শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম বাড়ল
বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম বেড়েছে। বিশ্বের প্রায় সব অঞ্চলের জন্য সৌদি আরবের তেলের দাম বাড়ানো এবং তার সঙ্গে গাজায় যুদ্ধবিরতির সম্ভাবনা আরও কমে যাওয়ায় তেলের দাম বেড়েছে।  সোমবার (৬ মে) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। আশঙ্কার কথা জানিয়ে রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিশ্বের বৃহত্তম এই তেল উৎপাদনকারী অঞ্চলের বিভিন্ন দেশে ইসরায়েল-হামাস সংকট ছড়িয়ে পড়তে পারে। রয়টার্স জানায়, সোমবার সকালে ব্রেন্ট ক্রুড তেলের দাম ব্যারেলপ্রতি ২৮ সেন্ট বা শূন্য দশমিক ৩ শতাংশ বেড়ে ৮৩ দশমিক ২৪ ডলারে উঠেছে। এ ছাড়া ইউএস টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েট ক্রুডের (ডব্লিউটিআই) দাম ব্যারেলপ্রতি ২৯ সেন্ট বা শূন্য দশমিক ৪ শতাংশ বেড়ে ৭৮ দশমিক ৪০ ডলারে উঠেছে।  বহুজাতিক ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান আইএনজির পণ্য গবেষণা বিভাগের প্রধান ওয়ারেন প্যাটারসন জানান, গত সপ্তাহে ভূরাজনৈতিক উত্তেজনা কিছুটা প্রশমিত হওয়ায় জ্বালানি তেলের দাম ৭ দশমিক ৩ শতাংশ কমেছিল। কিন্তু সপ্তাহের শুরুর দিকে সেই ধারা ভেঙে ব্রেন্ট ক্রুডের দাম বাড়ানো হয়েছে।  রয়টার্সের সংবাদে বলা হয়েছে, গত সপ্তাহে ব্রেন্ট ও ডব্লিউটিআই উভয় ধরনের অপরিশোধিত তেলের দাম কমেছে। ব্রেন্ট ক্রুডের দাম কমেছে ৭ শতাংশের বেশি আর ডব্লিউটিআই ক্রুডের ৬ দশমিক ৮ শতাংশ। ভূরাজনৈতিক উত্তেজনা কিছুটা প্রশমিত হওয়ার পাশাপাশি আরও কিছু কারণে দাম কমে। চলতি বছরের জুন মাসে সৌদি আরব এশিয়া, উত্তর-পশ্চিম ইউরোপ ও ভূমধ্যসাগর অঞ্চলের দেশগুলোতে যে তেল বিক্রি করবে, তার দাম বাড়ানো হয়েছে। এমন ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে, চলতি গ্রীষ্মকালে জ্বালানি তেলের চাহিদা বাড়বে। এদিকে, টানা দ্বিতীয় সপ্তাহের মতো যুক্তরাষ্ট্রে সক্রিয় তেল ও গ্যাসের খনির সংখ্যা কমেছে, বিশেষ করে তেলের খনির সংখ্যা কমেছে বেশি। এক সপ্তাহের ব্যবধানে ৭টি কমে গিয়ে সক্রিয় খনির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪৯৯টিতে। ২০২৩ সালের নভেম্বর মাসের পর দেশটিতে আর কখনো এক সপ্তাহের ব্যবধানে এতগুলো খনি উৎপাদনের বাইরে চলে যায়নি। 
০৬ মে, ২০২৪

দাম বাড়ল জ্বালানি তেল ও গ্যাসের
চার ধরনের জ্বালানি তেলের দাম বেড়েছে। বিশ্ববাজারের সঙ্গে সমন্বয় করে এই দাম বাড়ানো হয়েছে। একই সঙ্গে বিদ্যুৎকেন্দ্র ও শিল্পের ক্যাপটিভ পাওয়ারে সরবরাহকৃত গ্যাসের দামও বেড়েছে। গতকাল মঙ্গলবার এ-সংক্রান্ত পৃথক দুটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়। পুনর্নির্ধারিত এ মূল্য গতকাল রাত ১২টার পর থেকেই কার্যকর হয়েছে। প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, ভোক্তা পর্যায়ে ডিজেল ও কেরোসিনের দাম ১ টাকা বেড়ে হয়েছে ১০৭ টাকা। আড়াই টাকা বেড়ে পেট্রোল হয়েছে লিটারে ১২৪ টাকা ৫০ পয়সা, আগে ছিল ১২২ টাকা। আড়াই টাকা বেড়েছে অকটেনেও। বর্তমান দাম ১২৮ টাকা ৫০ পয়সা। এর আগে গত ৩১ মার্চ বিশ্ব বাজারের সঙ্গে সমন্বয় করে দেশে বহুল ব্যবহৃত ডিজেল ও কেরোসিনের দাম কমানো হয়েছিল। ওই সময় এই দুটি জ্বালানি পণ্যের দাম লিটারপ্রতি কমানো হয়েছিল ২ টাকা ২৫ পয়সা। লিটারপ্রতি ডিজেল ও কোরোসিনের দাম ১০৮ টাকা ২৫ পয়সা থেকে কমে হয়েছিল ১০৬ টাকা। আর প্রতি লিটার পেট্রোল আগের মতোই ১২২ টাকা এবং প্রতি লিটার অকটেন ১২৬ টাকায় রাখায় হয়। তবে পেট্রোল ও অকটেনের দাম অপরিবর্তিত রাখা হয়েছিল। গ্যাসের দাম বৃদ্ধি-সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়েছে, শুধু বিদ্যুৎ ও ক্যাপটিভ বিদ্যুৎ শ্রেণিতে ব্যবহৃত গ্যাসের মূল্য বাড়ানো হয়েছে। এতে ঘনমিটারে ৭৫ পয়সা বৃদ্ধি করে বিদ্যুৎ শ্রেণিতে ১৫ টাকা ৫০ পয়সা ও ক্যাপটিভ বিদ্যুতে ৩১ টাকা ৫০ পয়সা নির্ধারণ করা হয়েছে। অন্যান্য শ্রেণিতে গ্যাসের মূল্য অপরিবর্তিত থাকবে।
