়ে রেখেছেন তা জানতে পারিনি। মাওলানা সৈয়দ মুহাম্মদ সুলতান মাহমুদ বলেন, ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে বিষয়টি সঠিক নয়।মৃত্যুর পর তার স্বজনেরা কবর খুঁড়ে দাফন-কাফন করবে এটাই বাস্তব। তবে জায়গা নির্ধারণ করে দিতে পারেন। স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুর রাজ্জাক বলেন, কবর তৈরির বিষয়টি রীতিমতো এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। শুধু আমাদের গ্রামের নয়; বিভিন্ন এলাকার মানুষও আসছে দেখার জন্য।
১৪ মার্চ, ২০২৪

তেলের দোকানে অগ্নিকাণ্ডে মালিক দম্পতি দগ্ধ
বগুড়ায় জ্বালানি তেলের দোকানে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় দুজন আহত হয়েছেন। আহতদের উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহতরা হলেন, দোকান মালিক নিরব হোসেন (৩০) ও স্ত্রী মিথিলা খাতুন (২৫)। মঙ্গলবার (১২ মার্চ) বিকেল ৫টার দিকে  ধুনটের নিমগাছি ইউনিয়নের সোনাহাটা বাজারে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। অগ্নিকাণ্ডে দোকানে মজুদ তেল, ৩টি ট্রাক্টর, তেল ভর্তি ২টি ট্রাক ও সিএনজি মেরামতের একটি দোকান পুড়ে ছাই হয়েছে।  ফায়ার সাভির্সের ২টি ইউনিট প্রায় দেড় ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয় বলে জানা গেছে। নিমগাছি ইউপি চেয়ারম্যান সনিতা নাছরিন এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, তেলের দোকানের মালিক নিরব হোসেনের বাড়ি পাবনার নগর এলাকায়। তিনি প্রায় ৫ বছর ধরে সোনাহাটা বাজার এলাকায় জ্বালানি তেলের ব্যবসা করে জীবিকা নির্বাহ করেন। ফায়ার সার্ভিসের টিম লিডার হামিদুল ইসলাম বলেন, নিরব ফিলিং স্টেশন নামে ওই দোকানে ডিজেল, পেট্রোল, মবিল ও কেরোসিন বিক্রি করা হয়। দোকানে অগ্নিকাণ্ডের কারণ এখনও জানা যায়নি। তদন্ত সাপেক্ষে কারণ ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানা যাবে।
১২ মার্চ, ২০২৪

কবরস্থান থেকে উদ্ধার নবজাতককে দত্তক নিলেন চিকিৎসক দম্পতি
ময়মনসিংহের নান্দাইলে সড়কের পাশে থাকা একটি কবরস্থানে কুড়িয়ে পাওয়া এক নবজাতককে দত্তক নিয়েছেন এক চিকিৎসক দম্পতি। সমাজসেবা কার্যালয়ে আবেদনের প্রেক্ষিতে রোববার (৩ মার্চ) বিকেলে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কর্মরত ওই চিকিসক দম্পতির হাতে শিশুটিকে তুলে দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চত করেছেন উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মো. ইনসান আলী। তিনি জানান, দত্তক নেওয়ার বিষয়ে চূড়ান্ত করতে উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয় শনিবার রাতে শিশু কল্যাণ বোর্ডের সভা হয়। সেখানে একাধিক আবেদন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে চিকিৎসক দম্পতির আবেদনটি চূড়ান্ত করা হয়। তাদের আবেদনের প্রেক্ষিতে আর্থিক স্বচ্ছলতা ও সামাজিক অবস্থান যাচাইবাছাই করে তাদের কাছে নবজাতকটি দত্তক দেওয়া হয়েছে। এ কর্মকর্তা আরও জানান, বর্তমান সমাজ ব্যবস্থা ও শিশুটির ভবিষ্যৎ নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে একটি নিঃসন্তান এবং সচ্ছল দম্পতিকে বেছে নেওয়া হয়েছে। তবে নিরাপত্তার স্বার্থে তাদের নাম প্রকাশ করা হচ্ছে না। এর আগে, নান্দাইলের মুশুলি ইউনিয়নের রসুলপুর গ্রামে গত শুক্রবার সন্ধ্যায় ইজিবাইক চালিয়ে যাওয়ার সময় একটি কবস্থানে কান্নার আওয়াজ পান সুরুজ মিয়া। পরে কৌতূহলি ওই ব্যক্তি ইজিবাইক থামিয়ে সেখানে গিয়ে কবরের ওপর একটি নবজাতক দেখতে পান। এরপর ওই নবজাতককে উদ্ধার করে থানায় নেওয়ার পর তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। নবজাতকের স্বাস্থ্যের অবস্থা সম্পর্কে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মাহমুদুর রশিদ বলেন, শিশুটির বয়স ২-৫ দিন হতে পারে। সে সম্পূর্ণ সুস্থ ও সবল রয়েছে।
০৩ মার্চ, ২০২৪

সড়ক দুর্ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশি দম্পতি নিহত
যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে সড়ক দুর্ঘটনায় বাংলাদেশি দম্পতি নিহত হয়েছেন। তারা হলেন চাঁদপুরের হাফিজ আহমেদ এঞ্জেল ও সাথী আহমেদ। দেশটির স্থানীয় সময় শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) রাতে বিন হ্যাম্পটন থেকে ফেরার পথে এ দুর্ঘটনার কবলে পড়েন তারা। রোববার (১১ ফেব্রুয়ারি) আমেরিকার নিউইয়র্কে তাদের দাফন সম্পন্ন হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন নিহতদের স্বজন চাঁদপুরের ব্যবসায়ী হুমায়ুন কবির। নিনি বলেন, ঘটনার রাতে এঞ্জেল-সাথী দম্পতির ১১ বছরের মেয়ে রাইদাকে সঙ্গে নিয়ে গাড়িযোগে বের হন। এ সময় পেছন থেকে বেপরোয়া গতির আরেকটি গাড়ি তাদের ধাক্কা দেয়। এতে শিশু রাইদা বেঁচে গেলেও ঘটনাস্থলে প্রাণ হারান এঞ্জেল (৫৫) ও তার সহধর্মিণী সাথী (৩৫)। নিউইয়র্ক স্টেট পুলিশ জানিয়েছে, নিউইয়র্কের অরেঞ্জ কাউন্টিতে একটি অপরাধীর গাড়ির ধাওয়া করছিল পুলিশ। এ সময় দুষ্কৃতকারীদের গাড়ির সঙ্গে হাফিজ দম্পতির গাড়ির ধাক্কা লাগে। এতে ঘটনাস্থলেই নিহত হন দুজন।   ময়নাতদন্ত শেষে তাদের লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। এ ঘটনায় বাংলাদেশি কমিউনিটিতে বইছে শোকের ছায়া। উল্লেখ্য, এঞ্জেলের বাবা শামছুল হক মুন্সি ১৯৯১ সালে ডিভি লটারি পেয়ে আমেরিকা যান। পরে ১৯৯৬ সালে পরিবারের সদস্যদের সবাইকে সেখানে নিয়ে যান তিনি। তাদের পৈতৃক বাড়ি চাঁদপুরে ফরিদগঞ্জ উপজেলার সুবিদপুর পশ্চিম ইউনিয়নের সাচনমেঘ গ্রামে। 
১১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪
X