০১ মে, ২০২৪

জ্বালানি তেলের দাম বাড়ল
সব ধরনের জ্বালানি তেলের দাম বেড়েছে। চলতি বছরের মার্চ থেকে বিশ্ববাজারের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে জ্বালানি তেলের স্বয়ংক্রিয় মূল্য নির্ধারণ চালু করে সরকার।  মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়।  প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, ভোক্তা পর্যায়ে ডিজেল ও কেরোসিনের বিদ্যমান মূল্য লিটার প্রতি ১০৬ টাকা থেকে এক  টাকা বৃদ্ধি করে ১০৭ টাকা, পেট্রলের বিদ্যমান মূল্য লিটার প্রতি ১২২ টাকা থেকে ২.৫০ টাকা বেড়ে  ১২৪.৫০ টাকা এবং অকটেনের বিদ্যমান মূল্য ১২৬.০০ টাকা থেকে ২.৫০ টাকা বৃদ্ধি করে ১২৮.৫০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। পুনঃনির্ধারিত এ মূল্য আজ রাত ১২টার পর থেকে কার্যকর হবে।  এর আগে গত ৩১ মার্চ বিশ্ববাজারের সঙ্গে সমন্বয় করে দেশে বহুল ব্যবহৃত ডিজেল ও কেরোসিনের দাম কমানো হয়েছিল। ওই সময় এই দুটি জ্বালানির পণ্যের দাম লিটারপ্রতি কমানো হয়েছিল ২ টাকা ২৫ পয়সা। লিটারপ্রতি ডিজেল ও কোরোসিনের দাম ১০৮ টাকা ২৫ পয়সা থেকে কমে হয়েছে ১০৬ টাকা। আর প্রতি লিটার পেট্রল আগের মতোই ১২২ এবং প্রতি লিটার অকটেন ১২৬ টাকায় বিক্রি হবে। তবে পেট্রল ও অকটেনের দাম অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে।  সরকার গত ২৯ ফেব্রুয়ারি জ্বালানি তেলের স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে মূল্য নির্ধারণের নির্দেশিকার প্রজ্ঞাপন প্রকাশ করে। তারই ধারাবাহিকতায় গত ৭ মার্চ প্রথম প্রাইসিং ফর্মুলা অনুসারে জ্বালানি তেলের মূল্য সমন্বয়ের প্রজ্ঞাপন প্রকাশ করা হয়েছিল। এর আগে গত ৭ মার্চ জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিভাগে থেকে জারি করা প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে সমন্বয় করায় দেশে ব্যবহৃত অকটেন, পেট্রল, ডিজেল ও কেরোসিনের দাম কমেছে, যা ৮ মার্চ থেকে কার্যকর হয়। তখন ডিজেল ও কেরোসিনের দাম লিটারপ্রতি ১০৯ টাকা থেকে ৭৫ পয়সা কমে ১০৮ টাকা ২৫ টাকা পয়সা নির্ধারণ করা হয়। অকটেনের দাম লিটারপ্রতি ১৩০ থেকে ৪ টাকা কমে ১২৬ টাকা এবং পেট্রলের দাম ১২৫ থেকে ৩ টাকা কমে ১২২ টাকা পুনর্নির্ধারণ করা হয়। বিপিসি সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে দেশে ব্যবহৃত মোট জ্বালানি তেলের ৭৩ দশমিক ১১ শতাংশ ডিজেল, পেট্রল ৫ দশমিক ৮৬ এবং অকটেন ৪ দশমিক ৭৮ শতাংশ। বর্তমানে দেশে বছরে জ্বালানি তেলের চাহিদা রয়েছে ৭০ থেকে ৭২ লাখ টন। এর মধ্যে ডিজেলের চাহিদা ৪৮ থেকে ৪৯ লাখ টন, যার ৮০ শতাংশ সরকার আমদানি করে। বর্তমানে সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে অপরিশোধিত জ্বালানি তেল আমদানি হচ্ছে। আর পরিশোধিত তেল আমদানি হয় সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, আরব আমিরাত, কুয়েত, থাইল্যান্ড ও ভারত থেকে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর সাশ্রয়ী দামে ভারত থেকে পাইপলাইনের মাধ্যমে ডিজেল আমদানি হচ্ছে। এ ছাড়া আরও কয়েকটি দেশের সঙ্গে ডিজেল আমদানি নিয়ে আলোচনা চলছে। বেসরকারি খাতের বিভিন্ন বিদ্যুৎকেন্দ্রের জ্বালানি তেল ডিজেল ও ফার্নেস অয়েল আমদানি করা হয়। এই তেল নিজ বিদ্যুৎকেন্দ্র ছাড়া অন্য কোথাও ব্যবহারের অনুমোদন নেই। অকটেন ও পেট্রল ব্যবহার করা হয় গাড়ি ও মোটরসাইকেলে। আর বাস, ট্রাক, নৌযান এবং কিছু ক্ষেত্রে সেচ পাম্পে ডিজেল ব্যবহার করা হয়।  
৩০ এপ্রিল, ২০২৪

আবারও দাম বাড়ল পেঁয়াজের
দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে মাত্র এক দিনের ব্যবধানে পাইকারি বাজারে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে কেজিতে ১২ টাকা। পাইকারি ব্যবসায়ীরা মোকামে দাম বাড়ার কথা বললেও খুচরা ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, স্থানীয় কয়েকজন পাইকারি ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট করে পেঁয়াজের দাম বাড়িয়ে অধিক মুনাফা নিচ্ছেন। শনিবার (২৭ এপ্রিল) সকালে উপজেলার কয়েকটি পাইকারি বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) পাইকারি বাজারে প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে প্রকার ভেদে ৪৫ থেকে ৪৭ টাকা কেজি দরে। আড়তে পর্যাপ্ত পেঁয়াজ মজুত থাকলেও শনিবার সকাল থেকে কেজিতে ১০-১২ টাকা বাড়িয়ে বিক্রি করেছেন ৫৫-৫৭ টাকা কেজি দরে। এতে খুচরা বাজারেও প্রভাব পড়েছে।  খুচরা বাজারে পেঁয়াজ কিনতে আসা আসাদুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তি কালবেলাকে বলেন, এক দিন আগেও পেঁয়াজ কিনেছি ৪৮ টাকা কেজি দরে। একই পেঁয়াজ আজ কিনতে হচ্ছে ১০-১২ টাকা বেশি দিয়ে। এভাবে বাজার অস্থির হয়ে পড়লে সাধারণ মানুষ কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে। সব কিছু নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে। খুচরা বিক্রেতা হারুন উর রশীদ বলেন, পাইকারি ব্যবসায়ীরা দাম বাড়ালে খুচরা বাজারেও এর প্রভাব পড়ে এবং দাম বেড়ে যায়। এখানে খুচরা ব্যবসায়ীদের কোনো হাত নেই। স্থানীয় কয়েকজন পাইকারি আড়তদার প্রতিনিয়ত সিন্ডিকেট করে পেঁয়াজসহ অন্যান্য পণ্যের দাম বাড়িয়ে মুনাফা লুটছে। আড়তে পর্যাপ্ত পেঁয়াজ মজুত থাকার পরও আড়তদাররা পেঁয়াজ খুচরা ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি না করে আরও দাম বাড়ানোর জন্য মজুত রাখছে।  পেঁয়াজের পাইকারি আড়তদার বিধান চন্দ্র বলেন, পাইকারি আড়তে কোনো সিন্ডিকেট নেই। মোকামে দাম বাড়লে আড়তে এমনিতেই দাম বেড়ে যায়। এখানে আড়তদারদের কোনো হাত নেই। তা ছাড়া আড়তদারদের কাছে পেঁয়াজ মজুদ না থাকায় দাম একটু বেড়েছে।  ফুলবাড়ী উপজেলার ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মুহাম্মাদ জাফর আরিফ চৌধুরী কালবেলাকে বলেন, উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিয়মিত বাজার তদারকি করা হচ্ছে। তবে পাইকারি বাজারে যদি কেউ সিন্ডিকেট করে কোনো পণ্যের দাম বাড়ায় তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
২৭ এপ্রিল, ২০২৪

বোতলজাত সয়াবিনে দাম বাড়ল ৪ টাকা
ভোজ্যতেলের নতুন দাম নির্ধারণ করে দিল সরকার। এতে প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিনের দাম ৪ টাকা বেড়েছে এবং খোলা সয়াবিনের দাম প্রতি লিটারে ২ টাকা কমেছে। এই হারে দাম বাড়া-কমার ফলে এখন থেকে বাজারে প্রতি লিটার বোতলজাত তেল বিক্রি হবে ১৬৭ টাকায় এবং খোলা তেল বিক্রি হবে ১৪৭ টাকায়। ৫ লিটার বোতলজাত সয়াবিনের দাম ১৮ টাকা বেড়ে বিক্রি হবে ৮১৮ টাকায়। আগে বাজারে সুপার পামঅয়েলের দাম নির্ধারিত ছিল না। এবার প্রতি লিটার বোতলজাত সুপার পামঅয়েলের দাম ১৩৫ টাকা নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। নতুনভাবে নির্ধারিত এই দাম মিলগেট পর্যায়ে (পাইকাররা যে দামে কিনবেন) গতকাল থেকেই কার্যকর হয়েছে। আর আগের রেটের তেল স্টক শেষ হওয়া সাপেক্ষে খুচরা পর্যায়ে নতুন দাম কার্যকর হবে। গতকাল বৃহস্পতিবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু এই নতুন দাম ঘোষণা করেন। বাজারে থাকা প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিনের দাম বর্তমানে ১৬৩ টাকা এবং ৫ লিটারের দাম ৮০০ টাকা। এ ছাড়া প্রতি লিটার খোলা সয়াবিনের দাম ১৪৯ টাকায় নির্ধারিত আছে। গত ৭ ফেব্রুয়ারি আমদানির ওপর ৫ শতাংশ ভ্যাট অব্যাহতি দেওয়ার পর ভোজ্যতেলের এই দাম নির্ধারণ করে দিয়েছিল বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। কিন্তু গত ১৫ এপ্রিল এই ভ্যাট অব্যাহতির মেয়াদ শেষ হওয়ার ধুয়ো তুলে বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন ১৬ এপ্রিল থেকেই বাজারে নির্ধারিত এই দাম থেকে প্রতি লিটার সয়াবিনের দাম ১০ টাকা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত জানায়। যদিও এতে বাধ সাধে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। তারই পরিপ্রেক্ষিতে গত দুদিন উভয়পক্ষ আলোচনা করে বৃহস্পতিবার ভোজ্যতেলের এই নতুন দাম নির্ধারণ করে দেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী। এ বিষয়ে ব্রিফিংয়ে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু সাংবাদিকদের জানান, গত ১৫ এপ্রিল থেকে ভোজ্যতেলের দাম সমন্বয় করার কথা ছিল। তাই এনবিআর রোজার শুরুতে যে ট্যাক্স কমিয়েছিল সেটি এখন সমন্বয় করছে। এনবিআরের সঙ্গে কিছুটা সমন্বয়ের অভাবেই গত দুদিন তেলের দাম নিয়ে ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। আগামীতে আর এমন হবে না। বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, ভোজ্যতেল সমিতির একটির আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ট্যারিফ কমিশনের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় একটি বৈঠক হয়েছে। আপনারা জানেন, ট্যারিফ কমিশনের পক্ষ থেকে আমরা আন্তর্জাতিক বাজার মনিটরিং করি। বিভিন্ন আমদানিকৃত পণ্যের যৌক্তিক নির্দেশক মূল্য আমরা ট্যারিফ কমিশনের মাধ্যমে অবগত হই, যাতে মূল্যটা যৌক্তিক পর্যায়ে রাখতে পারি। আমরা একটু দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়ার চেষ্টা করেছি, এজন্য যতক্ষণ পর্যন্ত আমরা সিদ্ধান্ত না দেব, বাজারে সাপ্লাইয়ের একটা ব্যাঘাত ঘটবে। এটি যাতে না হয়, সেজন্যই আমরা এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছি। তিনি আরও বলেন, আমরা যখন দাম বাড়াই, সেটি তাৎক্ষণিক কার্যকর হয় কেন, এমন প্রশ্ন আপনাদের থাকতে পারে। আসলে মিলগেট থেকে ভ্যাট দিয়ে পণ্য বের করতে হয়। যে কারণে এখানে অতিরিক্ত সময় দেওয়ার সুযোগ থাকে না আমাদের কাছে। আর আমদানি করে মিলগেটে এনে প্রসেস করতে ১৫ থেকে ২০ দিন সময় লাগে। খোলা সয়াবিন তেলের দাম কমলেও বোতলের দাম বাড়ার কারণ কী, জানতে চাইলে প্রতিমন্ত্রী বলেন, কিছু টেকনিক্যাল কারণে খোলা সয়াবিনের দাম আমরা কমাতে পেরেছি। আর বোতল যেহেতু লেবেল করা থাকে এবং সিল করা থাকে, ওখানে খুচরা পর্যায়ের ভ্যাট ফ্যাক্টরি পর্যায়ে আদায় করা হয়। ফলে খোলা তেলের বাজারে একটা ফ্লেক্সিবিলিটি আছে, যেটি বোতলজাত তেলের ক্ষেত্রে নেই। প্রতিমন্ত্রী বলেন, তেলের মূল্য কমানোর সর্বোচ্চ চেষ্টা আমরা করেছি। কিন্তু সব বোঝা যদি আমরা উৎপাদকের কাঁধে চাপিয়ে দেই, তাহলে তারা নিরুৎসাহিত হবেন। এতে সাপ্লাই চেইনে অসুবিধা হবে। কাজেই সাপ্লাই চেইন নিরবচ্ছিন্ন রাখতে সয়াবিন এই দামে সমন্বয় করা হয়েছে।
১৯ এপ্রিল, ২০২৪

ঈদের আগে মুরগির দাম বাড়ল সবচেয়ে বেশি
ঈদুল ফিতর কেন্দ্র করে রাজধানীতে অস্থিতিশীল হয়ে উঠেছে মুরগি ও গরুর মাংসের বাজার। সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়েছে মুরগির দামে। সপ্তাহে ব্যবধানে ব্রয়লারের দাম কেজিতে বেড়েছে ৪০ ও সোনালি মুরগির ৩০ টাকা। গরুর মাংসের দাম কেজিতে বেড়েছে ৩০-৫০ টাকা। গতকাল সোমবার রাজধানীর নিউমার্কেট কাঁচাবাজার, রায়সাহেব বাজার, সেগুনবাগিচা কাঁচাবাজার ও কারওয়ান বাজার ঘুরে দেখা গেছে এমন চিত্র। নিউমার্কেট কাঁচাবাজারের ব্যবসায়ী হাসান বলেন, ঈদ উপলক্ষে মুরগির চাহিদা বাড়লেও সরবরাহ কম। এ সুযোগ নিয়েছেন খামারি ও পাইকাররা। এতে বিক্রি কমে যাওয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন খুচরা ব্যবসায়ীরা। গত ১৫ মার্চ কৃষি বিপণন অধিদপ্তর ব্রয়লার মুরগির দাম প্রতি কেজি ১৭৫, সোনালি মুরগি ২৬২ এবং গরুর মাংস ৬৬৪ টাকা নির্ধারণ করে দিয়েছিল। কিন্তু নির্ধারিত দরে কোথাও বিক্রি হচ্ছে না এসব পণ্য। রাজধানীর কয়েকটি বাজারে প্রতি কেজি ব্রয়লার ২৫০-২৬০ এবং সোনালি মুরগি ৩৫০-৩৬০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে। সপ্তাহখানেক আগেও ব্রয়লারের প্রতি কেজি ছিল ২১০-২২০ এবং সোনালি মুরগি ৩১০-৩২০ টাকা। রায়সাহেব বাজারের বিক্রেতা আল-আমিন বলেন, প্রতি বছরই ঈদ ঘিরে ব্রয়লারের চাহিদা বাড়ে। এবার সরবরাহ কম থাকায় খামারিরা দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন। সেজন্য খুচরায়ও দাম বেড়েছে। রায়সাহেব বাজারে মুরগির মাংস কিনতে এসেছেন রিপন বিশ্বাস। তার মতে, ঈদের আগে সিন্ডিকেট করে দাম বাড়াচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। সরবরাহ পর্যাপ্ত থাকা সত্ত্বেও দেওয়া হচ্ছে সংকটের অজুহাত। বেশ কিছুদিন গরুর মাংস প্রতি কেজি ৭৫০-৭৮০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। এখন বেশিরভাগ জায়গায় বিক্রি হচ্ছে ৮০০ টাকায়। তবে অনেক বাজারে ৭৫০ টাকায়ও পাওয়া যাচ্ছে। খাসির মাংসের কেজি আগের মতোই এক হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। নিউমার্কেটের পেছনে বনলতা মার্কেটের বিক্রেতা আব্বাস বলছেন, গরুর দাম বেড়েছে। তাই বাড়ছে মাংসের দাম। এতদিন যারা কম দামে মাংস বিক্রি করেছেন, তারাও এখন দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন। আলুর বাজারও চড়া। প্রতি কেজির দাম এখন প্রায় ৪৫ টাকা। গত কয়েক দিনে পেঁয়াজের দাম কমে এলেও গতকাল হঠাৎ কেজিতে ১০ টাকা বেড়েছে। এদিন প্রতি কেজি বিক্রি হয় ৫৫-৬০ টাকায়। ঈদুল ফিতরের অন্যতম উপাদান সেমাই। গত বছর বিশ্ববাজারে গমের দাম বেড়ে যাওয়ায় দেশে অস্বাভাবিক বেড়েছিল পণ্যটির দাম। এখন বিশ্ববাজারে গমের বাজার নিম্নমুখী থাকলেও কমেনি সেমাইয়ের দাম। গত বছরের দামেই বিক্রি হচ্ছে সব ধরনের সেমাই। এখন খোলা সাদা লাচ্ছা সেমাই প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৬০-২৮০, খোলা রঙিন লাচ্ছা ১৯০-২০০ টাকায়। প্যাকেটজাত ২০০ গ্রাম ওজনের লাচ্ছার দাম ৪৫-৫০ টাকা। বাংলা বা সাধারণ মানের খোলা সেমাইয়ের কেজি ১০০-১৪০ টাকা। প্যাকেটজাত বাংলা সেমাই বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি প্রায় ২০০ টাকায়। সেমাইয়ের অনুষঙ্গ কিশমিশের দর কেজিতে ২০০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৬০০-৭২০ টাকায়। বাদামসহ অন্য উপকরণের দামও কিছুটা বাড়তি। দুই সপ্তাহ আগে বেড়ে যাওয়া সাধারণ চালের বাজার এখনো স্বাভাবিক হয়নি। সুগন্ধি চালের দাম আগের মতো অস্বাভাবিক। প্রতি কেজি খোলা পোলাওর চাল ১২০-১৪০ এবং প্যাকেটজাত চাল ১৬০-১৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ব্যবসায়ীরা জানান, বছরের ব্যবধানে ২০ শতাংশ বেড়েছে পোলাওয়ের চালের দর। আগের মতোই প্রতি কেজি খোলা চিনি বিক্রি হচ্ছে ১৪০ ও প্যাকেটজাত চিনি ১৪৫ টাকায়।
০৯ এপ্রিল, ২০২৪

রোজার আগেই এক লাফে টিসিবির চিনির দাম বাড়ল ৩০ টাকা
আসন্ন রমজানের আগেই ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) ভর্তুকি মূল্যের চিনির দাম বাড়িয়েছে। এক লাফে কেজিতে ৩০ টাকা বাড়িয়ে চিনির নতুন দর নির্ধারণ করা হয়েছে ১০০ টাকা। এর আগে টিসিবিতে চিনির সর্বোচ্চ দর ছিল ৭০ টাকা। বুধবার (৬ মার্চ) টিসিবির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে চিনির দাম বাড়ানোর বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছে। এতে বলা হয়, নিম্নআয়ের এক কোটি উপকারভোগী কার্ডধারী পরিবারের মধ্যে ভর্তুকি মূল্যে চালসহ টিসিবির পণ্য (ভোজ্যতেল ও ডাল) বিক্রয় কার্যক্রম চলমান রয়েছে। রমজান উপলক্ষ্যে আগামীকাল বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) সারাদেশে দ্বিতীয় পর্বের পণ্য বিক্রি শুরু হবে। সরবরাহ না থাকায় গত বছর আগস্টে চিনি বিক্রি করেনি টিসিবি। পরের ২-৩ মাস কিছু কিছু এলাকায় ৭০ টাকা দরে চিনি বিক্রি করে সংস্থাটি। তবে মাঝে গত ২-৩ মাস চিনি বিক্রি বন্ধ ছিল। আগামীকাল থেকে আবার চিনি বিক্রি শুরু হলেও কেজিতে দাম বাড়ানো হয়েছে ৩০ টাকা। টিসিবি জানিয়েছে, প্রত্যেক কার্ডধারী পরিবারের মধ্যে চিনি ছাড়াও ২ লিটার রাইসব্রান বা সয়াবিন তেল, ২ কেজি মসুর ডাল, এক কেজি চিনি, এক কেজি খেজুর ও ৫ কেজি চাল বিক্রি করা হবে। প্রতি লিটার তেলের দাম ১০০ টাকা। এ ছাড়া প্রতি কেজি মসুর ডাল ৬০, চিনি ১০০, খেজুর ১৫০ এবং চাল ৩০ টাকা দরে কিনতে পারবেন কার্ডধারী ক্রেতারা।
০৬ মার্চ, ২০২৪

বিদ্যুৎ উৎপাদনে গ্যাসের দাম বাড়ল
বিদ্যুৎ উৎপাদনে সরবরাহকৃত গ্যাসের দাম বাড়িয়েছে সরকার। একই সঙ্গে শিল্পকারখানায় ব্যবহৃত ক্যাপটিভ পাওয়ারে সরবরাহ করা গ্যাসের দামও বেড়েছে। উভয় ক্ষেত্রে ঘনমিটারপ্রতি ৭৫ পয়সা করে বেড়েছে। এ দুই খাতে মোট গ্যাসের ৫৭ শতাংশ ব্যবহার হয়। তবে বাসাবাড়ি ও পরিবহনে ব্যবহৃত গ্যাসের দাম বাড়েনি। এদিকে আজ পাইকারি ও খুচরা পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির প্রজ্ঞাপন হতে পারে বলে মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে। মঙ্গলবার বিকেলে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিভাগ থেকে জারি করা এক প্রজ্ঞাপনে নতুন এই দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। ফেব্রুয়ারি থেকেই নতুন এ দাম কার্যকর হবে, ফলে মার্চেই নতুন দামে বিল পরিশোধ করতে হবে। এর আগে গতকাল সকালে গ্যাসের দাম বৃদ্ধি নিয়ে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, আবাসিকে গ্যাসের দাম বাড়ছে না। শুধু বিদ্যুৎ উৎপাদনে ব্যবহৃত গ্যাসের দাম ঘনমিটারপ্রতি ৭৫ পয়সা বাড়ানো হচ্ছে। শিল্পেও বাড়বে না। জ্বালানি বিভাগের উপসচিব শেখ মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেন স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, সরকারি, আইপিপি ও রেন্টাল বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের জন্য নতুন দাম হবে ঘনমিটারপ্রতি ১৪ দশমিক ৭৫ টাকা। অন্যদিকে শিল্পের ক্যাপটিভ বিদ্যুৎকেন্দ্রের ঘনমিটারপ্রতি দাম হবে ৩০ টাকা ৭৫ পয়সা। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন আইন, ২০০৩-এর ধারা ৩৪ক-তে প্রদত্ত ক্ষমতাবলে, জনস্বার্থে সরকার বিদ্যুৎ উৎপাদনে ব্যবহৃত গ্যাসের বিক্রয়মূল্য ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ বিলিং মাস থেকে প্রতি ঘনমিটার ১৪ টাকা থেকে ১৪ দশমিক ৭৫ টাকা (সমন্বয়ের হার ৫ দশমিক ৩৬ শতাংশ) এবং ক্যাপটিভ বিদ্যুৎ উৎপাদনে ব্যবহৃত গ্যাসের মূল্য প্রতি ঘনমিটার ৩০ টাকা থেকে ৩০ দশমিক ৭৫ টাকা (সমন্বয়ের হার ২ দশমিক ৫০ শতাংশ) নির্ধারণ করেছে। বাংলাদেশে গ্যাসের ব্যবহারকারীদের আটটি গ্রাহক শ্রেণি রয়েছে। এর মধ্যে বিদ্যুৎ উৎপাদনে ৩৭ শতাংশ, শিল্পে ২৩ শতাংশ, ক্যাপটিভ বিদ্যুতে ১৮ শতাংশ, গৃহস্থালিতে ১০ শতাংশ, সার উৎপাদনে সাত শতাংশ, সিএনজিতে চার শতাংশ এবং বাণিজ্যিক ও চা শিল্পে এক শতাংশ গ্যাস ব্যবহৃত হয়। প্রাকৃতিক গ্যাসের উৎপাদন, আমদানি, সরবরাহ মূল্যের সঙ্গে বিক্রয়মূল্যের পার্থক্যের কারণে সরকারকে এ খাতে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে আর্থিক ক্ষতি ও ভর্তুকি দিতে হবে প্রায় ৬ হাজার ৫৭০ কোটি ৫৪ লাখ টাকা। কৃষি সেচ মৌসুম, রমজান মাস ও গ্রীষ্মকালে বিদ্যুৎ উৎপাদনে গ্যাসের চাহিদা আরও বেশি থাকে। শিল্প, গৃহস্থালি, সার উৎপাদন, সিএনজি, বাণিজ্যিক ও চা শিল্পে মূল্য সমন্বয় অপরিবর্তিত রয়েছে। এই মূল্য সমন্বয়ের ফলে এলএনজির বর্তমান বাজার মূল্য ও ডলার বিনিময় হার বিবেচনায় বিদ্যমান ভর্তুকি ৬ হাজার কোটি টাকার মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখা সম্ভব হতে পারে বলে বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানান। সর্বশেষ গত বছরের জানুয়ারিতে বিদ্যুৎ উৎপাদনে গ্যাসের দাম প্রতি ঘনমিটারে ৫ টাকা ৮ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ১৪ টাকা এবং ক্যাপটিভ ১৬ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৩০ টাকা করা হয়েছিল। তখন শুধু শিল্প, বিদ্যুৎ ও বাণিজ্যিক খাতে গ্যাসের দাম বাড়ানো হয়।
২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

এক ঘণ্টার ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম বাড়ল ২৫ টাকা
দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে এক ঘণ্টার ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম বাড়ল প্রকারভেদে কেজিতে ২০ থেকে ২৫ টাকা। খুচরা পেঁয়াজ ব্যবসায়িদের দাবি, সিন্ডিকেট করে স্থানীয় পেঁয়াজের পাইকার ব্যবসায়ীরা এ দাম বাড়িয়েছেন। উপজেলার বাজারে ৮০ থেকে ৯০ টাকা কেজির পেঁয়াজ বর্তমানে ১০০ থেকে ১০৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০ টায় ফুলবাড়ী পৌর এলাকার পেঁয়াজের খুচরা ও পাইকারী বাজার ঘুরে দেখা যায়, খুচরা ও পাইকারী বাজারে প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ প্রকারভেদে ১০০ থেকে ১০৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছেন ব্যবসায়িরা। খুচরা পেঁয়াজ ব্যবসায়ী হারুন উর রশীদ বলেন, আজ সকাল ৭টা থেকে সাড়ে ৯টা পর্যন্ত পেঁয়াজের পাইকারী বাজারে প্রতি কেজি বিক্রি হয়েছে প্রকারভেদে ৮৭ থেকে ৯০ টাকা। আর খুচরা বাজারে ওই পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৯০ থেকে ৯৫ টাকা কেজি দরে। কিন্তু সকাল সাড়ে ১০টার দিকে কোনো প্রকার কারণ ছাড়াই পাইকারী ব্যবসায়ীরা দাম বাড়িয়ে প্রকারভেদে ১০৫ টাকা কেজি দরে খুচরা বিক্রি করতে শুরু করেন। এদিকে বাজারে অভিযান চালানোর কথাও শোনা যাচ্ছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মীর মো. আল কামাহ তমাল বলেন, পেঁয়াজের দাম কি কারণে বাড়লো তা আজই (শুক্রবার ৯ ফেব্রুয়ারি) বাজারে ভ্রাম্যমান অভিযান চালিয়ে খতিয়ে দেখা হবে। পেঁয়াজ কিনতে আসা হিরেন্দ্র নাথ বর্মন বলেন, গত শুক্রবার (২ ফেব্রুয়ারি) দেশি পেঁয়াজ ৭০ টাকা কেজি দরে তিন কেজি পেঁয়াজ কিনেছিলেন। কিন্তু আজ শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) বাজারে এসে দেখছেন একই দেশি পেঁয়াজের প্রতি কেজি ১০০ থেকে ১০৫ টাকা। এ জন্য এক কেজি পেঁয়াজ কিনতে বাধ্য হয়েছেন।  হোটেল ব্যবসায়ি উজ্জ্বল মহন্ত বলেন, গত বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) ও গত বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) প্রতিকেজি পেঁয়াজ কিনেছেন ৮০ থেকে ৮২ টাকা কেজি দরে। কিন্তু আজ শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) একই পেঁয়াজের দাম বেড়ে প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১০৫ টাকা কেজি দরে। এ জন্য হোটেলের জন্য প্রয়োজন ১০ কেজি পেঁয়াজ কিন্তু দাম বৃদ্ধি পাওয়া ৭ কেজি পেঁয়াজ কিনেছেন। কম বেশি করে এতেই চালিয়ে নেবেন তার ব্যবসা।  এদিকে উপজেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা হতে পারে এমন খবরে পাইকারী বাজারের ব্যবসায়ীদের বেশির ভাগই তাদের দোকান বন্ধ করে দেন। আবার অনেকে আরো দাম বাড়বে এমন আশঙ্কায় পেঁয়াজ বিক্রি না করে দোকানে মজুত করে রেখে দিয়ে দোকান বন্ধ করে দিয়েছেন।  এ ব্যাপারে পাইকারী পেঁয়াজ ব্যবসায়ী দীপক কুমার বলেন, সকালে ঢাকা ও চট্টগ্রামের মোকাম থেকে জানানো হয় মোকামে প্রতি মণ দেশি পেঁয়াজ ৪ হাজার ৪০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ জন্য মোকাম থেকে বলা হয় খুচরা বাজারে প্রতি কেজি ১১০ টাকায় বিক্রি করতে। কিন্তু তারা সেটি না করে ৫ টাকা কমিয়ে ১০৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছেন।  তিনি আরও বলেন, যেহেতু এলসির পেঁয়াজ নেই, সেজন্য দেশি পেঁয়াজের ওপর চাপ পড়েছে। তা ছাড়া দেশি পেঁয়াজ শেষের দিকে থাকায় দাম বাড়ছে। নতুন পেঁয়াজ উঠলে দাম কমে আসবে। এ ছাড়া ভারত থেকে এলসিতে পেঁয়াজ আমদানি হলেও পেঁয়াজের দাম কমবে। 
০৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

১২ কেজি এলপিজির দাম বাড়ল ৪১ টাকা
আবারও ভোক্তা পর্যায়ে তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাসের (এলপিজি) দাম বেড়েছে। নতুন দাম অনুযায়ী ১২ কেজিতে বেড়েছে ৪১ টাকা। বাড়ার পর ১২ কেজি এলপিজির দাম হয়েছে ১ হাজার ৪৭৪ টাকা। আগে এলপিজির দাম ছিল ১ হাজার ৪৩৩ টাকা। নতুন দাম গতকাল সন্ধ্যা থেকে কার্যকর হয়েছে। গতকাল রোববার বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) সদস্য ড. মোহাম্মদ ইয়ামিন চৌধুরী নতুন দর ঘোষণা করেন। এলপিজির দাম সবচেয়ে কম ছিল জুলাই মাসে ৯৯৯ টাকা। বিইআরসি থেকে দাম বৃদ্ধির কারণ হিসেবে জানানো হয়েছে, মধ্যপ্রাচ্যের যুদ্ধ পরিস্থিতির কারণে বিশ্ববাজারে এলপিজির দাম কিছুটা বেড়েছে। এ কারণে দেশের বাজারেও দাম বেড়েছে। বিইআরসির নতুন দর অনুযায়ী, বেসরকারি এলপিজির মূল্য সংযোজন করসহ দাম নির্ধারণ করা হয়েছে প্রতি কেজি প্রায় ১২২ টাকা ৮৬ পয়সা। গাড়িতে ব্যবহৃত এলপিজির দাম নির্ধারণ করা হয়েছে প্রতি লিটার প্রায় ৬৭ টাকা ৬৮ পয়সা।
০৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪
X